ভালোবেসে ফেলেছি পর্ব-২৮+২৯

0
2042

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 28
writer : Mohona

.

দহন : কাকনের এক্স হাজবেন্ড।
রবি-রনক : হুয়াট?
দহন : হামমম।
রবি : দেখ ভাই সামনেই আমার বিয়ে। সামনে কি…. ৭টা দিন পরই বিয়ে… বিয়ের ৭টা দিন আগে আমার বউটাকে বিধবা না করতে চাইলে কাহিনি কি বল…
দহন : বলবোই তো….
দহন সবটা বলল।
রনক-রবি : 😱।
রনক : ১টা মেয়ে এতোটা জঘন্য কি করে হতে পারেরে…
দহন : ডোন্ট নো…
রবি : তুই ওকে কোনো প্রশ্ন করবিনা?
দহন : কেন করবো? ও কে আমার?
রনক : এভাবেই ছেরে দিবি তাহলে?
দহন : নট অ্যাট অল। আমি ওকে এমন ভাবে অপমানিত করবো যে আফসোস করবে কেন জেইল থেকে বের হলো…
রনক : হামমম।
রবি : আচ্ছা কাকনকে কেন যে ইনভাইট করতে বললি? আমি তো বাবাকে বলে ওকে ইনভাইট না করার ব্যাবস্থা করে ফেলেছিলাম… তোর জন্য আবার করতে হলো…
দহন : দেখ আমরা সবাই কাকনকে চিনি… ওকে ইনভাইট না করলেও ও হাজির হতোই।
রবি : হ্যা তা ঠিক।
দহন : তুই ইনভাইট করেছিস বিষয়টা ভালো হয়েছে। না হলে দেখা যেতো যে তোর পিছে লাগতো।
রনক : ঠিক বলেছিস।
দহন : আর ও না এলে খেলাটা জমবেনা।

.

সকালে…
দহন : মর্নিং মিসেস ভীতু…
বহ্নি : 😒…
দহন : এভাবে তাকানোর মানে কি? তুমি কি ভীতু নও…
বহ্নি : হুহ…
দহন বহ্নির গালটা টেনে দিলো।
দহন : শোনো আজকে তোমার না হওয়া স্বতীন পৌছাবে । যেকোনো মুহুর্তে… তাই ওর সামনে আরও বেশি বেশি রোম্যান্স করবো আমরা।
বহ্নি : নট নিডেড।
দহন : মানে?
বহ্নি : কাউকে কিছু দেখানোর জন্য কেন কিছু করবো আমরা? এতে তো কাকন আরও ক্ষেপে যাবে। হয়তো ভয়ংকর কিছু করবে। আর এতে কার ক্ষতি হতে পারে? তোমার আমারই তো … তাইনা? ওকে ইগনোর করি আমরা। বা ওকে রিয়েলাইজ করাই যে তুমি জীবনে আগে বেরে গিয়েছো। তাই ওরও সেটাই করা দরকার।
দহন : ওরে আমার বউটারে… তুমি কাকন বানুকে চিনোনা…. ও হচ্ছে লেডি ভয়ংকরি। ওকে যদি তোমার বুদ্ধিমতো শিক্ষা দিতে যাই তবে আমাদের ১০-১২টা বাচ্চা কাচ্চা হয়ে গেলেও ও আমার পিছু ছারবেনা। ও ১টা সাইকো টাইপ মেয়ে। বুঝেছো?
বহ্নি : সাইকো বলেই তো দহন আহমেদের সাথে প্রেম করতে পেরেছে …
দহন : ওই ওই ওই আমি সাইকো?
বহ্নি : অবশ্যই …
দহন বহ্নিকে কাছে টেনে
বলল : আমার ভালোবাসায় তুইও ১দিন সাইকো হবিরে পাগলি….
বহ্নি : আহা… শখ কতো। দেখি ছারো…
দহন : উহু…
বহ্নি : দেখো এটা বাসা না…
দহন : তো?
বহ্নি : 😒।
দহন : সত্যি বলতে কি রাগের থেকে ভয় পেলে তোমাকে বেশি সুন্দর লাগে। রেডি থেকো… আজকে যেকোনো সময় তোমাকে ভয় দেখাবো…
বহ্নি : হুয়াট?
দহন : হামম মাই বউটা।
বহ্নি : একদম না।
দহন : একদম হ্যা।
বলেই দহন বহ্নির কপালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলো।
বহ্নি : ডাকাত কোথাকার…

.

