ছিলাম তো তোমারই পাশে পর্ব-২২

0
2529

#ছিলাম_তো_তোমারই_পাশে
#পর্ব_22
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


কিরে তোরা কিছু বলছিস না কেন?(আদি হেসে)

হ্যা।তোরাও বল তোদের কেমন লাগলো আমাদের সারপ্রাইজ?(জিসান হেসে)

একদম শক।(আমি বিড়বিড় করে)

কী বললি?(জিসান ভ্রু কুঁচকে)

না মানে আপনারা এতো সুন্দর সারপ্রাইজ দিবেন ভাবতে পারি নি।(আভি জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)

আভি একদম ঠিক বলেছে।আচ্ছা হানিমুনে পাঠানোর আইডিয়াটা কার ছিলো একটু শুনতে পারবো?(আমিও জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)

আমাদের!(সবাই)

As expected (আমি আর আভি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে)

কিন্তু বাবা!এমনি কতো দিন কোম্পানিতে যাই না।আবার এই হানিমুনের কারণে বন্ধ করা হবে।তার চেয়ে বরং কয়েকদিন পরেই যাই।(আভি)

আমিও আভির সাথে একমত।আমরা তো আর মানা করছি না।গেলে কিছুদিন পরেই যাই।আমারও কোম্পানিতে যেতে হবে(আমি)

আদি দেখ আমাদের ছেলে মেয়ে কতো দায়িত্বশীল।নিজেদের দায়িত্বকে প্রধান্য দেয়।(জিসান)

হুম।এই জন্য বলছি এইসব কথা ভেবে আমরা এইটা ঠিক করেছি।যে আমাদের কোম্পানি এক সাথে যেই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করবে সেই বিষয়ে একটা সেমিনার হবে চট্রগ্রাম তোরা সেখানে যাবি সেমিনারে অংশগ্রহণ করবি।আর হানিমুনটাও সেরে আসবি।(আদি)

খুব ভালো ভাবেই ফাঁসিয়েছে।(আভি মনে মনে)

পালানোর উপায় আজ আর নেই।(আমি মনে)

সেমিনার কবে?(আভি)

আজ রাতে।(আদি)

তাহলে তো আমাদের প্রস্তুতি নিতে অনেক দেরি হয়ে গেছে।কখন যাবো কখন অংশগ্রহণ করবো?তার চেয়ে বরং যাওয়ারই দরকার নেই।আমাদের কাছে কি কম অভিজ্ঞতা আছে?যেটুকু আছে ওইটুকু দেই কাজ সুন্দর ভাবে হয় যাবে!(আমি)

হ্যা আস্থা ঠিকই বলছে।এখন কখন যাবো,,ট্রেনে গেলেও একদিন লেগে যাবে।ড্রাইভ করে যাওয়াও সম্ভব না।আর প্লেনের জন্য তো এখন অনেক লেট হয়ে গেছে।(আভি)

ভুলেও না।(আদি)

মানে?(আভি সন্দেহ দৃষ্টিতে)

মানে আমরা সব প্রস্তুতি করে রেখেছি।(জিসান)

কী প্রস্তুতি?(আমি সন্দেহ দৃষ্টিতে)

হিহি।তোদের আজ দুপুর বারোটায় টিকেট কনফার্ম চট্রগ্রামে তাও প্লেনের।(জিসান)

কিঃ?কবে করলে?(আমি অবাক হয়ে)

এইতো দুদিন আগে।(জিসান চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে)

এখন বাজে নয়টা।প্যাকিং করতেও তো সময় লাগবে।(আমি)

কোনো চিন্তা নেই।আমরা সব প্যাকিং করে ফেলেছি।
বলেই দুটো সুট কেস নিয়ে নিচে নামলো।ছায়া,,আয়ুশ,,আরশি,, পিয়ালী আর আকাশ ভাইয়া।

কিন্তু এইগুলো কখন করলি একটু আগে না আমাদের সাথে বসে বসে নাস্তা করছিলি?(আমি অবাক হয়ে)

যখন তুমি বাবাকে হানিমুনে না যাওয়ার হাজারটা বাহানা দিচ্ছিলে তখন আমরা তোমাদের রুমে গিয়ে তোমাদের কাপড় চোপড় সব প্যাক করে ফেলেছি।(ছায়া)

তুই কি জানিস আমার কি কি লাগবে?তোর প্যাকিং এর উপর আমার ভরসা নেই।(আমি টেবিল থেকে উঠে)

আর তুই(আয়ুশ)কি আমার প্যাকিং করেছিস?তাহলে তো তোর উপর আমার একটুও ভরসা নেই।(আভি)

