হৃদয়সিন্ধুর পাড়ে পর্ব-১২

0
3568

#হৃদয়সিন্ধুর_পাড়ে💕
পর্ব:১২ [থ্রিলার+রোম্যান্টিক]
#কায়ানাত_আফরিন
.
১৯.রাতের শেষ প্রহরে মৌনির গগণবিদীর্ন চিৎকারে রিদান তড়িঘড়ি করে মৌনিকে যে রুমে আটকে রাখা হয়েছিলো সেই রুমে চলে যায়। মৌনি অদ্ভুদভাবে ঘরের সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করে চলছে। বাহিরে চলছে প্রবল বজ্রপাত। এটাই স্বাভাবিক। বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি আর বজ্রপাত হলো প্রকৃতির মুখ্য বিষয়।কিন্ত মৌনি অনেকটা ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও পারছেনা। রিদানকে আসতে দেখে মৌনি অস্থির হয়ে বললো……..
—খবরদার! আমার কাছে আসবেন না। আমি আর ক-কোনো ইনজেকশন দেবো না।
,
রিদান বুঝতে পারলো যে মৌনি সেই রাতের ঘটনাটা এখনও ভুলতে পারেনি। তবে মৌনির এতটা অস্বাভাবিকতা দেখে রিদানের মনে সন্দেহ জাগে। বাবার কথা শুনে মৌনির স্মৃতি ভুলানোর জন্য একটা ডোজ দিয়েছিলো সে । কিন্ত মৌনির আচরণ দেখে মনে হচ্ছেনা যে এটি শুধু কোনো মেমোরি লসের ডোজ। এদিকে মৌনির শ্বাস ক্রমাগত ওঠানামা করছে। রিদানের প্রতিটা আঘাতের কথা মনে পড়লেই গায়ে কাটা দিয়ে ওঠে ওর। যতই হোক ! এই পাষাণ মানুষটার সংস্পর্শে কখনোই ও আসবে না।
রিদান তীক্ষ্ণ চোখে মৌনির দিকে তাকায়। এই মেয়েটাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে যেভাবেই হোক। যদিও এসব সাইকোলজির ব্যাপারে রিদানের ধারনা কম তবে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার মতো চমৎকার একটা ক্ষমতা আছে। শীতল কন্ঠে এবার সে মৌনিকে বললো………
—তুমি স্থির হয়ে বসো মৌনি।
রিদান এক পা এগিয়ে আসতেই মৌনি টেবিলের পাশ থেকে কাচের বোতলটা নিয়ে নেয়।চিৎকার করে ও বললো…….
—আমি একবার বলেছি না ; আমার কাছে আসবেন না। নইলে আমি কিন্ত আঘাত করতে বাধ্য হবো।
রিদানের চোয়ালে শক্ত হয়ে উঠেছে মৌনির কথা শুনে। কিন্ত রাগের বসে মৌনির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠাটা নিতান্ত বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে রিদান আবার বলে ওঠলো…….
—আমি কোনো ডোজ দিবো না মৌনি। So don’t be panic, stay clam..
.
—ন-না। আমি আপনাকে বিশ্বাস করি না। আপনি যাবেন কি না !
মৌনি রিদানকে আক্রমণ করতে গেলেই রিদান গান বের করে সাথে সাথে মৌনির ডান হাতে একটা শ্যুট করলো। রিদান শ্যুট করতে চায়নি। কিন্ত অনেকটা বাধ্য হয়েই করতে হয়েছে। মৌনি কোনোক্রমেই শান্ত হচ্ছিলো না। হাতে আঘাত পেয়ে মৌনি সাথে সাথে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে। ব্যাথায় সে ছটফট করে চলছে। রিদান নিস্তেজ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মৌনিকে এমনভাবে শ্যুট করেছে সে যাতে ওর জীবন-মরণ নিয়ে টানাটানি না করতে হয়। প্রায় বেশ কিছুক্ষণ অতিক্রম করার পর মৌনি চোখ বন্ধ করে ফেলে। হাত থেকে এতক্ষণ অনেক রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে।
রিদান সেদিকে পরোয়া না করে উচ্চস্বরে কাউকে ডাকতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
.
—মৃধা ! তাড়াতাড়ি আয়।
বেশ কিছুক্ষণ পরে ধীরগতিতে একটি মেয়ে ঘরে প্রবেশ করল রুমটিতে। পড়নে নীল গড়নের একটি কুর্তি। গায়ে পাতলা একটি ওড়না জড়ানো। কালো মসৃন চুলগুলো কাটা ব্যান্ড দিয়ে আটকে রাখলেও অবাধ্য কিছু চুল মেয়েটার শ্যামলা গড়নের মুখের ওপর আছড়ে পড়ছে। মায়াবী চোখদুটো লুকিয়ে আছে চশমার পেছনে। মেয়েটি ইতস্তত করে বললো…….
