#সাইকো লাভার❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ রোজ
#পর্ব- ১১
[আমার নিকনেম রোজ। তাই এখন থেকে গল্পে। “নাবিলা আহমেদ রোজ” নামটাই ব্যবহার করবো। আশা করি কারো বুঝতে প্রবলেম হবে না। বিকজ আমার আগের গল্পেও। নাবিলা আহমেদ রোজ ছিলো। ধন্যবাদ, এন্ড হ্যাপি রিডিং গাইস]
______________________________
সকালে ঘুম ভাঙতেই রোজ লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। কারন নিজেকে রোজ শুভ্রর বুকে আবিষ্কার করলো। রাতের কথা মনে পড়তেই। লজ্জায় একেবারে কুকিয়ে যাচ্ছে রোজ। শুভ্র এখনো ঘুমিয়ে আছে। শুভ্রকে দেখে মনে হচ্ছে। যেন কত বছর পর এমন শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে সে। রোজ এক দৃষ্টিতে শুভ্রকে দেখছে। আর নিজের মনে, মনেই ভাবছে।”
—-” এই মানুষটাকে কত কষ্ট দিয়েছি আমি। পাগলের মতো ভালবাসে আমাকে। আর আমি কি না ওনাকে এভাবে কষ্ট দিয়েছি। তার উপর ১মাস আগে যা করলাম। ওনার জায়গায় অন্য কেউ হলে। সে হয়তো আমাকে আর মেনে নিতো না। আর উনি আমাকে একটা খারাপ কথাও বলেনি। এত ভাল কেন উনি?”
শুভ্র চোখ বন্ধ রেখেই বললো,
—-” বিকজ আমার রেড রোজ ভাল। তাই #রোজের_শুভ্র ও এতটা ভাল। ওপস নো শুভ্র কিন্তুু ভাল না বেইব!”
রোজ বড়, বড় চোখ করে বললো,
—-” আপনি না ঘুমানো?”
শুভ্র রোজকে নিজের সাথে আরো মিশিয়ে বললো।”
—-” নো বেবি আমার ঘুম আগেই ভেঙেছে। তোমাকে ছেড়ে উঠতে মন চাইছিলো না। তাই তো তোমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে ছিলাম,
রোজ ছোট, ছোট চোখ করে বললো!”
—-” সেটা না হয় বুঝলাম। বাট আমার কথা কি করে বুঝলেন? আমি তো মনে, মনে বলছিলাম,
শুভ্র রোজের কপালে চুমু দিয়ে বললো।”
—-” এটাকেই বলে হার্ট কানেকশন,
রোজ মুচকি হেসে বললো!”
—-” তো মিস্টার চৌধুরী। এবার আপনি আমাকে ছাড়লে। আমি গিয়ে ফ্রেশ হতে পারি কি?”
শুভ্র চোখ টিপ মেরে বললো,
—-” তারআগে আরেকটু রোমান্স হয়ে যাক?”
রোজ গোল, গোল চোখ করে বললো।”
—-” নোওয়ে শুভ্র উঠুন,
শুভ্র রোজের গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো। রোজ শুভ্রকে কিল, ঘুষি দিয়ে যাচ্ছে। বেচারা শুভ্র একটুপর রোজকে ছেড়ে বললো!”
—-” মা গো মা এটা কি ছিলো?”
রোজ দাত কেলিয়ে বললো,
—-” এটা থাপ্পর থেরাপি ছিলো। জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড গল্পে পড়েছিলাম। ওখানেও হিরো, হিরোইন ছিলো রোজ আর শুভ্র। বেচারী রোজকে ওই বদ শুভ্র প্রচুর থাপ্পর দিতো। বাট রোজকে শুভ্র অনেক ভালবাসতো।”
শুভ্র ভ্রু কুঁচকে বললো,
—-” আমি তোমাকে ভালবাসি না?”
রোজ শুভ্রর গলা জড়িয়ে ধরে বললো!”
—-” তুমিও আমাকে অনেক ভালবাসো,
বলে মুখে হাত দিলো। শুভ্র হেসে রোজকে বললো।”
—-” এটা কি ছিলো?”
রোজ আমতা, আমতা করে বললো,
—-” ইয়ে মানে মুখ ফসকে বলে ফেলেছি!”
শুভ্র রোজকে হ্যাচকা টানে কাছে এনে বললো,
—-” ট্রাস্ট মি তোমার মুখে তুমি শুনতেই বেশ লাগছে। সো এখন থেকে তুমি আমাকে তুমি করে বলবে।”
রোজ মুচকি হেসে বললো,
—-” ওকে বর মশাই। এবার গিয়ে ফ্রেশ হই?”
শুভ্র রোজের হাতে চুমু দিয়ে বললো!”
