ভেতরে বাহিরে পর্ব-১০

0
947

#ভেতরে_বাহিরে
পর্বঃ১০
লেখিকাঃ #রুবাইদা_হৃদি
আবেশ মাধুর্যের হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ৷ মাধুর্য অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে৷ আবেশের হাত প্রচন্ড গরম৷ মাধুর্য কেঁপে উঠছে বারেবারে৷ আবেশের বলা কথাটার মানে বুঝার চেষ্টা করছে নিজ মনে৷ যখন বুঝতে পারলো আবেশ তাকে কোথাও একটা নিয়ে যাচ্ছে তখন নিজের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলল,

‘ কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? এইভাবে টানছেন কেন?’

‘ একটা কথাও তুমি বলবে না৷ এখন থেকে যা হবে সেটা এই আবেশ এহসানের ইশারায় হবে৷’

‘ আপনি কী করতে চাইছেন,আবেশ?’ মাধুর্যের কন্ঠে অবাকের রেশ৷ আবেশ সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলল,

‘ ওয়েট এন্ড ওয়াচ৷’

‘ আবেশ মাধু কে ছাড়ো৷ আর কোথায় যেতে চাচ্ছো তুমি?’

মাহফুজা ডাইনিং ছেড়ে এগিয়ে এসে বললেন৷ আবেশ দাঁড়ালো৷ রাগ নিয়েই বলল,

‘ পুলিশ স্টেশনে যাবো৷ কাল রাতে মোহসীনের সাথে কথা হয়েছে আমার৷ ও মাধুর্যের স্টেটমেন্ট নিতে চেয়েছে৷’

‘ তুমি কার অনুমতি নিয়ে এতো দূর আগিয়েছ, আবেশ?’

মাহফুজার কন্ঠে আক্ষেপ৷ আবেশ অবাক চোখে তাকিয়ে বলল,

‘ আম্মা তুমি মাধুর্যের দিকে তাকাও৷ ওর পুরো শরীরে মারের দাগ গুলো জানান দিচ্ছে,কতোটা নির্মম আচরণ করেছে তারা৷’

মাধুর্য নির্বিকার ভাবে দাঁড়িয়ে আছে৷ কী বলবে সে? ভেতর থেকে কেঁপে উঠছে সে৷ আবেশের হাত নিজে থেকেই আঁকড়ে ধরলো৷ আবেশ নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে বলল,

‘ দেখো আম্মা,ও কতোটা ট্রোম্যাটিক হয়ে আছে৷ ওকে রিলিফ দেওয়া আমাদের দায়িত্ব৷’

‘ আবেশ,তোমাকে বারবার বলছি তোমার আব্বু না আসা পর্যন্ত কোনো স্টেপ তুমি নিবে না৷’

‘ স্টেটমেন্ট লেখিয়ে আসি,আম্মা৷ আব্বু আসার পর কেস ফাইল করবো৷’

‘ আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না৷ তুমি অফিসে যাও ৷’

মাহফুজার কড়া কথায় আবেশের রাগ বাড়ছে৷ তার আম্মা তো অন্যায় মেনে নেয় না৷ তবে আজ কেন বাধা দিচ্ছে? সে মাধুর্যের হাত ছাড়লো না৷ তেজী কন্ঠে বলল,

‘ আমি যাবো এবং সেটা এখুনি৷ তোমার জন্য সেদিন রাত থেকে চুপ করে আছি৷ কীসের ভয় তোমার,আম্মা?’

আবেশের কথায় মাহফুজা নমনীয় হলেন৷ রাগ করলে সব বিগড়ে যাবে ভেবে নম্র কন্ঠে বলল,

‘ রাগের মাথায় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া তোমাকে শেখাই নি আবেশ৷ পরিস্থিতি বুঝতে শেখো৷ তোমার বাবা-ভাই কেউ কাছে নেই৷ এই মুহূর্তে বড় সমস্যা হলে তুমি একা হ্যান্ডেল করতে পারবে?’

