#রইলো_তোমার_নিমন্ত্রণ।
[২২]
রাতের শহরে বাইক নিয়ে ঘুরে ঘুরে একটা বাড়ি খুঁজে যাচ্ছে আরাভ। আর টি প্লাজার ওনার আসলাম খানের বাড়ি খুঁজে পেতে এতটা কষ্ট হবে সেটা বুঝতে পারেনি। এতবড় বিজনেসম্যান এর বাড়ি খুঁজতে তাকে এত কাঠখড় পুড়াতে হবে ভাবেনি। উত্তরার সাত নং সেক্টরে এসে একটা ছেলেকে আসলাম খানের বাড়ি কথায় জিগ্যেস করতেই সে বলল এই নামে কাউকেই চিনে না। আরাভ ব্যর্থ আর হতাশাগ্রস্থ মন নিয়ে বাইকে উঠে বসে। সমনের রাস্তা বরারব অনেকটা পথ এগিয়ে যায়। মনে মনে ভাবে, তবে কি শেষ পর্যন্ত ডেথ এর জয় হবে।হেরে যাবে আমাদের এতগুলো মানুষের এতদিনের পরিশ্রম। না ডেথ কিছুতেই জিততে পারেনা। তবে যে শেষ হয়ে যাবে আমাদের দেশ। এই দেশের গোপন তথ্য যদি অন্য কোন দেশে বিক্রি করে দেয় তাহলে আমাদের দেশ আবার অন্যদেশের গোলামি করবে। এই দেশের মানুষের উপর আবার শুরু হবে অন্যায় অত্যাচার শোষণ। এমনিতেই নীলকররা আমাদের কম অত্যাচার করেনি। তাহলে এবার কি করা উচিৎ? ডেথ এর সন্ধান ও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। হাতে আছে আর মাত্র চারঘন্টা। ভাবনায় ডুবে বাইক চালাচ্ছে আরাভ এমন সময় ওর বাইকের সামনে এসে পরে একটা অর্ধবয়স্ক লোক। আরাভ ব্রেক করতে করতে লোকটা সাথে লেগে যায়। লোকটা রাস্তার পাশে পরে যায়। আরাভ দ্রুত বাইক থেকে নেমে লোকটার কাছে যায়। তাকে উঠিয়ে পাশে বসায়। লোকটা হাতে অনেকটাই লেগেছে। কুনুইয়ের পাশ থেকে রক্ত বের হচ্চে। আরাভ মাথা নিচু করে লোকটার থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়। লোকটা আরাভের দিকে তাকিয়ে বলে,
” তোমাদের বয়সের দোষ এটা। এই বয়সে তোমাদের মাথায় যে কত কি চলে। কোন কাজে ঠিক মতো মন দাওনা তোমরা। ফাকা রাস্তায়ও এক্সিডেন্ট করো। তা কোথায় যাচ্ছো?”
” এদিকেই। আসলে আমি একটা বাড়ি খুজছিলাম।”
“কার বাড়ি?”
” আসলাম খানের বাড়ি।”
” আসলাম খান! এদিকে তো কোন আসলাম খান নেই।
” আপনি কি এখানে অনেক আগে থেকেই থাকেন?”
” হ্যাঁ, ছোট থেকেই থাকি। এখানেই জন্ম এখানে বড় হয়ে উঠা।”
” আর টি প্লাজার ওর্নার আসলাম খান, চিনেন। ডাকাতের হাতে যিনি খুন হয়েছে।”
” সে তো অনেকবছর আগে মারা গেছে। তার বাড়ির ঠিকানা দিয়ে তুমি কি করবে।”
” কোথায় বাড়ি?”
