ভুলে যেতে ভালোবাসিনি শেষ পর্ব

0
4160

ভুলে যেতে ভালোবাসিনি।
শেষ পর্ব
রোকসানা আক্তার

নীর চোখদুটো বড় করে নাতাশার দিকে তাঁকায়।নাতাশা অপরাধী ভঙ্গিতে দাড়িয়ে থাকে।নীর ভ্রু কুঁচকে বলে,
-ব্যাপার কি?এমনটা হলো কেন?আমাকে কি তোমার ভালো লাগে নি!
নাতাশা তার ঠোঁট দুটো নীরের দিকে বাড়িয়ে দেয়।
-এই দেখুন ত ঠোঁটের কি অবস্থা করেছেন?লিপিস্টিক সবতো খেয়েই ফেললেন।আমি কতটা সময় নিয়ে সাজুগুজু করলাম।
বলেই অভিমানী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে নাতাশা যাতে নীর তার উপর কোনো অভিযোগ দাঁড় না করায়।যদি রেগে বসে তাহলে নাতাশা ত শেষ!নীরের টেম্পারেচার বেড়ে গেলে কুল করা কষ্ট হয়ে যায়।তা নাতাশা ভালো করেই জানে।।
নীর নাতাশার দিকে ফকফক চোখে তাকিয়ে কপালের ভ্রু দু’টো উঁচায়।নীর কোনোরকম শব্দ তুলছে না।।আর নাতাশার কান্না চলতেই থাকে,কোনোমতে থামছে না।নাতাশা বিরক্তি লেগে যায়। কান্নামুখে চোখের পাতা ছোট করে লুকিয়ে নীরের দিকে তাকায়।নীর হাতদুটো ভাঁজ করে নাতাশার দিকে এখনো তাকিয়ে আছ,যেন কান্না দেখা তার জন্যে এখন সিনেমা। নাতাশা দাঁত কটমটিয়ে মনে মনে বলে,
-উফস আর কতক্ষণ মিথ্যা কান্না করাবি রে ভাই।একটু থামতে ত বল।বুকটা ভার হয়ে হাঁপিয়ে যাচ্ছি।কষ্টটা ত বুঝবি আমার।হাদারাম কোথাকার।

নীর এবার নড়েচড়ে দাঁড়ায়। গলার হাঁক ছেড়ে বলে,
-কান্না টা এখন অফ করা যায় না?ছোট বাচ্চাদের মতো ভ্যাঁ ভো করলে ফিডার নিয়ে আসবো।তারপর দেখা যাক কান্না থামানো যায় কি না।
নীরের কথায় নাতাশা ভ্যাবাছ্যাকা খেয়ে যায়।আর লজ্জ্বায় বিড়ালের মতো লেঁজ গুটানো অবস্থা হয়ে যায়।মুহূর্তে সে কান্না থামিয়ে দেয়।তারপর পেছন দিক ফিরে বাথরুমের দিকে পা বাড়ায়।
নীর তূরী বাঁজিয়ে পেছন থেকে বলে উঠে,
-আরেহ কোথায় যাচ্ছ দাড়াও না একটু?
নাতাশা থেমে যায়।নীর কাছে এসে নাতাশার সামনে দাড়ায়।মুখে শতানী হাসি টেনে বলে,
-তোমার ড্রামাটা আমার মনে ধরেছে।ভালোই অভিনয় করতে জানো।বায় দ্য ওয়ে,লিপিস্টিক নাহয় খেয়ে ফেললাম।তাই বলে এরকম আদর করার অধিকার কি আমার নেই?নাকি তুমি চাচ্ছ না।
নাতাশা নীরের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে।নীর কথা শেষ করে নাতাশার চোখে চোখ রাখে।নীর ধ্যানে চলে যায়,আবার বলে,
-হারিয়েছি তোমার ওই দুটো ডাগর চোখে।দেখতে মন চায় মনভরে,তবুও মন ভরে না।।
নাতাশা লজ্জায় হেসে ফেলে।তড়িঘড়ি নীরকে ইগনোর করে চলে আসতেই নীর পেছন থেকে হাতটা ধরে ফেলে।
-আহা,আবার?
-হু।ভালোবাসায় এখনো মন ভরে নি।আরেকটু ভালোবাসবো।প্লিজজজ?
-কিন্তু দেখতেই পাচ্ছেন আমি সাজুগুজু করা।সাজটা নষ্ট হয়ে যাবে আবার
-নো প্রবলেম।আমি ঠিক করে দিব পরে।
বলেই নাতাশাকে আবার জড়িয়ে নেয় দুই বাহু ডোরে।নাতাশা বুঝতে পারছে না নীরের আজ হলোটা কি।ও আজ কেন এত পাগলামী করছে।নীর কিছুক্ষণ অব্দি নাতাশাকে বুকে জড়িয়ে রাখে।তারপর ছেড়ে দেয়।আর টুকটুক করে বলে,
-এখন ছেড়ে দিলাম।রাতের জন্যে ক্ষমা নেই।যাও লেট হয়ে যাচ্ছে আবার।আমি একটু মায়ের সাথে দেখা করে আসি।
কথা শেষ করে নীর তড়িঘড়ি দরজা ঠেলে বাইরে চলে যায়।নাতাশার বেখেয়ালি একটা হাসি আসে।মাথা নেড়ে বলে,
-পাগল একটা!

