#ভিনদেশি_তারা
#পর্ব-১৭
#লেখনীতে-ইশরাত জাহান ফারিয়া
৪৯.
ডেভিলস গার্ডেনের ভিজিটর সেন্টার থেকে ১৫ মাইল উত্তরে পার্কের শেষ প্রান্তে রয়েছে ডেভিলস গার্ডেনের ট্রেল হেডটি। আরও আছে ক্যাম্পগ্রাউণ্ড, অ্যাম্ফিথিয়েটারও। সেই সঙ্গে দেড়শো পার্কিংলট। সব মিলিয়ে সাত রকমের আর্চ দেখা যায়। ল্যান্ডস্কেপ, টানেল, পাইন ট্রি, পার্টিশন, নাবাহ, ডাবল এবং ডার্ক এঞ্জেল। সেই সঙ্গে রয়েছে রঙের খেলা! সাদাটে, কমলা রাঙা তবে বেশিরভাগই শিলার গায়ে লাল আভা! কত সুন্দর সবকিছু।
আমি ক্লেভকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কি রেগে আছো?’
‘ জানিনা!’ কাঠ কাঠ গলায় বললো ক্লেভ।
‘ ওহহ!’
‘ হুম।’
‘ তুমি এখানে আগেও এসেছো?’
‘ হুম। তখন সাথে ডোনা ছিলো!’
আমি চমকে বললাম, ‘কেন?’
‘ আমিই নিয়ে এসেছিলাম, তখন সবেমাত্র ওর সাথে আমার পরিচয়। দুজনে লস অ্যাঞ্জেলস ঘুরেছিলাম। রকি বীচের নাম শুনেছো?’
‘ হুম!’
‘ রকি বীচ, হলিউড পুরো শহর সাইকেলে করে ঘুরেছিলাম। প্রশান্ত মহাসাগরে ফিশিং, সমুদ্রের তীরে রাতে বার্বিকিউ করেছিলাম।’
আমার তখন খুব কষ্ট হতে লাগলো। যতই হোক, আমার এসব সহ্য হচ্ছেনা। কিন্তু ক্লেভকেও না বলতে পারছিনা। ও বলেই চলেছে হাসিমুখে।
‘ জানো, সমুদ্রের বালিতে দুজনে কত গড়াগড়ি খেয়েছি। মাই গড!’
‘ আর কি করেছো?’
‘ আর? আর অনেক ছবি তুলেছি।’
‘ আর কিছু?’
‘ হুম। তখন সবেমাত্র এডাল্ট হয়েছি আমরা। মুক্ত পাখি, যা খুশি করা যায়। যেখানে ইচ্ছে যাওয়া যায়। কেউ কতৃত্ব ফলাতে পারবেনা। আমরা চুমুও খেয়েছিলাম। নিতান্তই আবেগের বশে। হা হা!’
আমার মুখে কালো রঙের মেঘেরা উঁকি দিলো। জেনিফার বললো, ‘কি হলো তোমার?’
আমি সরে গিয়ে বললাম, ‘কিছুনা।’
বলে সামনে পা বাড়ালাম। বিষন্ন মনে চারপাশের প্রকৃতি দেখছি। ক্লেভকে দেখে মনে হচ্ছে ও বেশ খুশি। এতোক্ষণ ভাব দেখে মনে হয়েছিলো বুঝি মন খারাপ। যাইহোক, তাতে আমার কি! এক্স গার্লফ্রেন্ডের সাথে কাটানো রোমাঞ্চকর কিছু মুহূর্ত
মনে পড়লে বেচারার তো খুশিই হবার কথা।
গোটা ডেভিলস গার্ডেন জুড়ে রয়েছে নানা উচ্চতার হুডুজ, বোল্ডার, সারি সারি মনোলিথ,শিলাগাত্রে গড়ে ওঠা বিভিন্ন মাপের ফটক এবং দলবেঁধে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মন্দিরের চূড়ার মতো শিলাস্তম্ভ। পার্কটি লবণভূমির উপরে গড়ে উঠেছে বলে শিলার গঠন এমন। ট্রেল হেড থেকে গেলাম ল্যান্ডস্কেপ আর্চে।লাল পাথরের অদ্ভুত ভূমি। চারদিকে শুধু জংলিফুলের গাছ এবং ঘাস। সেগুলোতে ফুটে আছে বাহারি রঙের ছোট ছোট ফুল। চোখ ধাঁধিয়ে যায়। সেসবের মাঝে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে ল্যান্ডস্কেপ আর্চ! আমাদের ডেভিলস গার্ডেনের মূল আকর্ষণ।
৫০.
