হৃদয়েশ্বরী পর্ব-০৪

0
785

#হৃদয়েশ্বরী
#লেখনীতে-সাদিয়া মেহরুজ দোলা
#পর্ব__০৪

মীরা কিয়ৎ শান্ত হয়। প্রথমেই অযথা নেতিবাচক চিন্তা করার থেকে ইতিবাচক চিন্তা করাই উত্তম। এমনও তো হতে পারে উশান পোশাক পরিবর্তন করতে চাচ্ছে? মীরা ধাতস্থ হয়। জোড়াল শ্বাস ফেলে বলে,

‘ উশান ভাই? আপনার কি লজ্জা বলতে কিছুই নেই?এভাবে একটা মেয়ের সামনে ড্রেস চেঞ্জ করছেন! ‘

মীরার কথা শ্রবণ করার পর উশান দাঁত কিড়মিড় করে তাকায়। মীরা স্বাভাবিক। যেনো কিছুই আসে যায় না তার এরূপ চাহনিতে। কিন্তু গহীনে সে একটু নড়বড়ে বটে। উশান ধমকে বলে উঠলো,

‘ ষ্টুপিড গার্ল! আমি ড্রেস চেঞ্জ করছি তোকে কে বলল? জাস্ট গরম লাগছে বলে শার্টের টপ দু’টো বোতাম খুলছিলাম। দ্যাট’স ইট! সবসময় ১ লাইন বেশি না বুঝলে হয় না তোর?’

মীরা ইতস্তত বোধ করে। তবে তা নিভৃতেই। বহির্ভাগে সে তার আগের কাঠিনত্য বজায় রেখে বলল,

‘এখানে আমার বিন্দুমাত্র দোষ নেই বুঝলেন?অযথা পকপক করবেন না একদম। আপনি শার্টের বোতাম শুরু থেকে যেভাবে খুলছিলেন তাতে স্পষ্টত মনে হয়েছে আপনি পুরো শার্টটাই খুলে ফেলবেন। ‘

উশান জবাবহীন। মাথা ধরেছে তার। মীরার সাথে এই লহমায় কথা বলাই মানে ‘ ঝগড়ার ‘ উৎপত্তি। সে আপাতত ঝগড়া করতে ইচ্ছুক নয়। ডাবল সোফায় পা মেলে টানটান হয়ে শুয়ে পড়লো সে। ললাটের ওপর একহাত রেখে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,

‘ আমার লাগেজের বাম সাইডে থাকা সাদা ব্যাগে কিছু খাবার আছে। খুদা লাগলে খেয়ে নিস। আমার ভালো লাগছেনা। আমি একটু ঘুমাবো। ‘

মীরা নিজের দিকে দৃষ্টিপাত ফেলে। পোশাকে তার বেশ ধুলোবালি জরীয়ে আছে। হাত দিয়ে ঝেড়ে ফেলেও কাজ হলো না। তপ্তশ্বাস ফেলে আধ ঘুমে থাকা উশানের মুখোশ্রীর প্রতি তাকিয়ে সে ইতস্তত গলায় বলল,

‘ আমি সাওয়ার নিবো উশান ভাই। জামাকাপড়ে ভীষণ ধুলোবালি লেগে আছে। ‘

উশান কাত হয়ে উল্টোপিঠ ফিরে প্রতুত্তরে বলে,

‘ সোজা গিয়ে ডান দিকে একটা রুম আছে। ঐ রুমেই ওয়াশরুম। ওখান থেকে ফ্রেশ হতে পারবি। ‘

‘ আচ্ছা। ‘

মীরা উঠে দাঁড়ায়। শরীর চুলকাচ্ছে ইতিমধ্যে। সে ধুলোবালি, নোংরা কিছু সহ্য করতে পারেনা।মীরা একটু শুচিবাই ধরনের। নিজের ব্যাগ থেকে এক সেট কাপড় নিয়ে উশানের বলা ওয়াশরুমের দিকে এগোয় চটজলদি মীরা।

সবেমাত্র গাঢ় ঘুমে তলিয়ে যাচ্ছিলো উশান। হটাৎ চোখমুখে পানি পড়ায় বিরক্তি নিয়ে নেত্র যুগল উন্মুক্ত করে সে। সামনে তাকাতেই দৃশ্যমান হয় মীরাকে। মীরা তোয়ালে দিয়ে চুল ঝাড়ছে। তারই পানি এসে পড়ছে উশানের মুখোশ্রীর ওপর। বাহির থেকে আসা হলদেটে সূর্য রশ্মি বিরাজমান মীরার মুখোশ্রীতে। হলদেটে পোশাক পরিহিত শ্যামবতী নারীকে উশানের এ লহমায় মনে হলো তার সামনে দাড়িয়ে এক হলুদ রাণী। নেত্রপল্লব ঘন ঘন ফেলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে উশান। গলা ঝেড়ে শক্ত কন্ঠে বলে,

