#সম্পর্কের_মায়াজাল
#ফারজানা_আফরোজ
#পর্ব_২৪
সন্ধ্যাকে অনেক বার জিজ্ঞাসা করা সত্বেও শুভ্রতা কোনো কিছু জানতে পারেনি। সন্ধ্যার ওই আপু সম্পর্কে সন্ধ্যা কোনো কথাই বলেনি। এক প্রকার হাল ছেড়ে দিয়ে নিজের রুমে আসলো শুভ্রতা…..
—” এই মেয়েটা তো কিছুই বুঝতে চাইছে না। ওর ভালোর জন্যই তো বলছি আমি। এখন সন্ধ্যাকে দ্রুত ডক্টর দেখানো দরকার পরে বুঝা যাবে আমার সন্দেহ ঠিক কি-না?”
চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে কদম তলায় কে………
ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে সাধনার নাম্বার দেখে তাড়াতাড়ি ফোন রিসিভ করলো।
—” আপু কেমন আছিস?”
—-” তোর বাচ্চার বাবা কে?”
—“আপু! আমি কিন্তু তোকে বলেছি আমার সন্তানের বাবার নাম।”
—” স্পন্দন তোকে শিখিয়ে দিয়েছে তাই না? এখন ও তোর কাছেই গিয়েছে আর তোকে বলে আমার কাছে ফোন দিয়েছে।”
—” স্পন্দন এইখানে আসবে কেন? তাছাড়া বিয়ের দিনের পর থেকে ওর সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।”
—” স্পন্দন কি তোর সন্তানের বাবা?”
—” কতবার বলবো তোকে যে, আমার সন্তানের বাবা মুগ্ধ। আপু কি হয়েছে তোর?”
—-” মুগ্ধ যদি তোর সন্তানের বাবা হয় তাহলে স্পন্দনের সাথে তোর রিলেশন কেন ছিলো? বিয়ে পর্যন্ত কথা গড়িয়েছে কেন? সুইসাইড নোট কেন লিখেছিস? আন্সার মি।”
—” আপু আমার কথা শুনে বকা দিবি না তো আবার?”
—” বকার মত কাজ করলে অবশ্যই বকা দিবো। উত্তর দে!”
—” স্পন্দন কোনোদিন আমার সাথে মন থেকে রিলেশনে ছিলো না।”
সাধনা শান্ত গলায় বলল শুভ্রতা ওপাশ থেকে বিচলিত হয়ে বলল…..
—-” তোকে এইসব বলতে কি স্পন্দন বলেছে?”
—” আপু তোকে বলছিনা ওর সাথে আমার সম্পর্ক নেই। মুগ্ধ আমাকে বলেছিল স্পন্দনের সাথে মিথ্যা সম্পর্কে জড়াতে তাই আমিও স্পন্দনের সাথে মিথ্যা রিলেশন করেছি।”
—-” তাহলে বাচ্চাটা?”
—” বাচ্চা মুগ্ধর বাচ্চা। স্পন্দন যখন আমার সাথে রিলেশন করতে রাজি না হয় তখন মুগ্ধ প্ল্যান করে যে স্পন্দনকে ব্লেক মেইল করবে আর বাধ্য করবে আমার সাথে সম্পর্ক করাতে। ঠিক তখন আমি মুগ্ধকে বলি যে আমি প্রেগনেন্ট। তখন মুগ্ধ একটা ইস্যু খুঁজে আর স্পন্দনকে ব্লেক মেইল করে।”
—-” স্পন্দন কেন বিশ্বাস করে এই বাচ্চা ওর?”
—-” মুগ্ধ একবার স্পন্দনের পানিতে ওষুধ মিশিয়ে আমাকে বলে স্পন্দনকে এই পানি খাওয়াতে। স্পন্দন পানি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। তখন আমি স্পন্দনের জ্ঞান ফেরার পর বলি সে আমার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন করেছে। এই কারণে স্পন্দন ট্রাস্ট করে এই বাচ্চা ওর। আই অ্যাম সরি আপু।”
সাধনার কথা গুলো শোনার পর শুভ্রতার নিজের বোনের প্রতি খুব রাগ সাথে ঘৃনা সৃষ্টি হয়। এতটা নিচে কিভাবে নামতে পারে তার বোন। শুভ্রতা ভাবছে যেখানে তার নিজের বোন এত খারাপ কাজ করেছে সেখানে সে শুধু শুধু একজন ভালো মানুষকে কত না খারাপ কথা বলেছে। ঘৃনা হচ্ছে তার নিজের প্রতি।
—” আপু কি ভাবছিস?”
—” এতটা নিচে কিভাবে নামতে পারলি তুই?”