ফিরে আসার পথে দেখলাম আকাশ অলৌকিক লাল। তারপর আকাশের লালচে আভা ক্রমশ হালকা থেকে ঘন হয়ে উঠল। ধীরে ধীরে ঘন নীলে পরিণত হলো। আশ্চর্য সুন্দর! জেনিফার বললো, ‘কটা বাজে?’
‘ সাতটা!’ ক্লেভ জানালো।
‘মাত্র? আকাশ এতো পরিষ্কার কেন? মনে হচ্ছে এখনো সন্ধ্যাই হয়নি।’
‘জানিনা। হোটেলে ফিরতে সময় লাগবে।’
আর কেউকিছু বললো না। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলাম। গোধূলির আকাশের মতো সন্ধ্যার আকাশ। রাস্তার দুপাশে সিডার আর পাইনের সারি। ঝাকড়া শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কিছু বন্য গাছ। পরিষ্কার রাস্তা ধরে ছত্রিশ মাইল বেগে চলছে আমাদের গাড়ি। তখন ঝুপ করে নামলো অন্ধকার। উইন্ডব্রেকারে শীত মানছেনা। কেঁপে উঠছি আমি। খোঁপা খুলে চুল গড়িয়ে পড়লো পিঠজুড়ে। খেলতে লাগলো ইচ্ছেমতো!
চাঁদ উঠেছে আকাশে। পাহাড়ি রাস্তা ধরে এগুচ্ছে গাড়ি। কোটি কোটি তারায় ভরা আকাশ। আশ্চর্য! এতো তারা উঠলো কখন খেয়ালই করিনি। ক্লেভ অতি উৎসাহ দেখালো। চেঁচিয়ে বললো, ‘জেনি, চিট দেখো আকাশভরা তারা! সো বিউটিফুল! ‘
জেনিফার বললো, ‘ক্যামেরা দাও। ক্লিক করে কয়েকটা ফটো তুলে নিই।’
ক্লেভ ড্রাইভ করছে। পাশে আমি বসা। তাই ওর ক্যামেরাটা আমিই দিয়ে দিলাম জেনিফারের হাতে। জেনিফার পটাপট কয়েকটা ছবি তুলে নিলো। জেনিফার আনন্দিত গলায় ছবিগুলো দেখাতে লাগলো। আমিও অতি আনন্দে ওর সাথে যোগ দিয়ে পাগলের মতো ক্যামেরা নিয়ে কাড়াকাড়ি করছি। কে কার আগে ছবিগুলো দেখবে। জিতলো জেনিফারই। মনোযোগ দিয়ে ছবি দেখতে লাগলো। ক্লেভ বললো, ‘একটা জিনিস দেখবে চিট?’
গোমড়ামুখে বললাম, ‘কী?’
‘ বাইরে তাকাও! দুটো বড় তারা দেখা যাচ্ছে কি?”
‘ ওই দুটো তারার কথা বলছো?’
‘না?’
‘ তাহলে?’
‘ বড় দুটো তারা। যেগুলো পাশাপাশি স্থির হয়ে বসে আছে সেগুলোর কথা বলছি।’
আমি দেখতে পেলাম। বললাম, ‘হুম!’
‘ ওটা বৃহস্পতি গ্রহ। যেটা স্থির হয়ে আছে।’
‘ কে বললো?’
‘ আমি জানি।’
‘ আমাকে বোকা বানাচ্ছো? তাইনা!’
