মনের মানুষ পর্ব-১৪+১৫

0
565

#মনের_মানুষ ❤️
#চতুর্দশ_পর্ব❤️
#কলমে_সাঁঝবাতি 🌸

আহেলি একাই চুপচাপ বসে আছে তাছাড়া বাকি সকলেই রঙের খেলায় মেতে উঠেছে……সপ্তক,রিয়া অনুশ্রী সকলে মিলে একে অপরকে আবীর মাখাতে ব্যস্ত।ওদের সাথে ওখানের কয়েকটা ছোট্ট বাচ্ছাও যোগ দিয়েছে।আহেলি সকলকে দেখতে ব্যস্ত……এমন সময় ওর পাশে প্রান্তিক এসে বসলো।আহেলি প্রান্তিকের দিকে তাকিয়ে হালকা হাসলো…..সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট পরে আছে ছেলেটা,ক্যাম্পে থাকার ফলে ক্লান্ত লাগছে….তাও ঠোঁটের কোনে হাসি ঝুলিয়ে রেখেছে।

“আপনি বসে আছেন যে?রঙে এলার্জি নাকি?”

প্রান্তিকের কথায় আহেলি দুদিকে ঘাড় নেড়ে বললো,,,

“না না….এলার্জি হবে কেনো?”

“আমি অনেক মেয়েকেই দেখেছি বলে যে রঙে নাকি এলার্জি আছে….তাই ভাবলাম আপনারও!”

“না সেরকম কিছু নয়…..আসলে সবসময় মন ভালো থাকে না।”

“মন ভালো না থাকলে সেটা ভালো করে নিতে হয়….মনখারাপ বলে বসে থাকলে হবে?”

“মুখেই ওরকম বলা যায়।আপনার মনখারাপ থাকলে আপনি পারতেন হাসি মজা করতে।”

আহেলির কথায় প্রান্তিক মুচকি হেসে বললো,,,,

“সামনে তাকিয়ে একবার দেখুন আহেলি….যেসব বাচ্ছারা এখানে খেলছে ওরা সকলেই এখানকার বাসিন্দা।ওদের সকলেরই বাড়িতে ভীষণ অভাব…সকলের বাড়িতে কোনো না কোনো সমস্যা আছে।তাও ওরা আনন্দে মেতে উঠেছে….কারণ আনন্দ মজাই পারে আমাদের দুঃখের স্মৃতিগুলো ভুলিয়ে দিতে।”

“সবার সমস্যা কি এক প্রান্তিক?আমি আর সব্বার মতো পারিনা সবটা এতো তাড়াতাড়ি ভুলতে।”

“আপনার কি সমস্যা জানেন আহেলি?আপনি নিজের দুঃখটা খুব বড়ো করে দেখছেন…..আপনার চেয়েও অনেকে আরো বেশি কষ্টে আছে এটা জানেন কি?তাও তারা জীবনে হেরে যায়নি….প্রতিনিয়ত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।আর আপনি!সামান্য একটা কারণে নিজের জীবনটা বিসর্জন দিতে গেছিলেন…..একবারও সেই মুহূর্তে আপনার বাবা-মায়ের কথা মনে পড়েনি?আপনি না থাকলে কি অবস্থা হতো ওইদুটো মানুষের?যারা আপনাকে সেই ছোট্ট থেকে এতো বড়ো করলো…মানুষের মতো মানুষ তৈরি করলো তাদেরকে এভাবে কষ্ট দেওয়ার আগে একবারও আপনার বুক কাপেনি?আপনার ওই প্রেমিক আপনার কাছে বড়ো হলো?কাকে আপনি প্রায়োরিটি দিলেন?যে আপনাকে ভালোইবাসেনা…..হসপিটালে রোজ কতজন রক্তের জন্য কান্নাকাটি করে।আর আপনার মতো মানুষেরা আবেগের বশে এসব কাজ করেন।”

প্রান্তিকের কথা শেষ হওয়ার আগেই আহেলি কেঁদে উঠলো…..ঠোঁট চেপে কান্না আটকে রাখার চেষ্টা করেও পারলো না শেষ অব্দি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো।প্রান্তিক আহেলির কাছে সরে এসে সান্ত্বনার সুরে বললো,,,,,

