#সাইকো লাভার❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ রোজ
#পর্ব- ১২
রোজ লাফাতে ব্যস্ত আছে আপাতত। আর শুভ্র তার রেড রোজের বাচ্চামোগুলো দেখছে। এদিকে লাফাতে লাফাতে রোজ ধপাস করে পড়ে গেলো। শুভ্র চেয়ার থেকে উঠে রোজের কাছে গিয়ে। রোজের হাত, পা চেক করতে, করতে। অনেকটা উত্তেজিত হয়ে বললো।”
—-” তোমার কোথাও লাগেনি তো? উফ কে বলেছিলো লাফালাফি করতে? বলো কোথায় ব্যথা পেয়েছো,
রোজ অবাক হয়ে দেখছে। সামান্য পড়ে যাওয়া নিয়ে। শুভ্র কেমন উত্তেজিত হয়ে পড়েছে। রোজ মুচকি একটু হেসে বললো!”
—-” আমার কোথাও লাগেনি শুভ্র। আমি একদম ঠিক আছি,
শুভ্র বড় শ্বাস ছেড়ে বললো।”
—-” আচ্ছা চলো এখন খেয়ে নাও,
বলে রোজকে চেয়ারে বসিয়ে দিলো। রোজ হাত দিয়ে খেতে গেলে শুভ্র বললো!”
—-” আজ আমি তোমাকে খাইয়ে দেবো,
রোজ খিলখিল করে হেসে বললো।”
—-” ওকে বর মশাই,
এরপর শুভ্র রোজকে খাইয়ে দিলো। এই সুযোগে রোজ শুভ্রকে জ্বালিয়ে নিয়েছে। বাচ্চাদের মতো এটা কি? ওটা কি? প্রশ্ন করে গিয়েছে। চেয়ার থেকে উঠে সোফায় গিয়েছে। আবার দৌড়ে শিরিতে গিয়েছে। দেখতে চেয়েছিলো শুভ্র কি করে। রোজ ভেবেছিলো শুভ্র রেগে যাবে। তবে না রোজের ধারনা ভুল ছিলো। শুভ্র রাগাতো থাক অনেক দুরে। একফোটা বিরক্তিও ওর ফেসে দেখা যায়নি। দেখা যাবেই বা কি করে? শুভ্রর তো রাগ বা বিরক্ত লাগেনি। খাওয়া শেষ করে শুভ্র রোজের মুখ মুছে দিলো। মুখ মুছে দিতেই রোজ শুভ্রকে জড়িয়ে ধরলো। শুভ্র অবাক হলো বেশ খানিকটা। তবে মুখে হাসি ফুটিয়েই বললো!”
—-” কি হলো আমার বাচ্চা বউয়ের?”
রোজ শুভ্রর শার্টে নাক মুছে বললো,
—-” তুমি আমাকে এত ভালবাসো শুভ্র? আমি তোমাকে কত জ্বালাই তবুও কিছু বলো না। কখনো রেগে যাওনা, কখনো বিরক্ত হওনা।”
শুভ্রও রোজকে জড়িয়ে ধরে বললো,
—-” তুমি বরং আমাকে না জ্বালালে আমার বেশী খারাপ লাগতো!”
রোজ অবাক হয়ে গিয়েছে। কেউ ওকে এতটা ভালবাসবে। সেটাও ওর স্বামী ওর কল্পনার বাইরে ছিলো। কিন্তুু যেটা কল্পনা করেনি সেটাই সত্যি হলো। হয় এমন অনেক সময়। যে আমরা যা কল্পনা করিনা। বা স্বপ্নেও যেটা ভাবতে পারিনা। সেগুলোও বাস্তব হয়ে আমাদের সামনে ধরা দেয়। রোজের মনে হচ্ছে ওর সাথেও সেটা হয়েছে। এরমাঝে দরজার সামনে থেকে কেউ বলে উঠলো,
—-” ভাই আর কত রোমান্স করবি?”
