স্বপ্নের_crush ? (in reality) Part-31+32

0
3888

স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-31+32
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi

.

.
আরোহি সাইডে আসতেই আরোহির ফোনে একটা কল আসলো, কলটা অর্ণবের মা করেছেন, আরোহি কলটা রিসিভ করলো,,
-আসসালামু আলাইকুম (আরোহি)
– ওয়ালাইকুমুসসালাম, মা ভালো আছো? (অর্ণবের মা)
– আলহামদুলিল্লাহ আন্টি, আর আপনি?
– আরে, সেইদিন না কল দিয়ে ডাইরেক্ট মা বলে আবদার করেছিলে, আজকে আবার আন্টি বলছো যে?
– (আরোহি লজ্জা পেয়ে গেলো) না মা..মানে

– কোন মানে না,, আহান আমাকে ছোট মা বলে কিন্তু তুমি আমাকে মা বলো,, এটা শুনে আমি কতো খুশি হয়েছিলাম জানো!? জানো আমার আহানটা অনেক কষ্ট পেয়েছে জীবনে, ওকে আর কষ্ট পেতে দেখতে পারবো না, তুমি আমায় কথা দাও ওর খেয়াল রাখবে

– (উনার কথায় আরোহি বেশ অবাক হলো) জ্বি, একটা প্রশ্ন করবো যদি কিছু মনে না করেন?
– হ্যাঁ করো
– আহান আপনাকে ছোট মা কেন বলে? আর ও কষ্ট পেয়েছে মানে?
– কারণ আমি ওকে জন্ম দেইনি ।
– মানে?

-আহানের মায়ের নাম ছিলো অহনা। অহনা চৌধুরী। আর ওর বাবার নাম ছিলো আবিদ মাহমুদ। অহনা আমার বেস্টফ্রেন্ড ছিলো আর আবিদ ছিল অর্ণবের বাবার বন্ধু। অহনা আর আবিদ দুজনেই বেশ গাইতো। আহানের যখন বয়স ৭ বছর তখন অহনা ক্যান্সারে মারা যায়, তারপর থেকে আমার ছেলেটা একদম চুপচাপ হয়ে যায়। না ঠিক মতো খেতো, আর না কোথাও যেত,, সারাদিন ওর মায়ের কাপড় জড়িয়ে ধরে কাদতো। অহনা আর আবিদের লাভ ম্যারেজ ছিলো আর আহান ওদের একমাত্র সন্তান ছিলো, বুঝতেই পারছো আহান ওদের কতটা ভালোবাসার ছিলো। অহনা মারা যাওয়ার পর থেকে আবিদও গান বন্ধ করে দেয়,, আহানকে স্বাভাবিক করতে আবিদ একদিন আহানকে আমাদের বাসায় নিয়ে এলো। আমি আহানকে একটু স্নেহ করতেই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে যেন কতোদিন পর মাকে খুজে পেলো। এরপর থেকে প্রায়ই আহানকে আবিদ আমাদের বাসায় দিয়ে যেত। অর্ণব আর আহান খেলতো। এক সময় আহান আর অর্ণব বেস্টফ্রেন্ড হলো। দেখতে দেখতে ৩ টা বছর কেটে গেলো, আহান আর আবিদ মোটামুটি স্বাভাবিক হলো। আমার আহান হাসতে শিখলো, গাইতে শুরু করলো।
একদিন আমরা সবাই একসাথে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ একটা ট্রাক ব্রেক ফেল করে আমার অর্ণবকে আঘাত করতে নেয় আর তখন আবিদ অর্ণবকে বাচাতে দিয়ে নিজের প্রাণ হারায়। আহান নিজের চোখের সামনে ওর জীবনের দুইটা খুটিকে হারিয়েছে। সেইদিন আমার আহানটা স্তব্ধ হয়ে গেছিলো,, অনেক্ষন পর আহান আবিদের গায়ে হাত রেখে ঝাকিয়ে অনেক কষ্টে উচ্চারণ করেছিলো,
– ” বা..বাবা, ঘুমাচ্ছো কেন? উঠো না,, তোমার গায়ে লাল রক্ত কেন? মা আমাকে রেখে চলে গেলো,, তুমিও মায়ের মতো করো না। প্লিজ। আমি আর দুষ্টুমি করবো না। কেন সবাই চলে যাচ্ছো? ফিরে এসো”