সবাই বসে আড্ডা মারছে। তখন গাড়ি নিয়ে হাজির হলো কাকন। তবে গাড়ি থেকে নামার পর কাকনকে দেখে সবাই অবাক হলো। কারন কাকন শাড়ি পরা। আসলে কাকন খুব ১টা শাড়ি পরতো না। ওর পছন্দের না… ১প্রকার অপছন্দেরই । তবুও দহনের পছন্দ বলে কেবল দহনের জন্মদিনে পরতো । কাকনের চুলও বেশ বড় হয়েছে। সবাই বুঝতে পারলো যে বেশকদিন ধরেই কাকন কোনো হেয়ার কাট দেয়নি। দহন ১বার কাকনের দিকে চোখ ঘুরিয়ে নিলো। দহনের ঠোটের কোনে তাচ্ছিল্যের বাকা হাসি ।
কাকন : হাই গাইস।
সবাই : হ্যালো।
কাকন : সরি ফর লেইট। আসলে কালই আসতে চেয়েছিলাম। ১টা কাজ পরে যাওয়ায় আসতে পারিনি।
রবি : ইটস ওকেরে…
কাকন : সো সুইট অফ ইউ…
রবি : তুই না এলেও আমরা কিছু মনে করতামনা। খুশিই হতাম।
কাকন : কিছু বললি…?
রবি : না নাহ… কি বলবো?
কাকন : ওহ।
রবি : যা ফ্রেশ হয়ে আয় ।
কাকন : পরে হয়ে নিবো। তোদের সাথে মন ভরে আড্ডা তো মেরে নেই। কতোদিন পর সবাই একসাথে।
দহন মনে মনে : তোমার চোখে আর বুকে যে আগুন জ্বলছে আমাকে আর বহ্নিকে পাশাপাশি দেখে সেটা আমি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছি মিস এক্স ।
কাকন : ভালো আছো দহন?
দহন : ইয়াহ… খারাপ থাকার কোনো অপশন নেই…
কাকন : হামমম। বহ্নি তুমি ভালো আছো?
বহ্নি : হামমম।
কাকন এসেই থেকে থেকে কেবল দহনের দিকে তাকিয়ে থাকছে। যেটা বহ্নির মোটেও ভালো লাগছেনা।
রনক : আচ্ছা আমাদের নতুন ভাবিকেও আমাদের এখানে নিয়ে আসলে ভালো হয়না? আফটার অল সেও তো আমাদের গ্যাং এরই সদস্য।
রবি : মানে আবার শশুড়বাড়ির সাইটে যেতে হবে? আবার প্রশ্নের উত্তর… মার গেয়া…
দহন : আচ্ছা ফোন করে দে তবে।
রবি : গুড আইডিয়া।
রবি ওর হবু বউ লিমাকে ফোন করলো। তবে লিমা বলল যে এখন আসতে গেলে হাজারটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। তাই যদি বহ্নি ওকে নিয়ে আসে তবে ভালো হয়।
রনক : কিরে কি বলল?
রবি : বলল বহ্নি ভাবি গেলে ভালো হয়।
রনক : ওহ…
বহ্নি : তাহলে আমি নিয়ে আসছি গিয়ে…
বহ্নি ভেবেছিলো দহন না করবে। কারন কাকন এখানে আছে। বহ্নির যাওয়ার কথা শুনে কাকন বাকা হাসি দিলো। বহ্নি উঠে গেলো। তবে বুকটা ধুকধুক করতে লাগলো।

বহ্নি মনে মনে : বহ্নি রিল্যাক্স… দহন কখনো তোর সাথে অন্যায় করতে পারেনা। কখনো কষ্ট দিতে পারেনা….

রনক : ওই দেখ বউ চোখের আড়াল হতে আমাদের দহন বাবুর খোমার কি ডিজাইন হয়েছে?
দহন : তো? এতে তোর কি সমস্যা শুনি? আমার বউ আমার খোমা…
তখন কাকনের ১টা ফোন এলে কথা বলতে গেলো। আর কথা বলে এসে ঠিক দহনের পাশের চেয়ারেই বসলো। আর এটা দেখে রবি আর রনকের চেহারার রং উরে গেলো।
কাকন : কি রে তোদের চেহারা এমন হয়ে গে…. ওহ… আমি এখানে বসেছি বলে? আসলে অনেকদিনের অভ্যাস তো। তাই।সরি।
দহন : হুয়াই? তুমি এখানে বসো বা ওখানে ম্যাটার করেনা।
কাকন : …
রনক : তুই তোর জায়গায় এসে বোসনা।
কাকন দহনের দিকে তাকিয়ে
বলল : ও তো বলল যে ম্যাটার করেনা… তাহলে থাকিই এখানে… দেখি ম্যাটার করে কিনা? হার্টবিট বারে কিনা? যেটা সবসময় হতো… আমি ওর কাছে থাকলে সবসময়ই হতো। মানে হার্টবিট ফাস্ট হতো… দেখি এখনও হয় কিনা?
দহন : হবেনা। সারাদিন বসে থাকলেও হবেন। ইভেন বুকের মধ্যে দারিয়ে লাফালেও হবেনা।
কাকন : দেখা যাবে…
দহন : রবি… ক়ফি দিতে বলনা সবাইকে
রবি : আচ্ছা ভাবি এসে নিক।
রনক : খালি বহ্নি ভাবির কথা বললি যে? লিনা ভাবির কথাও বল।
রবি : লিমা তো কোল্ডই খাবে।
দহন : অর্ডার কর। বহ্নি গরম কফিই মোটামোটি ঠান্ডা করে খায়। বেশি গরম খেতে পারেনা।
রবি : ওকে…
কাকন : ভালোই তো জেনে গেছো বউকো।
দহন : তোমার সমস্যা ?
কাকন : হ্যা আমার অনেক সমস্যা । বিকজ আই লাভ ইউ….

