সে আমার মায়াবতী পর্ব-১+২

0
697

#সে_আমার_মায়াবতী🌼
#লেখনিতে_ঈশা_ইসলাম
#পর্ব_১
আজ আমার ছোট বোন রাইসা কে দেখতে এসেছে , আমি রান্না ঘরে কাজ করছি আর আমার মা সে বসে বসে নিজের ছোট মেয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ,
রান্নাঘরের দড়জায় দাড়িয়ে দেখছি আজ রাইসা কে কি সুন্দর লাগছে, আচ্ছা আমি শ্যামলা বলেই কি মা আমাকে দেখতে পারে না, আমাকে একটু ভালোবাসলে কি এমন হতো মা, চোখ দিয়ে অনবরত পানি গরিয়ে পরছে হটাৎ আমার গালে কেউ ঠাস করে চড় বসিয়ে দিয়েছে, ঘুরে দাড়াতেই

হতভাগি তুই এখানে কি করিস, তোর কি লাজ লজ্জা বলতে কিছুই নেই, যেই দেখেছিস আজকে আমার নাতনিকে দেখতে এসেছে ওমনি এসে পরেছিস তাই না, আজ হয় তুই থাকবি নয় তো আমি শরিফ কে বলে এই বাড়ি থেকে চলে যাবো, কিরে ঘরে কি কাজ নেই এইখানে তুই কেন এসেছিস আজ আমি নিপা কে বলবো…

কথা গুলো শুধু শুনে গেলাম চোখ থেকে টপটপ করে পানি পরছে, আমি জানি বড় আব্বু আমাকে কিছুই বলবে না, নিজের ভাগ্য নিয়ে তাচ্ছিলের হাসি দিয়ে কাজে লেগে গেলাম,

ও আপনাদের বলা হয় নি আমি ঈশা, এবার অনার্স ফাস্ট ইয়ার , বাবা ফারুখ শেখ, মা নাবিলা শেখ আর যে আমাকে কথা শুনিয়ে গেল সে হলো আমার দাদি, আর আমার চাচ্চু আর চাচিমা হলো নিপা বেগম, আর শরিফ শেখ,
আমার পৃথিবিতে এই দুই জন মানুষ যারা আমাকে নিজের চেয়ে বেশি ভালোবাসে,

আমার বাবা নেই কিন্তু মা আমাকে কেন ভালোবাসে না আমি জানি না, দাদি রাইসা আমাকে যে দেখতে পারে না সেটা আমি বুঝি, মা ও আমাকে আদর করে না

হটাৎ চাচিমার কথায় ধ্যেন ভাংলো,

কিরে ইশা কোথায় তুই বল তো মা, সেই কখন থেকে ডাকছি শুনতে পাস নি

হ্য হ্য বলো, আসলে চাচিমা
এই তোর গালে কি হয়েছে আম্মু, এমন লাল হয়ে আছে কেন তুই কি বেগুনি খেয়েছিস,

না না আসলে

ওকে দাদি মেরেছে মা,

হটাৎ করেই সামিয়া আপুর কথায় হকচকিয়ে গেলাম,
সামিয়া আপু কিভাবে দেখলো,

কি রে ভাবছিলি আমি কিভাবে জানলাম, আমি দেখেছি ইশা সবটাই দেখেছি, তুই কেন চুপ থাকিস আমাকে বল,

হেসে বললাম, আপু যেখানে মা নিজেই ভালোবাসে না সেখানে অন্যকেউ হলেই বা কি করবো বলো।

আমি চাই খুব করে চাই তুই ও কারো জিবনের অস্তিত্ব হবি, কেউ তোকে চোখে হারাবে, তার একান্ত তুই হবি, তুই হবি তার মায়াবতি দেখিস

আমার ভাগ্যে তা নেই আপু, একি চাচিমা তুমি কান্না করছো কেন, দেখ আমি

কই কাদছি যা সর অনেক কাজ আছে আর রাইসাকে নাকি তাদের পছন্দ হয়েছে এখন ছেলের বলার অপেক্ষায় আছে,