চিন্তা করো না ভাই।এই ক্ষেত্রে ছায়া আমায় হেল্প করছে।এই নিয়ে তোমার কোনো চিন্তা করতে হবে না।(আয়ুশ চোখ টিপ মেরে)

তবুও
বলেই আভি ব্যাগ খুলতে যাবে তখনই বাবা(আদি)বলে উঠলো

আভি অনেক হয়েছে।কখন থেকে দেখছি।অনেক বাহানা করছো।আমরা বলছে যেতে তো তুমি যাবে!(আদি)

কিন্তু বাবা,,(আভি)

কোনো কিন্তু না।(আদি)

আর তুইও(আস্থা) যাবি তো যাবি একটা কথাও যেনো আমি না শুনি। নাশতা খাওয়া শেষ যাও এখন যাও গিয়ে রেডি হয়ে নাও।(জিসান)

আমার কাপড়?(আমি মুখ ফুলিয়ে ছায়াকে প্রশ্ন করলাম)

তোমরা যা পড়ে যাবে। তা তোমাদের বেডে রেখে এসেছি।(ছায়া ভয়ে ভয়ে)

দল পাল্টে আমাকে বাঁশ দেয়া।তোকে আমি দেখে নিবো ছায়া।
ফিসফিস করে বলেই একটা কঠিন লুক নিয়ে উপরে চলে গেলাম।

আমি চট্রগ্রাম থেকে এসেই তোকে জাহান্নামে পাঠাবো।
ফিসফিস করে বলেই আভি একটা কঠিন লুক দিয়ে উপরে চলে গেলো।

জামাই বউ দুজনই খুব ভয়ানক প্রাণী। আসার পর আমাদের চিবিয়ে খাবে!(আয়ুশ আর ছায়া মনে মনে)


রুমে
আমি আবারও পায়চারি করছি আর নখ খাচ্ছি।আর আভি বেডে বসে ভাবছে।

এখন কি করবো আভি?(আমি)

জানি না!(আভি)

কী করে এই যাওয়া ক্যান্সেল করবো!(আমি)

জানিনা।(আভি)

তুমি আগে থেকে একটুও আন্দাজ করতে পারো নি।তারা আমাদের বাঁশ দিবে।(আমি)

আমি জানতাম না।(আভি)

আভির জানি না,,জানতাম না এইসব কথা শুনে আমার আরো রাগ হতে লাগলো।

আরে মশাই তাহলে আপনি জানেন টা কি?(আমি কিছুটা চিল্লিয়ে)

এইবার আভি রাগী চোখ আমার দিকে তাকালো
কী জানবো হা?সব কিছু আমারই জানতে হবে?আমি কি হিমালয় থেকে আসা কোনো সাধু।যে হওয়ার আগ থেকেই আমি জানবো!আর আমার উপর চেচাছো কেনো?তখন তো বাবাদের মুখের উপর একটা কথা বলার সাহসও ছিল না।সব সাহস আসে আমার সাথে ঝগড়া করার সময়।বলি আমার সাথে ঝগড়া না করে একটু অন্য জায়গাতে মাথা ঘামানোর চেষ্টা করো।যদি একটু আমাদের দুজনের একটু উপকার হয়।সব সময় বড়ো বড় কথা এইটা করবো ওইটা করবো কিন্তু করার সময় উনাকে চোখেই পাওয়া যায়।অন্য সময় মাথায় বুদ্ধি কিলবিল করে এখন কি হে?এখন কি বুদ্ধিও তোমার মত নখ কামড়াতে ব্যাস্ত।বলছি না নখ কামড়াতে না তবুও নখ কামড়াতে থাকে।
একদমে কথা গুলো বলে আভি বেডে বসে পড়লো।

অন্যদিকে ওর কথা শুনে আমি ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাদতে শুরু করলাম।আভি আমার কান্নার আওয়াজ শুনে উপর দিকে তাকালো।

এইরে রাগের মাথায় ওকে একটু বেশিই বলে ফেললাম এখন আবার কান্না করতে শুরু করলো।(আভি মনে মনে)

আভি দাড়িয়ে আমার কাছে এসে
আস্থা।সরি কান্না করো না।রাগের মাথায় বলে ফেলেছি।তুমি তো জানোই আমার রাগ।
বলেই আমার কাছে আসতে লাগলো।তখনই আমি ওকে মারতে শুরু করলাম।
তুমি খুব খারাপ।খালি আমাকে বকা দাও।আমার ইনসাল্ট করো।কথা বলবে না আমার সাথে।
বলেই ঠোঁট ফুলিয়ে কাদতে শুরু করলাম।

ওরে ওরে আমার আস্থা।
বলেই আভি আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো।পরেই মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো

সরি আসু।আর কখনো বকবো না।তুমি এখন কান্না থামাও।ওকে?(আভি আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

