#আমার_শুধু_তোমাকেই_চাই🍁🍁
#লেখিকা;সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী
#পর্ব;১৫
৪৬,,,,
মাহি দাড়াও তোমার সাথে আমার একটু কথা ছিলো(জয়)
ভার্সিটি শেষে বাড়ি ফিরছিলাম তখনি পিছন থেকে জয় স্যার আমায় ডাকলো।
জি স্যার বলুন (মাহি)
না মানে তুমি কি এখন বাসায় যাচ্ছো??(জয়)
আরে দেখতেই তো পাচ্ছেন বাসায় যাচ্ছি তাহলে হুদাই পিছন থেকে ডেকে জিগাস করার কি দরকার,,, যত্তসব ঝামেলা (মনে মনে)
জি স্যার,, কেনো কিছু বলবেন কি??(মাহি)
না এমনিতেই,,, একটা কথা তোমাকে ভীষণ বলতে ইচ্ছে করছে কিন্তু না এখন বলবো না,, পরে বলব আর তোমার জন্য কালকে একটা সারপ্রাইজ আছে(জয় খুশি হয়ে বলল)
সারপ্রাইজ?? তাও আমার জন্য?? কি সারপ্রাইজ স্যার(মাহি)
ওমম না বলবো না,, বললে কি আর সেটা সারপ্রাইজ থাকে?? আচ্ছা তুমি এখন যাও আমার অনেক কাজ আছে কালকে দেখা হবে ওকে(এই বলে জয় চলে গেলো)
কি হলো?? কিছুই বুঝলাম না,, কি যানি আবার কি করে যা খুশি করুক তাতে আমার কি আমি যাই(এই বলে মাহি যেতে লাগলো তখনি পিছন থেকে মেহরাব হাত টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো)
এই আপনার সম্যসা কি হুম? যখন তখন এমন টানাটানি করেন কেনো কচি হাত ছিড়ে যাবে তো??(মাহি)
ওমমম কচি হাত নাহ আজ কে আমার সাথে বিয়ে দিলে কালকেই বেবির মা হয়ে যাবে সে আবার বলে কি তার হাত কচি (মাহির মুখের থেকে চুল কানের পিছে গুজতে গুজতে বলল)
হুমম জি নাহ আগে ভাইয়াকে মানাবেন তারপর বিয়ে(মাহি)
মানানো তো দূরে থাক মেহরাব ভাই এখন এখান থেকে না গেলে মেঘকে মানানোর জন্য মেহরাবই থাকবে না(মেঘলা চোখে হাত রেখে বলল)
এই চলে এলেন আমাদের প্রেমের মাঝে ভিলেন এর হবু বউ এই তোর সম্যসা কি বলতো আমাদের ডিস্টার্ব কেনো করিস?? আর এই চোখ থেকে হাত সরা (মাহিকে ছেড়ে দিয়ে বলল মেহরাব)
ডিস্টার্ব না ভাইয়া আমি বরং তোমাদের বাঁচাতে এসেছি(মেঘলা)
মানে??(মাহি আর মেহরাব বলল)
আরে সয়ং জমরাজ থুরি মেঘরাজ চৌধুরী এদিকেই আসছে(মেঘলা)
কিহ???(মেহরাব)
জি।
এখন এখানে ভাইয়া কীভাবে??(মাহি)
এই তোমার ভাইয়ের কোনো কাজ নেই নাকি সব সময় আমার পিছে লেগে থাকে (মেহরাব)
আপনি চুপ করেন আর এখান থেকে যান,,, যদি ভাইয়া আপনার সাথে আমায় দেখে ফেলে তো সর্বনাশ হয়ে যাবে(মাহি)
আচ্ছা আমি তাহলে গেলাম তোমরা সাবধানে চলে যেও ওকে(এই বলে মেহরাব চলে গেলো)
৪৭,,,,
কিরে তোরা দুজন বাড়ি না গিয়ে এখন এখানে কি করছিস(মেঘ আসতে আসতে বলল)
ন,,,না মানে ভাইয়া এমনিতেই এখানে একটু দাড়িয়ে ছিলাম ওই যে মেঘলা পানি খাবে তাই (মাহি)
এই মেয়েটা বড্ড ফাযিল সবসময় ওনার সামনে আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়,, (মনে মনে বললো মেঘলা)
কিরে বলনা (মাহি)
হ,,,হ্যাঁ প,,,পানি খাবো পানি মানে ওয়াটার চিনেন তো (দূর এসব কি বলছিস মেঘলা)
হুম জানি তো খাওয়া হয়েছে?? ( মেঘ)
হুম হয়েছে হয়েছে(মেঘলা)
আচ্ছা তাহলে তোমরা গাড়িতে গিয়ে বসো আমি একটু পর আসছি(মেঘ)
কেনো ভাইয়া তোমার কি এখানে কোনো কাজ আছে??(মাহি)
হ্যাঁ তোমার স্যার এর সাথে কিছু কথা আছে তোমরা যাও আমি আসছি (এই বলে মেঘ ভিতরে চলে গেলো)
এই বজ্জাত এই তুই সব সময় আমায় ফাঁসিয়ে দিস কেনো??( মেঘলা মাহিকে মারতে মারতে বলল)
ওফ মারছিস কেনো। তাতে কি হয়েছে ভাইয়া তো আর তোকে খেয়ে ফেলেনি ,,, আচ্ছা বলত ভাইয়া কোন স্যার এর সাথে দেখা করতে গেলো?? আর কেনো??( মাহি)
কি যানি হয়ত পিনসিপাল এর সাথে তাতে আমাদের কি বল চল আমরা গাড়িতে গিয়ে বসি (মেঘলা)
