শ্রাবণের শেষ সন্ধ্যা পর্ব-০৬

0
472

#শ্রাবণের_শেষ_সন্ধ্যা
#৬ষ্ঠ_পর্ব

শপিং শেষে বিল পেমেন্ট করে সবার সাথে জড়ো হয় নীলয়। রাত দশটা কখন বেজে গেছে খেয়াল করে নি। সবাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। সবাই মল থেকে বের হতে নিলেই খেয়াল করলো নবনীতা নেই। বড় বোন নীতিকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে,
“নবনীতা তো ওয়াশরুমে গিয়েছিলো।“

নীলয় সাথে সাথে ফোন লাগায় নবনীতাকে। কিন্তু ফোনটি বন্ধ দেখাচ্ছে। বেশ কয়েকবার ফোন করার পর ও কিছুতেই নবনীতার ফোনে কানেক্ট করতে পারে না নীলয়। দুশ্চিন্তা নামক অশরীরী তাকে ঘিরে ধরে। কিছুক্ষণ পুর্বেও তো তাকে দেখেছিলো সে। বিলের কাউন্টারে ভিড় ছিলো বিধায় মিনিট ত্রিশ লেগে গিয়েছে আসতে। নীলয় আবারো ফোন করে, নাহ! মেয়েটির ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। নীতি বেশ চিন্তিত কন্ঠে বলে,
“কি রে ফোনে পেলি?”
“নারে আপু, আচ্ছা ও কি হারিয়ে ফেলেছে রাস্তা?”
“না না তা হবে কেনো? এই ফ্লোরেই তো ওয়াশরুম আছে। ও হারিয়ে ফেলবে কেনো?”

নীতির কথার যুক্তি আছে, নবনীতা ঢাকায় বাসে চড়া মেয়ে। সামান্য মলের ওয়াশরুম থেকে দোকান হারিয়ে ফেলার মতো সে নয়। তবে কোথায় যেতে পারে সে? হুট করে শান্ত গম্ভীর কন্ঠে বলে,
“কতোক্ষণ হয়েছে সে গেছে?”
“বিশ মিনিট তো পার হয়ে গেছে।“

শান্তের প্রশ্নের উত্তর নীতি দেয়। শান্ত কিছু একটা চিন্তা করে বলে,
“বসে না থেকে আমাদের খোঁজা উচিত নবনীতাকে। ও শপিংমলেই আছে। হয়তো মোবাইল অফ হয়ে গেছে।“

নীলয় ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কেনো যেনো মনটা কু ডাকছে। তার পা জোড়া স্থির হয়ে গেছে। যেনো চৌম্বকের ন্যায় মাটিতে আকড়ে গেছে। নড়তেই চাচ্ছে না। শান্ত এসে তার পাশে দাঁড়ায়। খানিকটা ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে,
“তুই আহম্মকের মতো দাঁড়িয়ে থাকবি? নবনীতাকে খোঁজা দরকার। একটা জ্বলজ্যান্ত মেয়ে তো উধাও হয়ে যাবে না।“

নীলয় কাতর চোখে তাকায় শান্তের দিকে। শান্ত ইশারা করে তাকে আশ্বস্ত করে। এর মাঝে সামিয়া বলে,
“সবাই এক সাথে খুঁজলে সময় বেশি লাগবে। এর চেয়ে আমরা তালায় তালায় ভাগ হয়ে যাই।“

সামিয়া এই প্রথম একটা জাতের কথা বললো। মহিলা অতি আগ্রহে সর্বদা উলটা পালটা কথাই বলে। শান্তের বড় ভাই মারুফ হা করে নিজের বউ এর দিকে তাকায়। এতো কাজের কথা যেনো সামিয়ার মুখ থেকে বের হবে তা যেনো কল্পনাতীত। সামিয়ে হিসিয়ে বললো,
“এভাবে তাকাচ্ছো কেনো? ভুল বলেছি নাকি?”
“নাহ! এতো টা ঠিক বলেছো ভেবে তাকিয়ে আছি।“

মারুফের কথা হাতে কেনো দিয়ে তার পেটে একটা গুতো দেয় সামিয়া। শান্ত বলে,
“এক কাজ করো, ভাইয়া তুমি, ভাবী আর স্নেহা এই ফ্লোর দেখো। নীতি আপু তোমার ফুডের ওদিকটা দেখো। দীপু তোরা উপরে দেখ। আর, আমি আর নীলয় গ্রাউন্ড ফ্লোর দেখছি।“