সত্যি তাহলে তো ভালোই যাই আমি কাজ গুলো সেরে নেই কাল ভার্সিটি আছে,

এই শোন তুবা ফোন করেছিল, কাল তারাতাড়ি যেতে বলেছে, আর ফোন টা বারান্দা দিয়ে ফেলে দিতে বলেছে,

চাচিমার কথায় হেসে দিলাম, মেয়েটা সত্যি পাগল, কাছে গেলেও হাসাবে আর দূরে গেলেও খেয়াল রাখবে, তুবা হলো আমার স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড না বেস্ট ফ্রেন্ড,

কথা বলতে বলতে কাজ শেষ করে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম আর ভাবছিলাম, সত্যি কি আমি কারো জিবনের এমন ভাবে মায়াবতি হতে পারবো,

চৌধুরি ভিলা–

সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে হাতে কলম ঘুরাতে ঘুরাতে ব্লুটুথের মাধ্যেমে কথা বলছে আয়ান আরাভ
চৌধুরী..

সাহেল ইউ নো না কাল আমার মিটিং আছে আর সামনের সপ্তাহে আমার ইলেকশন তাই এর মধ্যে কোন পগ্রামে যাওয়া আমার পক্ষে ইমপসেবল,

স্যার ওনারা অনেক রিকোয়েস্ট করেছে, আর আপনি তো ওই কলেজের ভিপি তাই আপনাকেই প্রধান অতিথি হিসাবে ডেকেছে, প্লিজ স্যার

ওকে আই উইল ট্রাই সাহেল

ওকে স্যার

কি হয়েছে আরাভ তুমি কি নিয়ে চিন্তিত,

নো মম , পরশু প্রগ্রাম আছে তাই যেতে হবে আর এমনিতেও এই সপ্তাহে ইলেকশন আছে,

আমি জানি আমার ছেলে এবার ও নেতার পথটাই পাবে, তোমাকে কে না চেনে আর তোমাকে কে না ভালোবাসে

হ্য আম্মু তাই তো রাস্তায় আমার ভাবির ওভাব হয় না, কিন্তু ঘরে আমার ভাই একা আর তাছাড়াও কাল তো ভার্সিটি তে আমার নতুন দিন তাই দেখব ভাবি পাই কিনা, অবশ্য তোমার কারনে আমি কাউকে নিজের পরিচয় বলতেও ভয় পাই.. দেখা যাবে তোমাকে না পেয়ে মেয়ের ভাই আমাকে তুলে নিয়ে যাবে🤭

তুই কি খুব বেশি পেকেছিস তাই না, আছা আজ সায়ান আসুক তোর ব্যবস্থা করতে বলব,

মা ভাইয়াকে বল ভালো হবে না ছোট ভাইয়া আমাকে বেশি ভালোবাসে

আচ্ছা সেটা দেখা যাবে,

এতক্ষন যাদের কথা শুনলেন তারা হলো হানিফ চৌধুরীর বড় ছেলে, আয়ান আরাভ চৌধুরী, ছোট ছেলে সায়ান চৌধুরী, মেয়ে আয়ুশি চৌধুরী
সায়ান আপাদত লন্ডনে নিজেদের বিসনেস দেখছে, আয়ুশি নতুন ভার্সিটি ভর্তি হয়েছে আর আরাভ দেশের টপ আইকন আর মিনিস্টার নেতা সাহেব, তার খ্যেতি ছড়িয়ে আছে পুরা শহরে, মেয়েরা আরাভ বলতে পাগল, কিন্তু সে এগুলো মোটেও পছন্দ করে না,

সাহেদ রাতে রেডি থাকবে , মিশন টা কমপ্লিট করতে হবে,

জি স্যার, শুধু সময়ের অপেক্ষায় আছি

আমিও ( বাকা হেসে)