“একই কাঁদছেন কেনো?আমার কথায় কি খুব খারাপ লাগলো?আই এম এক্সট্রিমলি সরি আহেলি…..প্লিস কাঁদবেন না।এতো সুন্দর একটা অনুষ্ঠানে এসে এভাবে।আমারই দোষ….আসলে আপনাকে এখানে বসে থাকতে দেখে রাগ হয়েছিলো তাই…..প্লিস আমার কথায় কিচ্ছু মনে করবেন না।”

“আপনি কিছু ভুল বলেননি প্রান্তিক…..সত্যিই আমি ভীষণ বোকা।নাহলে ওই প্রতারকের জন্য নিজের বাবা মাকে এতটা কষ্ট দিই!!আমি খুব খারাপ…..”

“আপনি মোটেই খারাপ নন….খুব ভালো মনের মেয়ে।শুধু নিজের ইমোশনটা কন্ট্রোল করতে পারেন না এই যা।যাক সেসব বাদ দিন….এখন চোখটা মুছুন।”

আহেলি দুহাতে চোখ মুছলো….জড়ানো গলায় বললো,,,

“আমার নয় মনখারাপ…..কিন্তু আপনার কি সমস্যা?আপনি কেনো রঙ খেলেননি?খালি কয়েকটা ছবি ক্লিক করলেন তো।”

“”যার জন্য এলাম সেই যদি মুখটা গোমড়া করে বসে থাকে তাহলে আর হোলি খেলা যায়?”

“আমার জন্য আপনি পার্টিসিপেট করেননি?”

“নাহ….আমি তো এই সাদা শার্টে যাতে রঙ না লাগে তার জন্য দূর থেকেই দেখছি সবটা।”

প্রান্তিকের কথায় আহেলি অল্প হেসে বললো,,,
“আপনি যদি ইচ্ছে করে আজকের দিনে এরকম সাদা শার্ট পরে আসেন তাহলে আর কিই বা করার আছে?আপনাকে তো রঙ দেবেই।”

“অতই সহজ নাকি সবটা?আমি একজন ডক্টর….সকলে শ্রদ্ধা করে আমায় তাই আমার অনুমতি না নিয়ে কেউই এ কাজ করবে না।নাহলে এতক্ষন আমার শার্টটা আর সাদা থাকতো না।”

“ওহ আচ্ছা….এই ব্যাপার।কিন্তু বাকিদের কাছে আপনি ডক্টর হলেও আমার কাছে তো আর নয়।তাই আমি দিতেই পারি।”

আহেলির কথায় প্রান্তিক ভ্রূ কুঁচকে অবাক হয়ে তাকাতেই আহেলি অল্প হেসে উঠে গেলো।অনুশ্রীর থেকে লাল আবীর এনে প্রান্তিকের সামনে দাঁড়ালো…..আহেলির হাতের মুঠোয় রঙ দেখে প্রান্তিক দাঁড়িয়ে নাসূচক ইশারা করলো।প্রান্তিকের দিকে তাকিয়ে আহেলি হাসলো তারপরই হাতের মুঠো আলগা করে রঙটা ছুড়ে দিলো প্রান্তিকের দিকে।সাথে সাথে প্রান্তিকের শার্ট থেকে শুরু করে মুখ অব্দি লাল আবীর ভর্তি হয়ে গেলো।প্রান্তিক চোখ কুঁচকে আহেলির দিকে তাকাতেই আহেলি জিভ কেটে বললো,,,,

“বুড়া না মানো হোলি হে…….”

“তাই না?তবে টিট ফর ট্যাট এটা জানেন তো?”

বলে প্রান্তিক এগিয়ে গেলো আহেলির দিকে।আহেলি তৎক্ষনাৎ ওখান থেকে সরে যেতে গেলো তবে তার আগেই আহেলির একটা হাত ধরে নিলো প্রান্তিক।আহেলি কোনোরকমে বললো,,,,

“এভাবে ধরে কোনো লাভ নেই।আপনার কাছে রঙ কোথায়?”

