you are only my queen part-27+28

0
3424

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 27

আমি পানি খেয়ে ভাইয়াদের দিকে তাকালাম।আমি তাদের দিকে রাগিভাবে তাকিয়ে আছি।
বড়ভাইয়াঃএভাবে তাকিয়ে লাভ নাই।আমি যা বলেছি তাই হবে।আর শুন তোর কোন পছন্দ থাকলে ভুলে যা।কারন আমি যার সাথে বিয়ে ঠিক করবো তার সাথেই তোর বিয়ে হবে।
আমি অসহায় ভাবে ছোটভাইয়ার দিকে তাকালাম।
ছোটভাইয়াঃভাইয়া যা বলছে তাই হবে।
বিশালঃতার মানে সামনে একটা বিয়ে খাচ্ছি।
ভাবিনঃহুম।কি মজা জানুর বিয়ে।
আমি তাদের দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকালাম।
আমিঃতা কে সেই মহামানব যে আমাকে বিয়ে করতে আসবে?
বড়ভাইয়াঃসেটা আসলেই দেখতে পাবি।
ছোটভাইয়াঃআমার খাওয়া শেষ।
আমিঃযা যা এখন আমারে বিপদে ফেলে তোরা সবাই যার যার ঘরে যাইয়া নাগিন ডান্স দে।
বড়ভাইয়াঃঠিক করে কথা বল।দিন দিন বেয়াদব হয়ে যাচ্ছ।আদর দিয়ে দিয়ে তোমাকে একদম বাদর করে ফেলেছি।
এই বলেই ভাইয়া চলে গেলো।
ছোটভাইয়াও চলে গেলো।
বিশাল আর ভাবিন আমার সাথে বসে আছে।
বিশালঃকাহিনী কি হল?
ভাবিনঃআমিও তাই ভাবছি।
আমিঃকি আর হল আমার কপাল পুড়লো।
বিশালঃনা সে তো ঠিক আছে।
আমিঃকি বললি!!(রাগিভাবে)
বিশালঃ না মানে কিছু না।
ভাবিনঃসবই তো বুঝলাম কিন্তু ভাইয়া এভাবে রাগ করলো কেন?
আমিঃওই বড় ব্যাটার মাথায় আমার বিয়ের ভুত চাপছে।
এই বলে আমি ওপরে চলে আসলাম।
আমিঃআমি কি রুদ্রকে একটা কল দিব?
হুম দিয়েই দেখি।
আমি আর কিছু না ভেবে রুদ্রকে কল দিলাম।
আমিঃহ্যালো।
রুদ্রঃহুম বল পাখি।
আমিঃভাইয়া আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে।
রুদ্রঃতো বিয়ে করে ফেলো।
আমিঃকি বললা!!!(আমি অবাক হয়ে)
রুদ্রঃবললাম বিয়ে করে ফেলো।
রাগে আমার মাথা ফেটে যাচ্ছে।
আমিঃতুই কুত্তা আর কোন দিন আমার সামনে আসবি না।আর কোন দিন আমার সাথে কথা বলতে আসলে তোর ঠেঙ ভেঙে তোর গলায় ঝুলিয়ে দিব।কুত্তা ব্যাটা।
এই বলে আমি কল রেখে দিলাম।
আমিঃআমিও কালকে বিয়ে করে নিব।আমার কি ঠেকা পরেছে ওই ব্যাটার জন্য কস্ট পাওয়ার।
বিশালঃআসবো?
আমিঃআয়।
বিশালঃচল চা খেতে যাই।
আমিঃহুম চল।শুধু আমি আর তুই।
ভাবিনঃআমিও আছি জানু।
আমিঃআচ্ছা চল।
এই বলে আমরা তিনজনই চাদর গায়ে বেরিয়ে পরলাম।
আমরা মামার দোকানে গিয়ে বসলাম।
দেখলাম একটা পিচ্ছি মেয়ে বসে আছে।মেয়েটা এতই সুন্দর যে আমিও মেয়েটার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি।
