একটু বেশিই ভালোবাসি পর্ব-১৮

0
3073

#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………18

মেঘা গিয়ে দরজা খুলার চেষ্টা করে কিন্তু দরজা বাহিরে থেকে বন্ধ। মেঘা কিছু খন অয়ন অয়ন বলে ডাকা ডাকি করে৷ তারপর জালানা দিয়ে উকি মেরে দেখে।

মেঘা,,,,,,,,,, কোথায় আমি,,, এটা কোন জায়গা, কারা এরা সবাই। আমি স্বপ্ন দেখছি নাকি পাগল হয়ে গেছি।

জালানার বাহিরে তাকিয়ে দেখে, বিশাল বড় বাগান, সেখানে অনেক লোক কালো পোশাক পরে দাঁড়িয়ে আছে। দেখে বডি গার্ড মনে হচ্ছে। কিন্তু বাগানের পরে জঙ্গল মনে হচ্ছে।

মেঘা,,,,,,,,,,, আমি তো অয়নের বুকে শুয়ে ছিলাম, এখানে আসলাম কিভাবে। কে নিয়ে আসলো। অয়ন কোথায়। আমি কিছু বুঝতে পারছি না।

মেঘা জালানা দিয়ে হাত বারিয়ে চিৎকার করে ডাকছে কিন্তু সবাই এমন ভাবে আছে যেনো কিছুই হচ্ছে না।

মেঘা,,,,,,,,,,, সব গুলো কানে কম শুনে নাকি। চিল্লাতে চিল্লাতে গলা ব্যাথা হয়ে গেলো তাও কারো কোনো পাত্তা নেয়। এক কাজ করি জালানা দিয়ে লাফ দিয়। না না উঁচু আছে মারা না গেলেও হাত পা ভেঙে যেতে পারে।

মেঘা দরজা ধাক্কাতে শুরু করে, না পেরে পরে লাথি দিতে থাকে। এখন মেঘা ভয়ে কান্না করে দেয়।

,,,,,,,,,,

অয়ন,,,,,,,,,,,, মেঘা মেঘা,, কোথায় তুই (জোরে ডেকে)

কিছু ক্ষন ডাকা ডাকির পর,,,,

অয়ন,,,,,,,,,, এতো ঘুমাতে পারে মেয়েটা দুপুর হয়ে গেছে এখনো ঘুমিয়ে আছে। আজ একটা ফোন ও দিলো না। দরজা খুলে কি করছেটা কি।

অয়ন উপরে তাদের রুমে যায়। গিয়ে দেখে মেঘা নেয়। অয়ন ওয়াশ রুমে চেক করে সেখানেও নেয়।

,,,,,,,,,, কোথায়,গেলো। মেঘা মেঘা (জোরে)

অয়ন বাসার সব রুম খুঁজে তারপর ছাদ, বাগান সব জায়গায় খুঁজে কিন্তু পায় না। এবার অয়নের বেশ চিন্তা হচ্ছে। সে আগে মেঘাকে ফোন দেয়, আর দেখে মেঘার ফোন বিছানায় পড়ে আছে। পরে রিমানকে ফোন করে।

রিমান,,,,,,,,,, হ্যাঁ বল।

অয়ন,,,,,,,, মেঘা তোদের এখানে গেছে (ব্যাস্থ হয়ে)

রিমান,,,,,,,,,, না আসেনি তো। কেনো কি হয়েছে।

অয়ন,,,,,,,,,,, না মানে মেঘাকে খুঁজে পাচ্ছি না। সারা বাড়ি খুঁজলাম কিন্তু কোনো খুঁজ পেলাম না৷

রিমান,,,,,,,,,, দেখ আশে পাশে আছে হয়তো।

,,,,,,, হুমম আমি দেখছি।

,,,,,,,,, কিছু খবর পেলে জানাবি।

,,,,,,,,,হুমমম।

অয়ন মেঘাকে সব জায়গায় খুঁজে কিন্তু পায় না। তাই সে ঠিক করে বাহিরে বের হয়ে খুঁজবে। তখনি অয়নের ফোনে ফোন আসে। অয়ন ফোন উঠায়।

,,,,,,,,,,, হ্যালো কে৷

অপর পাশ থেকে জোরে জোরে হাসির আওয়াজ আসে।

,,,,,,,,,,,, কে বলছে।

,,,,,,,, আমাকে কি জেনো বলো, ও হ্যাঁ,, আম মিঃ সাইকো।

,,,,,,,,, মানে (গম্ভীর ভাবে)