তখন বহ্নি আর লিমা হাজির হলো। ওরা কাকনের লাভ ইউ বলা শুনে ফেলল। কেন যেন বহ্নির বুকটা বেশ ফাকা ফাকা লাগছে। ভয় হতে লাগলো। তারওপর ওরা জন পাশাপাশি বসা…

রনক : মাই ডিয়ার ভাবিস… কাম এন্ড সিট…

বহ্নি আর লিমা বসলো।
রবি : ভাবিস?
রনক : ইয়াহ… ভাবি শব্দের বহুবচন।
সবাই হেসে দিলো। সবার জন্য বহ্নিও হাসি দিলো। কিন্তু কেন যেন ওর বুকটা ফেটে যাচ্ছে। কোনো ১ অজানা ভয় ওর মাথায় ঢুকে গিয়েছে।

.

সন্ধ্যায় …
বহ্নি চুপচাপ গাড়িতে বসে আছে । আর দহন ড্রাইভ করছে । আজকে ১বারের জন্যও বলেনি যে আমরা কোথায় যাচ্ছি। দহন বহ্নির মনের অবস্থাটা আন্দাজ করেছে। তাই বহ্নির ভয়টা কাটাতে বের হয়েছে। কারন ও চায়না যে বহ্নি ওকে সন্দেহ করুক। ও কোনোক্রমেই বহ্নির সন্দেহ মেনে নিতে পারবেনা। বহ্নি মাথা নিচু করে বসে আছে। সবসময়ে মতো বাহিরের দৃশ্য দেখছেনা মুগ্ধ হয়ে।
দহন মনে মনে : তবে কি কাকনক শিক্ষা দিতে চেয়ে বহ্নিকে কষ্ট দিয়ে ফেললাম… হয়তো…
দহন বহ্নির কোল থেকে ওর হাতটা নিয়ে কিস করলো। এরপর হাতটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে রেখে ড্রাইভ করতে লাগলো। দহন বহ্নির হাত ধরে বুঝতে পারলো যে বহ্নির হাত ঘেমে আছে।
দহন : এতো নার্ভাস কেন হামমম? হাত ঘামছে যে…
বহ্নি : না তো এমনি…
দহন : জিজ্ঞেস করবেনা কোথায় যাচ্ছি…?
বহ্নি : কোথায় যাচ্ছি ?
দহন : নিজেও জানিনা… পছন্দ মতো ১টা জায়গা খুজছি। যেখানে কেউ চাইলেও ডিস্টার্ব করতে পারবেনা…
বহ্নি : …

বেশকিছুক্ষন দহন গাড়ি থামালো। জায়গাটা আসলেই সুন্দর। পাহাড়ি নদীর তীরে। ওপর থেকে ঝর্নার পারনি পরছে। ড্রাইভ করতে করতে সন্ধ্যাটা পার করে ফেলেছে দহন। চাদ উঠে গিয়েছে। না চাদনী রাত নয়। চাঁদটা অর্ধেক হয়েছে। মেঘমুক্ত আকাশে ঝলমল করছে। তাই চারদিক কিছুটা আলোকিত হয়ে আছে। আর তাই জায়গাটাকে অদ্ভুদ সুন্দর লাগছে।
দহন : নামো…
বহ্নি নামলো। বহ্নি নামার পর দহন বহ্নির হাত ধরে প্রায় হাটু পর্যন্ত পানি ডিঙিয়ে ঝর্নার খানিকটা কাছের ১টা পাথরে গিয়ে বসলো। গাড়ির লাইটটা জ্বালিয়েই রাখলো। দহন বহ্নির কাধে হাত রাখলো। ওর অন্যহাতে বহ্নির হাত ধরলো।