” ওই তো সামনে গিয়ে বামে দেখবে এটা রাস্তা তার কিছুদূর একটা ডুপ্লেক্স বাড়ি। সাদা রং করা।কিন্তু ওখানে তো কেউ থাকে না। ওনার বউ আগেই মারা গেছে তারপর সে। তবে হ্যাঁ মাঝে মাঝে একটা ছেলে আসে এই বাড়িতে। সেই দেখাশুনা করে বাড়িটা।”
আরাভ উঠে দাঁড়ায়। তারপর বলে,
” ধন্যবাদ আংকেল।”
লোকটাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আরাভ বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে যায় আর লোকটা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে আরাভের চলে যাওয়ার দিকে।
ধবধবে সাদা একটা আধুনিক ডিজাইনের ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে এসে বাইক দাঁড় করায় আরাভ। আশ্চর্যের বিষয় এই বাড়িতে একটা কেয়ারটেকার ও নাই। আরাভ গায়ে জ্যাকেট জড়িয়ে বাড়ির ভিতরে চলে যায়। পুরনো এ্যান্টিক ডিজাইনের শোপিচ দিয়ে সাজানো বাড়ির ড্রয়িংরুম। আসবাবপত্র সবই আধুনিক। বাড়ির ভিতরটা রাজপ্রসাদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। আরাভ চারিদিকে চোখ বুলিয়ে বাড়িতে একটা মানুষের উপস্থিতি পেল টের পেল। আশ্চর্য এই বাড়িতে কি কেও থাকে না নাকি। সামনে শিড়ির দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল সে। কেউ না থাকায় মন্দ হয়নি। শিড়ি দিয়ে উপরে উঠে একটা রুমের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায় আরাভ। ভিতর থেকে একটা মৃদু শব্দ আসছে। মন মাতাল করা শেই শব্দ। এই শব্দ সে আগে কখনো শুনছে কি না বলা মুশকিল। দরজায় টোকা দিতেই সেটা খোলে গেল। ভিতরে প্রবেশ করলো আরাভ। সামনে দিকে তাকাতেই আশ্চর্যের সিমা যে পেড়িয়ে গেলো। এ যেন কোন কম্পিউটার ল্যাব। আরাভ হতবিহম্বল হয়ে দাঁড়িয়ে সবটা দেখতে থাকে। সামনে কালো হুডি পরিহিত একটা লোক বসে আছে মাথার অর্ধেকটা ডাকা তাই বুঝতে পারছে না লোকটা কে? আরাভ ভিতরে প্রবেশ করলো। লোকটা মাথা থেকে হুডি খুলে আরাভের দিকে এগিয়ে এসে বলল,
” ওয়েলকাম, ওয়েলকাম মিস্টার জুহায়িন আহমেদ আরাভ।”
স্বস্তির শ্বাস ফেলল আরাভ। মনিরুল ইসলাম। তার ধারণাটাই ঠিক। এসবের মূলে আসলে মনিরুল ইসলাম। যেদিন প্রথম ডেথ এর নাম ধারন করে মনিরুল ইসলাম তখন তিনি এই কালো হুডি কিনেছিলেন। অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে এই হুডির। এটা পরলে নিজেকে খুব পাওয়ারফুল মনে হয়। মনিরুল ইসলাম আবার বললেন,
” আসতে কোন অসুবিধা হয়নি তো?”
” কেন করছো এসব? নির্দোষ মানুষের প্রান নিয়ে খেলে তোমার কি লাভ?”