—-” ভালোবাসার জন্য মানুষ সব পারে।”
—” ভালোবাসা ভালো কিন্তু অন্ধ ভালোবাসা ভালো না। তুই একটা খারাপ লোকের ভালোবাসায় এতই অন্ধ হয়ে গেছিস যে নিজের চরিত্রকে খারাপ বানাতে দু বার ভাবলি না। এই তুই কি আমার ছোট বোন সাধনা তো?”
—” আপু আমি তো মানছি আমার ভুল হয়েছে।”
—” ভুল হয়েছে মানে? তুই তো অপরাধ করেছিস। এমনকি এখনও ওই খারাপ লোকের সাথে থাকছিস। যত তাড়াতাড়ি পারিস ওই লোকের কাছ থেকে চলে আয়। যে লোক তার কাজে সফল হওয়ার জন্য ভালোবাসার মানুষকে অন্যের সাথে রিলেশন করতে বলে এমনকি ঘনিষ্ট হওয়ার নাটক করাতে পারে সে আর যাই হোক কোনোদিন ভালো মানুষ হতে পারে না। সময় আছে চলে আয় তোর সন্তানের দায়িত্ব আমরা নিবো।”
—-” আপু তুই যদি ওকে সামনে থেকে দেখতি তাহলে এই কথাগুলো কোনোদিন বলতে পারতি না।”
—” হায়রে মানুষ । শোন তোকে আর কিছু বলার নেই আমার। কোনোদিন যদি নিজের ভালো বুঝতে পারিস আমাকে ফোন দিবি আর ওই লোককে ছেড়ে চলে আসবি । বায় নিজের যত্ন নিবি।”
শুভ্রতা ফোন কেটে দিল। সাধনার প্রতি তার রাগ হচ্ছে পাশাপাশি মায়া হচ্ছে। তার এই বোন যে এমন কিছু করবে ভাবেনি সে। স্পন্দন যাকে যে ভুল বুঝেছে এখন কি স্পন্দন তাকে ক্ষমা করবে? নিজের বোনের মিথ্যা কথার জন্য স্পন্দন কি তাকে আপন করে নিবে? যদি বলে ছোট বোন যেমন বড় এমন হবে না তার কি গ্যারান্টি?
।।
।।
সাধনা শুভ্রতার কথাগুলো গুরুত্ব সহকারে ভাবতে লাগলো। শুভ্রতা যে ভুল কিছু বলে নাই সাধনা মানে সেই কথা কিন্তু মুগ্ধ যে তাকে ভালোবাসে এইটা ভুললে কি করে হবে?
আজ সকালে মুগ্ধ না বলে কোথায় যেন চলে গিয়েছে। এত বড় জন-মানবহীন বাড়িতে এই অবস্থায় একা একা বসে আছে সাধনা। মনের মধ্যে জঙ্গলের হিংস্র প্রাণীর কথা ভাবছে যদিও বা এইখানে আসা সম্ভব না। তবু ভয় বলে একটা শব্দ আছে। কথায় আছে বনের বাঘে খায় না মনের বাঘে খায় সাধনার মধ্যে এখন ঠিক এই ভয় প্রকাশ পাচ্ছে।
—” মুগ্ধ কেমন আমাকে এই অবস্থায় রেখে কিভাবে চলে যেতে পারলো? মানলাম কাজ আছে তাহলে একজন মানুষ তো রেখে যেতে পারে আমার জন্য। ভালোবাসা দেখানোর সময় সব ভালোবাসা উথলে পরে কিন্তু যখন ইগনোর করে তখন ইগনোর উথলে পরে।”
ভয়ে ভয়ে মুগ্ধকে ফোন দিলো কিন্তু মুগ্ধ রিসিভ করলো না। পাঁচ বার কল দেওয়ার পর ষষ্ঠ বারের মাথায় ফোন ধরে কিছু না বলেই ধমক দিয়ে বলল…..
—” আমাকে কি নিজের শাড়ির আঁচলে বাঁধতে চাচ্ছ? সারাদিন তো গোলামী করেই যাচ্ছি এখন কি নিজের কাজটুকু করতে পারবো না? আমাকে কি মারতে চাচ্ছ?”
সাধনা কান্না মাখা কন্ঠে বলল…..
—” এইভাবে বলছো কেন? আমার খুব ভয় লাগছে তাই তোমাকে ফোন দিয়েছি। খুব বিজি তাই না?”
—” আদিখ্যেতা করে লাভ নেই । তাছাড়া বাড়িতে এত ভয় পাওয়ার কি আছে? বাঘ ভাল্লুক তো আর ঢুকতে পারবে না বাড়িতে।”
—” জানি তবুও খুব ভয় করছে।”
—” ন্যাকামি বাদ দিয়ে কাজ করো। তোমাকে কাজ করতে না দিয়ে অলস বানিয়ে ফেলছি। আমি রাখছি তোমার সাথে বাজে কথা বলে সময় নষ্ট করার কোনো ইচ্ছা নাই।”
মুগ্ধ ফোন কেটে দিলো। সাধনা তখন শুভ্রতার কথা গুলো স্মরণ করতে লাগলো…..
