you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 31
সামিয়াঃশালা বজ্জাত বেটা আমারে দিয়া এতো রাতে কফি বানাইতাছে!!দাড়া তোরে কফি খাওয়াইতাছি।
এই বলেই সামিয়া কফির মধ্যে লবণ দিয়ে দিল।
সামিয়াঃএবার দেখি কি করে খাস তুই!!
অন্য দিকে বিশাল দেখতে আসছিল যে সামিয়া কি করে?এসে দেখে এই অবস্থা।
বিশালঃআমাকে মজা দেখানোর ধান্দা?তাই না।।তোমাকে দেখাচ্ছি মজা।
এই বলে সামিয়া আসার আগেই বিশাল আবার সোফায় গিয়ে বসে পরল।
সামিয়াঃএই যে মি…. আপনার কফি..
বিশালঃনাও এবার কফি নিয়ে আমার সামনে বস।
সামিয়াঃদেখুন আমার ঘুম পেয়েছে।আপনি খান আমি যাই।
বিশালঃযা বলছি তাই করো।
সামিয়া বিশালের সামনে বসে পরল কফি নিয়ে।
বিশালঃগুড এখন কফিটা খাও।
সামিয়া অবাক হয়ে বলল
সামিয়াঃআপনি খা খান।
বিশালঃনা বেবি তোমাকেই খেতে হবে।
এই বলে জোর করে বিশাল সামিয়াকে কফি খাইয়ে দিল।
দেয়ার সাথে সাথে সামিয়া মুখ থেকে বের করে দিল যা গিয়ে পরল বিশালের মুখে।
আর বিশাল তো রেগেমেগে আগুন।
সামিয়া ভয় পেয়ে গেলো।
বিশাল যেই ওকে ধরতে যাবে অমনি সে দৌড় দিয়ে নিজের ঘরে চলে গেল।
বিশালঃআজকে বেচে গেলে কাল কি হবে তোমার??(বাকা হেসে)
তারপর বিশাল ও নিজের ঘরে চলে গেল।
অন্যদিকে
ছোটভাইয়া রুশাকে কল দিয়েই যাচ্ছে।কিন্তু রুশা কল ধরছে না।
ভাইয়া এবার রেগে গেল।রেগে গিয়ে ফোন বিছানায় ছুড়ে মারল।
কিছুক্ষন পর রুশা কল দিল।দিতেই ভাইয়া ধরে ফেলল।
ছোটভাইয়াঃকই ছিলা এতক্ষন?? (রেগে চিল্লিয়ে)
রুশাঃআসলে আমি ওয়াশরুমে ছিলাম।(নিচু সুরে)
ছোটভাইয়া এবার কিছুটা শান্ত হল।
ছোটভাইয়াঃঠিকাছে আর যাতে এমন না হয়।(গম্ভীর ভাবে)
রুশাঃহুম।
ছোটভাইয়াঃi love u…
রুশাঃহুহ..এতক্ষন কথা শুনিয়ে এখন আসছে লাভ ইউ বলতে হবে না….হুহ..
ছোটভাইয়াঃআচ্ছা আমার পিচ্ছিটা কি খুব রাগ করছে?
রুশাঃখুব না অনেক অনেক বেশি।
ছোটভাইয়াঃওলে আমার বাচ্চার মা বুঝি খুব রাগ করছে?
রুশাঃবাবুর আব্বু টা খুব পচা তাই বাবুর আম্মু খুব রাগ করছে।
ছোটভাইয়াঃসরি বাবুর আম্মু।
রুশাঃআচ্ছা ঠিকাছে।যাও মাফ করে দিলাম।
ছোটভাইয়াঃএখন ঘুমাও অনেক রাত হয়েছে।।
রুশাঃহুম।বায়
ছোটভাইয়াঃবায়।
এই বলেই ভাইয়া কল রেখে ঘুমিয়ে পরল।
সকালে
আমাদের বাড়ী সাজানো হচ্ছে কারন কালকে আমাদের তিনভাইবোনের এনগেজমেন্ট।
আমি ঘুমিয়ে আছি।হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠল…..
আমি বিরক্ত হয়ে কলটা ধরলাম।
আমিঃকোন পেত্নীর জামাই রে আমারে এই সকাল বেলা আমারে কল দিছে?
