#ছিলাম_তো_তোমারই_পাশে
#পর্ব_27
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida
।
।
চৌধুরী বাড়িতে
আগেই বলেছিলাম।জিসানের সাথে বন্ধুত্ব রাখতে না।কিন্তু কে শুনে কার কথা।এখন বন্ধুত্ব রেখে দেখলে কি হয়েছে?কি করে ও পারলো তোমার ছেলেকে ব্যাবহার করতে!(রামিন)
আমি তো ভাবতে পারি নি।এতো বড়ো পরিকল্পনা করবে জিসান আর ওর মেয়ে।(রাইশা)
আদি আমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে।আস্থা এইসব কিছুই করতে পারে না।আস্থাকে যদিও আমি বেশি দিন চিনি না।তবুও ও এমন কিছু করতে পারে এইটা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।(সুমাইয়া মনমরা হয়ে)
আরে খালামণি তুমি ওইসব মেয়েকে চিনো না।ওরা অনেক খারাপ হতে পারে।নিজের স্বার্থের জন্য ওরা অনেক নিচে নামতে পারে!(তুলি)
সবাই তো আর তোমার মত না।সবাইকে নিজের সাথে জোড়া দিও না।তুমি সার্থপর হতে পারো কিন্তু আস্থা ভাবী উনি কিছুতেই সার্থপর হতে পারে না।বাবা আমিও মার সাথে একমত আস্থা ভাবী বা জিসান আঙ্কেল এমন কিছু করতে পারে না।(আয়ুশ রেগে)
তুমি কি বলতে পারো?তুমি ওদের চেনো কতো দিন হলো।আর তুমি এইসব বলছো!(তিশা)
তুমি মাঝখানে কথা বলবে না তিশা।(আয়ুশ রেগে)
আদি শুধু চুপ করে ওদের কথা শুনছে।বিশ্বাস হচ্ছে না জিসান এমন কিছু করতে পারে।ওর সাথে আমার অনেক বছরের বন্ধুত্ব। ও আর যাই করুন আস্থাকে কোনো বিপদে ফেলবে না।আস্থা ওর প্রাণ।আর আস্থাকে এই বিষয়ে টানবে এতো ছোট মন জিসানের না।তবে কি আমাদেরই ভুল হচ্ছে!আমরাই কি ওদের ভুল বুঝছি।তবে যাই হোক জিসানের সাথে ঠান্ডা মাথায় কথা বলতে হবে এর পিছনে কে আছে আমাদের তা বের করতে হবে।হতে পারে কেউ আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট করার জন্য এই চাল চেলেছে।যদি কেউ এই চিন্তা করে থাকে তবে তার চিন্তা ভাবনা কিছুতেই সফল করতে দেয়া যাবে না।
এইসব ভেবেই আদি এইটা দীর্ঘ শ্বাস নিতেই ওর ডাক পরলো বাহিরে থেকে।
আদি আদি!(জিসান রেগে)
কী হয়েছে?তুই চেচাছিস কেনো?(আদি ভ্রু কুঁচকে)
তোর ছেলে আমার মেয়েকে কোথায় কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে বল!(জিসান রেগে)
বাবা।শান্ত হও।(ছায়া জিসানকে শান্ত করার চেষ্টা করে)
কিসের শান্ত?আজ এখানে যুদ্ধ হবে।তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ।বল আমার মেয়েকে কোথায় নিয়ে গেছে তোর ছেলে?(জিসান রেগে)
