সবটা অন্যরকম পর্ব-৫১

0
4522

সবটা অন্যরকম♥
#পর্ব_৫১
Writer-Afnan Lara
.
-কেমন আছো আপা?
.
-ভালো। তুই কেমন আছিস? হঠাৎ এত রাতে ফোন করলি সব ঠিকঠাক তো।?
.
-আসলে আহনাফ আর দিবাকে নিয়ে তোমার সাথে কথা বলার ছিল।
.
-কি কথা?
.
-ওরা নাকি একে অপরকে পছন্দ করে। তো সে বিষয়ে তোমার কি মত?
.
-আমিতো এ ব্যাপারে জানি।
.
-ওহহ আগে থেকে জানো।?
.
-হ্যাঁ, আমার আর কি মত।দিবাকে শুরু থেকে পছন্দ করি আমি। ভালো একটা মেয়ে আর ও যদি ঘরের বউ হয়ে আসে তাহলে আমার এই ঘরের শূন্যতা পূরণ হয়ে যাবে। আজ যে সকাল সকাল চলে গেলো সারাদিন আমার কেমন করে যে কেটেছে তোকে বলে বুঝাতে পারবো না
শেষে আহনাফ ওকে এনে আমার সাথে দেখা করিয়ে নিয়ে গেছে।
.
-আচ্ছা!ও কি সবসময় ব্যাংকেই চাকরি করবে নাকি নতুন কোন চাকরির খোঁজ করে?
.
-কোনো ভালো চাকরি পেয়ে গেলে কি আর একটা নিয়ে বসে থাকবে??
তুই দূরে থেকে এসবের আলোচনা করিস কেন? এত সাহস তোর।আহনাফ আর দিবার বিয়ে হবে তখন যখন তুই এখানে উপস্থিত থাকবি তা না হলে বিয়ে হবে না সেটার গ্যারান্টি আমি দিচ্ছি।
.
-আপা বোঝার চেষ্টা করো।সাদাতের মুখোমুখি আমি হতে পারবো না। ও আমার সাথে যা করছে তাতে করে ওকে ক্ষমা করা যায় না কিন্তু যদি ওর মুখোমুখি আমি হই তাহলে নিজেকে আটকে রাখতে পারবো না। যতই হোক ভালোবেসেছিলাম তো ওকে
.
-সেটা জানি না।দরকার হলে দিবার মা হিসেবে নয় বরং আহনাফের খালামণি হিসেবে হলেও বিয়েতে তোকে উপস্থিত থাকতে হবে। বাই।
———–
পরদিন সকাল হতেই দিবা ঘুম থেকে উঠে চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় ভাবলো রুমে গিয়ে একবার দেখে আসবে আহনাফকে
এরপর চোখ মেলে বুঝতে পারলো সে তার বাবার বাসায়।
মুচকি হেসে নিজের কপালে নিজে একটা চড় মেরে দিল সে।
চাচিরা নাস্তা বানাচ্ছেন।দিবাকে দেখে বললেন নাস্তা করতে বসতে।দিবে তাই চুপচাপ নাস্তা করতে বসেছে।
মিনি আহনাফের কথা মনে করে দরজার কাছে বসে আছে অন্যদিন এসময় সে আহনাফের সাথে জগিংয়ে যায় তারা আর আজ কোথায় সে এসে পড়েছে কোথাও আহনাফকে দেখছে না। দিবা নাস্তা সেরে রুমে চলে আসলো রেডি হবে বলে
তাড়াতাড়ি ভার্সিটিতে যেতে হবে তারপর উনার সাথে দেখা হবে তাই ভেবে জলদি জলদি সব সারছে সে
হঠাৎ বাবা এসে বললেন দিবা যেন তার সাথেই যায় ভার্সিটিতে।
দিবা তাই মন খারাপ করে রেডি হয়ে বসে থাকলো বিছানার উপর
নয়টায় যাওয়ার কথা আর বাবা দশটায় বের হলেন ওকে নিয়ে। ভার্সিটিতে এসে দিবা ছুটে গেলো আহনাফকে খুঁজতে
ওকে খুঁজতে খুঁজতে ক্যান্টিন পর্যন্ত চলে আসলো সে।বাবা টিচার্স রুমের দিকে চলে গেছেন
দিবা সেখানে জিসান আর পিয়াসকে দেখলো কিন্তু আহনাফকে দেখলো না
ওরা বললো আহনাফ আজ ভার্সিটিতে আসে নাই।চাকরি একটার ইন্টারভিউ দিতে গেছে।
দিবে তাই মন খারাপ করে ফিরে গেল ক্লাসে। সারা দিনে একবারও আহনাফকে সে দেখেনি
যাওয়ার সময় বাবার সাথে আবার বাসায় ও ফিরে আসলো।
বিকালে আহনাফ দেখা করতে আসতে পারে ভেবে সেই বিকেল থেকে বাগানে বসে আছে দিবা
আহনাফকে কয়েকবার ফোন করেও কোনো লাভ হয়নি।ফোন সাইলেন্ট রেখেছে মনে হয়
শেষে সাতটার দিকে দিবা রাগ করে ঘরে ঢুকতে নিতেই বাইকের আওয়াজ পেয়ে থেমে গেলো। আহানাফ বাইক থেকে নেমে ছুটে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো “সরি সরি”
দিবা ওর দিকে তাকিয়ে গাল ফুলিয়ে বললো “বললাম না চাকরির দরকার নাই। যেমন আছেন তেমনই ভালো। ”
.
