শেষ প্রান্তের মায়া পর্ব-০৯

0
297

#শেষ_প্রান্তের_মায়া (৯)
#বোরহানা_আক্তার_রেশমী
_______________

মাহিদ ডাক্তার নিয়ে আসলে তিন্নিকে দেখে। ততক্ষণে আমি চুপচাপ বসে দেখছিলাম। সোহান ভাই তো কোনো কথা-ই বলতেছে না৷ মাহিদ আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বলে,

‘বুবু সোহান ভাই এভাবে বসে আছে কেন? উনারও কি শরীর খারাপ লাগতেছে? ডাক্তার কাকাকে কি উনাকেও দেখতে বলবো?’

আমি জবাব দিলাম না। ঈশারায় চুপ থাকতে বললাম। ডাক্তার তিন্নিকে দেখে একটা প্রেসক্রিপশন হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো,

‘চিন্তার কিছু নাই। মনে হয় শরীর দুর্বল তাই এমন হয়েছে। আমি কিছু টেস্ট দিয়েছি ওগুলো একটু কাল করিয়ে আসবেন।’

মাহিদ প্রেসক্রিপশনটা আমার হাতে দিয়ে মাথা নাড়ালো। তারপর আবার নিজেই গিয়ে এগিয়ে দিয়ে আসলো। আমি প্রেসক্রিপশন টা টেবিলের ওপর রেখে সোহান ভাইকে বললাম,

‘চিন্তা করবেন না ভাইয়া। কালই দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে। আমি কি আজ রাতটা তিন্নির সাথে থাকবো?’

সোহান ভাই শান্ত গলায় বললেন, ‘নাহ আপু। আমি থাকতে পারবো সমস্যা হবে না। আপনারা এতটুকু করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।’

আমি আর কথা বাড়ালাম না। মাহিদ না আসা পর্যন্ত তিন্নির শিয়রেই বসে থাকলাম। ততক্ষণ সোহান ভাাই দুরেই বসে ছিলো। একবার তার দিকে তাকিয়ে দেখি সে এক দৃষ্টিতে তিন্নির দিকে তাকিয়ে আছে। আমি মুখ ফিরিয়ে হাসলাম। এমন স্বামী পেতে অনেক ভাগ্যবতী হতে হয়৷ মাহিদ চলে আসলে আমরা দুজন নিজেদের বাড়িতে চলে আসলাম। মেয়েটার চিন্তায় আজ কতটুকু ঘুম হবে জানি না৷ মাহিদকে বললাম কিছু চিন্তা করে ঘুমিয়ে পড়তে। সারাদিন কাজ করে এমনিতেই ‘ও’ ক্লান্ত হয়ে থাকে। আমি নিজেও সব পরিষ্কার করে শুয়ে পড়লাম।

___
সকাল বেলা একবার তিন্নির ঘরের দিকে তাকিয়ে আমি দ্রুত রান্না বসিয়ে দিলাম। তিন্নিরা এখনো উঠেনি। মাহিদ নিজেও ঘুমাচ্ছে। রান্না হয়ে গেলে ওকে ডেকে তুলবো। আমি রান্না বসিয়ে দিয়ে সব হাতের কাজ সেড়ে নিলাম। আগে আগেই সব কাজ শেষ করে নিয়ে মাহিদকে ডাকলাম। মাহিদ উঠে ব্রাশ করে তিন্নিদের বাড়ির গেইটে টোকা দিয়ে ডাকে। সোহান ভাই দরজা খুলে দেয়। আমি তখনো আমাদের বাড়ির গেইটে দাঁড়িয়ে আছি। সোহান ভাইয়ের পিছন পিছন তিন্নি নিজেও উঠে আসে। মাহিদ বলে,

‘ভাই আজ কাজে যাবেন না?’

সোহান ভাই ব্যস্ত গলায় বললেন, ‘নাহ রে আজ কাজে যাবো না। তবে ভাইকে বলে আসবো আজ কাজ করতে পারবো না। চল তো!’

‘দাঁড়ান আমি মুখটা ধুয়ে আসি।’

সোহান ভাই মাথা নাড়ায়। পেছন থেকে তিন্নি বলে, ‘আপনি একটু বসেন আমি কিছু একটা রান্না করে দিচ্ছি।’

সোহান ভাই কিছু বলার আগেই আমি বললাম, ‘তিন্নি রান্না করো না। আমি আজ তোমাদের জন্যও রান্না করেছি। দুজন আজ এখানে খেও!’

তিন্নি অবাক হয়ে বলে, ‘তুমি রান্না করতে গেলে কেন মায়া?’

