#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………15
আমি জানি আমাকে ছাড়া তুই পূর্ণ কিন্তু আমি তোকে ছাড়া শূন্য। কারন তোকে আমি একটু বেশিই ভালোবাসি। কালি আমি কিছুদিনের জন্য অন্য কোথাও চলে যাবো। জানি এটা সহজে ভুলা সম্ভব না, তবে হতে পারে কিছু দিন আমাকে না দেখলে ভুলে যেতে পারিস।
সকালে ঘুম থেকে উঠেতে পারছি না৷ মাথাটা চিনচিন করে ব্যাথা করছে। হয়তো কালকে অনেক ক্ষন কান্না ফলে এমন হয়েছে। ধীরে ধীরে উঠে বসি। চারপাশে এক বার চোখ ঘুরাই। অয়নকে দেখতে পারছি। অভিমানে মাথাটা আবার নিচে করে নিয়।
মেঘা,,,,,,,,,,, ভালো হয়েছে অয়ন নেয় এখানে। কাল রাতে আমার সাথে যেটা করেছে সেটা খুবি খারাপ। ভুলতে পারছি না এটা আমি। কেনো করলো আমার সাথে এমন। (মন খারাপ করে)
তখনি দরজার খুলার শব্দ পায়,মেঘা অয়ন ভেবে অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
ফারিয়া,,,,,,,,, মেঘা আসবো।
মেঘা,,,,,,,,, ওহ ভাবি। আসেন।
ফারিয়া ভিতরে এাসে মেঘার পাশে বসে। ফারিয়া মেঘার দিকে তাকিয়ে থাকে।
মেঘা,,,,,,,,, কি হলো ভাবি।
ফারিয়া,,,,,,,,,,, তোমার চোখ ফোলা লাগছে, কাল রাতে ঘুমাও নি নাকি কান্না করেছো।
,,,,,,,,,,, না ভাবি এমন কিছুই না, এমনি (চোখ লুকিয়ে)
,,,,,,,,,, আমি তোমার ভাবি আর ভাবি মার সমান, যে কথা মাকে বলা যায় না সেটা আমাকে বন্ধু ভেবে বলতে পারো। আমি দেখেছি অয়ন কতোটা রেগে ছিলো কালকে। তাই জানি কাল কিছুতো একটা হয়েছে। ছেলেরা রাগের মাথায় যে কোনো কিছু করতে পারে।
,,,,,,,,,,,, কিন্তু অয়ন কাল যেটা করেছে সেটার জন্য আমি ওকে মাফ করবো না। আমার সাথে জোরা জোরি করার চেষ্টা করেছে।
,,,,,,,,,,, তার মানে তোমাদের মধ্যে এখনো কোনো শারিরীক সম্পর্ক হয়নি। কাল হয়েছে।
,,,,,,,,,, না। (মাথা নিচু করে)
,,,,,,,,, হুমম, তোমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক হয়নি কেনো জানো। কারন অয়ন চায়নি তোমার অমতে কিছু করুক। ও চাইলে কিন্তু আটকিয়ে রাখতে পারতা না। ও তোমার যথেষ্ট সম্মান করে। আর রইলো কালকের কথা। কালকে রাফির আচরণ আমার মোটেও ভালো লাগেনি৷
ও যেমন করেছে সেটা কোনো স্বামী মেনে নিবে না। আর অয়নের রাগটা একটু বেশি। তাই রাগটা ও সামলাতে পারে নি। কিন্তু হয়তো কাল তোমার চোখের পানি ওকে থামিয়ে দিয়েছে। অয়নের চোখে এর জন্য আজ আমি অনুতপ্ত দেখেছি। এক বার অয়নকে মাফ তো করায় যায়। তাই না।
মেঘা,,,,,,,,,, অয়ন কোথায় ভাবি, নিচে।
,,,,,,,,, না ওর বাসায়।
,,,,,,,,, মানে আমাকে রেখে চলে গেছে।
,,,,,,,,,, অয়ন বলেছে ওর বিজনেস এর কাজের জন্য ওকে কিছু দিন দেশের বাহিরে যেতে হবে। তাই আজি যাবে, ওর বাসায় পেকিং করতে গেছে। আর তুমি এখানেয় থাকবে কিছু দিন।
,,,,,,,,,,, অয়ন আমাকে তো কিছু বললো না।