দহন : জানো পূর্নিমার চাঁদের থেকেও না আমার অর্ধচন্দ্র বেশি ভালো লাগে। কেন লাগে জানিনা বাট লাগে ভালো। খুবই ভালো লাগে। তোমার নিশ্চয়ই পূর্নিমার চাঁদ বেশি প্রিয়?
বহ্নি : হামমম।
দহন : রেগে আছো আমার ওপর?
বহ্নি মাথা নারিয়ে না বলল।
দহন : মন খারাপ?
বহ্নি চুপ করে রইলো।
দহন : জানতাম যে মনটা খারাপ।
বহ্নি দহনের কাধে মাথা রাখলো।
বহ্নি : দহন আমি ১রাতে সব হারিয়েছি… তাই আমার আর কিছু হারানোর সাহস নেই। ক্ষমতাও নেই…
দহন : আমি বেচে থাকতে আশা করে আরকিছু হারাতেও হবেনা…
বহ্নি : যদি আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলি?
দহন : হঠাৎ এই ভয় কেন?
বহ্নি : জানিনা…
দহন : কাকনের জন্য ?
বহ্নি : হামমম হয়তো। কারন আমি হয়তো কাকনের মতো করে তোমাকে ভালোবাসতে পারবোনা…. হয়তো এখনও কাকনের মতো করে তোমাকে বুঝতেও শিখিনি…. কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি… আর কারো মতোনা… তবে আমি আমার মতো করেই ভালোবাসি…
দহন : তাহলে মন খারাপ কেন? এটা ভেবে যে আমার এক্সকে দেখে আমি দুর্বল হতে পারি … বা তোমার হাত ছেরে দিবো এটা ভেবে?
বহ্নি : না তেমন কিছুনা। তবে ভয় হচ্ছে। যদি কাকন এমন কিছু কে যে আমি তুমি আলাদা হয়ে যাই তবে?
দহন : অমন কিছু হবেনা । আমি আছিতো। আর এবার আমি কাকনকে ১টা উচিত শিক্ষা দিবো।
বহ্নি : উচিত শিক্ষা?
দহন : হ্যা উচিত শিক্ষা। আমি কাকনের স্বামী রকি কে আসতে বলেছি । কালই চলে আসবে। আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান। শোনো।
বহ্নি : আমি কোনো প্ল্যান শুনতে চাইনা দহন। ইভেন আমি এই প্রতিশোধের পক্ষেও নেই। উচিত শিক্ষা দেয়ার থেকে ভালো হয় যদি তুমি ওকে উপলব্ধি করাও যে ও যা করেছে তা ভুল করেছে। রকিই ওর জন্য ঠিক ছিলো। তাহলে হয়তো ও নতুন করে মুভ অন করবে। নিজেও ভালো থাকবে আর আমাদেরও ভালো থাকতে দিবে।
দহন : না। আই নো হার। ও নিজের ভুল বুঝে মুভ অন করলেও আমাকে নিয়েই করবে। এমনকি আমার ১০-২০টা বাচ্চা হলেও আমার পিছু ছারবেনা। ও হলো লেইডি ভয়ংকরি। আর তাই আমি ওকে ১টা উচিত শিক্ষা দিবো। আচ্ছা তুমি কি চাওনা যে তোমার দহনকে যে ঠকিয়েছে সে তার উপযুক্ত শাস্তি পাক…
বহ্নি : হ্যা তা চাই। কিন্তু দহন এটা অস্বীকার করার কোনো কারন নেই যে কাকন তোমাকে সত্যিই ভালোবাসে…
দহন রেগে গিয়ে
বলল : ভালোবাসে বলে কি এখন ওকে বিয়ে করবো নাকি আমি? 😤।
বহ্নি কেপে উঠলো।
বহ্নি : আআআমি কি সসসেটা বলেছি নননাকি… আমি তো জাস্ট এটা বলতে চচচেয়েছিলাম যে এগুলো করার ফলে যদি ও আরো অ্যাগ্রেসিভ হয়ে গিয়ে সবার জজজন্য ঝামেলা সৃষ্টি করে তাহলে তো…
দহন : কিছুই হবেনা। আমি আছিতো।
বহ্নি : হামমম।
দহন : আর শোনো প্রথম আর শেষবারের মতো বলছি… আমি যদি রেগে গিয়ে তোমাকে ঝারি মারি তবে মোটেও ভয় পেয়ে কাপাকাপি করবেনা… উল্টা আমাকে ২গুন জোরে ঝারি মারবে… গট ইট?
বহ্নি : হ্যা???😥।
দহন : হামম। আচ্ছা তুমি সুইমিং জানো?
বহ্নি : হামমম।
দহন : থ্যাংকস গড যে তুমি কিছু ১টা তে বলোনি যে আমি পারিনা , আমার ভয় করে। 😁।
বহ্নি : ডাকাত ১টা…

.