—কি হয়েছে দাভাই !
—মেয়েটাকে ঠিকমতো খাটে শুয়িয়ে হাতে ব্যান্ডেজ করে দে।
মৃধা মৌনির দিকে তাকাতেই একপ্রকার আতঁকে ওঠে। হাত দিয়ে অনেক রক্ত গড়িয়ে পড়েছে। চুলগুলো এলোমেলো অবস্থায় মুখের ওপর পড়ে থাকার কারনে স্পষ্ট কিছু বোঝা যাচ্ছে না। এই মেয়েটার জন্য ওর বেশ মায়া হলেও রিদানের মুখের ওপর কথা বলার সাহস মৃধার নেই।
—দ-দাভাই !ম-মেয়েটার এ অবস্থা কেনো?
—ওর হাতে আমি শুট করেছি তাই। এত বেশি কথার তো আমি প্রয়োজন দেখছি না। তোকে যেই জন্য আনা হয়েছে সেই কাজটাই ঠিকমতো কর্। আমি গেলাম।
.
মৃধা কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকলো রিদানের দিকে। রিদান ওর মামাতো ভাই হলেও মৃধার মনে হয়না এই পৃথিবীতে রিদানের মতো এত হৃদয়হীন মানুষ ও দেখেছে কি-না।একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মৃধা মেয়েটার দিকে এগোয়। মেয়েটার গালে থাপ্পড়ের দাগ আর নাকে শুকনো রক্ত জমে থাকতে দেখে মৃধার বুঝতে বাকি রইলো না যে এই আঘাতগুলো রিদানই দিয়েছে। মৃধা নমনীয় কন্ঠে বললো…….
—আমি যদি পারতাম না আপু , আমি নিজে তোমাকে এই নরক থেকে পালাতে সাহায্য করতাম। কিন্ত আমার সেই ক্ষমতাটি নেই।
.
.
———————-
বাইরে বজ্রপাতের পরিমাণ কিছুটা কমে গিয়ে এখন শুরু হয়েছে টিমটিমে বৃষ্টি। আধার-আলোর খেলায় চট্টগ্রামের এই পরিবেশটা যেন সতেজ হয়ে ওঠেছে। হ্যাঁ। রিদান মৌনিকে নিয়ে চট্টগ্রামেই আছে। আজ বিকেলেই ঢাকা যাওয়ার কথা ছিলো কিন্ত বিশেষ একটা কারনে এখনও সে যায়নি। মাথায় রিদানের শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে মৌনির অস্বাভাবিক সেই কাজকর্মগুলো। হঠাৎ ফোনের রিং বেজে ওঠতেই রিদানের ধ্যান ভাঙ্গে। এত রাতে আননোন নাম্বার স্ক্রিনে ভেসে ওঠতে দেখে মনে জেগে উঠলো প্রবল সন্দেহ। কলটা সাথে সাথেই রিদান রিসিভ করে । অপরপাশে কোনো সাড়াশব্দ নেই।
—হ্যালো? কে ?
—মৌনির আপন কেউ !
ভ্রু কুচকে ফেলে রিদান। আগন্তুকের কাছে মৌনি নামটি শুনে সন্দেহ যেন ধাপে ধাপে বেড়ে উঠেছে।জিভটা হালকা ভিজয়ে রিদান বললো…….
—কে মৌনি? আমি কোনো মৌনিকে চিনি না।
অপরপাশে থাকা ব্যাক্তিটি সশব্দে হেসে ওঠলো। ব্যঙ্গ সুরে বলে…..
—ওহ। কাম অন মিঃ রিদান শেখ ! আপনাকে তো অনেক প্রখর বুদ্ধির মনে করতাম। তবে অপরাধের ভীড়ে আপনার চতুরতাটা মনে হয় হারিয়ে যাচ্ছে। আমি যেহেতু মৌনির নাম বললাম তাহলে তো আপনার বুঝে নেয়ার কথা যে আপনাদের সব কালোকাজের কথা আমার জানা।
—মানে?
