মিশে আছি তোমাতে পর্ব-২৫

0
3657

#মিশে_আছি_তোামতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_25
.
.
.
.

সন্ধ্যা থেকে তিশার সাথে আবিরের আর যোগাযোগ হচ্ছে না তাতে তিশার মেজাজটা গরম হয়ে যায়……

তিশা : ওনার এতো ভাব কেন হুম কি ভাবে কি নিজেকে এখন তো জানতে পেরেছে‌ যে ওনার কিছু হয়নি তাহলে এখন আমকে ইকনোর করছে কেন…..

তিশা আলমারি খুলে দেখে একটা পেকেট তিশা পেকেটটা হাত নিয়ে দেখে পেকেটের উপরে একটা কাগজ যেটা লেখা “”এটা পড়ে তাড়াতাড়ি নিচের ঠিকানাতে চলে আসো তোমার জন্য অপেক্ষা করছি আর নিচে ড্রাইভার অপেক্ষা করছে তোমার জন্য ও তোমাকে আমার কাছে পৌছে দিবে “”তিশা তাড়াতাড়ি করে ওয়াশরুমে ডুকে রেডি হয়ে নেয় তিশা আজকে‌ নিজেকে পুরোপুরি আবিরের জন্য সাজাচ্ছে তিশা আয়নাতে নিজেকে দেখে লজ্জায় লাল হয়ে যায় লজ্জা দু হাত‌ দিয়ে নিজের মুখটা ডেকে ফেলে…….

তিশা রেডি হয়ে নিচে গিয়ে দেখে গাড়ি দাড়িয়ে আছে তিশা গাড়িতে উঠে আবিরের ঠিকানাতে আসে……তিশা গাড়ি থেকে নেমে আবাক হয়ে যায় বাগান বাড়িটা দেখে চারিদিকে ফুলের গাছে ভরা…… তিশা গেইট খুলে ডুকে মাটিতে তাকিয়ে দেখে ফুলের লাইন তিশা ফুলের লাইনের উপরে দিয়ে হেটে যায়‌…….তিশা বাড়ির ভিতের ডুকে দেখে সবকিছু অন্ধকার তিশা কিছুটা ভয়ে পেয়ে যায় কিন্তু আবিরের ছোয়া পেয়ে তিশার ভয়টা দুর হয়…..

আবির : ভয় পেয়ো না আমি আছি তো তোমার সাথে….

তিশা কানে ফিসফিসিয়ে বলে তাতে তিশা সারা শরীর শিহরিত হয়ে ওঠে…. কিছুক্ষন পরেই সারা ঘর আলোতে ভড়ে উঠে তিশা চারিদিকে তাকিয়ে দেখে সুন্দর করে ঘরটা সাজানো ঘরের ঠিক মাঝকে একটা টেবিল রাখা যেটা উপরে রাখা আছে কাপল ডিনার সেট….. কিন্তু এই দিকে আবির তো তিশার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে…. কালো শাড়িতে তিশাকে ভীষন সুন্দর লাগছে চোখে ঘন কাজল ঠোটে হালকা লিপস্টিক মুখে হালকা মেকাপ গালাতে ছোট একটা নেকলেস দু হাতে কালো চুড়ি চুলগুলো ছাড়া যা বাতাসে খেলা করছে….. বাতাসের কারনে তিশা পেটের শাড়িটা সরে গেছে যেটা আবিরকে তিশার দিকে আরও বেশি টানছে….. তিশা আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির ওর দিকে তাকিয়ে আছে যা দেখে তিশা ভীষন লজ্জা পায় গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে গেছে…..

তিশা : এসব কি???

তিশার কথায় আবিরের ঘোড় কাটে…..

আবির : এসব আমার মিষ্টি বউয়ের জন্য…..

আবির তিশাকে ধরে নিয়ে চেয়ারে বসায়….

আবির : এবার বলো সারপ্রাইজটা পছন্দ হয়েছে…

তিশা : ভীষন….

আবির : ঠিক আছে তাহলে খাও…. আর এই নুডুলসটা আর পায়েসটা কিন্তু আমি নিজ হাতে রান্না করেছি…

তিশা : তাই বুঝি…

আবির : হুমমমম….

তিশা : তা এগুলো রান্না করার জন্য এত সময় কোথায় পেলেন….

আবির : বউয়ের জন্য একটু সময় বের করে নিতে হয়…. আচ্ছা এবার তুমি খাও…

তিশা : হুমমম…..

তিশা নুডুলস মুখে নিতেই চোখ গুলো বড় বড় করে ফেলে….

আবির : কি হলো কেমন হয়েছে???

তিশা : হুম খুব মজা হয়েছ ইচ্ছে করছে তো সবটা খেয়ে নেই….

