শব্দহীন প্রণয়কাব্য পর্ব-০১

0
349

#শব্দহীন_প্রণয়কাব্য(সূচনা পর্ব)
#Mst.Shah Mira Rahman

-“দুরে যাও হায়াত।অসস্থি হচ্ছে আমার।”
হায়াত চমকালো।ভড়কালো। গম্ভীর পুরুষালি কণ্ঠটি কর্ণপাত হতেই ছিটকে দুরে সরে দাড়ালো সে।সুলেমান তাকালো তার দিকে। লজ্জায় গাল দুটো রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে মেয়েটার।কেমন জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক জায়গায়।ভ্রু কুঁচকে এলো সুলেমানের।চোখ সরিয়ে নিল।কাবার্ডের দিক থেকে সরে বেডে রাখা ল্যাপটপ নিয়ে বারান্দার দিকে অগ্রসর হলো।অগ্রাহ্য করল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে।
হায়াত আড়চোখে দেখল সুলেমানের যাওয়া।বড়সড় একটা নিশ্বাস ছেড়ে দৌড়ে সুলেমানের রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ঢুকল।দরজা বন্ধ করে তার সাথেই পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। উফ্ কি লজ্জা।এ কি করল সে।এতটা নির্লজ্জ,বেহায়া কি করে হলো।ইয়া আল্লাহ, সুলেমান এখন তাকে নিয়ে কি ভাবছে কে জানে! লজ্জায় দুই হাত দিয়ে নিজের মুখ আড়াল করল সে।সাথে সাথেই চোখের সামনে ভেসে উঠল কিছুক্ষণ আগের ঘটনা।
______
সুলেমান কে কোর্ট থেকে ফিরতে দেখে হায়াত দ্রুত রান্নাঘরের দিকে গেলো। রান্নাঘরে সুলেমানের মা মিসেস সন্ধ্যা মির্জা চুলোয় মাত্র গরম পানি বসিয়েছে। হায়াত সেদিকে তাকিয়েই উৎফুল্ল মনে বলল,
“সুলেমান ভাইয়ের জন্য?”
সন্ধ্যা উপরের তাক থেকে কফির বোয়াম বের করতে করতে জবাব দিল,
“হুম।তোর কিছু লাগবে?”
হায়াত থমকালো।মাথা নিচু করে মিনমিন করে বলল,
“আমি নিয়ে যাই।”
হাত থেমে গেল সন্ধ্যার। তাকালো হায়াতের দিকে।অতঃপর কিছু একটা ভেবে মৃদু হেসে সম্মতি জানালো।
নিজেকে পরিপাটি করে কফি নিয়ে হায়াত যখন সুলেমানের রুমে আসে সুলেমান তখন ওয়াশরুমে। হায়াত মনক্ষুণ্ণ হলো। ভেবেছিল সুলেমানের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাবে।মন খারাপ করে ধীরে ধীরে বেডের দিকে এগিয়ে গেল হায়াত।বেডের পাশে কাঠের ছোট টেবিলের উপর কফির মগটা রেখে পিছু ঘুরতেই এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি স্বীকার হলো সে। সুলেমান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েছে।উদম শরীর।কোমড়ের নিচ অবধি কালো ট্রাউজার পরিহিত। কাঁধে সাদা রঙের টাওয়েল। হায়াত থমকালো। সুলেমানের চওড়া কাঁধ উদম বুক পেটানো শরীর যেন এক মূহুর্তের জন্য তার শ্বাস আটকে দিল।গলা শুকিয়ে গেল। হায়াত চোখ সরালো। কিন্তু বেহায়া চোখ আবার গিয়ে আবদ্ধ হলো সুলেমানের উদম লোমশহীন বুকে। টাওয়েল দিয়ে চুল মুছতে মুছতে সুলেমানের নজর গেল হায়াতের দিকে।প্রথমে খানিকটা ভড়কালেও তা প্রকাশ করলো না। গলায় স্বাভাবিকতা রেখে প্রশ্ন করল,
“তুমি এখানে?”