—” আপু ঠিকই বলেছে মুগ্ধ শুধু ওর কাজের জন্য আমাকে ব্যাবহার করেছে বা এখনও করছে। আমি থাকবো না আর ওর সাথে। যে লোক তার শত্রুর ক্ষতি করার জন্য আমাকে এত খারাপ একটা অভিনয় করতে বলেছে সে আর যাই হোক কাওকে ভালোবাসতে পারে না। কিন্তু আমি যাবো কিভাবে আমি তো কিছু চিনি না। আপুকে কি ফোন দিবো? এখন না আগে এইখান থেকে বের হই পরে ফোন দিবো আপুকে। এখন বললে আপু চিন্তায় থাকবে।”
সাধনা রুম থেকে বের হয়ে মেইন দরজার কাছে যেতে লাগলো। আজ যে সে পালাবে মনে মনে ঠিক করে রাখলো……..
।।
।।
স্পন্দন বাসায় এসে শুভ্রতার সাথে কোনো কথা বলল না। শুভ্রতা কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু স্পন্দন এড়িয়ে চলেছে। শুভ্রতা চাচ্ছে না তার বোনের এই কু-কীর্তির কথা গুলো স্পন্দনকে জানাতে। এইসব স্পন্দন শুনলে সাধনা, তার পরিবার আর ও ছোট হয়ে যাবে। পরিবারের কথা ভেবে সব মাটি চাপা দিয়ে বার বার কথা বলতে চাচ্ছে স্পন্দনের সাথে……
স্পন্দন আয়নার দাঁড়িয়ে চুলে জেল দিচ্ছে শুভ্রতা আয়নার সামনে টুলে গিয়ে বসে পরলো। স্পন্দন ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞাসা করল….
—-” কি হয়েছে?”
—-” কিছু হলে তো কান্না করতো। আপনি কি কান্না করার শব্দ পাচ্ছেন?”
—” তুমি যে পাবনা থেকে পালিয়ে এসেছো পাবনার ডক্টর-রা জানে?”
—” আমি তো কোনোদিন বাংলাদেশ ছেড়ে পাবনায় যাইনি তাহলে পালাবো কিভাবে?”
—” আজব মেয়ে তো? পাবনা কি বাংলাদেশের বাহিরে?”
—” কি জানি?”
—” ধ্যাত। সকালে রাগিয়ে দিয়েছো বাজে বকে। অন্য কেউ হলে এতক্ষণে তোমাকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিতো। আমি ভালো ছেলে বলে কথাগুলো হজম করেছি।”
—” অন্য কেউ মারলে তার নামে নারী নির্যাতন মামলা করে দিয়ে আসতাম। এই শুভ্রতার গায়ে হাত তুলবে আর সে জেলের ভাত খাবে না তা এই শুভ্রতা কোনোদিন হতে দিবে না। মরে গেলেও দিবে না।”
—-” তাই বুঝি?”
স্পন্দন শার্টের হাতা উপরে ভাঁজ করে শুভ্রতার দিকে তেড়ে আসতে লাগলো…..
—-” কি করছেন শুনুন এ এই বয়সে জ জেলের ভ ভাত খেতে চা চান না-কি?”
শুভ্রতা পিছন হেঁটে বলল। স্পন্দন শুভ্রতার কোমর চেপে ধরে বলল…..
—” দম শেষ হয়ে গেল। কি যেন বলছিলে মারলে জেলে দিবে তাহলে যাচ্ছো না কেন থানায়?”
—” আপনি কি আমায় মেরেছেন?”
—” ওমা তুমি মারার আশায় আছো? ওয়েট একটা লাঠি খুঁজে আনছি আজ বউ পিটা-বো।”
—” এই ছাড়েন ছাড়েন আপনার শরীর থেকে সিগারেটের গন্ধ আসছে। আপনি না এই সব ছাইপাশ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন? ”
—” তুমি সকালে কি বলেছিলে মনে নাই? তোমার কথায় রাগ উঠছে তাই খেয়েছি।”
—” দোষ করেছেন তাই বলেছি তাহলে এত কথা কিসের? বাই দা ওয়ে আমাদের না ঝগড়া হয়েছে তাহলে আমরা কথা বলছি কেন?”