সকালে…
দহন : বিলিভ মি আমি তোর হতে চাই… বি… কিরে তুই আমার দিকে ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
রনক : ভাবি তো তোর হয়েই গিয়েছে। আর কতো হবে?
দহন : জাস্ট গান গাইছিলাম। গাইছিলামও না। জাস্ট গুনগুন করছিলাম।
রনক : করবি কেন গুনগুন? একে তুই ক্রাশবয়। তারওপর এতো সুন্দর গানের গলা। সবাই তো তোর দিকেই ছুটবে। আমার মতো সিঙ্গেলদের কি হবে!!!
দহন-রবি : 😂।
রনক : একদম হাসবিনা তোরা… তো…
কাকন : হেই গাইস…. আমি সবার জন্য কফি করেছি। কাম কাম কাম…

রবি : এ কফি করেছে? নিশ্চয়ই দহনের গ্লাসে কিছু মিশিয়েছে।
দহন : লেটস সি… কাকন…
কাকন : হামমম।
দহন : ১টা গ্লাস বেশি নিও প্লিজ।
কাকন : বহ্নির জন্য গ্লাস নিয়েছি তো।
দহন : আই নো দ্যাট। আমি বলছি আমার এক স্পেশাল ফ্রেন্ডের কথা।
কাকন : স্পেশাল ফ্রেন্ড ?
দহন : হ্যা স্পেশাল ফ্রেন্ড। যেকোনো মুহুর্তে পৌছে যাবে। ওহ পৌছে গেছেও। মাই স্পেশাল ফ্রেন্ড রকি…
রকি নামটা শুনেই কাকন মুখের রং উরে গেলো। পিছে ঘুরে দেখলো যে রকি এগিয়ে আসছে….

.

চলবে…

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 29
writer : Mohona

.

কাকন ঘুরে দেখে রকি এগিয়ে আসছে। রকিকে দেখেই কাকনের কাপাকাপি শুরু হয়ে গেলো।
কাকন মনে মনে : ররররকি।।। রকি এখানে কি করছে? যদি রকি দহনকে সব বলে দেয় তবে তো দহন আমাকে আরো ঘৃণা করবে। হ্যা অনেক ঘৃণা করবে।
দহন : হাই মাই ফ্রেন্ড রকি….
রকি : হ্যালো… তুমি স্পেশাল ফ্রেন্ড স্পেশাল ফ্রেন্ড নিয়ে কি যেন বলছিলে?
দহন : তোমার কথাই আমি বলছিলাম কাকনকে …
কাকন ওখান থেকে ছুটে চলে গেলো। দহন বাকা হাসি দিলো।
দহন : কতোদূর আর ছুটবে কাকন… সত্যের মুখোমুখি তো হতেই হবে। বাই দ্যা ওয়ে রকি… চলো আমার বউর সাথে দেখা করবে।
রনক : এই যে ভাই … আমার সুন্দরি ভাবির দিকে নজর দিবেননা যেন? তাহলে কিন্তু স্পেশাস ফ্রেন্ড থেকে স্পেশাল দুশমন হয়ে যাবেন।
দহন : 😒।

.

বিকালে…
দহন : কি করছে আমার বউটা?
বহ্নি : অবশেষে তুমি এলো… দেখো তো এনগেজমেন্টের জন্য কোন শাড়িটা পরবো?
দহন : পরো যেটা খুশি…
বহ্নি : হ্যা যেটা খুশি পরি আর তুমি সবার সামনে তুলকালাম কান্ড করো। যেন ডাকাত তুমি…
দহন : এই আমি কি কেবল রাগই করি? ভালোবাসিনা? এতো এতো ভালোবাসি তবুও নাকি কেবল আমি রাগই করি।
বহ্নি মুচকি হেসে
বলল : করোই তো।
দহন : বেশ। তোমার সাথে তো কেবল রাগই করি তাহলে কি আর করার? রাগটা তোমার জন্য তোলা থাক। আর ভালোবাসাটা হাতে করে নিয়ে কাকনের রুমে চলে যাবো…😁😜…
বহ্নি : 😒😡😤।
দহন : রাগ করছো কেন? তুমিই তো বললে যে আমি কেবল তোমার সাথে রাগই করি।
বহ্নি : হ্যা করোই তো। এখন ফাজলামো বাদ দিয়ে বলো কোন শাড়ি পরবো?
দহন : যেটা মন চায় পরো বাট ভুলেও যেন পেট-কোমড় কিছু বের না হয়…
বহ্নি : পেট-কোমড় বের করেই আজকে শাড়ি পরবো… হুহ…
দহন : কিছু কি বললা?
বহ্নি : না তো… 😅😓…
দহন : গুড ফর ইউ।
বহ্নি মনে মনে : ডাকাত ১টা। আসলেই দানব নামই এর জন্য ঠিক। ভালো লাগেনা একদম… এখন যদি ভুলেও আমি বলতাম যে আমি অর্নবের রুমে যাবো তাহলে তো দারিয়ে দারিয়েই মরে যেতাম… মানুষ খেকো দানব…

দহন ১টা হাসি দিয়ে বহ্নিকে বসিয়ে দিলো।
দহন : যে হারে আমাকে বকছো সাজতে পারবেনা তো ঠিকমতো। বরং ১টা কাজ করা যাক… তুমি আমাকে বকতে থাকো আমি তোমাকে সাজিয়ে দিচ্ছি। পুরোপুরি রেডি করে দিচ্ছি।
বহ্নি : লাগবেনা। আমি পারবো…
দহন : সো হুয়াট। আমি যখন বলেছি যে আমি সাজাবো তখন আমিই সাজাবো…
বলেই দহন নিজের কাজে লেগে গেলো।