আবির : ঠিক আছে তাহলে আমাকে একটু দাওওও

তিশা : না না আপনাকে খেতে হবে ন আমি সবটা খাবো….

আবির মনে মনে চিন্তা করে‌ তিশা নুডুলস আবিরকে কেন খেতে দিছে তার মাঝে অবশ্যই কোনো ব্যাপার আছে… আবির তিশার কাছ থেকে ইচ্ছে করে নুডুলসের বটিটা নিয়ে আবির নুডুলস মুখে দেয়…. নুডুলস মুখে দিতেই আবিরের যায় যায় অবস্থা….. আবির তাড়াতাড়ি করে নুডুলস মুখে থেকে ফলে দেয়….

আবির : ছিহ কি বাজে খেতে আর তুমি বলছো খুব মজা হয়েছে…..

তিশা : আপনি এত কষ্ট করে আমার জন্য রান্না করেছেন আর সেটা কি করে খারাপ বলি বলুন….

আবির : তারপরও তোমার বলার দরকার ছিলো এখন যদি তোমার শরীর খারাপ হয় তাহলে কি হবে বলো তো….

তিশা : আরে কিছু হবে না আমার…..

আবির : না জানি এই‌ পায়েসটা খেতে কেমন হয়েছে সব তো আমি ইউডোব দেখে বানিয়েছি তারপরও ভালো হয় নি…..

তিশা : আচ্ছা আমি পায়েসটা খেয়ে দেখি….

আবির : এই না না তোমাকে খেতে হবে না আমি খাচ্ছি…..

আবির ভয়ে ভয়ে একটু পায়েস মুখে দিয়েই‌ থুতু মেরে ফেলে দেয়….

আবির : ছিহ কি লবন মনে হচ্ছে সব লবন আমি পায়েসে দিয়ে দিয়েছি….

তিশা : হা হা হা….. আচ্ছা আপনি যেটা পারেন না সেটা কতে গিয়েছিলেন কেন বলুন তো….

আবির : তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য এখন নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে যাচ্ছি আমার রান্নার স্বাদ দেখে……

আবির তিশা ডিনার করে ঘরে যায় তিশা ঘরে ডুকে তো ভীষন আবাক হয়… সারাঘর তিশার পছন্দের সব ফুল দিয়ে সাজানো গোলাপ‌ বেলি রজনীগন্ধা‌ ফুলের সুভাষে সারা ঘর মেতে উঠেছে…. তিশা সব ফুলের ঘ্রান নিচ্ছ প্রান ভরে….

আর এই দিকে আবির দরজা লাগিয়ে তিশাকে এসে পিছন থেকে ঝাপটিয়ে ধরে হঠাৎ করে আবির তিশাকে ধরাতে তিশা ভয় পেয়ে যায়….. আবিরের ছোয়াতে তিশার শরীরের সব লোম দাড়িয়ে গেছে…..

আবির : জান জায়গাটা পছন্দ হয়েছে ….

তিশার কানের কাছে আবির ফিসফিসিয়ে বলে কথাটা তাতে যেন তিশা আরও পাগল হয়ে যাচ্ছে তিশার গলা দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না গলা শুকিয়ে আসছে…. আবির তিশার কাধে নিজের মুখ রাখে

আবির : তোমাকে আজকে নিজের করে পেতে চাই সেই‌ পাওয়ার অধিকারটা কি তুমি আজকে আমাকে দিবে…..

তিশার নিরবতা দেখে আবির বুঝতে পারে তিশার মনে কি চলছে…. আবির শক্ত পিছ থেকে জড়িয়ে ধরে….. তিশা আবিরের হাতের উপর নিজের হাত রাখে….. আবির তিশার গাড় থেকে চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে তিশার গাড়ে ডিপ কিস করে…. তিশা নিজের শাড়ি আখড়ে ধরে আবির তিশাকে নিজের দিকে ফিরায় তিশা লজ্জায় নিজের দিকে তাকিয়ে আছে তিশা তো লজ্জায় লাল নীল গোলাপি সব হয়ে গেছে….. আবির তিশার থুতনি ধরে তিশার মুখ উপরে তুলে‌ তিশা চোখ বন্ধ করে আছে আবির তিশার কপালে কিস করে তিশা চোখ মেলে তাকায়…. আবির তিশার মুখের উপর পড়ে থাকা চুল সরিয়ে দেয় আবিরের নজর যায় তিশার গোলাপি ঠোটের দিকে আবির আস্তে আস্তে করে তিশার ঠোটের দিকে এগিয়ে যায় তিশাকে কিস করতে যাবে সাথে সাথে জোরে একটা বাজ পড়ে যেটাতে তিশা ভয় পেয়ে আবিরকে জড়িয়ে ধরে আবিরের বুকে মুখ লুকায় আবিরও তিশাকে জড়িয়ে ধরে…..

