#রোদ্দুরে_মেঘের_বর্ষন
#লেখিকা:#তানজিল_মীম
— পর্বঃ১৩
“সোফার উপর চুপচাপ বসে আছে রিয়াদ!’একটু আনিজি ফিল হচ্ছে তার কারন আশেপাশের লোকজন চোখ দিয়ে পুরো গিলে ফেলছে তাঁকে!’এমনটা নয় রিয়াদ কখনো একসাথে এত মানুষ দেখে নি, এর থেকেও বেশি মানুষের মাঝ দিয়ে গিয়েছে রিয়াদ কিন্তু তখন তার গার্ডরা ছিল যারা তাকে প্রোটেক করতো!’কিন্তু এখানে, না রিয়াদ কিছু বলতে পারছে আর না উঠে কোথাও যেতে পারছে,তাই নিরুপায় হয়ে বসে আছে সে….
__
“রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আছে তানজু আর তানজুর মা!’কিছুক্ষন আগেই সোফা থেকে উঠে এখানে এসেছে তানজু!’তানজু তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বললোঃ
—“তাড়াতাড়ি বলো মা রিয়াদ স্যারের থাকার ব্যবস্থা কোথায় করেছো….
—“উপরে…
—“ঠিক আছে…
“এতটুকু বলেই দৌড়ে তানজু রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেল!’তানজুর মা শুধু তাকিয়ে রইলো তানজুর যাওয়ার পানে!’
“তানজু দৌড়ে সোজা চলে আসে রিয়াদের সামনে!’তারপর রিয়াদকে উদ্দেশ্য করে বলে সেঃ
—“চলুন স্যার আপনাকে আপনার রুমটা দেখিয়ে দেই…
“তানজুর কথা শুনে সস্থির নিশ্বাস ফেললো রিয়াদ!’তারপর কুইকলি উঠে দাঁড়ালো সে!’রিয়াদ দাঁড়াতেই তানজু সবার উদ্দেশ্যে একটু সরার জন্য বললো!’সবাই সরতেই তানজু রিয়াদকে নিয়ে চলে গেল উপরে!’
“দুতলার চার নাম্বার রুমে রিয়াদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে!’রুমের দরজা খুলতেই রিয়াদের সবার আগে চোখে যেটা পরলো কাঠের তৈরি খাট, সাদা বেড কাভার, খাটের পাশেই একটা জানালা,জানালার বাহিরে মস্ত বড় গাছ,গাছের ডাল জানালার ছুঁই ছুঁই!’জানালার কাছেই খাটের পাশ দিয়ে কাঠের তৈরি ছোট্ট টেবিল!’সেখানে কিছু বই আছে!’টেবিলের পাশ দিয়েই কাঠের তৈরি আলমারি!’আলমারির উল্টোদিকেই ছোট্ট ড্রেসিং টেবিল!’রুমটার তিনদিকে তিনটে জানালা!’জানালাগুলো খোলা থাকায় প্রকৃতির আলোতে রুমটা পুরো ভরে গেছে!’রিয়াদের ভাবনার মাঝখানে বলে উঠল তানজুঃ
—“কি হলো স্যার দাঁড়িয়ে পরলেন যে,আমি জানি আপনার এখানে থাকতে একটু অসুবিধা হবে…
“তানজু আর কিছু বলবে তার আগেই রিয়াদ বলে উঠলঃ
—“বার বার এক কথা বলবে না তানজু,আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না…
—“তারপরও স্যার আপনি এত বড় একজন সেলিব্রেটি…
—“সেলিব্রেটি তো কি হয়েছে সত্যি বলতে আমার বেশ লাগছে এখানে…
“রিয়াদের কথা শুনে হাল্কা হাসলো তানজু তারপর বললোঃ
—“আমি জানতাম স্যার আপনার ভালো লাগবে,ঠিক আছে স্যার আপনি এখন একটু রেস্ট করুন আমি যাই..
—“হুম…
—“আর একটা কথা বলি স্যার…
—“হুম বলো…
—“স্যার আপনার গোসলের জন্য নিচে আমাদের ওয়াশরুম আছে,অথবা আমাদের বাড়ির পিছনে বড় পুকুর আছে আপনি চাইলে সেখানেও গোসল করতে পারবেন,আপনি যখন গোসল করবেন আমায় বলবেন আমি আপনার জন্য গরম পানির ব্যবস্থা করে দিবো…
—“ঠিক আছে…
—“ওকে স্যার কোনো প্রয়োজন হলে আমায় মেসেজ দিয়েন,এখানে নেট ওয়ার্ক খুব কম পাওয়া যায় তবে যতটুকু পাওয়া যায় তাতে আপনার চলে যাবে….
—“ঠিক আছে!’
