রহস্যময়ী লেডি কিলার পর্ব-১৮+১৯

0
219

#রহস্যময়ী_লেডি_কিলার
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১৮

–“অনেক তো পাখনা গজিয়েছে তোমাদের। এবার এই দৈত্য তোমাদের সমস্ত পাখনা কেটে হাতে ধরিয়ে দিবে। এজন্যই বলে বুঝে শুনে কদম না ফেললে নিজের পা কাটা পড়ে। এবার সেটা তোমরা নিজের চোখেই দেখতে পারবে।
.
অবনীর ভয়ানক রূপ দেখার পাশাপাশি আকাশের কথাবার্তা শুনে মিনিস্টার সাহেবের গলার পানি শুখিয়ে যায়! সে ভয়ের চোটে কি করবে তালগোল হারিয়ে ফেলেছে! তাই সে পাগলের মতন আকাশের পায়ে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে,

–ভাই আপনার পায়ে পড়ি। আপনি আমাদেরকে ঐ মানুষরূপী দৈত্য থেকে বাঁচান। না হয় সে আমাদের বাকি সবাইকে মেরে একই হাল করবে।

–কেন মিনিস্টার সাহেব এখন কেন? আসার আগে সবাইকে বুঝিয়ে বলতে পারেন নাই আমার বিষয়ে? পুলিশ কি করে আমায় গায়ে আঘাত করে?

–ভাই আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি আমার ভুলের জন্য আপনার পা ধরে ক্ষমা চাইছি। আপনি প্লিজ উনাকে শান্ত করুন।

–ঠিক আছে আপনি পা ছাড়ুন আমার। আর
অবনী তুমি শান্ত হও। ওরা ওদের ভুল বুঝতে পেরেছে।
.
আকাশের কথায় মিনিস্টার সাহেব আকাশের পা ছেড়ে দেয়। আর অবনীও আবার মানসিকরূপে ফিরে আসে। অবনী মানসিকরূপে ফিরে আসার পর আকাশের কাছে এসে দাঁড়ায়। তখন আকাশ অবনীকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে মিনিস্টার সাহেবকে বলে,

–মিনিস্টার সাহেব, ভবিষ্যতে কোনোদিন ভুল করেও ওর দিকে আঙ্গুল তুলবেন না। এবং ওকে ধরার চেষ্টাও করবেন না। কারন তাকে আমি ভালোবাসি। ওর দিকে কেউ আঙ্গুল তুললে তার পুরো দেহটা মাটির নিচে চলে যাবে।

–না ভাই আর কেউ উনার দিকে আঙ্গুল তুলবে না। আর আঙ্গুল তোলা তো বহু দূরের কথা, উনার দিকে আর কখনো কেউ ভিন্ন রকমের দৃষ্টিপাত করেও তাকাবে না।

–হুম মনে থাকে যেনো।

–অবশ্যই থাকবে ভাই।

–এবার তাহলে আমি চললাম। আপনি আপনার এই পুলিশ ফোর্সকে নিয়ে দাফন-কাফন করার ব্যবস্থা করেন। আর কি ভাবে এই বিষয়টা ধামাচাপা দিবেন সেটা আপনিই জানেন। কিন্তু মনে রাখবেন লেডি কিলারের নাম যেনো ভুলেও এসবের মাঝে না আসে।

–না ভাই উনার নাম আসবে না। আমি বলে দিব ড্রয়িডের লোকজন এদেরকে মেরেছে। কিন্তু ভাই ড্রয়িডের লোকজনকে কি করবেন? ওরা যে একের পর এক অনিষ্ট করেই চলেছে শহরের।

–সে আমি দেখে নিব। ওসব নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না। কারন ড্রয়িডের লোকজন বর্তমানে বলতে গেলে আমার জীবনের সব চাইতে বড় শত্রু। ওরা আমার প্রিয়’মানুষটার উপরে হামলা করেছে। ওদের একটাকেও আমি ছাড়নি না।

–আচ্ছা ভাই।

–হুম এবার আমি চললাম। আমার আচরণে কোন ধরণের মনে কষ্ট রাখিয়েন না।

–না ভাই কোনো ধরনের কষ্ট নেই আমার মনে। কারন বেয়াদবি করেছি। সেটার ফল পাওয়াটা আমার প্রাপ্য ছিলো।

–আর কোনো কথা না বাড়িয়ে অবনীকে সাথে করে নিয়ে এসে গাড়িতে বসলাম। তখনি রাজ বলে উঠলো,

