সাইকো_নীড় পর্ব-২৮

0
2585

#সাইকো_নীড়
part : 28
writer : Mohona

.

মেরিন : নীলিমা আন্টির birthday ? oh god… কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা। birthday এর সাথে নীড়ের রমনায় যাওয়া এমন dress up… সব গুলিয়ে যাচ্ছে …
সাত পাচ ভাবতে ভাবতে মেরিন রুমের দরজা খুলল। আর দেখলো যে নীড় ডাইরী। মেরিন চোখ বন্ধ করে ফেলল।
মেরিন : i am sorry…i am sorry … ভুলে গিয়েছি নক করতে…. please sorry …

মেরিন দৌড়ে চলে গেলো। সেদিনের পর থেকে নীড় রুমে থাকলে মেরিন নক করে ঢুকে। মেরিন দৌড়ে বাগানে চলে গেলো।
মেরিন : না জানি কি শাস্তি দিবে নীড়…
নীড় : আমি কি কেবল তোমাকে শাস্তিই দেই…. একটুও ভালোবাসিনা?
মেরিন পিছে ঘুরলো। দেখলো নীড় দারিয়ে আছে ।
মেরিন : বলতে পারিনা…
বলেই মেরিন ঘুরে গেলো। নীড় এসে মেরিনের পাশে দারালো।
মেরিন : sorry once again…
নীড় : কয়েকদিন ধরে এমন আচরন করছো কেন?
মেরিন : …
নীড় : কিছু জিজ্ঞেস করেছি … বলো।
মেরিন : স্বাভাবিক নয় কি?
নীড় : ন্যাহ। মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরীর permission নেয়া মানায় না। permission দেয়া মানায়। চৌধুরী বাড়ি তোমার … ওই রুম তোমার… নীড় তোমার…
মেরিন ১টা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো ।
মেরিন : ডিনানের সময় হয়ে গিয়েছে ।
বলেই মেরিন চলে গেলো।

নীড় : তোমার এই উদাসীনতা মেনে ভীষন কষ্ট হচ্ছে । কিন্তু তোমার প্রশ্নের জবাব দিতে পারবোনা।

.

