স্বপ্নের_crush ? (in reality) Part-29 +30

0
4300

স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-29 +30
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
.
আরোহি রুমে গিয়ে দেখে অরনি অনেকবার ওর ফোনে কল করেছিল, তাই অরনিকে কল দিলো…
ক্রিং ক্রিং

অরনিঃ হ্যালো আপি
আরোহিঃ জ্বি বলেন
অরনিঃ একদিন হলোই না ঘুরতে গিয়ে আমাকে ভুলে গেছিস,, বিয়ের পর তো আরোই ভুলে যাবি ?? (উইথ ন্যাকা কান্না)
আরোহিঃ আরে না না ভুলিনি,, তোকে ভোলা যায়?? আর যেন না ভুলো সেজন্যই তো আমার সাথে সাথে তোকেও বিয়ে দিয়ে নিয়ে যাবো আমার সাথে

অরনিঃ ? হিহিহি ?
আরোহিঃ তোর জন্য একটা নিউজ আছে

অরনিঃ বলে ফেলো
আরোহিঃ তোর জন্য একটা সতিন পেয়েছি ? নাম মাহি
অরনিঃ ?? কি বাজে! আমি তোমাদের সেট করাই দিলাম আর তুমি কি না আমার জন্য সতিন খুজতেছো ????

আরোহিঃ আরে না না আমি খুজিনি,, এই ব্যাক্তি ওহ সরি এই মহিলা আহানের উপরও ক্রাশড। ইনি এদের দুইজনের উপরই ক্রাশড। আমি তো আহানকে দেখে রাখতে পারবো, তুই অর্ণবের দিকে খেয়াল রাখিস

অরনিঃ (চিন্তিত হয়ে) হুমমম ????
আরোহিঃ কি রে কি হলো
অরনিঃ আপি এখন বাই গুড নাইট
আরোহিঃ ওকে বাই
অরনি আর এক মুহূর্ত ওয়েট না করে অর্ণবকে কল দিলো,,,, অর্ণব রিসিভ করতেই,,

অরনিঃ ঐ তুমি মাহি না ফাহি আছে ওর থেকে দূরে থাকবা, ওকে তোমার আশেপাশে আসতে দিবানা,, ঐ উগান্ডার জননীর সাহস কতো বড় তোমার উপর নজর দেয় ? ওকে তো কেটে কুচি কুচি করে নদীতে ভাসায় দিবো,, কিমাাাা কিমা বানাবো ওর,, বজ্জাত মহিলা, বানরের গার্লফ্রেন্ড ??

অর্ণবঃ ??? (মনে মনে) আমি জানতাম গার্লফ্রেন্ড কল দিলে প্রথমে বাবু, সোনা বলে কথা শুরু করে কিন্তু ইনি তো মার্ডার প্লান করতেছেন ??

অরনিঃ ঐ কি হলো কথা বলো না কেন?

অর্ণবঃ ওহ আ..আমি তো তোমাকে কথা বলার জন্য স্পেস দিচ্ছিলাম,, আসলে আমি কথা বলা শুরু করলে তুমি তো কিছু বলার সুযোগ পাবে না তাই ?

অরনিঃ হুম,, কেমন আছো?
অর্ণবঃ এইতো মোটামুটি,, নিজের জানকে ছাড়া কি ভালো থাকা যায়? তোমাকে অনেক মিস করছি

অরনিঃ আমিও ? ওখানে এনজয় করো আর আমাকে ছবি পাঠাবা
অর্ণবঃ জো হুকুম আপকি
[এরপর ওদের গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড এর কথোপকথন চলতে থাকলো রাত ভর, সাথে অরনি একটুপর পর অর্ণবকে মাহির থেকে দূরে থাকার জন্য হুমকি দিচ্ছে,, আমরা আর না শুনি]
__________________________
পরের দিন,
আজ সবাই হাইকিং করবে,, পাহাড়ে উঠবে,, ওখানেই ক্যাম্প বানিয়ে রাতে থাকবে,, সবাইকে সকাল ৯ টার মধ্যে হোটালের নিচের হলে চলে আসতে বলা হয়েছে,, অনেকেই চলে এসেছে, আহানও পৌঁছে গেছে কিন্তু আরোহি সহ আরোও কয়েকজন এখনো আসেনি,,,