কথা গুলো বলতে বলতে অর্ণবের মা হুহু করে কেদে উঠলেন, আর আরোহি নিঃশব্দে কেদে চলেছে, খুব কষ্ট হচ্ছে ওর আহানের জন্য। ইচ্ছা করছে দৌড়ে গিয়ে আহানকে জড়িয়ে ধরে আহানের কষ্ট গুলো শোষণ করে নিতে।

অর্ণবের মা আবার বলতে শুরু করলেন,
– জানো আমি আর অর্ণব আহানকে তারপর শুধু দুইবার কাদতে দেখেছিলাম। প্রথম কাদতে দেখেছিলাম যখন অহনা মারা যায় আর দ্বিতীয় বার ছিলো যখন আবিদ মারা যায়। এরপর আমার আহানটা একদম শক্ত হয়ে গেছিলো। আর কাদতো না। আমাদের মুখের দিকে চেয়ে স্বাভাবিক হয়েছিলো। অর্ণব অনেক চেষ্টা করতো ওকে স্বাভাবিক করার। কম বয়সেই কষ্ট পেয়ে পেয়ে মাইন্ড থেকে এডাল্ট হয়ে গেছিলো। এরপর আর কাদেনি। কিন্তু যেদিন তুমি ওকে কলেজে ওকে তোমার থেকে দূরে থাকতে বলেছিলে সেদিন আহানটা প্রচুর কেদেছিলো। আমি সবটাই জানি। আমি চেয়েছিলাম এগুলো তোমাকে সামনাসামনি বলতে কিন্তু আমার মনে হচ্ছে কোনো কারণে তুমি আহানের উপর নারাজ। যেন কোনো ভুল স্টেপ না নাও সেজন্যই এভাবে ফোনে বললাম।

° আরোহি মনে মনে ঠিক করে, ”নাহ আর আহানকে কষ্ট দিবে না সে, এতোদিন কষ্ট দিয়েছিলো এটা ভেবে যে, আহান হয়তো ভালোবাসার মানুষের কাছে পাওয়া ব্যাথাটা বোঝে না । কিন্তু আজ বুঝলো আহান কতটা কষ্ট পেয়েছে আজ পর্যন্ত। ”

অর্ণবের মাঃ তুমি কি শুনছো?
আরোহিঃ (কান্না আটকে অনেক কষ্টে বললো) জ্বি
অর্ণবের মাঃ আচ্ছা, রাখি। ভালো থেকো
আরোহিঃ আপনিও ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
অর্ণবের মাঃ আল্লাহ হাফেজ

আজ আহানের প্রতি আরোহির ভালোবাসাটা আরও বেড়ে গেছে। না, এটা দয়া না। এখন আহানের পুরো ভালোবাসা পুরো দুনিয়াটা জুড়ে আরোহি এটা ভেবেই আহানকে আরও ভালোবেসে ফেলছে।
______________________________
তাবুগুলো গোল করে টানানো হয়েছে। আর মাঝে আগুন জ্বালিয়ে আগুনের চারপাশে গোল করে সবাই বসে আছে। ডিসেম্বরের শেষ। এই সময় চট্টগ্রাম অঞ্চলে হালকা শীত থাকে। রংপুর জেলার মতো আহামরি শীত থাকে না জন্য সবাই আগুনের তাপেই মোটামুটি আরামে বসে আছে। আরোহি ধীরে ধীরে তাবুর কাছে এসে তাবুতে হালকা হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আহানকে দেখতে লাগলো আরোহি। আগুনের লাল আভা আহানের ফর্সা গায়ে মুখে পড়ছে। আহান সাদা টি-শার্ট, ব্লু ট্রাওজার পড়ে আছে। আহানকে এমনিতেই সাদাতে দেখতে ড্যাসিং লাগে। আরোহি আবার নতুন করে আহানের প্রেমে পড়লো। আরোহি মনে মনে বললো, ” আহান তোমায় আর কষ্ট দিবো না, আজই তোমায় বলবো আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি ”

আরোহিকে দেখেই মিতু আরোহিকে টেনে ওদের সাথে বসালো। এখন ওরা সবাই মিলে গান গাইবে। প্রথমেই আহানকে গান গাইতে বলা হলো।