—মানে হলো এটা যে…………….আপনারা কিভাবে জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন ওটার প্রুফ মৌনির কাছে না আমার কাছে। আর ওই প্রুফের 50% যেটা প্রফেসর এনায়েতউল্লাহকে পাঠানো হয়েছিলো সেটা আমরা চক্রান্ত করে আপনার বাবার স্টকের পেনড্রাইভের সাথে অদল-বদল করে প্রুফের পেনড্রাইভটা রেখেছি। ভাবতে পারছেন ব্যপারটা কত ভয়ঙ্কর !
আপনার বাবা যখন প্রেস মিডিয়ার সামনে স্টকের ডেটাবেজের বদলে আপনাদের কালো কাজের ভিডিওগুলো অজান্তে দেখিয়ে যাবে আপনাদের লাইফ তো শেষ।
.
চোয়ালে শক্ত হয়ে গিয়েছে রিদানের। চিৎকার করে বলে ওঠলো……..
—কে তুমি? এসব করে লাভটা কি হবে?
—আমার লাভের কথা বাদ দেন ; আগে আপনার ক্ষতির কথা চিন্তা করুন মিঃ।
—আমার হাতে তুমি যদি এট এনি চান্স পড়ো ; একেবারে শেষ করে ফেলবো।
—আমাকে ধরলেও শেষ করার মতো ক্ষমতা আপনার নেই। আগে নিজেকে বাঁচান।
আর হ্যাঁ। এখন আপনার বাবা মিঃ জহির শেখকে হাজার কল দিলেও কিছু হবে না। আগেই জানিয়ে দিলাম। যান যান , তাড়াতাড়ি ঢাকায় গিয়ে তাকে তথ্য ফাঁস করা থেকে আটকান

রিদান বিতৃষ্ণার স্বরে বললো………
—You’re totally crazy man ! নিজেই আমাদের বিপদে ফেললে আবার নিজেই সতর্ক বার্তা দিলে। পাগলা গারদ থেকে পালিয়ে আসছো তুমি?
অপরপাশে আগন্তুকটি আবারও হেসে দিলো। রিদানের কাছে ওই ব্যক্তিটাকে বেশ খাপছাড়া টাইপ মনে হচ্ছে।
—আমি পাগল কিনা জানিনা তবে আপনাদের সবাইকেই পাগল করে ছাড়বো মিঃ রিদান শেখ ।
অপরপাশ থেকে টুট করে ফোন কেটে যায়। রিদান এবার কি করবে বুঝতে পারছে না। ঢাকায় ওর বাবা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা গার্ডের সাথে কন্ট্যাক করার চেষ্টা করলো কিন্ত ফলাফল শুণ্য। যতদ্রুত সম্ভব ঢাকায় যেতে হবে তবে তার আগে এই অপরিচিত ছেলেটার খোঁজ নেওয়ার জন্য লোক লাগিয়ে দিলো সে। আগামীকালের মধ্যেই একে ধরতে হবে।
.
.
.
২০.
চেয়ারে পায়ের ওপর পা তোলে নিভ্র বসে আছে। এদিকে যেই লোকগুলো নিভ্রকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এসেছিলো সবগুলোর অবস্থা খারাপ। একটা লোকের ফোন অনবরত বেজই চলছে এটা দেখে নিভ্র বাকা হেসে ফোনটা তুললো। তখনই ঝাঁঝালো কন্ঠে অপরপাশে কেউ বললো……
—কি-রে ! গতরাতে আমায় ফোন করা ওই ছেলেটারে ধরতে পেরেছিস? শেষ করে দিবি ওকে।
—হ্যাঁ। ধরতে পেরেছে। তবে আমায় শেষ করার মতো অবস্থা ওদের একটারও নেই। সবক’টায় মাটিতে চিৎ হয়ে আছে।
থমকে গেলো রিদান। কন্ঠটা ওর লোকের না। তবে কি ওই ছেলেটা……….?
—কি করছো ওদের সাথে?
রিদান ঠান্ডা কন্ঠে নিভ্রকে বললো। যদিও নিভ্রর পরিচয় এখনও রিদান জানেনা।
—ট্রাস্ট মি মিঃ রিদান ! একটার গায়েও আমি আঁচড় দেইনি। ওরা নিজেই নিজেকে আঘাত করেছে।
—What rubbish !
নিভ্র এবার হেসে ওঠে। অনেক হয়েছে খেলা এবার সব সত্য উদঘাটন করতে হবে।
—Well done মিঃরিদান শেখ ! আপনার বোকামির জন্যই মৌনিকে আপনি আবার হারাতে চলছেন। আপনার কি মনে হয় আপনি আমার লোকেশন ট্রেস করে লোক দিয়ে আমায় কিডন্যাপ করিয়েছেন?মোটেও না। বরং আমি নিজেই কিডন্যাপ হয়েছি।
.