–ভাই আপনার গায়ে আঘাত করা মাত্রই ইচ্ছে করছিলো গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে সব কয়টাকে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলি। আমরা সবাই কিন্তু সেই প্রিপারেশন ও নিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু তার আগেই অবনী ভাবী গিয়ে পুলিশ ফোর্সকে আজরাইলের হাতে শপে দিয়ে এসেছে।

–আচ্ছা বাদ দে এখন এসব কথা। যা হয়েছে হয়েছে। এখন জলদি বাসায় চল। কারন অবনীর শরীর এমনিতেও ভালো না। তার উপরে সে আবার নিজের দৈত্যাকার রূপ ধারণ করেছে। যার কারনে তার শরীর আবারো খারাপ করবে। তাই জলদি বাড়ি ফিরে গিয়ে অবনীকে রেস্ট করতে দেওয়া উচিৎ।

–আচ্ছা ভাই।

–এই ড্রাইভার গাড়ি জলদি টেনে বাংলোয় পৌঁছাও। ড্রাইভার আমার কথা মতন গাড়ি স্টার্ট করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। আর আমি অবনীকে এক হাত দিয়ে ধরে রেখেছি। কারন মেয়েটার চোখমুখ লাল হয়ে আছে। তার উপরে অবনী অস্বস্তিকর নিশ্বাস ফেলছে। যেটা দেখে আমার বুঝতে বাকি নাই, যে অবনী নিজের শরীরের উপর থেকে কন্ট্রোল হারিয়েছে। তাই তাকে আগলে নিয়ে বাসায় পৌঁছালাম। বাসায় পৌঁছে কোনো কথাবার্তা ছাড়া অবনীকে কোলে উঠিয়ে নিয়ে নিজের রুমে এনে তাকে শুইয়ে দিলাম। সে আমার এমন কান্ডকারখানা দেখে মুচকি মুচকি হাসছে। তার এমন মুচকি হাসি দেখে তাকে জিজ্ঞাস করলাম, এই অবনী তুমি এখনো হাসছো? তোমার শরীরের অবস্থা দেখে আমার ভিতরে অস্বস্তি কাজ করছে। আর তুমি কিনা মুচকি মুচকি হাসছো?

–হ্যাঁ আমার শরীর দূর্বল হয়ে গেছে। কিন্তু আমার জন্য আপনার পাগলামো দেখে না হেঁসে আর পারলাম না। ইশ কত্তো ভালোবাসেন আপনি আমাকে। আমার খারাপ লাগছে দেখে আপনি আমায় গাড়ি থেকে নামার আগেই কোলে উঠিয়ে নিয়ে রুসে এসেছেন।

–তো কি করবো? তোমায় হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে রুমে আনবো নাকি?

–তা করলেও মন্দ হতো না। কারন আপনি সাথে থাকলে আমি কখনোই খারাপ লাগাটা উপভোগ করি না।

–দেখো একদম পাগলামি মার্কা কথাবার্তা বলবে না। আমি আছি তোমায় নিয়ে টেনশনে। আর তুমি কিনা আমার ভালোবাসায় দেউলিয়া হয়ে আছো। এটা কিন্তু ঠিক না অবনী। আর তোমার আজকের আচরণটা একদম আমার ভালো লাগেনি। কারন তুমি অসুস্থ৷ পুলিশ আমায় আঘাত করেছে সেটার জন্য কিন্তু ছেলেপেলে ছিলো। তোমার খামোখা ওসব করাটা প্রয়োজন ছিলো না।

–দেখুন আমার ঠিক-বেঠিক সমস্ত কিছুই আপনাকে ঘিরে। আমি যেই অবস্থাতেই থাকি না কেন, আমার সামনে আপনার গায়ে কেউ আঘাত করলে তার কেয়ামত রটিয়ে দিব আমি। যেমনটা আমি আগেও করেছি। আর আমার নিজেকে নিয়ে কোনো টেনশন নাই। আমার টেনশন শুধু আপনাকে নিয়ে।

–এই এই তুমি আগেও করেছো মানে বুঝলাম না!