শান্তের কথা সকলে মেনে নেয়। পাঁচতালার শপিং মলে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে যায় তারা। প্রতিটা কর্ণার তন্ন তন্ন করে খোঁজা শুরু করে তারা। লেডিস ওয়াশরুম সম্পূর্ণফাঁকা। সারা মল খুঁজেও নবনীতার টিকি খুজে পাওয়া যায় না। এক পর্যায়ে অধৈর্য্য হয়ে উঠে নীলয়। তার বুক কাঁপছে, চিন্তায় মাথাটা আওলে আছে। একটা জ্বলজ্যান্ত মেয়ে এভাবে হাওয়া হয়ে যাবে। ভালোবাসা নামক অনুভূতি খুব বিশ্রী। কাউকে ভালোবাসলে তার প্রতি এক অদম্য টান তৈরি হয়। সেই টানের জোরে তার প্রতি মায়া জন্মায়। নবনীতা তো নীলয়ের আসক্তি, তাহলে সেই নবনীতাকে না পেয়ে কতোটা পাগল হয়ে উঠতে পারে নীলয় তা বলাই বাহুল্য। নবনীতা আজ একটা কালো শাড়ি পড়েছিলো। নীলয় তাই কালো শাড়ি দেখলেই সেই মেয়ের দিকে ছুটে যাচ্ছে। পড়ে সে নবনীতা না হবার জন্য হতাশাগ্রস্থ হচ্ছে। শান্ত শুধু দাঁড়িয়ে নীলয়ের পাগলামি দেখছে। এক পর্যায়ে হতাশাগ্রস্থ নীলয় ধপ করে বসে পড়ে শপিংমলের সিড়িতে। তার চোখজোড়া জ্বলছে। শেষবারের মতো নিজের নীতুর নম্বরে ফোন দেয় সে। কিন্তু ফোনটি বন্ধ। শান্ত তার পাশে এসে বসে। কাঁধে হাত রেখে বলে,
“ওরা খুঁজছে, নবনীতাকে ঠিক পাওয়া যাবে।“
“না পেলে?”

নীলয়ের এমন প্রশ্নে চোখ সরু হয়ে যায় শান্তের। কড়া স্বরে বলে,
“বিশ্বাস খুব বড় জিনিস। সেই বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে জীবন বেরং হয়ে যায়। নিজেকে সামলা।“
“ওর কোনো ক্ষতি হলো না তো?”

ব্যাকুল স্বরে নীলয় বলে উঠে। শান্ত কিভাবে তাকে শান্তনা দিবে বুঝতে পারছে না। হঠাৎ বললো,
“আচ্ছা, শপিং মল পুরোপুরি সিসি টিভি আওয়াতাভুক্ত। এমন কি ওদের গ্যারেজ ও। কেননা ওদের কন্ট্রোল রুমে যেয়ে খোঁজ নেই? তাহলে একটা উপায় ঠিক হবে।“
“ওরা দেখতে দিবে? রাত হয়েছে। মল বন্ধের পথে।“
“দিবে, হতাশ হোশ না। চল জিজ্ঞেস তো করি?”

শান্তের কথায় একটু হলেও আশা পায় নীলয়। তারা সময় নষ্ট না করে ছুটে যায় গ্রাউন্ড ফ্লোরের কন্ট্রোল রুমে। সেখানের সিসি টিভি রুমে অনেক আকুতি মিনতি করে। অবশেষে তাদের সিসি টিভি চেক করার পারমিশন দেয় তারা। শান্ত ঠিক করে নিয়েছিলো, মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে পুলিশ ডাকবে। কিন্তু সেটার প্রয়োজন হয় নি।

গত এক ঘন্টার সিসি টিভি চেক করতে থাকে নীলয় এবং শান্ত। অনেক খুঁজে অবশেষে নবনীতার খোঁজ পাওয়া যায়। নবনীতা ওয়াশরুমে ঢোকার পর মিনিট পাঁচেক বাদে বেড়িয়ে যায়। তারপর এস্কেলেটর থেকে না নেমে সোজা পেছনের সিড়ির দিকে যায়। শপিং মলের মোট তিনটা সিড়ি। এক প্রান্তের একটা সিড়ির জায়গাতেই সিসি ক্যামেরা ইন্সটল করা হয় নি। আর নবনীতা সেই প্রান্ত দিয়েই নামা শুরু করে। যেকারণে সে কোথায় গিয়েছে তা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে নি। নীলয়ের চিন্তা বেড়েই যায়। লিফট, এস্কেলেটর ছেড়ে ওই কোনার সিঁড়ি দিয়েই কেনো নামে নবনীতা? এর মাঝেই চিন্তায় বাধ সাদে শান্ত। বলে ওঠে,
“আমরা ওই সিঁড়িটা একবার চেক করে আসি?”