চলবে।

#সে_আমার_মায়াবতী
#লেখনিতে_ঈশা_ইসলাম
#পর্ব_২
–আসবো আম্মু

–না, তোকে না বারন করেছি, আমার সামনে ঘুর ঘুর করবি না,তারপর ও কেন চলে আসিস তুই,

— আজকে তো আমার ভার্সিটির প্রথম দিন তাই

— তাই কি, কেন এসেছিস তুই আমার শান্তি কেড়ে তোর সুখ হয় নি আবার চলে এসেছিস,

— হটাৎ করেই রাইসা এসে আমাকে দেখে মুখ বেকিয়ে বলে,

— কি রে ইশা আবার মা কে বশ করতে চলে এসেছিস, শুনে রাখ তুই আমার মা তোর না তুই তো এ বাড়ির কাজের লোক, দেখেছিস কত বড় বাড়িতে আমার বিয়ে হবে কখনো সপ্নে ভেবেছিলি তুই, আর ভেবে কি করবি তুই তো কালি, তোকে কোন ছেলে নিবে আর নিলেও দুই চারদিন রেখে ঘার ধাক্কা

–ঠাসসস, করে একটা থাপ্পর দিয়ে বললাম সুন্দর শুধু তুই তোর মনটা তো বিসাক্ত, আমি কখনো ভাবতে পারি না তুই আমার বোন, আরে আমি তো

— আমার মা যে আমাকে হটাৎ করেই চড় মেরে দিবে তা আমি কল্পনা করি নি, আমার কাধ খামছে ধরে রেগে বলল

— তোর সাহস কি করে হয় আমার সামনে আমার মেয়েকে মারার, বাজে কথা বলার, শুনে রাখ তুই তুই একটা বাহিরের মেয়ে, রাস্তার মেয়ে,

— মা চুপ কর প্লিজ, আমি শুনতে পারছি না, ( কানে হাত চেপে বললাম)

—- এহহ দেখেছো মা সত্যি কথা কেউ শুনতে চায় না, বেহায়া একটা

— আমি রাইসা আর মায়ের কথায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম, এটা কি আমার মা, মায়েরা তো সন্তান কে ভালোবাসে তাহলে আমার মা আর ভাবতে পারছি না হটাৎ করেই মাথা ঘুরাতে শুরু করলো, কান্না আটকিয়ে মা কে বললাম

—- মা দেখো একদিন না এমন হয় তুমিও আমাকে ভালোবাসবে কিন্তু আমি থাকবো না

— বলেই কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম,

— রাস্তায় হাটতে হাটতে ভাবছি সকালে চাচিমা আর চাচ্চু কে বলে বের হবার জন্য পা বারাতেই মায়ের ঘরের দিকে চোখ যায় কারন মা আমাকে তার ঘরে যেতে বারন করেছে, তাও একটু সাহস দেখিয়ে গিয়েছিলাম, আমি জানতাম এমন কিছুই হবে,

—আহ কথা বলতে বলতে ভার্সিটির গেট পেরতেই কেউ আমাকে জাপটে ধরলো আমিও মুচকি হেসে ধরলাম, কারন আমি জানি মানুষটা কে

— জানু কেমন আছিস, অবশ্য তুই তোর বোন আর জল্লাদ মায়ের কাছে ভালোই থাকবি, এই একদম ভ্রু কুচকে তাকাবি না বলে দিলাম

— উফফ তুবা তুই আবার শুরু করলি ওদের কথা বাদ দে শুন আমার না ভয় লাগছে রে কারন শুনেছি ভার্সিটিতে নাকি রেগিং হয়,

— আরে চিল জানু কিছুই হবে না, আরে তুই

— হটাৎ করে ফ্রিজ হয়ে গেলি কেন তুই এই

— মনে হয় মেয়েটার কিছু হয়েছে দেখ ইশু মেয়েটা কান্না করছে

— তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে পা ধরে বসে কান্না করছে

— চল তো গিয়ে দেখি

— এই যে শুনো কি হয়েছে তোমার এভাবে কান্না করছো কেন

— আমি পরে বেথ্যা পেয়েছি,

— মেয়েটার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি কি নিস্পাপ মেয়েটা মায়াবি মুখ এ ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে

— আচ্ছা তুমি কান্না করো না, আমার কাছে ফাস্ট এইড বক্স আছে তুমি বসো আমি বেন্ডেড করে দিচ্ছি..

