মনের গহিনে পর্ব-০৭

0
367

#মনের_গহিনে (৭)
sarika Islam(mim)

সকাল থেকে এক ফোটা জলও পেটে যায়নি এখন বাজে দশটা পেটে কেমন চু*চু ডাকছে খিদেয়।খিদের জ্বালা আমি মোটেও সহ্য করতে পারিনা।কিন্তু বসে আছি ইয়াদ আর সোনিয়ার সাথে কিভাবে কি বলবো!!পেটে হাত দিয়ে ধরে আছি বাড়ির অপেক্ষায় বাড়ি গেলে যদি পেটে কিছু পরে।ইয়াদ আমার দিকে তাকিয়ে হয়তো আমার অবস্থা বুঝতে পেরেছে একটা ফাস্টফুড দোকানের সামনে গাড়ি থামালো।

হঠাৎ ব্রেক হওয়ায় সোনিয়া ঝুকে পরলো এক ধ্যানে ফোন টিপছিল কোন দিকে খেয়ালিই ছিল না।জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখলো বাড়ি আসেনি তাহলে থামলে কেন?জিজ্ঞাসু স্বরুপ ভাইকে বলল,
-এইখানে রেখেছ কেন?
-ফারাহ কিছু খাবে।

আমি অবাক চোখে চেয়ে রইলাম ইয়াদের দিকে আমি কখন বললাম কিছু খাবো?আমি ইয়াদের দিকে কিছুটা রেগে বললাম,
-আমি কখন বলেছি খাবো?
-আমি ঠিক বুঝেছি এখন চুপচাপ বসো আমি আসছি।

ইয়াদ গাড়ি থেকে বের হয়ে গেল।
কিছুক্ষন পর ইয়াদ ফিরলো হাতে কয়েকটি জিনিস নিয়ে কিছুটা আমার হাতে দিল আর বাকিটা সোনিয়ার হাতে।আমি চট জলদি প্যাকেট খুলে দেখলাম একটা মিনি সাইজের পিজ্জা আর শর্মা সাথে কোল্ড ড্রিংক।আমার মনটা পানি পানি হয়ে গেল ইয়াদের এমন কেয়ার দেখে।কি সুন্দর আমার প্রিয় খাবারগুলো এনেছে।পেছনে সোনিয়াও প্যাকেট খুলে এইসব দেখে হাল্কা চেচিয়ে উঠলো,
-ওয়াহ ভাইয়া তুমি আজ ফাস্ট এইসব কিছু এনেছ।

ইয়াদ চোখ পাকিয়ে পিছনে বসা সোনিয়ার দিকে তাকালো।আমি খেতে খেতে সোনিয়ার বলা কথা লক্ষ্য করলাম।
-আজ প্রথম কেন?
-ভাইয়া বাহিরের জিনিস পছন্দ করে না।

আমি হা হয়ে তাকালাম ইয়াদের দিকে সত্যি সে বাহিরের জিনিস খায় না?তাহলে কি আদো মানুষ নাকি?কি মানুষ বাহিরের জিনিস খায় না এইসব না খেলে কি হয় নাকি?আমি মনের সুখে খেতে লাগলাম।খাওয়া শেষ করে ইয়াদের দিকে কোল্ড ড্রিংকটা এগিয়ে দিলাম বেচারা কতকিছু এনেছে তাকে তো কিছুই সাধা হলো না।ইয়াদ মাথা নাড়িয়ে না করলো সে খাবে না।আমিই খেয়ে নিলাম টিস্যু দিয়ে হাত মুখ মুছে নিলাম এখন যেন একটু ভালো লাগছে পেটটা ভরা ভরা।

কিছুক্ষন পর বাড়ির সামনে আসতেই গাড়ি থামলো।আমরা নেমে গেলাম ইয়াদও অফিসের জন্য চলে গেল।

———–

লেগিংস আর টিশার্ট পরে হাতে কফির মগ নিয়ে সোফার উপরে পা তুলে বসলো নীলা।এক হাতে ফোন টিপছে আরেক হাতে কফির মগে একটু একটু করে চুমুক দিচ্ছে।তুর্য বোনের পাশে এসে বসলো।
-আপু তোমার কিছু হলো না?

