#ছিলাম_তো_তোমারই_পাশে
#পর্ব_26
Writer::Shaanj Nahar Sanjida
।
।
ঢাকায়
জান।
বলেই তুলি আভিকে জড়িয়ে ধরতে আসলো।আর তখনই আভি ওর থেকে নিজেকে দূরে সরে গেল।
বসো।বসে কথা বলি।(আভি বসতে বসতে)
ওকে।(তুলি দাত চেপে)
আগে আমি আমার কথা শেষ করি।তারপর না হয় তুমি তোমার কথা বলো।(আভি)
ওকে।বলো!(তুলি)
আমি আস্থাকে ভালোবাসি।আর ওর সাথেই সারাজীবন কাটাতে চাই।ওর সাথে যেহেতু আমার বিয়ে হয়ে গেছে আমি এই বিয়ে ভাঙতে চাই না।(আভি খুব শক্ত হয়েই কথা গুলো বললো)
প্রায় এক মাস পর আমাদের দেখা হয়েছে।আর তোমার এই বলার ছিল আভি।তাহলে আমাদের ছয় বছরের সম্পর্ক?(তুলি)
তুমি কোনো দিন আমাকে বিশ্বাস করতে পারো নি।অন্যদিকে আস্থা সব সময় আমাকে বিশ্বাস করেছে।সব সময় আমার সিদ্ধান্তকে সম্মান করেছে।তুলি আমাদের মধ্যে ভালোবাসা ছিলো কিনা জানি না কিন্তু আমাদের মধ্যে বিশ্বাস কোনো দিন ছিলো না।তুমি কোনো দিন আমাকে বিশ্বাস করতে পারো নি।(আভি)
বিশ্বাস?(তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে)তোমার মনে হয় তোমাদের মধ্যে বিশ্বাস আছে?(তুলি)
হ্যা।আমার মনে হয় না আমি জানি আমাদের মধ্যে বিশ্বাস আছে।(আভি)
তাহলে চলো এখন আমার কোথায় আসা যাক।আমি তোমাকে কেনো এখানে ডেকেছি।(তুলি)
কেনো ডেকেছো?(আভি অবাক হয়ে)
আমি তোমাকে একটা জায়গাতে নিয়ে যাবো।এখন চলো আমার সাথে।
বলেই তুলি আভিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।
আরে,,,(আভি বিরক্ত হয়ে)
তুলি কোনো কথা না শুনে আভিকে নিয়ে গাড়ি দিয়ে কোথায় যেনো চলে গেলো।
।
।
অন্যদিকে
আমি ভার্সিটি শেষ করে অফিসে আমার কেবিনে বসে আছে।আজ প্রায় তিন দিন হলো আমরা ঢাকায় এসেছি।সব কিছু স্বাভাবিক চলছিলো।প্রতিদিন আভি আমাকে ভার্সিটিতে ড্রপ করে অফিসে যেতো আবার আমাকে অফিস শেষে বাসায় নিয়ে যেত অনেক ক্যায়ারিং হয়ে গেছে আভি।কিন্তু হটাৎ আজ যেনো কি হলো আভি আমাকে বললো ওর নাকি জরুরি কি কাজ আছে আমাকে একাই যেতে।কি এমন জরুরি কাজ হতে পারে? যাই হোক।সবারই ব্যাক্তিগত জীবন বলে কিছু একটা আছে। ও যখন বলেছে ওর জরুরি কাজ আছে তাহলে আমার আর বেশি চিন্তা করে লাভ নেই।
আমি এইসব ভাবছিলাম তখনই ছায়া আমার কেবিনে ঢুকলো।
বাহ! হানিমুন থেকে এসে এই বোনকে তো ভুলেই গেছো।(ছায়া আমার গলা জড়িয়ে ধরলো)
আমি ভুলি নি।বাবা মাকে জিজ্ঞেস করছিলাম তুই কোথায়!বললো তুই নাকি তিন দিনের শিক্ষা সফরে গিয়েছিলি।(আমি ওর গাল টেনে)
হুম।আজ সকালেই আসলাম।ফ্রেশ হয়ে ভাবলাম তোর সাথে দেখা করি।(ছায়া আমার কোলে বসে)
তুই মোটু হয়ে গেছিস।অনেক ভারী লাগছে।(আমি😖)
যাই হইনা কেন!তোর কোলে তো বসা আমার অধিকার।(ছায়া আমার গাল টেনে)
হুম।বুঝলাম। তা আকাশ ভাইয়ার সাথে সব কিছু ঠিক চলছে তো!(আমি)
ওকে কি সত্যিটা বলে দিবো?না আকাশ ভাইয়া না করেছে!জানলে আপু অনেক রাগ করবে আকাশ ভাইয়ার উপর।এর থেকে ভালো আকাশ ভাইয়া যখন বলবে তখনই আপু জানুক।(ছায়া মনে মনে)