‘ সেই ক্ষমতা আমার আছে,আম্মা৷’ আবেশ একরোখা ভাবেই বলল৷ মাধুর্য চুপ৷ রাব্বীকে সে চিনে৷ তার বড় বড় মাফিয়াদের সাথে ওঠাবসা৷ সে মাহফুজার দিকে তাকালো৷ মাহফুজা আবেশকে উদ্দেশ্য করে বলল,

‘ তুমি আমার কথার অবাধ্যতা করবে না আবেশ৷ মাধুর্য নিজেও যাবে না৷ মাধু তুই আমার কাছে আয়৷’

মাহফুজার কথা শুনে আবেশ মাধুর্যের দিকে তাকালো৷ সে জুবুথুবু হয়ে আছে ৷ হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে৷ আবেশ ঠান্ডা মাথায় বলল,

‘ মাধুর্য তুমি আমার সাথে যাবে? আমি জানি তুমিও আম্মার মতো ভয় পাচ্ছো৷ বিলিভ মি কিছু হবে না৷ সব ঠিক হয়ে যাবে৷ অপরাধীরা শাস্তি পাবে৷’

মাধুর্য চোখ তুলে তাকালো মাহফুজার দিকে৷ সে কোনদিকে যাবে সেটা নিয়ে দোটানায় পড়ে গেলো৷ মিনমিনে কন্ঠে বলল,

‘ আম্মু’মায়ের কথা শুনুন৷ আমি যাবো না৷’

মাধুর্যের কথায় রাগের মাত্রা বাড়ছে আবেশের ৷ সব সহ্য করবে কিন্তু প্রতিবাদ করবে না! রাগ নিয়েই বলল,

‘ কীসের ভয় তোমার?’

‘ ওর যা ভয় ছিলো ওই বাড়ি ছাড়ার পর সব ধুয়ে মুছে গেছে৷ ও জানে ওর পাশে আমরা আছি৷’ বললেন মাহফুজা৷ মাধুর্য কন্ঠের খাদ নামিয়ে বলল,

‘ আমার হাত ছাড়ুন৷ আম্মু’মা যা ভালো বুঝে সেটাই হবে৷’

আবেশ ছুড়ে দিলো মাধুর্যের হাত৷ রক্তচক্ষু নিয়ে তাকালো মাধুর্যের দিকে৷ দৃষ্টি সরিয়ে রাগ নিয়েই বেরিয়ে গেলো অফিসের উদ্দেশ্য৷ তার ইচ্ছা হচ্ছে মাহফুজার কথা না শুনেই রাব্বী আর শাহেদ নামক মানুষ দুটোকে মেরে দিতে ৷ তবে সে বাধা৷ তার আম্মার কথার খেলাপি হবে ভেবেই রাগ লাগছে তার ৷ আর সবচেয়ে বেশি রাগ লাগছে মাধুর্যের উপর৷ সে একবার পা বাড়ালেই আবেশ কোনো কথার তোয়াক্কা করতো না৷ কী জন্য এতো ভয় তাদের? আবেশ ভেবে পায় না৷
__________

ঘড়ির কাটা নিয়মমাফিক ঘুরছে।আধার শুষে নিচ্ছে জাগতিক আলো।সিদুর রাঙা মেঘ জমেছে দূর-আকাশে।পাখিরা বিরামহীন ভাবে ছুটে চলেছে নীড়ে।ধূসর রঙে ছেয়ে যাচ্ছে রাঙা গোধূলি।নাজিফার রুম থেকে ভেসে আসছে,

’ তোমার জন্য নীলচে তারার একটুখানি আলো,ভোরের রঙ মিশকালো…’

বিশাল বড় রুমের এককোণে গুটিয়ে বসে আছে মাধুর্য ।তার মাথা ব্যথার পরিমাণ বেড়েই চলেছে।আবেশের সকালের বলা প্রত্যেকটা কথা ভাবাচ্ছে।নিজের শরীরের কালচিটে জায়গা গুলোতে নিজে হাত বুলিয়ে কেঁদে উঠলো।নরকীয় জীবন থেকে কিছুটা অবসর পেলেও মুক্তি কী আদেও মিলবে?
মোবাইলের ম্যাসেজের ভাইব্রেশনে কেঁপে উঠলো মাধুর্য।ছোট একটা হ্যান্ডসেট।এই মোবাইলটা কিনতে গিয়েও কতো পরিমাণে কাঠখড় পুড়িয়েছিলো সে’ই জানে শুধু।কলেজে তখন নিউ কামার সে। সদ্য পা দেওয়া কলেজে হাজারো অচেনা মুখ। সরকারী একটা কলেজে এডমিশন টা হয়ে গেলেও বাসা থেকে একটা টাকা দেয় নি শাহেদ।টাকা চাইলে থাপ্পড় মেরে বলেছিলো,

‘ পেপারস গুলা আর তোর মায়ের খোজ যতোদিন না পাচ্ছি,তোর জীবন নরক বানিয়ে দিবো।সেখানে আবার পড়ালেখা।’

