ভালোবেসে ফেলেছি পর্ব-৩৪+৩৫

0
2226

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 34
writer : Mohona

.

কারন তাহলে দহন জানেই মেরে ফেলবে।
মনি : কাকা আরেকটু তো জোরে চালাও।
ড্রাইভার : না মনিম্যাম পারবোনা। দহন স্যার যদি জানতে পারে যে আমি জোরে চালিয়েছি তাহলে আমার কপালে কেমন রকমের দুঃখ আছে তা কেবল দহন স্যারই জানেন।
বহ্নি : আরে বাবা দহন জানবেনা। আর অল্প একটু স্পিড বারালে কোনো সমস্যাও হবেনা। বারাওনা প্লিজ…
ড্রাইভার : না না বারানো যাবোনা…

অবশেষে ওরা ১টা রেস্টুরেন্টে পৌছালো।
নিশা : লম্বা-চওড়া ১টা ঘুম দিলাম।
মনি : এট লাস্ট পৌছালাম। উফফ… এই ভাইয়াটা না ১নাম্বার পাগল।
দিনা : আচ্ছা চলো। ভেতরে চলো…
বহ্নি : দারাও দহনকে ১টা কল করে নেই। বলি যে কোথায় আছি… বলেছিলো নামার পর কল করতে…
নিশা : হামম হামমম দে কল… আমি বরং আরও ২মিনিট ঘুমাই।

বহ্নি দহনের সাথে কথা বলে নিলো। এরপর ভেতরে ঢুকলো।

.

দহন : বলো কি বলবে…
কাকন : দেখো আমি মা হতে চলেছি…
দহন : ওহ ওয়াও… গুড নিউজ। কংগ্রেচ্যুলেশন… আর এই খুশির খবর টা তুমি এভাবে কেন দিচ্ছো। ডোন্ট সে যে তোমার মতি গতি ঘুরে গিয়েছে।
কাকন : মতি গতি আমার ঘোরেনি… ঘুরলে তোমার ঘুরতে পারে।
দহন : হুয়াট ডু ইউ মিন…?
কাকন : ভেরি ইজি। তোমার মতি গতি ঘুরেছে… আমার জন্য এটা জানা জরুরী যে আমার বাচ্চার বাবা কে… রকি না তুমি…
দহন : কাকন…
কাকন : একদম চিল্লাবেনা। চিল্লাতে আমিও পারি। আমি ড্যানির কাছে সবটা শুনেছি যে তুমি তোমার স্বার্থসিদ্ধির জন্যই আমাকে বাচিয়েছিলে… আর তাই আমার জানা দরকার যে সেদিন আমাদের মাঝে কি কিছু হয়েছিলো কিনা? আমি সিওর হতে চাই যে বাচ্চাটা কার… তোমার না আমার স্বামীর…
দহনের ইচ্ছা করছে কাকনের মাথাটা ফাটিয়ে দিতে…
দহন : লিসেন সেদ…
দহন তাকিয়ে দেখে বহ্নি দারিয়ে আছে।
দহন : বহহহ্নি…
বহ্নির মনে হচ্ছে যে ওর পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ও কিছুই বুঝতে পারছেনা। রক্তের বেগ বের গেলো। মাথা থেকে ঘাম ঝরছে। স্নায়ুকোষ গুলো অচল হয়ে পরেছে। বহ্নি জ্ঞান হারালো। দহন ধরে ফেলল।
দহন : বহ্নি… এই বহ্নি… কাকন পানি …
কাকন তারাতারি করে পানি দিলো। দহন বহ্নির মুখে পানি ছিটিয়ে দিলো। তবুও বহ্নির জ্ঞান ফিরলো না… দহন আর কিছু না ভেবে বহ্নিকে কোলে তুলে নিলো… নিয়ে বের হচ্ছে তখন বাকীদের সাথে দেখা হয়ে গেলো।
নিশা : কি হয়েছে বহ্নির…
দহন : জ্ঞান হারিয়েছে…
দহন বহ্নিকে হসপিটালে নিয়ে গেলো।

.

দহন : ডক্টর… ডক্টর… দেখুন আমার বউর কি হয়েছে… আমার বহ্নি চোখ মেলছেনা … প্লিজ ওর জ্ঞান ফেরান…
ডক্টর : ওকে ওকে আপনি বাহিরে ওয়েট করুন আমরা দেখছি…
দহন : না আমি কোথাও যাবোনা… আমি ওর সাথেই থাকবো…
ডক্টররা হাজার বারন করলেও দহন বের হলোনা। ডক্টর চেক আপ করলো।
ডক্টর : চিন্তার কোনো কারন নেই। হুট করে ব্লাড প্রেসার অতিরিক্ত বেরে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে… ঠিক আছেন এখন ইনি…
দহন : আর আমাদের বেবি…
ডক্টর : হোপ ফুল্লি ঠিকই আছে।
দহন : ঠিকমতো চেক করে বলুন…
ডক্টর : ঠিকই আছে বললাম তো।

ডক্টর বেরিয়ে গেলো।
দহন : কেন কেন কেন যে এতোদিন বললাম না… ড্যাম ইট।

.