আহান ফোন টিপতে টিপতে হঠাৎ সামনে তাকাতেই দেখে আরোহি সিঁড়ি দিয়ে নামছে… আরোহি পরেছে সাদা কালারের লেগিন্সের সাথে একটা আকাশি কালারের টপ, একটা সাদা আকাশি কালারের জর্জেটের ওড়না, চুলগুলো উঁচু করে রিবন দিয়ে বাধা,, বাতাসে সামনে ছোট ছোট চুল গুলো উড়ছে,, মুখে কোনো মেকআপ নেই, আর কাধে একটা ছোট ব্যাগ,, এতে আরোহিকে এতো নির্মল লাগছে যে আহান চোখের পলক ফেলতেই পারছে না। প্রায় সবাই কম বেশি মেকআপ করেছে কিন্তু আরোহি কোনো মেকআপ করেনি,, আরোহি দেখতে আহামরি সুন্দর নয়, তবুও আজ যেন বেশিই সুন্দর লাগছে, মনে হয় প্রকৃতি ওকে আপন করে নিয়েছে,

আহান আরোহির দিকে তাকিয়ে থাকায় আরোহি বেশ লজ্জা পায়,, তাই ওখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যায় । আরোহি চলে যেতেই আহান বুঝতে পারে ও সবার সামনে আরোহির দিকে তাকিয়ে ছিলো,, বুঝতে পেরেই নিজের মাথা চুলকাতে চুলকাতে সেও বেরিয়ে গেলো,,,,,,,,,,,

পাহাড়ে যাওয়ার জন্য সবাই বাসে করে রওনা দিলো,, সবাই মজা করছে, যথারীতি আবার আরোহির পাশে আহান বসেছে (নানা ছলে বলে),, আহান প্রথম থেকে আরোহির সাথে কথা বলার চেষ্টায় কতো কিছু করছে,, আরোহিকে হাসানোর চেষ্টা করছে কিন্তু আরোহি পাত্তাই দিচ্ছে না,,পাহাড়ের কাছে পৌছানোর পর সবাই বাস থেকে নামতেই দেখে হঠাৎ কোথা থেকে তৌহিদ হাজির,, আরোহি আহানকে দেখিয়ে দেখিয়ে তৌহিদের দিকে এক্সাইটমেন্ট নিয়ে দৌড়ে চলে গেলো,

আহানঃ [ হুহ এমনভাবে যাওয়ার কি ছিলো? আরোহিকে দেখে মনে হচ্ছে কোনো সেলিব্রিটি এসেছে ?]

আরোহিঃ (আহানকে শুনিয়ে শুনিয়ে) হেই জানু এতো লেট করলে যে,, আমি প্রচন্ড বোর হচ্ছিলাম

আহানঃ [কিহহহ বোর হচ্ছিলো ? মিথ্যুক ,, আর এতো জোরে জোরে জানু জানু করার কি আছে হুহ]

তৌহিদঃ ??
আরোহিঃ (ফিসফিস করে) কি রে শয়তান কিছু বলছিস না কেন? আহানকে জেলাস ফিল করাবি নায়ায়ায়া ??

তৌহিদঃ (ফিসফিসিয়ে) ওয়াহ দরকারে জানু আর এখন শয়তান ?
আরোহিঃ সরি সরি, তুই তো আমার সোনা ভাই,, ভাইয়া প্লিজ ডু মি আ ফেভার,,

তোহিদঃ ? ওকে ওকে,, (এবার একটু জোরে বললো) আই অল সো মিসড ইউ জান

আহান তো এসব জান জানু শুনে ফুলছে,,, হঠাৎ স্যার সবাইকে ডাকলেন,,

স্যারঃ তোমাদের সবার কাছে ম্যাপ আছে,, তাই সবাই এখন পাহাড়ে উঠো, সাথে তো আমরা আছিই,, তবে যে বা যারা সবার আগে পাহাড়ে উঠতে পারবে তাদের জন্য অবশ্যই পুরষ্কার আছে,, সো যাও সবাই কাজে লেগে পর
যে প্রথম উঠবে সে পুরষ্কার পাবে শুনে আরোহি তো খুশিতে লাফাচ্ছে,, আর আহান আরোহির খুশি চেহারা দেখছে ??