আহান আরোহির দিকে তাকিয়ে গিটারে সুর তুলে গান শুরু করলো,
আমার কল্পনা জুড়ে যে গল্পেরা ছিল
আড়ালে সব লুকনো
সেই গল্পরা সব রঙিন হলো পলকেই
তোমাকে হঠাৎ পেয়ে যেন
প্রেম তুমি আসবে এভাবে
আবার হারিয়ে যাবে ভাবিনি
আজও আছে সে পথ
শুধু নেই তুমি
বলো, কোথায় আছ অভিমানী
সব থেকেও কী যেন নেই
তোমাকে তাই খুঁজে যাই প্রতি ক্ষণে
আমার ভাল লাগাগুলো সব
তোমায় ভেবে সাঁজে রোজ রোজ এই মনে
প্রেম তুমি আসবে এভাবে
আবার হারিয়ে যাবে ভাবিনি
আজও আছে সে পথ
শুধু নেই তুমি
বলো, কোথায় আছ অভিমানী

গানের সময় আরোহিও আহানের দিকে ভালোবাসা নিয়ে তাকিয়ে ছিলো। গানের প্রতিটা লাইন যে আরোহিকে ডেডিকেট করা হচ্ছে সেটা আরোহি ভালোই বুঝতে পারছে।
.
to be continued………. ❤

স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-32
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
.
আহানের গান শেষে আরও তিনজন গান গাইলো (তাদের গান শুনে আমাদের কি? ?) তাদের গান শেষে মিতু আরোহিকে গান গাইতে বলে,, এখানে শুধু মিতু আর নিশাই জানে আরোহি গান গাইতে পারে। মিতু একবার রিকুয়েস্ট করাতে আরোহি রাজী হয়ে যায় এতে মিতু আর নিশা বেশ অবাক হয়। কারণ এর আগে আরোহির পায়ে পড়েও ওকে গান গাওয়ানো যায় নি! কিন্তু আজকে একবারেই রাজী!! স্ট্রেঞ্জ ?

আরোহি একটা গীটার নিয়ে বাজাতে শুরু করলো। গীটারে হালকা সুর তুলে গান গাওয়া শুরু করলো আরোহি,
চোখ মেলে দেখো দূরের আকাশে ,
অভিমানী মেঘ ভাবছে একা।
কান পেতে শোনো গাছের পাতারা ,
মুখ লুকিয়ে কাঁদছে একা।

ঘুম ভাঙা কোনো পথের বাঁকে ,
শেষ বিকেলের সূর্যটা ডাকে।

তোমার আমার এই প্রিয় শহরে ,
ভালোবাসারা কোথায় হারিয়ে ,
ফেলে আসা সব স্মৃতির আড়ালে,
গল্পগুলো আমাদের খুব চেনা।
..
আরোহি পুরো গানটা আহানের চোখে চোখ রেখে গাইলো। সবাই আরোহির গান শুনে অবাক। আরোহি তার মিষ্টি কণ্ঠে গান গাচ্ছে তাও আবার গীটার বাজিয়ে। আর আহান! সে তো সবচেয়ে বেশি অবাক । কারণ এই গানটা শুনেই আরোহি আহানের জন্য প্রথম ফিল করেছিলো। তার উপর আহানের দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে গাইছে। আহান অবাক না হয়ে পারছে না। আহান তো আজ প্রচন্ড খুশি কারণ সে আজ বুঝে গেছে আরোহি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে। আহান মনে মনে পণ করলো আর কখনও আরোহিকে কষ্ট দিবে না।

আরোহি গান শেষ করে আহানের দিকে তাকিয়েই একটা মিষ্টি হাসি দিলো। আগুনের লাল আভা যেন আরোহির হাসিটাকে আরও সুন্দর করে দিলো,,,,

গান শেষে সবাই সবার তাবুতে চলে গেলো, কারণ অনেক রাত হয়ে গেছে। কিন্তু আহান আর আরোহি একে অপরের সাথে কথা বলার জন্য উতলা হয়ে উঠেছে। কি আর করার দুজনেই অনেক কষ্টে নিজ নিজ তাবুতে রাতটা পার করলো
____________________
পরের দিন সকালে,
সবাই পাহাড় থেকে নেমে এলো,, পাহাড়ের নিচে বাজারে সবাই ব্রেকফাস্ট করছিলো। আহান ব্রেকফাস্ট শেষ করে দাঁড়িয়ে ফ্রেন্ডদের সাথে গল্প করছিলো আর আরোহিকে দেখছিলো। আর আরোহি মিতুর সাথে বসে খাচ্ছিলো আর আহানকে দেখছিলো । হঠাৎ মাহি আহানের কাছে গিয়ে কোনো কিছু নিয়ে কথা বলতে শুরু করলো, আর সেটা দেখে আরোহি তো রেগে একেবারে শেষ। আর অর্ণব? সে তো মাহিকে দেখলেই গুম হয়ে যাচ্ছে অরনির ভয়ে ?