দহন : জানো বহ্নি… আমি তোমার কালকের বলা কথাটা ভেবে দেখলাম যে যেটা বলেছো ঠিকই বলেছো।
বহ্নি : কোন কথা?
দহন : উফফ। চোখ খুললে কেন? আইলাইনার টা তো দেয়া কমপ্লিটই হলো। ক্লোজ ক্লোজ…
বহ্নি বিরক্ত হয়ে চোখ বন্ধ করলো।
দহন : তুমি কালকে বললে না কাকনকে উপলব্ধি করানোর কথাটা আর মুভ অন করার কথাটা…
বহ্নি : হামমম।
দহন : ভেবে দেখলাম তুমি ঠিকই বলেছো… ও মুভ অন করলে ওরজন্য আর আমাদের জন্য ভালো হবে। তাই আমি ঠিক করেছি…
বহ্নি : কি ঠিক করেছো?
দহন : আবার চোখ খোলেরে। বন্ধ।
বহ্নি বন্ধ করলো।
দহন : আমি ঠিক করেছি কাকনকে উচিত শিক্ষা দেয়ার পর ওকে মুভ অন করাকে ট্রাই করবো। ওকে রকির জীবনে ফিরিয়ে দিবো।
বহ্নি : কিভাবে? ওদের না ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে…
দহন : না হয়নি… রকি আজও সাইন করেনি।
বহ্নি : কি বলছো কি?
দহন : হামমম। রকি আজও সাইন করেনি…
বহ্নি : লোকটা সত্যিই ভীষন ভালোবাসে কাকনকে..
দহন : হ্যা।
বহ্নি : কাকনযে কিভাবে অমন ১টা স্বামীকে ছেরে এলো…

.

.

কাকন : তুমি এখানে কেন এসেছো? বলো কেন এসেছো?
রকি : এই শোনো… আমি এখানে আসিনি… তোমার দহন আমাকে এখানে আসতে বলেছে…
কাকন : আসতে বললেই তুনি আসবে কেন ?
রকি : কেন আসবোনা কেন? ১০০বার আসবো।
কাকন : দহন কেন তোমাকে আসতে বলেছে?
রকি : সেটা তুমি তোমার দহনকেই গিয়ে জিজ্ঞেস করো।।
কাকন : তুমি বলো।
রকি : আমি কেন বলবো?
কাকন : দহনের সাথে তোমার পরিচয় কিভাবে হলো?
রকি : সেটাও তুমি তোমার দহনকেই জিজ্ঞেস করো। কারন তোমার মতে আমি তোমার কেউ নই। আর তাই আমি তোমাকে জবাব দিতেও বাধ্য নই।
কাকনের ইচ্ছা করছে চাপকে রকির পিঠের ছাল তুলে ফেলতে।
কাকন : যেমন চুপ আছো তেমন চুপই থাকো। খবরদার দহনকে তোমার-আমার অতীত সম্পর্কে কিছুই বলবেনা। বুঝেছো?
বলেই কাকন চলে যেতে নিলো। রকি পেছন থেকে ওর শাড়ির আচল টেনে ধরলো।
কাকন : হাও ডেয়ার ইউ? তোমার সাহস কি করে হয় আমার আচল ধরার?
রকি : একদম আমাকে চোখ রাঙাবেনা। তুমি বোধহয় ভুলে যাচ্ছো যে তোমার আচল ধরার অধিকার আর সাহস ২টাই আমার আছে।
কাকন : শাট আপ জাস্ট শাট আপ। কালকে সকালে যেন তোমাকে না দেখি। না হলে…
রকি : না হলে?
কাকন : না হলে তোমার পরিবারকে তুমি হারাবে…
রকি : …
কাকন : কি হলো? কথা শেষ?
রকি : না। শেষ না। তুমি যখন বলছো তখন আমি কাল ভোরেই চলে যাবো… কিন্তু…
কাকন : কিন্তু কি?
রকি : কিন্তু যাওয়ার আগে আমি দহনকে সব সত্যি বলে দিয়ে যাবো… বলে দিয়ে যাবো তুমি ওকে কতো বড় ধোকা দিয়েছো।
কাকন : নননা… না তুমি এটা করতে পারোনা… কিছুতেই না।
রকি : আমি এটাই করবো।
কাকন : তুমি যদি এমন করো তবে আমি তোমার পরিবারকে শেষ করে দিবো।
রকি : আই ডোন্ট কেয়ার । দহনকে সত্যিটা জানিয়েয় দরকার হলে নিজের জীবন নিজেই দিয়ে দিবো। তবুও রোজ রোজ এই একই হুমকি আর ভালো লাগেনা। সব বলে দিবো।
কাকন : না তুমি কিছুই বলবেনা।
রকি : আমি বলবোই।
কাকন : না তুমি বলবেনা….
রকি : কেন বলবো না কেন?
কাকন : কারন তুমি আমাকে ভালোবাসো…
রকি : তাতে তোমার কি?
কাকন : তুমি বলবেনা…
রকি : ঠিকাছে আমি বলবোনা। কিন্তু আমার ১টা শর্ত আছে।
কাকন : কি শর্ত ?
রকি : আজকে পার্টি শেষে তুমি আমার কাছে আমার ঘরে আসবে… আজকে আমি আবার তোমাকে ভালোবাসবো…
কাকন : রকি…
কাকন রকিকে থাপ্পর মারতে নিলে রকি কাকনের হাত ধরে ফেলল।
রকি : একদম না কাকন । একদম না। তোমাকে সত্যিকারের ভালোবাসি বলেই আজও তোমার অপেক্ষা করছি। তোমার অন্যায় মেনে নিয়েছি। কিন্তু আর না। যদি তুমি রাজী হও তবে আমি দহনকে কিছুই বলবোনা। কারন দেখিয়ে কালকে সকালে চলে যাবো। আর যদি রাজী না হও তবে… 😏…
কাকন : আমি রাজী…
রকি : কি বললে শুনতে পাইনি আমি…
কাকন : আমি বললাম যে আমি রাজী…
রকি : গুড… শোনো নীল রঙের শাড়ি পরে আসবে কিন্তু…
কাকন : ….
রকি : হয়তো এটাই হবে আমার শেষ ভালোবাসা। হয়তো আর কখনো এই মুখ তোমাকে দেখতে হবেনা… সহ্য করতে হবেনা…
কাকন বেরিয়ে গেলো। রকি ১টা লম্বা নিঃশ্বাস নিলো।