কিছুক্ষনপর …
বহ্নির জ্ঞান ফিরলো… দেখলো দহন নামাজ পরছে। আসলে দহন বহ্নির জন্য নফল নামাজ পরছে। নামাজ শেষে দহন ছুটে বহ্নির পাশে এসে বহ্নির হাত হাতে নিয়ে মাথা নিচু করে বসে রইলো। কারন ওর চোখ দিয়ে পানি পরছে… যদি ওর চোখের পানি দেখে বহ্নির খারাপ লাগে.. এই ভেবে মাথা তুলল না… বহ্নি বেশ বুঝতে পারছে যে দহন কাদছে।
বহ্নি : আমি বাসায় যেতে চাই… প্লিজ রিলিজের ব্যাবস্থা করো…
দহন : তুমি ঠিক হয়ে নাও।
বহ্নি : আমি ঠিকই আছি… প্লিজ বাসায় যাওয়ার ব্যাবস্থা করো। এখনই।
দহন : কিন্তু…
বহ্নি : প্লিজ …
দহন বুঝতে পারলো বহ্নি রেগে আছে। দহন বহ্নিকে নিয়ে বাসায় ফিরলো। বেডে বসালো।

বহ্নি : আমি কিছুক্ষন একা থাকতে চাই…
দহন : আমার কথাটা ১টা বার শোনো… সেদিন রাতে…
বহ্নি : আমি এখন কিছুই শুনতে চাইছিনা.. একা থাকতে চাইছি…
দহন : তবুও তোমাকে শুনতে হবে…
বহ্নি : প্লিজ আমাকে উত্তেজিত কোরোনা… এই মুহুর্তে আমার একা থাকা ভীষন প্রয়োজন… লিভ…
দহন দরজার দিকে এগিয়ে গেলো। বের হবে তখন বহ্নির দিকে ফিরে তাকিয়ে
বলল : সেদিন রাতে কিছুই হয়নি তেমন। ১জন মানুষ হিসেবে ১টা মেয়ের সম্মান বাচিয়েছি… অন্যকিছু মানুষরূপি পশুর হাত থেকে। আর দুর্ভাগ্যবশত মেয়েটা আর কেউ নয় কাকন… এসেই তোমাকে বলে দিবো ভেবেছিলাম… কিন্তু জীবনের সেরা সুসংবাদ পেয়ে… আর কিছুই মাথায় ছিলোনা…
বলেই দহন চলে গেলো।

.

দহন নিচে নেমে আসতেই দেখে রকি-কাকন ভেতরে ঢুকছে। বাসার সবাই আর রকি জিজ্ঞেস করতে লাগলো যে কি হয়েছে…

অর্নব : আমি বলছি কি হয়েছে…
সবাই দরজার দিকে তাকালো। দেখলো অর্নব দারিয়ে আছে। অর্নবকে দেখেই দহন অর্নবের দিকে তেরে গেলো।
অর্নব : আ আ…আজকে নিজের হিংস্রতা দেখিয়ে না তো আমাকে এরিয়ে যেতে পারবে না তো আমাকএ চুপ করাতে পারবে আর না তো আমাকে বের করতে পারবে। মরে গেলেও সত্যি বলেই মরবো।
দহন : জাস্ট আউট…
দীপন : কি সত্যি…
দহন : জানিনা বাবা এই অসভ্যটা কিসের সত্যির কথা বলছে…
অর্নব : কাকনের গর্ভে দহনের বেবির সত্যি…
সবার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো।
রকি : হুয়াট ?
অর্নব : ইয়াহ… বাই দ্যা ওয়ে তোমরা বাকী ঘটনা জেনে নাও। আমি আমার বেস্টফ্রেন্ডের কাছে গেলাম।
ও ওপরে যেতে নিলে দহন ওর সামনে দারালো।
দহন : আমার বউর দিকে পা বারালে তোর পা আমি কেটে কুকুরকে খাওয়াবো।
অর্নব : আগে তুমি নিজের সাফাই গেয়ে নাও পরে আমার পথ আটকিও…
দীপন : টেল মি দ্যা ট্রুথ ফার্স্ট …
দহন : বাপী এই লোকটাকে বেরিয়ে যেতে বলো। আমার ওকে জাস্ট সহ্য হচ্ছেনা।
দীপন : সহ্য তো আপাদত তোমাকেও আমার হচ্ছেনা। তবুও করছি… ছারো ওকে।। তুমি তোমার কথা বলো। কাম হেয়ার… এন্ড ইউ অর্নব তোমাকে বহ্নির সাথে জাস্ট দেখা করার পারমিশন দিলাম। নিজের লিমিটে থেকো।
অর্নব : থ্যাংক ইউ আংকেল।
অর্নব ওপরে গেলো।

দহন : বাপী তুমি ক…
দীপন : টেল মি দ্যা ট্রুথ… তোমার জবাবের ওপর নির্ভর করে যে তুমি এরপরের বার আমাকে বাপী বলে ডাকতে পারবে কি না…
দহন : ওকে ফাইন । লিসেন….
দহন সব বলতে লাগলো।

.