আরোহিঃ (মনে মনে) নাহ এই মাহিটার জন্য অন্য একটা ক্রাশ খুজতে হবে, নয়তো এ আহানের পিছু ছাড়বেই না আর আহানকে ছাড়লে আবার অর্ণবের পিছু নিবে৷

আরোহি এদিক ওদিক তাকিয়ে মাহির জন্য ক্রাশ খুজতে লাগলো। হঠাৎ দেখলো মোটামুটি হ্যান্ডসাম একটা ছেলে একা দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছে। ছেলেটা আরোহিদের সাথেই এসেছে কিন্তু আরোহি তাকে সেভাবে চিনে না।

আরোহিঃ (মনে মনে) এর উপরে মাহিকে ক্রাশ করাই দিলে আমার আহান সেফ ?
আরোহি মাহিকে ডাকলো,,,
মাহিঃ হ্যাঁ বলো
আরোহিঃ আমার পেছনে ডানে যে ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে দেখ কি জোস না?? ?

মাহিঃ (ছেলেটাকে দেখেই) ?? হ্যাঁ, একে তো মনে হয় বাসে দেখেছিলাম, অন্নেক জোস দেখতে
আরোহিঃ (মাখন লাগিয়ে) তোমার সাথে না হেব্বি মানাবে,, আমার তো আহান আছে তাই একে তুমিই রাখো। আমার আহান না থাকলে আমি তো একেই পটাতাম
মাহিঃ ??? (মাহি এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে, ছেলেটা মাহিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে সরে গেল )
আরোহিঃ (মাহিকে ধাক্কা দিয়ে) এই কোথায় হারিয়ে গেলে?
মাহিঃ এবার তো মনে হয় আমি শুধু ক্রাশড না, একেবারে প্রেমে পড়ে গেছি
আরোহিঃ তো যাও,, পটিয়ে নাও
মাহিঃ (লজ্জা পেয়ে) হিহি

মাহি লজ্জা পেয়ে আরোহির কাছে থেকে সরে গেলো, আর মাহিকে আহানের থেকে দূরে সরাতে পেরে খুশিতে খেয়ালই করেনি ওর আশেপাশে কেউ আছে। আরোহি পাশে ফিরতেই দেখে আহান দাঁড়িয়ে,, শুধু দাঁড়িয়ে নয় রেগে দাঁড়িয়ে আছে,

আরোহিঃ কি হলো, লাল বানরের মতো ফেস বানায় রাখছো কেন?
আহানঃ কি যেন বলছিলে মাহিকে?
আরোহিঃ কি বললাম?
আহানঃ (আরোহির মতো হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে অভিনয় করে বললো) ওহ মাহি দেখ না ছেলেটা কি জোস! ? আহান আমার না হলে আমি একেই পটাতাম আরও কতো কি!???

আরোহিঃ (আহানের কথা আর ভঙ্গি দেখে এতো হাসি পাচ্ছে তবুও হাসি আটকে বললাম) ঠিকই তো, ছেলেটা বেশ হ্যান্ডসাম

আহানঃ কিহহহহ ??
আরোহিঃ (ভয় পেয়ে) ন..না আমি তো আসলে
আহানঃ আসলে কি? ?
আরোহিঃ (ঠোট ফুলিয়ে) ? মাহি আপনার সাথে এতো কথা বলছিলো তাই রেগে ওকে অন্য ছেলের উপর ক্রাশ করে দিছি,, এই জন্যই তো ঐ ছেলেটাকে দেখতে হলো আমার ?