বিশাল আর ভাবিনও তাকিয়ে আছে।
আমি এবার কাশি দিয়ে উঠলাম।
আমাদের দেখে মামা বলল
মামাঃকি গো আম্মা এতদিন পর আমার কথা মনে পরল।
আমিঃহুম মামা।তা মামা এটা কি তোমার মেয়ে?
মামাঃহুম আম্মা।
বিশালঃএভাবে এত রাতে যে মেয়েটাকে এভাবে রেখেছো যদি কোন বিপদ হয়?
মামাঃকি আর করমু আব্বা হেই ভয়েই তো মাইয়াডারে আমার কাছে রাখি।
আমিঃতা আপু তোমার নাম কি?
মেয়েঃআমার নাম সামিয়া রহমান।
ভাবিনঃকিসে পড়?
সামিয়াঃআমি এবার এইচএসসি দিব।
বিশালঃচলবে।
আমি আর ভাবিন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
আমিঃকি চলবে??
ভাবিনঃকিরে বল কি চলবে??
বিশালঃপরে বলবো
আমিঃআচ্ছা।
ভাবিনঃতা মামা আমাদের তিনজনকে তিনটা মালাই চা দাও।
আমিঃআচ্ছা মামা তুমি আর তোমার মেয়ে কি আমাদের সাথে থাকবে?
আমার কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
মামাঃকি বলছো কি আম্মা!!!!!
আমিঃহুম আমি যা বলছি ঠিকই বলছি।
বড়ভাইয়াঃহুম টুকু একদম ঠিক বলছে?
আমরা পিছনে ফিরে দেখি বড়ভাইয়া আর ছোটভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে।
আমি ওদেরকে দেখে বললাম
আমিঃতোমরা এখানে?(ভ্রু কুচকে)
ছোটভাইয়াঃহুম আমরাও চা খেতে এসেছি।
মামাঃকি কইতাছো আব্বারা!!
আমিঃএকদম ঠিক বলছে।তোমরা কালকেই আমাদের বাড়ীতে চলে আসবে।
বড়ভাইয়াঃহুম মামা আর কোন কথা না।
ছোট ভাইয়াঃ হুম এবার চা দাও।
মামাঃতোমরা খুব ভালা আম্মারা।আমি তোমাগোর লাইগা আল্লাহর কাছে দোয়া করমু।(কান্না করতে করতে)
ভাইয়াদের চোখ গেলো সামিয়ার দিকে।
বড়ভাইয়াঃকি গো আমাদের সাথে থাকবে তো আমাদের বোন হয়ে?
সামিয়া এবার কেদে দিল।
ছোটভাইয়াঃআসলে আমাদের বোন তো কয়দিন পর শ্বশুরবাড়ী চলে যাবে তাই আমাদের আরেকটা বোন দরকার।তাই যাবে আমাদের সাথে।
সামিয়া মাথা নাড়লো।মানে যাবে।
আমি আমার ভাইয়াদের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি।
আমার চোখে পানি টলমল করছে।আমি বুঝতে পারছি না আমি কি এমন করে ফেললাম যে সবাই আমাকে এভাবে বাড়ী থেকে তাড়াতে চায়।
আমি চোখের পানি মুছে চা খাওয়ায় মন দিলাম।
আমিঃতা মামা আমি কালকে তোমাদের নিতে আসবো।
মামাঃআইচ্ছা আম্মা।
তারপর আমরা চা খেয়ে চলে আসলাম।
আমি এসে আমার রুমে চলে গেলাম।
আমি গিয়ে মা বাবার ছবি নিয়ে কান্না করতে লাগলাম।
আমিঃতোমরা কেন চলে গেলে?আমি তোমাদের খুব মিস করছি মা বাবা? (কান্না করতে করতে)
কান্না করতে করতে আমি ঘুমিয়ে গেলাম।