শাহেদ তার কথা রেখেছিলো।তার জীবন নরক বানিয়ে দিয়েছিলো।প্রতিনিয়ত মার সেই সাথে মেন্টালি টর্চারে দিনেদিনে মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়ছিলো সে। তবে পড়ালেখার প্রতি একটা টানের জন্যই কলেজে ভর্তি হওয়ার মতো দুঃসাহসীক কাজটা সে করেই ফেলেছিলো উপবৃত্তির টাকায়।লুকিয়ে এটা টিউশনি জোগাড় করেছিলো সেই টাকায় মোবাইলটা কিনেছিলো কিন্তু রাব্বী হ্ঠাৎ করেই সব ধরে ফেললো।ইচ্ছামতো সেদিন মেরেছিলো এই ঠুনকো একটা কারণে।মাধুর্য আজও বুঝতে পারে না তার প্রতি এতো ক্ষোভ কেন জন্মেছে রাব্বীর?
ভেবেই কান্না পেলো তার।ব্যথায় বিষিয়ে যাওয়া জায়গা গুলো ধরে কাঁদছে।সত্যিকারের ডিপ্রেশন কী সেটা সে জানে না। কিন্তু তার দোটানার এই জীবন শুরুটা নাটকীয় রহস্যে মোড়া শেষটা ধোঁয়াশা।

‘ ছোট ভাবী! তুমি কাঁদছো?’

নাজিফা রুমে ঢুকে বলল। মাধুর্য তড়িঘড়ি করে কান্না লুকানোর বৃথা চেষ্টা করলো।নাজিফা তার পাশে বসে নরম কন্ঠে বলল,

‘ তোমার বাড়ির জন্য বুঝি মন খারাপ হচ্ছে?’

মাধুর্য কী বলবে খুজে পেলো না। তার বাড়ি আছে? হ্যাঁ আছে! সেই বাড়িটা সবার জন্য বাড়ি হলেও তার জন্য নরক ছিলো।প্রতিটা রুমে তার কান্নার আওয়াজ আছে। প্রতিটা ঘরে তার বিষাদের গল্প আছে।

‘ তুমি কখন এসেছো নাজিফা?’ মাধুর্য কথা ঘুরানোর জন্য বলল।নাজিফা দুই পা তুলে বসলো খাটে।মাধুর্যের চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,

‘ বাড়ির কথা ভুলে যাও ভাবী। এইটাই তোমার বাড়ি।আমি শুনেছি তুমি ছোটবেলায় সারাদিন আম্মুর পেছনে ঘুরঘুর করতে।’

মাধুর্য হাসলো।নাজিফা যখন কথা বলে তার চোখ কুঁচকে যায়।ঠোঁটের পাশে টানটান হয়।একদম আবেশের মতো।মাধুর্য নিজ হাতে চোখ মুছে বলল,

‘ হ্যাঁ,আমি সারাক্ষণ জ্বালাতাম আম্মু’মাকে।আর জানো? ফয়েজ ভাইয়া আমাকে অনেক আদর করতো।কিন্তু নাজিফা আপু পড়াশোনার চাপে বেশি একটা কথা বলতো না।’

‘ বড় আপু হচ্ছে ম্যাথের খারুস টিচার্সদের মতো।টাইম তার জন্য প্রচন্ড ম্যাটার করে।ঘড়ি ধরে ধরে কথা বলে।এমন স্বৈরচারী মহিলা কী করে আমার আম্মার মেয়ে হতে পারে,বলো তো?’

‘ এমন বলে না নাজিফা।’ মাধুর্য মুচকি হেসে বললো। নাবিহা কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে বলল,

‘ আমার জীবন দুইদিনে ঘড়ির কাটা বানিয়ে দিয়েছে। বেচারা আমার দুলাভাই কী করে যে সহ্য করে।’

নাবিহার কথায় না হেসে পারলো না মাধুর্য।নাবিহা মাধুর্যেই হাসি দেখে নিজেও হেসে দিলো। খপ করে আঁকড়ে ধরলো মাধুর্যের কোমল হাতজোড়া।আপ্লুত হয়ে বলল,

‘ ভাবী তুমি যখন হাসো তোমার দুইগালে টোল পড়ে।চোখ হেসে উঠে।ইশ দেখতে কী সুন্দর লাগে।’

‘ নাবিহা কাল তোমার পরীক্ষা,তাই না?’ মাহফুজা হাতে করে গরম দুধ এনে বললেন। নাবিহা চোখে-মুখে কান্না ফুঁটিয়ে তুলে বলল,

‘ আমি রাতে পড়ে নিবো,প্রমিস।’

‘ আচ্ছা।’ মাহফুজা সম্মতি দিয়ে বললেন। নাবিহা বেশ অবাক হলেও মাধুর্যের সাথে গল্পে মেতে উঠে।মাহফুজা তাকে থামিয়ে দিয়ে মাধুর্যকে বলল,

‘ দুধ খেয়ে নে,মাধু।’