‘তো কি হয়েছে শুনি? তুমি যখন জোড় করে নিজের রান্না আমাকে দিয়ে যাও তখন কি হয় হু! একদিন আমার এখানে খেলে তেমন কোনো মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। হাত মুখ ধুয়ে খেতে এসো। সোহান ভাই আপনিও আসেন আপনাদের তো আবার হাসপাতালে যেতে হবে টেস্ট করানোর জন্য।’

তিন্নিও আর কিছু বললো না। সোহান ভাই নিজেই তিন্নিকে নিয়ে ভেতরে গেলেন। আমিও ভেতরে এসে সব খাবার গুলো ঠিক মতো বেড়ে নিলাম। মাহিদ, সোহান ভাই, তিন্নি সবাই এক সাথে খেতে বসে। আমারও কাজ আছে তাই নিজেও খেয়ে নিলাম। খাওয়া শেষ করে সব তুলতে তুলতে বললাম,

‘তোমার সাথে যেতে পারতেছি না গো। তুমি প্লিজ রাগ করো না।’

তিন্নি হেঁসে বলে, ‘ধুর বোকা মেয়ে। যাও তুমি। তোমার ভাই একাই সব সামলে নিবে।’

খারাপ লাগলেও কিছু করার নাই। সব থালাবাসন পরিষ্কার করে হাত মুখ ধুয়ে রেডি হয়ে নিলাম। তিন্নিকে রেখে আমি চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলাম। দেড়ি হলে আবার ম্যানেজার হাজারটা কথা শুনাবে। একটা সিএনজিতে করে প্রথমেই ফুটপাতের পাশে নামলাম। আশে পাশে তাকিয়ে সিহাবকে খুঁজলাম। পেয়েও গেলাম। ওকে ডেকে বললাম,

‘আজ বিকালে কিন্তু এখানে দাঁড়াবি। তোর সাথে আমার কথা আছে।’

সিহাব মাথা নাড়ালো। আমি দ্রুত ওকে রেখে পা বাড়ালাম গার্মেন্টসের উদ্দেশ্যে।

____
কাজ শেষ করে বিকেলে বের হলাম। ফুটপাত ধরেই হাঁটা শুরু করলাম। সিহাবকে আজ নিয়ে যাবো। ছেলেটা অনেক খুশি হবে। মনে মনে খুশি হয়েই ফুটপাত ধরে হাটতেছি। সিহাবকে দেখতেছি না কোথাও। কই যে গেছে ছেলেটা! এর মধ্যেই সামনে হাজির ১ মাস আগের সেই ছেলেটা। যে ছেলেটা আমাকে ফার্মেসিতে নিয়ে গেছিলো, রাস্তা পার করে দিয়েছিলো। আমি দেখেও না দেখার ভান করলাম। অবশ্য ছেলেটাকে প্রায় রোজই দেখি এখানে বসে আড্ডা দিতে। কখনো কখনো একাই বসে থাকে। আমি বরাবরই এড়িয়ে চলি। প্রতিদিনের মতো আজও এড়িয়ে যেতে চাইলাম। কিন্তু ছেলেটা ডাকে। বলে,

‘হ্যালো মিস! চিনতে পারেননি?’

আমি দাঁড়ালাম। ঠান্ডা গলায় বললাম, ‘আপনি কি পরিচিত কেউ?’

‘আরেহ ১ মাস আগের কথা মনে নেই?’

‘মনে থাকার মতো কোনো কারণ আছে কি?’

ছেলেটা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে। আমি তাকে পাশ কাটিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। সে নিজেও আমার সাথে সাথে হাঁটা লাগালো। বললো,

‘আপনি প্রতিদিন এদিকে কোথায় যান? বাড়িতে নাকি অন্য কোথাও?’

আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম। বিরক্তির দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম। আমার কেনো জানি ছেলেদের ওপর অকারণেই বিরক্তি কাজ করে। হয়তো ৪ টা বছরে জীবনে দাগ পড়ে গেছে, মনে দাগ কেটে গেছে। আমি সরাসরি বললাম,

‘এদিকটায় যে গার্মেন্টস আছে আমি সেখানে কাজ করি।’

সে একদম বিড়বিড় করে বলে, ‘চলবে!’

ভ্রু কুঁচকে তাকালাম। বললাম, ‘চলবে মানে?’

