#ছিলাম_তো_তোমারই_পাশে
#পর্ব_21
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida
।
।
আচ্ছা।তোমরা সবাই কথা বলো আমি আসছি।(ছায়া দাড়িয়ে)
কোথায় যাবি?(কলি)
দেখি গিয়ে আপু আর ভাইয়ার বাসর ঘর কতটুকু সাজানো হলো!(ছায়া আমার দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে)
আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে একটা মুখ ভেংচি দিলাম।
আচ্ছা।যা।(জিসান)
পরেই ছায়া চলে গেলো।আমরা কথা বলছি এমন সময় হটাৎ আয়ুশ এর কি যেনো হলো ও উঠে বললো আমিও গিয়ে ভাইয়ের বাসর ঘর দেখে আসি।
বলেই আয়ুশ আভির দিকে তাকিয়ে একটা দুষ্টু হাসি দিল।
আভি ও ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।
ভাবেই বুঝা যায় এই দুজন স্বামী স্ত্রী।(আয়ুশ ভ্রু কুঁচকে মনে মনে)
আচ্ছা যা।(আদি)
পরে আয়ুশও চলে গেলো।
।
।
দুতলায় ছাদে উঠার সিড়ি পাড় করে আভির রুমে যেতে হয়।যখনই ছায়া সেই সিড়ি পার হতে যাবে তখনই আয়ুশ ছায়ার হাত ধরে টেনে ছাদে নিয়ে আসলো।এসেই ছাদের দরজা বন্ধ করে দিলো।
আয়ুশ ইদানিং তোমার অসভ্যতামি একটু বেশিই বেড়ে যাচ্ছে।(ছায়া আয়ুশ এর হাত ঝাড়া মেরে)
কারণ তুমি একটু বেশিই সভ্য ব্যবহার করছো।(আয়ুশ ছায়ার বাহু চেপে ধরে)
মানে কি বলছো?(ছায়া ছুটার চেষ্টা করে)
বুঝতে পারছো না?কেনো গেলে তুমি আকাশের সাথে?(আয়ুশ)
আমার যার সাথে মন চায় তার সাথেই যাবো!তাতে তোমার কোনো মাথা ব্যাথার কারণ তো আমি দেখছি না।(ছায়া)
আমার মাথা ব্যাথা নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না।(আয়ুশ)
তাহলে আমার ব্যাপারেও তোমার ভাবতে হবে না।(ছায়া)
একশো বার ভাববো।(আয়ুশ)
কেনো ভাববে?এখন বলো না।আমি তোমার বন্ধু বলে।কারণ আমি আগেই বলে দিয়েছি আমাদের বন্ধুত্ব শেষ।ছাড়ো আমায় আয়ুশ।(ছায়া)
ছায়া আমি ওতো শত জানি না।তুমি আকাশ থেকে দূরে থাকবে এই আমার শেষ কথা।(আয়ুশ ছায়াকে ছেড়ে দিয়ে)
আমি আমার জীবনে এক মাত্র আসুপির আর আমার পরিবারের কথা শুনি আর কারো না।তুমি আমার কেউ না।
বলেই ছায়া ছাদের দরজা খুলে নিচে চলে গেলো।দুতলায় নামতেই ও আকাশের মুখোমুখি হলো
ছায়া,,?(আকাশ অবাক হয়ে)
আকাশ ভাইয়া!(ছায়া অবাক হয়ে)
আকাশ ভাইয়া কথা শুনেই আয়ুশ নিচে নেমে আসলো।
তিনজন এখন মুখোমুখি।
।
।
কিছুক্ষণ আগে যখন আয়ুশ আর ছায়া ছাদে ঝগড়া করছিলো।তখনই নিচে আকাশ আসলো।
অভিনন্দন আসু।(আকাশ ভাইয়া আমার সাথে হাত মিলিয়ে)
ধন্যবাদ।ভাইয়া।(আমি মুচকি হেসে)
অভিনন্দন আভি।(আকাশ আভিকে জড়িয়ে ধরে)
ধন্যবাদ আকাশ।(আভিও মুচকি হেসে)
আসসালমুআলাইকুম আঙ্কেল আন্টিরা।(আকাশ)
অলাইকুম আসসালাম।(জিসান,কলি,আদি আর সুমাইয়া)
ও কে?(আদি)
ও আমার বন্ধু আর আমার সিনিয়র।আকাশ ভাইয়া।(আমি)
ও আচ্ছা।আস্থা তোমার কথা বলেছিল।সরি মনে করতে পারি নি।(আদি)
কোনো ব্যাপার না আঙ্কেল।এমন হয়ই।(আকাশ)
তা তুমি এত লেট করলে কেনো বাবা?(জিসান)
