you are only my queen part-35

0
3293

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 35

রুদ্রঃ কিইই আমার ঠ্যং ভেঙে দিবা খুব সাহস তাই না।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
রুদ্র এই কথা বলেই আমার চুল গুলো খুলে দিল।আর এক হাতে আমার চুল ধরল আরেক হাতে আমার কোমড় চেপে ধরল
আমিঃআহহহ,,,,
রুদ্র সাথে সাথেই আমার ঠোট চেপে ধরল,,,
আমি বুঝতে পেরে চুপ করে রইলাম এখন বলে লাভ নাই রেগে গেছে তাই চুপ থাকাই ভালো।
রুদ্র আমাকে অনেক্ষন যাবত কিস করে যাচ্ছে প্রায় ২০ মিনিট পর ছেড়ে দিয়ে আমার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিল।আমি ছাড়া পেয়ে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছি।
মনে হচ্ছে নিস্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছি।রুদ্রর নিশ্বাস আমার গলায় পড়ছে শরীরে কাটা দিয়ে উঠছে।
রুদ্র আমার গলায় নিজের নাক ঘসছে আর ছোট ছোট কামড় দিচ্ছে।
আমিঃঅই রাক্ষস আমাকে কামড় দিচ্ছো কেন?
রুদ্রঃআমার ইচ্ছা।
আমিঃবললেই হলো, ছাড়ো বলছি।
রুদ্র তার মতো চুমু দিয়েই যাচ্ছে আর আমার পেটে হাত দিয়ে রেখেছে।
আমিঃ এই লোক আমাকে কিছুতেই শান্তি দিবে না।আমাকেই কিছু একটা করতে হবে।(মনে মনে)
তাই জোড়ে কামড় দিয়ে সরে আসলাম।
রুদ্রঃহয়েছে এবার শান্তি।
আমিঃকি হলো( মনে মনে) হ্যা শান্তি।
রুদ্রঃশান্তি তাই না শান্তি বের করবো রাতে (মনে মনে ডেভিল হেসে😎)
চলো এবার যাওয়া যাক নিচে।
আমরা নিচে গেলাম রুদ্র রা এবার চলে যাবে।ওর বাবা মা দাদু কে সালাম করলাম।
রুদ্রর মাঃ বেচে থেকো মা,,আমরা খুব খুশি তোমার মতো মেয়েকে আমরা বউ হিসেবে পেয়ে।তুমি কিন্তু আমার আরেক মেয়ে মনে থাকে জেনো।
আমি হাসলাম আর বললাম
আমিঃ আমিও অনেক খুশি আপনাদের মতো মা বাবা পেয়ে।
বলতেই চোখে পানি চলে এলো
ভাইয়ারা সালাম করে নিলো সবার সাথে কথা বলে ওরা রওনা দিলো বাসার উদ্দেশ্য।।
আমরা ও যে যার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম।সকলেই খুব ক্লান্ত তাই সবাই খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়লাম।ঘুমের রাজ্য তলিয়ে গেলাম।

রাত ২ঃ৫০

মনে হচ্ছে আমার দম আটকে আসছে শরীরে নরার শক্তি ও নেই।কেউ আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে মনে হচ্ছে।
আমার বুঝতে আর বাকি রইলো না কে এটা।আমি নড়াচড়া বন্ধ করছি না।রুদ্র আরো জোড়ে কিস করছে আমায়।
রুদ্রঃঅনেক্ষন ধরে নড়াছড়া করছ। তাই জোরে কিস করছি। আমার ঘুম নষ্ট করে নিজে আরামে ঘুমাচ্ছো তাই না।দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
এই বলেই জোড়া কামড় দিল। দিয়ে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।
আমিঃআহহহহহহ,,,এতো জোরে কামড় দিলা কেন?
হাত দিয়ে দেখি রক্ত বের হয়ে গেছে।
আমি কান্না করে দিলাম।
রুদ্র আমার কান্না দেখে আমাকে জড়িয়ে ধরে কামড়ের জায়গায় চুমু দিয়ে ভালো করে দিল।
আমি রুদ্রের বুকে কিল দিয়ে ছুটার চেষ্টা করলাম কিন্তু রুদ্র আর শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার ঠোট দখল করে নিল ।তারপর ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ল।
আমিঃএই ছাড় আমায় আমি তোর সাথে ঘুমাবো না।
রুদ্রঃ এই বেশি কথা বলো না।নয় তো এক থাপ্পর দিবো যে আর কানেই শুনবা না।
আমি চুপ করে রইলাম।
রুদ্রঃএই তো গুড গার্ল
আমাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে গেল।।।

সকালে

আমি ঘুম ভাঙতে দেখি ১১টা বাজে,,,রুদ্র পাশে নেই,,,তারমানে সকালেই চলে গিয়েছে।
ফ্রেশ হতে গিয়ে দেখি আমার হাতে খুব সুন্দর করে হার্ট শেপ মেহেদি দেওয়া আর R লিখা,,তারমানে রুদ্র করেছে কিন্তু আমি টের পেলাম না কেনো।পাগল লোক একটা। বলেই হাসলাম।।