আহেলির কথায় প্রান্তিক বাঁকা হেসে নিজের গালে হাত দিলো….হাতটা একটু ঘষে সেটা আহেলির দিকে দেখিয়ে ভ্রূ নাচালো।আহেলি দুদিকে ঘাড় নাড়তে আবারো হাসলো প্রান্তিক…..তারপর আহেলির গালে নিজের হাতটা ছুইয়ে দিলো।

ওদিকে তখন মন্দিরের পাশে একটা সাউন্ড সিস্টেমে বাজছে…..

রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার যাবার আগে–
তোমার আপন রাগে, তোমার গোপন রাগে,
তোমার তরুণ হাসির অরুণ রাগে
অশ্রুজলের করুণ রাগে॥
রঙ যেন মোর মর্মে লাগে, আমার সকল কর্মে লাগে…..

চলবে……

#মনের_মানুষ ❤️
#পঞ্চদশ_পর্ব❤️
#কলমে_সাঁঝবাতি 🌸

বিকেলের দিকে যখন গাড়িতে উঠলো আহেলিরা তখন সব বাচ্ছারা ওদেরকে হাত দেখিয়ে বিদায় জানালো।প্রান্তিক নিজেও তাই করলো…..এই ছেলেটা ভীষণ সহজে সব্বার সাথে মিশে যেতে পারে আর তাদের সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে নেয়।এই গুন সবার মধ্যে থাকে না…..যাদের কাছে থাকে তারা একেবারে অন্য রকমের মানুষ।

ওরা যখন কলকাতায় প্রবেশ করলো তখন তিলোত্তমা নগরীতে হলদেটে স্ট্রিট ল্যাম্প জলে উঠেছে……সকলেই যে যার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে।প্রান্তিক ড্রাইভ করতে করতে হঠাৎই এক জায়গায় গাড়ি থামালো…..সকলে কি হয়েছে জানতে চাইতেই প্রান্তিক জানলা দিয়ে রাস্তার ধারের একটা ডালের বড়ার দোকান দেখালো…….আর বললো,,,,

“তোমরা কেউ ডালবড়া খাও?খুব টেস্টি জানো তো….আমার তো দারুন লাগে খেতে।”

প্রান্তিকের কথায় অনুশ্রী বললো,,,,

“তা যা বলেছো প্রান্তদা…..সত্যিই ডালবড়ার টেস্টটা মারাত্মক।আমার তো দেখলেই খেতে ইচ্ছা হয়।”

“বাহঃ….আর বাকিরা তোমরা খাবে তো?”

প্রান্তিকের প্রশ্নে সকলেই সম্মতি জানালো এক আহেলি ছাড়া….প্রান্তিক আরকিছু না বলে নিজেই গাড়ি থেকে নেমে গেলো।বেশ কিছুক্ষণ পর একটা দুটো বড়ো ঠোঙা হাতে ফিরে এলো গাড়িতে….একটা ঠোঙা ব্যাকসিটে অনুশ্রীর দিকে এগিয়ে দিলো আরেকটা পাশে থাকা সপ্তকের হাতে দিলো।প্রান্তিক সকলকে খেতে বলতেই অনুশ্রী ঠোঙাটা আহেলির দিকে এগিয়ে দিলো…..হালকা হেসে আহেলি অসম্মত হতেই প্রান্তিক অবাক সুরে বললো,,,,

“একই আহেলি…..আপনি খাবেন না নাকি?”

“নাহ…..আমার বাইরের কোনো খাওয়ার ভালো লাগে না তেমন।আপনারা সকলে খান….”

“সেকি?বাইরের খাওয়ার ভালো লাগে না মানে?এটা কোনো কথা?স্ট্রিটফুড ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকে কিভাবে?”

“যেমন ভাবে আহেলি আছে…..আর বলো না প্রান্তদা।ওকে নিয়ে আমরা আর পারি না।যদিও ওর বা কি দোষ?ঋষভদা পছন্দ করে না তাই ও নিজেও খায় না…..একবার নাকি ওকে স্ট্রিটফুড খাওয়ার জন্য খুব বকাবকি করেছিলো ঋষভদা তাই উনি আর খাবেন না…..”