রুদ্রঃনিজেকে নিজে পেত্নী বললে আমার তো আর কিছু করার নাই।
আমিঃআমি পেত্নী হতে যাব কেন পেত্নী তো আপনার বউ।
রুদ্রঃফারিয়া আমি রুদ্র।
আমিঃতা তুমি এত সকালে কল করলে যে
রুদ্রঃসকাল!!!!!১২ টা বাজে।
আমিঃকিইইইইইই!!!!!!
রুদ্রঃআজ্ঞে মেডাম।আর আমরা সবাই তোমার বাসায় ।। তারাতারি এসো।
আমিঃআচ্ছা আমি আসছি।
রুদ্রঃহুম তারাতারি এসো।
আমিঃহুম।
আমি তারাতারি ফ্রেশ হয়ে আসলাম।
আমি গেঞ্জি আর টাউজার পাল্টে কালো কালারের স্কার্ট আর সাদা কালারের টপস পরে নিচে আসলাম।
নিচে এসে দেখি রুদ্র,রুশা আর মেহেক বসে আছে।
আমিঃকেমন আছ সবাই?
বিশালঃমহারানির ঘুম ভেঙেছে তাহলে.
আমি গিয়ে রুদ্রের পাশে বসলাম।
রুদ্রঃতা এতক্ষন ঘুমানো হচ্ছিলো কেন?
আমিঃঘুম আসছিল তাই।
বিশালঃচল এখন সবাই বের হই।
আমিঃকই যাবো
রুশাঃশপিং এ।
সারাঃআমি কি আসবো?
সবাই দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে সারা দাঁড়িয়ে আছে।
বিশালঃআরে সারা যে।
ভাবিনঃতোমাকে কে আসতে বলেছে?
আমিঃআমি বলেছি।আসলে সারা আজকে থেকে আমার বিয়ে পর্যন্ত আমাদের এখানে থাকবে।
বিশালঃও আচ্ছা.(ভাবিনের দিকে তাকিয়ে)
আমিঃসামিয়া কই?
সামিয়াঃএই তো আমি আপু।
আমিঃআচ্ছা তারাতারি রেডি হয়ে নাও।
তুমিও আমাদের সাথে যাবে।
বিশালঃযাক ভালই হয়েছে(মনে মনে)
আমিঃআমিও রেডি হয়ে আসি।আর মেহেক তোমাকে বড়ভাইয়া তার রুমে ডেকেছে।
মেহেক ভয়ার্তভাবে আমার দিকে তাকালো।
মেহেকঃআচ্ছা যাচ্ছি।
এই বলে আমি রেডি হতে চলে গেলাম।
বড়ভাইয়ার রুমে
মেহেকঃকেউই তো নাই।যাক বাবা ভালো হলো আমি চলে যাই।
এই বলেই পিছনে ফিরতে যাবে তখনি ভাইয়ার সাথে ধাক্কা খেল।
ভাইয়াঃকোথায় যাওয়া হচ্ছে?
মেহেকঃনা মানে আসলে….
ভাইয়াঃi am so sorry মেহু।
মেহেক অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
মেহেকঃ আপনি ঠিকাছেন তো??
ভাইয়াঃকেন আমার আবার কি হবে?
মেহেকঃ না মানে আমাকে সরি বলছেন তো তাই।
ভাইয়াঃ যাই হোক।চল নিচে যাই
মেহেকঃহুম চলুন।
এই বলে মেহেক যেতে লাগলেই ভাইয়া মেহেকের গালে একটা কিস করে হনহন করে চলে গেলো।
মেহেক গালে হাত দিয়েই দাঁড়িয়ে আছে।
কি হলো কিছুই বুঝতে পারছে না।
মেহেকঃকি হলো এটা!!!!!বজ্জাত আমাকে কিস করলো????
চলবে……..
#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 32
আমরা সবাই শপিংমলে গেলাম।
আমরা সবাই একসাথে গেলোও রুদ্র আমাকে টেনে অন্যদিকে নিয়ে যায়।
আমিঃকি হলো?
