হে_সখা_মম_হৃদয়ে_রহো পর্ব-০৮

0
173

#হে_সখা_মম_হৃদয়ে_রহো
#মুগ্ধতা_রাহমান_মেধা
#পর্ব ০৮

পৃথিবীবাসীর উপর সূর্য রাগ করে চলে যাচ্ছে।সাথে করে নিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব আলো,উজ্জ্বলতা।দিয়ে যাচ্ছে একরাশ অন্ধকার।এই রাগ-অভিমানে ক্ষণস্থায়ী অনুপস্থিতিকে পৃথিবীবাসী রাত বলে।চলে যাওয়ার সময়টাকে বলে সন্ধ্যাবেলা।বিষন্নতায় ঘেরা সন্ধ্যা।আলো ছিনিয়ে নিয়ে আঁধার আসার বেলা।আঁধার নেমে আসলেও কমিউনিটি সেন্টার বিভিন্ন আলোকসজ্জায় জাঁকজমকপূর্ণ।নাচে-গানে,আনন্দ-হুল্লোড়ে মেতে আছে সবাই।শুধু হাতে গুণা কয়েকজন হাসি-খুশি থাকার অভিনয় করছে।তাদের মধ্যে বরকনে, সাবিহা এবং সাবিহার বন্ধুবান্ধব সবাই রয়েছে।বন্ধুরা সবই শুনেছে কিন্তু কিছু বলতে পারে নি।কি বলবে?কি বলার আছে!তাদের অভিধানে প্রতিজ্ঞাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কোনো শব্দ নেই।আকস্মিক ঘটনায় তারা হতভম্ব, হতবিহ্বল।নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা ছাড়া কোনো উপায় আপাতত তারা দেখছে না।

সাবিহা বিকেলবেলায় প্রতিজ্ঞাদের বাড়ি থেকে বেরিয়েছে।প্রতিজ্ঞার অবস্থা ঐ একইরকম।দুপুর অব্ধি অজ্ঞান হয়েছিলো।জ্ঞান ফিরতেই আবার ভাঙচুর, চেঁচামেচি।তারপর হঠাৎ চুপ করে গেলো।আর কাঁদলো না,কোনো কথা বললো না।হাজার প্রশ্ন করলেও টু শব্দটুকোও করে নি আর।শুধু এক দৃষ্টিতে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে ছিলো।হয়তোবা জীবনের পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব কষতে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো।

সংকল্পদের ঔষুধের ব্যবসা বলে প্রচুর জানাশোনা তাদের।শাহআলম সাহেব বিয়ের ব্যাপারে আগেই জানতেন বলে সব তিনি একা একাই করেছেন।জাহানারা বেগম আসেন নি।সংকল্পও আসতে চায় নি।রাইমা কি যেনো বুঝিয়ে নিয়ে এসেছে।

সাবিহা আর তার বন্ধুরা এসব নিয়েই আলোচনা করছিলো।তখনই সাবিহার ফোনটা নিজ গতিতে বেজে উঠলো।প্রতিজ্ঞার মা ফোন করেছে।বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বললো,
“এই দাঁড়া দাঁড়া, আন্টি ফোন দিয়েছে।না জানি প্রিতু আবার কি শুরু করলো।”

সাব্বির বললো,
“ভাঙচুর করছে কিনা কে জানে।দেখিস মেয়েটা পা গল হয়ে যাবে।কত অনুভূতি, কত ভালোবাসা সব বৃথা গেলো,সব!।

সাবিহা ফোন রিসিভ করে কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই প্রতিজ্ঞার মা অস্থির হয়ে বললেন,
” সাবিহা প্রতিজ্ঞাকে পাওয়া যাচ্ছে না।ওর গাড়িটাও নেই।কখন যে বেরিয়ে গেছে বুঝতে পারি নি।”

“আন্টি আপনারা কোথায় ছিলেন?কিভাবে বের হয়ে গেলো?” আতঙ্কিত হয়ে বললো সাবিহা।
“আমরা ড্রয়িং রুমেই ছিলাম।ও ওর বারান্দার রেলিং এ শাড়ী পেঁচিয়ে নিচে নেমেছে।কি করবো? আমার মেয়েটা কোথায় গেলো?তোমার আঙ্কেল,তানিম বিকেলের দিকে একটু বেরিয়েছিল, আর তখনই!বুঝতে পারছি না কি করবো,কোথায় খুঁজবো! ”