–মানে হলো কলেজের প্রথম দিনের কথা মনে করেন। কলেজে যেদিন আমায় ছেলেরা র‌্যাগ দিচ্ছিলো। তখন আপনার এক ইশারায় সবাই আমাদেরকে র‌্যাগ দেওয়া বাদ দিয়ে রেখে চলে যায়। আর সেদিন এই আপনার পার্সোনালিটি আমার ভালো লাগে। যেই পার্সোনালিটির উপরে প্রথম দিনই আমি ক্রাশ খেয়ে বসি। কিন্তু দূর্ভাগ্য বশত আমায় র‌্যাগিং দেওয়া ছেলেদের মধ্যে থেকে
একজন আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলো আপনাকে শিক্ষা দিবে বলে। কারন আপনার জন্য নাকি তারা কলেজে কিছুই করতে পারে না। তাঁদের সেই প্ল্যান আমি কোনো না কোনো ভাবে জেনে যাই।
তাই আমি তাকে আজরাইলের হাতে শপে দিয়েছি।
তাকে ওয়াশরুমের ভিতরে মেরে তার লাশের ভয়ানক অবস্থা বানিয়ে দিয়েছি। যাতে করে সবাই দেখে ভয় পায়। আর তারপর আপনি যখন আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান, তখন আয়নার ভিতর থেকে একটা ডেমোনিক ফিগার আপনার সাথে কথা বলে। যেটা কিনা আমিই ছিলাম। আমি চেয়েছিলাম আপনাকে ভয় দেখিয়ে এসব থেকে দূরে রাখতে। কিন্তু আপনি তো যেই বদের বদ। সজোড়ে ঘুষি মেরে সেই আয়াটাকেই ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছেন। তারপর তো আরো পাগল হয়ে যাই আপনার প্রতি। আর আমার সেই পাগলপান্তি টাই আজ পরিপূর্ণ ভালোবাসায় রূপ নিয়েছে। আর আমার সেই পাগলপান্তি টাই আমাকে আপনার ঘনিষ্ঠ করেছে। সেখানে আমি আপনার জন্য পাগলামি করবো না কেন? আপনিই তো আমার পাগলামির আসল উৎস।

–অবনীর কথা শুনে ব্যাপক ভাবে চমকে গেলাম!
কারন এই মেয়ে দেখি সাইকো টাইপের প্রেমিক। যার কিনা সাইকোগিরির কোনো লিমিটেশন নাই।
এক কথায় বলা চলে সে উন্মাদ। সে আমার জন্য নিজেকেও শেষ করে দিতে পারে। এবং সে আমার জন্য একাধিক মানুষকে মেরেও তাঁদেরকে উপরের টিকিট ধরিয়ে দিতে পারে। অবনীর এমন ভয়ানক মাপের ভালোবাসা দেখে পুরোপুরি চমকে উঠলাম! মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না! যেটা দেখে অবনী আবার বলে উঠলো,

–দেখুন আপনি সুস্থ-স্বাভাবিক ভাবে আমার কাছে থাকলেই আমি মোমের মতন হয়ে থাকবো। না হয়তো আপনার কিছু হলে বা আপনার কেউ কোনো ক্ষতি করতে চাইলে আমি হায়েনা হয়ে যাবো। তখন মনে করেন হাজার খানিক প্রাণ নিলেও আমার ভিতরে অনুশোচনা কাজ করবে না।

–অবনীর কথা শুনে এবার আর চুপসে থাকতে পারলাম না। তাই তাকে বললাম। অবনী তুমি একদম এমন কিছু করবে না। আমি তোমার আছি তোমারই থাকবো। আর একটা কথা তুমি জেনে রাখো। তুমি আমায় নিয়ে যেমনটা মনে করছো, তেমন কিন্তু কিছুই না। কারন তোমার প্রিয় মানুষটার ও কিন্তু নাম-ডাক কম না। তার সাথে পাঙ্গা নিতে এখনো অনেক বড় বড় লোকেরা ভয় পায়। তাই আমার কেউ ক্ষতি করবে, আশা করি এমনটা কখনোই হবে না। তাই তোমার কাছে আমার রিকোয়েস্ট। তুমি নিজেকে সংযত করো। না হয় লোক সমানে তোমার আসল পরিচয় ছড়িয়ে যাবে।

–আমি তো বললাম যে আমি মোমের মতন হয়ে থাকবো। খালি আপনি সুস্থ-স্বাভাবিক থাকলেই হবে।

–আল্লাহর রহমতে আমি সুস্থ-স্বাভাবিক আছি। আর আগামীতেও সুস্থ-স্বাভাবিক থাকবো। তুমি খামোখা এসব চিন্তা-ধান্তা বাদ দাও।

–ঠিক আছে যান আমি আর এমনটা করবো না।

–এই তো লক্ষী মেয়ে। আচ্ছা এবার শুয়ে রেস্ট করো। আমি নিচে গিয়ে রাজ,মুজাহিদ এবং বাকি সবার সাথে একটু কথা বলে আসছি।