‘ মীরা তোর কি আক্কেল জ্ঞান কখনো হবেনা? দেখছিস আমি ঘুমাচ্ছি আর তোর এখানে এসেই চুল মুছতে হলো? ‘

মীরা বিরক্তি নিয়ে থামে। সবকিছুতে ঝামেলা, বাঁধা!ফোনে আসা ম্যাসেজের শব্দ কর্ণপাত হতে মীরা সেদিকটায় দৃষ্টিপাত ফেলে। তার রুমমেট রুহির ম্যাসেজ। রুহি এসে গেছে তাই তাকে রুমে ফিরে আসতে বলছে। স্বস্তির শ্বাস ফেলে মীরা। উশানের পানে দৃষ্টি দিয়ে বলে,

‘ আমার রুমমেট এসে গিয়েছে। চলে যাচ্ছি আমি। ‘

উশান ভাবলেশহীন ভাবে উত্তর দেয়, ‘ বিদেয় হ জলদি। ‘

মীরা ঠোঁট বাকায়। হুহ্! ভাব কতো! আসবোই না আর এই লোকের বাসায়। তার আশপাশে। থাকুক সে তার মতো। স্বগতোক্তি করে বেড়িয়ে আসে দ্রুত ফ্লাট থেকে মীরা। উশান ঠিক তখনিই আঁখি জোড়া উন্মুক্ত করে তাকায় সেদিকে। এবার শান্তিতে ঘুমোতে পারবে ভাবতেই প্রশান্তি মিলছে। অনায়াসে চোখ দু’টো বন্ধ করে নিলো সে।

_______________________

মাঘ মাসের অদ্ভুত এক শেষ বিকেলের প্রহর। মীরা তখন ভার্সিটির ক্লাস শেষ করে রাস্তা ধরে হাঁটছে। শীতকাল হওয়া সত্বেও ঘামছে সে প্রচুর। বিকেলের শেষাংশ অথচ রোদের তান্ডব এখনো কতো! হাঁটতে হাটতে সে কার্জন হলের সামনে আসে। তখনি দেখা মিলে উশানের। অদূরে এক নির্জন স্থানে উশান দু’জন ছেলেকে বেধড়ক পেটাচ্ছে। ঘাবড়ে গিয়ে সামনে আগাতেই ছেলেগুলোকে চিনে ফেলে মীরা। ট্রেন স্টেশনে যেই ছেলেগুলো তার দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো এরা হচ্ছে সেই ছেলেগুলোর মধ্যের দু’জন।

মীরা দৌড়ে উশানের নিকট গিয়ে উদ্বেগ নিয়ে বলো,

‘ উশান ভাই! থামুন। মারছেন কেনো এদের এভাবে?’

উশান থামে। মীরা উশানের মুখোশ্রীর পানে তাকিয়ে আঁতকে উঠে। লালচে রঙে মিশে আছে মুখোশ্রী। চোখদুটোতে যেনো হিংস্রতা কেও এটেঁ দিয়েছে। ঘন ঘন শ্বাস নিয়ে দু’কদম পিছিয়ে আসে উশান। ছেলেগুলোর কাচুমাচু, আহত হওয়া চেহারায় কড়া দৃষ্টি ফেলে বলে,

‘ নেক্সট যেনে এসব আকাম-কুকাম করতে না দেখি, বুঝেছিস? ‘

উপস্থিত আহত ছেলে দুটো মাথা নাড়ে। যাওয়ার অনুরোধে উশান সায় জানানোর পরপরই এক- একজন উঠে পড়ে দৌড় লাগায়। লহমায় তারা উধাও। ধু ধু শূন্য রাস্তা। মীরা বিষ্মিত কন্ঠে বলল,

‘ মারলেন কেনো ওদের এভাবে?কি করেছে? ‘

উশান নিজের পোশাকের সাথে লাগোয়া ধুলোবালি ঝেড়ে ফেলে। আশপাশে তাকিয়ে শেষে তীক্ষ্ণ চোখে তাকায় মীরার মুখোশ্রীর প্রতি। থমথমে কন্ঠে বলে,

‘ আজ কলেজের কিছু মেয়েকে ডিস্টার্ব করছিলো এরা। এদের শায়েস্তা না করলে মানুষ হবেনা। তাই মেরেছি। ‘

‘ তাই বলে এখানে? কার্জন হলের এই পাশে কেও আপনাকে মারামারি করতে দেখলে নিশ্চিত জেলে পুরে দিতো। ‘