—“ওকে আমি যাচ্ছি তবে…
—“হুম…
“রিয়াদের কথা শুনে তানজু আর না দাঁড়িয়ে বেরিয়ে যায় রুম থেকে!’তানজু বের হতেই রিয়াদ আস্তে রুমের দরজা বন্ধ করে ফেলে!’তারপর জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলে সে!’এতক্ষণ পর যেন তার আনিজি ফিলটা গেল!’রিয়াদ আস্তে গিয়ে বিছানার উপর বসে পড়ে!’বিছানায় বসতেই চারদিকের বাতাস এসে লাগছে তার গায়ে!’বেশ লাগছে রিয়াদের,এসির চেয়ে শতগুণে ভালো লাগছে এটা,জানালা থেকে বাহিরে তাকাতেই গাছদের ভিড়ে পাখির ডাক আর কাঠবিড়ালি দেখলো রিয়াদ,সবকিছুতেই বেশ মুগ্ধ রিয়াদ,
এতটুকু তো পরিষ্কার রিয়াদের কাছে…
“আজ প্রকৃতির প্রেমে গভীরভাবে পড়েছে সে!’
____
“রিয়াদের রুম টপকে দুই রুম পেরিয়ে যেতেই আচমকা তানজুর হাত ধরে টেনে একটা রুমের ভিতর নিয়ে গেল কেউ!’ঘটনাচক্রে তানজু ভিষন ঘাবড়ে যায়!’চোখ বড় বড় করে সামনে তাকায় সে!’সামনে হিয়ামিনিকে দেখে ঘাবড়ানো ফেস নিয়েই বলে সেঃ
—“এভাবে কেউ হাত ধরে টান দেয় এক্ষুনি তো ভয়ে জানটা বেরিয়ে আসতো আমার….
—“হি হি…😁
—“একদম হাসবি না…
—“বিশ্বাস কর তানজু আমার না এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না…
—“কি বিশ্বাস হচ্ছে না…
—“এই যে আমার ক্রাশ বিখ্যাত সেলিব্রেটি আদ্রিয়ান মাহামুদ রিয়াদকে চোখের সামনে দেখলাম…
—“বিশ্বাস না হলে পুকুরে গিয়ে একটা ডুব দিয়ে আয় বিশ্বাস হয়ে যাবে…
—“শোননা (তানজুর হাত টেনে)
—“হুম বল শুনছি তো…
—“আমি আর আমার কিছু বান্ধবীরা রিয়াদের সাথে ছবি তুুলবো সাথে অটোগ্রাফ নিবো…
—“কি…
—“হুম প্লিজ তুই একটু বলবি রিয়াদকে…
—“আমি পারুম না…
—“প্লিজ প্লিজ বল না,তুই বললেই উনি রাজি হয়ে যাবে…
—“আমি বললেই রাজি হয়ে যাবে কেন..
—“কেন আবার তুই ওনার গার্লফ্রেন্ড আর তুই বললে শুনবে না….
“হিয়ামিনির কথা শুনে চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম তানজুর!’চোখ বড় বড় করে বললো সেঃ
—“তুই কি করে জানলি…
—“এখানে না জানার কি আছে মেবাইলে দেখেছি তো,রিয়াদ নিজে বলেছে তুই ওনার গার্লফ্রেন্ড…
—“গ্রামের সবাই জানে…(ঘাবড়ে গিয়ে)
—-“আরে না ইংরেজিতে বলেছে সবাই থোড়াই বুঝেছে, আর তার থেকেও মোবাইল কয়জনে চালায় বলতো, আমিও তো কাল দেখলাম…
—“মা বাবাকে বলেছিস নাকি আবার আর আপু…
—“না কেউ জানে না কিন্তু এখন জেনে যাবে…
—“কিভাবে..
—“কেন আমি বলবো…
—“প্লিজ বোন এমন করিস না…
—“তা নয় করবো না আগে বল কেসটা কি তুই সত্যি সত্যি রিয়াদের গার্লফ্রেন্ড নাকি…
“হিয়ামিনির কথা শুনে তানজু ভাবতে লাগলো এখনি কি হিয়ামিনিকে সব বলে দিবে সে!’নাকি বলবে না!’তানজুর ভাবনার মাঝে বলে উঠল হিয়ামিনিঃ
—“কি হলো চুপ হয়ে গেলি কেন?’
—“ছয় মাস পর বলবো…
—“ছয় মাস পর কেন…
—“রিয়াদ বলেছে তাই…
—“ওহ বাবা, সবার সামনে রিয়াদ স্যার আর আমার সামনে রিয়াদ,তবে তুই যদি চাস আমি খালামনি আর খালুকে তোর আর রিয়াদ স্যারের কথা না বলি তাহলে তুইও আমার কাজটা করে দিবে ওরা কাল বিকেলে আসবে…
—“কিন্তু হিয়ামিনি….