একটু কাজ পরে গেছিলো আঙ্কেল এই আর কি।(আকাশ হাসি দিয়ে)
হুম।তোমার তো আমার দরকারের সময়ই কাজ পরে যায়।আরশি আর পিয়ালী চলে আসলো আর তুমি লেট।by the way আমার গিফট কোথায়?(আমি কোমরে হাত দিয়ে)
এইতো তোর গিফট।শান্তি?(আকাশ)
শান্তি।(আমি খুশি হয়ে)
আচ্ছা।বাকি সবাই কোথায়?(আকাশ)
বাসর ঘর সাজাচ্ছে।(আমি আর আভি এক সাথে)
সবাই আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
বাহ! তর সইছে না মনে হচ্ছে।(আকাশ টিটকারি দিয়ে)
আকাশ ভাইয়া!(আমি রেগে)
আচ্ছা রাগিস না।তাহলে আমি উপরে যাই।(আকাশ)
আচ্ছা।ছাদে যাওয়ার সিড়ির পাশের রুম।(আভি)
ধন্যবাদ।
বলেই আকাশ চলে গেলো।
।
।
বর্তমান
আকাশ ভাইয়া তুমি এখানে কি করছো?(ছায়া)
আমি তো তোমাদের কাছেই যাচ্ছিলাম।(আকাশ ছায়া আর আকাশের দিকে তাকিয়ে)
ও।আকাশ ভাইয়া আমাকে তোমার কিছু বলার ছিলো।(ছায়া আকাশের কাছে গিয়ে)
কী কথা?(আকাশ অবাক হয়ে)
আজকে তুমি আমাকে প্রপোজ করছিলে না।আমি তোমার তোমার প্রপোজাল এ রাজি। let’s date(ছায়া মুচকি হেসে)
এইটা শুনে আয়ুশ এর মাথার উপর যেনো বাজ পড়লো।
সত্যিই ছায়া?তুমি সত্যি বলছো?(আকাশ এক্সসাইটেড হয়ে)
হুম।(ছায়া মাথা নেড়ে)
পরেই আকাশ ছায়াকে জড়িয়ে ধরলো তাও আবার আয়ুশ এর সামনে।আর তা দেখে আয়ুশ রাগে মুষ্টি বদ্ধ করে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলো।
ছায়া আয়ুশ এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।পড়ে ছায়াও আকাশকে জড়িয়ে ধরলো।
আয়ুশ এর অধ্যায় শেষ।এখন আমার জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হলো!(ছায়া মনে মনে)
।
।
এদিকে সবাই মিলে বাসর ঘর সাজিয়ে এখন খেতে আসলো।
এইটুকু সময়ে আয়ুশ একটা কথাও বলেনি। আগে হলে রাগে বাড়ির জিনিস পত্র ভেঙ্গে ফেলতে কিন্তু এখন ও চুপ করে আছে।কারণ বাড়িতে এতো লোকের সামনে কোনো তামসা করতে চায় না।আর আজকে আভি আর আস্থার স্পেশাল দিন তাই নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে।
পরেই সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে এখন আস্থাকে সাজাবে।
আমাকে যদি পেত্নীর মতো সাজিয়েছিস তো খবর আছে।(আমি)
ওকে বাবা সাজাবো না।এখন বস তো শান্তি মতো।
বলেই আরশি,পিয়ালী আর ছায়া আমাকে তৈরি করে দিলো।
পরেই আমাকে রুমের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া হলো।অন্যদিকে আয়ুশ আর আকাশ আভিকে রেডি করে রুমে ঢুকিয়ে দিলো।
।
।
আজকে মা বাবা ছায়া আরশি আর পিয়ালী এই বাড়িতেই থাকবে আকাশ ভাইয়াও থাকবে।সবাই মিলে রাতে নাকি ছাদে বসে বসে গানের কলি খেলবে।
।
।
বাসর ঘরে
আভি ঢুকেই একটা শুকনো ঢোক গিলতে শুরু করলো।
বাসর ঘরে কি করে কি শুরু করে?(আভি মনে মনে)
এইদিকে আমি প্রায় এক ঘন্টা ধরে ঘোমটার ভিতর বসে আছি।কোমর ধরে গেছে।দম বন্ধ হয়ে আসছে।আর মশাই আমার ঘোমটা তোলার নামও নিচ্ছে না।কি ভাবছে কে জানে?