কিরে কি হলো বল?(আমি)
হুম।সব ঠিক আছে।(ছায়া জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)
ঠিক হলেই ভালো।আয়ুশ কি কিছু বলেছে?(আমি)
তুই জানিস আয়ুশ এই তিনদিন কই ছিলো!(ছায়া টেবিলে বারি মেরে)
শুনেছি ও নাকি ট্যুরে গেছে। কিন্তু তুই এত রেগে আছিস কেনো?(আমি অবাক হয়ে)
ওই ছাগল।ট্যুরে যায়নি আমাদের কলেজ থেকে যেখানে শিক্ষা সফরে গিয়েছিল। ও সেখানে গিয়েছিলো আমার পিছু পিছু।(ছায়া রেগে)
কিহ!(আমি ছায়াকে ধাক্কা দিয়ে কোল থেকে নামিয়ে)
হুম।দেখ কেমন অসভ্য!এই তিনদিন শিক্ষা সফরে আমাকে যা জ্বালিয়েছে বলার মত না।উঠতে বসতে খাইতে চব্বিশ ঘণ্টা আমার পিছে ছিলো।(ছায়া রেগে পায়চারি করতে করতে)
তুই তোদের প্রিন্সিপালকে বললি না কেনো?(আমি আমার গালে হাত দিয়ে)
প্রিন্সিপাল স্যার বলে আদি আংকেলের বন্ধু।উনিই নাকি স্পেশাল গেস্ট হিসেবে উনাকে ইনভাইট করছে।(ছায়া মুখ ফুলিয়ে বসলো)
তা ও তোকে কি কি ভেবে জ্বালিয়েছে?(আমি কৌতূহল নিয়ে)
আমরা হোটেলে এক রুমে ছিলাম।(ছায়া আমার চোখ থেকে চোখ সরিয়ে)
কিহ!(আমি আমার গাল থেকে হাত সরিয়ে বড়ো বড় চোখ করে)
না না।শুধু যেই রাতে আসবো ওই রাতেই।আর আমাদের মধ্যে কিছুই হয় নি। ও সারারাত আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আমাকে সরি বলছিলো।আর বলছিলো ওর কাছে ফিরে আসতে। ও নাকি ওর নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে।আর জানিস আসুপী ও কান্নাও করেছে।আমার অনেক খারাপ লেগেছিলো।(ছায়া নিচের দিকে তাকিয়ে)
তুই কি বলেছিস?(আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)
আমি কিছুই বলি নি।উনি যা করেছে তার জন্য উনাকে এতো সহজে ক্ষমা করা আমার পক্ষে সম্ভব না।(ছায়া জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে)
হুম।তার উপরে এখন তুই আর আকাশ ভাইয়া রিলেশনে আছিস।(আমি হাতে একটা ফাইল নিয়ে)
রিলেশনে আছি?আমি তো জানি আমার আর আকাশের সম্পর্ক কি?(ছায়া আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো)
ছায়া আকাশের দিকে তাকিয়ে বসে আছে।আর আমি ফাইল ঘাটাঘাটি করছিলাম তখনই ফোন বাজলো।তাকিয়ে দেখি আভির ফোন।আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে ফোনটা রিসিভ করতেই ও পাশ থেকে শুকনো গলায় বললো
আস্থা।তোমার বাবা মাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় এসো।
বলেই ফোনটা কেটে দিলো।আমি কিছু বলার আগেই।
আমার কেনো জানো একটু চিন্তা হতে লাগলো।আভির এমন শুকনো গলা আমার ভালো ঠেকলো না।কেনো জানি মনে মনে একটু ভয় হতে লাগলো।আমি একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে ছায়াকে বললাম
ছায়া।বাবা কোথায়?(আমি)
বাবা তো উনার কেবিনে!কেনো?(ছায়া অবাক হয়ে)
চল।
বলেই ছায়াকে নিয়ে বাবার কেবিনে ঢুকলাম।বাবা কাজ করছিলো।তখনই আমি ঢুকে বললাম
বাবা।চলো!(আমি বাবার হাত ধরে)
