#হৃদমাঝারে_তুমি_ছিলে❤
পর্ব ৪১+৪২
#কায়ানাত_আফরিন❤
বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে মানুষের শোরগোল অনেক। কিছুক্ষণ আগেই নুহাশ আর অর্পির বিয়ে সম্পন্ন হলো সুনিপুণভাবে। কবুল বলার অন্তিম মুহূর্তে অর্পির কন্ঠে যেন দলা পেকে আসছিলো। মাইশা জানে যে এই মেয়ে রীতিমতো ভয় পাচ্ছে। বিবাহ পর্ব শেষ হওয়ার পর সবাই ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে বর কনে নিয়ে বাকি অনুষ্ঠান পর্ব শেষ করার জন্য। ক্লান্তিতে তাই শরীর অবশ হয়ে আসছে মাইশা-পৃথা-আনান আর সামাদের। মাইশা , সামদ আর পৃথা একপাশে বসে আছে ক্লান্ত ভঙ্গিতে। আনান ওদের থেকে অনেকটা দূরেই বসে আছে একটু মানুষের গমাগম থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য।
–এক্সকিউজ মি ! আপনি কি এখানে একা বসে আছেন?
হঠাৎ একটা সুন্দরী মেয়ের কন্ঠে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত চোখ নিমিষেই খুলে ফেলল আনান। সামনে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মুখে অল্পবিস্তর হাসি। সামাদ-পৃথা-মাইশাও সেদিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে যে হচ্ছেটা কি। আনান কিছুটা হতভম্ব। মনে মনে ভাবছে,,,,,,”এইবার আল্লাহ বোধহয় ওরে সিঙ্গেল থেকে মিঙ্গেল করবে।”
কেননা ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে যে , দুনিয়ার বড় বড় সম্পর্কের সূচনা এই বিয়ে বাড়িতেই হয়েছিলো। আনান মেকি হেসে বললো,
–জ্বি একা বসে আছি। ইভেন আমিতো আজীবনই সিঙ্গেল………তো কিছু বলবেন মিস?”
মেয়েটির মুখের হাসি যেন আরও প্র্রশস্ত হয়ে ওঠলো।তারপর খুশিতে গদগদ হয়ে বললো,
–উফফফ ! ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে আপনার পাশের চেয়ারটা খালি তো ওটা আমার লাগবে। এ বিয়ে বাড়িতে যেই মানুষ, বসার জায়গা পাচ্ছি না। আমার হাজবেন্ড দাঁড়িয়ে আছে আমার জন্য। আমি তাহলে চেয়ারটা নিয়ে গেলাম ভাইয়া। আবার ধন্যবাদ!
আনানের মুখটা নিমিষেই অন্ধকার হয়ে গেলো। মেয়েটা চলে যেতেই ওপাশ থেকেহো হো হেসে ওঠলো সামাদ-পৃথা আর মাইশা। এসময় অর্পি হলে তো হাসতে হাসতে শাড়ি নিয়ে লুটোপুটি খেত। আনান মিহি কন্ঠে বললো,
–কি যুগ আইলো। এই পিচ্চি পিচ্চি মাইয়াগুলাও বিয়া সাইরা ফালায়। আর আমি এখনও একলা একলা ঘুরতাসি!!
কোথা থেকে আয়াত এসে ধপ করে বসলো মাইশার পাশে। গরমে উত্ত্যপ্ত হয়ে মুখটা কেমন যেন লাল হয়ে গিয়েছে। দুর্বল ভঙ্গিতে মাইশার কাধেঁ মাথা এলিয়ে দিলো তাই। পাশেই সামাদ আর পৃথা টাই মুখ টিপে হাসছে। মাইশা এবার দাঁতে দাঁত পিষে বললো,
–এইযে ! এভাবে কাধে মাথা দিয়ে শুয়ে আছো কেনো?
–তো কি করবো……….বেডরুমে তো আম্মু যেতে দিচ্ছেনা। পরে তো ভাবলাম এখানেই আমার শাড়ি পরিহিতা একটা সুন্দরী বেড আছে। সেখানেই নাহলে আমার রাজত্ব শুরু করি!
ঠোঁট চেপে মাইশা কোনোমতে নিজের অস্বস্তি নিবারণ করার ব্যর্থ প্রয়াস চালাচ্ছে। যদিও এখানে মানুষজনের নজর স্টেজে বসে থাকা বর আর কনের দিকে। তাই হয়ত কারও নজর এখানে খুব একটা পড়ছে না। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগালো আয়াত। নাহলে সবার সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করার মতো মানুষ আয়াত না। আর সামাদ-পৃথা-আনান ওরা তিনজনই তো ওদের নিজস্ব লোক। হঠাৎ শাওনও এখানে আসলো আয়াতের কাছে। কিন্ত আগে খাবারের তত্তাবধানের কাজে ছিলো বলে লম্বা সময় ওকে দেখা যায়নি। এসেই মুচকি হেসে আয়াতকে বললো,
–কি রে। কি করছিস এখানে?