‘ ডাফার একটা। এটা কার্জন হলের বেশ দূরে আশেপাশে তাকিয়ে দেখ। তাছাড়া আমার মারপিট করার যুক্তি শুনলে পুলিশরা আমায় সম্মান করতো। বিমানবাহিনীর একজন অফিসার আমি। এতো সহজ নাকি আমায় এরেস্ট করা?’
ভাব নিয়ে বলল কিছুটা উশান।

মীরা নিরুত্তর রইল। হাঁটা ধরেছে সে ইতিমধ্যে। আস্তে আস্তে হাঁটতেই সেই ব্যাক্তি এসে মীরার পাশে দাঁড়ায়। তাল মিলিয়ে হাঁটছে সে মীরার সঙ্গে। আঁড়চোখে একবার মীরাকে পরখ করে সামনে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। মীরা হটাৎ সন্দিহান গলায় বলল,

‘ নিজের কর্মস্থল ছেড়ে এখানে কি করছিলেন আপনি?’

‘ আজ তেমন কাজের প্রেসার ছিলোনা। ফিরেই আসছিলাম৷ আসার পথে এই দৃশ্য চোখে পড়লো তাই আর সামনে আগাইনি।

মীরা ছোট্ট করে বলে, ‘ অহ! ‘

অতঃপর নিস্তব্ধতা! দু’দিক দিয়ে ঘোর মৌনতা পালন চলছে। আঁড়চোখে এক পলক দেখছে উশান মীরাকে। তারপর সঙ্গে সঙ্গেই দৃষ্টিপাত অন্যত্রে ফেলছে। তার চাহনি বারবার কেনো এই শ্যামবতী নারীতেই গিয়ে নিবদ্ধ হচ্ছে তা বুঝতে পারলো না উশান।

কার্জন হলের থেকে কিছু দূরে যেতেই মীরার নেত্র সম্মুখে দৃশ্যমান হয় কানের দুলের স্টল। হৃষ্টচিত্তে সেদিকে ছুটে যায় সে। উশান ফোনে ব্যাস্ত ছিলো। হুট করে মীরাকে ছুটতে দেখে সে ভড়কে নিজেও ছুটে মীরার পেছনে। মীরা দুলের স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে উল্লাসিত মনে দুলগুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছে।উশান এসে তার পাশে দাঁড়িয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,

‘ দৌড়ালি কেনো মীরা? কি সমস্যা? ‘

মীরা হটাৎ নিজের শক্তপোক্ত খোলস খুলে বাচ্চাটে ভাব ধরে বলল,

‘ দেখুন! কতো সুন্দর না দুল গুলো? এগুলো দেখেই দৌড় দিয়েছি। ‘

মীরার গমগম সুর। উশান হতাশ দৃষ্টিতে তাকায়। মেয়েটা বড় হলো না। মীরা দুলের প্রতি দুর্বল বেশ তা আগে থেকেই জানতো উশান। প্রমাণ পেয়েছে হাতেনাতে। উশান নিরস কন্ঠে বলল,

‘ নিতে চাচ্ছিস?তাহলে চটপট চুজ করে কিনে ফ্যাল! আমার সাথেই বাসায় চল। ‘

মীরা ঠোঁট বাঁকিয়ে বলে, ‘ আমায় বাসায় ড্রপ করার কি দরকার? আমি একাই চলাফেরা করতে পারি। একাই বাসায় যাচ্ছি আমি। ‘

উশান রোষানল কন্ঠে প্রতিত্তুর করে, ‘ আমি জানি একা চলাফেরা করতে পারিস তুই। কিন্তু এখন, আশপাশ দেখ! নির্জন হয়ে গিয়েছে অলরেডি চারপাশ। এখান থেকে একা যাওয়ার দরকার নেই।’

নিরুত্তর রইল মীরা। অন্য সময় হলে সে তর্কে জরাতো। কিন্তু আশপাশের অবস্থা দেখে তার ভয় লাগছে কিছুটা। সাঝবেলা নেমেছে মেদিনীতে। আঁধার, আলোর সংমিশ্রণ চলছে। কিয়ংদশ বাদেই ঘোর অন্ধকারের রাজত্ব শুরু হবে প্রকৃতিতে। মীরা মৌনতা বজায় রেখে কিছু দুলে হাত বুলালো। সবই ভালো লাগছে তার। এতগুলো তো আর নিতে পারবে না। টাকা নেই। মাসের মধ্যাংশ চলছে। টিউশনির টাকাও পাবেনা এখন। শেষে ১টা দুল বাছাই করে টাকা মিটিয়ে দিয়ে উশানের মুখোশ্রীর প্রতি দৃষ্টি ফেলে তাকে উদ্দেশ্য করে বলল,

‘ আসুন! হয়ে গিয়েছে কেনা। ‘

লম্বা কদম ফেলে পদ যুগল সামনে বাড়ায় মীরা।উশান তখন তার পাশে নেই।মীরা আনমনে হাঁটছে তাই তার খেয়ালও নেই উশান কোথায়? তার পাশে আছে কিনা নেই! রোড ধরে ফুটপাতে উঠতেই মীরা গিয়ে দাঁড়ালো পাশে। পিছন তাকিয়ে দেখলো উশান দৌড়ে আসছে। মীরা ললাটে সুক্ষ্ম ভাজ ফেলে। আজ এই লোক এতো দৌড়াদৌড়ি করছে কেনো?উশান মীরার পাশে দাঁড়িয়ে ধমকের সুরে বলে,

‘ কখন থেকে দাঁড়াতে বলছি শুনিসনি কেনো?’