রুদ্রঃচলো আমরা এইদিকে যাই।
আমিঃআচ্ছা চলো।
তারপর আমি আর রুদ্র শপিং শেষে ভাইয়াদের কাছে গেলাম।
গিয়ে দেখি ভাইয়ারা আলাদা আলাদা শপিং করতাছে আর বিশাল আর সামিয়া ঝগড়া করতাছে।
আমি গিয়ে বিশাল আর সামিয়ার বললাম
আমিঃকি হয়েছে?
বিশালঃআরে দেখ না আমি বলতাছি কালো কালারের শাড়ীটা নিতে কিন্তু ও বলতাছে লাল কালারের শাড়ী নিবে।
আমিঃও আচ্ছা। তা সামিয়া আমার মনে হয় তোমাকে কালো কালারেই ভালো লাগবে।তুমি এটাই নাও।
সামিয়া মুখ কালো করে এটাই নিল।
আমি বিশালের দিকে তাকিয়ে বাকা হাসলাম।
তা দেখে বিশাল ও হাসলো।
বড়ভাইয়াঃআচ্ছা সবার কি হয়ে গেছে।তাহলে চল যাওয়া যাক।
রুদ্রঃওকে তাহলে আমরাও আসি।
ছোটভাইয়াঃনা না আজকে আমাদের এখানে রাতের খাবার খেয়ে যাবে।
মেহেকঃনায়ায়ায়ায়া।(চিল্লিয়ে)
আমরা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি মেহেকের দিকে।
আমিঃকি হয়েছে ষাড়ের মতো চিল্লাচ্ছিস কেন?
বড়ভাইয়াঃগাধা একটা।
মেহেকঃকি আমি গাধা!!!(রেগে)
রুদ্রঃনা থাক ভাইয়া আমরা আরেকদিন আসবো।আজকে আর না।
বড়ভাইয়াঃঠিকাছে।
তারপর আমি,ভাইয়ারা,বিশাল,ভাবিন,সামিয়া আর সারা আমরা আমাদের বাসায় চলে আসলাম।
আর রুদ্ররা তাদের বাড়ীতে চলে গেলো।
in khan vila
নিহালঃকি বলছো এসব বাবা!!!!
কথাঃআমরা কি করবো এখন!!!!(কান্না করতে করতে)
আরমানঃহুম।ফারিয়ার বাচ্চা হয়ার সময় ফারিয়া মারাও যেতে পারে।
কথাঃএখন আমরা কি করবো। আচ্ছা ফারিয়া যদি বাচ্চা না নেয় তাহলেই তো হয়ে যায়।
আরমানঃপাগলের মতো কথা বলো না কথা।ফারিয়াকে বাচ্চা নিতেই হবে।তা নাহলে ভ্যাম্পায়ার রাজ্য ধ্বংস হয়ে যাবে।
নিহালঃফারিয়াকে বাচানোর কি কোন উপায় নাই।
আরমানঃআছে কিন্তু আদি পিতা বলেছে সময় আসলেই বলবে।
কথাঃরুদ্র যদি জানতে পারে তাহলে ও কোনদিন বাচ্চাই নিবে না।
আরমানঃএজন্যই তো রুদ্রকে কিছু জানানো যাবে না।
নিহালঃকিন্তু…..
আরমানঃআর কোন কিন্তু নয় রুদ্র যাতে কোন ভাবেই না জানতে পারে।
নিহালঃঠিকাছে।
রুশাঃকি জানতে পারবে না বাবা?
সবাই পিছনে ফিরে দেখে রুশা আর মেহেক দাঁড়িয়ে আছে।
নিহাল,আরমান আর কথা ভয় পেয়ে গেলো।
আরমানঃকই কিছু না তো।
মেহেকঃমিথ্যা কথা বল না দাদুভাই..
রুশাঃআমরা সব শুনেছি।
আরমানঃযা জেনেছ তা যাতে রুদ্র না জানতে পারে।(কঠিন সুরে)
রুশাঃকেন তোমরা সবাই ফারিয়ার জীবনটা নিয়ে এমনভাবে খেলছ?