থতমত খেলো ছেলেটা। আমার বিরক্তি যেনো আকাশ ছুলো। আজকে সিহাবটা কোথায় গেলো! সকালে বলে গেলাম থাকতে তারপরও হাওয়া হয়ে গেছে! ছেলেটা কে কিছু বলতে যাবো তার আগেই পরিচিত কন্ঠে কেউ ডেকে ওঠে। আমি ফিরে তাকায় সেদিকে। বড় ভাবি! আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। পিটপিট করে চেয়ে রইলাম বড় ভাবি আর তার মেয়ে আশার দিকে। দুজনে এগিয়ে আসে আমার দিকে। আশা ‘কাকিয়া’ বলে ছুটে এসে আমাকে জাপ্টে ধরে। আমি হাটু মুড়ে নিচু হয়ে আদর করে দেই মেয়েটাকে। মেয়েটা নিজের ছোট ছোট হাতে আমার চোখ মুখ ছুঁয়ে বলে,

‘তুমি এতোদিন কোথায় ছিলে কাকিয়া! জানো আমি তোমাকে অনেক গুলো মিস করেছি।’

আমি হাসলাম। বড় ভাবি বললেন, ‘মায়া তুই এখানে? তোরা না গ্রামে চলে গেছিলি!’

‘সে অনেক কথা ভাবি পরে একদিন শুনিয়েন। আপনারা এখানে কি করছেন?’

‘ঘুরতে এসেছিলাম। তোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসলাম।’

আমি ছোট্ট শব্দে ‘ওহ’ বললাম। ভাবি আমার দিকে তাকিয়ে আবার ছেলেটার দিকে তাকায়। আমাকে বলে, ‘এটা কে মায়া?’

আমি ভাবির প্রশ্নে ছেলেটার দিকে তাকালাাম। ছেলেটার চোখ মুখের রিয়েকশন দেখে নিজেই ঘাবড়ে গেলাম। কোনোমতে ভাবিকে বললাম, ‘চিনি না। উনি কি যেনো জিজ্ঞেস করতে আসছিলো।’

এর মধ্যে সিহাবও ছুটে আসে। আমার কাছে এসে বলে, ‘দেড়ি হইয়া গেছে আপা। কিছু মনে কইরেন না।’

আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে হাসলাম। ভাবি বললো, ‘এটা কে?’

‘এটাা আমার ছোট ‘ভাই’ হয় ভাবি।’

‘কিন্তু মাহিদ তো!’

‘এটা তো মাহিদ না ভাবি। এটা সিহাব।’

সিহাব ফ্যালফ্যাল করে তাকায় আমার মুখের দিকে। ভাবি আমার দিকে তাকিয়ে হাসে। হয়তো কিছু বুঝতে পেরেছে তাই বলে, ‘তুই এতো ভালো কেন বল তো!’

আমি জবাব দিলাম না। আশা বললো, ‘কাকিয়া এটা কি মামাই হয়?’

‘হ্যাঁ আম্মু এটা মামাই হয়।’

ভাবি আমার হাত ধরে একটু দুরে আনে। চোখে মুখে হাত বুলিয়ে ছলছল নয়নে তাকিয়ে বলে, ‘তোকে খুব মনে পড়ে বোন। কেন যে ওরা এমন করলো!’

‘যাা হয় তা ভালোর জন্যই হয় ভাবি। এসব বাদ দেন। তন্ময় বিয়ে করেছে?’

ভাবির মুখে চাপা রাগ ফুটে ওঠে। দাঁতে দাঁত চেপে বলে, ‘জানি না। ওই প’শু গুলোর বাড়িতে থাকি না আর আমরা। তুই যেদিন চলে গেলি সেদিনই তোর ভাইকে বলেছি বাড়ি আসতে। সে ৭ দিনের মধ্যেই বাড়ি চলে আসছিলো পরে তাকে পুরো ঘটনা বলেছি আর এটা বলেছিলাম ওমন জা’নো’য়া’রদের বাড়িতে আমি কিছুতেই থাকবো না। তোর ভাইও অনেক রেগে গেছিলো পরে সব ছেড়ে ছুড়ে আমরা আলাদা ফ্ল্যাট নিয়ে থাকছি৷ ওই ডা’ই’নীটা আমার স্বামীর মন গলানোর জন্য কত কি বললো তারপরও উনি মানেনি।’

ভাবির কথার ধরণ শুনে হেঁসে দিলাম। বললাম, ‘আপনিও না ভাবি! তো এখন আপনাদের সংসারের কি খবর?’

‘ভালোই। তুই কি করিস এখানে?’

‘এই যে সামনের গার্মেন্টসে কাজ করি।’

ভাবি কেমন করে যেনো তাকালেন। অবাক কন্ঠে বললেন, ‘তোর বাবা-মা? ভাই-বোন?’

হেঁসে বললাম, ‘ডিভোর্সী মেয়ের ভার কেউ বইতে পারবে না তাই চলে এসেছি আর মাহিদ থাকে আমার সাথে। মাহমুদা আর মাইশা তো ছোট তাই ওরা আসতে পারেনি।’

ভাবি অসহায় দৃষ্টিতে তাকালেন। আমার হাাত ধরে বললেন, ‘তুই আমার বাড়িতে থাকবি চল! তোর এতো কষ্ট করতে হবে না বোন। তোর কোনো কাজ করতে হবে না।’

‘কি করছেন ভাবি! পা’গল হলেন নাকি! আমি তো একা থাাকি না ভাবি। মাহিদ থাকে আমার সাাথে আর সিহাবও থাাকবে। তাছাড়া আপনার সাথে গেলে কতদিনই বা এভাবে আমাকে রাখবেন? এক না একদিন তো আমাকে আপনাদেরও বোঝা মনে হবে তার থেকে না হয়য় দুরে থাকি তবুও বোনের মতো সম্পর্কটা থাকুক!’