আহানঃ ??? এভাবে কেউ ক্রাশ হয় নাকি?
আরোহিঃ (জোর দিয়ে) হয় তো ?
আহানঃ ওহ আমি তো অবাক হয়ে গেছিলাম ভাবছিলাম তুমি কীভাবে!
আরোহিঃ আমি কি?
আহানঃ আ..(আহান বলার আগেই পেছন থেকে)

তৌহিদঃ (চিল্লিয়ে) হাই জানু
আহানঃ ???
আরোহিঃ ? (হাসার চেষ্টা করব) হি হি হা..ই
তৌহিদঃ কি করছিস?
আরোহিঃ ( আহানকে আর একটু রাগাতে ইচ্ছা করছিলো কিন্তু আহানের রাগ দেখে আর ঝামেলা বাড়ালাম না। আহান আর তৌহিদের মাঝে দাঁড়িয়ে) সো মিস্টার আহান মিট মাই কাজিন তৌহিদ এন্ড তৌহিদ বানর মিট মাই হ্যান্ডসাম উডবি হাসবেন্ড আহান মাহমুদ ?
আহান তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, আর তৌহিদ বুঝলো অবশেষে ওদের মধ্যে সব সলভ হয়েছে ☺

তৌহিদঃ (হাত বাড়িয়ে দিয়ে) হাই, নাইস টু মিট ইউ
আহানঃ (হ্যান্ডসেক করে) হাই তৌহিদ, নাইস টু মিট ইউ টু
তৌহিদঃ আচ্ছা তোমরা টাইম স্পেন্ড করো, আমি বরং আসি (আরোহির দিকে তাকিয়ে) মনে হয় তোর জন্য একটা ভাবী পেয়েছি
আরোহিঃ ওহ আমার পিঠ পিছে আজকাল কতো কিছু হচ্ছে আমি জানতেও পারছি না ??
তৌহিদঃ কারণ তুই একটা ছাগল
আরোহিঃ কিহহহ! ? আর তুই হুতুম পেঁচা
তৌহিদ আর ঝগড়া না বাড়িয়ে আহানকে ইশারায় বেস্ট ওফ লাক বলে হেসে চলে গেলো

আহানঃ আমাকে এভাবে বোকা বানালে?
আরোহিঃ তুমিও তো আমাকে বোকা বানিয়েছিলে।
আহানঃ হুম, কিন্তু আমি তোমায় জাস্ট একবার শক দিয়েছিলাম কিন্তু তুমি তো আমায় দুইবার শক খাওয়ালে।
আরোহিঃ শক খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো ?
আহানঃ তাই না, পাজি
আহান আরোহিকে কাছে টেনে নিলো, আরোহির আঙুলের মধ্যে নিজের আঙুল ঢুকিয়ে বললো,, আই লাভ ইউ আরোহি, আই লাভ ইউ আ লট। প্লিজ কখনো আমার উপর রাগ হলে মারবে, বকবে কিন্তু প্লিজ ইগনোর করো না। খুব কষ্ট হয়।
আরোহিঃ (মৃদ্যু হেসে) আপনাকেও সেম উপদেশ দিলাম
আহান আরোহির কপালে কপাল লাগালো। একটুপর ছেড়ে,, আচ্ছা তাহলে আমাদের বিয়েটা কেন ভাঙলে?(আহান)
আরোহিঃ ভাঙিনি তো
আহানঃ (কপাল কুচকে) ? তাহলে ছোট মা যে আমাকে বললো
আরোহিঃ ওটা তো আমিই বলতে বলেছিলাম ??
আহানঃ ? আমার হার্ট এটাক হয়ে যেতো
আরোহিঃ আমি ছিলাম তো হসপিটালে নিয়ে যেতে
আহানঃ কিহহ!! তবে রে (বলেই আহান আরোহির পেছনে দৌড়াতে শুরু করলো আর আরোহি আহানের সামনে)

একটুপর আহান থেমে,, আচ্ছা চলো৷ সবাই মনে হয় আমাদের ছেড়ে চলেই গেলো৷ (আহান)
আরোহিঃ হুম চলো

দুইজন একসাথে সবার কাছে এলো, যেন একটু আগে কিছুই হয়নি,, সবাই মিলে একসাথে অন্যান্য জয়গায় অনেক ঘুরলো। আহান আরোহি একসাথে অনেক মজা করছিলো। আহান তো বার বার মুগ্ধ হয়ে আরোহির হাসি দেখছে,, আর আরোহির হাসি দেখতেই বার বার আরোহিকে মুগ্ধ করছে। কিন্তু নিহা আরোহিকে আহানের সাথে দেখে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।
.
to be continued……. ❤