হায়াতের জবাব এলো না। সুলেমান বিরক্ত হলো। হাতের টাওয়েলটা রেখে এগিয়ে গেল কাবার্ডের দিকে। কাবার্ড থেকে আকাশি রঙের একটা টি শার্ট বের করে গায়ে গলিয়ে পিছু ফিরতেই ভ্রু কুঁচকে এলো সুলেমানের। হায়াত তার অনেক টা কাছে এসে দাঁড়িয়েছে।ঘোর লাগানো দৃষ্টি। সুলেমান কিছু বলবে তার আগেই হায়াত হাত বাড়িয়ে দিল সুলেমানের গলার এডাম এপেল এর দিকে। সুলেমান বিরক্ত হলো।রাগে অসস্থিতে পুরো শরীর রি রি করে উঠল। হায়াতের আঙুল তাকে স্পর্শ করার আগেই কণ্ঠে গম্ভীরতা এনে বলে উঠলো,
“দুরে যাও হায়াত। অসস্থি হচ্ছে আমার।”
সাথে সাথে মুখ থেকে হাত সরালো হায়াত। সুলেমানের বলা কথাটা মনে হতেই অপমানে মুখ থমথম হয়ে গেল।রাগে লজ্জায় দুই চোখ বেয়ে অশ্রু গড়ালো।নিজেকে ধিক্কার জানিয়ে দরজা ছেড়ে বেডের দিকে এগিয়ে গেল। ছিঃ ছিঃ নিজেকে অন্যের সামনে এতটা ছোট সে কি করে করল।এতটা বেহায়া হলো কি করে।এবার সে সুলেমানের সামনে যাবে কি করে।সেই মুখ কি তার আছে?
শাহিন মির্জা ও মাহিন মির্জা।এক মিনিটের ছোট বড় দুই জমজ ভাই।জমজ হলেও দুই ভাইয়ের মধ্যে দারুন তফাৎ।বড় ভাই শাহিন মির্জা একজন কঠোর ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ। রাজনীতি তার শিরায় শিরায়।অন্য দিকে মাহিন মির্জা শান্ত শিষ্ঠ শান্তিপ্রিয় মানুষ।পেশায় একজন স্কিন স্পেশালিস্ট। রাজনীতি তার অপছন্দের হলেও সে ভীষণই ভাই ভক্ত।জমজ বলেই হয়তো এই টান।তাই আলাদা থাকার চিন্তা কখনো মাথাতেও আনা হয়নি।দুই ভাইয়ের একসাথে যৌথ পরিবার। শাহিন মির্জার স্ত্রী সন্ধ্যা মির্জা একজন ভার্সিটি প্রফেসর। তাদের বিয়েটা প্রেমের হলেও জোরপূর্বক ছিল।আসলে শাহিন সন্ধ্যা কে বাড়ি থেকে তুলে এনে বিয়ে করেছিল।এ নিয়ে আফসোসের শেষ নেই সন্ধ্যার।সে চেয়েছিল ধুমধাম করে দুই পরিবারের মিলনে তাদের বিয়েটা হোক। শাহিন মানেনি।এমনি সময়ে তার ধৈর্য্য ও বুদ্ধিমত্তার সকলে প্রশংসা করলেও সন্ধ্যার বেলাতেই সে সব সময় নিজের ধৈর্য্য হারিয়েছে।যার ফলস্বরূপ আজ ও সন্ধ্যার তার পরিবারের সাথে সম্পর্কটা ঠিক হয়নি।তাদের ঘরে তিন সন্তান। সালমান ও সুলেমান জমজ ভাই। সুলেমান সালমানের চেয়ে পাঁচ মিনিটের বড়। সুলেমান পেশায় একজন ব্যারিস্টার।ঠাণ্ডা মাথায় বড় বড় জটিল কেস ও এক লহমায় সলভ করার মতো গুণ তার আছে।বিশেষ মুহূর্তে বাবার রাজনৈতিক মামলা নিজেই সামলায়।সালমান কয়েক বছর যাবৎ রাজনীতি তে বাবার সাথে যোগ হয়েছে। সুলেমান চুপচাপ শান্ত স্বভাবের হলেও সালমান তার বিপরীত।রগচটা জেদি অল্পতেই রক্ত গরম হওয়া এক পুরুষ।তবে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারাটাই তার কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার উদাহরণ। শাহিন মির্জা দুই পুত্রকে নিয়েই গর্ববোধ করেন।তবে তার ছোট মেয়ে সকাল মির্জা সবার থেকে আলাদা।দুই ভাইয়ের অন্তপ্রাণ সকাল বাইরের দুনিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখে সবসময়।তার ধ্যান জ্ঞান পুরোটাই সাদা ক্যানভাসে রঙের ছড়াছড়িতে।বয়স সাতাশ পার হলেও বিয়েতে বেশ অনাগ্ৰহ তার।বাবা বা ভাই কেউ কখনোই তার ওপর সিদ্ধান্ত চাপানোর চেষ্টা করে নি। শুধু সন্ধ্যাই মাঝে মাঝে ইমশনাল ব্লাকমেইল করতে আসে।তবে দিন শেষে ব্যার্থ সে।