নীলয় মাথা নাড়ে। যে কথা সেই কাজ সেই সিড়ির জায়গা তন্ন তন্ন করে খোঁজে তারা। এক পর্যায়ে গ্যারেজের কাছে চলে আসে তারা। গ্যারেজে নবনীতার থাকার কোনো কারণ নেই। তবুও নীলয় গ্যারেজ ও খোঁজে। বড়ো গ্যারেজ দু দিক দুজন খুজতে থাকে। এর মাঝে নীতিকে ফোনে জানিয়ে দেয় নীলয় যাতে তারা গ্যারেজে আসে। গ্যারেজ খোঁজার এক পর্যায়ে শান্তের গলা শুনতে পায় নীলয়। ছুটে যায় সেই কন্ঠ অনুসরণ করে। সেখানে যেয়ে যা দেখলো তাতে তার পা জোড়া শক্ত হয়ে গেলো। হাত ঠান্ডা হয়ে আসলো। উত্তেজনায় শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল রক্তের স্রোত বয়ে গেলো। গলা শুকিয়ে আসছে নীলয়ের। নবনীতাকে এভাবে দেখবে কল্পনা করে নি। এলোমেলো শাড়িতে এক কোনায় অচেতন হয়ে পড়ে আছে নবনীতা। তার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কেউ তার সাথে খারাপ কিছু করার মনসায় ছিলো। হয়তো সময়ের সাথে পারে নি। শাড়ির এক পাশটা ছিড়ে গেছে। নীলয় শূন্য চোখে তাকিয়ে আছে। মাথাটা কাজ করছে না। নীলয়কে স্তব্দ দেখে নীলয় নিজের ব্লেজারটা খুলে জড়িয়ে দেয় নবনীতার গায়ে। তীব্র কন্ঠে বলে,
“গাড়ি থেকে পানি আন।“

নীলয় নড়ছে না। তার চোখে এক অন্য ভাষা। সেই ভাষা বোঝার মনোস্থিতি শান্তের নেই। তবে একটা মেয়েকে এই পরিস্থিতিতে দেখতেও সে পারছে না। তাই গলার আওয়াজ বাড়ায়। নীলয়কে ডেকে উঠে। মীলয়ের হুশ ফেরে/ গাড়ি থেকে পানির বোতল আনে সে। নবনীতার মুখে ছিটায়। মিনিট পাঁচেক বাদে হোশ ফেরে তার। অসম্ভব যন্ত্রণা হচ্ছে মাথার পেছনে। কোনো মতে মাথা চেপে উঠে বসে নবনীতা। কাঁপা স্বরে বলে,
“কি হয়েছে আমার?”

নীলয় উত্তর দেয় না। সে যেনো বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। শান্ত নবনীতাকে ইশারা করে নিজের দিকে দেখতে। নবনীতা প্রথমে না বুঝলেও পড়ে বুঝে শান্ত কি বোঝাচ্ছে। নিজেকে ঢেকে ফেলে মূহুর্তে। নিজের সাথে কি হয়েছে তার মনে নেই। ভয়ে শিটিয়ে যায় সে। আশ্বস্তের জন্য নীলয়ের দিকে তাকায়। কিন্তু সে নিথর, নীরব। নীলয়ের চোখে এক অবিশ্বাসের ঢেউ দেখে নবনীতা। কিন্তু নিজের পরিস্থিতি ঠিক কিরুপ তাও বুঝতে পারছে না সে। শান্ত বলে,
“ওরা কি আসছে?”
“আমি ফোন করেছিলাম”

রোবটের মতো উত্তর দেয় নীলয়। শান্ত বলে,
“এক কাজ কর, ওকে নিয়ে বাসার দিকে যা। আমি ওদের সামলে নিবো। এখন কাউকে কিছুই বলার দরকার নেই। নবনীতা ভয় পেয়েছে। এখন তুই ওকে সামলা”

নীলয় উত্তর দেয় না, শুধু নবনীতার বাহু ধরে টেনে তোলে। নীলয়ের স্পর্শে সামান্য ব্যাথা পায় সে। আজ অচেনা লাগছে নীলয়ের স্পর্শ। সে কি তাকে সন্দেহ করছে? কিন্তু কেনো? তার কাপড়ের অবস্থা প্রশ্নবোধক ছিলো কিন্তু তার শারিরীক কোনো সমস্যা অনুভব হচ্ছে না। কোনো যন্ত্রণা বা কাটা ছেঁড়াও নেই। নবনীতা কাতর চোখে নীলয়কে দেখে। কিন্তু নীলয় যেনো পাথর হয়ে আছে। কোনো কথা ছাঁড়াই সে গাড়িতে উঠে। গাড়ি স্টার্ট দেয়। নবনীতা গাড়িতে বসেও তার দিকেই তাকায়। এদিকে নীতি সহ সকলে গ্যারেজে আসে। শান্ত বলে,
“নবনীতাকে পাওয়া গেছে। ও ভুল রাস্তায় চলে এসেছিলো। নীলয় ওকে বাসায় দিতে গেছে। চল আমরাও যাই।“