— এবার মায়া ইশার দিকে এক ধ্যেনে তাকিয়ে আছে শ্যমলা গায়ে আকাশি থ্রি পিস টা কি মানিয়েছে, টানা টানা চোখ, লম্বা চুল পিঠ ছড়িয়ে পরেছে, আর সবচেয়ে বেশি নজর কারা লাগছে কথা বলার সাথে সাথে দুই গালে টোল পরছে, থুতনিতে ঘারো টোল

— হটাৎ তুবার কথায় হকচকিয়ে গেল

— বলছি যে বাসায় কি যেতে পারবে নাকি কাউকে ফোন করবে

— না আজকে তো বড় ভাইয়া আসবে না ড্রাইভার চাচ্চু আসবে, কিন্তু আজকে তো আমার ফাস্ট ডে তাই ক্লাস করবো, আচ্ছা তোমরা না অনেক ভালো, তোমাদের নাম কি আর

— হটাৎ করেই তুবা চিৎকার করে বলল

— এই তুমি কি ফাস্ট ইয়ার,
— হ্যা, আর আমি তো নতুন তাই চিনতে পারছি না, না দেখে হাটতে গিয়ে পরে গিয়েছি, যাই বলো পরে গিয়ে ব্যথা না পেলে তোমাদের কে তো পেতাম না
— তুমি সত্ত্যি অনেক ভালো 😊
— তোমরাও আমার নাম মায়া , তোমরা
— আমি ইশা আর ও হলো আমার একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড তুবা
— উমম ফ্রেন্ড?? (হাত বারিয়ে দিয়ে)
— হটাৎ আমরা একসাথে বললাম না
— মায়া প্রথমে ভয় পেলেও পরে মুখ কালো করে
— ওওও 🙁
— দেখ আমরা ফ্রেন্ড হতে পারবো না বাট
— বাট??
— বেস্ট ফ্রেন্ড হতে পারি ( খুশি হয়ে)
— তিনজন একসাথে জরিয়ে ধরে বলে চল যাওয়া যাক,
— চলো
তিনজন ক্লাসে যাওয়ার সময় বলে আজকে আমাদের প্রথম দিন কিন্তু আজকে কেউ রেগিং করলো না কেন??
— মায়া হেসে বলে হয়তো ভুলে গিয়েছে
— তিন জনেই হেসে দিয়ে ক্লাসে পা বাড়ায়
— আমি জানি বড় ভাইয়া তুমি আমার সেফটির জন্য গার্ড রেখেছো ( মনে মনে)
— আজকে যেহুত নতুন ক্লাস তাই শুধু পরিচয় পর্ব পর্যন্ত শেষ হয়েছে, ক্লাস শেষে সবাই মিলে বের হওয়ার সময়
— এই যে নতুন পাখিরা এদিকে আসো
— ইশা তুবা আর মায়ার হাত খামচে ধরেছে,
— চল ইশা পালাই
— না তুবা আমরা পালাবো কেন? আমরা কি কিছু করেছি?
— আরে পাখি তুমি তো খুব চালাক যাই বলো না কেন দেখতে কিন্তু কিউট খাসা,
— হ্যা রে রকি দেখতে তো সুন্দর কিন্তু তুই বল তিন টা আছে কোনটা নিবি
— হটাৎ করেই আমি বলে উঠলাম
— ছি আপনি একটা মেয়ে হয়ে এসব বলছেন,
— এই তুমি কিন্তু এবার বেশি কথা বলে ফেলছো
— এই কি হয়েছে এখানে??
— হটাৎ করেই একটা ছেলে এসে কথা টা বলল
— আরে মামা নতুন পাখি পাইসি তাই মজা নিতাসি, তুই ও আয়
