#Three_Gangsters_Love.
#Sumaiya_Moni.
#Part_23.
রাতে….
সবাই এক সাথে খাবার খেতে বসেছে।ফাহিম আর ফারিন বাদে। ফাহিম ওর রুম থেকে বের হচ্ছিল তখনি ফারিনের মুখমুখি পড়ে। ফারিনের রুম ফাহিমের রুমের অপজিটে।ফারিনকে দেখে ফাহিম একটি ভাটালি হাসি দেয়। যেই হাসি দেখে ফারিন ফাহিমকে বলদ উপাদি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারছে না। ফারিন পাশ কাঁটিয়ে চলে যেতে নিলে ফাহিম বলে,
-“না, মানে কইতাছিলাম?”
-“কই আমি তো কিছু শুনিনি?”দ্রুত উত্তর দেয় ফারিন।
-“কই নাই।শুনবেন কেমনে?” হেসে হেসে বলে ফাহিম।
ফাহিমের হাসিতে বিরক্তির রেশ দেখা যাচ্ছে ফারিনের চেহারায়। ফারিন এবারও চলে যেতে নিলে ফাহিম সামনে হাত জাগিয়ে থামিয়ে দেয়।
ফারিন বিরক্তি নিয়ে বলে,
-“সমস্যা কী আপনার?”
-“আপনে?”
-“আমি? ” কপাল কুঁচকে ।
-“না মানে কইতাছিলাম কী! আপনি কী সিঙ্গেল?”
-“না তো!”
কথাটা শুনেই যেনো ফাহিনের দিলে ঝাটকা লাগলো। মুখ মলিন করে বলে,
-“সত্য?”
-“হ্যাঁ! আমার পাঁচটা মেয়ে। পাঁচটা ছেলে আছে । আর আমার স্বামীও দুইটা।”
ফাহিম দুষ্টমি ভঙ্গিতে বলে,
-“ধুর! মিথ্যা কথা কন।”
ফারিন এবার চিল্লিয়ে বলে,
-“যদি মিথ্যা কথাই মনে হচ্ছে,তখন জিজ্ঞেস কেন করছেন? গাধা কোথাকার। ” বলেই চলে যায় ফারিন।
ফাহিম বুকে হাত রেখে বলে,
-“ভাভা গো! কী ডেঞ্জারিস মেয়ে।” কথাটা বলেই এদিক,সেদিক তাকাল।
-“না কেউ শুনে নাই আমার ইংলিশ । শুনলেই হাসি শুরু করতো নে। যাই খাইতে যাই।”
সবার সাথে বসে খাবার খাচ্ছে ফাহিম। ফাহিম আড়চোখে কয়েকবার ফারিনের দিকে তাকালেও। ফারিন তাকাইনি একবারও। খাওয়া শেষ করে আলতাফ চৌধুরী আগে টেবিল ছেড়ে ওঠে যায়। কিছুক্ষণ পর বাকিরাও টেবিল ছেড়ে ওঠে যায়।ফাহিম ওর রুমে এসে কিছু মেডিসিন আছে সেগুলো খেয়ে নেয়। বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতেই তখনি ওর মনে পড়ে দাদুর পা কয়দিন মালিশ করে দেওয়া হয়না। এটা ভেবে তেল নিয়ে আলতাফ চৌধুরীর রুমের সামনে এসে হনহন করে রুমে ঢুকে যায়। আলতাফ চৌধুরী তখন সোফায় বসে ছিল। ফাহিমকে দেখে তিনি কিছুটা বিরক্ত হলেন। ফাহিম বলে,
-“দাদু আহো তোমার পায়ে তেল মালিশ কইরা দেই।”
-“দরকার নেই। তুই যা।”
-“কেন দাদু? আরো আহো না পা মালিশ কইরা দেই তোমার ।”
-“লাগবে না। তুই যা আমি এখন ঘুমাবো।” কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বললেন তিনি।
-“আইচ্ছা।তাইলে মুই যাই।”
ফাহিম রুমে চলে আসে।তেলের বোতল রেখে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ফারিনের রুমের দিকে উঁকিঝুঁকি মারছে । ফারিনের রুমের লাইট জ্বলছে। দেখতে দেখতে এক পর্যায় ফারিনের রুমের সামনে এসে বসে যায়। ফারিন বিছানার কাছে যেতে নিলে দরজার সামনে কারো ছায়া দেখতে পেয়ে হেঁটে এসেই চট করে দরজা খুলে ফেলে। ফাহিম কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যায়। ফারিনকে দেখে ওঠে দাঁড়িয়ে আবার সেই ভাটালি হাসি দেয়। ফারিন কিছুটা রাগ নিয়ে বলে,
-“আপনি আমার রুমের সামনে বসে কী করছেন?”