অন্যদিকে আভি কি করবে এখনও ভেবেই পাচ্ছে না।
নরমাল বিয়ে হলে তো কি করতে হয় জানি।কিন্তু এই এবনরমাল বিয়ের ক্ষেত্রে কি করতে হয়?(আভি মনে মনে)
দূর যথেষ্ট হয়েছে।এই ঘোমটা টেনে বসে থাকা।তোমার আশায় থাকলে এই ঘোমটা আর খোলা হবে না।(আমি নিজের ঘোমটা নিজে টেনে বেডের উপর দাড়িয়ে কোমর ঠিক করছি)
অন্যদিকে আভি আস্থার দিকে তাকিয়ে হা হতে গেছে।
আস্থা লাল রঙের পাতলা শাড়ী পড়েছে। সারা শরীরে গোলাপের গয়না।এখন ওকে লাল পরী বলবে নাকি গোলাপ পরী আর নাকি ফুল পরী তা নিয়েই দ্বিধায় আছে আভি।
আমি আভির দিকে তাকিয়ে
কী হয়েছে?হা হয়ে কি দেখছো?ঘোমটা খুলতে কি জনম পার করতে চাও?(আমি রেগে)
না মানে শুরুটা কি করে করবো তা ভাবছিলাম?(আভি)
ও।তুমি তো দুধের দোয়া তুলসী পাতা।শুরু কি করে ভাবছো?(আমি কোমরে হাত দিয়ে)
তো কি করবো?আমি কি বাসর করে বেড়ায় নাকি যে জানবো?এইটা তো আমার প্রথম।(আভি ভ্রু কুঁচকে)
বাহ।আমার মনে হয় এইটা করলে সেঞ্চুরি হবে।একটা বাসর রাত আপনাকে দ্বারা হচ্ছে না!কি যে হবে তা আমার জানা আছে!(আমি বেডে আসন পেতে বসে)
এই শুনো যদি আসল বাসর রাত হতো তাহলে তোমাকে দেখিয়ে দিতাম কি করে বাসর রাত করে?তখন বুঝতে আভি চৌধূরী কি?(আভি রেগে)
বাহ বাহ!বাহ!নকল করতে হওয়া ফুস আসল করলে তো আপনাকে দেখায় যাবে না।(আমি)
তবে রে,,,
বলেই আভি বেডে উঠে এসে আমাকে বিছানার সাথে চেপে ধরলো।
এই,,,এই কি করছেন? ছা,,,ছাড়ুন!(আমি ছুটার চেষ্টা করে)
এখন ছোটফট করছো কেনো?তুমি না বলেছো আসল বাসরে আমাকে দেখাই যাবে না।এখন শুরু করি আসল বাসর।বুঝা যাবে দেখা যাবে কি যাবে না?