তুর্য কথায় নীলা তার দিকে ভ্রু কুচকে তাকালো।
-কিছু হলো না বলতে?
-নাহ মানি যে কারনে তুমি পালিয়েছিলে?

নীলা রেগে গেল তুর্যের কথায়।তাকে এখন পর্যায় পর্যায় খোটা মা*রা হবে নাকি?পেয়েছেটাকি?নীলা কিছুটা রেগে বলল,
-তোর ভার্সিটি নেই?যাহ ভার্সিটিতে।

তুর্য সেইখান থেকে উঠে গেল।বোনের সাথে কোন কথা বলে লাভই নেই।নিশি বেগম অসুস্থ শরির নিয়ে রান্নাঘরের দিকে অগ্রসারিত হলো নীলা আম্মুকে দেখে উঠে দাড়ালো।
-আম্মু তুমি রেস্ট নাও আমাকে বলো কি করতে হবে?

নিশি বেগম নীলার কথায় রেগে গেলেন।গরম চোখে তাকিয়ে বললেন,
-বিষ এনে দে খেয়ে ম*রে থাকি!!

নীলা ব্যাথিত হলো আম্মুর কথায়।পাশে বসে থাকা দাদী পান চিবুতে চিবুতে বলল,
-মেয়েটার সাথে এমন কেন করো?
-তাহলে কেমন করবো আম্মা?আমার ফারাহর জীবন টা শেষ করে দিল।

নীলা রেগে গেল।সবসময় ফারাহ ফারাহ কেন করে আম্মু?কফির মগ কিছুটা শব্দ করে টি- টেবিলে রেখে কিছুটা উচু গলায় বলল,
-সব সময় ফারাহ ফারাহ করো।ফারাহর কষ্ট দেখ আমি কি তোমার মেয়ে না?আমার কষ্ট বুঝো না?

নিশি বেগমও রেগে গেলেন।
-তোর আবার কিসের কষ্ট?পালিয়েছিলি কেন ফিরলি?আর এইসব কেমন জামা কাপর পরে ঘুরিস?লজ্জা শরমের মাথা খেয়েছে মেয়েটা।

বলে রান্নাঘরে চলে গেলেন।নীলা রেগে ধপধপ পা ফেলে নিজের রুমে চলে গেলেন।

———–

চেয়ারার মধ্যে মাথা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে ইয়াদ।কেউ কেবিনে নক করায় চোখ খুলে তাকালো।ভিতরে আসতে বলল একজন ছেলে এসেছে কিছু প্রেজেন্টেশন দেখালো ইয়াদ সিলেক্ট করলো মিটিংএ এটাই প্রেজেন্ট করবে তারা।
আজ একটা মিটিং আছে বড় একজন ক্লাইন্ট এর সাথে মিটিংটা ফিক্সড হয়ে গেলে অনেক প্রফিট হবে কাম্পানির।কিন্তু একটা বেস্ট মডেল লাগবে যেন তাদের ড্রেসগুলো সুন্দরভাবে প্রেজেন্ট করতে পারে কিন্তু কে করতে পারবে কাজটা?কারো কথাই মাথায় আসছে না যে মডেল গুলো আছে কেউ আসতে পারবেনা।ইয়দ পরে গেল এক মহা বিপদে সে এখন কি করবে কালই প্রেজেন্ট করতে হবে।

রাহাত প্রবেশ করলো ইয়াদের কেবিনে রাহাতকে দেখে ইয়াদ উঠে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো।কুশল বিনিময় করে বসলো সোফায়।রাহাত অভিমানী কন্ঠে বলল,
-আমার বাগীচায় আশা যেন ভুলেই গিয়েছিস?