অর্নব : ভেতরে আসি…
বহ্নি : তুই.. তুমি…
অর্নব : আজ এতোকিছুর পরও আমার ওপরই রাগ…
বহ্নি : …
অর্নব গিয়ে সোফায় বসলো।
অর্নব : আমি অমন নই যে মেয়েদেরকে স্পর্শ করার ধান্দায় থাকবো… সেদিব কেবল আবেগের তারনায় অমন ১টা বিশ্রী আচরণ করে ফেলেছিলাম। যেটার আফসোস আজও করছি।
বহ্নি : আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু টক টু ইউ রাইট দিস মোমেন্ট। প্লিজ চলে যাও।।।
অর্নব : নিজের বরের করা অপকর্মের রাগ আমার ওপর কেন তুলছিস রে…
বহ্নি :…
অর্নব : কি বলেছিলাম আমি মনে আছে?
বহ্নি : …
অর্নব : দেখ আমি তো ১টা ছেলে তাই এই বিষয়টা বুঝি। ছেলেরা প্রথম যাকে মন থেকে সত্যিকারের ভালোবাসে তাকে কখনো মন থেকে বের করতে পারেনা। সে যতোই খারাপ হোক… তার ওপর যতোই অভিমান থাকুক না কেন… তাকে মন থেকে বের করতে পারেনা। আর এর প্রমান দহন আর আমি… দেখ আমাকে…. তোকে ভুলতে পারিনি। আর পারবোও না। কারন তুই আমার প্রথম ভালোবাসা। আর তুইই আমার শেষ ভালোবাসা। দহনের ক্ষেত্রেও সেটাই। কাকন ভুল করেছে। কিন্তু ভালো তো সত্যিই বেসেছিলো ও কাকনকে… হাজারটা অভিমান সেই ভালোবাসার কাছে তুচ্ছ। তাই কিছু করার থাকেনা…
বহ্নি : …
অর্নব : নিঃস্বন্দেহে দহন পরিবারের কথায় আর আদরের বোনের আবদারের জন্য তোকে বিয়েটা করেছিলো। আর সবার জন্য তোকে মেনে নেয়ার চেষ্টাও করেছে । কিন্তু ভেবে দেখে মাত্র ২-৩মাসে কাউকে এতো করে ভালোবাসা কি সম্ভব ? সম্ভব না। সবটাই ছিলো দহনের নাটক। মনের মধ্যে কাকনই আছে। তাই তো ভালোবাসা ভুলতে পারেনি। আবেগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি…
বহ্নি : …
অর্নব : আজকে যদি তুই দহনকে শাস্তি দিস তবে সেটা ভুল হবে। তাই আমি তোকে অনুরোধ করছি যে তুই দহনকে ওর ভালোবাসার কাছে ফিরিয়ে দে… তোর সন্তানকে আমি আমার স্বীকৃতি দিবো। সারা পৃথিবী জানবে ও আমার আর তোর সন্তান…
বহ্নি : …
অর্নব : ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নে…
বহ্নি : অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো ভালো সাজেশন দেয়ার জন্য। এখন আপনি এখান থেকে চলে গেলে খুশি হবো। আমি একা থাকতে চাই এখন। সো গো…
অর্নব : কিন্তু…
বহ্নি : আউট…
অর্নব : তুই আমার কথা…
বহ্নি কিছু না বলে অর্নবকে রুম থেকে বের করে দিলো।

.

দহন : তোমরা বিশ্বাস করো আমি এতোটুকুও মিথ্যা বলছিনা… আর কাকন… ১বার ভেবে দেখেছো যেই আমি তোমার সাথে রিলেশনে থাকার সময় এমন কিছু করিনি সেই আমি এখন কেন এমন কিছু করবো? হুয়াই?
অর্নব : কারন তুমি তোমার আবেগ নিয়ন্ত্রন করতে পারোনি। প্রথম ভালোবাসা ভোলা কারো পক্ষেই সম্ভব না। আর তাই আবেগের বসে তুমি ভুলটা করেছো। ইটস নট ইউর ফল্ট…
দহন : বাপী ওই লোকটাকে জাস্ট এখনই বের হতে বলো না হলে আই উইল কিল হিম…
অর্নব : রিল্যাক্স রিল্যাক্স… আমি এমনিতেই এখন চলে যাবো। তুমি বললেও আর তুমি না বললেও… বাই বাই অল।
বলেই অর্নব চলে গেলো।
রকি দহনের কাধে হাত রাখলো ।
রকি : দেখো আই ট্রাস্ট ইউ.. বাট আমার মনে হয় আমাদের ট্রাস্টে তোমার কিছুই যায় আসেনা। কারন তোমার আসল মানুষের ওপরই তোমার সবটা নির্ভর করে। যদি তুমি ভুল করে থাকো তবেও তুমি বহ্নির কাছে অপরাধী । আর না করে থাকলেও বহ্নির কাছে অপরাধী … ঘটনাটা বহ্নিকে না জানিয়ে। কাকনও ভুল করেছে আমার কাছে লুকিয়ে….

