শুধু তুই পর্ব-১৬+১৭

0
424

#শুধু তুই
#পর্বঃ১৬+১৭
#Ovi…….(Writer)

রাত আটটা বাজে। তুলি সায়ানের অপেক্ষা করছে। সেই দুপুর বেলা বেরিয়েছে জুজুকে আনতে এখনো আসার নাম নেই।

“কি রে

জিসান আসে। তুলির পাশে বসে। তুলি একমনে সায়ানের কথা ভাবছে। জিসান যে ওর পাশে বসেছে সেদিকে তুলির খেয়াল নেই। সায়ান এবার তুলিকে একটু ধাক্কা দেয়

” কি রে কি ভাবছিস

“জিসান আমি তোর ভাইয়ের সাথে থাকতে চায়। সংসার করতে চায়।

জিসান তুলির দিকে তাকিয়ে আছে। তুলি জিসানের হাত ধরে কেঁদে বলে

” খুব ভালোবাসে ফেলেছি তোর ভাইকে। আমি ওকে ছাড়তে চায় না।

“কিন্তু ভাই তোকে ভালোবাসে না

তুলি জিসানের হাত ছেড়ে দেয়। চোখের পানি মুছে

” কি বলতে এসেছিলি

“তুই তো কিছু খাস নি

” পরে খেয়ে নেবো

“তুলি

” সান্ত্বনা দিতে হবে না। আমি এমনিতেই স্টং

“সান্ত্বনা দেবো না। শুধু এটাই বলবো নিজের অধিকার ছাড়বি না

জিসান চলে যায়। তুলি চোখ বন্ধ করে ভাবছে

” আমি আমার অধিকার ছাড়বো না। কিন্তু জোর করে কি কারো মন জয় করা যায়? সায়ানের মনের কোথাও তো আমি নেই তাহলে কি করে অধিকার ধরে রাখবো?

এসব ভাবতে ভাবতে তুলি ঘুমিয়ে পরে। রাত দুটোই দরজা খোলার শব্দে তুলির ঘুম ভাঙে।
সায়ানের দিকে তাকিয়ে তুলি চমকে ওঠে। চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। চুল গুলো এলোমেলো। শার্ট ময়লা হয়ে গেছে। মুখটা শুকিয়ে গেছে।

“কোথায় ছিলেন আপনি?

সায়ান এক নজর তুলির দিকে তাকিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। কিছুখন পরে টাওয়াল দিয়ে চুল মুছতে মুছতে বের হয়।

” আমি জিজ্ঞেস করছি আপনি কোথায় ছিলেন?
তুলি একটু জোরে বলে

সায়ান তুলির সামনে এসে ডিভোর্স পেপার এগিয়ে দেয়

“আমি সাইন করে দিয়েছি আপনি সাইন করে কাল সকালেই বিদেয় হবেন প্লিজ

” আপনি এভাবে বলছেন কেনো?
তুলির চোখ দিয়ে আপনাআপনি পানি পড়তে।
সায়ান তুলিকে পেছন ঘুরে দাঁড়ায়।

“মুক্তি দিলাম আপনাকে

” আমি মুক্তি চায় না
তুলি চিৎকার করে বলে

“আমি চায়। আমি থাকতে চায় না আপনার সাথে। দম বন্ধ হয়ে আসে। যবে থেকে আমার লাইফে এসেছেন তবে থেকে বিরক্ত করে যাচ্ছেন। এবার একটু শান্তি দিন প্লিজ।
তুলির দিকে তাকিয়ে হাত জোর করে বলে
দয়া করে আপনার মুখটা যেনো আমাকে আর দেখতে না হয়।

সায়ান বেলকনিতে চলে যায়। তুলি হাউমাউ করে কাঁদছে। পায়ে অতিরিক্ত ব্যাথা নিয়েও দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। জিসান বলে চিৎকার করে। সায়ান আর জিসান দুজনই ছুটে আসে। সায়ান ধরার আগেই জিসান তুলিকে ধরে ফেলে। তুলির কাটা জায়গা থেকে রক্ত পড়ছে

” তুলি কি হয়েছে?

“জিসান আমি বাড়ি যাবো
তুলি কেঁদে বলে

” এতো রাতে

“হেল্প না করলে আমি একাই যাবো

” আমি নিয়ে যাচ্ছি

জিসান তুলিকে কোলে করে নিয়ে যায়।

বাড়ি গিয়ে কলিং বেল বাজায় জিসান। তুলিকে কোলে করে৷ তুলির মা দরজা খুলে দেয়। ওদের দেখে অবাক হয়

“তোরা এতো রাতে

জিসান কিছু না বলে তুলিকে তুলির রুমে নিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে চলে যায়। তুলির বাবা মা তুলির পাশে বসে আছে। তুলি চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে

” মামনি কি হয়েছে?