,,,,,,,, কিন্তু অয়ন তো বলেছে যে, তুমি সব জানো।
,,,,,,,,,,(হয়তো আমি জানি অয়ন কেনো বলেছে একথা, আর কেনো যাচ্ছে)
ফারিয়া,,,,,,,,, ঠিক আছে, তুমি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো। আমি নাস্তা রেডি করছি।
ফারিয়া চলে যায়, মেঘা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আসে। তার বেগ গুছিয়ে, নিচে নিয়ে আসে।
ফারিয়া,,,,,,,,,, মেঘা তুমি কোথায় যাচ্ছো।
মেঘা,,,,,,,,, আমি আমার বাড়ি যাচ্ছি। এমনি সকালে ঘুম থেকে উঠতে লেইট হয়ে গেছে।
ফারিয়া,,,,,,,, ঠিক আছে, তুমি বসে নাস্তা করো তারপর যাও। রিমানও হসপিটালে গেছে।
মেঘা,,,,,,,,, ভাবি সময় নেয়, আমি যাচ্ছি।
মেঘা সবাইকে বলে বেরিয়ে যায়। একটু পথ যেতেই গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
মেঘা,,,,,,,,,,দূররর যে দিন তাড়া থাকবে সেদিন গাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। ড্রাইভার ভাইয়া গাড়ি ঠিক হয়ে আমার বেগ গুলো বাসায় দিয়ে এসো। আমি কোনো রিকশা করে চলে যায়৷
মেঘা গাড়ি থেকে বের হয়ে রিকশা খুঁজতে থাকে, কিন্তু কোনো রিকশা খুঁজে পায় না।
মেঘা,,,,,,,,, যেদিন রিকশার দরকার হবে না, সেদিন রিকশার লাইন লেগে যাবে। আর যে দিন দরকার হবে সে দিন একটাও পাওয়া যাবে না। দূরর হেঁটেই চলে যাবো।
তখনি পিছনে একজন গাড়ি হন বাজায়। মেঘা পিছনে তাকিয়ে দেখে রাফির গাড়ি। রাফি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।
রাফি,,,,,,,, আরে মেঘা কোথায় যাচ্ছো।
,,,,,,,,, বাসায় যাচ্ছিলাম কিন্তু গাড়িটা খারাপ হয়ে যায়।
,,,,,,,চলো আমি দিয়ে আসি।
,,,,,,,,, না লাগবে না, কাছেই আছে আমি হেঁটে যেতে পারবো।
,,,,,,,,,, আরে আসো আমি দিয়ে আসি। (একবার তোমাকে গাড়িতে উঠায়, এর পরে তোমাকে আর কেও খুঁজে পাবে না)
,,,,,,,,,, আপনাকে কষ্ট করার কোনো দরকার নেয়, আমি যেতে পারবো।
,,,,,,,,, আরে কিসের কষ্ট আমি তো ওদিকেই যাচ্ছিলাম।
জোরে একটা বাতাস এসে মেঘার ওড়না কিছুটা গলা থেকে সরিয়ে যায়। আর অয়নের কামড়ের দাগটা ভেসে যায়। যেটা মেঘা ওড়না দিয়ে ঢেকে রেখেছিলো।
রাফির চোখ ওখানে পড়তেই, চোখে রাগের ছাপ দেখা যায়। মেঘা রাফির তাকানো দেখে তাড়াতাড়ি ওড়না দিয়ে আবার ঢেকে ফেলে। রাফিও চোখ সরিয়ে নেয়।
রাফি,,,,,,,,, চলো মেঘা, পিল্জ না করো না।
মেঘা,,,,,,,,, ঠিক আছে চলেন।
মেঘস গাড়িতে উঠতে নেয়, আর ড্রাইভার মেঘাকে ডাক দেয়।
ড্রাইভার,,,,,,,,, আপা গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে চলেন।
রাফি,,,,,,, আপনি জান মেঘা আমার সাথে আসবে।
মেঘা,,,,,,,,, না, রাফি আপনার কাজ আছে, আপনি জান আমি আমার গাড়িতে যাচ্ছি।
রাফি,,,,,,,,, আরে কোনো সমস্যা হবে না।