সবার মনে নানা প্রশ্ন, কিন্তু শান্তকে প্রশ্ন করার সাহস হচ্ছে না। ছেলেটা হেনা বেগমের হুবহু কপি। বাড়তি কথা বলার পক্ষপাতি সে নয়। এখন তাকে প্রশ্ন করলে অহেতুক রেগে যাবে। তাই সবাই বিনা বাক্যে গাড়িয়ে উঠলো।

সারা গাড়িতে কেউ কোনো কথা বলে নি। নবনীতা অবশ্য দু একবার কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু নীলয়ের শীতল চাহনী তাকে দমিয়ে দেয়। নীলয়ের চাহনী আজ যেনো অন্য রকম। এতোটা শীতল এতোটা রুক্ষ; এই প্রথম দেখলো নবনীতা। এক পর্যায়ে সহ্য না করতে পেরে নবনীতা বলে,
“তুমি কি আমাকে ঘৃণা করছো?”

নীলয় উত্তর দেয় না। হঠাৎ ব্রেক কষে। বরফ শীতল কন্ঠে বলে,
“বাড়ি চলে এসেছে। নেমে যাও।“

নবনীতার কেনো যেনো সাহস হলো না কিছু জিজ্ঞেস করতে। তাই নীলয়ের কথা শুনে নেমে যায় সে। নবনীতা নামতেই সজোরে গাড়ি চালায় নীলয়। নীলয়ের এরুপ দেখে বুকটা হু হু করে উঠে। কেনো যেনো বিষাদসিন্ধু জড়ো হয় নবনীতার চোখে। এতো ঠুংকো কি নীলয়ের বিশ্বাস?
________________________________________________________________________________

শুক্রবার,
আজ নবনীতা এবং নীলয়ের কলমা হবে। জুম্মাবাদ কাজী আসবে। নীলয়ের বাসার সবাই রেডি, হেনা বেগম সবাইকে বের হতে বলে। শান্ত তখন যায় নীলয়ের ঘরে। নীলয় এখনো টিশার্টে আসে। পাঞ্জাবী পায়জামা কিছুই পড়ে নি। শান্ত তাকে এরুপ দেখে বলে,
“কি রে রেডি হস নি?”
“তুমি মলে খোঁজ নিয়েছিস।“
“হু, ওরা আমাকে পাঠিয়ে দিবে মেল। চিন্তা করিস না। নবনীতার কোনো ক্ষতি হয় নি। আর ওই জানোয়ারদের ঠিক ধরা যাবে।

শান্তের কথায় মলিন হাসি টানে অধরে। শান্ত তাকে রেডি হতে বলে চলে যায় নিচে। সবাইকে বলে,
“তোমরা বের হও, আমরা কিছু পরের গাড়িতে নীলয়কে নিয়ে আসছি।“
“ও রেডি হয় নি?”
“মা, বিয়ে তো। চাপে আছে একটু।“

হেনা বেগম কথা বাড়ান না। অভিভাবকের মতো সবাইকে নিয়ে বেড়িয়ে যান।

নিজের ঘরে বউ সেজে বসে আছে নবনীতা। লাল বেনারসিতে বেশ বউ বউ লাগছে তাকে। সুন্দর করে খোঁপা করেছে, বান্ধবীরা তাকে সাজিয়েও দিয়েছে। চোখে কাজল, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক। পুরোই রক্ত জবা। কিন্তু ঠোঁটে সেই স্নিগ্ধ হাসি না নেই। বুকটা ধুরুধুরু করছে। পরশুদিন থেকে ফোনে অবধি কথা বলে নি নীলয়। তার এই বিরুপ আচারণ যেনো অসহনীয়। নীলয় তার ভালোবাসা। আজ তার এক অর্থে সুখের দিন। কিন্তু সব যেনো এলোমেলো হয়ে আছে। কিছুক্ষণ বাদে তাদের বিয়ে। এমন বিরুপ মনোভাবে বিয়েটা হবে কিভাবে? হঠাৎ শারমিন বেগমের প্রবেশ ঘটে। তার মুখ থমথমে। তাকে দেখে বুকে কামড় পড়ে নবনীতার। কেনো যেনো নিজেকে আটকে রাখতে পারে নি সে। শারমিন বেগমের কথার আগেই ছুটে যায় বসার ঘরে। পরিবেশ নিস্তব্ধ। কারোর মুখে কোনো কথা নেই। এর মাঝে জসীম সাহেব বলেন,
“আমার মেয়ের ভাগ্যটা এতোটা খারাপ কেনো?”

বাবার চাপা আর্তনাদে নবনীতার চোখ যায় শ্বশুরবাড়ির লোকের দিকে। সবাই আছে শুধু নীলয় ছাড়া………………

চলবে।