প্রতিজ্ঞার মায়ের কথা শেষ হওয়ার আগেই কমিউনিটি সেন্টারের বৈদ্যুতিক বাতিগুলো বন্ধ হয়ে গেলো।চারিদিক অন্ধকার।সবাই অবাক,শোরগোল শুরু হয়ে গেলো।তবে শোরগোল বেশিক্ষণ টিকলো না।গানের শব্দে শোরগোল থেমে গেলো।অল্প স্বল্প আলোতে দেখা যাচ্ছে ঐ তো লাল গাউন পরিধান করা একটা মেয়ে স্টেজে উল্টোদিকে ফিরে আছে।মেয়েটা পেছনে ঘুরতেই তার চেহারাটা স্পষ্ট হয়।
সবার কন্ঠনালী থেকে বিস্ময় নিয়ে অস্ফুটস্বরে একটা শব্দই বেরিয়ে আসে।
“প্রতিজ্ঞা…”

সংকল্প প্রতিজ্ঞাকে এখানে দেখে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলো।

সাবিহা নিজেকে ধাতস্থ করে বললো,
“আন্টি টেনশন করবেন না,প্রতিজ্ঞা আমার সাথে আছে, আমার সামনে।আমি সামলে নিবো।”

মেয়ের খবর পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেলেন। তবে মেয়ে যদি আবার উত্তেজিত হয়ে পড়ে তখন কি হবে!স্বামী আর ছেলেকে ফোন দিয়ে সব জানালেন।

সাবিহা বিকেলে বের হওয়ার সময় প্রতিজ্ঞার ভাবীকে রিসিপশনের কথা বলেছিলো।তখন ওরা প্রতিজ্ঞার ঘরেই ছিলো।ওরা ভেবেছিলো প্রতিজ্ঞা ঘুমিয়ে আছে।কিন্তু না,প্রতিজ্ঞা তখন সজাগ ছিলো,সবই শুনছিলো।সে জানতো তাকে বের হতে দেওয়া হবে না। তাই সুযোগ বুঝে বারান্দা টপকালো।

প্রতিজ্ঞা নাচছে।গান বাজছে,
tum magar bewafa gaye
kyun khafa ho gaye
ke tumse juda hoke ham
tabah ho gaye.
……….

সেই তালে তালে প্রতিজ্ঞা নাচছে।যা এই মুহুর্তে অকল্পনীয় ছিলো।

প্রতিজ্ঞাকে দেখে ওর বন্ধুদের সবার চোখে জল।চব্বিশ ঘন্টাও হয় নি।হাসি-খুশি মেয়েটার কি হাল!কিন্তু প্রতিজ্ঞা সেজেছে।একদম নতুন বউয়ের মতো সেজেছে,যা সবাইকে অবাক করেছে।

নাচ শেষ হতেই প্রতিজ্ঞা হাসি হাসি মুখ করে বন্ধুদের কাছে যায়।সংকল্প,রাইমা এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে মেয়েটার দিকে।রাইমা মেয়েটার সব কষ্ট বুঝলো।সংকল্পের চোখগুলো ঝাপসা হয়ে এসেছে।কোনোরকম নিজেকে সামলালো।ছেলেমানুষের কাঁদতে নেই।

প্রতিজ্ঞা বন্ধুদের সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলো,
“কিরে, তোদের একেকটার মুখ এমন বাংলার পাঁচ হয়ে আছে কেনো?”
সাবিহা জিজ্ঞাসা করলো,
“প্রিতু তুই ঠিক আছিস?”
“একদম!কি হবে আমার?”
আয়েশা তার গোল চশমাটা ঠেলে জিজ্ঞাসা করলো,
“প্রিতু তোকে না একদম বউদের মতো লাগছে।বউ সেজেছিস কেনো?”

প্রতিজ্ঞা চমৎকার হাসলো।অসহায় দৃষ্টিতে সংকল্প এবং রাইমার দিকে চেয়ে বললো,
“আজতো আমার রিসিপশন পার্টি হওয়ার কথা ছিলো,তাই না?ঐ যে বউ সেজে আছে?ওর জায়গায় তো আমার বউ সাজার কথা ছিলো!ঐ যে বরটা?রাজপুত্রের মতো লাগছে তাকে।ঐ রাজপুত্রের পাশে তো আমার থাকার কথা ছিলো রাজরাণী হয়ে।কিন্তু দেখ,আজ রিসিপশন ঠিকই,যার বর সাজার কথা ছিলো সে বর সেজেছে,যার বউ সাজার কথা ছিলো,এই যে আমি?সেও বউ সেজেছি।শুধু আসল বউটা আমি না,ঐ মেয়েটা।ঐ মেয়েটা আসল বউ।”