তারপর নাতাশা বাথরুমে গিয়ে ঠোঁট ধুঁয়ে নেয়।আয়নার সামনে এসে আবার গাঢ় খয়েরী লিপিস্টিক লাগাতে থাকে।নীর এরইমধ্যে চলে এসে বাথরুমে ঢুকে যায়।বাথরুম থেকে টাওয়াল পড়ে বের হয়।কাবাবে গিয়ে ড্রেস গুলো বের করে নেয়।নাতাশার পরিপাটি সম্পূর্ণ হলে মাথা ঘুরে পেছমে তাকায়।দেখে নীর রেডি।সে স্কিন জিন্স পড়েছে,আর ব্লাক টি-গেন্জি।বশ লাগছে নীরকে।নাতাশা তা দেখে ঠোঁটের কোণে হাসি আনার চেষ্টা করে।নীর গলা ঝেড়ে নাতাশাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-এভাবে তাকাবে না।তোমার মতো ত আর আমায় সুন্দর দেখাচ্ছে না।
নাতাশা খিলখিল হেসে দেয়।হাসতে হাসতে বলে,
-আমার স্বামী আমার কাছে রাজপুত্র।
নাতাশার কথায় নীরও ভ্রু নাচিয়ে হাসতে থাকে।তারপর দুজন একসাথে গাড়ির দিকে রওনা করে।
নীর ড্রাইভিং সিটে বসেই শিষ বাজাতে বাজাতে লুকিং গ্লাস সামনে এনে দেয়,আর মাথার চুল ঠিক করতে থাকে।নাতাশার তা দেখে পিওি জ্বলে উঠে।মনে মনে ভাবে,কি আবার ঢং রে!সামনে বউকে রেখে আবার স্টাইল মারায়!যেমন ভাব নিচ্ছে যেন কোনো মেয়ের সাথে দেখা করার জন্যো রেডি হচ্ছে।ঢং যত্তসব।
নাতাশা এবার গলা ছেড়ে বলে,
-আচ্ছা এখন সাজটা রাখা যায়না?আমাদের ত দেরী হয়ে যাচ্ছে।
-হুমম,চলো