–আচ্ছা।

–তারপর অবনীকে রেখে নিচে চলে আসলাম সবার সাথে কথা বলার জন্য। সবার সাথে বসে বসে ড্রয়িডের লোকজনের বিরুদ্ধে পরামর্শ করতে লাগলাম। কারন তাঁদের দমানো উচিৎ। না হয়তো শহরটাকে তারা সবাই মিলে নড়ক বানিয়ে দিবে। তার উপরে তারা অনেক কয়বার অবনীর উপরেও হামলা করেছে অবনীকে তাঁদের সাথে বন্দী বানিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা পারে নাই। তবে ড্রয়িডের লোকজন আগামীতে যে আবারো সেই অবনীর উপর হামলা করবো না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই সবার সাথে বসে পরামর্শ করতে লাগলাম। কিন্তু পরামর্শ এক পর্যায়ে গিয়ে থেমে গেলো। কারন ড্রয়িডের লোকজনের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কোনো প্রমাণ বা কিছুই নেই। আমরা কেউ এই জানিনা তাঁদের লোকেশন কোথায়। তবে যেই একটা লোকেশন জানতাম, আমরা সবাই মিলে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু বেটারা সবাই মিলে তো গাট্টাগোস্তা গোল করে সেখান থেকে পালিয়েছে। তাই এখন আমাদের পরামর্শ করা যেই কথা, না করাও ঠিক একই কথা। পরামর্শ করা বাদ দিয়ে রেখে উপরে চলে এসেছি। উপরে আসতেই দেখি অবনী সাপের মতন মোড়ামুড়ি করছে বিছানার মধ্যে। যেটা দেখে দৌড়ে অবনীর কাছে গেলাম। অবনীর কাছে গিয়ে শুরুতে তাকে অনেক কয়বার ডাকাডাকি করলাম। কিন্তু সে আমার কথার কোনো জওয়াব এই দিলো। বরং তার ছটফটানির মাত্রাটা আরো প্রসার হয়ে গেলো।
সে এবার হাত-পা ছুটাছুটি করতে আরম্ভ করেছে। যেটা দেখে তাকে নাড়িয়ে জিজ্ঞাস করলাম, এই অবনী কি হয়েছে তোমার? তুমি এমন অদ্ভুত আচরণ করছো কেন? তখনি সে খপ করে আমার হাত চেপে ধরে বলতে লাগলো,

–ড্রয়িডের লোকজন আমায় জোর তাঁদের সাথে নিয়ে যাচ্ছে। আপনি প্লিজ তাঁদের হাত থেকে আমাকে বাঁচান। আমি আপনাকে ছেড়ে তাঁদের সাথে যেতে চাই না।

–অবনীর মুখে এমন কথাবার্তা শুনে তাকে জিজ্ঞাস করলাম, এই অবনী তুমি কি সব অদ্ভুত ধরণের আচরণ করেছো? আর তোমায় কে নিয়ে যাচ্ছে? তুমি তো আমার রুমেই শুয়ে আছো।

–হুম আপনার রুমে শুয়ে আছি। কিন্তু আপনি ভালো করে একবার চারপাশে খেয়াল করুন।

–অবনীর কথা মতন চারপাশে নজর বুলাতেই আমার চোখ কপালে উঠে গেলো! কারন আমি নিজের রুম ছেড়ে অদ্ভুত একটা জায়গায় চলে এসেছি। যেই জায়গার চারপাশ থেকে ড্রয়িডের লোকজন আমাকে ঘিরে ধরেছে। আর আমার থেকেই কিছুটা দূরে অবনী আধমরার মতন মাটিতে পড়ে আছে! যেটা দেখে কিনা মূহুর্তের মাঝেই আমার হার্টবিট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে….

চলবে….

#রহস্যময়ী_লেডি_কিলার
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১৯

–“আমি নিজের রুম ছেড়ে অদ্ভুত একটা জায়গায় চলে এসেছি। যেই জায়গার চারপাশ থেকে ড্রয়িডের লোকজন আমাকে ঘিরে ধরেছে। আর আমার থেকেই কিছুটা দূরে অবনী আধমরার মতন মাটিতে পড়ে আছে! যেটা দেখে কিনা মূহুর্তের মাঝেই আমার হার্টবিট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে! আমি শরীরে জোর দিয়ে নিশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমি কোনো মতেই শ্বাস নিতে পারছি না। তখনি অদ্ভুত ভাবে অবনী মাটি থেকে উঠে এসে আমার কানে কানে বলতে লাগলো,

–প্রিয়’ আপনার কিছুই হয়নি। আপনার হার্টবিট ঠিক আছে। আপনি খামোখা ভয় পাচ্ছেন। আপনি এই ভয়কে নিজের ভিতর থেকে বের করে দিয়ে আমায় বাঁচিয়ে নিন। না হয় ড্রয়িডের লোকজন আমায় তাঁদের সাথে করে নিয়ে চলে যাবে।