এরপর তোহিদ স্যারদের কাছে গিয়ে কিছু বলতেই স্যারও কেন যেন হ্যা বললো,, এরপর তৌহিদ এসে আরোহিকে বললো,
তৌহিদঃ চলো জানু আমিও তোমার সাথে পাহাড়ে উঠবো

আরোহিঃ ওয়াও,, চলো
(বলেই তৌহিদ আর আরোহি একসাথে পাহাড়ে উঠতে শুরু করলো)
আহানঃ (ভেবেছিলাম আমি আর আরোহি একসাথে উঠবো কিন্তু… আর কিছু না ভেবে আহান অর্ণবের সাথে আরোহিদের পেছনে পেছনে উঠতে থাকলো)

আরোহি আর তৌহিদ হেসে হেসে কথা বলতে বলতে পাহাড়ে উঠছে দেখে আহান রেগে ওদের কাছে গিয়ে বললো,
আহানঃ আচ্ছা আপনি আমাদের সাথে কেন? আমরা স্টুডেন্টরা ক্যাম্পেইন করছি, আপনি তো আউটসাইডার

তৌহিদঃ দেখুন মিস্টার হোয়াটএভার,, এখানে শুরু আপনারাই নন, আরও অনেকেই হাইকিং করছেন, আর আমি আপনাদের স্যারের কাছে পারমিশন নিয়ে এসেছি,, সো আপনার আর কোনো সমস্যা থাকার কথা না

আহানঃ (বিড়বিড় করে) সমস্যা তো তুই ?
তোহিদঃ এক্সকিউজ মি. কিছু বললেন?

আহানঃ না
আরোহিঃ বাবু চলো তো,, আমরা লেট হয়ে যাচ্ছি,, সবাই তো চলে গেলো
তোহিদঃ হুম চলো

আহান আবার গোমড়া মুখ করে আরোহিদের পেছনে হাটতে শুরু করলো,,

হঠাৎ মাহি সামনে থেকে পেছনে আহানের কাছে গেলো,
মাহিঃ কি ব্যাপার আহান তুমি এতো পেছনে কেন? চলো (বলেই আহানের হাত ধরে টানতে লাগলো)

আরোহি তো এটা দেখে রেগে ফায়ার ???

আহানঃ (হাত ছাড়িয়ে নিয়ে) নাহ আমি ঠিক আছি, তুমি যাও
মাহিঃ চলো না একসাথ উঠি

আহানঃ নাহ, তুমি তাহলে অর্ণবের সাথ যাও
মাহিঃ ?? অর্ণব চলো না আমার সাথে, আমি একা উঠছি এতক্ষন

অর্ণবঃ ওকে,, (অর্ণব মাহির সাথে পাহাড়ে উঠতে লাগলো) আচ্ছা তোমার নাম কি?
মাহিঃ তুমি আমার নাম জানো না?? আমার নাম মাহি

মাহির নাম শোনার সাথে সাথে অর্ণবের ফেসের কালার উড়ে গেলো ?? সাথে সাথে অর্ণব ওখানেই দাঁড়িয়ে গেলো,,

মাহিঃ কি হলো, দাঁড়িয়ে গেলে কেন? চলো
অর্ণবঃ আ..আসলে সরি আমি তোমার সাথে পাহাড়ে উঠতে পারবো না(বলেই পেছনে ঘুরে আহানের কাছে দৌড়)
মাহিঃ আরেএএ ???

আহানঃ কি রে ফিরে আসলি কেন?
অর্ণবঃ আমার এখনই অরনির হাতে মার্ডার হওয়ার শখ নাই,
আহানঃ মানে?
অর্ণবঃ কিছু না ?
________________________
পাহাড়টা অনেক উঁচু ,, যারা পুরষ্কারের কথা শুনে আগে উঠা শুরু করেছিলো তাদের প্রায় সবাই টায়ার্ড হয়ে বসে গেছে,, আরোহিরও পা ব্যাথা করছে,, আর তৌহিদও মোটামুটি টায়ার্ড ,, আরোহি অনেক টায়ার্ড হয়ে তৌহিদের একটা হাত ধরলো যেন পড়ে না যায়, এটা দেখে আহান তো রাগে ফেটে যাচ্ছে,, তাই জোরে জোরে হেটে পেছন থেকে আরোহির কাছে গিয়ে ওকে একেবারে কোলে তুলে হাটা শুরু করল,, ঘটনাটা এতো দ্রুত ঘটলো যে আরোহি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, বোঝার চেষ্টা করছে হলোটা কি,, আর তৌহিদ তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, আহান কেন এমন করেছে বুঝতেই হেসে দিলো তোহিদ ? ?