মেঘা,,,,,,,,,, আপনি আপনার কাজে জান, এমনি অনেক সময় নষ্ট করেছি আপনার। চিন্তা করেন না আমি যেতে পারবো। বাই।
রাফি,,,,,,,, ওকে ফাইন,,,, বাই পরে দেখা হবে।
মেঘা,,,,,, হুমম।
মেঘা তার গাড়িতে উঠে যায়।
মেঘা,,,,,,,,, ভালো হয়েছে,, রাফির গাড়িতে গেলে, অয়ন দেখলে আবার রাগ করতো।
মেঘার গাড়ি যাওয়ার সাথে সাথে রাফি রাগে ঘুষি দিয়ে তার গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে।
রাফি,,,,,,,, মেঘা শুধু আমার। অয়ন মেঘাকে কতোটা গভীর ভাবে ছুয়েছে সেটার প্রমান রেখে দিয়েছে মেঘার গলায়৷ আমার আর সহ্য হচ্ছে না। অয়ন তোকে ছাড়বো না। এক বার মেঘাকে কাছে পেলে ওকে এমন জায়গায় রাখবো যে সারা জীবন খুঁজলেও পাবি না। আমার কাছে আমার বন্দিনী হয়ে থাকবে মেঘা। (রাগে, পাগলের মতো গাড়ির চারপাশে হেঁটে)
মেঘা বাড়ি গিয়ে পৌঁছায়। বেল বাজানোর কিছু ক্ষন পর অয়ন দরজা খুলে। মেঘাকে দেখে অভাক হয়ে যায়। অয়ন তার চোখ নিচে নামিয়ে ফেলে। মেঘা ভিতরে চুপচাপ যায়। ড্রাইভার মেঘার বেগ দিয়ে যায়। সেগুলো অয়ন ভিতরে এনে রাখে। অয়ন চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। কি বলবে কিভাবে বলবে কিছুই বুঝছে না।
মেঘা,,,,,,,,,, শুনেছি বাহিরে যাচ্ছো।
,,,,,,,,,, হুমমম (মাথা নিচু করে)
মেঘা এক নজর চোখ উঠিয়ে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে ফেলে।
,,,,,,,,,,,, তুই এখানে।
,,,,,,,,কেনো এখানে আসা মানা আছে আমার, আমার বাড়ি আমি যখন খুশি আসবো।
এটা শুনে অয়ন মেঘার দিকে তাকায়, মেঘা অয়নের দিকে তাকাতেই আবার চোখ ফিরিয়ে নেয়। মেঘা মুশকি হাসে।
মেঘা,,,,,,,,,,( জানি না কেনো তবে অয়নের এমন চেহেরা দেখতে বেশ কিউট লাগছে, আগে কখনো এমন দেখিনি)
মেঘা সাইডে তাকিয়ে দেখে সব গুছিয়ে রেখেছে।
মেঘা,,,,,,,,, কয়টার দিকে বের হবে।
,,,,,,,, এই তো এক ঘন্টা পর বের হবো। ও আচ্ছা।
,,,,,,,,,(যাক কিছুদিন আমার থেকে দূরে থাকলে আমার মূল্য বুঝবে)
মেঘা রান্না ঘরে ডুকে, ডুকে দেখে নাস্তা যেমন ছিলো তেমনি পড়ে আছে।
মেঘা,,,,,,,,,(দুপুর হয়ে গেছে এখনো কিছু খায়নি)
মেঘা তাড়াতাড়ি ভাত আর মাছ ভেজে দেয়। খাবারের টেবিলে দুটো প্লেট রেখে, অয়নকে ডাক দেয় খেতে আসার জন্য।
অয়ন,,,,,,,,, তুই খা আমি এখনি বেরিয়ে যাবো, আমি খাবো না।
,,,,,,,,,, আমার এমনি ভালো লাগছে না, দয়া করে খেতে আসেন। আর যেনো না বলা লাগে। (রাগে)
অয়ন কথা না বাড়িয়ে খেতে বসে পড়ে।
মেঘা,,,,,,,,,, অয়ন ভাইয়ার উপর এমন হুকুম করতে ভালোই লাগছে।
অয়ন চুপচাপ অল্প খেয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে নেয়, তখনি মেঘা আরো ভাত অয়নের প্লেটে দেয়। অয়ন কিছু না বলো আবার খেতে শুরু করে। অয়নের ফোন আসে।
,,,,,,হ্যালো রিনা বলো।