“ঘুমাবো

” কিন্তু

“বলছি না ঘুমাবো বিরক্ত করছো কেনো?
তুলি চিৎকার করে বলে। তুলির বাবা মা চলে যায়।

জিসান নিজের রুমে ঢুকে দেখে সায়ান বসে আছে

” ব্রো তুই এখানে?

“তুলিকে ভালোবাসিস?

” হুম। তুলি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড বোনও বলতে পারিস। পাঁচ বছর নিনি ওকে।

“বিয়ে করে নিলেই তো পারিস

” এক মিনিট তুমি কি তুলি আর আমাকে নিয়ে জেলাস

“মাই ফুট

জিসান সায়ানের পাশে বসে

“আমি খুব খুশি যে তোর মতো একটা খুনির হাত থেকে তুলি বেঁচে গেছে। তুই তুলির মতো ভালো কাউকে ডিজার্ভ করিস না। আমি যদি কখনো তুলিকে ভালোবাসতাম তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম। এবার তুই যেতে পারিস

সায়ান জিসানের দিকে তাকিয়ে আছে।

” যেতে বলছি

সায়ান বের হয়। জিসান দরজা বন্ধ করে দেয়।

প্রচন্ড জ্বর হয়েছে তুলির। হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে তুলিকে। তুলি কঠোর করে বলে দিয়েছে শশুড় বাড়ির কাউকে না জানাতে। জানালে তুলি চলে যাবে অনেক দুরে।

সকালে খাবার টেবিলে সবাই খাচ্ছে। সায়ানের মা বলে

“বেয়াদব মেয়েটার এখনো ওঠার নাম নেই। বাবা মা শেখায় নাই

জিসান খাওয়া ছেড়ে উঠে

” তুলি চলে গেছে। আমি আর তুলির নাম তোমার মুখে শুনতে চায় না

জিসান হনহন করে চলে যায়। সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। তুলি কোথায় গেছে? কখন গেছে।

“তুলি চলে গেছে?

সায়ানও না খেয়ে চলে যায়।

অফিসে বসে আছে সায়ান। ভীষণ রাগ হচ্ছে নিজের ওপর। কেনো রাগ হচ্ছে জানে না সায়ান। রাগে মাথার চুল টানছে তুলি।

” মে আই কাম ইন

“তুলি আপনি কেনো এসেছেন? আপনাকে না চলে যেতে বলছি

” স্যার আমি মায়া

সায়ান দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে মায়া।

“বলুন কি চায়?

মায়া ভেতরে ঢুকে

” স্যার তুলি কেমন আছে

“জানি না

” ওহহ। একটা কথা বলি

“হুমম

” আপনি তুলিকে

সায়ান গর্জে ওঠে

“তুলি তুলি তুলি। এই নামটাকে ভুলতে চায়। আই হেট তুলি

মায়া ভয়ে কেঁপে ওঠে।

” সরি স্যার

মায়া তাড়াহুড়ো করে চলে যায়।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে তুলি।

“মায়া নিশ্চয় সায়ানকে বলেছে আমি অসুস্থ। সায়ান কি আসবে একবার আমাকে দেখতে। ভালো না বাসলো মানবতার খাতিরে তো দেখতে আসতে পারে। আসবে তো সায়ান?

জিসান আসে। তুলির পাশে মোরা টেনে বসে

” কেমন আছে আমার জানুটা

“ভালো।

” পায়ের ব্যাথা কমেছে

“মোটামুটি

” খেয়েছিস

“হুম মা খাইয়ে দিয়েছে। তুই

” নারে

“ওখানে খাবার আছে খেয়ে নে

” লাভ ইউ বেবি

“ইয়াম্মি ইয়াম্মি খাবার দিলে নেইমার ও লাভ ইউ বলবো

” তাই না কি? নেইমার তোরে লাভ ইউ কইবো

“কথার কথা

” তাই বল। আমি তো প্রায় হার্টএ্যাটাক করছিলাম

তুলির মন ভালো নেই তাই আর কিছু বলে না।

ফুল স্পিডে গাড়ি ডাইভ করছে সায়ান। নিজেকে খুব আসহায় মনে হচ্ছে। বারবার তুলির কথা মনে পড়ছে। তুলির জন্য মনের মধ্যে একটা শুন্যতা কাজ করছে কিন্তু সায়ান মানতে নারাজ। কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না তুলির মতো মেয়ে সায়ানের মনে জায়গা করে নিয়েছে।

“নাহহহ আমি তুলিকে ভালোবাসতে পারি না। আমার অনিশ্চিত জীবনে কোনোভাবেই আমি তুলিকে জড়াতে চায় না৷ আমি ভাববো না তুলির কথা। ভুলে যাবো তুলিকে। কিন্তু পারছি না কেনো?