ফাহিম ওঠে দাঁড়িয়ে মুখে হাসির রেখা টেনে আমতা আমতা করে বলে,
-” ঠেঙ্গা খুঁজতে ছিলাম।”
-“ঠেঙ্গা?” ভ্রু কুঁচকে বলে ।
-“হয়!”
-“ঠেঙ্গা মানে?”
-“জনেনা না?”
-“না।”
-“মুইও জানি না।” বলেই ফাহিম ওর রুমে চলে আসে।
ফারিন কিছুটা রাগ হয়। রাগনিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দেয়। ফাহিম রুমে এসে বুকে হাত দিয়ে বড় নিশ্বাস টানে। একটুর জন্য বেঁচে গেছে। শুয়ে পড়ে ফাহিম। ফারিনের কথা ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে যায় ফাহিম ।
সকালে….
সবাই ঘুম থেকে ওঠে। এক সাথে ব্রেকফাস্ট করতে বসে। সবাই উপস্থিত থাকলেও। আলতাফ চৌধুরী উপস্থিত নেই সেখানে। তার শরীর টা ভালো না বিধায় নাস্তা রুমে বসেই সেরে নেয়। রিমি আজ লক্ষ করেছে কালকে ফারিন রুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকলেও আজ ফারিন রুদ্রের দিকে তাকায়নি তেমন একটা।তবে আড়চোখে শুভ্রের দিকে তাকিয়েছে কয়েকবার। এটা ঠিক বুঝতে পেরেছে রিমি। মনে মনে ভাবছে,”এই মেয়েটার মনে কী চলছে।তা এই মেয়েটাই জানে।”
সবার খাওয়া শেষ হয়। রুদ্র,অভ্র,শুভ্র অফিসে যাওয়ার আগে আলতাফ চৌধুরীর সাথে একবার দেখা করে যায়। নিধি ওর মামা,মামির সাথে কথা বলছিল তাদের রুমে বসে। আলতাফ চৌধুরী ও নিধি বাদে সবাই ড্রইংরুমে উপস্থিত ছিল। ফারিন কেমন অস্বস্থি ফিল করছিল বিধায় ওঠে রুমে চলে যেতে নিলে নিধি এসে হাত ধরে সোফায় বসিয়ে দেয়।ফারিনের পাশে নিধি বসে। ফাহিম তখন নিধিকে প্রশ্ন করে,
-“নিধি ভাবি আপনি কোনো দিন প্রেম ভালোবাসা করছিলেন?”
নিধি চটপট উত্তর দেয়,
-“না।”
-“রিমি ও সিমি ভাবি আপনারা?”