প্রমিজ?(আমি)

প্রমিজ।(আভি)

ওকে।(আমি)

তাহলে এখন যাও।তৈরি হয়ে নাও।(আভি)

যেতেই হবে?(আমি)

না গিয়ে উপায় নেই।চলো।(আভি)

ওকে।
বলেই আমি আভি থেকে সরে গিয়ে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লাম।

আভি আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছে।এইটা ভাবতেই আমার মনটা কেমন যেনো অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে ভরে উঠলো।খুব খুশি লাগতে শুরু করলো আমার।নিজের অজান্তেই হাসতে শুরু করলাম।

অন্যদিকে আভি
কেনো আস্থার কান্না আমি সহ্য করতে পারি না?কেনো ওর চোখের পানি আমাকে দূর্বল করে দেয়।আজ কেনো জানি নিজের অজান্তেই এই হাত দুটো ওকে জড়িয়ে ধরলো।
আভি নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে।


অন্যদিকে এইসব কান্ড কারখানা বাহিরে থেকে আদি আর জিসান দেখছিলো।

আদি ছাদের চল কথা আছে?(জিসান)

হুম।চল।(আদি)


ছাদে
আদি তোর মনে হয় আমাদের এই প্ল্যান কাজ করবে!(জিসান)

কাজ করবে কিনা জানি না!তবে এখন ওদের সত্যিটা জানা থেকে আমাদের বিরত রাখতে হবে।(আদি)

হুম।তাও ঠিক।ওদের সত্যিটা জানতে দেয়া যাবে না।সত্যিটা জানলে ওরা আলাদা হয়ে যাবে!(জিসান)

জানি না।কে বা কারা আমাদের বাচ্চাদের ক্ষতি করতে চায়।কে বা কারা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ওদেরকে ফাঁসিয়েছে।তবে যেই কারণই হোক না কেনো?এখন ওদের তা বের করতে দেয়া যাবে না।(আদি)

হুম।যতক্ষণ না পর্যন্ত ওরা বুঝতে পারছে যে ওরা একে অপরকে ভালোবাসে ততক্ষণ পর্যন্ত ওদের সত্যিই থেকে দূরে রাখাই উচিত।(জিসান)

হুম।এই জন্যই।এই জন্যই ওদেরকে আমাদের এক সাথে রাখতে হবে।হানিমুনের বাহানা করে অন্তত কিছু দিন হয়তো ওদের এক সাথে রাখা যাবে।কিন্তু পরে?(আদি)

পরের টা না হয় পরেই দেখা যাবে।আগে ওদের এখন কাছে রাখি।(জিসান)

হুম।(আদি)

পরেই আদি আর জিসান ছাদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো।না চাইতেও ছেলেমেয়ে দুটো এক সুতোয় বাঁধা পড়ে গেলো।এখন ওদের বুঝতে হবে সম্পর্ক গুলো চাইলেই ভাঙ্গা যায় না।সম্পর্ক গুলো তৈরি হয় কোনো এক কারণে,,কোনো এক উদ্দেশ্য নিয়ে।আর বাবা হিসেবে আমাদেরই ওদের বিয়ের মর্ম উপলব্ধি করাতে হবে।ওদের বুঝাতে হবে যে ওরা একে অপরের জন্যই তৈরি হয়েছে।
(আদি আর জিসান মনে মনে)

কিছুক্ষণ পর নিচে থেকে ছায়া চিৎকার করে বলল
বাবা কোথায় তুমি?আসুপি আর ভাইয়া তৈরি যাওয়ার জন্য।(ছায়া)

হুম।আসছি।চল আদি(জিসান)

হুম।চল।
বলেই আদি আর জিসান নেমে গেলো।


নিচে
আমরা সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেলাম।সবাই আমাদের বিদায় জানানোর জন্য এয়ার পোর্ট পর্যন্ত যাবে বলে ঠিক করে।আর সেখান থেকেই বাবা,মা আর ছায়া বাসায় চলে যাবে।আকাশ ভাইয়া,,পিয়ালী আর আরশিও যার যার বাসায় চলে যাবে।এইটাই ঠিক করেছে ওরা।

আমরা সবাই মিলে নিচে কথা বলছি।মা আমাকে একশো বার বলছে এইটা নিয়েছি নাকি ওইটা নিয়েছি।আভিকেও মা(সুমাইয়া)একশো বার বলছে আস্থার খেয়াল রাখবি।তোর যা হওয়ার হক আস্থার যেনো কিছু না হয় এইসব আরকি!অন্যদিকে আভি মনে মনে
আমার নিজের মায়ের কাছে এখন আমি পর হয়ে গেলাম।ছেলের বউ পেয়ে মা ছেলেকেই ভুলে গেলো।(আভি হতাশা নিয়ে)