‘ একদম না আম্মু’মা।সরাও আমার বমি পায়।’ নাক মুখ কুঁচকে বলল মাধুর্য। মাহফুজা দমে না গিয়ে বললেন,

‘ সকাল থেকে অল্পবিস্তর খেয়েছিস।মানা চলবে না। ইরা বলেছে দুধ খেতে।তুই দুধ না খেলে আমি আজ ভাত খাবো না।’

মাধুর্য অবাক চোখে তাকালো। ছলছল করে উঠলো তার চোখদুটো।মেহরুন যেদিন হারিয়ে গেলেন তার আগের দিন ঠিক এইভাবেই দুধ নিয়ে শাসন করে অভিমান করেছিলেন। মাধুর্য মায়ের কথা শুনে বাধ্য মেয়ের মতো দুধ খেয়ে শুতেই মেহরুন তাকে দুইহাতে জাপটে ধরে শুয়েছিলেন।মায়ের উষ্ণতা পেয়ে তেরো বছর বয়সী মাধুর্য ঘুমের অতল সাগরে তলিয়েছিলো।সুন্দর ঘুম,সুন্দর স্বপ্ন। তারপরের দিন সকালে উঠে সারা ঘর,বাড়ি,ছাদ সব জায়গায় খুজেও মেহরুনকে পায় নি। পায় নি আর মায়ের স্নেহ। হারিয়ে গিয়েছে তার মা একরাশ কষ্টের সাগরে তাকে ভাসিয়ে দিয়ে।

‘ খেয়ে নে মা।আমি,আবেশ,তোর বাবা সবাই তোর পাশে আছি।’

মাধুর্য উঠে গিয়ে জাপটে ধরলো মাহফুজাকে। তার শরীরে মা মা গন্ধ আছে।সব কষ্ট লাঘব পায় এই মানুষটার কাছে আসলে।

__________

আবেশ বেশ রাত করেই বাড়িতে ফিরলো। ঘড়ির কাটায় তখন এগারোটা পার হয়ে গিয়েছে।ড্রয়িংরুমের আলো নেভানো। মাহফুজা ঘুমিয়ে পড়েন সাড়ে দশটা নাগাদ।নাবিহা তার রুমে আর ইরা হসপিটালে তার কাজের চাপ এখন অনেক বেশি।সকালের রাগটা আবেশের এখনো আছে। টাইয়ের নট ঢিলে করে এগিয়ে গেলো রুমে। রুমে ঢোকার আগে লম্বা কয়েকটা শ্বাস টেনে ভেতরের রাগ দমনের চেষ্টা করলো।
রুমে ঢুকে বেশ অবাক হলো আবেশ।বেডের উপর নেই মাধুর্য।আবেশ চিন্তিত হয়ে উঠলো মুহূর্তে।তড়িঘড়ি করে সুইচ টিপতে গেলেই চোখ যায় সোফায়।এককোণে সোফার হাতলে মাথা ঠেকিয়ে ঘুমিয়ে আছে মাধুর্য। চাঁদের প্রস্ফুটিত আলো চুমু আঁকছে মাধুর্যের শুকিয়ে যাওয়া মুখে।
আবেশের মাথা ঝিম ধরে উঠলো।খোলা জানালার মৃদু হাওয়ার তালে দোল খাচ্ছে মাধুর্যের চুল গুলো। আবেশ অবাক হয়ে বলল,

‘ বেড ছেড়ে সোফায় ঘুমানোর মানে,কী!’

মাধুর্য মৃদু নড়ে উঠলো।ভালোভাবে মাথা রাখতে গেলেই ঝুঁকে পড়লো সামনে সাথে সাথেই ঘুম ছুটে গেলো।চোখ কঁচলে সামনে আবেশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রশ্ন করলো,

‘ আপনি কখন এসেছেন?’

‘ একটু আগে।’ আবেশের কন্ঠের ধাঁচ বুঝতে পারলো না মাধুর্য। আবেশের ক্লান্ত মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,

‘ আমি খাবার বেড়ে দিই?’

‘ নিজে উঠে দাঁড়াতে গেলে হুমড়ি খেয়ে পড়ে সে আবার আমার খাবার বাড়বে।’ আবেশ বিরবির করে বলল। মাধুর্যের কথার পৃষ্ঠে জবাব না দিয়েই ঢুকে গেলো ওয়াশরুমে।মাধুর্য কিছুটা উচ্চস্বরে বলল,

‘ আরে আপনার তোয়া..’ আবেশ দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। মাধুর্য কিছুক্ষণ ভেবে নিজ মনে বলল,

‘ এইবার আমিও দেখবো কথা না বলে থাকেন কী করে।’

চলবে…..