‘ বিলিভ না হলে স্কাইম্যাপে দেখে নাও।’
ক্লেভ মোবাইল স্ক্রল করে স্কাইম্যাপ চালালো। আমাকে দেখালো। হ্যাঁ এটা বৃহস্পতি গ্রহই। বড়, কিন্তু টিমটিম করে জ্বলছে। আমি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
৫১.
গাড়ির হেডলাইট এসে পড়ছে পাহাড়ের গায়ে গায়ে। ক্লেভ বললো, ‘একটা কথা কি জানো চিট! এই বৃহস্পতি গ্রহকে তুমি মনে হয়। হা হা।’
আমি গোলগাল চোখ করে বললাম, ‘মানে?’
‘ মানে এই তারাটা তুমি। আর পাশেরটা আমি। মজার না?’
জেনিফার ফোঁড়ন কেটে বললো, ‘আমি কোনটা তাহলে? আমি কি কেউনা?’
‘ তুমি আমাদের মাঝে থেকে কি করবে জেনি?’
‘ ক্লেভ!’
‘ জেনি তুমি ইচ্ছে হলে অন্য কোনো তারাকে বেছে নাও আমাদের মাঝে এসোনা, ওকে?’ বলে হাসলো ক্লেভ।’
আমি আড়চোখে ক্লেভকে দেখলাম। মনে হচ্ছে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এক্ষুনি মরে যাবো। আমার মতো ক্লেভও ভাবে আমি তারা, আর পাশেরটা ও। ভাবনায় এতো মিল! ক্লেভ বললো, ‘কী ভাবছো মিস চিট…রা?’
‘ কিছুনা।’
‘ চমকিয়েছো, তাইনা?’
‘ চকমকানো মতো কিছু হলো নাকি? তুমি তোমার
ডোনাকে গিয়ে চমকাও, কাজ হবে।’
ক্লেভ হেসে বললো, ‘সে ম্যারিড। তাহলে তুমি ছাড়া আর কাকে চমকে দিবো, বলো! জানোই তো তুমি স্পেশাল।’
‘ স্পেশাল না ছাই!’
‘ ছাই কে জানো? ছাই হলো ওই নিঝজ্জুম!’ রেগে বললো ক্লেভ।
আমি বললাম, ‘সে হীরা। বুঝলে?’
আমি ভ্রু কুটি করে দাঁত চেপে বললো, ‘চুপ। একদম ওর নামে প্রশংসা করোনা। একটা হারা..লজাদা লোক!’
আমি হেসে দিলাম। আমাকে চমকে দিয়ে ক্লেভ বলে উঠলো, ‘হে..হ..চো ন না চিট!’
আমি লাফিয়ে উঠলাম। ‘কি বললে?’
ও টেনে টেনে বলার চেষ্টা করলো, ‘হে হেচো.. ননা!’
‘ ও আল্লাহ! তুমি বাংলা শিখলে কোথায়?’ আমার অবাক প্রশ্ন।
জেনিফারও অবাক। ক্লেভ বললো, ‘সারপ্রাইজ।’
‘ কীসের সারপ্রাইজ?’ বললো জেনিফার।
‘ ব্যাঙলা শি.খচি!’
আমি ওর বাংলা বলার ধরণ দেখে হাসতে লাগলাম। বললো, ‘ আ্যামি ইকটু শি..খচি ব্যাঙলা।’
‘ কেন?’ বললাম আমি।
‘ টোম..মার সাটে কত্থা বল..টে।
‘ তোমাকে অদ্ভুত লাগছে ক্লেভ। তুমি “ত” কে “ট” উচ্চারণ করছো। তোমার মুখে আসছেনা শব্দটা। ইংরেজি বলো প্লিজ।’
‘ আচ্ছা। আমি এখনো ভালো শিখিনি।’
‘ কে শিখালো তোমাকে?’
‘ নেট দেখে। তারপর একটা কফিশপে ব্যাঙলাদেসের একটা ওয়েটারের সাথে দেখা হয়। ও একটু একটু শিখিয়েছে।’
‘ আমাদের বলোনি কেন? আমি শিখাতে পারতাম।’
‘ সারপ্রাইজ! তোমাদের দেশে যাবো আমি।’
‘ কেন যাবে?’