আমি কি জানবো?আমার ছেলে নিয়ে গেছে আমি তো আর নিয়ে যাই নি।(আদি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)
মানে?তুই জানিস না তোর ছেলে কোথায়?(জিসান)
না।জানি না।জানলেও বলবো না।(আদি)
কেনো বলবি না?(জিসান অবাক হয়ে)
তোর মেয়ে এখন তোর মেয়েই না আমার ছেলের স্ত্রীও। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তুই নাক গলানোর কে?(আদি)
একটু আগেই তো তুই অন্য সুরে কথা বলছিলি।আমাকে আর আমার মেয়েকে অবিশ্বাস করছিলি।এখন আবার এই কথা বলছিস?(জিসান অবাক হয়ে)
আয় এসে বস।বসে কথা বলি।সুমাইয়া লেবুর সরবত নিয়ে এসো।(আদি বসতে বসতে)
আদির কথা গুলো রামিন আর রাইশা সহ ওদের পরিবারের সবাই শক খেয়ে গেলো।
এইরে এদের বন্ধুত্ব আবার আমার প্ল্যান ভেসতে দেবে নাকি?আদি তো একটু আগে ক্ষেপে ছিলো।এখন আবার এতো শান্ত হয়ে গেল কি করে?কিছু কি আন্দাজ করতে পেরেছে নাকি?(রামিন মনে মনে)
আদি!যা বলার সোজাসুজি বল।(জিসান)
দেখ জিসান।আমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে তুই এইসব করিস নি।যদিও তোর সাথে তখন আমি খারাপ ব্যবহার করেছি তবুও এখন তোকে সরি বলছি।আমাদের বন্ধুত্বের উপর আমাদের বিশ্বাস রাখা উচিত।আমাদের বন্ধুত্ব ভাঙতেই কেউ এমন কিছু করেছে।আমার তোর আর আস্থা মার উপর বিশ্বাস আছে তোরা এইসব কিছুই করিস নি।যদিও ক্ষণিকের জন্য তোর উপর আমার বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলাম।এখন ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখলাম আমি ভুল করেছি।আমাকে ক্ষমা করে দিস।(আদি হাত জোড় করে)
এমন করে বলিস না।আমাদের মধ্যে বিশ্বাস আছে এতেই আমি অনেক খুশি।তুই যে বিশ্বাস করেছিস আমি এমন কিছুই করতে পারি না এতেই আমার অনেক বড়ো পাওয়া হয়ে গেছে।আর সত্যিই আমি এমন কিছু করিনি।(জিসান শান্ত হয়ে)
আমাদের বন্ধুত্বের উপর বিশ্বাস আছে আমার।(আদি মুচকি হেসে)
অন্যদিকে রামিন দাত চেপে চেপে শুধু কথা গুলো শুনছে।আর রাগে ফুলছে।ওর চল উল্টো হয়ে গেছে।জিসান আর আদির বন্ধুত্বের কাছে হেরে গেলো ওর চাল।
এদিকে সবাই অনেক খুশি।সুমাইয়া আর কলি তো খুশিতে কেঁদে ওঠে।আয়ুশ ছায়ার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ করলো।আর ছায়াও মুখ ভেংচি দিলো।
।
।
অন্যদিকে
আমাকে এখানে তুলে আনার কোনো মানেই হয় না।আমাকে যেতে দাও।(আমি রেগে)
না। দেবো না।কেনো যাবে তুমি?আমাকে বিয়ে করার খুব শখ ছিল না তোমার?(আভি রেগে)
হ্যা ছিলো।অনেক ছিলো।এখন ছেড়ে চলে যাওয়ার শখ অনেক।খুশি?
