#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_17
.
.
.
.
আবির বসে আছে রবিনের মুখোমুখি….. চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে রবিনের দিকে আবিরের মুখের চোয়াল শক্ত করে আছে আর হাতে পিস্তল….
রবিন : তুই তাহলে বেচেই গেলি তাই তো…..
আবির : তুই কি ভেবেছিলি আমি মরে যাবো…..
রবিন : তর জানটা সত্যি কই মাছের জান দু দুটো গুলি খাওয়ার পরেও তুই বেচে গেলি……
আবির একটা হাসি দিয়ে বলে….
আবির : ঠিকেই বলেছিস আমার জান কই মাছের জান…… কিন্তু তর জানটা কি কই মাছের জান নাকি চিড়িং মাছের জান তুই যেটা বলবি আমি সেটাই মেনে নিবো…..
রবিন : হাতের বাধন তো খুলে দেখ আমার কই মাছের জান নাকি চিড়িং মাছের জান…..
আবির : তুই কি আমাকে বোকা ভাবছিস নাকি যে তর মতো একটা জানোয়ারের হাতের বাধন খুলে দিবো….. তুই কি করে আমার শশুড়ের গায়ে গুলি করতে চেয়েছিলি হুম( রবিনের গলাতে পিস্তলটা ধরে) ভ্যাগিস আমি ওই রেস্টুরেন্টে ছিলাম তাই গুলিটা আমার গায়ে লাগে কিন্তু আমি জানি যখন তুইজানতে পারিস গুলি আমার গায়ে লেগেছে তখন তুই আবার আর্ডার করিস আমাকে আবার গুলি করার জন্য যাতে আমি মরে যাই…..
রবিন : হে আমি সেটাই চেয়েছিলাম যাতে তুই চিরতরে এই দুনিয়া থেকে চলে যাস কিন্তু তুই বেচে গেলি…… আমি জানি তুই হয়তো এখন আমাকে গুলি করবি…..
আবির : তর মতো জানোয়ারকে মেরে আমি আমার হাত নোংরা করবো না তাকে আমি বাচিয়ে রাখবো তবে তুই যাতে আর কিছু না করতে পারিস তার জন্য আমার কাছে অন্য ব্যবস্থা…. অবশ্য আমার গায়ে গুলিটা লেগে ভালোই হয়েছে আমার শশুর আমাকে মেনে নিয়েছে…..
রবিন : তিশাও কি তকে মেনে নিয়েছে ……
আবির : সেটা তকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না…. তকে বরং অন্য কিছু শুনাই
আবির ইশারা করে সব গার্ডদের ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে……
সোহেল : কিন্তু স্যার ও যদি কিছু করে বসে……
আবির : কিছু করার সুযোগ নেই ওর তাই তোমরা সবাই বাইরে গিয়ে গার্ড দাওও….
সোহেল : ওকে……
রবিন : সবাইকে ঘর থেকে বের করে দিলি কেন???
আবির : তর আর আমার মাঝে একটা গোপন কথা বলার আছে যেটা অন্য কেউ শুনতে পারবে না…..
রবিন : গোপন কথা কিসের গোপন কথা??? তর আমার মাঝে কোনো গোপন কথা থাকতে পারে না….
আবির একটা তাচ্ছিল্য হাসি দেয়…..
আবির : আছে রে আছে সেই গোপন কথাটা শুধু আমিই জানি…. আচ্ছা তর মনে আছে এই এলাকার নাম করা সচিব ঈফরান খানের কথা ওর ছোট কিভাবে মারা গেছেন তর কথা …..
রবিন : হঠাৎ এই কথা বললি কেন??? ( গলা ধরে)
আবির : আরে ঈফরান খানের কথা শুনে তর গলা আটকে আসছে না জানি ওইটা দেখার পর তর কি অবস্থা হবে…..
রবিন : কি বলতে চাস তুই??? খুলে বল….
আবির : এসি চালিয়ে দিবো তুই দেখা যায় খুব ঘামচ্ছিস….
রবিন : তুই যা বলতে চাস সেটা বল…..
আবির : ঠিক আছে তাহলে তুই এই ভিডিওটা দেখ……
আবির একটা ভিডিও প্লে করে রবিনের সামনে ধরে রবিন ভিডিওটা দেখে ওর হালুয়া টাইট হয়ে যায় মাথার উপর মনে হচ্ছে যেন পুরা আকাশে ভেঙ্গে পড়েছে সারা শরীর ঘেমে যাচ্ছে ভয়ে রবিন ভাবতেই পারছে না আবিরের কাছে এই ধরনের ভিডিও কি করে আসতে পারে …..
আবির : কি??? এখন যদি এটা আমি ভাইরাল করে দেই তাহলে তর কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছিস…..
রবিন : তুইএই ভিডিও কোথায় পেয়েছিস বল আমাকে????