রিনার নাম শুনে, মেঘা হাত থেকে চামচটা রেখে অয়নের দিকে তাকিয়ে থাকে।
রিনা,,,,,,,,, স্যার আপনি কোথায়, প্রথমে আপনাকে মেঘদের বাড়িতে গিয়ে বললাম যেতে হবে তখন না করে দিলেন, আপনার জায়গায় অন্য কাওকে পাঠাতে বললেন। সকালে ফোন দিয়ে আবার যাবেন বলছেন। এখন আবার আসছেন না। যাবেন তো নাকি।
অয়ন,,,,,,,, হুমম রিনা তুমি অপেক্ষা করো আমি বের হচ্ছি।
মেঘা,,,,,,,,, (তার মানে অয়নের সাথে রিনাও যাবে।) আপনারা কয় দিন থাকবেন।
অয়ন,,,,,,, তিন চারদিন।
মেঘা,,,,,,,,,(তিন চারদিনে কতো কিছু হয়ে যায়, আমি ফেসবুকে বেশির ভাগ গল্পে পড়েছি হিরো তার এসিস্ট্যান্ট এর প্রেমে পড়ে। না না এটা হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু থামাবো কিভাবে, এভাবে ডাইরেক্ট বললে কেমন দেখাবে)
অয়ন খেয়ে রেডি হচ্ছে যাওয়ার জন্য আর মেঘা সোফায় বসে ভাবছে কি করা যায়। যেই অয়ন উপর থেকে নিচে নামছে বের হবে, তখনি মেঘা পেট ধরে শুয়ে পড়ে।
দেখে অয়ন খেয়াল করছে না। তাই ওমা করে চিল্লাতে।
মেঘা,,,,,,,,, ওমা মরে গেলাম গো, ও মা কি ব্যাথা করছে৷
,,,,,,,,,, কি হয়েছে, কি হয়েছে (মেঘাকে উঠিয়ে চিন্তার স্বরে)
,,,,,,,,,,,, আমার পেটে অনেক ব্যাথা করছে। মরে গেলাম মরে গেলাম।
,,,,,,,,, চুপ কি বলছিস। পিরিয়ডের ব্যাথা নাকি।
কথাটা শুনে মেঘা চিৎকার বন্ধ করে অয়নের দিকে তাকায়। বেশ লজ্জা পেলেও শক্ত গলায় বলে।।
মেঘা,,,,,,,,, কেনো এটা কি অন্য ব্যাথা হতে পারে না। বলে আমার পেট ধরে চিৎকার করতে থাকে।
,,,,,,,চল তোকে হসপিটালে নিয়ে যায়।
,,,,,,,,(এই মরেছে)
,,,,,,,,, না আমি হসপিটালে যাবো না, তুমি বরং ভাইয়াকে ডাকো।
,,,,,,,,,,ঠিক আছে।
অয়ন রিমানকে তাড়াতাড়ি আসতে বলে। অয়ন মেঘাকে কোলে করে বেড রুমে নিয়ে শুয়িয়ে দেয়। মেঘা বিছানার এক পাশ থেকে অন্য পাশে গড়াগড়ি করছে, পেট ধরে। অয়ন ফোন করে বলে দেয় সে যাবে না।
,,,,,,,, তোর বেশি কষ্ট হচ্ছে, চল হসপিটালে।
,,,,,,,(ওভার এক্টিন হয়ে যাচ্ছে) মেঘা স্থির হয়ে শুয়ে থাকে পেট ধরে।
,,,,,,,,,হসপিটালে যাওয়ার কোনো দরকার নেয়।
রিমান তাড়াতাড়ি চলে আসে।
রিমান,,,,,,,,,, কি হয়েছে, কি হয়েছে মেঘার।
অয়ন,,,,,,,, জানি না তুই চেকাপ কর।
রিমান মেঘাকে চেকাপ করে, রিমান কিছুই বুঝতে পারছে না কি হয়েছে। রিমান বুঝে গেছে এটা ওর নাটক, রিমান মেঘার দিকে তাকায়৷ মেঘা রিমানকে ইশারা দেয় মিথ্যা বলার জন্য।
অয়ন,,,,,,,,,, কি হয়েছে মেঘার।
রিমান,,,,,,,,,, কিছু তো একটা হয়েছে (বুঝতে না পেরে কি হয়েছে)
অয়ন,,,,,,,,, সেটাই তো কি হয়েছে।
রিমান মেঘার দিকে তাকায়, মেঘা পেটের দিকে ইশারা করছে৷
রিমান,,,,,,,,,, ডাইরিয়া হয়েছে।
মেঘা,,,,,,, কিহহ।
মেঘা রিমানকে একটা চিমটি মারে জোরে।