” পাওয়ায়, পাওয়ায়, বুঝলে। আর কি বললে, নির্দোষ। নির্দোষ তো আমার বোনটাও ছিল তাহলে তাকে কেন জিবন দিতে হলো।”
” তার শাস্তি তো তুমি দিয়েছো তোমার পালিত বাবাকে। তাহলে এই দেশ? দেশের প্রতি কেন এত বড় অন্যায় করছো? তুমি বুঝতে পারছো এর পরিণাম কতটা ভয়াবহ।”
মনিরুল ইসলাম হাসলো। ভয়ংকর সেই হাসি। পুরো রুম কেপে উঠলো তার হাসিতে। তারপর বলল,
” ওদিকে তাকিয়ে দেখো ডাটা সেভেন্টি ফাইভ পারসেন্ট লোডিং। বাকি টুয়েন্টি ফাইভ হলেই সব গোপন ইনফরমেশন আমার হাতে।”
আরাভ হাসলো। ভিষন রহস্যময় সেই হাসি। চারিদিকে চোখ বুলিয়ে পিসির সামনে গিয়ে বসলো। কিবোর্ডে হাত রাখতেই মনিরুল ইসলাম বলল,
” কিচ্ছু করতে পারবে না। না তুমি আমাকে মারতে পারবে আর না এই ডাটা লোডিং বন্ধ করতে পারবে। আর আমি না চাইলে তুমি এখন থেকে বেরও হতে পারবে না।”
আরাভ কিবোর্ডের উপর হাত রাখলো।চারিদিকে এক অদৃশ্য দেয়াল দ্বারা আবৃত। এখানে কোন ইন্টারনাল কোডিং ব্যবহৃত হয়েছে। যার পাসকোড শুধু মনিরুল ইসলামের জানা। এখন এখান থেকে বের হওয়া মুশকিল। চিন্তায় পরে যায় আরাভ। তবে সেটা মনিরুল ইসলামকে বুঝতে দেয়না। কিবোর্ড ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে মনিরুল ইসালমের মুখোমুখি দাঁড়ায়। আরাভে মুখে লেগে আছে হাসি। রহস্যময় হাসি। যেটা দেখে রাগে শরীর কিড়মিড় করছে মনিরুল ইসলামের।
______________________
আরাভকে ওভাবে বেড়িয়ে যেতে দেখে চিন্তায় পরে যায় ভূমি। যাওয়ার আগে একবারও ভূমির সাথে কথা বলেনি নি। মনে হলো যেন ভূমিকে ইগনোর করলো সে। ভূমি আর বসে থাকতে পারেনা। অনিমা বেগমকে বলে আরাভের ফ্ল্যাটের উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পরে। বাড়ির গাড়ি নিয়ে ফ্ল্যাটের সামনে এসে দেখা হয় দিগন্তের সাথে। দিগন্ত হন্তদন্ত হয়ে আরাভের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করছে। ভূমিকে দেখে দিগন্তের পা থেমে যায়। ভ্রুযুগলে কিঞ্চিৎ ভাজ ফেলে ভূমির কাছে এসে জিগ্যেস করে,
” তুমি এখানে?”
“আরাভের সাথে দেখা করতে এসেছি।”
দিগন্ত কথার সমাপ্তি টানে।
” ওও আচ্ছা, আমিও ভিতরে যাচ্ছি। চল তাহলে।”
দু’জনেই ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে কলিংবেল বাজালে তুহিন এসে দরজা খুলে দেয়। দিগন্তকে দেখে প্রসন্ন হাসলেও ভূমিকে এক্কেবারেই আশাকরেনি। অবাক হয়ে কিছুক্ষণ ভূমির দিকে তাকিয়ে জিগ্যেস করে,
” ভাবি আপনি?”
ভূমি তুহিনের কথার কোন জবাব দেয়না। ওকে পাশ কাটিয়ে ভিতরে গিয়ে আরাভকে ডাকতে থাকে। ততক্ষণে সবাই ভূমির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আরাভে দেখতে ন। পেয়ে ভূমি তাহমিদের দিকে তাকিয়ে জিগ্যেস করলো,
” আরাভ কোথায়? ওকে দেখছিনা কেন?”
“আরাভ সন্ধার দিকে বের হয়েছে আর ফিরেনি।”
” কেথায় গেছে?”
” মনিরুল স্যারের বাড়ি। এতক্ষণে বোধহয় স্যারের সাথে দেখাও হয়েছে। এখন আর ওক নাম্বার ট্যাপ করা যাচ্ছে না।”
ভূমির মনটা কেমন বিষন্নতায় ছেয়ে গেল। সবার দিকে একবার তাকালো। এখানে উপস্থিত সকলে খুব চিন্তায় আছে সেটা তাদের মুখ দেখেই বুঝা যাচ্চে। দিগন্ত প্রশ্ন করলো,
” তোমরা সবাই যাবে তো নাকি?”