আহান আরোহিকে নিয়ে পাহাড়ে উঠে যাচ্ছে আর সবাই অবাক হয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে….
.
to be continued………

স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-30
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
.
আহান আরোহিকে নিয়ে পাহাড়ে উঠে যাচ্ছে আর সবাই অবাক হয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে…. আরোহি ভাবতেই পারেনি আহান এমন কিছু করবে, আরোহির অবশ্য ভালোই লাগছে, তবুও বললো,

আরোহিঃ আহান, নামাও আমাকে,, নামাও [বলেই হাত পা ছোড়াছুড়ি করতে লাগলো ]

আহান কিছু বলছেই না, আরোহিকে কোলে করে নিয়ে হেটে উপরে উঠেই যাচ্ছে,

আরোহির ইচ্ছা করছে আহানের বুকে মাথা রেখে ওর গলাটা জাড়িয়ে ধরে থাকতে,, আরোহি এতোক্ষন আহানের শার্টের কাধটা খামচে ধরে ছিলো, কিন্তু এখন আহানের গলাটা জড়িয়ে ধরলো, আর হাত পা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করলো, এতক্ষনে মনে হয় আহানের রাগটা কমলো,, আরোহির স্বাভাবিক হয়ে গলা জড়িয়ে ধরায় মনে মনে একটু মুচকি হাসলো
.
এখন প্রায় ৫ টা বাজে,,আহান এখনও আরোহিকে কোলে নিয়ে পাহাড়ে উঠছে,,সবাই ক্লান্ত হয়ে বসে পড়েছে আর অবাক চোখে ওদের দেখছে, আর অর্ণব তো অগণিত বার আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলো অরনি এখানে না থাকায়,, কারণ অরনি থাকলে ওকে নিয়ে অর্ণবকে পাহাড়ে উঠতে হতো ???

পাহাড়ে উঠার সময় কিছু উঁচু নিচু জায়গায় আহানের একটু কষ্ট হলেও আরোহিকে নামায়নি, আরোহির এতে খুব খারাপ লাগছে,, আরোহি অনেকবার ওকে নামিয়ে দিতে বলেছে কিন্তু আহান ওকে নামায়নি, এবার আরোহি রেগে বললো,

আরোহিঃ আচ্ছা আপনি আমাকে নামাবেন নাকি আমি জোর করে নেমে যাবো?আর বোবা হয়ে গেলেন না কি আমাকে কোলে নিয়ে? কথা বলেন না কেন?

আহান এতোক্ষনে কথা বললো,
আহানঃ এতোক্ষন তো কতো চেষ্টা করলে জোর করে নামার, কোনো লাভ হয়েছে?

আরোহিঃ (মুখ ফুলিয়ে) হুহ,, আপনার ওমন হাতির মতো শক্তির সাথে আমি পারবো না যখন জানেন তখন দয়া করে এই বাচ্চার উপর মেহেরবানি করে স্বেচ্ছায় নামিয়ে দেন

আহানঃ উহু,, তোমার যে ওজন এতে সারাদিন কোলে রাখতেও সমস্যা নেই,ভাবছি তোমাকে ফার্স্ট প্রাইজ টা পাইয়ে দিবো, তোমাকে নামালে তুমি ২ মিনিটে টায়ার্ড হয়ে যাবে, আর একটুপরই সুর্যাস্ত হবে

আরোহিঃ (অবাক হয়ে) আপনি আমাকে প্রাইজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য এতো কষ্ট করছেন? ?

আহানঃ (একটু ভেবে) উউউমম ??? না, আসলে তোমাকে খুশি দেখতে, তোমার মুখের হাসি দেখতে ???

আরোহিঃ (আমি অবাক হয়ে চেয়ে আছি ওর দিকে,, ও আমায় এতো ভালোবাসে! এই মুহুর্তে ওকে জাপটে ধরে গালে একটা কিস করে দিতে ইচ্ছা করছে ? কিন্তু কেন যেন পারছিনা,, মনে হয় এর আগে কখনও করিনি তাই লজ্জা, সংকোচ হচ্ছে)

অবশেষে আহান আরোহিকে নিয়ে একদম পাহাড়ের উপরে যে বাধানো সমান জায়গাটা আছে ওখানে পৌছে গেছে, আহানকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে ভীষন টায়ার্ড,, আসলে নরমালি আরোহিকে কোলে নিয়ে এতো টায়ার্ড হতো না, কিন্তু পাহাড়ে উঠা বড্ড কষ্টকর

এখনই সূর্যাস্ত হবে, অলরেডি ভাস্কর মামা গিরিমন্ডলীর পেছনে চলে যাওয়া শুরু করেছেন, মানে সূয্যিমামা পাহাড়ের পেছনে নেমে যাচ্ছেন,, চারিদিকে লাল হলুদ আভা ছড়িয়ে পড়েছে, সবুজের উপর লাল হলুদ আভা!! যেন কোনো শিল্পী তার নিপুন হাতে শিল্পকর্ম করেছেন,, আহান আরোহিকে কোলে নিয়েই মুগ্ধ চোখে সূর্যাস্ত দেখছে,, সুর্যাস্ত দেখার সময় আরোহি আহানের গলা জড়িয়ে আহানের কাধে মাথা রাখলো, এই মূহুর্তে আরোহির মনে হচ্ছে সে যেন স্বর্গে আছে।