গাড়ি চলতে থাকে।মাঝে মাঝে জেমে আবার আটকে বসে।অনেক জায়-ঝামেলা সহে গাড়িটা একটা রেস্টুরেন্টের সামনে থামে।নাতাশা হতভম্ব রেস্টুরেন্টের দিকে তাকায়।কারণ,কিছুক্ষণ আগেই ত তারা খেয়ে বের হলো এখন আবার রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কি এমন প্রয়োজন।
নাতাশা নীরকে শব্দ তুলে বলে,
-আচ্ছা আমরা রেস্টুরেন্টের দিকে যাচ্ছি কেন?
-কথা বলো না।আগে ঢুকি তারপর দেখবে।ওকে?
নাতাশা মাথা নাড়ে।দুজন রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই অনেকে আওয়াজ তুলে চিল্লাপাল্লা করতে থাকে।কেউ কেউ বলে উঠে,
-ওইযে ওইযে নীর চলে এসেছে।তোদের আর লুকোচুরি খেলা লাগবে না।
একটা ছেলে সায় দিয়ে নীরের দিকে এগিয়ে যায়।আর বলে,
-ভাই তোর এখন আসার কথা ছিল?বললি ত ৪ টার দিকে পৌঁছে যাবি।আর দেখতো এখন কয়টা বাঁজে?
নীর ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে পাঁচটা প্রায়ই ছুই ছুই।নাজেহাল হয়ে বলে,
-উফস, দোস্ত। আই’ম স্যরি।মাথায় ছিল না।
কোথায় থেকে অয়ন এসে ভ্রু নাচিয়ে বলে,
-থাকবে টা কেমনে শুনি?
নাতাশা অবাক হয়ে অয়নের দিকে তাকায়।এ তো সে যে ওইদিন ওদের বাড়ি গিয়েছিল।নাতাশা অবাক হয়।কারণ পুরো রেস্টুরেন্ট জুড়ে এতগুলা মানুষের মেলা এবং তারউপর রেস্টুরেন্টটা জাঁকজমকপূর্ণ প্যান্ডেল,বেলুন,ফিতা,মরিচ বাতিতে ভরপুর।দেখলেই গায়ের লোম খাড়া হওয়ার উপক্রম,এতটাই সুন্দর কোনো সাজানো হয়েছে। দেখে।তাছাড়া,এখানে ছেলে এবং মেয়েরা এমনভাবে সাজুগুজু করছে যেন তারা কাঁপল,চোখ সরানোর মতো নয়।নীরকে নাতাশার খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয় এসবের কারণটা কি!

নীর সবাইকে থামিয়ে দেয়।
-এটেনশন গায়েস,ডু ইউ হিয়ার মি অল?
সবাই মনোযোগ সহকারে একজোটে বলে উঠে,
-ইয়েস নীর।ইউ ক্যান সে।
-গায়েস,তোমাদের জন্যে আজ আমার পক্ষ থেকে একটা সারপ্রাইজ আছে এবং সাথে ট্রিট।
সবাই ট্রিটের কথা শুনে খুশি হয়ে ধুকধুকি বাজায়।অয়ন পাশ থেকে বলে উঠে,
-আমি জানি সেটা কি।আমি ছাড়া হয়তো কেউ জানে না।
নীরের আরেক বন্ধু আবার বলে উঠে,
-জানলে ত ভালো।এত বকবকাস ক্যা?আগে শুনতে তো দিবি হ্লা!?
-No quarrel with each other.আগে আমায় শেষ করতে দে।(নীর)
-ওকে দোস্ত স্যা স্যা।
নীর গলাটা ঝেড়ে পরিষ্কার করে নেয়।নাতাশা টানটান চোখে নীরের ভাবভঙ্গির দিকে তাকিয়ে আছে।নীর বলে,
-তোরা ত সবাই আমায় ভালো করে জানিস,বুঝিস, চিনিস আমি কেমন।তবে কি জানিস?আজ এই সবটুকু জানার মাঝেও কিছু অজানা জিনিস জানবি!?
সবাই ভ্যাবাছ্যাকা খেয়ে একে-অপরের দিকেে চাওয়াচাওয়ি করে।পরম আগ্রহের সাথে বলে,
-অবশ্যই।
-তোরা হয়তো জানিস না এই নীর এখন আর তোদের আগের নীর নয়।তোদের উগ্রমনের নীর আজ অতি সাধারণ একজন।যে নীর মেয়েদের দেখলে নাক উঁচিয়ে কথা বলতো,তাচ্ছিল্যতা ভরে মেয়েদের বেটে,কালো,গ্রাম্য বলে হেয় করতো,মানুষদের কখনো মানুষ মনে হত না,নিজেই নিজের অহংকার এবং দাম্ভিকতা নিয়ে পথ চলতো আজ সে নীর কাতর হৃদয়ে তোদের সামনে বলছে–এসব অন্যায়,পাপাচার,ভুল,অনৈতিক,মূল্যবোধ হীন মনোভাব।