“উওরে আর কিছু না বলেই রুম থেকে বেরিয়ে যায় হিয়ামিনি!’এদিকে তানজু পরলো বিপদে এখন কি করবে সে….
___
“দুপুর_দু’টো…
“বাড়ির পিছনে পাশাপাশি হাঁটছে রিয়াদ তানজু!’উদ্দেশ্য হচ্ছে রিয়াদকে পুকুর দেখিয়ে দেওয়া!’সাধারণত এই টাইমে এদিকে কেউ একটা আসে না তাই রিয়াদকে এখানে নিয়ে আসা অবশ্য তানজু বলেছিল রিয়াদকে তাদের বাড়ির ভিতরের থাকা ওয়াশরুম ইউস করতে কিন্তু রিয়াদ রাজি হয়নি!’রিয়াদের রুম থেকে বাড়ির পিছনের এই পুকুরটা দেখেছে রিয়াদ আর দূর থেকেই পুকুরের পানি পরিষ্কার দেখে রিয়াদ এখানে গোসল করার লোভ সামলাতে পারে নি,এমনিতে সুইমিংপুলে গোসল করার অভ্যাস তো আছে রিয়াদের,কিন্তু পুকুরে ফাস্ট টাইম হাল্কা…
“রিয়াদ তানজু হাঁটতে হাঁটতে চলে পুকুরের সিঁড়ি কাছে,সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো পুকুরের সিঁড়ি, সামনে বসার সিস্টেমও আছে…
“বিশাল বড় পুকুর, গোলাকার পুকুরের চারদিকে রয়েছে বড় বড় গাছ,বিভিন্ন রকমেরই গাছ রয়েছে এখানে,একটা গাছ তো ঝুলে রয়েছে পুকুরের দিকে!’সূর্যের স্পষ্ট আলো এসে পরছে পুকুরের মাঝখানে!’যাতে পুকুরের পানি পুরো চিকচিক করছে!’
“সিঁড়ি ওপরের দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ তানজু!’তানজু পুকুরের দিকে তাকিয়ে বললোঃ
—“আপনি শিওর স্যার এখানে গোসল করবেন…
—“হুম!’
—“ঠিক আছে স্যার আপনি এখানে গোসল করুন আমি দূরে দাঁড়িয়ে আছি…
—“ঠিক আছে!’
“রিয়াদের কথা শুনে তানজুও রিয়াদের কাছ থেকে অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে উল্টো দিক মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলো কারন আর যাইহোক রিয়াদের গোসল করার দৃশ্য দেখার তার কোনো ইচ্ছে নেই!’
.
.
“পানির কাছ থেকে এক সিঁড়ি ওপরে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ!’চোখ বন্ধ করে জোরে এক নিশ্বাস ফেললো সে!’তারপর চোখ খুলে বসে পরলো নিচে,এই খোলামেলা গাছের নিচে কখনো গোসল করে নি রিয়াদ এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছে তার ভিতর,পুকুরের পানিতে হাত ছোয়াতেই শিরশিরিরে উঠলো রিয়াদের শরীর সাথে ভালো লাগা তো আছেই!’রিয়াদ একবার তানজুর দিকে পিছন ফিরে তাকালো, তানজু উল্টো দিক মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে বিষয়টা রিয়াদের কাছে বেশ লেগেছে!’অবশ্য এ দু’বছরে রিয়াদ তো তানজুকে এতটুকু বুঝেছে’ ছেলেদের প্রতি তানজুর তেমন কোনো ইন্টারেস্ট নেই,আর এই কারনেই তো রিয়াদের বেশ লাগে তানজুকে….
“দীর্ঘ শ্বাস ফেলে রিয়াদ গোসল করতে শুরু করলো!’
___
“আচমকা তানজুর ফোনটা বেজে উঠল উপরে মায়ের নাম্বার দেখে বলে উঠল সেঃ
—“হুম বলো…
—“হোলো তোদের…
—“হুম হয়ে এসেছে রান্না সব তৈরি তো মা,..
—“হুম তৈরি…
—“ঠিক আছে তুমি টেবিলে খাবার সাজাও আর দেখো পিছনে যেন কেউ না আসে,রিয়াদ স্যারের হয়ে গেলেই আসছি…
—“ঠিক আছে…
“তক্ষনাৎ ফোনটা কেটে দেয় তানজু!’তারপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মোবাইলে গেম খেলতে শুরু করে দেয় সে!’
“আধ ঘন্টা পর….