যখন সূর্যাস্ত প্রায় শেষ আহান আরোহিকে নামিয়ে দিলো৷ দুজন পাশাপাশি পাহাড়ের উপর বসে পড়লো, আহান তার পা দুটো মেলে দিলো, আহান একবার সূর্যাস্ত দেখছে একবার আরোহির হাস্যোজ্জ্বল মুখটা দেখছে, আহানের মনে হচ্ছে সময়টা যদি এখানেই থেমে যেত!? ইশশ! আহানের কাছে এই মূহুর্তে পায়ের ব্যাথাটা কিছুই না

অনেক্ষনপর সবাই এলো, আর সবার শেষে টিচাররা পৌছালো ? (লেজি টিচারস) এসেই টিচারগুলো সবাইকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো প্রথম কে হয়েছে, কারণ তারা এতোটাই স্লো ছিলো যে কে আগে এসেছে / আহান আরোহিকে কোলে নিয়েছে এগুলোর কিছুই দেখেইনি ??

অবশেষে আহান আর আরোহিকে প্রথম নির্বাচন করলো আর আরোহিদের পুরষ্কার স্বরূপ জাফর ইকবালের ‘শুকনো ফুল রঙিন ফুল’ বইটা দেওয়া হলো,, বইটা পেয়ে তো আরোহি অনেক খুশি,, আর আহান প্রাণ ভরে আরোহির খুশিতে ভরা চেহারা দেখছে, যদিও পুরষ্কারটা টা দুজনের কিন্তু আহান সেটা আরোহিকে দিয়ে দিলো

রাতে আর পাহাড় থেকে না নেমে ওরা উপরেই ক্যাম্প বানালো,,, ক্যাম্পের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে সবাই চারপাশে গোল করে বসলো,, আরোহি একপাশে মিতু, নিশা এবং আরও অনেকের সাথে বসে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কথা বলছে৷ আর আহান আগুনের আলোয় তার চঞ্চল আরোহিকে দেখতে ব্যাস্ত,, আর অর্ণব ফোনের অরনির সাথে চ্যাটিং করে,, হঠাৎ মাহি গিয়ে আহানের পাশে বসলো, এতোক্ষন আরোহি আহানকে খেয়াল না করলেও কেন যেন এই মূহুর্তেই আহানের দিকে তাকালো, আর মাহিকে ওর পাশে বসতে দেখে রাগে ফুলছে।

মাহিঃ হাই আহান
আহানঃ হাই
মাহিঃ একা একা বসে আছো যে
আহানঃ একা কোথায়?সবাই তো আছে [ আহান আরোহির দিকে তাকিয়েই কথা বলছে]
মাহিঃ হুম৷ জানো……[অতঃপর মাহি ননস্টপ বকবক শুরু করে কিন্তু আহান কিছুই বলছে না, সে তো তার আরোহিকে দেখতে ব্যাস্ত ]
মাহিঃ [আহানকে আরোহির দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ] আহান, তোমার আর আরোহির মধ্যে কি কিছু চলছে?
আহানঃ (মুচকি হেসে) অনেক কিছু
মাহিঃ ???

আর আরোহি তো আহানকে মাহির সাথে হেসে হেসে কথা বলতে দেখে রাগে শেষ ???,, একটুপর মাহি আহানের পাশে থেকে উঠে আসতেই আরোহি মাহির কাছে গেলো,

আরোহিঃ এই তোমাদের কি কথা হচ্ছিলো?
মাহিঃ আমাদের আর কোথায়? আমি একা বক বক করছিলাম
আরোহিঃ তা কি কথা বলছিলে?
মাহিঃ তোমাদের মধ্যে যে কিছু চলছে আমাকে বলোনি কেন?
আরোহিঃ মা..মানে?
মাহিঃ মানে কিছু না, (কাদোকাদো হয়ে) আহান আমাকে বলেছে তোমাদের মধ্যে কিছু চলছে,, আহান তোমার
আরোহিঃ (স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে) যাক এবার আহান আমার হাত থেকে বাচঁলো
মাহিঃ কি?
আরোহিঃ না কিছু না, আসি বাই, ভালো থেকো ?
মাহিঃ ??

আরোহি সাইডে আসতেই আরোহির ফোনে একটা কল আসলো…….
.

.
to be continued………. ❤