‘ সিক্রেট।’
‘ ওখানে গিয়ে কোথায় থাকবে?’
‘ তোমার বাড়িতে! তুমি আর ক’দিন আছো এখানে? বেশিদিন নেই আমি জানি।’
আমি আর কিছু বললাম না। চুপ হয়ে বসে রইলাম। ক্লেভ যদি আমাদের বাসায় যায় তাহলে অন্য ধর্মের লোক বলে আব্বু কি তাড়িয়ে দিবে? নিশ্চয়ই না। মেয়ের বন্ধু হিসেবে থাকতেই পারে। আমার ওতো আর বেশিদিন এখানে নেই। সেমিস্টার প্রায় শেষ দিকে। এবার দেশে গিয়ে একটা চাকরি পেলেই হলো। এতোটা দিন এখানে কাটিয়ে দিলাম, দেশে গেলে নিশ্চয়ই ওদের খুব মিস করবো! মিস করবো ভার্জিনিয়ার প্রতিটি রাস্তাঘাট, ভার্সিটির ল্যাব, ক্লাসরুম, মাঠ। আমার ঘর, ব্যলকুনি, ফাস্টফুড সব মিস করবো। লাইব্রেরি, কফিশপ সবখানে আমার এক আধটু অস্তিত্ব আছে। সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে কিছুদিন পর। আহ, জীবন! অবশ্য আমি চাইলে আবার এখানে আসতে পারবো। মারোলা’র আব্বা সেই ব্যবস্থাও করে রেখেছেন। এসব ভাবতে ভাবতে চলে এলাম হোটেলে।
হোটেলের বাগানটা বেশ বড়। সেখানে টিউলিপস, ড্যাফোডিলস, হায়াসিন্থস, পার্পল মিল্ক উইড আর চন্দ্রমল্লিকার গাছ লাগানো। পাশেই বড় একটা পার্ক। সেখানে লম্বা সারি সারি করে লাগানো ম্যাপল ট্রি। পাতাগুলো হলদে-লাল হয়ে আগুনের মতো দেখায় দিনে। রাতের বেলা অন্যরকম। ডিনার সেরে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিলাম। জেনিফার ক্লান্ত দেহ নিয়ে আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু আমার ঘুম আসছেনা।
৫২.
লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ফিরে এসে চারদিন জ্বরে ভুগলাম। ফ্লোরিডা থেকে মারোলাও ফিরেছে। নিঝুমের ফোন এলো সেদিন রাতে। রিসিভ করতেই বললো, ‘শান্তি? ঘুরাঘুরি করে?’
‘ ফোন কেন করেছেন?’
‘ তোমার যাওয়ার দিন তো প্রায় এসেই পড়েছে!’ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো।
‘ সেটা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবেনা।’
‘ ভাববে কি অন্যকেউ?’
‘ সেটা আমি কি জানি।’
‘ তুমিই তো জানো। তুমি কি বাচ্চা নাকি? তোমার এডওয়ার্ড যে তোমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে তার খোঁজ কি রাখো?’
আমি চমকে উঠলাম। তারপর রেগে বললাম, ‘আবোলতাবোল কথা বন্ধ করেন।’
‘ বিশ্বাস করলেনা?’