আবির : এক বছর ধরে এই একটা কেস চলছে কিন্তু কেউ জানে না যে সচিব ঈফরান খানের ছোট মেয়েকে কে এভাবে মেরেছে?? কিন্তু সেটা আমি জানি কে করেছে…… আসলে তুই মার্চের ১ম দিকে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে গিয়েছিলি আর তখনেই তুই ঈফরান খানের ছোট মেয়েকে ধরে নিয়ে যাস কিন্তু গিয়েছিলি কোথায় জানিস আমার পুরাতন কারখানাতে যেখানে একটা সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিলো……. সেখানে গিয়ে তুই ফুলের মতো মেয়েটাকে নির্যাতন করিস আর যখন জ্ঞান ফিরে তখন কিছু বুঝে উঠতে পারিস নি তাই মেয়েটাকে মেরে জঙ্গলে ফেলেদিয়েছিস…..
রবিন : প্লিজ আবির তুই এমন কিছু করিস না তাহলে আমি শেষ…. আমি তর সব কথা শুনে চলবো কিন্তু তুই প্লিজ এই ভিডিওটা কাউকে দেখাস না…..
আবির : ঠিক আছে দেখাবো না তার বদলে আমি পাবো…..
রবিন : যা চাস আমি তাই দিবো আমার সম্পত্তি আমি তর নামে লিখে…..
আবির : তর সম্পত্তির প্রতি আমার কোনো লোভ নেই আল্লাহর রহমতে তর থেকেও আমার অনেক আছে তবে এটা আমি তর কাছে চাই তিশার আশে পাশে তুই যাবি না যদি যাস তাহলে আমি
রবিন : না না আমি এমন কিছু করবো না কথা দিলাম তকে……
আবির : আমি তকে আজকে ছেড়ে দিলাম ছাড়া পাওয়ার পর কেউ যেন জানতে না পারে তুই এত দিন কোথায় ছিলি??? আর একজন ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করবি……
আবির ঘর থেকে বের হয়ে যায়……. রবিনে রাগে ফুসছে শুধু
রবিন : (কাজটা তুই ঠিক করলি না আবির রহমান এক দম ঠিক করলি না তকে আমি দেখে নিবো শুধু একবার ওই ভিডিও টা আমি হাতে পাই তারপর তর বারোটা আমি বাজাবো)
আবির : ওকে ছেড়ে দাও…..
সোহেল : কিন্তু স্যার…..
আবির : আমি যখন বলছি তার মানে ছেড়ে দিবে ওকে…..
সোহেল : ওকে তোমরা গিয়ে ছেড়ে দাও ( অন্য গার্ডদের বলে)
আবির : চলো এখন……..
অন্য দিকে তিশা বসে ভাবছে কি করে আবিরের কাছে যাওয়া যায়……
তিশা : শালা থুক্কু শালা হবে বজ্জাতটা আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে তাই তো ঠিক আছে এমন কিছু একটা করবো যেটা দেখে ওর চোখ কপালর উঠে যাবে…… কিন্তু কি করবো আমি????? হুম আইডিয়া পেয়েছি কিন্তু আমি তো এটা করতেই পারবো না একা একা নিসাকে বরং ফোন করে আসতে বলি…….
তিশা নিসাকে ফোন করে আসতে বলে….. নিসাও কিছুক্ষন পরে চলে আসে
নিসা : আপু এত তাড়াতাড়ি আসতে বললে কেন???
তিশা : তকে আমায় একটা হেল্প করতে হবে???
নিসা : কিসের হেল্প???
তিশা : আমাকে শাড়ি পড়িয়ে দিতে হবে…..
নিসা : কিহ???? তুমি শাড়ি পড়বে হঠাৎ কার জন্য ভাইয়ার জন্য তাই না বুঝতে পেরেছি সামথিং সামথিং……
তিশা : এই তুই চুপ করবি…… যেটার জন্য তকে আনা হয়েছে সেটার দিকে মন দে…….
নিসা : ঠিক আছে……
এই দিকে আবির আস্তে আস্তে করে মই ভেয়ে ঘরের ভিতরে ডুকে ফ্রেস হওয়ার জন্য ওয়াসরুমে যায়….. তিশা শাড়ী পড়ে আস্তে আস্তে করে আবিরের ঘরের দিকে যায়…..
তিশা : উফফ মনে হচ্ছে যেন শাড়িটা এখনেই খুলে যাবে ওই নিসাটা একটু ভালো করে পড়াতে পড়লো না ধুর ওর কি দোষ ও শাড়ি ঠিক করেই পড়িয়েছে আমি সামলাতে পড়ছি না শাড়ি তার জন্য এই অবস্থা……
তিশা আস্তে আস্তে দরজাটা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ভিতরে উকি দিয়ে দেখে আবির নেই…… তিশা ঘরের ভিতরে ডুকে
তিশা : গেলো কই বজ্জাতটা?????
আবির ফ্রেস হয়ে বের হয়ে তিশাকে দেখে বড় ধরনের একটা ক্রাস খায়……
নীল কাতান শাড়িতে তিশাকে খুব সুন্দর লাগছে চুল গুলো বাতাসে উড়ছে….. হাত ভরতি নীল চুড়ি চোখে কালো কাজল ঠোটে গাঢ় লাল লিপস্টিক মুখে হালকা মেকাপ….. আবির তো তিশার কাছ থেকে চোখ ফিরাতেই পারছে না…,
#চলবে