রিমান,,,,,,,,, আউউউ,, না মানে ডাইরিয়া হয়নি।
অয়ন,,,,,,তো কি হয়ছে।
মেঘা আবার পেটের দিকে ইশারা করে।
রিমান,,,,,,,,,,, মেঘা প্রেগন্যান্ট (একটা হাসি দিয়ে)
অয়ন চোখ বড় বড় করে মেঘার দিকে তাকায়, মেঘাও অয়নের দিকে তাকায়।
অয়ন,,,,,,,,,, মেঘা প্রেগন্যান্ট হতে পারে না।
রিমান,,,,,,,, কেনো হতে পারে না তোর মধ্যে কি কোনো সমস্যা আছে নাকি।
অয়ন,,,,,,,,, সমস্যা থাকবে কেনো, ভালো করে চেক কর, মেঘা কিভাবে হবে।
রিমান,,,,,,,, যেভাবে সবাই হয়।
মেঘা,,,,,,,, ভাইয়া কি বলছো, আমার পেট ব্যাথা করছে, মনে হয় ফুটপয়জেন হয়েছে। (রিমানকে ইশারা দিয়ে।
রিমান,,,,,,,,, আমি তো মজা করছিলাম, মনে হয় মেঘা উল্টো পাল্টে কিছু খেয়ে নিয়েছে৷ একটা ঔষধ দিচ্ছে এটা খেয়ে নে ঠিক হয়ে যাবে।
অয়ন,,,,,,,,, ফুডপয়জন হলে তো ইনজেকশন দেয়।
মেঘা এটা শুনেই উঠে বসে পড়ে৷
রিমান,,,,,,,, আমি ডক্টর নাকি তুই ডক্টর। আমার থেকে বেশি জানিস। নে এই টেবলেটটা খায়িয়ে দিবি৷
মেঘা,,,,,,,,,, আমাকে মারার ধান্দা নাকি, কি ঔষধ দিচ্ছিস। (রিমানের কানে কানে)
রিমান,,,,,,,,, তোকে মারার ধান্দা আমার ছোট থেকে ছিলো শুধু পুলিশের ভয়ে পারি না। এটা গ্যাসের টেবলেট আর নাপা।
মেঘা,,,,,,,, কিছু না হলেও নাপা খেলে কিছু হবে না।
রিমান,,,,,,,, ভুলে যাস না তুই বাঙালি, আর বাঙালি কিছু না হলেও নাপা খেয়ে নিজেকে ডক্টর ভাবে। কিছু হবে না৷
রিমান চলে যায়। অয়ন মেঘাকে ঔষধ খায়িয়ে শুয়িয়ে দেয়।। মেঘা ঔষধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে।
সন্ধ্যা ঝুম ঝুম বৃষ্টির পানির আওয়াজে ঘুম ভাঙে। দেখে অয়ন রুমে সোফায় বসে আছে।
অয়ন,,,,,,,,, এখন কেমন লাগছে।
মেঘা,,,,,,,,, ভালো।
অয়ন মেঘার জন্য জ্বাল মরিচ ছাড়া খিচুড়ি আনে খাওয়ার জন্য।
মেঘা,,,,,,,, ছিঃ এটা কে খাবে।
,,,,,,,,, পেট খারাপ হলে এমন খাবারি খেতে হয়।
,,,,,,,, আমি এখন একদম সুস্থ।
,,,,,,,,,,, খা চুপচাপ।
অয়ন মেঘাকে জোর করে খায়িয়ে দেয়। বাহিরে জোরে জোরে বিদুৎ চমকাচ্ছে তাই মেঘা ভয়ে নিচে চলে যায়। সেখানে অয়ন ফোনে কথা বলছিলো।
অয়ন,,,,,,,,,, সরি রিন আমি আসতে পারি নি, কাল সকালের একটা টিকেট কেটে রেখো। আমি সকালে চলে আসবো পাক্কা।
কথা গুলো শুনে মেঘার প্রচুর রাগ হয়।
অয়ন,,,,,,,,, কিরে তুই নিচে কেনো এলি।
,,,,,,,,, আমার ইচ্ছে, এখন সব কিছু আপনাকে বলে করতে হবে নাকি।
,,,,,,,,,,,, হঠাৎ এমন ভাবে কথা বলছিস।
,,,,,,,,,,, যে যেমন তার সাথে সেভাবেই কথা বলা উচিত। আপনার না যাওয়ার কথা ছিলো তো গেলেন না কেনো।
,,,,,,,,, চিন্তা করিস না কালকে চলে যাবো।
,,,,,,,,,, কাল কেনো আপনও এখন চলে যান।
,,,,,,,,,,, আমি গেলে তুই খুশি হবি।
,,,,,,, অনেক খুশি হবো।
,,,,,,,,, ঠিক আছে, চলে যাচ্ছি।