বলতে বলতে নীরের চোখ দিয়ে পানি চলে আসে।নাতাশা সেই পানির কণার অনুভূতি অধীর মনে অনুভব করে।নীর স্বাভাবিক হয়ে আবার বলে,
-জীবনে এধরনের মানসিকতা রাখতে নেই।পৃথিবীতে মানুষই মানুষের পরিচয়।টাকা-পয়সা,খ্যাতি,অহংকার মানুষদের সুখ এনে দিতে পারে না।সুখের জন্যে দরকার একফালি সুক্ষ্ম অনুভূতি।যে অনুভূতিতে হৃদয়ের কথা মনভরে শোনা যায়।পাশে থাকা প্রিয় মানুষটি সেই কথার পাল তুলে।আর ভালোবাসে চিরজীবন।ভালোবাসা দিয়েই সব পাওয়া সম্ভব যদি তোমার থাকে একটি সুন্দর মন।আমার সুন্দর মন ছিল না,তবে এখনো জানি না সুন্দরমনের মানুষ হওয়ার যোগ্যতা কতটা টুকু অর্জন করেছি।তবে যা পেয়েছি তার সম্পূর্ণ টাই—-এইযে আমার পাশে দাড়িয়ে আছে না?এই মেয়েটি তার একমাএ অবদান!

নীরের ইঙ্গিতে সবাই উৎফুল্ল মনে নাতাশার দিকে তাকায়।ছলছল চোখ করে নাতাশাকে দেখতে থাকে।তবে প্রশ্ন পাশের এই মানবটি কে?যাকে নিয়ে নীরের এত গর্ব।কি হয় এই নীরের?

সবার মাঝে ডলিও ছিল।সে জোড়কন্ঠে বলে,
-এ কে নীর?
-ও আমার স্ত্রী ডলি!
নাতাশার অতিসুখে চোখে পানি চলে আসার উপক্রম।
নীর যে নাতাশাকে সত্যিই ভালোবাসে আজ তার পরিক্ষার ফলন!নাতাশা নিজেকে সামলাতে কষ্ট হয়ে যায়।মন চায় এই মানুষটির বুকে এখনই মাথা রেখে বুক খুলে নিঃশ্বাস নিতে।নাতাশা জীবনে সঠিক মানুষটিকেই নির্বাচন করেছে।রেস্টুরেন্টের সবার মাঝল গুঞ্জন চলে আসে নাতাশা যে নীরের স্ত্রী!সবাই হাসিমুখ করে হাতের তালি বাজাতে থাকে।একজন খুশীতে আটখান হয়ে বলে,
-দোস তুই বিয়ে করলি এই পরীটিকে আমরাই জানলাম না!
ডলি নীরের কথায় অবাকের চরম পর্যায়ে।কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে,
-কি সত্যিই তুই বিয়ে করেছিস?
-ইয়েস,ডলি।আমি তোকে ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছিলাম। কেন জানিস?এই মানবী টির জন্যে!মাফ করে দিস।
ডলি মনে মনে কষ্ট পেলেও নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।আসলে নীরের বর্ণনাুযায়ী ডলি নাতাশার কোনো দিক দিয়েই যোগ্য নয়।
-নো প্রবলেম নীর।উই’র প্রাউড অব ইউ।তুই এইরকম জীবন সঙ্গী পেয়েছিস।দোয়া করি জীবনে অনেক হ্যাপী হ।