কোথায় যাবো?(বাবা অবাক হয়ে)
যেতে যেতে বলবো।
বলেই বাবা আর ছায়াকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।মাকে ফোন করে বাড়ির মোড়ে আসতে বললাম সেখান থেকে মাকে নিয়ে চৌধূরী বাড়িতে পৌঁছলাম।বাড়িতে ঢুকার আগেই দেখতে পেলাম।বাবার(আদি) গাড়ি বাড়িতেই আর সাথে আয়ুশ আর আভির গাড়িও।তারমানে সবাই বাড়িতে।কিন্তু কি এমন হলো যার কারণে সবাই বাড়িতে।
আমি বাড়িতে ঢুকতেই দেখলাম বাবা(আদি) মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে আছে।আর মা(সুমাইয়া) মুখ কালো করে পাশেই দাড়িয়ে আছে।আভির চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট।আয়ুশও চুপ করে বসে আছে।
আভি কি হয়েছে?তুমি তাড়াতাড়ি সবাইকে আনতে বললে কেনো?(আমি)
আস্থা।আমি কি তোমাকে ভালোবেসে কোনো অপরাধ করেছি।(আভি)
কী হয়েছে আভি তুমি এমন কথা বলছো কেনো?(আমি অবাক হয়ে)
ওই ছেলেকে চিনতে পারছো?(আভি একটা ছেলেকে দেখিয়ে)
আমি ঐদিকে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলাম।
এই ছেলেই তো সেই ছেলে যে আমাকে কোল্ড ড্রিংকস দিয়েছিলো।এই ছেলে,,
বলেই আমি ছেলেটার কাছে গেলাম।
এই ছেলে বলো। তোমাকে কে বলেছিল আমাদের ড্রিংকসে ঘুমের ওষুধ মিলাতে!(আমি ছেলেটার কলার চেপে ধরলাম)
ম্যাডাম এইসব আপনি কি বলছেন?আপনিই তো ওই ড্রিংকস এর কিছু মিশিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।আমি জিজ্ঞেস করতেই বলেছিলেন একটা কথাও যেনো না বলি একদম চুপ করে থাকি।এখন আপনি আমাকে বলছেন।(ছেলেটা)
কিহ!আমি এইসব করছি কি বলছিস তুই?(আমি রেগে)
হ্যা।আর আমার কাছে প্রমাণও আছে।(ছেলে)
কী প্রমাণ!(আমি অবাক হয়ে)
এইযে
বলেই ছেলেটা সবাইকে একটা ভয়েস রেকর্ড শুনালো ভয়েস রেকর্ডটা এই রকম
ম্যাম!আপনি এইসব কি করছে?(ছেলেটা)
চুপ চাপ।যা হচ্ছে হতে দাও।আরেকটা কথা বললে তোমার খবর আছে।(আমার সুর)
এইটা শুনে আমি সহ সবাই অবাক হয়ে গেলাম।
ম্যাম।আপনি যা করছেন ঠিক না!(ছেলেটা)
আমি জানি আমি কি করছি।তোমার কথা আমার শুনতে হবে না।(আমার সুর)
কেউ জানলে কি হবে একবার ভেবে দেখেছেন?(ছেলেটা)
কে জানবে কাজটা আমি করেছি!তুমি কাউকে বলবে?তোমার এতো সাহস আছে?আর কেউ যদি জানতে পারে তবে তোমাকে আমি ছাড়বো না।(আমার সুর)
এইবার বলুন।কে সত্যিই কথা বলছে?(ছেলেটা ভয়েস রেকর্ড অফ করে)
এইটা কিছুতেই আমার মেয়ের সুর হতে পারে না!কেউ ওর সুর নকল করে ওকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।(জিসান)
আমিই এইসব বলেছি বাবা।(আমি মাথা নিচু করে)
আসু?(কলি অবাক হয়ে)
এই কথা গুলো আমারই বলা।কিন্তু এর সাথে ড্রিংকসে ঘুমের ওষুধ মেশানোর সাথে কোনো মিল নেই।এই কথা গুলোকে অন্যভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে।আভি বিশ্বাস করো আমি এইসব কিছুই করিনি।(আমি আভির হাত ধরে)
আস্থা বুঝলাম।এই ভয়েস রেকর্ড মিথ্যা কিন্তু এই ছবিটা?এই ছবিটা কি করে মিথ্যা হতে পারে!