বলেই আরো শক্ত করে আমাকে চেপে ধরলো।
আরে তুমি তো মাইন্ড করলে।আমি এমনি তোমার সাথে মজা করছিলাম।(আমি জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)
আমার সাথে মজা করার ফল তো ভোগ করতে হবে।আসু মনি।
বলেই আভি নিজের মুখ আমার কাছে আনতে লাগলো।
আর তা দেখেই আমি চোখ মুখ খিচ মেরে বন্ধ করে ফেলি।
কিছুক্ষণ পর মিটমিট করে তাকিয়ে দেখি আভি তাকিয়ে হাসছে।
পরেই আমাকে ছেড়ে দিয়ে বেডে বসে হাসতে লাগলো।
কেসা লাগা ম্যারা মাজাক!(আভি হাসতে হাসতে)
আমি অবাক হয়ে শুধু ওর হাসিই দেখছি।কেনো জানি শুধু তাকিয়েই থাকতে মন চায় উনার এই মুখের দিকে।
দেখলে আভি চৌধুরীর সাথে মজা করার ফল!(আভি আমার নাক টেনে)
হুম।(আমি হেসে)
এখন চলো মেইন কথায় আসি!(আভি কিছুটা সিরিয়াস হয়ে)
মেইন কথা?(আমি অবাক হয়ে)
হুম।যে আমাদের ফাঁসিয়েছে!তোমাকে চরিত্রহীন বানিয়েছে।তাকে কি করে খুঁজে বের করবো!(আভি গম্ভীর হয়ে)
আমিও কিছুটা সিরিয়াস হয়ে ওর পাশে বসলাম।
আমরা যখন কোল্ড ড্রিংকস নিলাম তারপরই আমাদের কিছু হয়েছে তাই না?(আভি)
হুম।(আমি)
তারমানে ওই কোল্ড ড্রিংকস এই কিছু একটা ছিলো।তোমাকে কোল্ড ড্রিংকস দিয়েছিলো কে?(আভি)
একটা ছেলে!এই পনেরো কি ষোলো বছরের।(আমি)
আমাদের এখন ওই ছেলেকে আগে খুঁজতে হবে।তারপর গ্রামের প্রধানকে ধরতে হবে।উনাকে বাধ্য করতে হবে এইটা বলার জন্য যে কে উনাকে খবর দিয়েছে।(আভি)
হুম। তা কবে থেকে শুরু করবো খোঁজা?(আমি জোশ নিয়ে)
কালকে থেকেই ইনশাল্লাহ।(আভি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে)
ওকে।এখন আমি ওয়াশরুমে গিয়ে শাড়ি পাল্টে আসি।এই শাড়িতে আমা ঘুম হবে না।(আমি)
ওকে যাও।(আমি)
পরেই আমি ওয়াশরুম থেকে শাড়ি পাল্টে কামিজ আর সেলোয়ার পড়ে নিলাম।
আমি গিয়েও চেঞ্জ করি।পাঞ্জাবিতে আমারও ঘুম হবে না।(আভি)
ওকে যাও।(আমি)
পরে ও একটা টি শার্ট আর ট্রাউজারটা পরে নিল।
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েই দেখে আস্থা নখ কামড়াতে কামড়াতে পায়চারি করছে
কী হলো?নক খেতে খেতে তো কোনো একদিন হাত খেয়ে ফেলবে!কি এতো চিন্তা করছিলে?এই ছোটো মাথায় এতো চিন্তা ভালো না।
বলেই আভি বেডে বসলো।
আমি একটা গভীর চিন্তা করছি!(আমি নখ কামড়াতে কামড়াতে)
কী এমন গভীর চিন্তায় মগ্ন আপনি জানতে পারি?(আভি)
বেডে কে ঘুমাবে আর সোফায় কে ঘুমাবে?(আমি)
এতক্ষন এই গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিলেন আপনি?(আভি মাথায় হাত দিয়ে)
তো?এইটাও তো ইম্পর্ট্যান্ট!(আমি ভ্রু কুঁচকে)
হো।অনেক ইম্পর্ট্যান্ট।(আভি তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে)
এমন হাসি না দিয়ে বলুন কে কোথায় ঘুমাবে?(আমি)
খুব সহজ আমি বেডে তুমি সোফায়!(আভি)