আজ মেহেন্দি অনুষ্ঠান,,,

সকাল থেকেই বাসায় মেহেন্দির তোড় জোর চলছে।
নিচে গিয়ে দেখি সবাই খাবার টেবিলে বসে আছে আমার জন্য।
বড় ভাইয়া- ছোট ভাইয়া: গুড মর্নিং টুকু – মিষ্টি
আমিঃগুড মর্নি ভাইয়ারা।
টেবিলে বসে আছি আর বাম হাত লুকিয়ে রাখছি যেনো কেউ দেখতে না পায়।
একহাতে খাচ্ছি তখনি
সারাঃআপু তোমার হাতে কি হয়েছে?
আমি হচকচিয়ে উঠলাম কই কি
বিশাল-ভাবিনঃহ্যা তাই তো কি হয়েছে দেখা দেখি কি হয়েছে,,
ছোট ভাইয়াঃকি হলো মিষ্টি দেখা😠
বিশাল উঠে
আমার হাত টেনে দেখি হার্ট শেপ করা মেহেদী ডিজাইন আর R লিখা,,,,
আমি লজ্জা পেলাম খুব। মন চাচ্ছে দুইটাকে ইচ্ছে মতো মারি।
বিশাল কে বললাম
আমিঃ তোদের কে পরে দেখছি।
সবাই হাসছে আমাকে দেখে
বড় ভাইয়াঃআহ হয়েছে তোরা এবার থাম আর সকলে খাওয়া শুরু কর( রাগি গলায়)
সবাই খাওয়া শেষ করে সবাই সবার রুমে চলে গেলাম.
গিয়ে দেখি রুদ্র আমাকে কল করেছিলো অনেক বার
আমিঃএই রে এখন কি হবে আমার ৫০+ মিসড কল হয়ে আছে এখন আমাকে কে বাচাবে আল্লাহ আমাকে বাচাইও বলেই কল দিলাম রুদ্র কে
রুদ্র একবার কল আসাতেই ধরে ফেলল। রুদ্রঃকোথায় ছিলি এতক্ষণ ( রেগে চিল্লিয়ে)
আমিঃআসলে ভাইয়াদের সাথে ছিলাম।( ভয়ে ভয়ে)
রুদ্রঃঅহহ আচ্ছা ( শান্ত স্বরে)।তা মোবাইল টা কোথায় ছিলো? সাথে নিয়ে গেলে কি হতো?? এর পরের বার থেকে যেনো ভুল না হয়।আচ্ছা এখন বল তোমার হাতের মেহেদি টা কেমন হয়েছে? নিশ্চই অনেক সুন্দর রং হয়েছে।হবেই তো আমি কি তোমাকে কম ভালোবাসি নাকি ( ভাব নিয়ে)
আমিঃও তাহলে আমি ঠিক ই ছিলাম। একটু ও রং হয় নি।মনে হয় মেহেদী টা খারাপ ছিলো।
(মনে মনে মেহেদীর অনেক সুন্দর রং হয়েছে আমি জানি তুমি আমাকে কতো টা ভালোবাসো,, আমি চাই তুমি নিজে এসে দেখো)
রুদ্রঃকি বললা রং হয় নি। দোকান দার এর আজ ই শেষ দিন আমাকে খারাপ মেহেদী দেয়।(রেগে)
আমিঃআরে না না এরকম করিও না।আচ্ছা বাদ দেও কি করো এখন।
রুদ্রঃএই তো আমার বউ এর সাথে কথা বলি।
আমিঃতাই বুঝি।
রুদ্রঃআই লাভ ইউ জান পাখি😍
আমিঃআই লাভ ইউ টু😘😘

এদিকে

মেহেদী আর্টিস্ট চলে এসেছে আমাদের মেহেদী দেওয়ার জন্য।
আমাকে বসানো হলো। আমার দুইভাই মেহেদী দিয়ে দিচ্ছে।

অন্য দিকে

ভাবিন আর বিশাল সুযোগ খুজচ্ছে সারা আর সামিয়া কে নিজের হাতে মেহেদী দিয়ে দিবে।।।
কিন্তু ওদের একা পাচ্ছেই না। তাই ওরা বুদ্ধি বের করলো যে ওদের জন্য কফি বানিয়ে আনতে,,,
বিশাল-ভাবিনঃসারা-সামিয়া আমাদের জন্য কফি নিয়ে আসো।
সারা-সামিয়াঃ আমরা আপনার কাজের লোক নই অন্য কাউকে বলেন
বিশাল-ভাবিনঃকি বললে??(চিল্লিয়ে)
সারা-সামিয়াঃ কিছু বলি নি তো যাচ্ছি আমরা (ভয় পেয়ে)
ওরা যেতে নিতেই বিশাল-ভাবিন ওদের মুখ চিপে আলাদা রুমে নিয়ে যায় আর ওরা ছটফট করতে থাকে।
সারাঃ আপনি আমাকে এখানে আনলেন কেনো
ভাবিনঃতোমায় মেহেদি দিয়ে দিবো বলে।
সারাঃ না আমি দিবো না
ভাবিনঃআর একটা কথা ও বলবা না।তোমার হাত ভেঙে দিবো নয় তো চুপ থাকো।
সারা চুপ করে রইল।
সারাকে চুপ থাকতে দেখে সুন্দর করে মেহেদি লাগিয়ে দিলো খুব সুন্দর না হলেও মোটা মুটি চলে।
এদিকে বিশাল এর ও একি অবস্থা অনেক রাগারাগি করার পর সে সামিয়া কে মেহেদি পরিয়ে দিলো যাওয়ার আগে একটা চুমু দিয়ে গেলো
সামিয়াঃখুব পাজি তো লোকটা। যাক আমার হাত টা তো নষ্ট করে নি যা করেছে মোটামুটি ভালোই একেছে।।(মুচকি হেসে)

চলবে………..