মাহিন মির্জার স্ত্রী শাহানা মির্জা। একজন গৃহিণী। তাদের বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই হয়েছে। তাদের ও দুই জমজ মেয়ে। হায়াত ও আয়াত। দুজনেই এবার মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারে‌‌র ইংরেজি বিভাগে ছাত্রী।
কাল রাতের সেই অপ্রীতিকর ঘটনার পর সুলেমানের মুখোমুখি হবে না বলে রাতের খাবারটা খাওয়া হয়নি হায়াতের।যার দরুণ এখন তার পেটে ইঁদুর দৌড়চ্ছে। আয়াত বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ তার সাথে চেঁচামেচি করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে।আজ তার ইম্পর্টেন্ট ক্লাস ও আছে।বেডের ওপর ভং ধরে পড়ে থাকা হায়াত এবার উঠে দাঁড়ালো।নাহ এবার তাকে বেরোতেই হবে।একবারে রেডি হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলো সে।সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে নামতে নজর গেল ডাইনিং টেবিলে বসে থাকা সুলেমানের দিকে। মির্জা বাড়িতে দুপুরের খাবার যেমন তেমন হলেও সকাল আর রাতের খাবার সবার একসাথে মিলেই খাওয়া হয়।সেই হিসেবে এখন ডাইনিং টেবিলে সবাই বসে আছে।বড় আব্বু শাহিন মির্জার একপাশে মাহিন মির্জা ও অন্য পাশে সুলেমান বসা।সুলেমান কে দেখেই কিছুক্ষণের জন্য হায়াতের হৃদপিণ্ড থমকে গেল।ইসস লোকটা এত সুদর্শন কেন?কেন তার মাঝে এত পার্ফেকশন।এই যে এখন পাউরুটির মাঝে জেলি মাখাচ্ছে এই সামান্য কাজটাও কত নিখুঁত ও মনোযোগ দিয়ে করছে।হায়াত যতই দেখে ততই মগ্ধ হয়।সে বুঝে পায় না এত কেন চায় ও এই লোকটাকে।নিজেকে সামলালো হায়াত। নিজের অনুভূতি গুলোকে ঢোক গিলে নিজের ভেতর নিতেই তার চোখ গেল সুলেমানের পাশেই বসা সালমানের দিকে।ভ্রু কুঁচকে এলো তার।এই হতচ্ছাড়া আবার কখন বাড়ি ফিরল।কাল রাতে তো বাড়িতেই ছিল‌ না।সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতেই আয়াতের পাশে গিয়ে চেয়ার টেনে বসল। নিজের দিকে প্লেট এগিয়ে নিতেই শাহানা মেয়ের প্লেটে খাবার তুলে দিল।এরই মাঝে সালমানের ফোন বেজে উঠলো।পকেট থেকে ফোন বের করে নাম্বার দেখল।তারপর ডাইনিং টেবিলে বসা সকলের দিকে একবার তাকিয়ে ফোন কেটে দিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবার তা বেজে উঠল।রাগে চোয়াল শক্ত হলো সালমানের।ফোন রিসিভ করে কানে দিল।ওপাশ থেকে মিথুন নামের ছেলেটা চটপট বলে উঠল,
“ভাই,ধরছি ওইটারে।”
“ঠিক আছে।ওরে বেঁধে ওর মুখ থেকে কথা বের কর আমি আসছি।”
“অনেকক্ষণ ধরে কেলাইতাছি ভাই মুখ খুলতাছে না তো।”
এবার যেন সালমানের রাগের পরোদ তরতর করে বেড়ে গেল।এক দিকে সারারাত নির্ঘুম কাটানো আবার অন্যদিকে ইলেকশনের আগে বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র সব মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন সালমান গর্জন করে উঠল,
“এইটাও কি তোরে শিখায় দেয়ার লাগবে কু’ত্তার বাচ্চা।ওই শু’য়োরের বাচ্চার পেছন দিয়ে গরম লোহা ঢুকাইলে এমনেই পড়পড় করে সব উগড়াবে।”