বলেই আমি যেতে নিলাম তখনই আভি আমাকে এক টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।
না খুশি না।আমি কি টিসু পেপার নাকি?দরকার পড়লে ব্যবহার করবে আর দরকার শেষ হলে ফেলে চলে যাবে!(আভি আমাকে জড়িয়ে ধরে)
ছাড়ো আভি!কোন অধিকারে আমাকে রাখবে শুনি?(আমি ছুটার চেষ্টা করে)
স্বামীর অধিকারে!(আভি আমাকে আরো চেপে ধরল)
স্বামীর অধিকারের কথা তোমার মুখে মানায় না।স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিশ্বাস থাকে।আর তুমি আমাকে তো বিশ্বাসই করো না।(আমি)
আস্থা এমন না আমি তোমাকে বিশ্বাস করি না!(আভি আমাকে ছেড়ে দিয়ে)
তাহলে কি?(আমি অবাক হয়ে)
আমি জাস্ট কিছুই বুঝতে পারছি না।আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।কিন্তু এখন আমার সামনে যেই সত্যিই এসেছে এর পরে আমি কি করবো আমার মাথায় কিছু আসছে না!(আভি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো)
আভি আমি এইসব কিছুই করি নি।ওই ভয়েস রেকর্ড আমারই ঠিকই।কিন্তু ওই ভয়েস রেকর্ড যখন ওই ছেলে কোল্ড ড্রিংকস নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো তখন আমি সেই কোল্ড ড্রিংকস নিতে গিয়েছিলাম।তখন ওই ছেলের সাথে আমার এমন কথা হয়েছিল।ওই ছেলে বলেছিলো যে এইটা নাকি অন্য জনের জন্য ।উনি জানলে রাগ করবে তখন আমি ওকে বলেছিলি কাউকে বলতে না। ও না বললেই তো কেউ জানবে না ড্রিংকসটা আমি নিয়েছি।এইটাই ওই ছেলে অন্যভাবে ব্যবহার করেছে।আর ড্রিংকস এ মিশানোর সময় নিতু আপু আমার সাথেই ছিলো।আমি আর নিতু আপু মিলেই এই কাজ করেছিলাম।আর যখন নিয়ে যেতে লাগলাম তখনই তিশার সাথে ধাক্কা খেয়ে গ্লাসটা পরে যায়।আমি শুধু তোমাকে এতটুকুই বলতে পারবো আমি কিছুই করি নি।(আমি আভির পাশে বসে)
আভি আস্থার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো।কি যেনো সন্দেহ হতে লাগলো ওর।পরেই
বুঝলাম তুমি কিছু করো নি।তবুও তোমাকে এখানেই থাকতে হবে।
বলেই আভি চলে গেলো।যাওয়ার আগে দরজা বাহিরে থেকে বন্ধ করে দিলো।
আভি।এইটা কিন্তু অতিরিক্ত হচ্ছে।আমি তোমাকে সব সত্যিই বলে দিয়েছি এখনো তুমি আমাকে বিশ্বাস করছো না।দূর।অনেক হয়েছে এখন যা করার আমারই করতে হবে।
বলেই দরজায় একটা লাথি মারলাম রাগে।
।
।
বাহিরে আভি ফোন দিয়ে
হ্যালো।আমার একজনের একমাসের সব কাজকর্মের ইনফরমেশন লাগবে।আমি তোমাকে তিন ঘণ্টা সময় দিলাম।আমি উনার ছবি আর বাকি ইনফরমেশন তোমাকে দিচ্ছি।
জ্বি।স্যার হয়ে যাবে।আপনি একদম চিন্তা করবেন না।(ডিটেকটিভ)
থ্যাংকস।(আভি)
এইটা আমার কাজ স্যার।(ডিটেকটিভ)
হুম।
বলেই আভি ফোনটা কেটে দিলো।
যাই আমার পাগলীটার জন্য কিছু বানিয়ে ফেলি কিছু খায় নি।এখন ওকে কিছু বলা যাবে না আগে প্রমাণ পাই তারপর যা করার করবো।এখন আস্থাকে বললে ও নিজেই গোয়েন্দা হয়ে যাবে।
পরেই আভি আস্থার জন্য কিছু বানাতে গেলো।
।
।
অন্যদিকে
আস্থা এখান থেকে যে করেই হোক পালাতে হবে।আভিকে প্রমাণ করে দিবো আমার বাবা কিছুই করে নি।কিন্তু এখন এখান থেকে পালাবো কি করে?
বেলকনিতে গিয়ে দেখি সেখানে গ্রিল নেই।আর এখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
বাহ।আভি তুমি বড্ড বকা।এই দুতলা থেকে আমি অনায়াসে পাইপ বেয়ে নিচে নিবে যাবো।
যা বলা তাই কাজ।খুব সহজে নিচে নেমে গেলাম।গেটে কোনো দারোয়ানও ছিলো না।তাও গেট পার হয়ে গেলাম।
এক দৌড়ে অনেক দূরে চলে আসলাম।এখন কথা হচ্ছে যাবো কোথায়?বাসায় গেলে আভি আবার ধরে নিয়ে আসবে।আরশির বাড়ি গেলে সেখানে খুব সহজেই জেনে যাবে।তাহলে যাবো কোথায়?এক মিনিট আমি যাবো কোথায় তা পড়ে সবার আগে কথা হচ্ছে আমি আছি কোথায়?
চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম আমি গুলশানে আছি।গুলশানে যেনো কার বাড়ি ছিলো? কার বাড়ি? কার বাড়ি? ও হ্যা নিতু আপুর বাড়ি গুলশানে!নিতু আপুর বাড়িতে আমি গেলে কেউ কিছুই বুঝতে পারবে না।ওয়াও আসু তোর কোনো তুলনা নেই।এখন বাড়িটা খুজে বের করতে পারলেই হবে।
পরেই হাঁটতে হাঁটতে খুঁজতে লাগলাম উনাদের বাড়ি। হাতে একটা পয়সাও নেই। ফোনটাও নেই।কাউকে ফোন করবো এতেও রিস্ক।আভি যদি জেনে যায়।আমারও কপাল কি? ভালোবেসেছি তো বেসেছি একটা কিডন্যাপারকে।এখন জীবন তেজপাতা।
প্রায় দুই ঘণ্টা খোজার পর অবশেষে নিতু আপুর বাসা খুঁজে পেয়েছি।নিতু আপু একটা ফ্ল্যাটে থাকে।উনার বাবা বিদেশে থাকে মা উনার সাথেই থাকে আর উনি একাই উনার অন্যকোনো ভাই বোন নেই।বিয়েতে উনি একাই গিয়েছিলো উনার মা যাননি।আমি উনার বাসার কলিং বেল টিপ দিলাম।বুক ধুকপুক করছে।না বলে এসেছি না জানি উনারা কি ভাববে?কিছু ভাবলেও আমার কিছু করার নেই।বিপদে পড়লে বিড়ালও গাছে উঠে আমি তো মানুষই।
দরজার খুলে দিল নিতু আপু।
আস্থা তুমি?(নিতু অবাক হয়ে)
আসসালমুআলাইকুম নিতু আপু।(আমি জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)
অলাইকুম আসসালাম।(নিতু আপুর অবাক চেহারা এখনও রয়েছে)
বাসায় কি কেউ আছে?(আমি উকি দিয়ে)
না।আমি একাই আম্মু নিহাল ভাইয়াদের বাসায় গেছে।বিয়েতে যেতে পারেনি তো তাই।আজ রাত সেখানেই থাকবে।(নিতু)
আল্লাহ বাঁচাইছে।
বলেই আমি বাসায় ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলাম।
কিছু মনে করো না আস্থা।কিন্তু তুমি এইসময়।আর এই অবস্থায়?(নিতু আপু আমাকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখলো)
আমার অবস্থার নিম্ন রূপ
খালি পায়ে অর্ধেক গুলশান হাঁটলে পায়ের যেই অবস্থা হয় আমারও সেই অবস্থা।কারণ আমি নিজে বের হতে পারলেও জুতো বেচারাকে আনতে পারিনি।চুল গুলো উসকখুস্ক হয়ে আছে।কান্না করার জন্য মুখ ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে।পুরো কথা আমাকে পাবনার পাগল ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে না।
নিতু আপু আমি সব খুলে বলবো।কিন্তু এখন আমাকে কাপড় দাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।(আমি)
তুমি ওই রুমে(আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে) যাও।আমি কাপড় নিয়ে আসছি।(নিতু)
আচ্ছা।
বলেই আমি রুমে গিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লাম।
পরেই নিতু আস্থার জন্য কাপড় নিয়ে আসলো।নিতু মোটা হওয়ার জন্য ওর কাপড় আস্থার হবে না।তাই নিতু ওর মার একজোড়া কামিজ সেলোয়ার দিলো।আস্থা ফ্রেশ হচ্ছে এই ফাঁকে নিতু আস্থার জন্য কিছু খাবার আনতে চলে গেলো।
।
।
অন্যদিকে
আস্থা এই দেখো তোমার জন্য নুডুলস বানিয়ে নিয়ে এসেছি।
বলেই আভি রুমে ঢুকে দেখলো আস্থা নেই।আস্থা চড়ুই পাখির মতো ফুরুৎ দিয়ে চলে গেলো।
আস্থা?আস্থা।
আভি আস্থা আস্থা বলে সারা বাড়ি মাথায় তুলে নিলো কিন্তু আস্থাকে আর কে পায়?