রাত ৩ঃ৩০

আমার মনে হল কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।
আমি চোখ খুলে দেখি রুদ্র। আমার এবার রাগ উঠে গেল।
আমি ঠাস করে রুদ্রের গালে একটা থাপ্পর দিলাম।
রুদ্রঃআহহহহহ।
আমিঃতুই এখানে কেন?(রাগে চিল্লিয়ে)
রুদ্রের চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে গেলো।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
আমিঃআ আসলে আমার খুব রাগ হয়েছিল তাই……..
রুদ্রের চোখ মুখ আরও লাল হয়ে গেলো।
আমি ভয় পেয়ে এবার কেদে দিলাম।
আমিঃভ্যাভ্যাভ্যাভ্যাভ্যা।আমাকে ক্ষমা করে দাও।আর কোনদিন তোমাকে মারব না।ভ্যা ভ্যা ভ্যা।
রুদ্র খুব হাসি পেল কিন্তু হাসলো না।
রুদ্রঃঠিক তো।
আমিঃহুম।
রুদ্রঃকিন্তু শাস্তি তো পেতেই হবে
আমিঃবললাম তো আর করবো না।
রুদ্রঃএখন শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে।
আমিঃকি?
রুদ্রঃতুমি বসে থাকবে আর আমি তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাবো আর তুমি আমার মাথায় বিলি কেটে দিবে।
আমিঃকি!!!!আমি ঘুমাবো না??
রুদ্রঃনা।দেখ তুমি যদি না মানো তাহলে আমি….
আমিঃনা না আমি রাজি।
রুদ্রঃগুড।
তারপর আমি উঠে বসলাম।তারপর রুদ্র আমার কোলে মাথা রাখলো আর আমি ওর মাথায় বিলি কেটে দিতে লাগলাম।হঠাৎ করে রুদ্র আমার পেটে মুখ গুজলো।
আমি কেপে উঠলাম।
আমিঃদেখ আমার কিন্তু ঠান্ডা লাগছে।
রুদ্রঃতোমাকে আমি কথা বলতে বলি নাই।
আমি আর কোন কথা বললাম না।
তারপর রুদ্র ঘুমিয়ে গেলো। আর আমিও রুদ্রের বুকের ওপর ঘুমিয়ে পরলাম।