একটুপর …
মেরিন বিছানা ঠিক করছে।
নীড় : snow white … এই snow white …
মেরিন : হামম।
নীড় : long drive এ যাবা?
মেরিন : যেমনটা আপনি বলেন…
নীড় ১ আঙ্গুল দিয়ে ভ্রুটা চুলকিয়ে
বলল : তোমার কি মনে হচ্ছে না যে এবার সত্যিই বেশিই হচ্ছে … এবার কিন্তু রাগ উঠতেছে।
মেরিন : আপনি আমাকে কি করতে বলেন… আমি বুঝিনা আপনি কি চান। আমি ক্লান্ত নীড়.. আপনাকে বুঝতে চাই। কিন্তু যতোবার আপনাকে বুঝতে যাই ততোবার আরো গুলিয়ে যাই। এই মনে হয় আপনি শান্তির নীড়… আবার মনে হয় যে আপনি ভয়ংকর বর্ষন। নীড় আপনি সেই #shoot_yourself game এর সময় আমাকে ১টা প্রশ্ন করেছিলেন … ওই girlfriend related … আমি নিজেকে shoot করতে নিয়েছিলাম বলেছিলাম যে জবাব না দেয়ার মধ্যেই জবাব আছে।
নীড় : কিসের মধ্যে কি?
মেরিন : কিসের মধ্যে কি না নীড়। যদিও মনে হয় না যে সেই রাতের জন্য আপনার মনে কোনো আফসোস আছে। তবুও যদি আফসোস থেকে থাকে আর সেই আফসোস থেকে আমাকে বিয়ে করে থাকেন তাহলে নীড় প্লিজ আমাকে মুক্তি দিন । আর যদি সেই আফসোস থেকে না হয় তবে নিশ্চয়ই জেদ হবে। আমাকে বিয়ে করার। হয়তো সেদিন আপনার ego hurt হয়েছিলো। তাই এতোসব। যদি তাও হয় তবেও clear করেন।
নীড় ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
নীড় : পেয়েছো মুক্তির জবাব… হয়েছে clear … জেদ হলে তোমাকে …
নীড় লম্বা ১টা নিঃশ্বাস নিলো।
নীড় : last বারের মতো বলছি i just love you… তুমি আমার জেদ নও। ভালোবাসা। প্রয়োজন… you are my need , love , passion , life , breath , heart , world …
মেরিন : কিছুই না আমি আপনার । যদি সত্যিই এগুলো হতাম তবে সেদিন অমন আচরন করতেন না… কোনোদিনও করতেন না…
নীড় : ওই ১দিনের আচরনের জন্য এতোদিনের ভালোবাসা মিথ্যা?
মেরিন : দুধের মধ্যে ১ফোটাও লেবু দেওয়া হয়না … তবুও সেটা নষ্ট হয়ে যায়। আমি আপনার স্ত্রী নীড় … সাধারন ১টা ডাইরীর জন্য আপনি… আপনার সেই রাতের হিংস্রতাও আমার মনে এতো বড় দাগ কাটেনি…
নীড় : snow white … জানো আমার সমস্যাটা কি? আমি চাই তুমি always happy থাকো । কিন্তু তোমাকে happy করতে গিয়ে আরো hurt করে ফেলি । আমি চাইনা আমার দুঃখের ভার কাউকে দিতে…
মেরিন : আমি আপনার স্ত্রী নীড়… সবকিছুর ওপর অধিকার আছে আমার।
নীড় : হ্যা অবশ্যই আছে । কিন্তু তুমি চাইলেও আমি আমার দুঃখের ভাগ তোমাকে দিতে পারবোনা। অধিকার দিতে পারবোনা।
মেরিন : কেন নীড়?
নীড় : এর জবাব আমার কাছে নেই । তবে….
বলেই নীড় ১টা গান এনে মেরিনের হাতে দিলো।
নীড় : আমার জীবনের ওপর তোমার অধিকার। আমার নিঃশ্বাসের ওপর তোমার অধিকার। আমার ভালোবাসার ওপর তোমার অধিকার … কিন্তু আমার ঘৃণা আর কষ্টের অধিকার আমি তোমায় দিতে পারবোনা… যদি কখনো আমাকে নিজের অপরাধী মনে করো তবে এটা দিয়ে আমাকে shoot করে দিও। হাসতে হাসতে বরন করে নিবো। তবে হ্যা ১টা request …. গুলিটা সামনে থেকে করবে প্লিজ। পেছন থেকে করলে যে মৃত্যুর সময়টাতে তোমাকে দেখতে পারবোনা।
মেরিন : ….
নীড় : যদি চাও তবে..
বলেই নীড় ৩কদম পিছে গেলো । এরপর বাহু প্রসারিত করলো।
নীড় : চাইলে এখনই shoot করো। আর যদি সময়ের দরকার হয় তবে তাও নাও। i don’t mind… but ভুলেও যদি এই গানটা উল্টা দিকে ঘুরে তবে কল্পনাও করতে পারবেনা যে তোমার কপালে কতোটা দুঃখ আছে।
নীড় কথাগুলোতে মেরিন যথেষ্ট পরিমানের emotional হয়ে পরেছিলো। কিন্তু শেষের কথা শুনে আবার মেজাজ বিগরে গেলো। ইচ্ছা করছে আগে নীড়কে shoot করতে এরপর নিজেকে। কোনো কথা না বলে নীড়ের সামনে গিয়ে কলার ধরে টানতে টানতে রুমের বাহিরে বের করে দিলো।
মেরিন : বাহিরেই থাক তুই। না হলে কোন প্রেমিকার কাছে যা …
বলেই ধপাস করে দরজা লাগিয়ে দিলো।
নীড় : what was that?

নিহাল-নাহিদ-নির্ঝর-নিরব : that was বউ… যতোই সিংহগিরি করো বউ is বউ…
নীড় : shut up… এই মেয়েকে তো আমি…

.