.

বেশ কিছুক্ষনপর….
বহ্নি বসে বসে অর্নবের বলে যাওয়া কথাগুলো ভাবছে। হয়তো অর্নব ঠিকই বলেছে। প্রথম ভালোবাসা হয়তো কেউই ভুলতে পারেনা। কিন্তু দহনকে ছেরে যাওয়ার কথা ও কল্পনাও করতে পারেনা।
বহ্নি : ১মিনিট… এসবের বিষয়ে অর্নব কি করে জানলো? রেস্টুরেন্টে তো অর্নব ছিলোনা । আর আগেই যদি জেনে থাকে তবে ও তো আগেই আমাকে বলতো… গোপন করার মানুষ তো ও না… তবে ঘটনাটা কি… অর্নব কিছু করেনিতো…

তখন দহন খাবার নিয়ে রুমে ঢুকলো।
দহন : সরি… আসার জন্য। আমি জানি এখন তোমার একা থাকতে ইচ্ছা করছিলো। বাট তুমি অনেকক্ষন যাবত কিছু খাওনি। যেটা তোমার আর বেবির জন্য একদম ঠিক না… তাই খাবার নিয়ে এলাম। খাইয়েই চলে যাবো প্রমিস…
দহন বহ্নির পাশে গিয়ে বসলো। খাইয়ে দিতে নিলো। বহ্নি বাধা দিলো।
বহ্নি : তুমি কিছু খেয়েছো…
দহন মাথাটা নিচু করে রইলো। বহ্নি দহনের মুখের দিকে খাবার এগিয়ে দিলো।
বহ্নি : বাবুদের বাবা না খেলেও বাবুদের সমস্যা হবে। কারন বাবুদের বাবা না খেলে বাবুদের মা খাবেনা… হা করো…
২জন ২জনকে খাইয়ে দিলো। খাওয়ার পর দহন বহ্নিকে জরিয়ে ধরলো।
দহন : আম সরি… সেদিনই এসে সব তোমাকে বলে দেয়া উচিত ছিলো… কিন্তু যেই আনন্দের সংবাদ সোদিন তুমি আমায় দিয়েছিলে… আমি সব ভুলে গিয়েছিলাম…. আমি তোমাকে এখনই সব বলতে চাই… একটু শুনবে প্লিজ…
বহ্নি : বলো….
দহন সবটা বলল।

.

রাতে…
দহন বহ্নিকে বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে আছে। বহ্নি কোনোরকমে মাথাটা একটু তুলে দহনের দিকে তাকিয়ে আছে।
বহ্নি মনে মনে : তুমি কখনো আমায় ধোকা দিতে পারোনা। হামম হয়তো সবাই এতো অল্প সময়ে কাউকে এতোটা ভালোবাসতে পারেনা… কিন্তু তুমি তো তুমিই… এতো অল্প সময়ে তুমি একাই ভালোবাসোনি… আমিও তো বেসেছি। ভীষন ভালোবেসেছি। সকল প্রমান সকল কিছুর থেকে তোমার মুখের কথা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ন আর ভরসাপূর্ন । আই লাভ ইউ। যতোদূর আমি অর্নবকে চিনি আমার মনে হয় ও কিছু ১টা করেছে। তবে আমি নিজে সব সত্যি না জেনে তোমাকে অর্নবের কথাটা বলতে পারবোনা। তাহলে দেখা যাবে সত্য সামনে আসার আগেই তুমি ১টা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে। আর যদি বাই চান্স অর্নব কিছু না করে থাকে তবে আমি চাইনা তুমি কোনো নিরপরাধীর সাথে অন্যায় করো। আমার দহন কখনো কারো সাথে অন্যায় করতে পারেনা…

.

চলবে…

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 35
writer : Mohona

.

বহ্নি মনে মনে : আমার দহন কখনো কারো সাথে অন্যায় করতে পারেনা… দহন রাগী হতে পারে পাজি হতে পারে কিন্তু খারাপ না। ভীষন ভালো… অর্নব… যদি সবকিছুর পেছনে ও থেকে থাকে তবে ওকে ১টা উচিত শিক্ষা আমি অবশ্যই দিবো… আমি চাইনা অর্নব এসবের মধ্যে থাকুক… এতোদিনের বন্ধুকে জীবনের প্রথম শত্রুর লিস্টে ফেলতে আমার নিজেরই কষ্ট হবে। কিন্তু যদি ও আমার দহনকে বদনাম করার জন্য এমন জঘন্য চাল চেলে থাকে তবে … পরেরটা পরে ভাববো… অনেক ঘুম পাচ্ছে…
বহ্নি দহনকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো।

.