ইয়াদ রাহাতের অভিমান দেখে এক চিলতে হেসে বলল,
-আরে আর বলিস না একটু প্যারার মধ্যে আছি।

রাহায় ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো,
-কেন?কি হয়েছে ফ্যামিলি ইস্যু?
-ফ্যামিলিও আবার অফিসেরও দুটো মিলিয়েই।
-ফ্যামিলির টা হয়তো জানি অফিসেরটা বল।

ইয়াদ কিছু বলবে তার আগেই রাহাতের জরুরি কল আসে।ফুলের অর্ডার আসছে অনেক সবগুলো ডেলিভার করতে হবে রাহাত চলে গেল।
-বাগিচায় যাস সেখানে কথা হবে।

ইয়াদ মাথা ঝাকালো।রাহাতে একটা বড়সড় বাগিচা আছে নানান ধরনের ফুল গাছ পাতা বাহার গাছ।অনেক মানুষ সেখান থেকে একসাথে অনেকগুলো ফুল নিয়ে যায় কেউ বারান্দায় সাজাতে আবার কেউ হোটেলের বাগান সাজাতে।ইয়াদ ফ্রি টাইমে বাগিচায় ফুলের মাঝে নিজের ব্যস্ত দেহকে রিলেক্স করে।

————-

আমি নাকের জ্বালায় এখন মরে যাচ্ছি।মনে হচ্ছে ব্যাথা করে আবার করেও না আবার আয়নায় তাকালে আমাকে বেশ সুন্দরও দেখায় আমার কবে শুকাবে এত এত চিন্তায় আমার মাথা শেষ হয়ে যাচ্ছে যেন।দুপুরের খাবার রান্না করতে রান্নাঘরের দিকে গেলাম আন্টি রান্না করছে।তাকে দেখে দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেলাম।
-দিন আমি করে দেই।

সুহানা আন্টি মুখ ফিরিয়েই বললেন,
-সকালে না খেয়ে ছিলাম দুপুরেও না খেয়ে থাকতে চাইনা।
-এইবার ঠিক হবে!

আন্টি রাগান্বিত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
-বাপের বাড়ি থেকে রান্না শিখে তারপর এসো রাধতে এখন যাও।

সুহানা আন্টি এইভাবে বলবে পুরো কথাটা আনএক্সপেক্টেড ছিল।আমার খুবিই খারাপ লাগলো।মলিন মুখ করে সোফায় বসালাম ঘরের বাকি কাজ বুয়া করে দিচ্ছে আর রান্না শুধু আন্টি নিজেই করে।ফোন গুতাচ্ছিলাম এমন সময় সোনিয়া হাতে একটা বই নিয়ে হাজির।
-ভাবী তুমি কোন ইয়ার?
-সেকেন্ড।তুমি?
-ফাস্ট।আমাকে এইটা একটু বুঝাও না।

বিজ্ঞানের একটা অধ্যায় বুঝতে চাইলে আমি যতটুক পারি বুঝিয়ে দিয়েছি।
প্রায় আধঘন্টা লেগেছে বুঝাতে সোনিয়া বুঝে যেন খুব খুশি।
-ভাবী তুমি তো খুব সুন্দর ভাবে বুঝাও।তোমার কাছ থেকেই এখন সব প্রব্লেম সলভ করবো।
-আচ্ছা।

হাল্কা হেসে সায় জানালাম।এই একমাত্র ব্যাক্তি যে সারাদিনে পুরো একা বাড়িতে আমার সাথে একটু কথা বলে।
আমি গোসল করতে উপরে চলে গেলাম।গোসল সেড়ে একটা আকাশি রঙের থ্রিপিস পরলাম কোমর অব্দি ভেজা চুলগুলো ছেড়ে দিলাম।গায়ে ওড়না টেনে নিচে নামলাম একজন মুরুব্বী বসে আছে দেখে চিনতে পারলাম না।হয়তো তাদের কোন আত্নীয় হবে।আমি ঘোমটা দিয়ে এগিয়ে গেলাম সাথে সোনিয়া বসে প্রচুর আলাপ করছে।আমাকে দেখে মুরুব্বি আন্টি পান চিবুতে চিবুতে বলল,
-ইয়াদের বউ তুমি?

