#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_11
.
.
.
.
তিশা : আমি একজন মানুষ তো তাই আমার চোখের সামনে একজন মানুষ যদি রক্তাক্ত হয়ে বসে থাকে তাহলে আমার উচিত তাকে সাহায্য করা তাই না…. তাই আপনি এটা ভাববেন আপনাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি বলে আপনাকে আমি কেয়ার করছি….. যে কেউ হলেও আমি এটাই করতাম এটা যদি কোনো রাস্তার মানুষ হতো তাও করতাম…..
আবির : আমি তো একবারও বলে নি তুমি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছো….. আর আমি জানি তুমি আমাকে ঘৃনা করো কোনো দিন হয়তো আমাকে ভালোবাসবেই না….. তাই আমাকে নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না তুমি বরং এটা চিন্তা যারা রাস্তার মাঝে যারা রক্তাক্ত হয়ে বসে আছে তাদের কাছে গিয়ে ওদেরকে সাহায্য করো আমার তোমার সাহায্যের কোনো দরকার নেই…..
আবির ওয়াসরুমে চলে যায় ফ্রেস হওয়ার জন্য…. আবিরের কথাগুলো সব তিশার মাথার উপর দিয়ে গেলো….
তিশা : একটা ধন্যবাদ পর্যন্ত দিলো না…. কি আজব লোক….
সারাদিন আবির বাড়িতে থাকে অফিসের সকল কাজ করে….. আর অন্য দিকে রবিন রাগে ফুসছে আর এটা ভাবছে কি করলে ওর শরীরের রক্ত ঠান্ডা হবে….
রবিন : তকে আমি ছাড়বো না আবির কিছুতেই না খুব শখ না তিশার ভালোবাসা পাওয়ার তর শখ আমি মিটাছি এমন কাজ করবো যে যাতে করে তিশা তকে আরও বেশি ঘৃনা……
রাতে……
তিশা ওয়াশরুম থেকে এসে দেখে আবির বিছানায় হেলান দিয়ে শুয়ে শুয়ে ফোন টিপছে আর হাসছে…….
তিশা : ( কি এমন ফোনে দেখছে রে বাবা যে ৩২ ফাটি দাত ভাসিয়ে হাসছে)
আবির তিশার দিকে তাকাতেই তিশা মুখ ভেংচি কেটে চলে যায় ড্রেসিং টেবিলের কাছে….. তিশা চুল আছড়াছে আর আয়নার ভিতরে আবিরের দিকে তাকাচ্ছে….
তিশা : ( ব্যাপার কি সকালের ওই ঘটনার পর থেকে তো বজ্জাতটা আমাকে আর জ্বালচ্ছে না)
তিশা আবিরের কাছে যায়….
তিশা : উঠুন….আমি ঘুমাবো
আবির : ঘুমাও… না করছে কে তোমাকে??
তিশা : মানে আপনি না উঠলে আমি ঘুমাবো কি করে??
আবির : আমি আজ থেকে আমার খাঠে ঘুমাবো….
তিশা : তাহলে আমি কোথায় শুবো??
আবির : এটা আমি কি জানি?? আমি তো আমার এত সুন্দর নরম তুলতুল বিছানা ছেড়ে সোফাতে শুতে পারবো না তাই তুমি বরং একটা কাজ করো সোফাতে গিয়ে ঘুমাও…..
তিশা : হ্যা….
আবির : হ্যা না হুম… যাও গিয়ে ঘুমিয়ে পড় আমিও ঘুমিয়ে পড়ি…
তিশা : কিন্তু আমি সোফাতে ঘুমাতে পারি না….
আবির : এটা তোমার প্রবলেম আমার না…. আর সোফাতে ঘুমাতে যদি এতই প্রবলেম হয় তাহলে আমার পাশে এসে শুয়ে পড়ো…. আমি তো এতটাও মোটা না যে সারা বিছানা দখল করে আছি….