চলবে…………

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 28

সকাল

চাচিঃআম্মা ও আম্মা উঠ না।আর কতক্ষন ঘুমাইবা?
আমিঃচাচি আরেকটু ঘুমাই।
চাচিঃনা আম্মা তোমার ভাইয়ারা রাগ করবো। তারাতারি উইঠা পরো আম্মা।
আমিঃনা আমি আরও ঘুমাবো।
চাচিঃআম্মা উঠ না।
আমিঃআচ্ছা আর দুইমিনিট।
বড়ভাইয়াঃআর দুই সেকেন্ড ও না।
আমিঃপ্লিজ ভাইয়া।
বড়ভাইয়াঃটুকু উঠ।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলাম ভাইয়ার সাথে কোন কথা না বলে।
আমি ওয়াশরুমে গেলেই ভাইয়া বাইরে থেকে বলে উঠল
বড়ভাইয়াঃ তারাতারি ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসবি।
আমিঃ…………………..
বড়ভাইয়া বুঝতে পেরেছে যে আমি রাগ করেছি তাই বলল।
বড়ভাইয়াঃরাগ করে লাভ নাই।তারাতারি নিচে চলে আসবি।
আমিঃ…………………..
বড়ভাইয়া এই বলে চলে গেলো।
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে নিচে গেলাম।
গিয়ে দেখি এলাহি কান্ড।পুরা বাড়ীতে সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে।
বিশাল আর ভাবিন বসে বসে নাস্তা খাচ্ছে।
দেখলাম চা মামা আর তার মেয়েও চলে এসেছে।
আমিঃতা মামা কেমন আছ?
মামাঃভালা আম্মা।তুমি কেমন আছ?
আমিঃআমিও ভালো আছি।তা সামিয়া কেমন আছ?
সামিয়াঃভালো আপু।
আমিঃআচ্ছা এসেই যখন পরেছো চল একসাথে নাস্তা করে নেই।
মামাঃনা আম্মা তোমরা খাও আমরা আছি।
আমিঃবেশি কথা না বলে খেতে আস তো।
তারপর মামা আর সামিয়া আমাদের সাথে খেতে বসলো।
বিশালঃখাচ্ছে আর সামিয়ার দিকে তাকাচ্ছে।
সামিয়াও একটু পর পর তাকাচ্ছে।
আমি আর ভাবিন শুধু ওদেরকে দেখছি।
আমিঃবিশাল খাবার খা ঠিক করে।
ভাবিনঃএভাবে চারদিকে তাকিয়ে খাবার খেলে খাবার গলায় আটকিয়ে যাবে।
বিশালঃআমি খাচ্ছি তো।
আমরা সবাই খাওয়া শেষ করে সোফায় গিয়ে বসলাম।
তারপর আমার দুইভাই আসলো। তাদের হাতে অনেকগুলা ব্যাগ।
আমার দুইভাই এসে আমার দুইপাশে বসলো।
বড়ভাইয়াঃদেখ টুকু আমরা তোর জন্য এই শাড়ীটা কিনেছি।
ছোটভাইয়াঃতুই আজকে এই শাড়ীটাই পরবি।
আমি দেখলাম শাড়ীটা খুবই সুন্দর। নীল কালারের একটা শাড়ী।
আমিঃহুম।
তারপর ভাইয়ারা বাড়ীর সবাইকে ডাক দিল।
সবাই কে জামাকাপড় দিল।রহিম চাচা,চাচি,চা মামা,সামিয়া সবাই কে।
ছোটভাইয়াঃআজকে সবাই এই জামাগুলাই পরবেন।
সবাই একসাথে হা বলল।
বিশাল আর ভাবিনের জন্যও আনলো।
আর নিজেরদের জন্যও আনলো।
এভাবেই সারাসকাল কেটে গেলো।

দুপুরে…..

আমি রুমে বসে আছি।ভাইয়ারা আমার রুমে আসলো।
বড়ভাইয়াঃটুকু তারাতারি রেডি হয়ে নে।তারা সবাই বিকেলে চলে আসবে।
ছোটভাইয়াঃহুম।তোদের মেয়েদের সাজতে তো অনেক টাইম লাগে।
আমিঃতোমরা যাবা।
ভাইয়ারা হেসে চলে গেলো।
আমি শাওয়ার নিয়ে আসলাম।এসে দেখি সামিয়া আমার রুমে বসে আছে।
আমি তাকে দেখে মুচকি হাসলাম।
আমিঃকি সামিয়া রেডি হবা না?
সামিয়াঃহব তো।তোমাকে রেডি করিয়ে তারপর হব।
আমিঃআমাকে রেডি করাবে তুমি!!
সামিয়াঃহুম।তোমাকে শাড়ী পরাবো।তুমি নাকি শাড়ী পরতে পারো না?
আমিঃতোমাকে কে বলল?
সামিয়াঃবিশাল ভাইয়া।
আমিঃও আচ্ছা।তাহলে শুরু করো।
সামিয়াঃঠিকাছে।
তারপর সামিয়া আমাকে শাড়ী পরিয়ে দিল।
তারপর সে নিজেও শাড়ী পরলো।
আমি একদম হালকা সাজলাম।সামিয়াও হালকা সাজলো।

আমি ভাইয়াদের দেওয়া নীল শাড়ীটা পরলাম।হাতে নীল চুরি। চুলগুলা ছেড়ে দিলাম। হালকা লিপস্টিক আর কাজল।
কানে দুল।