“ব্লাক জিন্স আর রেড টিশার্ট পড়ে মাথায় টাওয়াল নিয়ে চুল মুছতে মুছতে এগিয়ে আসে রিয়াদ তানজুর কাছে!’তানজুর কাছে আসতেই পিছন থেকেই বলে উঠল রিয়াদঃ
—“হয়ে গেছে আমার এখন এদিকে ঘুরতে পারো…
“আচমকা রিয়াদের কন্ঠ শুনতেই চমকে উঠলো তানজু!’তারপর মোবাইলে গেম খেলা অফ করে পিছন ঘুরে তাকায় সে!’তারপর রিয়াদের দিকে তাকিয়ে বলে সেঃ
—“হয়ে গেছে স্যার…
—“হুম…
—“চলুন তাহলে মা আপনার জন্য খাবার বেড়ে রেখেছে…
“উওরে রিয়াদ আর কিছু বললো না হাঁটতে শুরু করলো তানজুর সাথে সাথে!’একদম ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছে রিয়াদের কাছে নিজেকে!’স্বচ্ছ প্রকৃতির পানিতে গোসল করলে যেমনটা লাগে আর কি,শুরুতে একটু শীত শীত করলেও পানিতে নামতেই নিমিষেই সব শীত চলে যায় রিয়াদের!’একদম অন্যরকম কিছু ফিলিংস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে রিয়াদ!’হঠাৎই তানজু বলে উঠলঃ
—“একটা কথা বলবো স্যার…
—“হুম বলো…
—“আপনার কিছু মেয়ে ফ্যান আছে স্যার আমাদের গ্রামে আর ওরা আপনার সাথে ছবি তুলতে আর আপনার অটোগ্রাফ নিতে চায় আপনি কি দিবেন স্যার প্লিজ…
“তানজুর কথা শুনে হেঁসে ফেলে রিয়াদ!’তারপর বললোঃ
—“হুম দিবো,,,
—“আপনি হাসলেন কেনো…
—“না কিছু না কখন আসবে ওঁরা…
—“কালকে বিকেলে স্যার…
—ওকে!’
“তানজু বুঝলো না রিয়াদ কেন হাসলো!’পাল্টা আর জিজ্ঞেসও করলো না সে,…
___
“ডাইনিং টেবিলে সামনে চেয়ারে বসে আছে রিয়াদ!’আর ওর সামনেই টেবিলের উপর রয়েছে নানান পদের খাবার সবই তানজুর মায়ের হাতের তৈরি রান্না!’রিয়াদ সব খাবারের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে বলে উঠল তানজুর মায়ের উদ্দেশ্যেঃ
—“এত কিছু আমার জন্য তৈরি করেছেন আন্টি…
—“হুম বাবা খাও এগুলো সব তোমার জন্য…
—“আপনারা কি খেয়েছেন সবাই..?’
“রিয়াদের কথা তানজুর বাবা বলে উঠলঃ
—“আমরা খাবো পড়ে আগে তুমি খাও…
—“এভাবে বলছেন কেন আপনিও বসুন আঙ্কেল সবাই মিলে একসাথে খাই!…
—“না মানে তোমার সাথে আমি..(তানজুর বাবা)
—“এভাবে বলবেন না আপনি আমার থেকে অনেক বড় আর তাছাড়া আমি একা খাবো আপনারা দাঁড়িয়ে থাকবেন এটা কেমন দেখায় তার চেয়ে আপনারাও বসুন সবাই মিলে একসাথে খাই….
“রিয়াদের কথা শুনে তানজুও তার বাবাকে বসিয়ে দেয় চেয়ারে!’তারপর রিয়াদ আর তানজুর বাবা একসাথে খেতে শুরু করলো!’তানজু,তাসলিমা আর তানজুর মা পাশেই দাঁড়িয়ে আছে ওদের!’…
“খাবার মুখে দিতেই রিয়াদের তার মায়ের কথা মনে পড়ে গেল!’রিয়াদকে চুপ থাকতে দেখে বলে উঠল তানজুর মাঃ
—“কি হলো বাবা খাচ্ছো না কেন?খাবার ভালো লাগে নি?’
—“না না খাবার খুব ভালো হয়েছে…
“বলেই খেতে শুরু করলো রিয়াদ!’রিয়াদ সবার সাথেই মিশে গেছে একদিনেই!’রিয়াদের ব্যবহার কথা বলার ধরন আর আচরণ দেখে মুগ্ধ সবাই!’রিয়াদ যে বড় একজন সেলিব্রেটি এমনটা মনেই হচ্ছে না কারোই?’
“খাবার খেয়ে তানজুর মাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রিয়াদ চলে যায় উপরে….
“বিকেলে….
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ!”আর গল্প কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবে কিন্তু!]
#TanjiL_Mim♥️