–অবনী আমি কি করে তোমায় ড্রয়িডের লোকজনের হাত থেকে বাঁচাবো? ড্রয়িডের লোকজন তো আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে। তার উপরে চারপাশটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। নিজেকে আর ড্রয়িডের লোকজনকে ছাড়া তো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।

–প্রিয়’ তারা আপনার শরীরের একটা পশম ও বাঁকা করতে পারবে না। কারন আমার রক্ষাকবচ আমি আপনার শরীরে বহু আগেই পরিধান করিয়ে দিয়েছি। আর এই ঘুটঘুটে অন্ধকার হওয়ার পিছনে একটা রহস্য আছে। যেটা আমি আপনাকে পরে বলবো। তবে আপনি মানুষ আকৃতির সব কিছুকেই দেখতে পাবেন। যার জন্য এই অন্ধকার আপনার কোনো সমস্যা করবে না।

–আচ্ছা ঠিক আছে তারা না হয় আমার কিছু করতে পারবে না। কিন্তু আমি তোমায় কি করে তাঁদের হাত থেকে বাঁচাবো?

–আপনি বর্তমানে যেই জায়গায় আছেন সেটা হচ্ছে আমার বাসা। আর এই বাসাতেই আমার ক্লোন আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম। ড্রয়িডের লোকজন তাঁদের আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে আমার বাসাটাকে নড়কে পরিণত করে দিয়েছে। তার উপরে তারা আবার আমার সেই ক্লোন টাকে নিজেদের দখলে করে নিয়েছে। যার কারনে আমি আমার বেশি একটা শক্তির প্রয়োগ করতে পারছি না। তারা একবার যদি আমার সেই ক্লোন টাকে তাঁদের সাথে করে নিয়ে চলে যায়। তাহলে আমার আসল দেহটাও আমার ক্লোনের সাথে সাথে সেখানে চলে যাবে। তারপর তারা আমার ক্লোন দ্বারা আমায় বন্দী করে ফেলবে৷ আপনি প্লিজ তাঁদের থেকে আমার ক্লোন উদ্ধার করুন। তাহলে আমায় তারা তাঁদের সাথে নিয়ে যেতে পারবে না। এবং আমার পুরোপুরি শক্তিও আমি ফিরে পাবো।
.
অবনী আকাশকে তার ক্লোনের ব্যাপারে বলে সে আবার গিয়ে আধমরার মতন মাটির উপরে শুয়ে পড়ে। “অন্যদিকে আকাশ অবনীর এমন অদ্ভুত কর্মকান্ড দেখে ভেবাচেকা খেয়ে যায়! কারন অবনী শুরুতে আধমরার মতন মাটিতে পড়ে ছিলো। পরবর্তীতে সে হুট করেই মাটি থেকে উঠে এসে আকাশকে কয়েকটা কথা বলে। পরবর্তীতে আবারো গিয়ে আধমরার মতন মাটিতে গিয়ে শুয়ে পরে। যেটা দেখে আকাশের বেশ অদ্ভুত লাগে। কিন্তু সে এই ব্যাপারে চিন্তাধান্তা করে বেশি একটা সময় নষ্ট করে না। কারন তার অবনীকে বাঁচাতে হবে। ড্রয়িডের লোকজন অবনীর যেই ক্লোন টাকে জব্দ করেছে সেটাকে তার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই সে দাঁড়িয়ে না থেকে ড্রয়িডের লোকজনদের দিকে নিজেই এগোতে থাকে। আকাশের এগোনো দেখে ড্রয়িডের লোকজনদের থেকে একজন বলে উঠে,

–তোর মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে। তুই একে একে বহু কয়বার আমাদের কাজে বাঁধা দিয়েছিস। তোকে আজ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে কয়লা বানিয়ে দিব।
তারপর তোর প্রেমিকাকে সবাই মিলে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বন্দী করে টর্চার করবো।
.
আকাশ তার কথা শুনেই বুঝে ফেলে এটা সেই মানুষ আকৃতির আগুনের গোলাটা। তাই আকাশ ও তাকে রিপ্লাই করে বলে,

–আগেও কয়েকবার আমার সাথে পাঙ্গা নিতে এসে নিজের অবস্থা বারোটা বাজিয়েছিস। এবারো আশা করি ঠিক তেমনটাই হবে। আমিও দেখবো তুই বা তোরা আমায় মেরে কি করে এখান থেকে অবনীর ক্লোন নিয়ে যাস।
.
মানুষ আকৃতির আগুনের গোলাটা আকাশের কথা শুনে আকাশের দিকে হাতের সাহায্যে আগুন নিক্ষেপ করে। যার ফলে আকাশ বুদ্ধি করে আগের ন্যায় নিজের হাত সামনে এগিয়ে দেয়। কিন্তু আগুনের প্রেশার আগের বারের চাইতে অনেক বেশি হওয়ায় আকাশের হাতের কিছুটা অংশ পুড়ে যায়। যেটা দেখে মানুষ আকৃতির সেই আগুনের গোলাটা আকাশকে বলে,