৩দিনপর…
মেরিন বোরকা পরে মুখ ঢেকে এমনকি হাতমোজা পামোজা পরে রায়হান নিবাসে গিয়েছে।
মেরিন মনে মনে : আল্লাহ… নীড় যেন না জানে।
জহির : who are you? সাহস হয় কিভাবে এ বাড়িতে ঢোকার? কাকে চাই?
মেরিন : ডক্টর নীলিমাকে। আমার তার সাথে দেখা করা ভীষন জরুরী।
জহির : নীলিমা … এই… নীলিমা… দেখো কেউ তোমার সাথে দেখা করতে এসেছে।
নীলিমা এলো। মেরিনকে দেখে অবাক হলো।
নীলিমা : একি কে আপনি?
মেরিন : আমাকে চিনলেন না?
বলেই মেরিন জহিরকে পেছন দিয়ে নীলিমার দিকে মুখ করে নেকাব টা তুলে নিজের মুখ দেখালো। আর ইশারা দিয়ে বলল যেন ওর নাম না নেয়…
নীলিমা : আরে তুমি…. আসো আসো…
নীলিমা মেরিনকে রুমে নিয়ে গেলো।
নীলিমা : তুমি? তুমি এখানে কেন এসেছো? নীড় জানলে তো সর্বনাশ হয়ে যাবে। ও জানলে কেয়ামত করবে। চলে যাও। আমি চাইনা তোমার জন্য আর কোন অশান্তি হোক।
মেরিন : আন্টি আমি যা বলবো তা ভালোমতো শুনুন প্লিজ।
নীলিমা : কি বলবা তুমি?
মেরিন : ৩দিন আগে আপনার birthday গিয়েছে?
নীলিমা : তুমি কি করে জানলে?
মেরিন : মানে সত্যিই আপনার birthday ছিলো?
নীলিমা : হ্যা। কেন কি হয়েছে?
মেরিন : আপনি জানেন না নীড় কি করেছে?
নীলিমা : কি করেছে?
মেরিন : নীড় সেদিন সারাদিন… রমনায় ছিলো। ১টা দোলনায় বসে ছিলো। দুলছিলো আর বাচ্চাদের মতো দুলছিলো। আমি জানিনা এর কারন কি…? তবে নিস্বন্দেহে আপনার সাথে related …
নীলিমা বেডে বসে পরলো।
নীলিমা : আমার ছেলেটা আজও সেই স্মৃতি বুকের মধ্যে রেখে দিয়েছে…
মেরিন : কিসের স্মৃতি…?
নীলিমা : আমার প্রতিটা জন্মদিনে আমি-নিহাল-নীড় রমনায় যেতাম। কারন ছোটবেটবলা থেকেই আমার ভীষন প্রিয়… নীড় আমাকে জোর করে বসিয়ে ২-৩বার দোলনা দুলিয়ে খপ করে এসে আমার কোলে বসতো। এরপর নিহাল দোলনা দুলাতো। সেকি খুশি থাকতো নীড়ের চোখে-মুখে। ভুবন ভোলানো হাসি…
মেরিন : …

তখন নীড়ের গর্জন শোনা গেলো।
মেরিন : oh no… নীড়…
নীলিমা : তোমাকে আগেই বলেছিলাম…
মেরিন : এমনও তো হতে পারে নীড় অন্য কোনো কারনে। আসতে পারে।
নীলিমা : hope so… তুমি নিজেকে ঢেকে ফেলো।
মেরিন আবার হাত-মুখ-চোখ সব ঢেকে নিলো।

জহির : কেন আসছো এখানে?
নীড় : কারন এখানে চৌধুরী বাড়ির সম্পত্তি আছে। আমার সবথেকে দামী জিনিস আছে।
জহির : নিশ্চয়ই তোমার কাছে কোন ভুল information আছে। কিছুই নেই… বেরিয়ে যাও। না হলে পুলিশ ডাকবো।
নীড় : ডাকুন… আপনার ছেলেকে প্রায় ৮-৯মাস ধরে বেডে ফেলে রেখেছি… আপনার পুলিশ অনেক কিছু করেছে । তাইনা? by the way…আপনার ভালোবাসার মানুষটার রুম কোনটা? কোনদিকে?
জহির : চলে যেতে বলেছি কিন্তু…
নীড় : let me guess … ইকির মিকির… thats way….
নীড় নীলিমার রুমের দরজার সামনে গিয়ে দারালো।
নীড় : thats the door…

মেরিন মনে মনে : আজকে তুই শেষ মেরিন…

নীড় ১টা লাথি দিয়ে দরজাটা ভেঙে ফেলল। নীড়কে দেখে মেরিনের সাক্ষাত যম মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে যে নীড় মাথায় লাল লাল দুটো শিং , আর মুখে ইয়া বড় বড় ২টা রাক্ষসের মতো ২টা দাঁত গজিয়েছে…
নীড় : see… i told you…. আমার দামী জিনিসটা এখানেই আছে…