রকি : এই দহনের আইডিয়া মারাত্মক ভয়ংকর…

.

সন্ধ্যারপর…
পার্টি শুরু হলো। হৈ-হুল্লোড় হলো। নাচ হলো । গানও শুরু হলো। সবাই দহনকে ধরলো গান গাওয়ার জন্য ।
দহন : আমি গান গাইলে তো রনক সারাজীবন সিঙ্গেলই থেকে যাবে…
সবাই : 😂😂😂।
রনক : 😒।
লিমা : ভাইয়া গাওনা ১টা গান…
রবি : ভাবি তুমিই বলো… না দহনকে গাইতে…
বহ্নি : গাও না… যখন সবাই এতো করে বলছে …
দহন : ওকে… গিটার প্লিজ…
রনক গিটার এগিয়ে দিলো। দহন বহ্নির দিকে তাকিয়ে গিটারে সুর তুলল…

🎤🎶🎵

ভালোবাসার এই দিনে
তুমি আমি একসাথে

হারাবো সে সাগর বেলায়
শোনাবো এ গান তোমায়
দেখেছি যখন প্রথম তোমায়
#ভালোবেসে_ফেলেছি তোমায়
দেখেছি যতো রঙে তোমায়
তুমি রঙ্গিন করেছো আমায়

🎤🎶🎵

সবাই করতালি দিলো। গান গাওয়ার সময় দহনের দৃষ্টি বহ্নির দিকেই ছিলো।
রবি : কেমন গায় আমার বন্ধুটা?
বহ্নি : ভালো।
রনক : ভালো না খুব ভালো?
বহ্নি মিষ্টি ১টা হাসি দিয়ে
বলল : খুব ভালো।
রবি : আর ভাবি তো মনে হয় রোজই শোনে…
বহ্নি : উহু… আজকেই প্রথম শুনলাম…
পার্টি শেষে যে যে যার যার রুমে গেলো।

রকি : আমার ফ্যামিলি ঠিক থাকবে তো?
দহন : ভয় নেই… তারা আমার প্রোটেকশনে।
রকি : হামমম।

.

রকি কাকনের জন্য অপেক্ষা করছে। রকির অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কাকন ওর রুমে ঢুকলো। সব নীল রঙের পরে। রকি মুগ্ধ নয়নে কাকনকে দেখতে লাগলো। কেন যেন কাকনের হাজারও অন্যায়ের পরও ও কাকনকে ঘৃণা করতে পারেনা… বড্ড বেশিই ভালোবাসে এই হৃদয়হীনাকে…

