রাগী ম্যাম পর্ব-০৬

0
304

#রাগী_ম্যাম

পর্ব_৬

লেখক:MR.S

আজ নতুন স্যারের জয়ন দিন। তারপর নতুন স্যারকে প্রিন্সিপল সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।
তারপর সবার সাথে পরিচয় হলো। পরিচয় পর্ব শেষে ইংলিশ ক্লাস নিলেন।
ষতিনি নাকি আমাদের নতুন ইংলিশ টিচার।ক্লাস শেষে তিনি চলে গেলেন তারপর ভার্সিটি ছুটি হলো।
বাড়িতে এখন আর বেশি রাত করিনা। আটটা নয়টার মধ্যে বাড়ি চলে আসি।
অথই ও আমাকে এখন বেশি মরেনা মনে হয় আমার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন খাটে ঘুমাই কিন্তু মাঝখানে বালিশ থাকে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বালিশ তার যায়গায় নাই।
অথই কে আবিষ্কার করি আমার বুকে। কিন্তু সেদিনের পর থেকে আর ভুলেও লুঙ্গি পরে ঘুমাই না।প্যান্ট পরে ঘুমাই।
এভাবে কেটে গেল প্রায় এক মাস। একদিন বন্ধুরা মিলে ক্যান্তিনে বসে আড্ডা দিতেছি তখন দেখলাম অথই আর মনির স্যার (নতুন ইংলিশ টিচার) বসে কফি খাচ্ছে।
আর হেঁসে হেঁসে কথা বলছে। তখন ভাবলাম একসাথে চাকরি করে তারা তো ক্যান্তিনে বসে কফি খেতেই পারে।
এইডা কোন বিষয় না।
সেখান থেকে চলে এলাম এভাবেই চলছিল দিন কিন্তু অথই আর মনির স্যারের মেলা মেশা বেড়েছে। ভার্সিটিতে তারা বেশির ভাগ সময় একসাথে থাকে।
শুধু ক্লাসের সময় বাদে। কেউ কি তার ভালোবাসার মানুষ কে অন্য ছেলের সাথে দেখলে ভালো থাকতে পারে। তাই একদিন মনির স্যারকে
রাস্তা আটকিয়ে দারালাম মনির স্যার কথা থেকে জেন আচ্ছিল

এই মামা রিক্সা থামান (রিক্সাওয়ালাকে বললাম)

রিক্সা থামিয়ে মনির স্যার রিক্সা থেকে নামল

কি হয়েছে তুমি রিক্সা থামালে কেন। তুমি রাফি না ফাষ্টইয়ারে ছাত্র (মনির)

বা আমাকে চিনেনও দেখছি। (আমি)

তোমাকে কেনা চেনে। বখাতে নাম্বার ওয়ান। শিক্ষকদেরো মানো না।

শুনুন আমি আপনার কাছ থেকে এসব শুনতে আছি নাই। জা বলতে আইছি দেখুন আমারা সমবয়সি।

হ্যা তো কি বলবে বলো।

বলছিলাম অথইর সাথে বেশি মেলা মেশা করবেন না

করব তুই বলার কে

আমি যেই হই না কেনো। আপনি ওর সাথে মেলামেশা করবেন না। ওর বিয়ে হয়েছে ওর স্বামী আছে

আমি ওর সাথে মেলামেশা করব কি করবনা তানা হয় তার স্বামি বুঝবে। তুই বলার কে (আমার কলার ধরে)

এমনিতে মাথায় রাগ। তার উপর আমার কলার ধরা। দিলাম নাক পেঁচিয়ে একটা নাক 👃 ফেতে গেছে। রক্ত বের হচ্ছে

তুই আমাকে মারলি তোকে আজ (মনির চিৎকার করে আমাকে মারতে আসতেছে)

দিলাম উরাধুরা মাইর। মাইর খেয়ে রাস্তায় পরে থাকল যাবার আগে বলে গেলাম অথইর সাথে না দেখি। রিকশাওয়ালা কে বলাম ওকে হসপিটালে নিয়ে যেতে। এত কিছু হয়েছে অথই এর কিছু জানেনা পরদিন ভার্সিটিতে গেলাম একটু পরে পিওন বলল প্রিস্নিপল নাকি ডাকছে প্রিস্নিপলের কেবিনে গেলাম। দেখলাম সব স্যার ম্যামরাও আছে। অথই আর মনির ও আছে। অথই কে দেখে মনে হলো এ খুব রেগে আছে😠😡।
মিনিরের প্রায় সবজায়গাতেই বেন্ডেজ।

রাফি তুমি মানির কে মেরেছ কেন (প্রিস্নিপল রাগি ভাবে)

না মানে ও‌ অথইর সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করছি। কিন্তু শুনে নাই তাই (বলার সাথে সাথে আমার গালে অথই ঠাসসস ঠাসসস করে চর দিল
তারপর যা বলল….