হঠাৎ গাড়ির ব্রেক ফেল হয়ে যায়। একটা গাছের সাথে বারি খায়। মাথায় প্রচুর ব্যাথা পায়। রক্ত পড়ছে প্রচুর।

” চোখ খুলে সায়ান অবাক হয়ে যায়। কারণ সায়ান তুলির রুমে। চোখ খুলে সামনে তাকিয়েই তুলির ছবি দেখে। সেটা দেখেই বুঝে যায় এটা তুলির রুম। সায়ান মাথায় হাত দিয়ে দেখে ব্যান্ডেজ করা।
পাশে তাকিয়ে দেখে তুলি ফোন দেখছে

“আমি এখানে কেনো?

সায়ান উঠতে উঠতে বলে

” ও মা আপনি জানেন না

“জানলে কি জিজ্ঞেস করতাম

” তাও ঠিক। আসলে আপনি আমাকে অতিরিক্ত মিছ করছিলেন তো তাই ঘুমের মধ্যে হেঁটে হেঁটে চলে এসেছেন

“সাট

” আপ

সায়ান রাগী দৃষ্টিতে তাকায় তুলির দিকে। তুলি হাঁসে

“কাল আপনি রাস্তায় পরেছিলেন বাবা নিয়ে এসেছে আপনাকে।

সায়ান মাথায় হাত দিয়ে ভাবছে

” মাাাাাাাা

তুলি চিৎকার করে মা কে ডাকে। সায়ান কানে হাত দেয়

“স্টুপিটের মতো চিৎকার করছেন কেনো?

” স্টুপিটরা চিৎকার করে বুঝি?

“ইডিয়েট

তুলির মা দৌড়ে আসে

” কি হয়েছে

“তোমার জামাই খাবো খাবার আনো

তুলির মা সায়ানের সাথে দু একটা কথা বলে চলে যায়।

” জামাই কে?

তুলি আশেপাশে তাকিয়ে বলে

“আপনি ছাড়া এখানে আছে কে?

” আমি জামাই না

“তাহলে কি

সায়ানের ফোন বেজে ওঠে। সায়ান রিসিভ করতে যায় তুলি ফোনটা নিয়ে যায়

” হেলো

ওপাশ থেকে জুঁই বলে

“সায়ান কোথায়?

” আমার সাথে

“ওর কাছে দাও ফোনটা

” ও কথা বলবে না

“কেনো?

“আমার স্বামী পরোনারীর সাথে কথা বলবে না

” সায়ান বলেছে

“না সায়ানের অর্ধাঙ্গিনী বলছে

” সাধু সাজছে এখন তাই না। আমার সংসার ভেঙে সাধু সাজা হচ্ছে।

“আপনার সংসার আমার স্বামী ভাঙে নি

” তাই না কি? তাহলে আমার স্বামীকে কে খুন করেছে?

“এখানে গন্ডগোল আছে

” কোনো গোন্ডগোল নেই। আমার বাচ্চার দায়িত্ব কে নেবে? কেনো আমার মেয়ে বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হবে? সায়ান যদি দায়িত্ব না নেই তাহলে আমি পুলিশকে সব বলে দেবো

“রিলাক্স। এতো হাইপার হচ্ছো কেনো? তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে কেউ তোমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কথা গুলো বলাচ্ছে।

” তুমি বেশি কথা বলছো

“তুমি আমার বোনের মতো। জুজুকে আমিও খুব ভালোবাসি। আমি জানি না তোমরা কেনো এমন করছো। কি চাও তোমরা। এমন করো না বোন। কি পাবে বলো? হয়ত তোমার আর তোমার বাবার জোরাজোরিতে সায়ান তোমায় বিয়ে করবে। একটা কথা বলো তো তুমি যদি সায়ানকে জোর করে বিয়ে করো তোমার মরে যাওয়া স্বামীর কি ভাববে। সে কতোটা কষ্ট পাবে।

তুলি কথা গুলো জুঁইয়েরও খুব ভালো লাগছে। সত্যি কথাই তো বলছে তুলি।

” সবার চিন্তা ভাবনা এক না।

“হুম কিন্তু তুমি ভেবে দেখো আমি ভুল বলিনি। নিজের চিন্তাভাবনাকে ভালো কাজে ব্যবহার করো। দেখো তোমার জীবনটাও সুন্দর হবে তুমিও ভালো থাকবে

জুঁইকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তুলি ফোন কেটে দেয়। মনে মনে সায়ানের বকা খাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। এই বুঝি শুরু করলো