বলেই নীড় আগে বারতে লাগলো। নীড় যতো আগে বারছে মেরিনের ভয় ততো বারছে…. নীড় মেরিনের সামনে এসে দারালো। ওর মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখলো। এরপর বাকা হাসি দিলো।
নীড় : বোরকা… ন্যাহ । not my type baby…
বলেই চোখ মারলো।
নীড় : now move aside …
মেরিন : …
নীড় : don’t know english…? sorry … সরে দারাও মিসেস S… do you know “S” for what? stranger ….
মেরিন : …
নীড় : সরতেছো না কেন bloody বয়রা…
বলেই নীড় মেরিনকে ১টা ধাক্কা মারলো। মেরিন ঠুস করে নিচে পরলো।
নীড় : oh… poor lady… too much weak… whatever …
বলেই নীলিমার হাত ধরলো।
জহির : ছারো নীলিমার হাত…
নীড় : বুড়ো হয়ে গিয়েছেন…. এখন এতো ভালোবাসা ভালোনা। uffs sorry …. নাজায়েজ ভালোবাসা ভালোনা। চৌধুরী বাড়ির সম্পত্তি চৌধুরী বাড়িতেই যাবে। সেই সাথে আমার দামী বস্তুটাও…. আমার গর্ভধারীনী কে আমি নিয়ে যাচ্ছি…. ক্ষমতা থাকলে আটকান…
বলেই নীড় নীলিমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো। নীলিমা অবাক চোখে নীড়কে দেখছে। ওর চোখে পানি ভাসছে … তবে সেটা আনন্দের পানি। মেরিনও অবাক চোখে দেখছে। এদিকে টেবিলের কোনায় লেগে যে ওর কপাল কেটে রক্ত বের হচ্ছে তা ওর খেয়ালই নেই। ও হসপিটালে চলে গেলো। ঠিক করলো রোজকার মতো সন্ধ্যার দিকেই বাসায় ফিরবে… তা না হলে নীড় সন্দেহ করবে…

.

সন্ধ্যায়…
মেরিন বাসায় ফিরলো। বেশ ১টা উৎসব মুখর পরিবেশ ।
মেরিন মনে মনে : যাক আল্লাহ। এতোদিনে কিছু ভালো হয়েছে। বলেই মেরিন ১কদম বারালো।
মেরিন : আহ…
মেরিন নিচে তাকিয়ে দেখে কয়লা। জুতু না থাকলে এতোক্ষনে পা পুরে যেতো ।
নিহাল : আরে মামনি…
নীড় : oh my snow ….
নীড়ের কন্ঠ শুনে মেরিন নীড়ের দিকে তাকালো।দেখলো নীড়ের কপালে ব্যান্ডেজ করা।
মেরিন : আপনার কপ…
নীড় : তুমি দেখে হাটবে তো… দারাও জায়গাটা পরিষ্কার করাই …. মম… my dear মম…
নীলিমা হাজির হলো। মেরিন নীলিমাকে দেখে অবাক হওয়ার নাটক করবে বলে ভেবেছিলো। কিন্তু নীলিমাকে দেখে সত্যিই অবাক হলো। কারন নীলিমার গায়ে রাজকীয় শাড়ি… পা থেকে মাথা পর্যন্ত স্বর্ন আর স্বর্ন ।
নীড় : my dear মম… এগুলো পরিষ্কার করাও…
নীলিমা কোন কিছু না বলে মেরিনের দিকে এগিয়ে এলো। হাতে কেমন ১টা পাত্র নিয়ে।
নীলিমা : কয়লা গুলো হাত দিয়ে এটাতে তুলে রাখো ।
মেরিন তো চরম অবাক।
নীলিমা : আমার দিকে না তাকিয়ে থেকে তুলো।
নীড় : snow তুলে ফেলো। চৌধুরানী বলেছে। মানতে তো হবেই…

মেরিন মনে মনে : কিসের শাস্তি দিচ্ছেন আবার… আর নীলিমা আন্টিই বা এমন dress up কেন?
নীলিমা : তুলো …
মেরিন নিচু হলো । ভয়ও পাচ্ছে হাত দিয়ে গরম কয়লা ধরতে। কেবল ধরতে নিবে তখন নীড় কয়লাগুলোর ওপর ২হাত রাখলো।
মেরিন : নীড়…
নীড় মেরিনের হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে গেলো।
মেরিন : আপনার হাত…
নীড় কোনো কথা না বলে মাথায় মলম লাগিয়ে দিলো । এরপর পায়ে মলম লাগিয়ে দিলো।