রিমি,সিমিও না বলে।
সাব্বির,ইশাকে আর জিজ্ঞেস করে না। কারণ তাদের স্টোরি ওর নিজেই জানে।
-“মুইও হরি(করি) নাই । তয় এহন করমু ভাবছি।”
-“প্রেম করবে ভলো কথা। আগে মেয়েটিকে এমপ্রেস করে নিও। আর না হলে মাইর একটাও মাটিতে পড়বে না।” বলেই মুখ টিপে হাসে নিধি।
-“ভাবি ফাহিমকে কিছু বইলো না। আমি চাই ও দুই,চারটা মাইর খাক। যাতে ওর ইংলিশ বলাটা বন্ধ হয়ে যায়।” ইশা কথাটা বলেই মুখ ভেংচি কাটে ।
ফাহিম তখনি আঙুল জাগিয়ে নায়কদের মতো ভাব নিয়ে বলে,
-“এই ভাবি এই! আমি বদ দোয়া দিলাম। আপনার তিনটা জমজ বাচ্চা হইবো।”
-“আর সেই বাচ্চা তিজনের পাকু তোকে দিয়ে পরিষ্কার করাব।”
-“ঠেকা পড়ছে মোর।”
-“ঠেকাই পড়বে তখন। আর শুধু তাই না। তোর প্রিয় আন্ডারগ্রাউন নিয়েও টানা-টানি করবে দেখিস।”
ফাহিম পড়েছে দরজার চিপায়।ফারিনের সামনে এগুলো বললে মান-সম্মান আর বাদ থাকবে না।
ফাহিম ইশার সামনে দু হাত জোর করে বলে,
-“মাফ চাই ভাবি। থামো! মুই আর ঝগড়া করমু না তোমার সাথে।”
ইশা ভাব নিয়ে বলে,
-“মনে থাকে যেনো।”
ফারিন তখম বলে ওঠে,
-“আন্ডারগ্রাউন কী?”
এবার গেল বুঝি ফাহিম। এখন তারিনকে কে বলবে? আন্ডারগ্রাউন মানে আন্ডারওয়ার।
ইশা বলার আগেই ফাহিম দ্রুত বলে,
-“আন্ডারগ্রাউন গ্যাংস্টার,মাফিয়া। এগুলা কয় আরকি।”
ফারিনের মুখের এক্সপ্রেশন দেখে ফাহিম বুঝতে পারছে ফারিন কথাটা মেনে নিতে পারেনি।
কিছুক্ষণ কথা বলার পর রুদ্র অফিস থেকে ফোন দিয়ে বলে বাসায় একটি ফাইল রেখে গেছে। যেটা অফিসে দিয়ে আসতে। সাব্বির,ফাহিম অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ফাহিম আগে কখনোই রুদ্রদের অফিসে যায়নি। আজই প্রথম যাবে।
দুপুরে রুদ্র,অভ্র,শুভ্র, সাব্বির,ফাহিম এক সাথে বাসায় ফিরে। আগের ন্যায় খাওয়া দাওয়া শেষ করে যে যার রুমে চলে আসে। ফারিন আসে ছাদে। ঘরে মন টিকছিল না তাই ছাদে আসে। ফাহিম ফারিনের রুমে উঁকি মেরে দেখে ফারিন রুমে নেই। নিধির কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে ওর রুমেও নেই। তাই ফাহিম ছাদে আসে। এবং ফারিনকে ছাদের এক কোণায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পায়। ফাহিম মনে করে ভেবে নেয়,হয়তো ফারিনের মন খারাপ। তাই কাছে যেতে যেতে একটি গান গাইতে শুরু করে,
-“সখি কুক দিও না রে সখি কুক দিও না। তুমি মোর ভালোবাসা বুঝেও বুঝো না।…..”
ফারিন ফাহিমের গান শুনে কিছুটা বিরক্ত হয়। পিছনে ঘুরে না তাকিয়েই ফাহিমের সামনে এসে দাঁড়ায়। যার কারণে ফাহিমের গান বন্ধ হয়ে যায়। ফাহিম ফারিনের চেহারা দেখে বুঝতে পারছে চড়ম বিরক্তে ভাসছে ফারিন। কিছু বলার আগেই ফারিন ধমক দিয়ে বলে,
-“মানুষের রক্ত খেয়েছেন কখনো?”
কথাটা শুনেই ফাহিমের মুখ পাংশু হয়ে যায়। অজ্ঞাত সামনে দাঁড়ান ফারিনকে দেখে ওর কাছে কেমন রহস্যময়ী লাগছে। ফাহিম ফারিনের কথাটা মজার ছলে উঠিয়ে দিয়ে হেসে হেসে বলে,
-“কত খাইছি। খাইতে খাইতে বুড়ো হয়ে যাইতাছি।”
-“খুব টেস্ট তাই না? এখন আমি আপনারটা খাবো।”
কথাটা শুনতে দেরি ফাহিমের দৌঁড় দিতে দেরি নেই। ফাহিমকে আর খুঁজে পায় কে। এক দৌঁড়ে রুমে এসে দম নেয় ফাহিম । বুকে হাত দিয়ে বলে,
-“ও মোর আল্লাহ্! এডা কী মাইয়া নাকি ভূত?মোর রিদয়-মিদয় কাপতাছে। নাহ! ভাবিরে কইতে হইবো।”
রুম থেকে বের হতে নিলেই দেখে ফারিন ওর রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ফারিনকে দেখে ফাহিমের এখন আরো ভয় করছে। ফারিন হেঁটে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে বলে,
-“ভাবিকে কী বলবেন?”