তুই ওকে আমার সাথে মেলামেশা করতে বলার কে। তুই আমার ব্যাপারে কথা বলার কে।
তোর সাহস কি করে হয় ওকে মারল। ছোটলোক কোথাকার (অনেক রেগে বলল)

হ্যা আমি বলার কে (অনেক কষ্টে বললাম)

এই বলে বেরিয়ে এলাম প্রিস্নিপল অনেক বার পিছন থেকে দাকল । কিন্তু আমি আর সেখানে থাকলাম না। আজ আমার মন অনেক খারাপ। অথইর চরে যে ব্যাথা পেয়েছি তার থেকে বেশি ব্যাথা পেয়েছি। ওর কথা গুলো আমার মনে তীরে মতো লাগল। সকলের সামনে আমাকে অপমান করল। বলল আমি ওর ব্যাপারে কথা বলার কে।
হ্যা আমি কে ওতো আমাকে কখনো ভালোবাসেনি। আমি এইসব ভাবতে ভাবতে বড়ি চলে আসলাম। বাবা-মা আমাকে দেখে বুঝতে পারল আমার খুব মন খারাপ।

কি হয়েছে এতো তাড়াতাড়ি ফিরে এলি। কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি।(মা)

না সেরকম কিছু না। এমনি ভালো লাগছিল না তাই চলে আসলাম।
আর কথা বলতে না দিয়ে রুমে চলে এলাম। রুমে এসে ওয়াশরুম গিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে অনেক কান্না করলাম। কান্না করতে করতে চোখ লাল হয়ে গেছে। তাই গোসল করে ছাদে গিয়ে সিগারেট টানতে লাগলাম আর অথইর কথা গুলো ভাবতে লাগলাম। ওদিকে অথই

এ আমি কি করলাম রাফি কে সবার সামনে মারলাম। ওর তো কোন দোষ ছিলো না। কেউ কি তার স্ত্রিকে অন্য ছেলের সাথে দেখে ঠিক থাকতে পারে। আর আমি কিনা ওকে বললাম আমার ব্যাপারে কথা বলার ও কে। রাফির ই তো বেশি অধিকার আমার ব্যাপারে কথা বলা। রাগের মাথায় কিনা কি করে ফেলেছি। আমার কথায় ও অনেক কষ্ট পেয়েছে। আমারি কি দরকার ছিল মনিরের সাথে এতো মেলামেশা করা (অথই তার অফিসে বসে এসব ভাবসে আর কান্না করছে)

অথই বড়ি চলে যায় রাফি কে খুঁজতে থাকে। তারপর ছাদে গিয়ে দেখে রাফি সিগারেট টানছে।
আমি খেয়াল করলাম অথিই এসেছে। আগে হলে সিগারেট ফেলে দিতাম কিন্তু আজ দিলাম না।
অথই আমার কাছে এসে বলছে

সরি (কান্না কান্না ভাবে)

কেন (আমি)

আমি আসলে ওভাবে বলতে চাই নাই

তো কিভাবে বলতে চেয়েছেন। আর একটু বেশি অপমান। করে

আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে প্লিস মাপ কের দাও (কন্না করতে করতে)

আমি আপনার কে যে মাফ করব। জান এখান থেকে

তুমি মাফ না করলে আমি যাবো না।

আচ্ছা মাফ করে দিলাম।

সত্যি (খুশি হয়ে)

হ্যা

তারপর অথই চলে যায় আমিও নিচে চলে আসি। রাতে সবাই একসাথে খেতে বসি। খাওয়ার সময়

অঐ তোর চোখ লাল কেনো। নেশা তেশা করিছ নাকি (বাবা)

না বাবা (দেখলাম অথইর চোখেও জল ও হয়তো বুঝতে পেরেছে আমি কষ্টে কন্না করে চোখ লাল করে ফেলেছি)

খাওয়া-দাওয়া করে ঘরে এলাম আজ আর পড়তে বললনা আমি গিয়ে সোফায় শুতে গেলাম তখন

কই যাও (অথই)

শুতে

সোফায় কেন। খাটে আস

একটা ছোটলোকের সাথে এক বিছানায় শোবেন

সরি বললাম তো তখন (দেখলাম ওর মুখ কালো হয়ে গেছে)

আমি আর কিছু না বলে খাটে এক পাশে শুয়ে পড়লাম। তারপর অথই এসে শুয়ে পড়লো আজ আর বালিশ দিল না।সকাল বেলা আবার ওকে আমার বুকের উপর আবিষ্কার করলাম। ওকে ছাড়িয়ে ফ্রেস হয়ে এলাম। এভাবেই কাটছিল দিন অথই ও আর মনিরের সাথে বেশি মেলামেশা করেনা। মাঝে মাঝে দরকারি কথা ছাড়া বলেনা।
একদিন ছিল ছুটির দিন। অথই বলল তার বন্ধুর সাথে দেখা করবে তাই বাইরে যাবে। বাবা-মা ও যাওয়ার অনুমতি দিল। আমি বন্ধুদের নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। সেখানে আমার যে তেবিলে বসেসি তার পাশেই তেবিলে যা দেখলাম…..

___চলবে___