অন্যদিকে আমার মা
আভিকে অভিযোগ করার কোনো সুযোগ দিবি না। ও যা বলবে সব শুনবি। ও যা বলবে তাই করবি।ওর সাথে তর্ক করবি না।আমি যেনো ওর মুখ থেকে তোর কোনো নালিশ না শুনি।হেনতেন আরো কত কথা।

হ্যা মা(কলি) আপনার অবাধ্য মেয়েকে আরো একটু বুঝিয়ে দিন।যাতে আমার একটু সেবা যত্ন করে।আমি কিছু বললেই আপনার মেয়ে তর্ক করে।একটু বলে দিয়েন তো যাতে একটু স্বামী ভক্ত হয়।(আভি আমাকে রাগানোর চেষ্টা করে)

কিছু বললে তুমি আমাকে বলবে বাবা।আমি দেখে নিবো।(কলি আভির মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

তুমি কোনো চিন্তা করো না মা।আমি যত্ন করবো যে উনি অভিযোগ করার কোনো সুযোগ পাবেই না।(আমি আভির দিকে তাকিয়ে দাঁত চেপে চেপে)

আর মা তোকে যদি ও(আভি)বিরক্ত করে তাহলে আমাকে বলবি আমি ওকে এমন শাস্তি দিবো আর কোনোদিন তোকে বিরক্ত করবে না।(সুমাইয়া আস্থার মাথায় হাত বুলিয়ে)

ওকে মা।(আমি উনাকে জড়িয়ে ধরে)

হয়েছে তোমাদের এখন চলো।নাহলে লেট হয়ে যাবে।(জিসান)

ওকে। চলো।
বলেই সবাই যেতে নিবে তখনই ছায়া বলে উঠলো

মা আমার নূপুর রেখে এসেছি।আমি বরং নিয়ে আসি তোমরা গাড়িতে উঠতে উঠতে,(ছায়া)

আচ্ছা।তাড়াতাড়ি আয়।(কলি)

ওকে মা।বলেই ছায়া বাড়ির ভিতরে দৌড় দিলো।


রুমে ছায়া নূপুর খুঁজছে

এইটা খুজছো?(আয়ুশ নূপুর দেখিয়ে)

হুম।আমার নূপুর তোমার কাছে আসলো কি করে?(ছায়া অবাক হয়ে)

কাল রাতে তুমি যখন ছাদে ঘুমিয়ে ছিলে তখন নিয়েছি।(আয়ুশ)

আমার গায়ে হাত দাও সাহস তো তোমার কম না।দাও আমার নূপুর।
বলেই ছায়া আয়ুশ এর কাছে নূপুর আনতে যায়।

আমার সাহস দেখবে।
বলেই আয়ুশ এক টানে ছায়াকে কাছে টেনে ওর ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।

ছায়া এই আচমকা কাজে খুব অবাক হয়ে যায়।ছায়া নিজেকে আয়ুশ এর কাছ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে।কিন্তু আয়ুশ এর শক্তির কাছে পেরে উঠে না।পরেই নিজেকে সমস্ত শক্তি দিয়ে আয়ুশকে দূরে সরিয়ে দেয়।আর সাথে সাথেই কষে একটা চড় মারে

আমার কাছ থেকে দূরে থাকো আয়ুশ।আজকে যেটা করছো ভুলেও ভবিষ্যতে সেটা করতে যেও না।না হলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।
বলেই ছায়া যেতে লাগলো তখনই আয়ুশ বলে উঠলো

আকাশের কাছ থেকে দূরে থাকো ছায়া।(আয়ুশ)

না। থাকবো না।দরকার পড়লে ভবিষতে উনাকে বিয়েও করবো।কারণ উনি আপনার মত না।উনি একজনকেই ভালোবাসে।আপনার মত মূল্যবান ভালোবাসাকে সবার কাছে বিলিয়ে বেড়ায় না।(ছায়া)

ছায়া প্লিজ।(আয়ুশ নির্বাক চোখে)

তখনই নিচ থেকে কলি ডাক দিলো।
কিরে ছায়া কতক্ষন লাগে তোর?(কলি)

ছায়া আর কিছু না বলে চলে গেলো।

অন্যদিকে আয়ুশ দেয়ালে হেলান দিয়ে
আমি কি চাই?আমি নিজেই জানি না।মনে হচ্ছে ভালোবাসা নিয়ে এতো বছরের ধারণা এখন বদলে যাচ্ছে।ছায়া কেনো তুমি আমার নেশায় পরিণত হয়ে যাচ্ছো?(আয়ুশ)


চলবে,,,^_^