শেষ ভালোবাসা পর্বঃ১৩

0
3390

#শেষ_ভালোবাসা
পর্ব : ১৩
লেখা : মেঘপরী
.
অত্র আভার দুহাত শক্ত করে ধরে আভার ঠোঁটে ডিপলি কিস করে যাচ্ছে।আভা একটুও নরতে পারছে না।
৫ মিনিট পর অত্র আভাকে ছেড়ে দেয় সাথে সাথে আভা অত্রের গালে ঠাস ঠাস করে চড় বসিয়ে দেয়।
চড় খেয়ে অত্রের কোনো পরিবর্তন হলো না বরং আরো রেগে চিল্লিয়ে বললো
– তুমি আমাকে মারো আর যাই করো ভালোবাসি তোমাকে। তাই আজ তোমাকে আমার করেই ছাড়বো সেটা আপোষে হোক বা জোর করে হোক। বলেই আভার হাত ধরে বিছানায় ফেলে দিলো..
– দেখো অত্র সব কিছুর একটা লিমিট থাকে.. পাগল হয়ে গেছো তুমি । আমাকে যেতে দাও আমি আদ্রিতার কাছে যাবো তোমার মাথা ঠিক নেই। রাগে তুমি জ্ঞান শূন্য হয়ে গেছো,
– হ্যা আমি পাগল হয়ে গেছি যেকোনো মূল্যে আমার তোমাকে চাই, এখনও সময় আছে আভা তুমি আমার ভালোবাসা একসেপ্ট করে আমাকে i love you বলো না হলে জোর করেই স্বামীর অধিকার বুঝে নিবো।
– দেখো অত্র জোর করে কখনো ভালোবাসা হয় না। ভালোবাসা আসে মন থেকে আর সেই ভালোবাসা আমার রাজ্যর জন্য ফিল হয়। যদি বলো বন্ধু হিসেবে ভালোবাসার কথা তবে বলব হ্যা অত্র বন্ধু হিসেবে আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
– আভা তুমি আমাকে হাসালে। তুমি যানো না একটা ছেলে আর একটা মেয়ে কখনো বন্ধু হতে পারে না। আর তুমি আমার বিয়ে করা বউ তাই তুমি মানো বা নাই মানো আমিই তোমার স্বামী। আর স্বামী হিসাবে তোমার উপর আমার সব রকমের অধিকার আছে,
আমি আমার স্বামী অধিকার চাই আজই বলেই অত্র আভাকে বিছানার সাথে চেপে ধরে আভার বুকের উপর থেকে এক টানে ওড়না সরিয়ে ফেলে।
-অত্র আমি তোমাকে কখনো ক্ষমা করবো না ছাড়ো আমাকে ভালো হচ্ছে না কিন্তু বলে অত্রকে ধাক্কা দিতে থাকলো কিন্তু অত্র আভার উপর থেকে এক চুলও নরলো না।
আভার খুব কান্না পাচ্ছে…তারপর আভা মা বাচাও বলে জোরে একটা চিৎকার দিতেই অত্র আভার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।
আভার শত বাধা দেওয়া স্বত্ত্বেও অত্র আভার কোনো কথা শুনলো না.. শেষমেশ স্বামিত্বের আধিকার ফলিয়েই ফেলল।

ভোর ৪ টা আভা ফুপিয়ে কেঁদেই চলছে…

আভার কান্না শুনে অত্র বলে
– আভা এবার কান্না বন্ধ করো আমি ভুল কিছু করিনি। তোমাকে অনেক ভালোবাসি তাই তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য এসব করেছি। যাতে তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে না যাও। আজ আমাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক পূর্নতা পেয়েছে এবার আমার বুকে এসো আর ঘুমিয়ে পরো।।

এটা বলে অত্র আভাকে হাত ধরে টান দেয়
– খবরদার বলছি ছুঁবি না আমাকে আর কিসের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের কথা বলছিস যেখানে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া তাকে টাচ করা নিষেধ সেখানে তুই…..
ছিঃ অত্র তোর মুখ দেখতেও আমার ঘৃণা হচ্ছে একজন ধর্ষক আর তোমার মধ্যে কোনো তফাত নেই
– আভা কি বলছো এসব আমি তোমাকে ভালোবাসি তাই তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য এসব করেছি
– যদি সত্যি তুই আমাকে ভালোবাসতি তাহলে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে এসব করতি না আমার ইচ্ছের মূল্য দিতি আর কারো ইচ্ছে বিরুদ্ধে তার সাথে এসব করা ধর্ষনের সমান সকাল হলেই আমি এ বাসা ছেড়ে চলে যাবো কারন তোর মতো একটা জঘন্য লোকের সাথে একই বাসায় থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়,
– সত্যি তুমি আমাকে মেনে নেবে না?
– কখনো না, কান খুলে শুনে নে আগে আমি তোকে বন্ধু হিসাবে ভালোবাসতাম কিন্তু এখন শুধুই ঘৃণা করি তোর মুখ দেখার থেকে মরে যাও অনেক ভালো,
– ওকে তোমাকে আমার মুখ দেখতে হবে না আর মরতেও হবে না আজ থেকে তুমিই আর আমার মুখ দেখবে না। তোমার যদি মনে হয় অন্যায় আমি করেছি তাই শাস্তিটাও আমারই প্রাপ্য

এটা বলে অত্র ফ্রেশ হয়ে গাড়ির চাবি নিয়ে কাউকে কিছু না বলেই বাসা থেকে বেড় হয়ে যায়।
.

অত্র চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে আভা উঠে ওয়াশরুমে চলে যায় তারপর সাওয়ার ছেড়ে দিয়ে নিচে বসে কান্না করতে করতে ভাবতে থাকে, কেনো বার বার তার সাথে এমন হয়… প্রথমে যাকে ভালোবাসলো সে তাকে ভুল বুঝে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলো আর যাকে সবচেয়ে কাছের বন্ধু ভেবে নতুন করে বাচতে চাইলো সেও তার সাথে এরকম একটা কাজ করলো তার বিশ্বাস ভরসা সব ভেঙ্গে দিলো…
কিছুখন এভাবে থাকার পর আভা চেঞ্জ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেড় হয়ে বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়ায় কিন্তু কোথাও সে শান্তি পাচ্ছে না তার শুধু বার বার মনে হচ্ছে অত্র কিভাবে তার সাথে এসব করতে পারলো..
এসব ভাবতে ভাবতে অনেকটা বেলা হয়ে যায়।
.
এতো বেলা হয়ে গেছে তবুও অত্র আর আভা নিচে নামছে না দেখে অত্রের মা ওদের ডাকতে উপরে আসে

– আভা অত্র তোরা কোথায় তাড়াতাড়ি খেতে আয়। রুমে ঢুকে কাউকে না দেখতে পেয়ে অত্রের মা অবাক হয় তারপর বেলকনিতে গিয়ে দেখে আভা দাঁড়িয়ে আছে
– কি রে কখন থেকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছিস না অত্রের মায়ের ডাকে আভা চমকে উঠে পেছনে তাকায়।
– কিরে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো, আর তোর চোখ মুখ এমন লাগছে কেনো,
আর অত্র কোথা ওকে রুমে দেখছি না যে?
.
চলবে..?