—-” ওকে মিসেস যাও,
রোজ হেসে চলে গেলো। একটা লাল শাড়ি নিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকলো। শুভ্র বিছানা থেকে উঠে ব্যালকনিতে গেলো। আজকে মনটা খুব ফুরফুরে লাগছে শুভ্রর। শুভ্র একা, একাই বলে উঠলো।”
—-” এখন থেকে আমিও বলতে পারবো। আমাকেও কেউ ভালবাসে, আমারও ভালবাসার মানুষ আছে,
কথাটা বলে শুভ্র চোখ মুছে নিলো। শাওয়ার শেষ করে চুল মুছতে, মুছতে রোজ বের হলো। বের হয়ে দেখলো শুভ্র নেই। রোজ ব্যালকনিতে চলে এলো। শুভ্র ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আছে দেখে বললো!”
—-” শুভ্র তুমি এখন যাও গিয়ে ফ্রেশ হও। আমি তোমার ব্রেকফাস্ট রেডি করছি,
রোজের কথায় শুভ্র তাকালো। শুভ্রকে দেখে রোজ চমকে গেলো। শুভ্রর চোখগুলো লাল হয়ে আছে। রোজ শুভ্রর কাছে গিয়ে চমকে বললো।”
—-” শুভ্র কি হয়েছে তোমার? এরকম চোখ লাল হয়ে আছে কেন?”
____________________
শুভ্র কিছু না বলে। রোজকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। রোজ কিছুই বুঝতে পারছে না। শুভ্র বাচ্চাদের মতো কেঁদে বললো,
—-” আমাকে ছেড়ে কখনো যেয়ো না। বিশ্বাস করো আমি শেষ হয়ে যাবো। অনেক ভালবাসি তোমাকে!”
রোজ শুভ্রকে ছাড়িয়ে বললো,
—-” এসব কি বলছো? আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো কেন?”
শুভ্র কথা এড়াতে বললো।”
—-” আমি শাওয়ার নিয়ে আসছি,
বলে হনহন করে চলে গেলো। রোজ বোকার মতো দাড়িয়ে থেকে। এরপর নিচে চলে গেলো। আর শুভ্র শাওয়ার অন করে নিজেই বলছে!”
—-” শুভ্র তুই এটা কি করতে যাচ্ছিলি? রোজ তো আমার আসল পরিচয় জানেনা। আর ওকে কোনভাবে জানতে দেওয়া যাবে না। কারন ও যদি জানে যে আমি একজন মাফিয়া। তাহলে ও আমার কাছে থাকবে না আমি সিওর। আর আমি সেটা কিছুতেই হতে দেবো না। রোজকে আমার কাছেই থাকতে হবে,
শুভ্র শাওয়ার নিতে এসেছে। প্রায় ১ঘন্টা হয়ে গিয়েছে। রোজ বিরবির করতে, করতে উপরে এসে বললো।”
—-” শুভ্র এতক্ষণ কি করছো তুমি?”
বলে দরজা ধাক্কা দিলো। শুভ্র তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এসে বললো,
—-” কি হলো?”
রোজ ভ্রু কুঁচকে বললো!”
—-” মেয়েদের মতো এত টাইম লাগে শাওয়ার নিতে?”
শুভ্র চুল মুছে বললো,
—-” কেন কোন হাদিসে লেখা আছে? যে শুধু মেয়েদেরই শাওয়ার নিতে টাইম লাগে?”
রোজ চোখ ছোট, ছোট করে তাকালো, শুভ্র হেসে বললো।”
—-” চলো নিচে যাই,
এরপর দুজনেই নিচে গেলো। ব্রেকফাস্ট করছিলো এরমাঝে রোজের ফোন এলো। শুভ্র খাওয়া বন্ধ করে বললো!”
—-” কে ফোন করেছে?”
রোজ ফোন রিসিভ করে বললো,
—-” আম্মু।”
এরপর কথা বলতে লাগলো,
—-” হ্যা আম্মু বলো!”
রোজের আম্মু বললো,
—-” হ্যা রে রোদের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে।”
রোজ অবাক হয়ে বললো,
—-” কার সাথে?”
রোজের আম্মু হেসে বললো!”
—-” তামান্নার সাথে,
রোজ খুশিতে গদগদ হয়ে লাফিয়ে উঠলো। শুভ্র ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো।”
—-” কি হয়েছে?”
রোজ খুশি হয়ে বললো,
—-” ভাইয়ার বিয়ে তামান্নার সাথে!”
শুভ্র রোজের বাচ্চামি দেখে মুচকি হেসে বললো,
—-” পাগলি।”
এদিকে রোজ তো লাফাতে ব্যস্ত,
#চলবে…