–দেখস না যে তোর ভাবির সাথে কোয়ান্টিটি টাইম স্পেন্ড করছি?ভাবিরে সালাম দিয়া ফুট হ্!
আয়াতের কথা এবার সত্যি সত্যি লজ্জা পেয়ে গেলো মাইশা। মুখে ছড়িয়ে পড়েছে রক্তিম আভাস। শাওন সেদিকে পরোয়া না করে চেয়ারে শরীর এলিয়ে হো হো করে হেসে দিলো। যেন আয়াত মজার একটা কথা বলেছে। শাওনের এই হাসিটা সুন্দর। নিমিষেই আকর্ষণ করার ক্ষমতা আছে ছেলেটার মধ্যে। মজার ভঙ্গিতে তাই বললো,
–এমনে পাবলিক প্লেসে কোয়ান্টিটি টাইম স্পেন্ড করস শালা! তোদের জন্য এই রিসোর্টে কত ভালো ভালো বেডরুম আছে। দরকার পড়লে তোদের জন্য নুহাশ ভাইয়ের রুমটাও ছেড়ে দিতে পারি। কি বলো মাইশা?
মাইশা এবার পারছেনা এখান থেকে ছুটে পালিয়ে যেতে।আয়াতও মাইশার কাধে মুখ গুঁজে ঠোঁট চেপে হেসে চললো। যেন মেয়েটাকে এই অবস্থায় দেখে বেশ মজা নিচ্ছে। শাওন আবার বললো,
–যে জন্য এসেছি সেটা আগে বলে নেই। মাইশা! আঙ্কেল নাকি তোমার কাছে কিছু গিফট বক্স রেখেছিলো………এখন কনেপক্ষকে দেয়ার জন্য?
–হ্যাঁ। আমি ওটা স্টোররুমে রেখেছিলাম।
–আচ্ছা। আঙ্কেল তোমায় বলেছে সেগুলো এনে সেন্টারের সামনে রাখতে। পারবে?
–অবশ্যই পারবো।
বিরক্ত হলো আয়াত।চোখ মুখ কুচকে শাওনের উদ্দেশ্যে বললো,
–শালা তুই বন্ধু নামে কলঙ্ক!একটু শান্তিতেও থাকতে দিলিনা আমারে।
শাওন এমন ভাব করলো যে আয়াতের কথায় ওর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। মিহি কন্ঠে আবার বললো,
–তোকেও তোর মা ডেকেছে।
–উহ ! এই মহিলাতো নিজে জামাইয়ের সাথে প্রেম করসে এখন আমারটায় ভিলেন হয়ে আসছে………..
রাহেলা বেগমকে মিনিমিনয়ে কয়েকটা কথা বলতে বলতে উঠে দাঁড়ালো তাই। শাওন ইতিমধ্যে চলে গিয়েছে এখান থেকে।মাইশা চলে যেতেই ওর হাত চেপে নিজের একটু কাছে টানলো আয়াত। সন্ধ্যে হয়ে এসেছে ইতিমধ্যে। তাই লাইটিংয়ের ফিচেলো রংটা আয়াতের মুখে পড়তে এ যেন এক অবর্ণণীয় রূপ ধারন করলো।ঠোঁটে হয়তো একটু হাসি আছে তবে তা বোঝা মুশকিল।
মাইশা সরু কন্ঠে বললো,”কি হয়েছে?”