সকালে…
বহ্নির ঘুম ভাঙলো। দেখলো ১জোরা চোখ ওর দিকে তাকিয়ে আছে। এটা রোজকার রুটিন… বহ্নি চোখ মেলতেই দহন ওর কপালের ওপর পরে থাকা চুলগুলো সরিয়ে কপালে চুমু দিলো। ওটাও প্রতিদিনের রুটিন।
দহন : গুড মর্নিং আমার কলিজাপাখিটা…
বহ্নি : গুড মর্নিং…
দহন : ডু ইউ ফরগিভ মি?
বহ্নি : উহু…
বহ্নির জবাবে দহনের মুখটা কালো হয়ে গেলো। বহ্নি মিষ্টি ১টা হাসি দিয়ে দহনকে জরিয়ে ধরলো।
বহ্নি : ক্ষমা তো তখন করতাম যখন আমার জামাইটা কোনো ভুল করতো… কিন্তু বহ্নির দহন তো কোনো ভুল করেনি… আর তাই ক্ষমা করার কোনো প্রশ্নই নেই…
দহন : ধন্যবাদ আমাকে বিশ্বাস করার জন্য।
বহ্নি : তুমি তো আমার কাছে কোনো অপশনই রাখোনি তোমাকে অবিশ্বাস করার… আমি জানি আমার দহন , কাকন কেন… অন্যকোনো মেয়ে থাকলেও তাকে সাহায্য করতো।
দহন : আই লাভ ইউ…
বহ্নি : আই লাভ ইউ টু…

.

বিকালে…
দহন বহ্নিকে খাইয়ে দিচ্ছে তখন রকি আর কাকন এলো।
কাকন : কি খবর হবু জননী…?
বহ্নি : হবু জননী কি আমি একা? তুমি নও বুঝি…? কংগ্রেচ্যুলেশন টু বোথ অফ ইউ…
রকি-কাকন : থ্যাংক ইউ কিউটি।
কাকন : আই অ্যাম সরি অলসো। আমার বোকামোর তুমি এভাবে অসুস্থ হয়ে পরলে…
বহ্নি : হেই ডোন্ট বি…
কাকন : কেন সরি বলবোনা বলো তো? আমার বোকামোর জন্য… আমার উল্টাপাল্টা ভাবনার জন্য কি হয়ে গেলো। দহন আমাকে সেদিনই ক্লিয়ার করে দিয়েছিলো। তবুও আমি…
বহ্নি : যা হয়েছে ভালোই হয়েছেনা… তা না হলে আমাদের দহন সাহেবের মাথা থেকে তো এটা বেরিয়েই গিয়েছিলো। বিষয়টা আগেই ক্লিয়ার হয়েছে ভালো হয়েছে।
রকি : ঠিক বলেছো ভাবি।
দহন : দেখি বাকী খাবারটা খেয়ে নাও।
বহ্নি : না না … আমি আর খাবোনা।
দহন : ১টা থা… 😡…
দহন রাগটাকে থামিয়ে ঠান্ডা মাথায়
বলল : ১টা থাপ্পর মারবো। খেয়ে নাও…
দহনের কাহিনি দেখে সবাই হাহা করে হেসে উঠলো।
দহন : 😒।।
নিশা : ভাবা যায়…. আমার রাগী ছেলেটা রাগ কন্ট্রো করছে… 😱😂…
বহ্নি : আমি শিহরিত মামনি…
নিশা : আগে জানলে কোনোরকমে ১৮ হলেই ওর বিয়ে দিয়ে দিতাম… তারাতারি বাবা হয়ে যেতো। রাগ এতোদূর গরাতো না…
সবাই : 😂😂😂।
দহন : শাট আপ… 📢📢📢

.