-তুমি না বলেছিলে বারে চাকরি ছেড়ে দিতে তাহলে তুমি পান্তা ভাত খেয়ে থাকতে পারবে।?
.
-হ্যাঁ বলেছিলাম তাই বলে এখন একসাথে এত ঝামেলা মাথায় নেওয়ার কি দরকার ছিল।?
.
আহনাফ এগিয়ে এসে দিবার হাত মুঠো করে ধরে বললো “তোমার বেলায় হাল ছেড়ে দিতে পারি না। তোমায় হারাতে পারবো না দিবা।
দোয়া করো যেন চাকরি পেয়ে যাই। বারের মতন ভালো বেতন না হলেও এই বেতনে আমার পরিবারের সাথে সাথে তোমার আর মিনির খরচ ও ভালো মতন আসবে। কিছু খরচ কমিয়ে দিতে হবে এই আর কি?”
.
দিবা ছল ছল চোখে তাকিয়ে আছে। আহনাফ মুচকি হেসে জড়িয়ে ধরলো ওকে।
-“আমি চাইনা বাবা-মাকে যে মিথ্যে বলে এতদিন ছিলাম সেই একই মিথ্যে কথা শুনে সাদাত স্যার আমার হাতে তোমার হাত দিক
আমি ভালো একটা চাকরি পাওয়ার পরেই তোমায় বউ করে ঘরে আনবো।আচ্ছা একটা কথা বলার ছিল। আমি একটা গিফট এনেছি মিনির জন্য।”
.
-তাই??
.
-হুম।
.
আহনাফ গিয়ে বাইকে ঝুলানো ঝুড়িটা এনে দিবার দিকে ধরে বললো”মিনির বউ”
.
-সত্যিই!!!
.
দিবা ঝুড়িটার ভিতরে তাকিয়ে মুচকি হেসে ভেতর থেকে বের করলো বিড়ালটাকে তারপর মিনিকে ডাক দিল।
মিনি আগের মতন ফুল গাছের ঢাল ধরে ঝুলছিলো
দিবা ডাক শুনে ছুটে এসে দেখলো একটা বিড়াল তার সামনে দাঁড়িয়ে
দিবা বিড়ালটাকে মিনির কাছে গিয়ে দাঁড় করালো। মিনি ড্যাবড্যাব করে বিড়ালটাকে দেখছে
.
-শুনো দিবা!! তুমি মিনির বউয়ের নাম চিনি রেখো তাহলে নামটা বেশ মানানসই হবে।
.
-ঠিক বলেছেন নামটা একদমই মানায় ওদের দুজনের।
.
-বাই দ্যা ওয়ে!! তোমার বাবা কি জানে আমি যে তোমার সাথে কথা বলি।?
.
-বাবা তার রুমে। সব মেহমানরা টিভি দেখতেছে সুতরাং আমার দিকে কারোর খেয়াল নাই আর আমি বলেছিলাম বাগানের ফুল দেখতে এসেছি।
.
-খালামণি নাকি কালকে ফোন করে মায়ের সাথে কথা বলছিল তোমার আর আমাকে নিয়ে বিয়ের ব্যাপারে খালামণি ও রাজি শুধু মায়ের মত আছে কিনা সেটা জানার জন্য ফোন করেছিল
মা তো বলে দিয়েছে খালামণি এখানে আসা ছাড়া বিয়েটা হতে দিবে না।
.
-তাহলে কি মা আসছে??
.
-সেটা বলতে পারি না। তোমার মা তো বারবার করে বলে দিয়েছেন তিনি সাদাত স্যারের মুখোমুখি হতে পারবেন না
.
-খালামণিকে বলবেন যে জেদ ধরে বসে থাকতে। তাহলে মা নিশ্চয়ই আসবে।উনাকে দেখার খুব ইচ্ছা। অনেকদিন হয়েছে মাকে দেখিনা। প্রায় দুই মাসের মতন হয়ে গেছে। আমিও চাই মা-বাবা যেন একে অপরের মুখোমুখি হন তাহলে তাদের পুরনো যে রাগ অভিমান আছে সেটা মুছে যাবে।
.