মাইশার বড় বড় চোখের দৃষ্টি আয়াতের গলার একটু নিচে। এর ওপরে চোখ তোলবার মতো দমটি যেন ওর নেই। মেয়েটা লজ্জা পাচ্ছে। লজ্জা পেলে ঘনঘন ঠোঁট কামড়ে ধরে মাইশা। এই জিনিসটা আয়াতের প্রত্যেকবার ঘোর লাগিয়ে দিলো পরমুহূর্তে নিজেকে সামলে নেয়। কিন্ত এমন অবস্থায় মাইশাকে অপূর্ব লাগে দেখতে।
আয়াত খানিকটা ঝুঁকে এলো মাইশার কানের কাছে। পকেটে সন্তর্পণে রাখা গোলাপটা কানে গুঁজে দিলো ধীরসুস্থে। আয়াতের শরীরের এক তীব্র ঘ্রাণ অনুভব করা যাচ্ছে তাই। আয়াতের ঘনঘন নিঃশ্বাসের শব্দ নৈশশব্দের মতো বাজছে বিরতিহীনভাবে। আড়ষ্ট কন্ঠে আয়াত এবার বললো,
–আমার মাইশুপাখির জন্য উপহার। অপেক্ষা করবো তোমার জন্য পেছনে দীঘির কাছে।
বলেই রাহেলা বেগমের কাছে নিঃশব্দে চলে গেলো আয়াত। ছেলেটার এসব ছোটখাটো আড়ষ্ট কথাবার্তা সীমাহীন পাগল করে তোলে মাইশাকে। আর বেশি কিছু ভাবলো না তাই। মুচকি হেসে আব্বুর কথামতো গিফট আনার জন্য তাই চলে গেলো স্টোররুমের দিকে।
__________________________________
দরজাটা খুলে লাইটটা জালালো মাইশা। এতগুলো বিয়েবাড়ির গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের মধ্যে ওই দুটো গিফট বক্স খুঁজতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ওর। আম্মুর কথা শুনে গিফটা বেডরুমে রাখলেই ভালো হতো বিষয়টি ভাবতে ভাবতে এদিক ওদিক জিনিসপত্র হাতলে খুঁজে চলছে গোলাপি রঙের প্যাকেটে মোড়ানো সেই গিফট বক্সটা। হঠাৎ ধপ করে দরজা লাগানোর শব্দে কালবিলম্ব না করে পেছনে ফিরলো সে।
মাসুদকে দেখেই বুকের ঢিপঢিপ শব্দটা ক্রমশ বেড়ে গিয়েছে মাইশার। নিঃশব্দে দরজার লক লাগিয়ে সে এগিয়ে আসছে উদ্ভ্রানতের মতো।মাইশা মনে মনে বললো…….এভাবে ভীত হলে চলবে না, এর আগেও এই ছেলেটাও ওর সাথে এরকম করার চেষ্টা করেছে। তাছাড়া ভীত হওয়ার মতো মেয়ে মাইশা না। তাই চেচিয়ে বলে ওঠলো,
–তুমি? তুমি এখানে কি করছো? আর দরজা লক করেছো কেনো? সরো বলছি?
মাসুদ হাসলো বিশ্রিভাবে। ঠোঁট কামড়ে মাইশার শরীর ওপর থেকে নিচে এমনভাবে পর্যবেক্ষণ করলো যেন এখনই কামনার আগুনে ওকে নিঃশেষ করে ফেলবে। ধিক্কার জানালো মাইশা তাই। নুহাশ ভাইয়া আগেই বলেছিলো এই ছেলে কখনোই ঠিক হবেনা। মাসুদকে ধাক্কা দিয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ওকে সজোরে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো মাইশাকে। যতই হোক………..একজন ছেলের শক্তির সাথে একটি মেয়ের পেরে ওঠা আসলেই বেশ দুঃসাধ্য। তবুও আপ্রাণ ছুটোছুটি করে চলছে মাইশা। মাসুদের এক হাত মাইশার দু হাত খামচে ধরে আছে আর অন্য হাত দিয়ে ওর মুখ চেপে ধরে আছে।
মাসুদের বলিষ্ঠ হাতের আক্রমণে চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে মাইশার। মাসুদের তবুও ছাড়ার নামগন্ধ নেই। ওর হাতে সময় কম আর এই অল্প সময়ের মধ্যেই কাজ সারতে হবে। মাইশার চুল টেনে এবার বললো,
–সেদিন তোর ভাই তোকে ছুঁতে না ছুঁতেই অনেক গরম দেখিয়েছিলো না ! আজ তো তোরে কুকুরের মতো খুবলে খুবলে খাবো। তখন দেখবে তোর ওই বাই*** ভাইয়ের দেমাগ কই যায়!
নিজের ভাইয়ের নামে এত অশ্রাব্য গালি শুনে মাইশার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।মাসুদ আবারও একটা বিদঘুটে হাসি দিয়ে মগ্ন হয়ে গেলো মাইশাতে। শরীরের বিভিন্ন আপত্তিকর স্থানে নিজের নোংরা হস্তের নোংরা ছোয়া ভরিয়ে দিয়ে অবিলম্বে। মাইশা চাতক পাখির মতো ছুটোছুটি করে চলছে তাই মাসুদ ওর কোমড়ের এক পাশ থেকে শাড়ি সরিয়ে খামচে ধরলো হিংস্র পশুর মতো। নিজের ঠোঁট দিয়ে আগ্রাসীভঙ্গিতে শরীরের সকল স্থানে পাগলের মতো শাসন করে চললো।
মাইশাকে এত ছুটোছুটি করতে দেখে মেঝেতে ফেলে দিলো সজোরে। ব্যথায় কুকিয়ে উঠেছে মেয়েটা। মাসুদের ওই নোংরা স্পর্শগুলো ও নিতে পারছে না । আজ তো ওর জন্য একটা বিশেষ দিন। ওর ভাইয়ের বিয়ে। সবাই কত আনন্দ করছে সেখানে।হুট করে আয়াতের কথাও মনে পড়লো ওর। আয়াত কি তবে দীঘির প্রান্তরে ওর জন্য অপেক্ষা করছে? অনুভব করতে পারছে মাইশার আগাম বিপদ সম্পর্কে?