২দিনপর…
বহ্নি : শুনছো…
দহন : হ্যা বলো…
বহ্নি : ১টা পারমিশন লাগবে।
দহন : কিসের পারমিশন ?
বহ্নি : অর্নবের সাথে দেখা করার।
দহন : হুয়াট? তুমি এটা বললে কোন সাহসে? তোমার সাহস দেখে আমি অবাক। তুমি ভাবলে কি করে যে আমি পারমিশন দিবো।
বহ্নি : হয়েছে বলা? আমি কিছু বলি… প্লিজ?
দহন : বলো…
বহ্নি : রাগ করবেনা আর ভুলও বুঝবেনা। বুঝেছো…
দহন : তোমাকে কোনোদিনও ভুল বুঝেছি আমি ?
বহ্নি : না। এখন শোনো… কাকন তোমার এক্স হওয়ার পাশাপাশি তোমার ভালো বন্ধুও ছিলো তাইনা?
দহন : হামম।
বহ্নি : দেখো… তুমি তোমার বন্ধু কাকনের জন্য কিছু করেছো… দেখো আজকে ও নিজের সংসার নিয়ে সুখী আছে। আর আমরাও। ২দিন পরপর সেই অড সিচ্যুয়েশন গুলো ফেইস করতে হয়না। আর কাকনও আমাদের মাঝে কোনো ঝামেলা করতে আসেনা। কিন্তু অর্নব … ও কতোদিন এমন ধরনের কাজ করতে থাকবে তার কি কোনো ঠিক আছে? ওরও তো বাস্তবতাটা মানা দরকার বলো…
দহন : ও জীবনে মানবেনা…
বহ্নি : ১বার চেষ্টা করতে দোষ কোথায় বলো তো? ১বার আমাকে চেষ্টা করতে দাও প্লিজ…
দহন : তুমি ওর সাথে একা দেখা করতে যেতে পারবেনা…
বহ্নি : দহন ও আমার বেস্টফ্রেন্ড ছিলো। আমি ওকে চিনি। তাই আমি মনে করি ওর সাথে আমি একা কথা বলতে গেলেই বেটার হবে।
দহন : নো নেভার। সেদিন তোমার হাত ধরেছে। আবার যদি উল্টাপাল্টা কোনোকিছু করে…
বহ্নি : আমি যতোদূর জানি করবেনা… সেদিন অমনটা কেন করেছিলো জানিনা… প্লিজ অনুমতি দাও।
দহন : দেখো ও মানুষটা ভালোনা।
বহ্নি : ১বার চেষ্টা করতে দাও। প্রমিস এই ১বারই যেতে চাইছি। কথা বলে দেখি ওর সাথে। যদি ও না বোঝে তাহলে আর দ্বিতীয় চেষ্টা করবোনা। সো প্লিজ দহন…
দহন : ওকে… বাট নিজের আর আমার বাচ্চাদের খেয়াল রাখবে…
বহ্নি : হামমম।

.