রিদান অবাক হয়ে যায়।
—মানে?
—গতরাতে আমি মিথ্যা বলেছিলাম আপনাকে ঢাকায় পাঠানোর জন্য। আর আমি জানি যে এত সহজে আপনি আমায় ছাড়বেন না। তাই আমায় ধরার জন্য আপনি লোক লাগিয়ে দিয়েছিলেন আর ৮ ঘন্টার মধ্যেই আমি আপনার কবলে। আর আপনার লোকদের প্রত্যেককে আমি হিপনোটাইজড করে অজ্ঞান করে দিয়েছি। So মৌনিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার রাস্তা ফাঁকা।
.
ছেলেটার প্রত্যেকটা কথা শুনে রিদান হকচকিয়ে যায়। ছেলেটাযে এত চতুর একটা পরিকল্পনা করে বসবে রিদান তা আন্দাজও করতে পারেনি। মৌনিকে চট্টগ্রামে গার্ডের আন্ডারে ফেলে আসার কাজটাই অনেক বড় ভুল ছিলো।
.
.
———————————–
মৌনির শরীর খুব দুর্বল । কিন্ত দুর্বল চোখে সে নিভ্রর অবয়ব আবছাভাবে দেখতে পেরেই একটু অবাক হয়ে যায়। সে-কি তবে স্বপ্ন দেখছে। তাই বারবার চোখ বন্ধ করলো আরখুললো মৌনি। কিন্ত না ; নিভ্রর অবয়বই সে বারবারই দেখে। তবে কি নিভ্র এসে পড়েছে। মৌনি পিটপিট করে চোখ খুললো…….
নিভ্রকে দেখতেই অস্পষ্টস্বরে মৌনি বললো……………
—নিভ্র।
.
নিভ্র নির্লিপ্তভাবে মৌনিকে বুকে জরিয়ে রেখেছে। অপরপাশেই মিষ্টি হাসি দিয়ে দাঁড়ানো মৃধা। নিভ্র চোখের ইশারায় মৃধাকে ধন্যবাদ জানায়।মৌনিকে ফিরে পেতে মৃধাও একটা বড় অবদান রেখেছে। মৃধা এবার বললো……….
—ডঃ নিভ্র । আপুকে নিয়ে এখান থেকে চলে যান দ্রুত।এখানকার সবকিছু আমি ব্যবস্থা করবো।
নিভ্র তাই তড়িঘড়ি করে মৌনিকে কোলে তুলে দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এখন যতদ্রুত সম্ভব আগে চট্টগ্রাম ছাড়তে হবে। বাড়ির বাইরেই কালো জীপ নিয়ে নিভ্রর বন্ধুরা দাঁড়ানো। সোহান খুশিতে উৎফুল্ল হয়ে বলে ওঠরো………
—আলহামদুলিল্লাহ ! মৌনি তাহলে ফিরে এসেছে।
—মানতে হবে নিভ্র ! তোর এই চতুর খেলায় রিদানও ফেসে গেলো।(তুর্য)
—এখন কোথায় যাবি?(নিশু)
—একটা বাসে উঠবো।
—বাসে উঠিস না। রিদান ওদের লোকদের আগে বাস বা ট্রেন চেক করতেই পাঠাবে? (লিজা)
—ঠিক বলেছিস । কিন্ত……..
—ট্রাকে যেতে পারবি?
তুর্যর দিকে সবাই এবার তাকায়।
—এখন মোটামুটি সন্ধ্যা। তাছাড়া রাতে কোনো মালবাহী ট্রাকে চড়ে বসলে কিছুই হবে না। চলবে তো?
তুর্যর কথাটি সবারই ভালো লাগলো। এদিকে মৌনি অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। নিশু মৌনির এ অবস্থা দেখে বললো………
—এখন জীপ নিয়ে অন্যদিকে যাই। মৌনির অবস্থা ভালো না-রে নিভ্র।
নিভ্র মলিন চোখে মৌনির দিকে তাকায়। গোটা দুদিনে মেয়েটার ওপর যে অনেক ধকল গিয়েছে তা চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ভালোবাসা অনুভূতিটাই অন্যরকম। যত দুঃসাহসী কাজ করতে প্রয়োজন হয় সবই মানুষ করে। মৌনিকে আবারও স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসবে নিভ্র ; এই পণটা নিভ্র মনে স্থির করে রাখলো।
.
.
.
.
~চলবে~