— তোরা কি ভুলে যাচ্ছিস আমি বারন করেছিলাম সবার সাথে রেগিং করবি না! শারমিন তুমি কি ভুলে গিয়েছো ( রেগে চিৎকার করে)
— আমি হটাৎ করে খেয়াল করলাম তুবার চোখে পানি টলমল করছে কিন্তু কারন বুঝলাম না, তাই ধাক্কা দিতেই ফুপিয়ে কেঁদে উঠে বলে
— তু তুহিন ভাইয়া
— সবাই আর চোখে তাকিয়ে আছে,, তুহিন নামের ব্যক্তির চিৎকার এ সবাই মাঠ খালি হয়ে গেলো,
— এদিকে আমি হাবলার মতো তাকিয়ে আছি, হটাৎ করেই আমার মাথা কেমন যেন ঘুরছে,
— তুবা আমার সাথে আয়
— তুহিন তুমি ওদের কে চিনো
— লিসেন আমি যে চিনলেই তুমি রেগিং করবে না ব্যপার টা কিন্তু এমন না, তাই আমি আবারও সাবধান করে দিচ্ছি
নাও গো নাও
— আর তোকে কি আমার ইনভিটিশন দিতে হবে?
— আপনি কে কেন এসেছেন,,প্লিজ
— এই তোমরা দুই জন আসো আমার সাথে
— বলেই তুহিন নামের ব্যক্তি তুবা কে টেনে নিয়ে গেল
— ছাড়ুন আমাকে, আ আপনি কেন এসেছেন
— অসমাপ্ত কাহিনি সমাপ্ত করতে
— এটা কি হলো
— জানি না চলো গিয়ে দেখি,
— হ্যা হ্যা চলো
তুহিন তুবা কে টেনে একটা রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে গেলো
— আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন কেন
— সকালে কেন খেয়ে আসিস নি?
— আপনাকে বলতে বাধ্য নই আমি,
— ভাইয়া আপনি কে, আর ওকে কেন এভাবে টেনে নিয়ে আসলেন
— ইশা রাইট?
— জ জ্বি
— আর তুমি
— আমি তো ওদের নতুন ফ্রেন্ড মায়া
— আমি তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার, আর আমার উডবি মিসেস তুহিন
— তুহিন ভাইয়ার কথা শুনে তুবার চোখ বড় বড় হয়ে গিয়েছে
— আমি আর মায়া মুখ টিপে হাসছি কারন আমরা চাহনি দেখেই বুঝতে পেরেছি 🙂
— ভাইয়া খাবার অর্ডার করার পরে খাবার চলে আসলে জোর করে তুবা কে খায়িয়ে দিচ্ছে আর আমি ভাবছি জিবনে মা বাবার ভালোবাসা পেলাম না আমাকেও যদি কেউ এভাবে যত্নে তুলে রাখতো,
— তোমরা খাচ্ছো না কেন??
— আব না ভাইয়া আমি খেয়ে এসেছি
— আমিও
— বড় ভাইয়া ( চোখ বড় বড় করে)
— মায়ার হটাৎ দাড়ানো দেখে আমিও দাড়িয়ে গিয়েছি, হটাৎ দাড়ানো তে আর সারা দিন কিছু না খাওয়া তে মাথা ঘুরে উঠলো
সামলানোর আগেই পরে গেলাম কিন্তু নিচে পরার আগেই কারো বাহুডরে নিজেকে আবদ্ধ করলাম,
আধো আধো চোখে দেখলাম কেউ গালে চাপড় মেরে কিছু বলছে কিন্তু শুনতে পেলাম না।
চলবে।