রোজ শুভ্রকে ছেড়ে তাকালো। দেখলো রোদ আর তামান্না দাড়ানো। রোজ দৌড়ে গিয়ে রোদকে জড়িয়ে ধরে বললো।”
—-” ভাইয়া কেমন আছিস তুই?”
তামান্না গাল ফুলিয়ে বললো,
—-” আমি তো কেউ না!”
রোজ রোদকে ছেড়ে। তামান্নাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
—-” তুইতো আমার বেস্টু। আর এখন আমার ভাবীও হবি। তামান্না হায়াত থেকে তামান্না রোদ আহমেদ।”
তামান্না মুচকি হেসে শুভ্রকে বললো,
—-” দাভাই কেমন আছো?”
শুভ্র রাগী সুরে বললো!”
—-” হোয়াট দ্যা হেল?”
তামান্না ভয় পেয়ে বললো,
—-” কি হলো?”
শুভ্র নাক ফুলিয়ে বললো।”
—-” রোদের বোন রোদকে তুই বলে। আবার সামনে পেয়েই হাগ করলো। আর তুই কেমন বোন?”
রোদ আর রোজ হেসে দিলো। তামান্না হুট করেই শুভ্রকে জড়িয়ে ধরলো। শুভ্র তামান্নাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
—-” যেদিন তুই আমাকে দাভাই বললি। সেদিন থেকেই তোকে নিজের আপন বোন মানি!”
তামান্নাও হেসে বললো,
—-” আমিও তোকে মন থেকে। নিজের আপন ভাই মানি দাভাই।”
রোজ রোদকে বললো,
—-” তোরা না জানিয়ে এলি?”
তামান্না শুভ্রকে ছেড়ে বললো!”
—-” তোদের নিতে এসেছি,
রোজ অবাক হয়ে বললো।”
—-” মানে?”
তামান্না রোজের সামনে গিয়ে বললো,
—-” মানে হচ্ছে আজকে শপিং করবো। এরপর আগামীকাল কমিউনিটি সেন্টারে পৌছে যাবো। পরশু গায়ে হলুদ পরেরদিন বিয়ে!”
শুভ্র হা হয়ে বললো,
—-” এত তাড়াতাড়ি?”
রোদ হালকা হেসে বললো।”
—-” হ্যা বিকজ আমার একটা প্রজেক্টের জন্য। ৭দিন পর আমেরিকা যেতে হবে। আর ওখানে ১মাস থাকতে হবে। তাই সবাই মিলে ডিসিশন নিয়েছে। তাড়াতাড়ি বিয়েটা দিয়ে দেবে। এখন তোরা গিয়ে রেডি হয়ে নে,
রোজ হেসে বললো!”
—-” আমিতো রেডিই আছি,
শুভ্র রোদকে বললো।”
—-” তোরা এখন থেকে যা বিকেলে যাবো,
রোদ বড় শ্বাস নিয়ে বললো!”
—-” না রে আমরা এখন বাড়ি যাবো। দ্যান কাজিনদের নিয়ে শপিং মলে,
শুভ্র হতাশ হয়ে বললো।”
—-” তাহলে তোরা গাড়িতে গিয়ে বয়। আমি শার্টটা চেঞ্জ করে আসছি। তোর বোন আমার শার্টের ১২টা বাজিয়ে দিয়েছে,
রোজ ভেংচি কেটে বেরিয়ে গেলো। একটুপর শুভ্রও চলে এলো। রোজ আর শুভ্র শুভ্রর গাড়িতে। আর রোদ আর তামান্না রোদের গাড়িতে। গাড়ি চলতে শুরু করলো আপনমনে। দুই কাপলই হাসি আর খুনসুটিতে পৌছে গেলো। গাড়ি থেকে নেমেই রোজ ভো দৌড় দিলো। রোজের কান্ড দেখে সবাই হেসে দিলো। এরপর একসাথেই বাড়ি ঢুকলো। বাড়ি ভর্তি মেহমান এখন। বিয়ে বাড়ি বলে কথা। শুভ্রর চোখ গেলো সাফিয়ার দিকে। সাথে, সাথে শুভ্র মুখটা কালো করে বললো!”