বলেই আভি আমার মুখে কয়েটা ছবি ছুঁড়ে মারলো।
ছবিতে দেখানো হয়েছে আমি ড্রিংকসে কিছু মেশাচ্ছি।
আমি ছবি হাতে বসে আছি।
আসুপি।এইটা তুই না।ঠিক না?(ছায়া আমার কাধে হাত রেখে)
এইটা আমিই।(আমি কাদতে কাদতে)
সেদিন আমি মজা করে নিহাল ভাইয়ার ড্রিংকসে লবণ মিশিয়ে দিয়েছিলাম।ভাবতে পারিনি এর ছবি তুলে এইভাবে আমাকে ফাঁসানো হবে।(আমি মনে মনে)
এই ব্যাপারে কি বলার আছে তোমার আস্থা?(আভি কঠিন গলায়)
এইটা আমিই। কিন্তু আমি নিহাল ভাইয়ার ড্রিংকসে লবণ মিশিয়ে ছিলাম।এইটা তারই ছবি!(আমি কাদতে)
তাহলে নিশ্চয়ই নিহাল এইটা খেয়ে ছিলো! ওকে জিজ্ঞেস করলেই প্রমাণ পাবো!(আভি)
না উনি খায়নি।কারণ নেয়ার আগেই গ্লাসটা আমার হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে গেছে।(আমি)
আরো কত?আস্থা আর কত মিথ্যা কথা বলবে?(আভি আমার বাহু চেপে ধরে)
আহ্!(আমি কাদতে কাদতে ঢেঁকুর দিয়ে)
আভি বাবা।আস্থা এমন কেনো করবে?(জিসান আভিকে আটকে)
ঠিক। ও কেনো এমন করবে?যদি না আপনি ওকে দিয়ে এইটা করান।(আভি দাত চেপে)
আভি ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে বাবার সামনে দাড়ালো।আর মা আর ছায়া আমাকে ধরলো।
আমি কেনো এমন করবো?(জিসান অবাক হয়ে)
কারণটা আমি বলছি!