” হ্যাঁ, এইতো বের হবো।”
” তাহলে আর দেরী করে কাজ নাই। চলো সকলে বেড়িয়ে পরি।”
” আমিও যাব।” বলল ভূমি।
তাহমিদ ভূমির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল,
” তুমি যাবে মানে?”
” হ্যাঁ যাব আমি আপনাদের সাথে।”
সবাই যখন বেড়িয়ে যাচ্ছিলো তখন ভূমি বলে উঠলো,
” আপনাদের সেফটি হিসাবে কিছু নিবেন না।”
তুহিন দাঁড়িয়ে বলল,
” সেফটি মানে!”
” আরাভ যাওয়ার সময় ওর বুলেট প্রুফ জ্যাকেট নিয়েছে। আপনাদের টাও নিয়ে যান যদি কোন প্রয়োজন হয়।”
“বুলেট প্রুফ জ্যাকেট। এই তুমি কোনভাবে আরাভের রেড জ্যাকেট এর কথা বলছো না তো।” প্রশ্ন করলো তাহমিদ।
” হ্যাঁ, ওই রেড কালারের জ্যাকেট।
ভূমির কথা শুনে তাহমিদ তুহিন ও সোহান একে অপরের দিকে তাকালো। ওদের চোখমুখ জুড়ে অজানা আতঙ্ক। ভয়ে হতবিহম্বল। তিনজনে একসাথে বলে উঠলো,
” কিহহহ,,, আরাভ ওই জ্যাকেট নিয়ে গেছে আর আপনি এখন বলছেন। আপনার ধারনা আছে ওটায় কি আছে?”
ভূমি হতবিহম্বল চোখে সোহানের দিকে তাকিয়ে বলল,
” আরাভ তো বলল ওটা বুলেট প্রুফ জ্যাকেট।”
” মিথ্যে বলেছে। ওটা বুলেট প্রুফ নয়। ওটা টাইমার জ্যাকেট। এক বিজ্ঞান মেলায় কিনেছিল আরাভ। আমরা যখন জিগ্যেস করলাম এটা দিয়ে কি করবি। তখন বলল, যদি প্রয়োজন হয় কোনদিন কাজে লাগাবো সেদিন।”
সোহানের কথা শুনে ভূমি দুপা পিছিয়ে যায়। আতঙ্ক চোখমুখ রক্তশূন্য হয়ে পরে। দিগন্ত ভূমিকে ধরে শোফার বসিয়ে ওর সামনে এক গ্লাস পানি ধরে। ভূমি সেদিকে না তাকিয়ে উঠে দাঁড়ায়। তারপর বলে,
” আমি এখনি আরাভের কাছে যাবো।”
___________________
মনিরুল ইসলামের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে দুপা পিছিয়ে যায় আরাভ। অধোরে হাসি রেখে বলে,
” তোমাকে বলেছিলাম আইনের কাছে নিজেকে সমর্পণ করো। আমার কথা শুনলে না।” এই বলে জ্যাকেটের চেইন খুলতে খুলতে পাশে তাকায়। পিসিতে স্পষ্ট ভাসমান ডাটা লোডিং এইটটি এইট পারসেন্ট। আরাভ সেদিকে তাকিয়ে বলল, “গ্রেট” আচ্ছা ডেথ তোমার মনে আছে আমি বলেছিলা, মৃত্য যেদিন তোমার সামনে এসে দু-হাত বাড়িয়ে ডাকবে সেদিন আর তোমার নিস্তার নেই।” এই বলে জ্যাকেটের পুরো চেইন খুলে দিলো। তারপর মনিরুল ইসলামের দিকে দু-হাত বাড়িয়ে বলল,
” এই নাও, আজ আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়েছি তোমার মৃত্যু হয়ে। ডাকছি তোমায় দুহাত বাড়িয়ে।”
আরাভের দিকে তাকিয়ে আতকে উঠে মনিরুল ইসলাম। আরাভের বুক থেকে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পরছে। মনিরুল ইসলামের বুঝতে বাকি রইলো না, এই জ্যাকেটে টাইম বোম লাগানো আছে। মনিরুল আরাভের থেকে দূরত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে বলল,