–প্রতিবারের ন্যায় এবারো হাতের সাহায্যে নিজেকে রক্ষা করবি ভেবেছিস তুই? তাহলে তোর ধারণাটা ভুল। কারন আমরা সবাই আগের চাইতেও দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে গেছি। কারন আমাদের সবার উপরে আবারো এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। যাতে করে আমাদের আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। আজ তো তুই শেষ। তারপর তোর প্রিয় অবনীকে নিয়ে গিয়ে কুকুরের মতন পায়ের নিচে কুচলে মারবো। আর আমি ক্লিনটন হবো ড্রয়িডের ট্রেনিংকৃত সবার সিনিয়র।
.
আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারনে আকাশের হাত জ্বালাপোড়া করতে আরম্ভ করেছে। কিন্তু মানুষ আকৃতির আগুনের গোলা যার নাম কিনা সে নিজেই বলেছে ক্লিনটন। সে অবনীকে নিয়ে এভাবে কথা বলায় আকাশের পায়ের রক্ত মাথা উঠে যায়। তাই সে নিজের দেহরক্ষা বাদ দিয়ে রেখে ক্লিনটনের নিক্ষেপ করা আগুনকে ভেদ করে তার একদম কাছাকাছি চলে যায়। তারপর আকাশ কোনো চিন্তা-ভাবনা ছাড়া সজোড়ে একটা হুংকার দিয়ে ক্লিনটনের শরীরে লাথি মারে। যার ফলে ক্লিনটন চার-পাঁচ হাত দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে। যেটা দেখে ড্রয়িডের লোকজন সবাই মিলে আকাশের দিকে তেড়েফুঁড়ে আসে। কিন্তু তারা আকাশের কাছাকাছি এসে কিছু একটা দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায়। তাই তারা আকাশকে মারা বাদ দিয়ে রেখে পিছনের দিকে যেতে আরম্ভ করে। “অপরদিকে আকাশ হিংস্র হায়েনার মতন হয়ে গেছে। কে তাকে মারতে আসছে, কে তাকে মারা বাদ দিয়ে রেখে দূর ভাগছে সেই দিকে তার কোনো খেয়াল এই নেই। তার একটাই চিন্তা-ভাবনা, সে অবনীর ক্লোন হাসিল করেই ছাড়বে। এরজন্য যদি ড্রয়িডের লোকজন সবার সাথে তার একা লড়াই করতে হয়, তাহলে সে সেটাও করবে। কিন্তু সে অবনীর ক্লোন হাসিল করেই ছাড়বে। আকাশ অবনীর ক্লোন উদ্ধার করার জন্য ড্রয়িডের লোকজনদের দিকে এগোতে থাকে। যেটা দেখে ভয়ে ড্রয়িডের একজন লোক নিজেই অবনীর ক্লোনকে এনে আকাশের হাতে শপে দেয়। তারপর সে আকাশকে বলে,

–আমরা চলে যাচ্ছি। এখন তুই আমাদের কিছু করতে পারবি না। কারন এই ক্লোনটা যতো সময় আমাদের কাছে ছিলো, ততো সময় আমরা এই অন্ধকারের মাঝে ফেঁসে ছিলাম। কিন্তু ক্লোনটা তোর হাতে লাগার পর আমরা এখান থেকে চলে যাওয়ার পর খুঁজে পেয়ে গেছি। তাই আমরা সবাই চলে যাচ্ছি। তবে আবার তোর সাথে দেখা হবে। কিন্তু পরেরবার আর তুই আমাদের হাত থেকে বাঁচতে পারবি না। পুরো ড্রয়িডবাসী এবং আমাদের সাথে হয়তো এই সমস্ত কিছুর আসল মালিক ডেবিল রিপার থাকবে। যে কিনা পুরো ড্রয়িড বাসীর বস। তাই তুই সামনের কিছুটা সময় এই অদম্য শয়তানের সাথে ভালো করে কাটিয়ে নে।
.
অবনীকে অদম্য শয়তান বলায় আকাশের ক্ষিপ্ততা আরো বেড়ে যায়। কিন্তু সে এবার শরীর দিয়ে নয়, তার ক্ষিপ্ততাকে কথার মাধ্যমে প্রকাশ করে।