ভাবি জড়িয়ে ধরলেন আমাকে। চোখ থেকে দুফোটা জল গড়ালো৷ দুজনে এটাা ওটা নিয়ে কথাা বলতে বলতে আবার ফিরে আসলাম। আশাকে একটু আদর করে দিলাম। ভাবি আশাকে নিয়ে চলে গেলো। আমি সিহাবের হাত ধরে হাঁটা লাগাবো এমন সময় ছেলেটা বললো,

‘আপনি বিবাহিত?’

ছেলেটার কন্ঠে অবাকতা। আমি হেঁসে বললাম, ‘আমি ডিভোর্সী।’

ব্যাস চলে আসলাম। হয়তো বিবাহিত জেনে যতটুকু অবাক হয়েছে ছেলেটা তার থেকেও অনেক বেশি অবাক হয়েছে এটা জেনে ‘আমি ডিভোর্সী।’ আমি হাসলাম। জীবনে হাসি ছাড়া আর কি আছে! যত সমস্যা-ই হোক হাসি মুখ রাখতে হবে সবসময়। নয়তো জীবন চলবে কিভাবে! সিহাব হাঁটতে হাঁটতে মুখের দিকে তাকিয়ে ধীর কন্ঠে বলে,

‘ডিভোর্সী মানে তো স্বামী ছাইড়া গেছে তাই না আপা!’

আমি ওর দিকে না তাকিয়েই মাথা নাড়ালাম। সিহাব হাঁটা থামিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো। আমি তাকাতেই বললো নিচু হতে। আমিও নিচু হলাম। ছেলেটা মায়াময় হাতে আমার চোখ মুখে হাত ছুঁইয়ে বললো,

‘আপনি মন খারাপ কইরেন না আপা। যেই বেডা আপনারে ছাইড়া গেছে হের কপাল খারাপ। আপনি তো কত্ত ভালা।’

অনুভূতিশূণ্যের মতো তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে। মাহিদ সব সময় এভাবে বলে। আসলেই এরা দুজন আমার ভাই। মাহিদের সাথে রক্তের আর আত্মার দুটোরই সম্পর্ক আছে তবে সিহাবের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। ভাই-বোনের সম্পর্ক। আমার ভাবনার মাঝেই সিহাব ফের বলে,

‘কই যাইতেছি আপা? ওই জায়গাটাতে যাবেন?’

ওর আঙুলের ঈশারার দিকে তাকালাম। ‘ও’ অনাথ আশ্রমে যাওয়ার কথা বলতেছে। আমি হেঁসে বললাম, ‘নাহ ওখানে আজ যাবো না। আজ তুই আমার সাথে আমার বাড়িতে যাবি। আর এখন থেকে তোর ফুল, খেলনা বিক্রি করতে হবে না তুই সবসময় আমার বাড়িতে থাকবি।’

ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে অবাক কন্ঠে বললো, ‘আমি আপনাগো বাড়িত থাকমু? ক্যান?’

‘কারণ তুই আমার ভাই। আর কোনো কথা বলবি না। চুপচাপ পুরো রাস্তা যাবি। মনে থাকবে?’

সিহাব উত্তর না দিয়ে জাপ্টে ধরে আমাকে। ধরে আসা গলায় বলে, ‘সেই ছুডু বেলা থেইকা এই রাস্তায় বড় হইছি আপা কেউ কখনো কয় নাই তাগো সাথে যায়তে৷ কেউ তো কথা-ই কয় না, মানুষ-ই মনে করে না আর আপনি আমারে আপনার ভাই কইতেছেন!’

‘হুম তুই তো আমার ভাই-ই।’

এরাও মানুষ। এদের সাথে অ’হং’কার না দেখিয়ে একটু ভালো করে কথা বললেই এরা খুশি হয়ে যায়। এদের খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। এরা যা পায় তাতেই খুশি৷ কিন্তু আমরা মানুষরা এদেরকে দেখলে মানুষ মনে করি না। এতো অহংকার কিসের! টাকার! আজ বাদে কাল দেহ থেকে প্রাণ চলে গেলেই তো এই অহংকারও মাটিতে মিশে যাবে তবুও আমরা মানুষরা অহংকার করা ছাড়ি না। হায়রে মানুষ! হায়রে জীবন!

চলবে..