হঠাৎই কথা বলতে বলতে অনুশ্রী বুঝতে পারলো ও কি বলে ফেলেছে….তৎক্ষনাৎ অন্য কথা বলে সামাল দেবে তার আগেই আহেলি ঠোঙা থেকে কয়েকটা ডালবড়া নিয়ে বললো,,,,,

“কে বলেছে আমি খাই না?আমি ঠিকই সব খাই…..আসলে ভালো লাগছিলো না তাই বললাম।কিন্তু প্রান্তিক সব্বার জন্য আনলো…না খেলে ওনার খারাপ লাগতে পারে।”

এরপর আর তেমন কেউ কিছু বললো না।আহেলি বাদে বাকি সকলেই একটা জায়গায় নেমে গেলো গাড়ি থেকে আর বললো বাকি পথটা সকলে বাসে করে যাবে।প্রান্তিক সকলকেই বাড়ি অব্দি পৌঁছে দিতে চেয়েছিলো কিন্তু ওরা নাকি একবার কলেজসট্রিট যাবে বই কিনতে অগ্যতা প্রান্তিক আরকিছু বলতে পারলো না,চুপচাপ ড্রাইভ করতে শুরু করলো।আহেলি নিজেও ব্যাকসিটে বসে অস্বস্তিবোধ করছে……আহেলির বাড়িতে যাওয়ার বড়ো রাস্তার সামনে এসে থামলো প্রান্তিকের গাড়ি।আহেলি দরজা খুলে বেরিয়ে প্রান্তিককে কিছু বলবে তার আগেই প্রান্তিক নিজেই বেরিয়ে এলো গাড়ি থেকে।প্রান্তিক এর পরনে এখনো সেই আবীর মাখা শার্টটা…..আহেলির সালোয়ারেও রঙ লেগে।প্রান্তিক আহেলির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শক্ত গলায় বললো,,,,

“এরপর থেকে যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা মন থেকে নেবেন…..কাউকে দেখাতে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কাজ করবেন না আহেলি।”

প্রান্তিকের কথায় আহেলি অবাক হয়ে তাকাতেই প্রান্তিক মুচকি হেসে বললো,,,,

“অনু ভুলেই হয়তো আপনার প্রাক্তনের কথা বলেছিলো আর আপনি ওকে ভুল প্রমান করতে ইচ্ছা না থাকার সত্বেও খেলেন…..এতে আমারই খারাপ লেগেছে কারণ তার কারণ হিসেবে আমার ভালোলাগা কে আপনি ব্যাখ্যা করেছেন।এটা তো মিথ্যে আহেলি….চরমতম মিথ্যা।আমার ভালোলাগার জন্য আপনি খান নি….অন্যকে না দেখিয়ে পারলে মন থেকে যা করার করবেন।আর প্রাক্তনের স্মৃতি যদি থেকেও যায় তাতে কোনো দোষ নেই…..এতো সহজে কি সবটা ভোলা যায়?”

“আম সরি….আমার জন্য হয়তো।”

“এখানে আমায় সরি বলার কোনো প্রয়োজন নেই….বরং পারলে অনুর সাথে কথা বলে নেবেন।ওর হয়তো একটা গিল্ট ফিলিং থাকবে বিষয়টা নিয়ে।”

“আমি করবো অনুকে ফোন….কিন্তু আপনার শার্টের যা অবস্থা তাতে হয়তো বাড়ি ফিরে আপনাকে কথা শুনতে হতে পারে আপনার মায়ের থেকে।”

“আমি কি বাচ্ছা নাকি যে মা আমায় বকবে?এসব আপনাকে ভাবতে হবে না।আপনি বরং নিজের মনখারাপগুলো নিয়ে ভাবুন……এভাবে সবসময় গোমড়া মুখে না থেকে হাসার চেষ্টা করুন।”

“এই কথাটা আমি মন থেকে বলছি প্রান্তিক…..আমি সত্যিই আজ খুব আনন্দে ছিলাম।ভাগ্যিস এরকম একটা জায়গায় নিয়ে গেলেন…..নাহলে হটাৎ করে এমন আনন্দ পেতাম কিকরে?”