বলে অয়ন এই বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে যায়। মেঘা সোফায় বসে কান্না করতে থাকে। পরে রিমানকে ফোন দেয়।
রিমান,,,,,,,, হ্যাঁ বল।
,,,,,,,, ভাইয়া আমি এখানে থাকবো না।
,,,,,,,,কেনো কি হয়েছে।
,,,,,,,,,কি হয়েছে, তোমরা কেনো অয়ন ভাইয়াকে জোর করে আমার সাৎে বিয়ে দিয়েছো, ও অন্য কাওকে ভালোবাসে (কান্না করে)
,,,,,,,,,,, পাগল তুই, অয়ন তোকে ছোট থেকে ভালোবাসে। ও তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে। গোকে পাওয়ার জন্য কতো কিছু করেছে, শুধু আমি জানি৷ অয়ন তোকে প্ল্যান করেই বিয়ে করেছে।
,,,,,,,, কি বলছো, অয়ন রিনাকে ভালোবাসে না, তাহলে ঐ দিন যে বললো রিনা ওর গার্লফ্রেন্ড।
,,,,,,,,, ঐটা তো তোকে রাফির সাথে দেখে রাগের মাথায় বলেছে।
,,,,,,,সত্যি
,,,,,,,,হুমমমম
মেঘা তাড়াতাড়ি ফোন রেখে বাহিরে দৌড়ে যায়। বৃষ্টির ভিতর গেটের সামনে যেয়ে দেখে অয়ন বৃষ্টির মধ্যে বাগানে একটা বেঞ্চে বসে আছে। মেঘা দৌড়ে যায়। গিয়ে অয়নের সামনে দাঁড়ায়।
অয়ন মেঘাকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে।
,,,,,,,,, তুই এখানে, আম সরি, তোর মাফ পাওয়ার যোগ্যতা নেয় আমার। তোর সাথে এমন করা আমার উচিত হয়নি। আমি জানি আমি অনেক খারাপ তাই হয়তো সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যায়। তুই ও চলে যা, আমার সাথে থাকলে তোর জীবনটাও নষ্ট হয়ে যাবে।
মেঘা অয়নের কথার মাঝে তার ঠোঁট অয়নের ঠোঁটের সাথে লাগিয়ে দেয়। অয়ন পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
মেঘা,,,,,,,,,, তোমাকে ছেড়ে কোথায় যাবো। আমি তো ভেবেছিলাম তুমি রিনাকে ভালোবাসো তাই (কান্না কান্না ভাব করে)
,,,,,,,,, পাগল তুই আমও শুধু তোকে ভালোবাসি শুধু তোকে।
,,,,,,,,,, আমিও তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি।
,,,,,,,,,সত্যি
,,,,,,,হুমমম
অয়ন মেঘাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে।
,,,,,,,,তোকে হাড়ানোর ভয় সব সময় আমাকে তাড়া করে বেড়ায়।
,,,,,,,আমিও তোমাকে হাড়ানোর ভয় পায়। মনে হয় তুমি পুরোপুরি ভাবে আমার না।
অয়ন মেঘাকে ছেড়ে দিয়ে বলে,,
,,,,,,,,,আমি পুরোপুরি ভাবে তোর।
বলে মেঘার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে। মেঘাও চোখ বন্ধ করে ফেলে। কিছু ক্ষন পরে ছেড়ে দিয়ে। মেঘাকে কোলে উঠিয়ে নেয় অয়ন।
অয়ন,,,,,,,, আজ থেকে আমাদের মাঝে হারানোর কোনো ভয় থাকবে না, না কোনো দূরত্ব থাকবে।
বলে অয়ন মেঘাকে কোলে করে রুমে নিয়ে যায়। সেখানে অয়ন মেঘাকে নামিয়ে মেঘাকে কিস করতে থাকে। ডুবে যায় ভালোবাসার সাগরে।
চলবে,,,,,,,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।