–তুই আর তোর পুরো ড্রয়িডবাসী আমার হাতে মরবি সেটা জেনে রাখ। এইবার আমার কোনো প্রিপারেশন ছিলো না। কিন্তু আগামী বার আমার ফুল প্রিপারেশন থাকবে। তখন তোদের সব কয়টাকে উপরের টিকিট কেটে দিব।

–ঠিক আছে সেটা সময় বলে দিব।
চললাম এবার শত্রুপক্ষ।
.
তারপর ড্রয়িডের লোকজন সবাই চলে যায়। আর অপরদিকে আকাশ অবনীর ক্লোন নিয়ে এসে অবনীর পাশে রাখে। পরে সে হাত দিয়ে নাড়িয়ে অবনীকে ডাকতে থাকে। আকাশ অবনীকে ডাকার পরক্ষণেই আকাশ সেই অন্ধকারের জায়গা থেকে নিজের রুমে চলে আসে। আর অবনী তাকে শোয়া থেকে উঠে হুট করেই ঝাপটে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে আরম্ভ করে। অবনীর এমন আচরণে আকাশ কোনো ধরনের রিয়াকশন করে না। কারন তার ভিতরে গম্ভীরতা এসে বিরাজ করেছে। তাই সে গম্ভীর ভাব নিয়ে অবনীকে জিজ্ঞাস করে,

–এই অবনী আসল কাহিনী কি একটু খুলে বলো তো।

–এই মহাশয়, আপনি গম্ভীর ভাবটা দূর করুন। আর আমাকে মন ভরে চুমু খেতে দিন আপনাকে। তারপর আমি সব কিছুই খুলে বলছি।

–অবনী তুমি আমায় আজীবন চুমু খেতে পারবে। কিন্তু আমার এখন আগে এসব রহস্যময় ঘটনা সম্পর্কে জানা দরকার।

–আচ্ছা ঠিক আছে বলছি। দেখুন ড্রয়িডের লোকজন আমার ক্লোনকে জব্দ করে আমায় বন্দী বানাতে চায়। তাই তারা আমার ক্লোনের খোঁজ করতে করতে আমার বাসায় গিয়ে পৌঁছায়। কিন্তু আমার ক্লোন বুদ্ধি করে ঘরের সমস্ত আলোকে নিজের শক্তির মাধ্যমে নিভিয়ে দেয়। যাতে করে তাকে আর কেউ খুঁজে না পায়। এবং পুরো বাড়িতে নিজের শক্তির দ্বারা একটা শিল্ড তৈরী করে। যাতে করে কেউ আসলে সেখান থেকে আর বের হতে না পারে। কিন্তু ড্রয়িডের লোকজন তারপরেও তাকে খুঁজে বের করে ফেলে। আর আমার শক্তিকে তারা অনেক টুকু কন্ট্রোলে নিয়ে নেয়। তবে তারা আমার ক্লোনের ট্রাপে পড়ে যায়। যার ফলে তার আর সেখান থেকে বের হতে পারে না। আর এই সমস্ত
ঘটনা আমি জানবার পর আপনাকে টেলিপোর্টের মাধ্যমে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছি। যাতে করে আপনি আমার ক্লোনকে তাঁদের হাত থেকে বাঁচাতে পারেন। আর ঐ সময় ঘরটা ঘুটঘুটে অন্ধকার হওয়ার পরেও আপনি মানুষ আকৃতি গুলোকে দেখতে পেয়েছেন। তার কারন হলো আমি আপনাকে টেলিপোর্ট করে কোথাও নিয়ে গেলে কোনো কারনে যদি আপনি সেই জায়গার সব কিছুকে দেখতে না পান, যেমন আমার ক্লোন নিজের শক্তির দ্বারা সব কিছুকে অন্ধকার করে দিয়েছে। এমন হলে মানুষ আকৃতি গুলোকে অন্তত আপনি দেখতে পাবেন।

–ওহহ এবার বুঝে এসেছে। কিন্তু তারা আমার মাঝে কি এমন দেখেছে, যেটার কারনে তারা ভয়ে আমার থেকে পিছিয়ে গেছে? এবং নিজেই তোমার ক্লোনকে আমার হাতে শপে দিয়েছে?

–কারন হলো যাঁদের উপরে সুপারন্যাচারাল এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। তাঁদের শিল্ডের উপরে একটা ধাতু আছে। আর সেই ধাতু টাকে তিনবার ব্যবহার করা যায়। কোনো ড্রয়িডবাসী যখন চরম বিপদের সম্মুখীন হয়, তখন সে এই ধাতু টাকে ব্যবহার করলে কেউ তার ধারে কাছে আসতে পারবে না। এবং তার সাথে সাথে কোনো বিপদ ও তাকে ছুঁতে পারবে না। তবে এই ধাতুটা জীবনে তিনবারই ব্যবহার করা যাবে। আপনার দিকে যখন সবাই তেড়ে আসছিলো, তখন আমি প্রথমবারের মতন সেই ধাতুটাকে ব্যবহার করি। যার ফলে ড্রয়িড বাসী আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।

–ওহ আচ্ছা এই ব্যাপার তাহলে!