—-” রোদ সাফিয়াও কি যাবে?”
রোদ হেসে বললো,
—-” হ্যা কেন বলতো?”
______________________
শুভ্র বিরক্তি নিয়ে বললো।”
—-” তাহলে আমি যাবো না,
কিন্তুু রোদ সেটা শুনলো না। তামান্নার বাবা ডাক দেওয়াতে রোদ চলে গেলো। এদিকে সাফিয়া শুভ্রকে দেখে দৌড়ে এসে বললো!”
—-” শুভ্র তুমি কেমন আছো?”
শুভ্র বিরক্তিকর ফেস করে বললো,
—-” সেটা জেনে তুমি কি করবে?”
বলে হনহন করে চলে গেলো। সবার সাথে কথা বলে। শুভ্র রোজের রুমে চলে গেলো। এই সাফিয়াকে শুভ্রর একটুও ভাল লাগেনা। কারন মেয়েটা ১নাম্বারের চিপকু। শুভ্র এসি অন করে বসে রইলো।”
এদিকে রোজ ঠিকই খেয়াল করেছে। যে শুভ্র সাফিয়াকে দেখলেই। কেমন যেন রেগে যায়। আর মুখে বিরক্তি ফুটে ওঠে। তাই রোজ সাফিয়ার কাছে এসে বললো,
—-” সাফুপু একটা কথা বলো?”
সাফিয়া আমতা, আমতা করে বললো!”
—-” কি কথা?”
রোজ সন্দেহের দৃষ্টিতে বললো,
—-” তুমি শুভ্রকে কি বলো?”
সাফিয়া মিনমিন করে বললো।”
—-” আআমি ককি ববলবো?”
রোজ এবার আরো সন্দেহ নিয়ে বললো,
—-” তাহলে তোতলাচ্ছো কেন? শোন সাফুপু আমি জানিনা। তুমি একচুয়ালি শুভ্রকে কি বলো। যার জন্য শুভ্র বিরক্তি ফিল করে। বাট আমার মনে হচ্ছেনা ভাল কিছু বলো। তাই বলছি শুভ্রর থেকে দুরে থাকো!”
বলে রোজও রুমে চলে গেলো। গিয়ে দেখলো শুভ্র রেগে বসে আছে। রোজ শুভ্রর পাশে বসে বললো,
—-” সাফিয়া তোমাকে কি বলে?”
শুভ্র চমকে বললো।”
—-” তুমি বুঝলে কি করে?”
রোজ হালকা হেসে বললো,
—-” আমি তোমাকে দেখে বুঝেছি। ও তোমার সামনে এলেই। বা ওকে দেখলেই তোমার ফেসের রিয়েকশন পাল্টে যায়। এবার কি আমাকে বলা যায়?”
শুভ্র একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সব বললো। সবটা শুনে রোজ অবাক হয়ে বললো!”
—-” ছিঃ সাফুপু এমন? আর আমি কোনদিনও। সাফুপুকে তোমার আমার কথা বলিনি। আমার ভাবতেই ঘৃনা হচ্ছে ও এমন,
শুভ্র রোজকে শান্ত হতে বললো। রোজ রেগে ফোস, ফোস করে বললো।”
—-” এরপর থেকে ওকে আমি দেখবো। বেয়াদব মেয়ে ছোট বোনের হাসবেন্ডের দিকে নজর দেয়,
এরমাঝে রোজ আর শুভ্রকে ডাকলো। ওরা দুজনেই মাথা ঠান্ডা করে নিচে এলো। এখন সবাই শপিং করতে যাবে। সবাই বেরিয়ে বাইরে এলো। সবাই গিয়ে গাড়িতে বসলো। শুভ্র ড্রাইভিং সিটে বসতেই। কোথাথেকে সাফিয়া টুপ করে। শুভ্রর পাশের সিটে বসে বললো!”