৩দিনপর…
বহ্নি অর্নবের ফ্ল্যাটে গেলো। অর্নব দরজা খুলে বেশ খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পরলো। ব্যাপারটা বহ্নি বুঝলোনা।
বহ্নি : ভেতরে আসতে বলবেনা?
অর্নব : কাম…
বহ্নি ভেতরে ঢুকলো। তবে টেবিলের ওপর ২টা গান দেখে ভীষন অবাক হলো।
বহ্নি : গানস…
অর্নব : আমি পুলিশে জয়েন করেছি… তাই এগুলো ।
বহ্নি : বললেও তো না…
অর্নব : তোর কাছে কি আমার জন্য সময় আছে?
বহ্নি : না নেই।
অর্নব : বল কি খাবি?
বহ্নি : তোমার কিছু সময়।
অর্নব : আমার সব সময়ই তোর।
২জন বসলো।
অর্নব : তোর বর তোকে আসতে দিলো আমার কাছে? না কি লুকিয়ে এসেছিস? ১মিনিট তুই ওই দহনকে ফেলে চলে আসিসনি তো? 😃।
বহ্নি : এতো উচ্ছাসিত হওয়ার কিছু নেই। আমি আমার দহনের অনুমতি নিয়েই এসেছি। ওকে ফেলেনা। আর ওকে ফেলে কেন আসবো? ওকে সেই কাজের শাস্তি কেন দিবো যে কাজটা ও করেইনি…
অর্নব : মানে…
বহ্নি : মানেটা কি খুব সহজ নয়? দহন যেকাজ করেছে সেটা করা ১জন মানুষ হিসেবে ওর কর্তব্য ছিলো। তাই ও করেছে। কারন ও জন ভালো মনের মানুষ।
অর্নব : তুই কি দহনের তারিফ করতে এখানে এসেছিস?
বহ্নি : না। এসেছি তোকে কিছু প্রশ্ন করতে…
অর্নব : কি প্রশ্ন?
বহ্নি : এটাই যে এই জঘন্য খেলাটা কেন খেললি?
অর্নব : অদ্ভুদ তো তোর বিচার। দোষ করলো তোর বর আর প্রশ্নবিদ্ধ করছিস আমাকে?
বহ্নি : হ্যা করছি। কারন এসবের পিছে তুমিই আছো।
অর্নব : আমি কেন করবো এমন কাজ?
বহ্নি : সেটা তুমিও জানো আর আমিও জানি। তুমি দহনকে আমার কাছে খারাপ করতে চেয়েছিলে। তুমি চেয়েছিলে যেন আমি দহনকে ছেরে দিয়ে তোমার কাছে আসি।
অর্নব : আমি এসবের আগা গোরা কিছুই জানিনা।
বহ্নি : যদি তুমি না করে থাকো তবে জানলে কি করে ঘটনাটা ? কার কাছে শুনলে তুমি? যশোরে তো সবমিলিয়ে ৫জন জানতো। আর যখন আমি রেস্টুরেন্টে শুনলাম তখন ধারেকাছেও কোথাও তুমি ছিলেনা। তাহলে তুমি কি করে জানলে পুরো ঘটনাটা।
অর্নব : যেভাবেই হোক জেনেছি… সেটা তোকে কেন বলবো?
বহ্নি : দেখো… বাবা আমার পুলিশ ছিলো। দহন আমার স্বামী। আর তার থেকেও বড় কথা… তোমাকে সেই ছোটবেলা থেকে চিনি। বেস্টফ্রেন্ড ছিলে তুমি আমার। তাই তোমার মুখ দেখে এতোটুকু বোঝার ক্ষমতা আছে যে তুমি মিথ্যা কথা বলছো…
অর্নব : হ্যা হ্যা বলছি মিথ্যা কথা। বেশ করেছি। আমার পক্ষে আর কোনোভাবেই দহনের সাথে তোকে মেনে নেয় সম্ভবনা। তোকে ছারা থাকা সম্ভবনা। যা করেছি বেশ করেছি। কতোবার তোকে ভালোভাবে বুঝিয়েছি। তুই বুঝিসনি । তাই বাধ্য হয়ে আমাকে এই খেলাটা খেলতে হয়েছিলো।
বহ্নি : কিন্তু আফসোস লাভ হলোনা। তোমার সাথে যা করার এখন দহন করবে। এখন দহনের রাগের আগুনে পুরে তুমি ছাই হবে না কি নিজে ভালো হয়ে যাবে সেটা তোমার ব্যাপার। তবে ১টা কথা মনে রেখো তুমি আজকে থেকে আমার কাছে চরম ঘৃণার পাত্র। দ্যাটস ইট । আল্লাগ যেন কখনো তোমাকে আমার সামনে না আনে।
বলেই বহ্নি চলে যেতে নিলো।
অর্নব : ওয়েট মিসেস দহন আহমেদ ওয়েট… খারাপ যখন হলামই… ঘৃণার যখন হলামই… তখন পুরোপুরিভাবেই তোমার সামনে আসি…
বহ্নি : মানে?
অর্নব : মানে টা এখনই ক্লিয়ার হবে। আমি পুলিশে জয়েন করিনি। আর অস্ত্রগুলোও সম্পুর্ন বেআইনী।
বহ্নি : তো এগুলো দিয়ে কি এখন আমাকে মেরে ফেলবে?
অর্নব : আহা আহা আহা… তোকে মারা তো দূরের কথা তোকে আচরও আমি দিতে চাইনা কারন তোকে আমি ভালোবাসি…
বহ্নি : …
অর্নব : তাই তোকে জানাতে চাই… আমার আরও ১টা রূপ আছে… সেটা হলো মাফিয়া রূপ।
বহ্নি খানিকটা অবাক হলো।
বহ্নি : মাফিয়া রূপ?
অর্নব : ইয়েস মাই জান… মাফিয়া রূপ। আমি মাফিয়া কিং ডেভিল….
বহ্নি : মাফিয়া কিং…
অর্নব : ইয়েস মাফিয়া কিং। আমার মাফিয়া নাম ডেভিল…
বহ্নি : ঘৃনার আরও ১টা কারন দিয়ে দিলে।
অর্নব : আসল কারন তো এখনও দেইই নি…
বহ্নি : আরও বাকি আছে?
অর্নব : হ্যা। তোর মা-বাবা-ভাই… ওদের ৩জনের মরে যাওয়ার জন্যও একমাত্র আমিই দায়ী… আমি গ্যাং ই তো তোর সব কেরে নিয়েছে…