মেহেকঃআমার মনে হয় ভাইয়াকে সব জানানো উচিত।
নিহালঃএকদম না।আমাদের আদিপিতা বলেছেন তিনি কোন না কোন উপায়ে ফারিয়াকে বাচাবেন।
রুশাঃকিন্তু বাবা……
নিহালঃআর কোন কিন্তু না।কালকে তোমাদের এনগেজমেন্ট যাও গিয়ে প্রস্তুতি নাও।
রুশা আর মেহেক কিছু না বলে চলে গেলো।
রুদ্র রুমে এসে ফ্রেশ হয়েই আমাকে কল দিল।
রুদ্রঃহ্যালো ময়নাপাখি
আমিঃহুম বলো।
রুদ্রঃকি করতাছ?
আমিঃবসে বসে তোমার কথা চিন্তা করতাছি।
রুদ্রঃতা কি চিন্তা করতাছ আমাকে নিয়া?.
আমিঃএই যে তোমার মতো একটা পাগলকে নিয়ে আমি কি করবো।
রুদ্রঃও তাই বুঝি।
আমিঃহুম মশাই।
রুদ্রঃচিন্তা কর না বিয়ের পর আমি আর আমার বাচ্চারা তোমাকে ইচ্ছামত জ্বালাবো।
আমিঃসেটা তো আমি জানিই।
রুদ্রঃজানো আমার না খুব শখ বাবা ডাক শুনার।
আমিঃতাই বুঝি।
রুদ্রঃহুম।আমার তো ফুটবল টীম করার ইচ্ছা আছে।
আমিঃকিইইইইইইই!!!!!!
রুদ্র এবার জোরে জোরে হেসে দিল।
রুদ্রঃআরে না তোমার মতো পিচ্ছি পারবে না।
আমিঃ………………….
রুদ্রঃ আচ্ছা পাখি তুমি খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পরো।কালকে তো আবার এনগেজমেন্ট আছে।
আমিঃহুম।তুমিও ঘুমিয়ে পরো।
রুদ্রঃবায় পাখি।
আমিঃবায় ফুটবল টীমের আব্বা।
রুদ্র মুচকি হেসে কল রেখে দিল।
আমি বড়ভাইয়ার রুমে গিয়ে দেখি আমার দুইভাই বসে আছে।
আমিঃবাহ আমাকে ছাড়াই গল্প করছিলে? (রাগ করে)
বড়ভাইয়াঃআয় আমার কাছে আয়।
আমি গিয়ে পা তুলে ভাইয়ার বিছানায় বসলাম।
তারপর আমি আর ছোটভাইয়া বড়ভাইয়ার কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পরলাম।
বড়ভাইয়া আমাদের দুইজনের মাথায় বিলি কেটে দিল।
তারপর আমরা দুইজনে ঘুমিয়ে গেলাম।
বড়ভাইয়া আমাদের দুইজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন।
বড়ভাইয়াঃদেখেছ আব্বু আম্মু আমার ছোটভাইবোন গুলা কতো বড় হয়ে গেছে।
কবে তোরা এত বড় হয়ে গেলি।
এই বলেই ভাইয়া চোখের কোণে থাকা পানি মুছে ফেললো।
তারপর হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পরল।
ভাবিন সেই কখন থেকে সারার রুমে বসে সারার জন্য অপেক্ষা করছে।
সারা ওয়াশরুম থেকে শাওয়ার নিয়ে খালি তোয়ালে গায়ে জড়িয়ে বের হয়েছে।
সে তখন ভাবিনকে খেয়াল করে নাই।
ভাবিন তো হা করে সারার দিকে তাকিয়ে আছে।
সারা যখন খেয়াল করল।
সে চিল্লাতে যাবে তার আগেই ভাবিন গিয়ে তার মুখ চেপে ধরল।
ভাবিন সারার অনেকটা কাছে চলে গেলো
ভাবিনঃকি করছো!!এভাবে চিল্লাচ্ছ কেন?
সারাঃউম উম উম
ভাবিনঃও আচ্ছা।
তারপর ভাবিন সারার মুখ ছেড়ে দিল।
সারাঃআপনি এখানে কি করছেন?(ভয় পেয়ে)
ভাবিনঃতোমার সাথে একটু কথা ছিল।
সারাঃপ্লিজ আপনি এখন যান।প্লিজ প্লিজ
ভাবিনঃওকে আমি কালকে বলবো।
এই বলে ভাবিন চলে গেলো।
সারাঃযাক বাবা বাচলাম।
তারপর সারা তারাতারি কাপর পরে নিল।
তারপর দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পরল।
চলবে…………