” দূরে থাকো আমার থেকে। ভূলে যেওনা আমি তোমার সিনিয়র।”
আরাভ প্রাসন্ন হেসে জবাব দেয়,
” আজ আমি আমার সিনিয়র স্যার নয় ডেথ এর মুখোমুখি হয়েছি। আমার ভাবতেই অবাক লাগে মিস্টার মনিরুল ইসলাম উপস্ সরি ডেথ, একজন শিক্ষক হয়ে কি করে একটা জাতির ভবিষ্যৎ নষ্ট করে। যেখানে শিক্ষকের ধর্মই হলো জাতিতে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া।”
মনিরুল ইসলাম আরাভের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। এই ছেলে আটঘাট বেধেই এসেছে। দেশের প্রতি জাতির প্রতি কতটা ভালোবাসা থাকলে এমন করতে পারে একটা মানুষ। যে নিজের জিবন দিতে দু’বার ভাবে না। আরাভ বলল,
” তুমি অনেক ট্যালেন্টেড ডেথ। তোমার ট্যালেন্ট যদি তুমি ভালোকাজে ব্যাবহার করতে তাহলে হয়তো আজ তোমার মৃত্যু হয়ে তোমার সামনে দাঁড়াতাম না। বরং আমার মতো হাজারজন তোমার মৃত্যুর পথ রুখে দাঁড়াতো। নিজেদের জিবন দিয়ে হলেও তোমাকে বাচাতো।তবে আফসোস, তুমি সেটার প্রাপ্য নও।”
আরাভের বুকের ক্ষত ক্রমশ গভীর হচ্ছে। ব্যথা করছে। যন্ত্রনায় ছটফট করতে তার পুরো শরীর। চোখের সামনে ভেসে উঠে তার নীলাদ্রিতার নিষ্পাপ মুখখানা। কতটা ভালোবাসা মিশে আসে সেই চাওনিতে। তার নীলাদ্রিতা অপেক্ষা করছে। তারই প্রতিক্ষায় সে প্রহর গুনছে। ফিরতে হবে তাকে। তবেই যে এই যন্ত্রনা থেকে তার মুক্তি মিলবে। মনিরুল ইসলাম ঠায় চেয়ে আছে আরাভের দিকে। আজ মনে হচ্ছে এই পুরো জিবনটাই বৃথা তার। এত এত পরিশ্রম কতে জিবন থেকে কি পেলো সে। সেইতো দিনশেষে হাজারজন মানুষের ঘৃনা আর অভিশাপ। প্রতিশোধের নেশার জিবনের মানেটাই ভুলে গেছে সে। হয়তো তারও থাকতো আজ আরাভের মতো এমন এক বন্ধু যে তাকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করতো। দুচোখ ভরে আসে তার। আজ জিবম নিয়ে তার বড্ড আফসোস হচ্ছে। আরাভ নিজের হাতের ঘড়ির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে উঠে দাঁড়ায় তারপর মনিরুল ইসলামকে জড়িয়ে ধরে। আর সাথে সাথে বিকট শব্দে উড়ে যায় পুরো ল্যাব হয়তো এই আধুনিক ডিজাইনের অতি যত্নের বাড়িটাও। আর তখনি এই বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হয় তাহমিদ তুহিন সোহান ভুমি আর দিগন্ত। সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে আগুনে লেলিহান শিখায় জ্বলসে যাওয়া বাড়ির দিকে। কি থেকে কি হলো করো বুঝে উঠার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পরে ভূমির দেহখানি।
চলবে,,,,,,
#Mahfuza Afrin Shikha.