আহানাফ একটা গাছের সাথে হেলান দিয়ে বললো” আমি চাইনা মিটে যাক। কারণ সাদাত স্যার যেটা করেছেন!!! আমি একজন ছেলে হয়ে বলতেছি এটা কখনো ক্ষমার যোগ্য নয়।
.
-আর উনারা আমার বাবা-মা তাই বলছি উনাদের যেন সব রাগ অভিমান মিটে যায়
কিন্তু তাদের মেয়ে না হয়ে অন্য একটা মেয়ের জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি বলতে পারি যে আপনি ঠিক বলেছেন
তাদের মিল না হওয়াই ভালো কারণ বাবা যেটা করেছে তার জন্য আমি তাকে ক্ষমা করতে পারবোনা। মা ও পারবেন না!!
আচ্ছা!কিছু খেয়েছেন নাকি চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে সোজা এখানে চলে এসেছেন?
.
-হ্যাঁ,বাসায় গিয়ে খেয়েছিলাম তারপর বাসা থেকে বের হয়ে আমি মিনির জন্য বৌ খুঁজে বের করেছি তারপর ওকে নিয়ে এখানে চলে এলাম।
.
-এক মিনিট! মিনি কোথায়? চিনিকেও তো দেখছি না। ওরা দুজন গেলো কোথায়?
.
– আমার মনে হয় বাগানের পেছনের দিকে গেছে। চলো দেখে আসি। আবার মিনি আর চিনি প্রথম দেখাতে ঝগড়া বিবাদ লাগতে পারে। মারামারি হানাহানি ও লাগতে পারে।
———
আহনাফ আর দিবা বাগানের পেছন দিকটায় এসে দেখলো সেই বিদেশী ফুল গাছটার এক ঢালে বসে আছে মিনি আর আরেক ঢালে চিনি বসে আছে
দুজনে দুপাশে বসে একজন আরেকজনকে দেখছে কি সুন্দর
দিবা মুচকি হেসে বললো” এত সহজে ওরা একে-অপরের সাথে বন্ধুত্ব করে নিলো আর আমরা ভাবলাম মারামারি চলতেছে”
.
হঠাৎ সাদাত স্যার দিবাকে ডাক দিলেন।আহনাফ পিছিয়ে যেতে যেতে বললো “আসি কালকে ভার্সিটিতে দেখা হবে। ”
.
দিবা দৌড়ে গিয়ে ওকে ঝাপটে ধরে বললো”আরেকটু থাকুন। ”
.
-আমি তো সারারাত থাকতে পারবো কিন্তু তোমার বাবা যে এখন ডাকতেছে সেটার কি হবে?
.
-আচ্ছা, ঠিক আছে চলে যান। আমি বাবার কথা শুনে আসি
.
কথাটা বলে দিবা বাসায় ঢুকে তার বাবা রুমের দিকে গেলো। বাবা ওকে দেখতে পেয়ে বললেন “সামনে এসে বসতে”
দিবা বসার পর তিনি একটা কাগজ পাশে রেখে দিয়ে বললেন “তুমি জানো আহনাফ যে ব্যাংকে চাকরি করে তার সত্যতা কতটুকু?”
.
– হঠাৎ এমন প্রশ্ন করছেন কেন আপনি।?
.
-কারণ হচ্ছে আমি খবর নিয়েছি আহনাফ যে ব্যাংকে চাকরি করে সে ব্যাপারে। তো আমি জানতে পারলাম যে আহনাফ কোন ব্যাংকেই চাকরি করে না। এটা একটা মিথ্যা কথা।
.
দিবা মুখটা ফ্যাকাসে করে বাবার দিকে তাকিয়ে আছে
বাবা নড়েচড়ে দিবার দিকে ফিরে বললেন “তা তোমার কি মত এখন এ বিষয়ে?”
.
– এটা ঠিক যে উনি ব্যাংকে চাকরি করেন না।উনি অন্য কোথাও চাকরি করেন সে সম্পর্কে আমি জানি।
তা না হলে সংসার কিভাবে চলতেছে যদিও উনি বেকারই থাকেন?
.
– আমি যে লোক লাগালাম যে আহনাফ ব্যাংকে চাকরি না করলে তবে সে কিসের চাকরি করছে সেটার খবর এনে দিতে তাও সে খবর দিতে পারলো না তাহলে তুমি কি জানো সে কিসের চাকরি করে?
.
-না।জানি না। তবে এটা বলতে পারি যে তিনি চাকরি করেন। কিসের চাকরি করেন সেটা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।
.
-আমার কথা হলো ও যখন ব্যাংকে চাকরি করে না তো ও বাবা মাকে বলে কেন যে ও ব্যাংকে চাকরি করে।?