ব্যস আমি রেডি।আর সামিয়া আজকে লাল শাড়ী পরেছে।হালকা সাজেও তাকে খুবই সুন্দর লাগছে।
আমিঃবাহ সামিয়া তোমাকে খুবই সুন্দর লাগছে।
সামিয়া লজ্জা পেয়ে গেলো।
সামিয়াঃআপু তোমাকে ও খুব সুন্দর লাগছে।
আমাদের কথার মাঝেই বড়ভাইয়া আসলো।
আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো তারপর বলল।
বড়ভাইয়াঃবাহ আমার টুকুকে তো খুবই সুন্দর লাগছে।
আমিঃতোমাকেও লাগছে।কিন্তু ভাইয়া তুমি এভাবে এতো সুন্দর করে সেজেছো কেন?
বড়ভাইয়াঃসেটা পরেই বুঝতে পারবি।এখন চল ওরা সবাই চলে এসেছে।
আমি মন খারাপ করে বললাম।
আমিঃহুম চল।
তারপর আমি ভাইয়া আর সামিয়া নিচে নামলাম।
আমি মেহমানদের দিকে একবার তাকালামও না।
কথাঃতা মেয়ে কি এভাবেই নিচের ফিকে তাকিয়ে থাকবে নাকি আমাদের ছেলেকেও দেখবে।
আমি কন্ঠ শুনেই অবাক হয়ে সবার দিকে তাকালাম
দেখলাম রুদ্র আর তার পরিবার আমার সামনে বসে আছে আর বাকি সবাই মিটিমিটি হাসছে।
আমি রুদ্রের দিকে তাকাতেই রুদ্র আমাকে চোখ মারল।
আমি তার দিকে রাগিভাবে তাকালাম।
তারপর আমি লজ্জা পেয়ে আবার নিচের দিকে তাকালাম।
নিহালঃআচ্ছা আমরা কিন্তু আজকে তিনটি বিয়ে ঠিক করতে এসেছি।
আমি আরেকদফা অবাক হলাম।
কথা খান আমার চোখের ভাষা বুঝতে পেরে বললেন।
কথাঃমেহেক-ফারদিন,রুশা-ফারহান আর ফারিয়া-রুদ্র।
আমি অবাক হয়ে ভাইয়াদের দিকে তাকালাম।ভাইয়ারা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
তারপর সবার মধ্যে অনেক কথা হল।
নিহালঃএবার না হয় তিন জুটি একটু আলাদা ভাবে কথা বলুক।
তারপর আমরা ছয়জনেই তিনটা রুমে গেলাম।

অন্যদিকে

আরমানঃআদি পিতা এই বিয়েগুলা হয়ে গেলেই আর কোন বিপদ থাকবে না তো।
আমি পিতাঃতা থাকবে না। কিন্তু…….
আরমানঃকিন্তু কি আদি পিতা???
আদিপিতাঃকিন্তু রুদ্রের বউয়ের বাচ্চা হয়ার সময় প্রাণ হারানোর ভয় আছে।
আরমান খান স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো।
তার চোখ দিয়ে পানি পরছে।
আমি পিতাঃশান্ত হও।
আরমানঃকি করে শান্ত হব পিতা?(কান্না করতে করতে)রুদ্র যে ফারিয়াকে খুবই ভালবাসে।তাকে ছেড়ে বাচতেই পারবে না আমার নাতিটা।(কান্না করতে করতে)।আচ্ছা ফারিয়ার কেন এমন সমস্যা হবে??
আদি পিতাঃকারন ফারিয়া অর্ধ ভ্যাম্পায়ার আর রুদ্র হল ভ্যাম্পায়ার কিং। ফারিয়া অর্ধ ভ্যাম্পায়ার হয়ে ভ্যাম্পায়ার কিং এর সন্তান ধারন করার ক্ষমতা রাখে না তাই ফারিয়ার প্রান সংশয় হতে পারে…..
আরমানঃকিন্তু ফারিয়াকে বাচানোর কোন উপায় তো আছে!!
আদি পিতাঃ আছে কিন্তু আমি এটা এখন বলবো না সময় হলেই বলবো। আজ আমি আসি।
এই বলেই তিনি অদৃশ্য হয়ে গেল।
আর আরমান খান চেয়ারে বসে চোখের জল ফেলতে লাগলেন………

চলবে……….