স্পন্দন প্রথম শুভ্রতা-কে এড়িয়ে চলেছিল তাই শুভ্রতা মজা করে বলল। স্পন্দন তখন বলল……
—” এই তুমি আজ অফিসে যাও নি কেন? দেখো আমি কিন্তু তোমাকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবো না। এখন খাচ্ছ কিন্তু এক বছর পরে তো চলে যাবে তখন কিন্তু খাওয়াতে পারবো না তাই যদি চাকরি হারাতে না চাও আগামীকাল থেকে রেগুলার অফিসে যাবে ওকে।”
—” ওকে ওকে যাবো।”
মুখে এই কথা বললেও মনে মনে বলল…..
—” ছাই যাবো এক বছর পর আপনার কাছ থেকে। এখন বলবো না পরে কি না কি বলবেন।”
—” ওই হ্যালো কি ভাবছো?”
—” কিছু না।”
—” ওকে আমি গোসল করে আসি তুমি বসে বসে ভাবতে থাকো। বাই দা ওয়ে তুমি গোসল করেছো?”
—-” মনের গোসলই বড় গোসল তাহলে এই ছোট খাটো গোসল কেন করবো?”
স্পন্দন এইবার শুভ্রতার কথা শুনে জোরে জোরে হাসতে লাগলো। শুভ্রতা গাল ফুলিয়ে ফোন হাতে নিয়ে বারান্দায় চলে গেলো…….
।।
।।
সমুদ্র সেই কখন থেকে উপর হয়ে শুয়ে পায়ের আঙ্গুল আর দু হাতের কুনু-তে ভর দিয়ে পেট চেপে ধরে মাটিতে না মিশিয়ে শুয়ে আছে। নাদিয়া টাইম গুনছে কত সেকেন্ড,মিনিট হলো। এক মিনিট পর সমুদ্র ঠাই হয়ে শুয়ে পড়ল। নাদিয়া হাসতে হাসতে শেষ। শুভ্রতা-কে ফোন দিয়েছিলো সমুদ্র কিন্তু শুভ্রতার ধমক খেয়ে ফোন কেটে দিয়ে ইউ টিউব দেখে ওয়ার্ক আউট করতে লাগলো সমুদ্র। এত কষ্ট জানলে কোনোদিন পেট বড় বানা-তো না।
—” নাদু রে সহজ কোনো ব্যায়াম নাই? আমি তো শেষ।”
—” ভাইয়া তুই এখন ডায়েট ফলো কর আর সকাল,দুপুর, রাতে গ্রিন টি, জিরা,আদা,লেবুর পানি খা গরম পানিতে, সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খা তাহলে শরীর আর পেট কিছুটা কমবে। আর হুম প্রচুর হাঁটবি , দৌড়াবি, আর একটু একটু এই ওয়ার্ক আউট গুলো করার চেষ্টা করবি দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। কথায় আছে না কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। তেল জাতীয় খাবার কম খাবি, ফাস্ট ফুড গুলো কাছ থেকে একশো হাত দূরে থাকবি আর যেন কি বলছিলো শুভ্রু?”
নাদু মাথায় হাত দিয়ে ভাবতে লাগলো সমুদ্র চোখ দুটি ছোট করে বলল……
—” শুভ্রতা এইসব বলেছে?”
—-” হ্যাঁ। ওই-তো ফোন দিয়ে আমাকে বলেছে এইসব।”
—” এই জন্যই বলি তোর গাধা মাথায় এত কিছু আসলো কিভাবে আর কি কি বলেছে?”
—-” ভাইয়া আরেকটা সহজ উপায়ের কথা বলেছে তুই যদি এই ওয়ার্ক আউট করতে না পারিস তাহলে সকালে আর রাতে খালি পেটে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করবি দশ থেকে পনের মিনিট পর্যন্ত। অবশ্য পেটে ব্যাথা করবে তাতে সমস্যা নেই। পেট ব্যাথা করলে ভেবে নিবি কাজ করছে। সকাল, দুপুর রাতে পানি জাতীয় যা বললাম ওইগুলো খাবি আর ম্যাসাজ করবি। ডায়েট ফলো করবি। হাঁটবি দৌড়াবি তাহলেই হবে।”
—” সব বুঝলাম কিন্তু ওয়ার্ক আউট করার মত সফল খুব কম হবে। আচ্ছা ওইগুলো করার পাশাপাশি দু একটা ওয়ার্ক আউট করবো দেখি কি হয়।”
—” হ্ন দেখতে থাক।”
।।
।।
শুভ্রতা বসে বসে নক কামড়াচ্ছে স্পন্দন পিছন থেকে শুভ্রতা-কে উঠিয়ে ঘুরাতে শুরু করলো। শুভ্রতা ভয়ে চিৎকার করতে লাগলো…..
—-” আম্মুউউউউউউউ তোমাদের নাতি নাতনি আর দেখাতে পারলাম না তার আগেই আমি চললাম ওপারে। বাঁচাওওওওওওও।”
চলবে…….
বানান ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।