শেষবাক্যটা চোয়াল শক্ত করে বলে প্রতিজ্ঞ। তারপর আবার অট্রহাসিতে মেতে উঠে।
সে চলে যেতে নিলে সোহানা জিজ্ঞাসা করে,
“কোথায় যাচ্ছিস?বাড়িতে তোকে খুঁজছে। না বলে বেরিয়েছিস কেনো?”
“বরকনেকে উইশ করতে যাচ্ছি,বুঝলি।আর সাব্বু শোন।বাসায় ফোন করে বলবি,আমি আজ তোদের সবার সাথে তোদের বাড়িতে থাকবো।বেশি জোর করলে বলবি,আমি ঘুমিয়ে গেছি।নাহয় ফোন রিসিভই করিস না।”

বলে সংকল্প-রাইমার দিকে চলে যায় প্রতিজ্ঞা।
রামিম সকলের উদ্দেশ্যে বললো,
“ওর কথাগুলো কেমন লাগলো!ও এতো স্বাভাবিক কিভাবে?”

রিমা বলে উঠলো,
“এই স্বাভাবিকতাই অস্বাভাবিকতা।ওর এখন কান্না করার কথা,কষ্ট পাওয়ার কথা।কিন্তু ও নাচছে,হাসছে ঘুরছে-ফিরছে।ও অস্বাভাবিক আচরণ করছে।”

ফিহা চিন্তিত হয়ে বললো,
“ও কি তাহলে ভারসাম্য হারাতে শুরু করলো?”

সাবিহা ধমকে উঠলো।বললো,
“কিসব উলটাপালটা বকছিস!চুপ কর।ও অস্বাভাবিক হলে একা একা থাকতো,সবার সাথে কথা বলতো না।”

ফিহা ঠোঁট উল্টিয়ে বললো,
“তাও ঠিক।নজর রাখি ওর উপর!”

প্রতিজ্ঞা সংকল্প-রাইমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সংকল্প এবং রাইমা কিছু বলার আগেই প্রতিজ্ঞা অধর প্রসারিত করে রাইমাকে বললো,
“স্যরি গো নতুনবউ,তোমার জন্য কোনো উপহার আনতে পারিনি।প্রথমত,বাসা থেকে পালিয়ে এসেছি দুই তালার বারান্দা বেয়ে। দ্বিতীয়ত,আমার কাছে, আমার জীবনে এই পৃথিবীর যেই উপহারটা সবচেয়ে বেশি দামী, সেই উপহারটাই তো তুৃমি তোমার অনিচ্ছায় নিজের করে নিয়েছো।সেই উপহারের তুলনায় এই পৃথিবীর উপহারগুলো তুচ্ছ, নগন্য।”

রাইমা বললো,
“আমার কোনো গিফট লাগবে না।তুমি যে এখন ঠিক আছো এটাই অনেক।”
বিপরীতে প্রতিজ্ঞা স্মিত হাসলো।সংকল্পকে উদ্দেশ্য করে বললো,
“স্যার,আপনাকে আপনার নতুন জীবনের শুভেচ্ছা।দারুণ মানিয়েছে আপনাদের দু’জনকে।পুরাই মেইড ফর ইচ আদার।রাব নে বানা দে জোরি।হাহা!”

তারপর কিছুক্ষণ মৌন থেকে অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে ধরা গলায় বললো,

“আমি আপনাকে অভিশাপ দিলাম স্যার,গত চব্বিশ ঘন্টায় আমার পাওয়া সকল দুঃখ আপনার কাছে সুখ হয়ে ধরা দিক।দেখবেন ইহজীবনে আপনার সুখের অভাব হবে না।তখন হয়তো আমার দুঃখের পরিমাণ আপনি টের পাবেন।”

সংকল্প শুধু ঝাপসা দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো।মস্তিষ্ক হাতড়িয়ে বলার মতো কোনো বাক্য সে পেলো না।শুধু প্রতিজ্ঞাকে দেখে গেলো। মেয়েটাকে আজ অপূর্ব সুন্দর লাগছে।ফোলা ফোলা চোখগুলোকে কৃত্রিম সাজসজ্জার আস্তরণ ঢাকতে পারে নি।এই চোখগুলোই যেনো আজকে তাকে অপরূপা বানিয়েছে।

প্রতিজ্ঞা রাইমাতে পূর্ণ নজর দিলো।মাথা থেকে পা অব্ধি অবলোকন করলো।বললো,
“তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে গো।”