‘ না।’
নিঝুম চিৎকার করে রাগী সুরে বলতে লাগলো, ‘তাহলে শুনো। আমি গিয়েছিলাম ওই বান্দরকে থ্রেট দিতে। সে উল্টো আমায় থ্রেট দিলো আর মেরেধরে আমাকে বের করে দিলো। পুলিশের কাছে জানালাম, পুলিশ এলো তাকে গ্রেফতার করতে কিন্তু সে উল্টো আমাকেই ফাঁসিয়ে দিলো। বললো, আমি নাকি “গে”, তার সাথে খারাপ কাজ করতে গিয়েছি। কি জানি পুলিশকে কি দেখালো আর তা বিশ্বাস করে পুলিশ আমাকেই ধরতে এলো আর ওই সাদা বান্দর আমাকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচালো। এরপর বললো, ‘চিট আমার, ওকে পছন্দ করি। তাই তুই ওর থেকে দূরে থাক। নাহলে মুরগীর খোঁয়াড়ে ঢুকিয়ে মুরগী বানিয়ে রাখবো।’
নিঝুমের এই কথা শুনে যতটা না অবাক হয়েছি তার চেয়ে বেশি হাসতে হাসতে আমি কাঁপতে লাগলাম। আমি বললাম,’নিঝুম সাহেব, আমেরিকার মাটিতে আপনার মতো বাঙাল মাফিয়ার কোনো দাম নেই। এখানে ওরাই সব। আর ক্লেভ কিন্তু ভিষণ রাগী। তাই ওকে না রাগিয়ে ভালোয় ভালোয় মারোলাকে একসেপ্ট করে শান্তিতে বসবাস করুন আর আমাকে একা ছেড়ে দিন।’
‘ মারোলা মানে তোমার সাথের মেয়েটা?’
‘ জ্বি। জানেনই তো আপনার প্রতি কতোটা দুর্বল। ওর বাবাও মেয়ের পছন্দে রাজি। এবার শুভ কাজটা সেরে ফেলুন…!’
বলতে দেরি কিন্তু নিঝুমের ধমক দিতে দেরি নেই।
‘ ভেবে দেখিয়েন। আমাকে কোনো জীবনেই পাবেন না। অন্তত মেয়েটাকে কষ্ট দিয়েন না, সে আপনাকে খুবই পছন্দ করে।’
সাথে সাথে ফোন কেটে দিলো। বেচারা বড়সড় শক খেয়েছে। আমি হাসতে লাগলাম। পরক্ষণেই ক্লেভকে ফোন দিলাম। পাঁচবার রিঙ হবার পর ও রিসিভ করলো এবং আমি কিছু বলার আগেই আধো আধো বাংলায় গাইতে লাগলো,
“অ্যামি চিনি গো চিনি টোমারে ও গ গো বি..দেসি.নী।
টুমি টাকো চি..ন্ধু পা.পা..রে ওওগো বি.দেসিনী।
টোমায় দেকেচি শাররদপ্রাটে..টোমায় দেকেচি মাধু..বী রাটে!
টোমায় দেকেচি হৃথ -মাঝারে ওও.গো বিদেসি..নী।
অ্যামি আ আকাশে পাটিয়া কান শুননেচি, শুননেচি টোমারি গাআআন।
অ্যামি টো.মারে সঁফেচি প্রাআণ ওওওগো বিদেসি.নী।
ভুওওবন ভ্রমিয়াআ সেষে অ্যামি এসেচি নূতন দেসে!
অ্যামি অটিথি টোমারি দ্বারেরে ওওওগো বিদেসিনী।”
আমি হা করে গেলাম। এই ছেলে এই গান কিভাবে মুখস্থ করলো? তাও রবিঠাকুরের গান। আমিই আজ পর্যন্ত দুইলাইন মুখস্ত করতে পারিনি। ক্লেভ বললো, ‘কেমন হলো চিট? আমি ভালো গাইতে পারিনা।’
‘ কে শিখালো?’
‘ ওই ওয়েটারটা। আচ্ছা আজ দেখা করবো, এসো।’
‘ কেন?’
‘ সারপ্রাইজ।’
‘ এতো সারপ্রাইজ একসাথে পেলে আমি আর বাঁচবোনা ক্লেভ।’
ও বললো, ‘ আসতেই হবে।’ ফোন রেখে দিলো। যাহ! আসল কথাই বলতে পারিনাই। ধুর! নিঝুমের ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করা উচিৎ ছিলো। সত্যিই কি নিঝুমকে ও এভাবে নাকানিচুবানি খাইয়েছে? ভালোই হয়। হা হা!
চলবে…ইনশাআল্লাহ! ভুল ত্রুটি মাফ করবেন। তথ্য কালেক্টেড