তিশা : আপনার পাশে আমি শুবো ইমপসিবল…..
আবির : ঠিক আছে শুতে হবে না তোমাকে আমার পাশে….. এখন তুমি যাও তো এখান থেকে আমার কানের কাছে এসো এত কথা বলো না আমাকে একটু ঘুমাতে দাও এমনি আমি অসুস্থ তাই আমাকে টাইম মতো ঘুমাতে হবে………
তিশা আর কিছু না বলে চুপচাপ গিয়ে সোফাতে শুয়ে পড়ে…. আবির উকি দিয়ে দেখে তিশা সোফাতে ভালো করে শুয়ে ঘুমাতে পড়ছে না শুধু এপাশ ওপাশ করছে…..
আবির : ( জানি তুমি সোফাতে ঘুমাতে পড়বে না আমি যদি ভুল ভেবে না থাকি তাহলে তুমি আজকে আমার পাশেই ঘুমাবে জান এখন শুধু অপেক্ষার পালা)
তিশা শুয়া উঠে বসে দেখে আবির শান্তিতে ঘুমাচ্ছে…
তিশা : ( শালা বজ্জাতের বাচ্চা আজকে তর জন্য শান্তিতে একটু ঘুমাতেও পারছি না আমি জানি তো এটা তুই ইচ্ছে করে করেছিস যাতে আমি শান্তিতে ঘুমাতে না পারি নিজে তো খুব আরাম করে ঘুমাচ্ছে ইচ্ছে তো করছে তর উপর পানি টেলে দেই যাতে ঘুমাতে না পারিস……. আচ্ছা একটা কাজ করলে কেমন হয় এখন গিয়ে বিছানাতে শুয়ে পড়ি পরে সকাল হওয়ার আগেই সোফাতে এসে শুয়ে পড়বো তাহলে তো বজ্জাতটা বুঝতেই পারবে না আমি সোফাতে ঘুমিয়েছি নাকি খাঠে তিশা তর বুদ্ধির তুলনা হয় না )
তিশা সোফা থেকে আস্তে আস্তে করে উঠে পা টিপে টিপে আবিরের কাছে গিয়ে আবিরের মুখের উপরে হাত নাড়িয়ে দেখে আবির জেগে আছে কি না….
তিশা : ( পুরা গভীর ঘুমে আছে ঘুমা ঘুমা ভালো করে ঘুমা)
তিশা আস্তে আস্তে বিছানাতে শুয়ে পড়ে…… অন্য দিকে আবির বুঝতে পারে যে তিশা ওর পাশে এসে শুয়েছে….. আবির এতক্ষন ঘুমের ভান ধরে শুয়ে ছিল….. তিশা শুতে না শুতেই ঘুম আবির তাকিয়ে দেখে তিশা ঘুমে কাতর হয়ে গেছে…..তিশার মুখে উপর পড়ে থাকা ছোট চুল গুলো আস্তে আস্তে করে সরিয়ে দেয়….
আবির : ( একদিন না একদিন তুমি আমাকে ঠিক ভালোবাসবেই সুইটর্হাট সেই দিনটা বেশি দুরে নেই আজকে সকালে আমাকে ওই অবস্থায় দেখে তোমার চোখ মুখ দেখে বুঝতে পেরেছি তোমার মনে আমার জন্য কিছুটা হলেওফিলিংস তো অব্যশই আছে কিন্তু সেটা হয়তো তুমি বুঝতে পারছো না…..একদিন তুমি ঠিকেই বুঝতে পারবে তখন তি তুমি আমার কাছে আসবেই)
আবির তিশার কপালে একটা কিস করে তিশার ডান হাতটা জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে……
সকালে তিশা বুঝতে পারে ওকে কেউ জড়িয়ে ধরে আছে তিশা আস্তে আস্তে করে চোখ খুলে তাকিয়ে যা দেখে তাতে তিশার চোখ কপালে….. আবির তিশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে তিশা আবিরের কাছ থেকে ছুটার অনেক চেষ্টা করছে যত তিশা ছুটার চেষ্টা করছে তত আবির তিশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরছে….