—-” রোজ তুই রোদ ভাইয়ার গাড়িতে যা। আমি বরং জিজুর সাথে যাই,
রোজ টেনে সাফিয়াকে নামিয়ে বললো।”
—-” শুভ্র তোমার বড় বোন না। ছোট বোনের স্বামী হয়। আর সেই হিসেবে শুভ্র তোমার জিজু না। ছোট ভাইয়ের মত সাফুপু,
বলে শুভ্রর পাশে বসে পড়লো। আর সাফিয়া রেগে রোদের গাড়িতে বসে পড়লো। ওরা শপিং মলে পৌছে শপিং করতে লাগলো!”
বিশাল এক বিল্ডিং আর তার সামনে। হাত, পা বাধা অবস্থায় পড়ে আছে ১জন লোক। লোকটার সামনেই চেয়ারে বসা একটা সুদর্শন ছেলে। বয়স ২৫ কি ২৬ হবে। দুইহাতে দুটো গান ধরে আছে। ছেলেটার পাশেই বেশ কয়েকজন গার্ড। ছেলেটা হঠাৎ হো, হো করে হেসে বললো,
—-” কি রে আমার টাকা মারতে চেয়েছিলি? এনকে কে ধোকা দিতে চেয়েছিলি? লাইক সিরিয়াসলি? এতটা সাহস কে দিয়েছে তোকে?”
বলে পরাপর গুলি চালিয়ে দিলো। দুই গান থেকে দুটো গুলি চালালো। পাশ থেকে একজন গার্ড বললো।”
—-” স্যার একটা কথা বলি?”
এনকে ভ্রু কুঁচকে বললো,
—-” তুই আবার কি বলবি?”
গার্ডটা বুকে সাহস নিয়ে বললো!”
—-” স্যার এটা শুভ্র চৌধুরীর লোক নয়তো?”
এনকে এবার রেগে চেয়ার ছেড়ে উঠে। চেয়ারে এক লাথি মেরে বললো,
—-” শুভ্র, শুভ্র, শুভ্র। এই শুভ্র চৌধুরী নামটা আমার জীবন থেকে কবে যাবে? অনেক হয়েছে আর না। শুভ্র চৌধুরী খুব বেশী বেড়েছে। কথায় আছে অতি বাড় বেড়োনা, ঝড়ে পড়ে যাবে। শুভ্র চৌধুরীও অনেক বাড় বেড়েছে। তাই এবার ওর ঝড়ে পড়ার টাইম হয়ে গিয়েছে।”
বলে বিল্ডিংটার ভিতরে চলে গেলো,
_____________________
সবাই কম বেশী কেনাকাটা করেছে। তামান্নাকে শুভ্র ৬০হাজার টাকা দিয়ে। লালের মাঝে গোল্ডেন স্টোন বসানো লেহেঙ্গা কিনে দিয়েছে। তামান্না বলেছে বিয়ের দিন ও ওটাই পড়বে। রোজের জন্যও সেম লেহেঙ্গা কিনেছে। শুভ্র সবাইকেই কিছু না কিছু দিয়েছে। শুধু সাফিয়াকে কিছু কিনে দেয়নি। এটা নিয়ে সাফিয়া বেশ রেগে আছে। তবুও বেহায়ার মতো এসে বললো!”
—-” আমাকে কিছু কিনে দিলে না?”
শুভ্র কিছু বলার আগেই রোজ বললো,
—-” সরি সাফুপু আমার বরের এত টাকা নেই।”
সাফিয়া রেগে চলে গেলো। সবাই আরো কেনাকাটা করে বাড়ি গেলো। এদিকে সাফিয়া রেগে বললো,
—-” কাজটা তোমরা ঠিক করলে না। আমাকে এভাবে অপমান করে ঠিক করোনি। এর ফল তোমাদের ভোগ করতে হবে!”