হুম চল।
এরপর ওরা চলে গেলো আর গাড়িতে গিয়ে বসল,, ওরা বসার কিছুক্ষণ পর মেঘ আসলো তারপর বাড়ি চলে গেলো।
আমি তোমার বাড়ির লোকের সাথে কথা বলবো (শান্ত)
কেনো কি বিষয়ে (বাদাম খেতে খেতে বলল মুনিরা)
কি বিষয়ে আবার তোমার আর আমার বিয়ের বিষয়ে (শান্ত)
শান্তর কথা শুনে মুনিরার বাদাম গালায় আটকে বেষম খেলো তারপর কাশতে শুরু করল।
আরে কি হলো আস্তে খাও (শান্ত)
আপনি কি বললেন এই মাএ,, (মুনিরা)
কেনো তোমার আর আমার বিয়ে(শান্ত)
আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন?? আমি কেবল ইন্টারে পড়ি এখনো বাচ্চা আর তার থেকেও বড় কথা আমার একটা বড় বোন আছে তার এখনো বিয়ে হয়নি(মুনিরা)
আরে তাতে কি এখন শুধু আংটি পরায় রাখবো পরে তোমার আপুর বিয়ের পর বিয়ের কথা বলবো আর তাছাড়া আমি আর কয়দিন পর পুলিয়ে জয়েন করবো আমায় তো চলে যেতে হবে(শান্ত)
কি আপনি চলে যাবেন??(মন খারাপ করে বলল মুনিরা)
ওলে বাচ্চাটার মন খারাপ হয়েছে বুঝি মন খারাপ করে না সোনা (এই বলে মুনিরা কে বুকে জরিয়ে ধরলো আর মুনিরাও ছোট বিড়াল ছানার মতো শান্তর বুকে মুখ লুকালো)
৪৮,,,,,
রাতে,,,,
তা কিছু কি ভাবলে মেঘের মন জয় করার জন্য??(মহসীন)
না বাবা ভাবছি দেখি কি করা যাই (মেহরাব)
বেশি সময় নিয়ো না যেনো পরে দেখলে যে মাহির অন্য কারো হয়ে গেছে (মহসীন)
না বাবা এমন কিছুই হবে না আমি এমন কিছু হতেও দেবো না তার আগেই মাহিকে নিজের করে নেবো (এই বলে মেহরাব নিজের ঘরে চলে গেলো,,,, বাবা কথাটা ঠিকি বলেছে আমাকে যা করার তারাতারি করতে হবে,,, না আমি কিছুতেই মাহিকে হারাতে পারবো না)
ওদিকে,,,,,
মাহি তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে (মেঘ)
জি ভাইয়া বলো(মাহি)
আমি জানি তোর মন অনেক খারাপ আমি তোর ভালো করতে গিয়ে খারাপ করে ফেলতে গিছিলাম। মেহরাব এর মতো একটা খারাপ ছেলের হাতে তোকে তুলে দিতে চেয়েছিলাম,, কিন্তু না এবার আর কোনো ভুল হবে না,, শোননা কাল আমার এক বন্ধু তোকে দেখতে আসবে বিশ্বাস কর ছেলেটা অনেক ভালো,, আমি তোকে বলছি না যে তোর ওকেই বিয়ে করতে হবে শুধু একটা বার ওর সামনে যা ওর সাথে কথা বল যদি তোর পছন্দ না হয় তাহলে বিয়ে হবে না,, শুধু একবার ওর সাথে কথা বল৷ কিরে বলবি তো??(মেঘ মাহির হাত ধরে ওর দিকে তাকিয়ে)
ভাইয়া অনেক আশা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,, আমার যত কষ্টই হোক আমি সব কিছুর বিনিময়ে ভাইয়াকে খুশি রাখব তাই বললাম।
জি ভাইয়া তুমি ওনাকে আসতে বলো আমি দেখা করবো(মাহি)
আমি জানতাম আমার বোন আমার কথা ফেলতে পারবে না,,,, তুইও বুঝতে পেরেছিস মেহরাব ভালো ছেলে নয় বল?? আমি ভালোবাসার বিরুদ্ধে না কিন্তু মেহরাব যদি ভালো হতো তাহলে আমি মেনে নিতাম কিন্তু ও ভালোছেলে নাহ,,, আর আমি তোর ভাই হয়ে তোকে কোনো খারাপ ছেলের হাতে তুলে দিতে পারিনা,,, আর তুই নিশ্চিতে থাক কালকে যে আসবে সে অনেক ভালোছেলে আর অনেক ভালো কাজ করে আমি জানি তোর পছন্দ হবে।।আচ্ছা তুই এখন ঘুমা আমি যাচ্ছি (এই বলে মেঘ চলে গেলো)
তুমি যা বলবে আমি তাই করবো ভাইয়া তোমার খুশির জন্য আমি আমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ও কুরবানি করতে পারবো।
সকালে,,,,,,
মাহি রেডি হয়ে নিচে গিয়ে দেখলো মেঘ আর একটা লোক বসে গল্প করছে মাহি আস্তে আস্তে সামনে গিয়ে লোকটাকে দেখে অবাক হয়ে বলল।
আপনি??(মাহি)
চলবে,,,,,
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর গঠনমূলক কমেন্ট আশা করছি)