কাকন রকির রুমে এসে অবাক। সারাঘর ফুল আর মোমবাতি দিয়ে সাজানো। একেবারে ওদের ফুলশয্যার রাতের মতো। কাকন বেশ বুঝতে পারছে যে রকি নিজের হাতেই রুমটাই সাজিয়েছে। যেমন ভাবে ওদের ফুলশয্যার রাতে সাজিয়েছিলো। কাকন দেখলো যে রকি নীল রঙের পাঞ্জাবি পরে ওর দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে। কাকনের মনে পরলো যে ওদের বিয়েও হয়েছিলো নীল পোশাকে। যেটা কাকনেরই ইচ্ছা ছিলো। কাকন কিছুতেই বুঝতে পারেনা যে এই লোকটা আজও কিভাবে কিভাবে ওকে এতো ভালোবাসে। ও কতোই না অন্যায় করেছে এই লোকটার সাথে। তবুও এই লোকটা ওকে পাগলের মতো কেন ভালোবাসে? না না কি ভাবছে এগুলো কাকন? এগুলো ভাবা যাবেনা। ও কেবল দহনকেই ভালোবাসে। আজকে রাতটা বড় ভারী ওর জন্য । কাকন রেগে রকির সামনে গিয়ে দারালো।
কাকন : এসবে মানে ক…
রকি কাকনের ঠোটের মাঝখানে আঙ্গুল রাখলো।
রকি : কোনো কথা বলোনা প্লিজ… আজকে তোমাকে দেখতে দাও … কতোদিন তোমায় কাছ থেকে দেখিনা…

এরা রোমান্টিক প্যাচাল পারুক আমরা দহন-বহ্নির কাছে যাই। তেনারা লং ড্রাইভে বের হয়েছে। তাও জিপ নিয়ে। আজকে যেন দহনের খুশির কোনো সীমাই নেই।

বহ্নি : এই যে মিস্টার ডাকাত আজকে এতো খুশি কেন? হামমম?
দহন : ওহ মাই কলিজা পাখি হাউ কুড আই সে…
বহ্নি : বলো আমিও একটু শুনি…
দহন : তবে শোনো…. আই লাভ ইউ …. আই জাস্ট লাভ ইউ। আই লাভ ইউ অ্যা লট… কেন আগে তুমি আমার জীবনে আসোনি… আই লাভ ইউ।
দহনের উচ্ছাসে আনন্দিত বহ্নি। আসলেই দহন খুব ভালো। ওর মতো কেউ নেই। আর কেউ হতেও পারবেনা ওর মতো। বহ্নি কখনোই ভাবেনি যে দহন ওকে এতো তারাতারি এতো বেশি ভালোবেসে ফেলবে।

.

সকাল ৭টা…
বহ্নি গাড়িতেই ঘুমিয়ে পরেছিলো। তাই দহন বহ্নিকে কোলে নিয়েই রুমের দিকে যাচ্ছে। রকির রুম পার করেই ওদের রুমে যেতে হয় । দহন বহ্নির দিকে তাকিয়েই আগে বারছে। তখন দরজা খোলার শব্দ পেলো। দেখলো কাকন দারিয়ে আছে রকির রুমের জাস্ট বাহিরেই। আর রকি দরজা ধরে দারিয়ে আছে।

দহন কপাল কুচকে তাকালো। যেন ভীষন অবাক হলো। আর মনে মনে বাকা হাসি দিচ্ছে।
দহন মনে মনে : আরিপাস… এই প্ল্যানটা তো আমার মাথায় আসেনি যে এমন কিছু করবো। আমি তো জাস্ট সত্য জানতে চাইতাম। এখন তো দেখি আরো ভালো কিছু হলো। ধন্যবাদ আল্লাহ…

দহনকে দেখে কাকন চমকে গেলো।
কাকন : দদদহন…
দহন : হুয়াট অ্যা সিন… উফস হুয়াট অ্যা রোমান্টিক সিন… সরি গো কাকন … আমি তোমার জন্য তালি বাজাতে পারলাম না… কারন আমার কলিজা পাখি আমার কোলে …
কাকন : দহন বিশ্বাস করো আমি জাস্ট তোমাকেই ভা…
দহন : জাস্ট শাট আপ…
দহনের ধমকে বহ্নির ঘুম ভেঙে গেলো । এমনকি বাকিদেরও।
দহন : ইউ আর অ্যা চিটার।
বলেই দহন রুমে চলে গেলো। কাকনও কাদতে কাদতে রুমে চলে গেলো।

.

বহ্নি তো ভয়ের চোটে কিছু জিজ্ঞেস করতেই সাহস পাচ্ছেনা। পা দিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দহন বহ্নিকে কোলে নিয়ে ঘুরতে লাগলো লাফাতে লাগলো।

বহ্নি মনে মনে : এটা কি আনন্দ নাকি ট্রমা… নাকি আমার জামাইটা শেষ মেশ পাগল হয়ে গেলো? আল্লাহ…
দহন : কলিজাপাখি কলিজাপাখি কলিজাপাখি… আম সো হ্যাপী…
বহ্নি : এই ঘোরা বন্ধ করো আমার মাথা ঘুরছে …
দহন : ওহ সরি সরি….
দহন বহ্নিকে বসিয়ে দিলো ।
দহন : এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
বহ্নি : তুমি না এইমাত্র ক্ষেপেছিলে…
দহন বহ্নির কোলে মাথা রাখলো।
দহন : নো মাই কলিজাপাখি… ওটা নাটক ছিলো।
বহ্নি : নাটক?
দহন : হ্যা নাটক….

.

চলবে…