আভি আস্থাকে খোজার জন্য গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।
।
।
অন্যদিকে
চৌধুরী বাড়ি থেকে সব মান অভিমান কাটিয়ে আদি আর জিসান আবার এক হয়ে গেলো।সবাই মিলে আভিকে ফোন করার চেষ্টা করছে।কিন্তু আভি ফোন ধরছে না।অন্যদিকে আস্থার ফোন ছায়ার কাছেই ছিলো।অবশেষে ওরা সিদ্ধান্ত নিলো যে ওরা এখনকার জন্য যার যার বাসায় চলে যাবে।পড়ে যেই এই কাজ করেছে তাকে খুঁজে বের করা যাবে।এই জন্যই জিসান আর কলি ছায়াকে নিয়ে বাসায় চলে যায়।আর রামিন ও ওর পরিবারকে নিয়ে বাসায় চলে যায়।
।
।
তুমি তো বলেছিলে ওদের বন্ধুত্ব থাকবে না!কিন্তু এখন দেখো ওদের বন্ধুত্ব আরো অটুট হয়ে গেলো।আর সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার বদলে আস্থা আর আভির সম্পর্ক আরো মজবুত হয়ে গেলো এখন যাই হোক না কেনো দুই পরিবার এক সাথে সব কিছুর মোকাবেলা করবে।(তুলি রাগে চিৎকার করে)
আমি কি জানতাম ওদের সম্পর্ক গুলো এত মজবুত যে আমাকেই বাজিমাত করে দিবে!(রামিন)
তোমাকে আর কিছু করতে হবে না।যা করার আমিই করব!(তুলি)
কী করবি তুই তুলি?(রাইশা ভয়ে ভয়ে)
আমি আস্থাকে মেরে ফেলবো!আমি আমার আর আভির মধ্যে কাউকে আসতে দিবো না।যেই আসবে আমি তাকেই মেরে ফেলবো।আর সে যদি আস্থাও হয় আমি ওকেও ছাড়বো না।(তুলি শয়তানী হাসি দিয়ে)
এইসব কি বলছিস তুই?(রাইশা)
ও ঠিকই বলছে।আস্থাকে মেরে তার দোষ এখন আমরা আভিকে দিবো।আভি সারাজীবন অনুতপ্ত থাকবে।(রামিন)
রামিন তুলি তোমরা পাগল হয়ে গেছো!কি বলছো এইসব?(রাইশা)
হ্যা হ্যা।আমরা পাগল হয়ে গেছি।যখন জিসান আমার বিজনেসকে ডুবিয়ে রেখেছিলো তখন মনে ছিলো না।আরে আমি কি করেছিলাম শুধু একটু ভেজালই তো মিশিয়ে ছিলাম।আর এতে কি হয়েছিল কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হসপিটালে ভর্তি ছিলো।আর একজন মারা গেছে।কে বলেছিল জিসানকে পুলিশকে খবর দিতে!জরিমানা তো করিয়েছে আমার ব্যবসা ডুবিয়ে আমাকে পথের ফকির বানিয়েছিল।আমি ভুলি নি সেইসব কথা!আদি যদি তখন একটু আমার সাইডে থাকতো যখন পুলিশ তদন্ত করছে।তাহলে আমার এতো লস হতো না। ও ওর বন্ধুর সাইড নিয়েছে।এখন ওদের সবাইকে তো এর মাশুল দিতে হবেই।(রামিন)
তিশা অবাক হয়ে ওর বাবা আর বোনের মানুষ রুপী পশুর চেহারা দেখছে।রাইশা শত চেষ্টা করেও ওর স্বামী আর মেয়েকে আটকাতে পারছে না।এখন আর আটকে কি হবে!যখন মেয়ে আর স্বামীকে আটকানোর উচিত ছিল তখন তো ওদের আটকানোর বদলে আরো সাথে ছিলো।সবাই তার কর্মের কিছুটা ফল হলেও এই পৃথিবীতেই পেয়ে যায়।তেমন এইটাও হচ্ছে রাইসার পাপের ফল।
।
।
চলবে,,,^_^