পরেরদিন সবাই কমিউনিটি সেন্টারে পৌছে গেলো। পুরো কমিউনিটি সেন্টার সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। সবাই খুব টায়ার্ড তাই রেস্ট নিতে গেলো। আজকে তামান্নার গায়ে হলুদ। ওকে হলুদ লেহেঙ্গা পড়ানো হয়েছে। আর সাথে সব কাচা ফুলের গয়না। সব মেয়েরা হলুদ আর লাল শাড়ি পড়েছে। তবে রোজ হলুদ আর লাল লেহেঙ্গা পড়েছে। তামান্নাকে স্টেজে নিয়ে রোদের পাশে বসানো হয়েছে। দুজনজে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। আর শুভ্রতো শুভ্রই। সবার চোখই কম বেশী শুভ্রর দিকে। শুভ্র হলুদ পাঞ্জাবী পড়েছে। সাথে উপরে নেভী ব্লু কটি। আর ব্লাক জিন্স প্যান্ট। হাতে ব্রান্ডের ব্লাক কালার ঘড়ি। চুলে কিছু লাগায়নি সিল্কি চুলগুলো কপালে এসে পড়েছে। সবাই হলুদ লাগাতে গেলো। এক, এক করে সবাই হলুদ লাগালো। হলুদ সন্ধ্যা খুব ভাল ভাবেই কাটলো,
আজকে বিয়ে তামান্নাকে সাজানো হচ্ছে। শুভ্রর দেয়া লেহেঙ্গা পড়েছে। গা ভর্তি গয়না, চোখে কাজল। ঠোটে লাল লিপস্টিক। কোন পরীর থেকে কম লাগছে না। তামান্নাকে নিয়ে স্টেজে গেলো। শুভ্র রোজের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। রোজও লাল কালার লেহেঙ্গা পড়েছে। শুভ্র লাল পাঞ্জাবী পড়েছে। মনে হচ্ছে বিয়েটা ওদের। দেখতে, দেখতে বিয়ে কম্পিলিট হলো। তামান্না খুব কান্না করছে। এবার বিদায়ের পালা বেচারী হিচকি তুলে কাঁদছে। কারন প্রত্যেকটা মেয়ের জন্যই। এই সময়টা অনেক কষ্টের। তামান্নাকে নিয়ে রোদদের বাড়িতে এলো। রোজ সহ আরো অনেকে রোদের রুমের। দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে। রোদ ভ্রু কুঁচকে বললো।”
—-” কি রে তোদের কি বলেছি? দরজার সামনে দাড়িয়ে আমার বউকে পাহারা দিতে?”
রোজ নাক ঘষা দিয়ে বললো,
—-” টাকা বের কর ৫০হাজার!”
রোদ হা করে বললো,
—-” তুই কি বোন নাকি শএু?”
সবাই মিলে রোদকে জেকে ধরেছে। বেচারা বাধ্য হয়ে ৫০হাজার টাকা দিয়ে। নিজের বউয়ের কাছে গেলো। তামান্না রোদকে দেখে বিছানা থেকে নেমে এসে সালাম করতে গেলে। রোদ তামান্নাকে উঠিয়ে বললো।”
—-” উহুম সালাম করতে হবে না,
তামান্না অবাক হয়ে বললো!”
—-” কেন?”
রোদ মুচকি হেসে বললো,
—-” কারন তোমার জায়গা আমার বুকে। আব তামান্না মে আই?”
তামান্না লজ্জা পেয়ে রোদের বুকে মুখ লুকালো। রোদ তামান্নার ঠোটে ঠোট ছুইয়ে। তামান্নাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় গেলো। ওদের ভালবাসাও আজকে পূর্নতা পেলো।”
সোফায় বসে কপাল ঘষছে এনকে। রাগী সুরে নিজের গার্ডকে বললো,
—-” কি নিউস পেয়েছো?”
গার্ডটা ঢোক গিলে বললো!”
—-” স্যার আজকে শুভ্র চৌধুরীর শালার বিয়ে ছিলো। বিয়ে বাড়িতে এখন অনেক লোক আছে,
এটা শুনে এনকে বাঁকা হাসলো।”
#চলবে…