মেরিন : আপনার হাতে তো …
নীড় : কিছুইনা। অভ্যাস আছে। আচ্ছা snow white তোমাকে ১টা প্রশ্ন করি। প্লিজ উত্তর দিবা…
মেরিন : ঔষধ লাগিয়ে নিন হাতে।
নীড় : দিবো। আগে জবাব দাও… আমার দুর্বলতা কি?
মেরিন : …
নীড় : বলো আমার দুর্বলতা কি?
মেরিন : ….
নীড় : এতো দিনে আমাকে এতোটুকুও চিনলা না? বলো আমার দুর্বলতা কি?
মেরিন : আহমি…
নীড় : এটা বলতে এতোক্ষন লাগে?
মেরিন : …
নীড় : দেখো ভাগ্য আমার কাছে থেকে সব কেরে নিয়েছে। আমার ছোটবেলা , আমার আনন্দ… আমার ম… কিন্তু আমার ভাগ্যকে আমি সেই অধিকার দেইনি যে সে তোমাকেও আমার কাছে থেকে কেরে নিবে… যদি দেখি তুমি আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছো… আগে তোমাকে শেষ করবো… এরপর নিজেকে শেষ করে দিবো….
মেরিন : …
নীড় : তুমি আজও আমাকে বিন্দুমাত্রও চিনলেনা… আচ্ছা আরো ১টা জবাব দাও তো…. আমি যখন লন্ডন ছিলাম তখন ওখানে বসেই জেনেছিলাম যে অর্নব তোমার সাথে দেখা করতে এসেছে। আর এখন এখানে থেকে জানবো না যে তুমি রায়হান বাড়িতে গিয়েছো?
মেরিন : আআপনি জ…
নীড় : হ্যা আমি জানি। আমি জানি । কিন্তু তুমি আমাকে জানোনা… যদি জানতে তবে ওই বাড়িতে আমার শব্দ পেয়েই তুমি বুঝে যেতে যে আমি সব জানতে পেরেছি…. যখন লাথি দিয়ে দরজা ভাংলাম তখনই বুঝতে… যখন ওই কথাগুলো বললাম তখনই বুঝতে…. কিন্তু না তো তুমি আমাকে ভালোবাসো আর না তো আমাকে চিনো… তাহলে ওই বাড়িতে যেতে না গোয়েন্দাগিরি করতে….
মেরিন : গগগোয়েন্দাগিরি?
নীড় : হ্যা গোয়েন্দাগিরি… সেদিন সারাদিন আমাকে follow করেছো । সেই দিনের পেছনের ঘটনা জানতেই তো তুমি গিয়েছিলে ওই বাসায়….
মেরিন : ….
নীড় : যখন কিছু বলিনা তখন এটা কি বোঝা উচিত নয় যে এর পিছে বড় কোন কারন আছে… খুন শখ না শাশুড়ির সাথে গল্প করার? করবে। এই বাড়িতেই থাকবে এখন থেকে ওই মহিলা। উনার সাথে থাকবে আর চরিত্তহীনা হওয়ার শিক্ষা পাবে …
মেরিন : নীড় নিজের মা কে নিয়ে এমন করে বলবেন না।
নীড় : যা সত্যি তাই বলেছি ।
মেরিন : এতোই যখন ঘৃণা তখন কেন তাক জন্মদিন পালন করলেন?
নীড় : আমি তার জন্মদিন না আমার ছোটবেলা উদযাপন করেছি।
মেরিন : তবুও মানবেন না যে আপনি তাকে ভালোবাসেন…
নীড় : আমি তাকে ভালোবাসিনা। চরিত্রহীনা মহিলাকে আমার just সহ্য হয়না।
মেরিন : নীড় , নীলিমা আন্টির সাথে জহির রায়হানের বিয়ে হয়নি…
নীড় : i know … i just know that …. কতোটা খারাপ ভেবে দেখো যে বিয়ে ছারা ওই লোকটার সাথে…. ছিঃ… আমার বাবাকে ঠকিয়েছে। আমাকে ফেলে চলে গিয়েছে।
মেরিন : নীড় ঠান্ডা মাথায় ভাবুন প্লিজ। সবকিছুর পেছনেই কোন না কোন কারন থাকে ।
নীড় বাকা হাসি দিলো।
নীড় : তোমার তো গোয়েন্দা হওয়ার দরকার ছিলো। ডক্টর কেন হলে?
মেরিন : নীড় …
নীড় : my dear snow …আমি তোমাকে hire করছি। you are a good গোয়েন্দা। … নাবিলের মা নীলিমা কেন এসব করেছে ? ভিন্ন কারন খুজে বের করো। যেটা সবার সামনে আছে সেটা নয়। আর এ সব বের করার জন্য সময় ৬মাস।
মেরিন : ৬মাস…
নীড় : কম?
মেরিন : বেশি…
নীড় : হাহাহাহাহা…. যার পিছে ১২বছর ধরে পরে আছি তবুও বারবার একই ফলাফল পাচ্ছি। আর তুমি নাকি…. হাহাহা। তবে হ্যা ৬মাসের মধ্যে যদি তুমি ভিন্ন কারন না দেখাতে পারো তবে মিসেস নীলিমা…. শেষ হয়ে যাবে… পরকালে পাঠিয়ে দিবো।
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো।

.

চলবে….