আমি হ্যা সুচক মাথা নাড়িয়ে সালাম করলাম।মুরুব্বি আন্টিটা বেশ ভালোভাবেই কুশল বিনিময় করলো আমার সাথে আমাকে তার পাশে বসিয়ে নানান ধরনের কথা জিজ্ঞেস করছে।
-আমি হলাম ইয়াদের বড় খালা।

তার পরিচয়ে বুঝতে পারলাম ইয়াদের খালা ইনি ইয়াদের আম্মারা দুই বোন এক ভাই।এইটা বড় তারপর ইয়াদের আম্মা।আর ভাই বোনদেরও বড়।আলাপের সময় জানতে পারলাম তার একটা ছেলে মাত্র।সে ইয়াদের থেকে দুই বছরের ছোট।বেবী দেরি করে নেওয়ার কারনে বড় খালা হয়েও ছেলে ইয়াদের ছোট হয়েছে।কিন্তু তাদের বন্ডিং নাকি অনেক ভালো খুবিই মধুর।

সুহানা আন্টি টেবিলে খাবার সাজাচ্ছে আমিও উঠে কাজে তার সাহায্য করলাম।বড় বোন আসার উপলক্ষে পোলাও,রোস্ট,গরুর কালা ভুনা,ইচা মাছ ভুনা,ডাল আবার ভাতও রান্না করেছেন সুহানা আন্টি।সে এইগুলো কখন করলো ভেবেই আমার মাথা ঘুরে উঠলো।এত এত আইটেম সে একা কিভাবে করলো ভেবেই আমার অবস্থা কাহিল হয়ে গেল।খাবার টেবিলে বসতেই কেউ কলিং বেল বাজালো।সোনিয়া উঠে খুলে দিল কেউ কথা বলতে বলতে ভেতরটায় ঢুকছে।সবাই সেদিকেই তাকিয়ে আছেন।
ইয়াদ এসেছে তার সাথে উচা লম্বা সাদা চামড়ার সুদর্শন একটা ছেলে ঢুকলো।ইয়াদের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে আন্দাজ করলাম এইটাই হয়তো ইয়াদের খালাতো ভাই।সুহানা আন্টি ছেলেটিকে দেখে হাসি ফুটে উঠলো।ছেলেটি আন্টিকে দেখে জড়িয়ে ধরলো।
-কেমন আছিস ইফতি?
-ভালো খালা তুমি?
-তোকে দেখে ভালো হয়ে গেলাম।বস বস খেতে বস।

ইফতিও চেয়ারে বসলো ইয়াদ হাত মুখ ধুতে গেল আমিও তার পিছু পিছু গেলাম।ওয়াশ্রুম থেকে বের হতেই হাতে টাওয়াল দিলাম।ইয়াদ মুখ মুছে আমার দিকে এগিয়ে দিল।
-নোসপিনটা বেশ মানিয়েছে।

হঠাৎ আমার এইরুপ তারিফ করায় ঘাবড়ে গেলাম আমি।অপ্রস্তুত ছিলাম পুরো ভাবতেই পারিনি এখন কিছু একটা বলবে।হাল্কা হাসলাম।ইয়াদ পকেট থেকে টেবলেট এর পাতা আমার হাতে ধরিয়ে দিল।
-ব্যাথা হলে খেয়ে নিও।