“থ্যাংকস…..তবে এবার থেকে নিজেই নিজের ওষুধ হয়ে উঠুন।কারোর ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেই নিজের মন ভালো করার কারণ হয়ে উঠুন…..সবসময় আমি কি থাকবো নাকি?”

প্রান্তিকের কথায় আহেলি অবাক হয়ে তাকাতেই প্রান্তিক মৃদু হেসে বললো,,,,

“এবার আমি আসি….কাল ডিউটি আছে খুব ভোরে।”

“সিওর…..আমিও এলাম।”

প্রান্তিক আর আহেলি একে অপরকে বিদায় জানিয়ে যে যার গন্তব্যে এগিয়ে গেলো।রাস্তার পাশে নিজের প্রাইভেট গাড়ি থেকে পুরো বিষয়টা দেখলো ঋষভ…..ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে ড্রাইভারের উদ্দেশ্যে বললো,,,,

“আপনাকে টাকা দিচ্ছি…আপনি ট্যাক্সি ধরে বাড়ি ফিরে যান।কাল ঠিক সময়ে চলে আসলেই হলো।”

ঋষভ এর কথামতো টাকা নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে গেলো ড্রাইভার….ঋষভ নিজে গাড়ি থেকে নেমে পেছনে থাকা সিকিউরিটি কারকে বললো ওকে যেনো এখন ফলো না করা হয়।ঋষভ নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে পরলো…..একবার বড়ো রাস্তার মোড়ের দিকে তাকিয়ে গাড়িতে স্টার্ট দিলো ঋষভ।

গঙ্গার ঘাটের একটা সিঁড়িতে বসে ঋষভ গঙ্গার দিকে তাকিয়ে আছে একদৃষ্টে…..এদিকটায় তেমন কেউ আসে না।ঋষভ এর ফোনটা হঠাৎই বেজে ওঠায় সেটা রিসিভ করলো….একজন মন্ত্রী ফোন করেছে।

হ্যাঁ স্যার বলুন।

তুমি কোথায় ঋষভ?সিকিউরিটি আর ড্রাইভার ছাড়া কোথায় গেছো?

তেমন কোথাও না স্যার….কাছেই আছি।

হ্যাভ ইউ এনি আইডিয়া এভাবে সিকিউরিটি ছাড়া তোমার কি হতে পারে?ইলেকশনের আগে এরকম একটা কাজ করার কি মানে?

আমার কিছু হবে না স্যার….আপনি চিন্তা করবেন না।

আমি এতকিছু জানতে চাই না ঋষভ….তুমি এক্ষুনি বাড়ি ফিরে এসো।আমি চাই না তোমার জন্য আমার পার্টিতে কোনো ঝামেলার সৃষ্টি হোক।

ওকে স্যার।আমি ফিরে যাচ্ছি…..।

সেটাই ভালো হবে তোমার জন্য….আর হ্যাঁ তুমি কিন্তু পুরো বিষয়টা নিজের হাতে হ্যান্ডেল করবে কাল।আমাদের কারোর নাম যেনো না আসে….ইলেকশনের আগে আমি কোনোরকম অশান্তি চাই না।

আই নো স্যার….আপনি ভালো করেই জানেন দলের প্রতি আমার মনোভাব।তাই বারবার একই কথা বলার দরকার নেই….যে কাজটা দিয়েছেন সেটা আমি অবশ্যই করবো স্যার।কিন্তু আমার লাইফটা যে এলোমেলো হয়ে গেলো….।

ওহ কাম ওন ঋষভ…..এসব কথা ছাড়ো।ইলেকশনের পর যখন তুমি একটা পদ পাবে তখন দেখবে এসব কথা মনেই থাকবে না।

ঋষভ মৃদু হেসে বললো,,,,

তাই যেনো হয় স্যার।আমি সবটা ভুলে থাকতে পারি…..।

চলবে……