সেও কি তাহলে ”ধর্ষিতা” উপাধি নিয়ে পৃথিবীর বুকে বাঁচবে? কিভাবে দাঁড়াবে তবে আয়াতের কাছে?
হুট করে দরজায় কঠোর শব্দ শোনা যেতে থাকলো ক্রমাগত। হ্যাঁ , কেউ দাঁড়িয়ে আছে বাইরে। গগণবিদীর্ণ কন্ঠে ডাকছে বারবার,,,,,,,,,”মাইশা!”
ভেতরে কোনো গন্ডগোল অনুভব করতে পেরে সজোরে এক ধাক্কায় দরজাটি ভেঙে ফেললো আগন্তুক। মাসুদ বিশ্রি হেসে সরে দাঁড়িয়েছে। আগের বার সেই কামনা না মিটাতে পারলেও এখন যা মিটিয়েছে এতে মাইশাকে কলঙ্কিত করার জন্য যথেষ্ট। আনান আর পৃথা দাঁড়িয়ে আছে বাইরে। ভেতরের এই দৃশ্য দেখে যেন হতবাক না হয়ে পারলো না। মাসুদ তাচ্ছিল্য স্বরে বললো,
–ওওও! তোমরাও আমাদের মতো এখানে মজা করতে আসছো নাকি? পরে মজা কইরো ভাই। আমরা দুইজন এখন কামলীলায় ব্যস্ত আছি…………
নিজেকে আর নিজের বোনের মতো কল্পনা করা পৃথাকে নিয়ে মাসুদের বিশ্রি কথাবার্তায় গায়ে আগুন ধরে গেলো আনানের। মাইশার অবস্থা দেখে যা বোঝার বুঝে নিয়েছে।কোনো কথা না বলে মাসুদকে ধরে ইচ্ছে মতো মারতে লাগলো আনান। চেচিয়ে বলে ওঠলো,
–কুত্তার বাচ্চা ! শালা ! তোরে আমি জবাই করমু। সাহস কি করে হইলো তোর ওরে ছোয়ার?
আনান এলোপাথারি মেরে চলছে মাসুদকে। নাক মুখ দিয়ে তাই মাসুদের ছিটকে রক্ত বের হয়ে যাচ্ছে কিন্ত মাসুদের চোখে মুখে উদ্ভ্রানতের হাসি। পৃথা জলদি শাড়ির আচল টেনে পেচিয়ে নিলো মাইশাকে। মেয়েটায় গলায়-হাতে-কোমড়ে কামড় আর আচরের বিশ্রি দাগ বসে গিয়েছে। আনান-পৃথা সময়মতো আসার কারনে মাসুদ মাইশার তেমন একটা ক্ষতি করতে পারিনি। দুর্বল ভঙ্গিতে পৃথার শরীরে নিজের শরীর ছেড়ে দিয়েছে মাইশা।এদিকে আনানের অবস্থা বেগতিক। মাইশাকে নিজের বন্ধু থেকে বেশি বোন মনে করেছে সে। আর নিজের চোখে এমন নির্মম পরিস্থিতির কথা স্মৃতিচারণ করলেই মারের গতি আরও বাড়িয়ে দেয় আনান। এবার ওকে না থামাতে পারলে সত্যিই পাগলটা উত্তম মধ্যম কিছু করে বসবে।
আনান মাসুদের নাকে আরেকটা ঘুষি মেরে বললো।
–লজ্জা করেনা নিজের চাচাতো বোনের বান্ধবীর সাথে এমন আচরণ করতে? নুহাশ ভাইয়ের থেকে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এমন কাজ করসোস না তুই? বা* করছোস। তোরে আজকে আমি মাইরা ফালমু হারামজাদা………
পৃথা এবার চেচিয়ে বলে ওঠলো.
–আনান মাইশার জ্ঞান আসতেছে না।
বিচলিত হয়ে মাসুদকে মেঝেতে ফেলে মাইশার কাছে আসলো তাই।ওর এমন দুরবস্থা দেখে চোখে পানি এসে পড়ছে আনানের। মাইশাকে কোলে তুলে নিয়ে বললো,
–জলদি ডাক্তাররে কল দে। আমি ওকে রুমে নিয়ে যাচ্ছি।আর……….আয়াত ভাইকেও কল দে।
আয়াতের নামটা উচ্চারণের সময় আনানের মনে তোলপাড় শুরু হয়েছিলো। বেচারা ,মাইশার এ অবস্থা মেনে নিতে পারবে তো?
.
.
.
.
#চলবে……….ইনশাল্লাহ