কথাটা বলেই বুঝলো ভুল জায়গায় ভুল কথা বলে ফেলেছে সে।ফোন কেটে একনজর তাকালো সবার দিকে। শাহিন মির্জা,সুলেমান ও সকাল তিনজনেই চুপচাপ খেয়ে চলেছে যেন কিছুই হয়নি। মাহিন মির্জা হায়াত আয়াত গোল গোল চোখ বের করে তাকিয়ে আছে তার দিকে। সন্ধ্যা প্রায় কেঁদে দিয়েছে এমন ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে সালমানের দিকে।তারপর তার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে তাকালো শাহিন মির্জা দিকে।ছেলেটাকে তার নষ্ট করে দিয়েছে এই লোক। পরিবারের সবার সামনে কি ভাষায় গালিগালাজ করছে। অভিমানে খাবার টেবিল ছেড়ে উঠে চলে গেল সন্ধ্যা।সে যেতেই শাহিন মির্জার গম্ভীর কণ্ঠ শোনা গেল,
“মিথুন কে বলো ওর ওপর বেশি টর্চার না করতে।মরে যাবে বেচারা।আমি চাই ব্যাপারটা তুমি নিজে গিয়ে সামলাও।”
“জ্বী আব্বা।”
শাহিন চেয়ার ছেড়ে উঠে নিজের রুমের দিকে এগোলো।প্রিয়তমা স্ত্রীর রাগ এখন না ভাঙালে সারাদিন কোনো দানাপানি মুখেও তুলবে না সে।ব্যাপারটায় বেশ অসন্তুষ্ট শাহিন।কিছু হলেই খাবারের ওপর রাগ দেখানোর কি আছে বোঝে না সে।
সালমান বড় ভাই সুলেমানের দিকে তাকালো।বলা বাহুল্য বাবার থেকে বেশি সালমান সুলেমান কে মান্য করে।এই এখন সুলেমান চুপচাপ খেয়ে চলেছে তার মনে হচ্ছে সুলেমান রেগে আছে। একমাত্র ভাইয়ের জন্যই তার এই মুহূর্তে গিল্টি ফিল হচ্ছে।সে কখনোই ভাইয়ের সামনে এই ধরনের আচরণ নিজের থেকে আশা করেনি।
বাড়ির সবাই নিজ নিজ কাজে বেরিয়েছে। শুধু সকাল একাই সকাল থেকে নিজের রুমে পড়ে রয়েছে।তার রুমের সবকিছু এলোমেলো এদিক ওদিক ছোড়ানো। চারিদিকে পেইন্টিং এর সমাহার। ঘরের দেয়াল থেকে শুরু করে মেঝে পর্যন্ত ক্যানভাস আর রঙ তুলিতে ছড়াছড়ি। ভীষণ এলোমেলো এই মেয়েটার শিল্প হাত দুর্দান্ত।আগামী সপ্তাহে তার এক্সিবিশনের জন্যই আবার ক্যানভাসে আঁকিবুঁকি করছে সে।মাথার চুল গুলো কাটা দিয়ে আটকে রেখেছে।দুই ঠোঁটের সাহায্যে এক রঙ তুলি ধরে আরেক তুলি দিয়ে কাজ করছে।এরই মাঝে তার ফোন বেজে উঠল।সেদিকে পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজে মন দেয়ার চেষ্টা করল।ফোনটা বেজে বন্ধ হয়ে আবার বেজে উঠল।এবার বিরক্তি এসে ধরা দিল চোখে মুখে।হাতের তুলি টা রেখে মুখের তুলিটা হাতে নিয়ে এগিয়ে গেল ফোনের দিকে। নাম্বার না দেখে রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে কাটকাট কণ্ঠ তীরের মতো এসে তার বুকে বিধল,
“সমস্যা কি তোমার?ফোন ধরছ না কেন? কতবার ফোন দিয়েছি তোমায়?”
সকাল ফোন কান থেকে সরিয়ে চোখের সামনে ধরল।স্ক্রিনের ওপর সিদ্ধান্ত নামটা জ্বলজ্বল করছে। সকাল আবার ফোন টা কানে ধরল,
“কি হলো কথা বলছ না কেন?”
“কেন ফোন দিয়েছেন আপনি?”
“চাপকে গাল লাল করে দেব।জানো না কেন ফোন দিয়েছি।ন্যাকামো করছো আমার সাথে?”
অভিমান হলো সকালের।লোকটা সবসময় তার সাথে এভাবেই কথা বলে। কেন একটু ভালো ভাবে কথা বলল কি এমন হয় তার। কিন্তু নিজের অভিমান প্রকাশ করল না।কণ্ঠে গম্ভীরতা এনে বলল,
“এরপরের বার থেকে আমার সাথে কথা বলতে আসলে বুঝে শুনে কথা বলবেন মি. সিদ্ধান্ত।আমি আপনাকে আমায় চাপকানোর অধিকার দেয়নি।তাই অনধিকার চর্চা করতে আসবেননা আমার ওপর।আমি টলরেট করবোনা।”
“তোর অধিকারের গুষ্টির ষষ্ঠী।কারে অধিকার শিখাইতে আইছোস তুই?ভুলে যাস না তিন কবুল বলে তোর ওপর সকল অধিকার নিজের অধীনে নিছি আমি।চাইলে এক্ষুনি তোকে তোর বাপ ভাইয়ের সামনে থেকে তুলে আনতে পারি আমি।আর তুই আমারে অধিকার দেখাস।”
কেঁপে উঠলো সকাল।ছলকে উঠলো তার হৃদপিণ্ড।চোখের সামনে ভেসে উঠলো কিছু বিষাক্ত অতীত।প্রিয় মানুষের অপ্রিয় হওয়ার এক অনাকাঙ্ক্ষিত সত্য।

চলবে।