রাইমা বিপরীতে মুচকি হাসলো। বুঝার চেষ্টা করছে প্রতিজ্ঞা কি করতে চাচ্ছে! প্রতিজ্ঞা নিঃশব্দে হাসলো।বললো,
“আমাকে ভয় পাচ্ছো?পেয়ো না।আজ আমি কিছু করবো না।”
“তা ভাবি নি।” রাইমা সৌজন্যমূলক হাসি দিয়ে বললো।
“তাহলে?” প্রশ্নার্ত দৃষ্টি প্রতিজ্ঞার।
রাইমা অধর প্রসারিত করে বললো,
“আমি ভাবতাম আমার চেয়ে বেশি কেউ সুন্দর হতে পারে না।কিন্তু তোমাকে দেখে আমার ভূল ভেঙ্গেছে। নাহ,এই পৃথিবীতে আমার থেকেও বেশি সুন্দর কেউ এক্সিস্ট করে।”

প্রতিজ্ঞা তাচ্ছিল্যের সাথে বললো,
“এতো রূপ আমার কোন কাজে আসলো?যাকে সবটা দিয়ে ভালোবাসলাম,আজ পুরো পৃথিবী জানে সে তোমার স্বামী।
রূপে তোমার থেকে এগিয়ে গেলেও প্রাপ্তির খাতায় তোমার থেকে আমি এক আকাশ পরিমাণ পিছিয়ে আছি।তুমি অনেক ভাগ্যবতী গো,আমি যাকে বছরের পর বছর সাধনা করে পাইনি,তুৃমি তাকে না চাইতেই এক মুহূর্তে পেয়ে গেলে।”

প্রতিজ্ঞার কথার পিঠে রাইমা কিছু বললো না। কিছুক্ষণ মৌন রইলো প্রতিজ্ঞা।তারপর চোয়াল শক্ত করে দাঁত কিড়মিড়িয়ে বললো,
“তবে আমি তোমাকে অভিশাপ নয় আশীর্বাদ করছি যে কোটি কোটি সেকেন্ড,লক্ষ লক্ষ মিনিট, হাজার হাজার ঘন্টা তপস্যা করেও যে মানবের হৃদয়ের সান্নিধ্য আমি পাইনি,যে হৃদয়ের সংস্পর্শ আমার হৃদয় পায়নি,সে মানবের শরীর তোমার শরীর স্পর্শ করলেও তোমার হৃদয় যেনো সে মানবের সান্নিধ্য না পায়,কোনোদিনও যেনো মিলন না ঘটে।”

বলে দৌড়ে হলরুম থেকে বেরিয়ে যায় প্রতিজ্ঞা।তার কথা শুনে প্রতি পদে পদে অবাক হচ্ছে সংকল্প।অপরাধবোধ ঘিরে ধরছে।প্রতিজ্ঞার পেছন পেছন বন্ধুরা ছোটে।রাইমা-সংকল্প প্রতিজ্ঞার পানে চেয়ে আছে।রাইমা ঐদিকে দৃষ্টি রেখেই বললো,
“দ্য গার্ল লাভস্ ইউ ভেরি মাচ।”
“হুম!ভাগ্যের পরিহাসে আমি সময় হারিয়ে সব জানতে পেরেছি।তবে কিছুই আমার হাতে নেই।”
বুকভরা নিঃশ্বাস নিয়ে কথাটা বললো সংকল্প।
রাইমা রহস্যময় কন্ঠে বললো,
“অনেককিছুই আছে আপনার হাতে!”

প্রতিজ্ঞা দৌড়ে কমিউনিটি সেন্টারেরই একটা রুমে চলে এসেছে। দরজা বন্ধ করে দিলো সে।এতোক্ষণের জমিয়ে রাখা কষ্ট,আর্তনাদ যেনো ছিটকে বেরিয়ে আসলো।দরজার ওপাশ থেকে বন্ধুরা ডাকছে।দরজা খুলতে বলছে।কিন্তু সেদিকে খেয়াল নেই প্রতিজ্ঞার।সে এক চিৎকার দিয়ে মেঝেতে বসে পড়লো।বুকফাটা আর্তনাদ বেরিয়ে এলো।শব্দ করে কাঁদতে কাঁদতে বলতে শুরু করলো,

“সহ্য করতে পারছি না,পারছি না সহ্য করতে।আল্লাহ!আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে,মনে হচ্ছে মৃত্যু আমায় ডাকছে।দমবন্ধ হয়ে আসছে।শ্বাসনালীটা যেনো কেউ চেপে ধরে আছে।এতো, এতো কষ্ট কি আমার প্রাপ্য ছিলো?কেনো? কেনো এমন হলো আমার সাথে?আমি কি নিয়ে বাঁচবো এখন?আমার ভালোবাসা,আমার স্বপ্ন সব হারিয়ে ফেললাম আমি,সব।কি অপরাধ ছিলো আমার?কিসে ঘাটতি ছিলো?মাথার ভেতরটা ছিঁড়ে যাচ্ছে,এতো যন্ত্রণা, এতো কষ্ট আমি কিভাবে সইবো?”

#চলবে…