তিশা : এই যে শুনছেন ছাডুন আমাকে….. উফফ এতো দেখা যায় কুম্ভকর্নের মতো করে ঘুমাচ্ছে….. কোনো কথাই কানে যাচ্ছে না যত ডাকছি তত ঘুমাচ্ছে….. আরে ভাই ছাড় আমাকে একটু ধ্যাত অসহ্য
তিশার চোখ যায় আবিরের মুখের দিকে বাতাসের কারনে আবিরের ছোট ছোট চুল গুলো কপালে এসে পড়ছে…… আবির ছোট বাচ্চাদের মতো করে তিশাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে….,.. আবিরের দিকে তাকিয়ে তিশা অজান্তেই ঠোটের কোনে হাসি ফুটে ওঠে তিশা আস্তে আস্তে করে আবিরের কপালে পড়ে থাকা চুল গুলো সরিয়ে দেয় তিশা চুল সরিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে আবির চোখ মেলে তাকায়…… তিশা সাথে সাথে নিজের হাতটা নিয়ে আসে….
আবির : কি করছিলে??
তিশা : কই কিছু করছি না তো ছাড়ুন আমাকে….
আবির : তুমি তো সোফাতে শুয়ে ছিলে রাতে তাহলে এখানে আসলে কি করে??? ( দু ভ্রু নাচিয়ে)
তিশা : ( এই রে এখন কি বলি ধ্যাত)
আবির : কি হলো বলো???
তিশা : আগে ছাড়ুন আমাকে তারপর বলছি….
আবির : না আগে বলল তুমি এখানে কখন এসেছো??? আচ্ছা তুমি কি আমার সাথে একসাথে থাকার জন্য এখান এসে শুয়েছো…..
তিশা : কি??? আপনার সাথে আমি শুয়ার জন্য এসেছি বয়ে গেছে আমার বুঝলেন…..
আবির : তা তো দেখতেই পাচ্ছি….. কে এখানে এসে শুয়েছি????
তিশা : এই ছাড়ুন তো আমাকে…..
আবির : ছাড়বো না কি করবে তুমি???
তিশা : কি করবো তাই না?? ঠিক আছে কি করছি দেখাচ্ছি…..
তিশা আবিরের হাতে কামড় বসিয়ে দেয় আবির তিশাকে ছেড়ে দিতেই তিশা উঠে পড়ে…..
আবির : আরে এটা তুমি কি করলে????
তিশা : ভালো করে বলেছিলাম ছেড়ে দেওয়ার জন্য তখন তো ছাড়লেন না…… তাই কামড় দিলাম…
আবির : উফফ আজকে সকালে এমন একটা গিফট পাবো ভাবতেই পারি নি….
তিশা : গিফট কিসের গিফট??
আবির : এই তো এই মাএ তো গিফটা তুমি আমাকে দিলে আমাকে ….. তোমার দেওয়া লাভ বাইট
তিশা : হোয়াট?? আমি কখন লাভ বাইট দিলাম আপনাকে??? আমি তো আপনাকে কামড়….. ( কামড় কথাটা বলে থেমে যায়)
আবির : হে কামড় এটাই হলো লাভ বাইট আমার বউয়ের দেওয়া প্রথম ভালোবাসার চিহ্ন…..
আবির তিশার কামড় দেওয়ার জায়গাতে একটা কিস করে…..
তিশা : আপনি সত্যিই একটা পাগল……
তিশা আর কিছু না বলে ওয়াসরুমে চলে যায়…..
আবির : হে আমি পাগল শুধু তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য পাগল ….. ( জোরে)
তিশা ওয়াসরুমে ডুকে আবিরের এসব কান্ড মনে করছে আর হাসছে….
তিশা : সত্যিই একটা পাগল লোক……
#চলবে