” আপন
তুলি সায়ানকে থামিয়ে

“প্লিজ বইকেন না। আমার মতো একটা মাসুম শিশুকে বকতে আপনার বিবেক বাধা দেয় না। কেমন পাষান আপনি।
ইনোসেন্ট ফেস করে বলে তুলি। তুলির মুখ দেখপ সায়ানের হাসি পাচ্ছে।

” আচ্ছা আমি মেয়ে হিসেবে কেমন

“জঘন্য

” বউ হিসেবে

“বাজে

” ধুর আপনি মিথ্যা বলছেন। আমি খুব ভালো

“আমি কখন বললাম খারাপ

” এই তো বললেন

“খারাপ বলি নি

” তার মানে আমি ভালো

“তাও বলি নি

” শালা হনুমান

বিরবির করে বলে তুলি

“কি বললেন

” আপনার মাথা

তুলির মা আসে। সায়ান ওয়াশরুমে চলে যায়।

“মা খাবার রেখে যাও

” ঠিক আছে

খাবার দিয়ে তুলির মা চলে যায়। জিসান তুলিরে ফোন দেয়

“বল

” এইমাত্র তোদের বাড়ি থেকে একটা মেয়ে বেরিয়ে গেলো কে ওইডা

“আমাদের বাড়ি থেকে মেয়ে

” হুম৷ নীল ড্রেস

“আমি তো দেখি নি

” কানা না কি তুই

“হপ দাঁড়া আমি খোঁজ নিচ্ছি

” লাভ ইউ বেবি

“আলগা পীরিত দুরে রাখ

তুলি ফোন রেখে ভাবছে কে ছিলো।

” আমি খাবো

সায়ান হাত মুখ মুছতে মুছতে বলে

“খাবার রেডি

সায়ান খেতে বসে। রুটি ছিড়ে গালে দেওয়ার আগে তুলির দিকে তাকিয়ে দেখে তুলি হা করে তাকিয়ে আছে

” এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো

“আমার বরটাকে দেখছি। কতো কিউট দেখলে খালি দেখতেই ইচ্ছে হয়।

” আপনাকে সেদিন ওইভাবে চলে আসতে বললাম।

“উদ্দেশ্য ছাড়া তুলি কোনো কাজ করে না। আপনার সাথে ভালো বিহের করার পেছনে বড় কোনো উদ্দেশ্য আছে। যা খুব তাড়াতাড়ি আপনি জানতে পারবেন। আপনি হয়ত ভাবেন আমি আপনাকে ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছি তাই আপনার সব ভুলে গেছি

” ভাবার কি আছে? সত্যি তাই

তুলি হো হো করে হাসে

“আমি ভালোবাসবো তাও আপনাকে সিরিয়াসলি আপনার এটা মনে হয়

সায়ান ভাবতে থাকে

” সত্যি তো আমি এরকম ভাবলাম কেনো? এমন তো নাও হতে পারে।

তুলি সায়ানের সামনে হাত নারায়

“হেলো কি ভাবছেন

” কিছু না

সায়ান খাবার মুখে দেয়।

“আমার বাবা কেনো আমাকে আপনার সাথে বিয়ে দিয়েছে সেটা এখন বুঝতে পারলাম আমি।

” কি কারণ

“দেখু তেতো আর তেতো তো একসাথে থাকতে পারে না। তাই বাবা তেতো আর মিষ্টি মিলিয়ে দিছে

” মানে

“মানে বুঝবেন না. আপনি এমন কেনো? আমার বাবার খাবার খাচ্ছেন অথচ আমাকে খেতে বলছেন না

” আমার খিদে পেয়েছে আমি খাচ্ছি। আপনার টা আপনি বুঝবেন

“কি সুন্দর বিচার আপনার

তুলিও খাওয়া শুরু করে। কার থেকে কে বেশি খেতে পারে। পাল্লাপাল্লি করে খাচ্ছে দুজন। তুলি ফাস্ট হওয়ার জন্য এতো এতো খাবার মুখে পুরেছে এখন চিবতে পারছে না। সায়ানের খাওয়া শেষ। তুলির অবস্থা দেখে সায়ান হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। তুলি মুগ্ধ হয়ে সায়ানের হাসি দেখছে।

হাসলে কতো সুন্দর লাগে মানুষটাকে অথচ সব সময় গোমড়ামুখো হয়ে থাকে। তুলির আর চিবোনোর কথা মনে নেই। ও তাকিয়ে আছে সায়ানের দিকে। আর তখনই ভেসে আসে একটা গানের সুর
#শুধু তুই শুধু তুই আর চাইছি না কিছুই।

চলবে,,