–হুম।

–আচ্ছা শুনো তোমার ক্লোন তো আমি রক্ষা করে এনেছি। তুমি এবার সেটাকে সামলে রাখো। আর চাইলে আমার বাসায় রাখতে পারো। তাহলে তোমার আর কোনো সমস্যা হবে না আশা করি।

–প্রিয়’ আপনাকে টেলিপোর্ট করে নিয়ে আসার সময় অলরেডি আমার ক্লোন আমি সাথে করে আপনার রুমে নিয়ে এসেছি।

–যাক ভালো করেছো। এবার ক্লোন টাকে ভালো করে সামলে রাখা দরকার।

–হুম ঠিক বলেছেন। কারন ডেভিল রিপার কখন লোক পাঠিয়ে আবার আমার ক্লোনের উপরে হামলা করে।

–আচ্ছা তুমি না তোমার বসকে চিনতে না? তাহলে এখন ডেভিল রিপারের কথা জানলে কি করে?

–আরেই ঐ সময় ক্লিনটন যখন ডেভিল রিপারের কথা আপনাকে বলেছে, আমি তখনই তার কথা শুনেছি। এছাড়া তাকে আগে কখনো দেখিও নি। এবং তার নাম ও শুনিনি। তবে এটুকু বলতে পারি, এই ডেভিল রিপার যেই হোক না কেন, সে দুনিয়ার সব চাইতে বড় কুখ্যাত ক্রিমিনাল। না হয়তো মানুষকে এভাবে শয়তানে পরিণত করতে পারতো নাকি।

–অবনী সে যতো বড় শয়তান হবে হোক। একবার খালি তার সাথে আমার পালা পড়ুক। বেটাকে কবর খুঁড়ে তার ভিতরে জলজ্যান্ত দাফন করে দিব।

–না পারবেন না আপনি ঐ শয়তানের সাথে। কারন যে কিনা এতো ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর শয়তানকে এক্সপেরিমেন্ট করে বানাতে পারে, সে নিজের রক্ষার জন্য দুনিয়ার সব কিছুই করতে পারে।

–অবনী আমি ভয় পাবার মতন মানুষ না। হয় মরবো না হয় মারবো। কিন্তু ঘাবড়ে যাওয়ার মতন পাবলিক আমি না। তাই তুমি আমাকে ওর বড়ত্ব শুনিয়ে ভয় দেখিও না।

–আরে ধুর আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি না। আচ্ছা আপনি প্লিজ এখন এসব কথপোকথন বন্ধ করুন। আর আমার পাশে চুপচাপ বসুন। আমি কাউকে বলে পাশের রুম থেকে ডক্টরকে আনার ব্যবস্থা করছি। কারন আপনার হাতের কিছুটা অংশ পুড়ে গেছে।

–বাহ নিজেই অসুস্থ। আর সে কিনা আমায় নিয়ে তড়িঘড়ি করছে।

–এই একদম কথা বলবেন না। আমি যেটা বলেছি সেটাই করবেন আপনি।

–আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর অবনী আমার ফোন নিয়ে মুজাহিদকে ফোন করে বলে ডক্টরকে সাথে নিয়ে আমাদের রুমে আসতে। মেয়ের বুদ্ধি দেখে আমি পুরো অবাক হয়ে গেছি! কিন্তু তাকে কিছুই বললাম না। কিছুক্ষণ পর মুজাহিদ পাশের রুম থেকে ডক্টরকে সাথে করে নিয়ে আমাদের রুমে আসলো। ডক্টর এসে প্রথমে আমার হাত ভালো করে দেখে নিলো। তারপর সে আমাদেরকে ওয়েট করতে বলে নিজের রুমে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর সে আবার তার রুম থেকে ফিরে আসলো হাতে ইয়া মোটা একটা ইনজেকশন নিয়ে। তার হাতের ইনজেকশন দেখে ভাবলাম সেটা হয়তো সে আমার হাতে লাগাবে। কিন্তু সে আমার কাছে এসে হুট করেই পাগলের মতন ইনজেকশনটা আমার গলায় পুশ করার প্রয়াস করলো। যেটা দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গেছে! কারন ডক্টর হটাৎ করে এমন পাগলামো শুরু করেছে কেন….

চলবে….

গল্পের ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।