.
-হয়তো ছেড়ে দিয়েছে যে চাকরি করতো। এখন যেটা করে সেটার কথা হয়ত জানায়নি কিংবা জানাতে চান না এমন কিছু।
.
-আচ্ছা, আমি আহনাফের সাথে ফোনে কথা বলবো অথবা কালকে ভার্সিটিতে কথা বলে নিবো সামনা সামনি
.
-কিন্তু তার আগে আমি আপনাকে একটা কথা বলতে চাই।
.
-হ্যাঁ, বলো!
.
-আমি বলতে চাই আহনাফ যেমনই হোক। যে চাকরিই করে থাকুক আমি বিয়ে করলে তাকেই করবো। নাহলে কাউকে বিয়ে করবো না।
.
-আমি একবারও বলি নাই যে আমি তোমাকে আহনাফের সাথে বিয়ে দেবো না। আমি জাস্ট বললাম যে ও সবাইকে বলছে যে ও ব্যাংকে চাকরি করে কিন্তু সে ব্যাংকে চাকরি করে না
বিষয়টা আমাকে ভাবাচ্ছে বলেই আমি তোমাকে একান্তে জিজ্ঞেস করলাম।
.
দিবা উঠে চলে গেলো তার রুমে।তারপর ভাবলো যে আহনাফের সাথে তার কথা বলা জরুরি। তাই সে আহনাফকে দু তিনবার ফোন করলো কিন্তু সে রিসিভ করে না কারণ সে বাইক চালাচ্ছিল তখন এবং মেইনরোডে ছিল।ফোন সাইলেন্ট ছিল বলে সে জানতেই পারেনি দিবা তাকে কল করেছে। বাসায় আসার পরেও ফোন চেক করে নাই সে
পরের দিন সকাল সকাল দিবা তাড়াহুড়ো করে ভার্সিটিতে পৌঁছে গেছে বাবার আগেই
বাবাকে বললো তার একটা সাবজেক্টের নোট দরকার সেজন্য জলদি যাওয়ার প্রয়োজন।
পুরো ভার্সিটি খুঁজে কোণার এক জায়গায় আহনাফকে পেলো সে
ওকে জানালো যে বাবা তাকে কাল রাতে কি বলেছে। এখন তার কি করা উচিত।আহনাফ ওকে কিছু বলার আগেই সাদাত স্যার এসে দাঁড়ালেন ওদের মাঝখানে। দিবাকে বললেন “যাও তুমি ক্লাসে।আহনাফের সাথে আমার কিছু কথা আছে। ”
.
– আমি জানতে পারলাম যে তুমি ব্যাংকে চাকরি করো না, তাহলে তুমি কিসের চাকরি করো।??
.
আহনাফ পকেটে হাত ঢুকিয়ে বললো”ব্যাংকে চাকরি করতাম ওটা ছেড়ে দিয়েছি। এখন নতুন একটা চাকরি করি। একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে। গার্মেন্টস কোম্পানি ওখানে আমি মার্চেনডিসার হিসেবে চাকরিতে জয়েন করেছি নতুন নতুন
এই সপ্তাহের পরের সপ্তাহ থেকে অফিসের কাজ শুরু এটা হচ্ছে সেই কোম্পানির কার্ড। আপনি কি কি খবর নিতে চান নিতে পারেন। অথবা আমার সাথে যেতে পারেন আমি আপনাকে সব কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো।
.
সাদাত স্যার কার্ডটা নিয়ে ওর দিকে একবার তাকিয়ে থেকে চলে গেলেন ক্লাস করতে
দিবা সাথে সাথে ছুটে এসে বললো “কি জিজ্ঞেস করলো বাবা।?”
.
-তেমন কিছু না। ওই যে ব্যাংকে চাকরি করি না তাহলে কোথায় চাকরি করি ঐ বিষয়ে জিজ্ঞেস করছে।আমি আমার নতুন অফিসের ঠিকানা দিয়ে দিয়েছি।
.
-আপনার কি মাথা ঠিক আছে? আপনি যে এই ঠিকানাটা দিছেন। বাবা যদি খবর নিয়ে দেখে যে এটা মিথ্যা তাহলে কি হতে পারে ভেবে দেখেছেন?
.
-এটা মিথ্যাকথা কে বললো? আমি সত্যিই ওখানে চাকরি করি।
.
-মজা করবেন না প্লিজ। আমি সিরিয়াসলি কথা বলছি।
.
-দিবা ম্যাডাম!! আমি সিরিয়াসলি ওখানেই চাকরি করি।ইন্টার্ভিউতে টিকে গেছি।মিথ্যে কথা কেন বলবো আমার শ্বশুরের সাথে?
.
-হোয়াট!!! আর ইউ সিরিয়াস!! আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।
চলবে♥