মীরা অপ্রসন্ন কন্ঠে বলল, ‘ খেয়াল করিনি। আমি তো ভাবছিলাম আপনি আমার সাথেই হাঁটছেন। ‘

উশান কড়া দৃষ্টিপাত ফেললো। মীরা তা দেখে অন্য দিকে তাকায়। এভাবে তাকানোর কি আছে?অদ্ভুত! উশান তার বাইকে গিয়ে বসলো। হাতে থাকা পলিথিনের ব্যাগটি সে ধরিয়ে দিলো মীরার হাতে। মীরা বিষ্ময়কর চাহনি দিলো। হাতের ব্যাগটার দিকে তাকিয়ে কৌতূহল নিয়ে প্রশ্ন করলো,

‘ ব্যাগে কি আছে?’

উশান মাথায় হেলমেট পড়তে পড়তে জবাব দেয়,

‘ খুলে দেখ! ‘

ব্যাগের মুখ উন্মুক্ত করে মীরা। সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হয় বেশ কয়েক জোড়া কানের দুল। দুলগুলো দেখে চমকায় মীরা। এই দুলগুলো তার ভীষণ পছন্দ হয়েছিলো। কিন্তু দাম বেশ চওড়া ছিলো। তাই আর নেয়া হয়নি। শুধু হাত দিয়ে স্পর্শ করে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলেছিলো সে। তার স্পর্শ করা সেই দুল গুলোই ব্যাগে ঠাই পেয়ে অবিন্যস্ত রূপে জায়গা দখল করে আছে। মাথা তুলে সে। কন্ঠে বিস্মিত ভাব টেনে বলে,

‘ এগুলো এনেছেন কেনো? আর আমাকেই বা দিলেন কেনো?’

উশান ভীষণ বিরক্তি নিয়ে তাকালো বোধহয়। মেয়েটা এতো বেকুব কেনো?বুঝতে পারেনা সে। সাধারণ এক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। নিজেকে ধাতস্থ করে সে বলল,

‘ দুল গুলো আমি কিনেছি। তোর জন্য নয়! দোকানের বিক্রেতা অনেক বুড়ো ছিলো। আর এই দুলগুলোই অবশ্যিষ্ট ছিলো। তাই কিনে নিয়ে এসেছি যাতে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে পারে। ওগুলো থাকলে তো আরো অনেকক্ষণ বসে থাকতে হবে আর ঠান্ডাও পড়েছে অনেক। অসুস্থ হয়ে পড়তো। আর রইল এগুলো তোকে দেয়ার বিষয়টা। দ্যাখ মীরা! আমি মেয়ে নই ছেলে। দুল দিয়ে করবো টা কি?তাই তোকে দিয়ে দিয়েছি। ক্লিয়ার?জলদি পিছনে বস। ‘

মীরা আহাম্মকের ন্যায় তাকালো। দোকানি তো বুড়ো ছিলো না। তরুণ এক যুবতী ছিলো। মীরা তাকায় সেই স্টলের দিকে। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে সেখানে এক বয়স্ক মহিলা বসা।মীরা শ্রান্ত পায়ে এগোল। সবকিছু কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে। এদিকে উশানের সাথে বাইকে বসা নিয়েও তার অস্বস্তি কাজ করছে তুমুল। মীরা উঠে বসতেই উশান ভারী কন্ঠে বলল,

‘ কাঁধে হাত দিয়ে বস! পড়ে যাবি নয়তো। ‘

‘ দরকার নেই। আই উইল ম্যানেজ। ‘

উশান অসন্তুষ্ট হয়। স্বগতোক্তি করে, একবার যখন আছাড় খেয়ে পড়বে। তখন শিক্ষা হবে এই বদমাইশটার!

বাইক স্টার্ট দেয়ার পূর্বে হটাৎ কোথা থেকে পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যাক্তি এসে উশানের ললাট এর মধ্যভাগ বরাবর বন্দুক তাক করে বলল,

‘ ইউ আর আন্ডার এরেস্ট! ক্যাপ্টেন.উশান রেজওয়ান। ‘

চলবে…