আবির : জান ভয় পেয়ো না আমি আছি তো……

আবির তিশাকে আচমকা কোলে তুলে নিয়ে তিশাকে বিছানাতে রেখে আবির ঘরের সব জানলা বন্ধ করে দেয় বাইরে বৃষ্টি হওয়ার কারন আবির তিশার কাছে এসে বসে…..

তিশা : আমাদের এখন বাড়িতে যাওয়া দরকার…..

আবির তিশার ঠোটে আঙুল রেখে বলে….

তিশা : শিসসসস…. আজকে কোনো কথা কোনো কথা হবে আজকে শুধু ভালোবাসে যে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য এত দিন অপেক্ষা করছি প্লিজ এখন আর আমাকে কষ্ট দিও না অনেক দিন সহ্য করেছি কিন্তু এখন আর পারবো না সহ্য করতে….

আবির তিশাকে বিছানাতে শুয়েই দেয় তিশা নিজের চোখ বন্ধ করে রাখে তিশা জানে আজকে আবির ওকে এক সুখের রাজ্যে নিয়ে যাবে যে রাজ্যে শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা আছে…..আবির তিশা গলাতে মুখে গুজে গলাতে কিস করতে থাকে তিশা আবিরের মাথা আগড়ে ধরে….. আবির নিজের বুড়ো আঙুল দিয়ে তিশার ঠোট স্লাইড করে তিশা ঠোটের সাথে ঠোট মিলিয়ে দেয়…. আবির তিশার হাত চেপে ধরে তিশাও আবিরের মাথা আগড়ে ধরে প্রায় কিছুক্ষন পরে আবির তিশার কাছ থেকে দুরে সরে আসে তিশা তো লজ্জায় লাল হয়ে গেছে আবির একটা মুচকি হাসি দিয়ে তিশার ঠোট ছোট করে আবার কিস করে‌….. আবির তিশাকে নিজের উপরে তুলে‌ নিয়ে তিশার ব্লাউজের ফিদা গুলো গুলে দিয়ে তিশাকে আবার ওর নিজে ফেলে দেয় আবির তিশার বুক থেকে শাড়ি আচলটা সরাতেই তিশার সারা শরীর অন্য রকম একটা শিহরন ভেসে যায়….. রাত যত বাড়ছে ততই আবির তিশাকে নিজের করে নিছে এক এক করে সব আবরন সরে যাচ্ছে…… আবির আর তিশার ভালোবাসার এই সুন্দর রাতটা সাক্ষী হয়ে রয়ে গেল এই‌ বৃষ্টি আর দুর আকাশে ওই চাদটা……

সকালে দুটো উনমুক্ত দেহ একে ওপরকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে….. তিশার ঘুম ভেঙ্গে যায় আগে তিশা আবিরের দিকে তাকিয়ে থেকে আবিরের কপালে কিস করে উঠে আসতে চাইলে আবির তিশাকে টান দিয়ে নিজের বুকে এনে ফেলে এতে তিশা ভীষন আবাক হয় …..

তিশা : আপনি এতক্ষন জেগে ছিলেন…..

আবির : হুম….

তিশা : তাহলে না উঠে এভাবে ঘুমের ভান করে শুয়ে ছিলেন কেন???

আবির : যদি ঘুমের ভান করে না শুয়ে থাকতাম তাহলে সকাল সকাল বউয়ের কাছ থেকে আদর পেতাম বলো…..

তিশা : আচ্ছা ঠিক আছে ছাড়ুন আমাকে উঠতে হবে….

আবির : আর একটু থাকো না কাছে….

তিশা : সারা রাত অনেক জ্বালিয়ে ছিলেন এবার ছাড়ুন…..

আবির : আবার একটু জ্বালাই…..

তিশা : এই‌ একদম না…..

আবির তিশাকে জোরে আবার লিপ কিস করে ফেলে….. তিশা আবিরের কাছ থেকে খুব কষ্ট করে মুক্তি পেয়ে উঠে দাড়ায়…..

তিশা : এটা আপনি কি করলেন???

আবির : কি করলাম….

তিশা : আপনি ব্রাশ না করে আামকে কিস করলেন ছিহ আপনি আসলে একটা বাজে……

তিশা এই কথাটা বলে ওয়াসরুমে চলে যায়…..

আবির : যা ভাবা ব্রাশ না করে কিস করলে কি এমন ক্ষতি হলো রে বাবা….. ( ইনোসেন্ট হয়ে কথাটা বলে)

#চলবে