#স্ত্রীর_অধিকার
#লেখিকাঃফারহানা_ইসলাম
#পর্বঃ১৪
মায়ের সাথে কথা বলে আমি নিচতলার দিকে যাচ্ছিলাম।কিন্তু যখনি আমার শ্বাশুড়ির ঘরের সামনে আসলাম তখনিআম্মার ঘর থেকে কারো কথার আওয়াজ শুনতে পেলাম।ভালো করে খেয়াল করলাম ঘরের দরজা কিন্তু খোলা ই রয়েছে।দেওয়ালে কান পেতে শোনার চেষ্টা করলাম আম্মা একা নয় রিয়া আর অরূপ ও আম্মার সাথে রয়েছে।তাদের তিনজনের মধ্যে কিছু কথা হচ্ছে।
আম্মা বলছে শোন অরূপ আগে যা করার সব করেছিস।কিন্তু এইবার তোরা আর এইরকম করিস না।দেখ অনু মেয়েটা কিন্তু এতো টা খারাপ নয়;;;যতটা খারাপ আমরা ভেবেছিলাম।আমরা সব ভুলে আবার এক হয়ে যাই।
,
,
আম্মার কথা শোনে রিয়া বললো আম্মা কিন্তু একদম ঠিক বলছে অরূপ।আমরা একই বাড়িতে ই রয়েছে।আর একই বাড়িতে থাকলে অনেক মন-মালিণ্য হয়ে থাকে।তাছাড়া অনু কিন্তু আমাদের কোনো খারাপ চায় না।ও খুব ভালো মেয়ে।অরূপ তুমি লক্ষ্য করেছ যখন থেকে অনু এই বাড়িতে এসেছে তখন থেকে বাড়ির পরিবেশ অনেক পাল্টে গেছে।আমার মতে আম্মা ঠিক ই বলছে।
,
,
রিয়ার কথা শোনে অরূপ চুপ করে ই রয়েছে।তখন আম্মা বললো শোন অরূপ এই বাড়ির অর্ধেক শতাংশ সম্পত্তি অভ্র র নামে।আর বাকি অর্ধেক তোদের তিন ভাই-বোনের নামে।তাছাড়া এতদিন তুই অভ্র র সই নকল করে ওর ব্যাংক একাউন্ট থেকে অনেক টাকা আত্নসাৎ করেছিস।অভ্র ঠিক হওয়ার পর যদি জানতে পারে তাহলে কী হবে জানিস।আর তোর বাবা যদি জানতে পারে তোকে কী এই বাড়িতে স্থান দিবে।
,
,
আম্মার কথা শোনে অরূপ বললো মা আমি সব জানি।এতদিন বড় ভাইয়ের সাথে আমরা অনেক অন্যায় করেছি।কিন্তু অনু যদি এইসব জানে সে কী আমাদের আর এই বাড়িতে থাকতে দিবে।
অরূপের কথা শোনে আমি ওদের কাছে গিয়ে বললাম অনু এইটা ভুলে ও করবে না।
আমার কথা শোনে ওরা তিনজন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
তখন আমি বললাম শোনেন আপনারা সবাই যে আপনাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন এতে ই আমি আনন্দিত।আমি চাই আপনারা সবাই মিলেমিশে থাকুন।যদি থাকেন তো সেটা আপনাদের জন্য ই ভালো।
আমার কথা শোনে আমার শ্বাশুড়ি বললো বৌ মা আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও।আমি তোমাকে অনেক অপমান করেছি।
তখন আমি বললাম আম্মা আপনার কোনো ভুল হতে পারে না।মায়ে রা কখনো অন্যায় করে না।বাবা-মা সবসময় সন্তানদের ভালো চায়।
আমার কথা শোনে অরূপ অামার হাত ধরে বললো অনু আমাকে ক্ষমা করে দাও।আমি তো তোমার বড় ভাইয়ের মতো ই।যদি ও তুমি আমার সম্পর্কে বড় কিন্তু বয়সে তো ছোট।
অরূপের কথা শোনে আমি হেসে বললাম আমি কিছু মনে করি নাই।তোমরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছ এতে ই আমি খুশি।
,
,
পরেরদিন সকালবেলা অভ্রকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে গাড়ি এসেছে।অরূপ আর অর্নব অভ্রকে নিচে নিয়ে আসলো।তখন আমার শ্বাশুড়ি অভ্রকে জড়িয়ে ধরে সে কী কান্না।
মায়ের কান্না দেখে অভ্র ও মাকে ধরে কাঁদতে শুরু করলো।আর অধরা,অরূপ,অর্নব আর রিয়া তো আছে ই।এই দৃশ্যটা যতটা ছিলো বেদনদায়ক তার চেয়ে বেশি ছিলো আনন্দের।কারন অনেকদিন পর সবাই আবার এক হয়েছে এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে।
,
,
যখন অভ্রকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলো অভ্রের সাথে আমি আর দাদী গেলাম।মা বললো সে যাবে।কিন্তু আমি বললাম না আম্মা আপনি যাবেন না।অর্নবের খুব মন খারাপ হবে যদি আপনি ওর শ্বশুর বাড়িতে না যান।
,
,
আমরা যখন হসপিটালে পৌঁছালাম।
হঠাৎ তখন একজন সুন্দরী মেয়ে এসো আমাকে বললো অনু তুমি কেমন আছো??
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কে?আর আমাকে চিনেন কীভাবে??
তখন মেয়েটি মুচকি হেসে উত্তর দিলো আমি ডাক্তার নীলিমা চৌধুরী(যুথি)
ডাঃ নীলিমাকে দেখে আমি অনেক অবাক হলাম।যেমন সুন্দরী তেমন কথা বলার ধরন।
নীলিমা দাদীকে একটা রুমে বসতে দিয়ে আমাকে ওর সাথে নিয়ে গেলো।
,
,
নীলিমা আমাকে নিয়ে একটা রুমে নিয়ে গেলো।দেখে মনে হচ্ছে ওর কেবিন ই হবে।নীলিমা আমাকে বললে,,,,,,,,,,
অনু তুমি হয়তো এটা ভাবছো আমি তোমাদের সম্পর্কে সব জানি কীভাবে!!(নীলিমা)
হ্যাঁ!!(আমি)
তোমাদের কাজের মেয়ে সুমিকে আমি চিনতাম ওর থেকে ই আমি সব খবর নিতাম।।(নীলিমা)
ও আচ্ছা।(আমি)
আমি আর নীলিমা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলাম।তখন হঠাৎ করে একটা লোক এসে বললো,,,,,,,,,,,,
চলবে