ফাহিম ছোট ঢোক গিলে পিছিয়ে গিয়ে কাঁপা কন্ঠে বলে,
-“ক..কমু মোর আন্ডারগ্রাউন আবার হারাইয়া গেছে।”
-“মিথ্যে কথা। আমার বিষয় কিছু বলতে চেয়েছেন?”
-“আরে না। মুই ঐটাই কইতে চাই ছিলাম…….।”
-“হুশশ! আমার কাছ থেকে দূরে থাকবেন। আর নয়তো……।” ফাহিমের কিছুটা কাছে গিয়ে নিশ্বাস টেনে বলে,
-“ফল ভালো হবে না।”
ফাহিমের চোখ বড় বড় হয়ে যায়। ফারিন রহস্যময়ী হাসি দিয়ে চলে যায় রুম থেকে । ফাহিম বুকে হাত দিয়ে দেখে হার্টবিট দ্রুত ওঠা নামা করছে।ভয়তে নাকি ফারিন ওর কাছে আসার কারণে? সেটা ঠিক ও বুঝতে পারছে না।
.
.
রিমি বিছানায় বসে বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যায়। বই ওর বুকের উপর রাখা ছিল। রুদ্র তখন সোফায় বসে সেন্টার টেবিলের উপর ল্যাপটপ রেখে অফিসের কাজ করছি ।কাজ করার এক পর্যায় ওর চোখ পড়ে রিমির উপর। রিমিকে বিছানার পাশে ঠেলান দেওয়া অবস্থায় ঘুমাতে দেখে রুদ্র ওঠে এসে আস্তে করে বইটা বুকের উপর থেকে সরিয়ে নেয়। ভালো মতো শুইয়ে দিয়ে রিমির ঘুমন্ত চেহারায় দেখে গালে আলত করে চুমু এঁকে দেয়।রুদ্র আবার সোফায় বসে কাজ করতে শুরু করে।
.
সিমি ভাজ করা ওর কাপড় গুলো আলমারিতে তুলে রাখছিল। শুভ্র তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে কারো সাথে ফোনে কথা বলছিল। হঠাৎ ভাজ করা কাপড় গুলো দেখে সিমির কেন জানি খারাপ লাগে।আস্তে করে বিছানায় বসে ভাজ করা কাপড়ের উপর হাত বুলাতে লাগল।
-“আজ যদি আমার বাবা-মা বেঁচে থাকত বা তাদের সাথে আমি থাকতাম। তাহলে ঠিক এই ভাবেই কাপড় ভাজ করে ব্যাগ গুছিয়ে বাবার বাড়ি যেতাম। যেটা বিয়ের পর সব মেয়েরাই যায়। কিন্তু কপালে সেটা লেখা নেই আমার।” কথা গুলো মনে মনে বলতে বলতেই চোখের কোণে পানি চলে আসে সিমির।
তখনি শুভ্র এসে সিমির কোলে মাথা রেখে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে বিছানার উপর। সিমি এদিক সেদিক তাকিয়ে চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করে। শুভ্র কিছু একটা আন্দাজ করতে পারে । সিমির দু’গালে হাত রেখে ওর চেহারার বরাবর ধরে রাখে। সিমি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে । শুভ্র সিমির এক চোখের হাত দিতেই পানি লাগে ওর হাতে। চট করেই শুভ্র সিমির কোল থেকে ওঠে বিছানায় বসে। সিমি ওঠে চলে যেতে নিলেই শুভ্র পেছন থেকে হাত ধরে টেনে ওর কাছে নিয়ে আসে। মাথা নত করে রাখে সিমি। শুভ্র সিমির এক গালে হাত রেখে ওর দিকে ফিরায়। নরম স্বরে বলে,
-“তুমি কাঁদছো?”