বলেই রামিন আর রাইশা।ওদের সাথে তিশা আর তুলিও ছিলো আসলো।
শয়তানের এন্ট্রি হয়ে গেলো।(আমি ফ্লোর থেকে উঠে দাড়ালাম)
কারণ তুই আমার মেয়ে তুলি আর আভির সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিলি!(রামিন)
আমি তোর মত জঘন্য না।(জিসান চিৎকার করে)
চিৎকার করে সত্যিটা বদলে যাবে না।তুই আমাকে কষ্ট দিতে আমার মেয়ের সম্পর্ক খারাপ করলি এতো খারাপ তুই কি করে হতে পারলি?(রামিন)
রামিন
বলেই জিসান ওকে একটা ঘুষি মারলো।
জিসান!এইটা ভদ্র লোকের বাড়ি।(আদি চিৎকার করে)
আদি তোরও মনে হয় আমি আর আমার মেয়ে এইসব করেছি?(জিসান অবাক হয়ে)
জিসান।এখন যা আমার সামনে এসেছে আমি তাই সত্যিই ভাববো।আর তুইই তো বলেছিলি বদলা নিবি। কিন্তু ভাবতে পারি নি।তুই এইভাবে আমার ছেলেকেও ব্যবহার করবি।(আদি)
আদি,,,
জিসান আরো আরো কিছু বলতে যাবে এর আগে আস্থা ওকে থামিয়ে
বাবা।যাদের চোখে এখন মিথ্যার পর্দা পড়ে আছে।তাদের কাছে এখন সত্য অনেক ক্ষুদ্র।চলো এই বাড়ি থেকে।আর হ্যা আদি আঙ্কেল আর আভি তোমাদের কথা দিচ্ছি নিজেকে আর বাবাকে নির্দোষ প্রমাণ করেই ছাড়বো।চলো বাবা।
বলেই বাবাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম।
কিছুক্ষণ পরেই আভিও কোথায় যেনো বেরিয়ে গেলো।
।
।
আমি গাড়ি ড্রাইভ করছি আর চোখের পানি মুছে ফেলছি।যতই বলছি কাদবো না।ততই কান্না পাচ্ছে।কি করে সামলাবো এই কান্না জানি না।পিছনে বাবা মা বসে আছে মা বাবাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।এতো ভালো বন্ধুত্ব শেষ হয়ে গেল এটা যেনো বাবা মেনেই নিতে পারছে না।তারউপর আবার আমার সংসার শুরু হতে না হতেই ভেঙ্গে গেলো।সব মিলিয়ে বাবা খুব বড়ো একটা ধাক্কা খেল।অন্যদিকে ছায়া আমার পাশে সিটে বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।কি বলবে ও অজানা।যেই বোন ওর শক্তি সেই বোন আজ ওর সামনেই সব চেয়ে দূর্বল হয়ে গেছে।আমি ড্রাইভ করছি এমন সময় হটাৎ একটা গাড়ি এসে আমাদের গাড়ির সামনে ব্রেক করলো।যার কারণে আমাকেও এমার্জেন্সি ব্রেক কষতে হলো।এমনি মন ভালো নেই।তার উপর এমন ঘটনা সব মিলিয়ে রাগে যেনো ফেটে গেলাম।
গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে যেই সামনের গাড়ির লোককে মারতে যাবো সেই দেখি ওই গাড়ি থেকে আভি বেরিয়ে আসলো।ওকে দেখে মেজাজ আরো বিগড়ে গেলো।
ওই মিস্টার।বাড়ি থেকে তো বের করেই দিয়েছেন এখন কি দুনিয়া থেকে বের করার চিন্তায় আছেন।এতো অপমান করেও শান্তি হয় নি যে বাকি অপমান করার জন্য চলে এলেন।আর কি অপমান বাকি ছিল?আরো কিছু বলতে যাবো তার আগেই আভি আমাকে কাধে তুলে নিলো।
আরে,,,?মাথা কি খারাপ হয়ে গেলো? নামান আমায়! কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?(আমি অবাক হয়ে)
আভি আস্থাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দেখেই জিসান,,কলি আর ছায়া তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নামলো
এই আমার মেয়েকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?(জিসান)
আমার কাছে বিয়ে দিবেন বলে এতো কিছু করলেন।আর এখন নিয়ে চলে যাবেন তাতো আর আমি হতে দিবো না।আমার বউ আমি নিয়ে গেলাম।যেহেতু ওর বিয়ে আমার সাথে হয়েছে ওকে আমার সাথেই থাকতে হবে।
বলেই আভি আমাকে গাড়িতে করে নিয়ে চলে গেলো।
ও কি বললো?(জিসান)
ভাইয়া উনার বউ নিয়ে গেলো!(ছায়া)
মজা করছে নাকি!আমার মেয়েকে যে বিশ্বাসই করে না।তার কাছে আমি আমার মেয়েকে কিছুতেই দিবো না।কলি ছায়া গাড়িতে উঠো।আমরা এখনই চৌধূরী বাড়িতে যাবো।আদি কে ধরবো।ওর ছেলের সাহস কি করে হয় আমার মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার।(জিসান রেগে)
।
।
চলবে,,,^_^