কী,,কি?আরেকবার বলুন তো কি বলছেন?(আমি বেডে বসতে বসতে)
আমি বেডে তুমি সোফায়!(আভি আমার দিকে তাকিয়ে)
হ্যা হ্যা।nice joke নেক্সট প্লিজ।(আমি হাত তালি দিয়ে)
Oh really!তাহলে তোমার কাছে কোনো ভালো আইডিয়া আছে?(আভি)
আছে।আমি বেডে তুমি সোফায়।(আমি)
ভুলেও না।আমি কখনো সোফায় ঘুমাতে পারবো না।(আভি)
সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠলে আঙ্গুল বাকাতে এই আস্থা ভালো করেই জানে?(আমি উঠে কোমরে হাত দিয়ে)
কী আর করবে কোমরে হাত দেয়া ছাড়া?(আভি)
শুনন এই চার দেয়ালে যা হয়েছে এক মাত্র আমি আর আপনি জানি।এখন যদি আমি আপনার ভালোবাসা তুলিকে গিয়ে বলি আমাদের মধ্যে সব হয়ে গেছে।তখন কি হবে জানেন?আপনাদের সম্পর্ক যেটুকু জোড়া লাগার চান্স ছিলো তাও ফুস হয়ে উড়ে যাব।আমি না অনেক ভালো তবে যা আমি চাই তা শুধু আমারই।(আমি আভির পাশে বসে ওর পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে)
আভি আর কিছু না বলে নিজের বালিশ আর চাদর নিয়ে সোফায় ঘুমিয়ে পড়লো।কারণ জানে একবার রাগের মাথায় ব্রেক আপ করিয়েছি।এখন না জানি কি করি।ঘুমানোর আগে আমাকে একটা লুক দিলো।আমি হাসতে হাসতে
যতো ঘুড়ি উড়াও রাতে
লাটাই তো আমারই হাতে (মনে মনে)
পরে আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম।
।
।
অন্যদিকে সবাই ছাদে গানের কলি খেলতে খেলতে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছে।আর আয়ুশ ছায়ার পাশে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর ওর মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
ছায়া কি হচ্ছে আমার?কেনো তোমার দূরে যাওয়া আমার সহ্য হচ্ছে না।কেনো তোমার আর আকাশের সম্পর্ক আমি মানতে পারছি না।আমি কোনো ভাবে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।আমি কি তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি??
আয়ুশ ছায়ার ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে ভাবছে।
।
।
সকালে খাবারে টেবিলে
আমি আর আভি এক বুক কষ্ট আর বিরহ নিয়ে বসে আছি।খাবার খাওয়ার বদলে ওইটা নিয়ে খেলছি।ছায়া,আরশি,পিয়ালী আর আকাশ ভাইয়ার খুশি যেনো আসমান ছোঁয়া।আমাদের মায়েদের চোখে মুখে আশার কি ঝলক!এই ঝলকে আমি আর আভি অন্ধ হয়ে যাবো।আমি একবার হতাশা নিয়ে আভির দিকে তাকাই আভি আমার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে বাবার(আভি)দিকে অসহায় ভাবে তাকায় আর উনি প্রাপ্তির হাসি দেয়।অন্যদিকে আমিও আমার বাবার দিকে তাকাতেই আমার বাবাও যুদ্ধ জয়ের হাসি দিল। অবশ্য দিবেই তো আমাদের খুশিতে দুই বন্ধু মিলে বোম ফাটিয়েছে।এখন তো প্রাপ্তির হাসি দেবেই।কোনোদিন ভাবি নি আমাদের বাবারাই আমাদের বাঁশ দিবে?
।
।
চলবে,,,^_^