সিমির বুকের কষ্টটা যেনো আরো দ্বিগুন ভেড়ে গেল শুভ্রের কথায়। কোনো রকম নিজেকে সান্ত করে রাখে।
-“তোমরা মেয়েরা এমন কেন জানি না? তাদের কষ্টে বুক ফেঁটে যাবে। বাট মুখ থেকে শব্দও বের হবে না।খুব কঠিক তোমরা।” কথাটা বলেই শুভ্র ওর কপাল সিমির কপালের সাথে ঠেকায়। কিছুক্ষণ থাকার পর আলতো করে বুকের সাথে সিমিকে জড়িয়ে ধরে। যে কষ্টটা সিমির বুকে চাপা ছিল। তা এখন অনেকটা কমে গেছে। সিমি চোখটা বন্ধ করে নেয়।
.
নিধি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে বিছানার সামনে এসে ফোনটা হাতে নিয়ে কিছু একটা দেখছিল। অভ্র একটি ফাইল নিয়ে সোফায় বসে ঘাটছিল। ফোন টিপতে টিপতে নিধি বিছানায় বসে। অভ্র ফাইলটা রেখে ফোনটা নিয়ে ওঠে দাঁড়িয়ে কাকে যেন ফোন দিচ্ছিল। বারান্দায় যাওয়ার সময় পিছন থেকে নিধি অভ্রকে বলে,
-“আপনার গেঞ্জিয়ে তেলাপোকা।”
অভ্র কথাটা শুনে শক্ত হয়ে যায়। অভ্রযে তেলাপোকা ভয় পায় সেটা তো জানেনই! অভ্র সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিধিকে বলে,
-“নিধি এটাকে সরাও। সরাও প্লিজ ।”
নিধি বিছানা থেকে ওঠে দাঁড়িয়ে অভ্রের সামনে এসে,অভ্রের চেহারা দেখে না হেসে পারল না। মুখে হাত দিয়ে জোরে জোরে হাসতে লাগলো । নিধির হাসি দেখে অভ্রের রাগ হচ্ছে । নিধি কোনো রকম হাসি আটকিয়ে বলে,
-“একজন গ্যাংস্টার হয়ে তেলাপোকা ভয় পাচ্ছেন? বাহিরের মানুষ রা শুনলে কী বলবে আপনাকে? ”
-“এত কথা কেন বলছো? তেলাপোকা টা সরাও।” কিছুটা ক্ষিপ্ত কন্ঠে বলে ।
-“সরাব না। আপনে সরিয়ে নিন।”কথাটা বলে চলে যেতে নিলে অভ্র নিধির হাত ধরে ওর কাছে নিয়ে এসে দু’হাত পিছনের দিকে নিয়ে পিঠের সাথে চেপে ধরে। নিধি ভয় পেয়ে যায় অভ্রের চেহারা দেখে। হাসি যায় উঁড়ে নিধির।
অভ্র নিধির মুখের সামনে এসে দাঁতে দাঁত চেপে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে,
-“আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে,আমাকেই ভয় দেখাচ্ছো? সাহস তো তোমার কম নয়?”
নিধি চুপ। বুঝে গেছে অভ্র ওর চালাকি ধরে ফেলেছে ।
-“এখন কথা বলছো না কেন?”রেগে বলে।
সরু ঢোগ গিলে মিন মিন করে বলে,
-“না,মা..নে…।”
বাকিটা বলতে না দিয়ে অভ্র এক হাত দিয়ে নিধির হাত দুটো চেপে ধরে আরেক হাত নিধির চুলের মাঝে ডুকিয়ে ঠোঁট জোড়া ওর আয়াত্তে করে নেয় অভ্র। থেমে যায় নিধির কথা। বন্ধ করে দেয় চোখ জোড়া । কিছুক্ষনের জন্য ডুবে যায় অভ্রতে।
.
.
.
.
.
.
.
.
Continue To……….