বহ্নি বিশাল বড় ১টা ধাক্কা খেলো। কি বলছে কি অর্নব…
অর্নব : বিশ্বাস হচ্ছেনা তাইনা? বাট দ্যাটস ট্র্যু …
না বহ্নির পক্ষে আর রাগ দমিয়ে রাখা সম্ভবনা। বহ্নি অর্নবের কাছে গিয়ে ওর গলা চেপে ধরলো।
বহ্নি : তুই…. তুই আমার পরিবারকে শেষ করে ফেলেছিস….
অর্নব বহ্নির কাছ থেকে নিজেকে ছারিয়ে নিলো।
অর্নব : হ্যা আমি… এই আমি…
বহ্নি : তুই এতোটা স্বার্থপর… ছিঃ… আমার বাবা তোকে ছোট থেকে বড় করলো। নিজের সন্তানের মতো লালনপালন করলো তুই তাকে…
অর্নব : আরে রাখ তোর সন্তানের মতো লালনপালন… একে তো তোর বাবা-ভাই আমার ডানহাতকে ধরে নিয়েছিলো। আর তারথেকেও বড় কথা… আজকে আমার অনাথ হওয়ার পেছনে শুধুমাত্র তোর বাবা দায়ী…
বহ্নি : আমার বাবা?
অর্নব : হ্যা তোর বাবা… তোর বাবা খুন করেছিলো আমার বাবাকে…
বহ্নি : মিথ্যা বলছিস তুই…
অর্নব : না । আমি একদম সত্যিই বলছি। আমার বাবা বিদেশী দস্যুদের সাথে হাত মিলিয়েছিলো বলে তোর বাবা আমার বাবাকে মেরে দিয়েছিলো।
বহ্নি : তাহলে আমার বাবা নিঃস্বন্দেহে গর্বের কাজ করেছে। আমি গর্বিত আমার বাবার মেয়ে হয়ে। তোর বাবা যেমন ছিলো তুইও তেমনই হয়েছিস । ছিঃ…
অর্নব : খবরদার। খবরদার আমার বাবার নামে কোনো কথা বলবি না। কি ভুল করেছিলো হ্যা কি ভুল করেছিলো আমার বাবা? একটু ভালো থাকতে সবাই চায়… আমার বাবাও চেয়েছিলো… তোর বাবা তো কমিশনার হয়েও কোনো কিচ্ছুই করতে পারেনি। জাস্ট ওই ছোট ৩তলা বাড়ি ছারা কি করেছিলো তোর বাবা… নিজের ভালো সবাই বোঝে। পাগলেও বোঝে। তোর বাবা বোকা ছিলো। আমার বাবা না। তাই নিজের সুখের জন্য করতেই পারে এমন কিছু…. তাতে কি এমন দোষের ছিলো। বলতো।।।
বহ্নি : তোর মতো মানুষের সাথে আমার কোনো কথা নেই । আচ্ছা আমাকেও মেরে ফেললিনা কেন রে?
অর্নব : কারন তোকে #ভালোবেসে_ফেলেছি তাই…
বহ্নির চোখ দিয়ে পানি পরছে। খুব কান্না পাচ্ছে। সবথেকে ভরসার মানুষটা এমনটা করতে পারলো? না দহনই ঠিক বলে । নরম হয়ে কোনো কাজ করতে নেই। আর ও দহনের বউ। অর্নবকে উপযুক্ত জবাব ও দিবেই।
বহ্নি : তোর মতো অমানুষের সাথে তো আমি পেরে উঠবোনা… জানিনা এখান থেকে জীবীত ফিরতেও পারবো কিনা… যদি ফিরি তবে তোকে পুলিশে দিবো…
অর্নব : পুলিশ??? হাহাহা… ৬৫% প্রাশসন আমার হাতের মুঠোয়। কেউ আমায় কিছুই করতে পারবেনা। আসলে করবেই না। চেষ্টা করে দেখিস। আর কেউ তো জানেই না যে মাফিয়া কিং ডেভিল কে। তুই প্রথম যে জানতে পারলি। অর্নবের মাফিয়া মুখ যে হাতে গোনা কয়েকজন ছারা আর কেউ দেখেনি… আর তুই এখান থেকে অবশ্যই যাবি। তবে আমার কাছে ফেরার জন্য …
বহ্নি : আমার লাশও তোর কাছে ফিরবেনা।
অর্নব :ফিরতে হবে। হ্যা ফিরতে হবে। তোর প্রানের স্বামী আর শশুড়বাড়ির মানুষকে যদি বাচাতে চাস। তবে তুই ফিরবি…. দহনকে ছেরে আমার কাছে আসবি।
বহ্নি : অসম্ভব। কোনোদিনও না।
অর্নব : সম্ভব। আচ্ছা যা। ১দিনে বেশি প্রেসার দিবোনা। যা তুই বাসায় যা। তবে যা বললাম তা নিজের মধ্যেই রাখিস। দহন জানলে তেরে আসবে। থানা পুলিশ হবে। তোর দহন মরবে । আর তুই কষ্ট পাবি। তাই সেটা আপাদত চাইছিনা… ৭দিনপর তোর সাথে আমার জবাব জানাস। চল তোকে পৌছে দেই।
বহ্নি : আমি নিজেই যেতে পারবো।

.

দহন : কথা হলো তোমার এক্স বেস্টফ্রেন্ডের সাথে?
বহ্নি : হামমম।
দহন : উল্টাপাল্টা কিছু করেনিতো।
বহ্নি : না।
দহন : তোমার মুখচোখ এমন লাগছে কেন?
বহ্নি : কারন আজকে আমি জেনে গিয়েছি যে তুমিই ঠিক…
দহন : মানে?
বহ্নি : খুব সহজ। তুমিই ঠিক । তোমার কাজের ধরনই ঠিক। নরমভাবে কোনো কাজ করা ঠিক না।
দহন : কি হয়েছে বলো তো।।
বহ্নি : বলবো। এখনই বলবো। তার আগে আমি ১টা কথা বলতে চাই। সেটা খুব শীঘ্রই। বা হুক অর বাই ক্রুক।
দহন : হ্যা হবে… বেবিটা এসে নিক।।।
বহ্নি : না আমি এখনই হতে চাই।
দহন : আজব তো। তুমি এখন কিভাবে? আচ্ছা কি হয়েছে বলো তো…
বহ্নি : শোনো….

.

চলবে….