বলেই নিচে চলে গেল।আমি ধীরে ধীরে ইয়াদের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছি।তার করা কাজ আমার প্রতি তার খেয়াল সবাইকে নিয়ে চিন্তা করা দিন দিন তার প্রতি দুর্বল হয়ে পরছি আমি।আদো কি এইটা ঠিক বলে প্রশ্ন করলাম নিজেকে!পরেই চিন্তা করলাম ঠিক কেন হবে না এইটা যেভাবেই হোক আমার স্বামী অবশ্যই ঠিক হবে।আমিও নিচে নামলাম।

সবাই খাচ্ছে আমি আর আন্টি সার্ভ করছি।ইয়াদ ইফতি ভাইয়ার পাশের চেয়ারেই বসলো।সোনিয়া ইফতি ভাইয়ার বরাবর।সুহানা আন্টিও খেতে বসলো শুধু আমিই দাঁড়িয়ে তাদের সার্ভ করে দিচ্ছি।কখন কি লেগে যায় তা আবার আনতে হবে।
-তুমিও বসো ফারাহ।

বড় খালার অনেক জোরাজুরিতে আমিও বসলাম।খাওয়ার মাঝে ইফতি ভাইয়া বলে উঠলো।
-ইয়াদ তোর বউ টা কিন্তু মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর।

ইয়াদ আর ইফতি বেশি ছোট বড় না হওয়ার কারনে একে অপরকে তুই বলেই সমন্ধন করে।বড় খালাও বলল,
-হুম আমিও এসে সেটাই বলেছিলাম।খুব সুন্দর একটা বউ পেয়েছে ইয়াদ।আমার ইফতির জন্যও যদি এমনি সুন্দরী একটা বউ পেতাম।

আফসোস এর স্বরে বললেন বড় খালা।সুহানা বেগম খেতেই থাকলেন আর কথা বাড়ালেন না।ইয়াদ ফারাহর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে খাচ্ছে।ফারাহ সুন্দর সে জানে ফারাহ যে এতটাই সুন্দর প্রমানিত হবে তা সে ভাবেনি।কেমন যেন একটা জেলাসি কাজ করছে ইয়াদের মধ্যে ইফতি কেন সুন্দর বলল!!হঠাৎ এইসব ভেবে খেতে খেতে বিষমখেল ইয়াদ।কেশে উঠলো ফারাহ জলদি করে এক মগ পানি তার দিকে এগিয়ে দিল।বা হাত দিয়ে পিঠে হাত বুলাতে লাগলো।ইয়াদের এখন কাশা কিছুটা কমেছে।ইফতি হেসে বলল,
-এত্ত সুন্দর বউ থাকলে বিষম তো খাবিই।

উপস্থিত সবাই কিছুটা হাসলো সুহানা বেগম ব্যাতিত।আর আমি লজ্জায় লাল নীল হয়ে গেলাম।ইফতি ভাইয়া কি শুধু আমাকে লজ্জা দিতেই আসলো নাকি খোদায় জানে।
খাবার শেষে সব পরিষ্কার করে সোফায় বসলাম।সবাই আগেই বসা ছিল আমি জয়েন করলাম তাদের।ইয়াদ ইং করা সাদা শার্ট উঠিয়ে হাতা কনুই পর্যন্ত গুটিয়ে একদম আয়েশ করে সোফায় বসলো।সবাই কথা বার্তা বলছে এরিই মাঝে আমার ফোন আসল।আমার বন্ধুবী ইমা ফোন করেছে কতদিন পর ওর ফোন পেলাম।এত্ত এত্ত ব্যাস্ত থাকার কারনে ভুলেই গিয়েছিলাম।

ফারাহ সবার থেকে একটু দূরে গিয়ে ফোন ধরলো।হেসে হেসে কথা বলছে ইয়াদ সবার কথা শুনছে ঠিকি কিন্তু তার খেয়াল শুধুই ফারাহর হেসে হেসে কথা বলার দিকে।কে এমন ফোন করলো যে ফারাহ এত হেসে হেসে কথা বলছে?

চলবে,,
(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন।)