নীর মুঁচকি হাসে।তারপর সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-তোদের সবার আর কিছু জানার অথবা বলার আছে?
-অনেক কিছু জানার আছে।তবে অব্যক্তই সেই প্রশ্ন থেকে যায় মুখ দিয়ে বলার মতো ভাষা নেই।(রুদ্র)

নীর আবার হাসে।দম ছাড়ে।বলে,
-ওর পরিচয় জানতে চাচ্ছিস সেটাই ত?
-হুম।
-ওর নাম নাতাশা।মফস্বলে বাড়ি।গ্রামে ধার্মিক পরিবারের মেয়ে ও।এবার অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা দেবে।
-দোস্ত বিয়েতে যে আমায় দাওয়াত দিলি না?(রুদ্র )
অয়ন খ্যাঁক খ্যাঁক করে হাসে।আর গা ঘেঁষে বলে,
-আরেহ রুদ্র তোদের আর দাওয়াত!আমি ন্যাংটা কালের বন্ধ হয়ে আমাকেই দাওয়াত দিল না আবার তোদের!.
অয়নের মুখে” ন্যাংটা”-শব্দ শুনে সবাই আরো বেশি হাসে।ডরিমা বলে,
-এতশত বাদ দে ত সবাই।আগে এনজয় করি।আমরা নীরের এই সুখের মুহূর্তকে আরো দ্বিগুণ করতে চল সবাই কাঁপল নাচ দিই।
-হু,কোকোলা দিয়ে ড্রিংক পার্টি করি,যেহেতু উই আর পিউর।(রুদ্র)
তারপর সবাই কোকোলা হাতে নিয়ে সবগুলো গ্লাস এক করে।নাতাশা যদিও প্রথমে রাজি হয়নি।পরে নীরকে সম্মতি দিয়ে রাজি হয়।চ্যাস চ্যাস বলে সবাই গদগদ গলায় কোকোলা শেষ করে।
শুরু হয় ব্যান্ড!গান চলতে থাকে।আর কাঁপলরা যে যার সাথে চলে যায় ডান্স করতে।অয়ন সিঙ্গেল।চারপাশ তাকিয়ে মনটা বেজার করে ফেলে।নাতাশাকে বলে,
-ভাবী?যদি রুব্বানকে নিয়ে আসতে তাহলে কাঁপল ডান্স করতাম।এখন তোমরা সবাই ডান্স দিবে আর আমি ছোটদের মতো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো।এটা কি করে মেনে নিব বলোতো ভাবি?
নীর হাই তুলতে তুলতে বলে,
-তুই চকোলেট চোষতে চোষতে আমাদের ডান্স দেখ।
চলো নাতাশা।।
বলেই নাতাশার হাত ধরে নিয়ে যায় ডান্স করতে।নীর চোখ জোড়া দিয়ে নাতাশাকে আজকের জন্যে একটু ফ্রী হতে অনুরোধ করে।নাতাশা নীরের মলীন মুখের দিকে তাকিয়ে আর না বলতে পারে নি।শুরু হয় কাঁপল ডান্স।ঘুরে ঘুরে নাঁচাগুলোর স্টাইল পুরো রেস্টুরেন্ট জুড়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্য এনে দেয়।যেখানে শান্তি, যেখানে সুখ,যেখানে বয়ে চলা দুটো মানুষের ভালোবাসার প্রাণ।আর তা হলো নীর-নাতাশার ভালোবাসার স্পন্দন।

সমাপ্ত!!