,,,,,,,, তুই যাকে ভাবছিস সেই আমি। আমার জান পাখিকে আমার খাঁচায় বন্দী করে নিয়ে গেলাম। দয়া করে খুঁজে এসো না।যদি ও পাবে না।

অয়নের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো মনে হলো।

অয়ন,,,,,,,,,, খবরদার আমার মেঘাকে কিছু করেছিস তো।

,,,,,,, দুররর আমি মেঘাকে ভালোবাসি আমি ওকে কেনো কষ্ট দিবো। ওকে তো আমি আদরে রাখবো।

অয়ন,,,,,,,,,, খবরদার ওর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেও না তোকে মেরে তোর জয়গাই গেড়ে দিয়ে আসবো।

,,,,,,, উফফ আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম৷ আগে মেঘাকে খুঁজে তো পা।

,,,,,,,,,,, এই অয়নকে এখনো জানিস না। মনে হচ্ছে আমি কে সেটা তোকে দেখাতেই হবে। গেট রেডি ফর দেট।

,,,,,,,,,,, অলদা বেস্ট।

বলে ফোন রেখে দেয়। অয়ন রাগে ফোন ছুড়ে মারে। ফোন দেওয়ালে লেগে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

,,,,,,,,,,, সাইকো তাই না, এই অয়ন কতো বড় সাইকো সেটা দেখানোর সময় হয়ে গেছে। I want to kill you Mr Psycho.

অয়ন রাগে ছটফট করে, গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।

,,,,,,,,,,,,

মেঘার সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সে নিচে বসে কান্না করতে থাকে৷ অয়ন অয়ন বলে জোরে জোরে কান্না করে। তখনি দরজা খুলে। মেঘা তাকায়, তাকিয়ে দেখে রাফি আসছে। রাফিকে দেখে মুখে একটু হাসি এনে রাফিকে ডাক দেয়।

রাফি এসে মেঘাকে নিচে বসে কান্না করতে দেখে সে এক হাঁটু গেড়ে নিচে বসে।

মেঘা,,,,,,,,,,, রাফি আপনি এসেছেন ভালো হয়েছে, দেখেন না আমাকে কে জেনো আটকে রেখেছে। অয়নকেও ডেকে পাচ্ছি না। (কান্না করতে করতে বলে) আমার অনেক ভয় করছে।

রাফি,,,,,,,,, ভয় পেয়ো না জান পাখি আমি আছি তো। আমি থাকতে তোমাকে কেও ছুঁতেও পারবে না।

জান পাখি শব্দটা শুনে মেঘার বুকে ভয়ের বেগ বেড়ে গেছে। মেঘা কান্না থামিয়ে,ভয়ে ভরা চোখ নিয়ে তাকিয়ে রাফিকে বলে ,

মেঘা,,,,,,,,,, আপনি আমাকে জান পাখি কেনো বলছেন। কে আপনি।

রাফি,,,,,,,,,,,, জানপাখি আমাকে চিনছো না। এভাবে তো মনে কষ্ট দিয়ো না।

মেঘা,,,,,,,,, সা সা সাইকো। (আস্তে))

রাফি,,,,,,,,,, সাইকো না তোমার লাভার। হ্যাঁ একটু সাইকো ও।

মেঘা,,,,,,,,,,, আপনি ওনি না তো যে সবাইকে মেরেছে,,

রাফি,,,,,,,,, হ্যাঁ আমিই মেরেছি, আর নীলকেও আমিই মেরেছি৷

মেঘা,,,,,,,,,কিহহ, কিন্তু কেনো।

রাফি,,,,,,,,, যে আমার রাস্তায় আসবে তাকেই মরতে হবে। আর যে তোমার দিকে নজর দিবে তাকে তো ভয়ানক মৃত্যু দিবো।

মেঘা,,,,,,,,,,,, আমাকে এখানে এনে আপনি আপনার জীবনের সবচেয়ে বড়ো ভুলটা করেছেন। অয়নকে এখনো চিনেন না, ও আপনাকে ছাড়বে না।

রাফি মেঘার মুখ চেপে ধরে।

রাফি,,,,,,,,, এই অয়নের নাম শুনলে আমার মাথায় আগুন ধরে যায়। ওকে আমি এমনিও ছাড়বো না। তোমার মুখে শুধু আমার নাম থাকবে শুধু আমার।

মেঘা রাফির হাত ঝাটকা দিয়ে সরিয়ে দেয়।

,,,,,,,অয়নের নাম শুধু আমার মুখে না, আমার বুকে আমার নিশ্বাসের সাথে মিশে আছে।

,,,,,,,,,,,, তাহলে এই নামি আমি পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিবো। কেও তোমার দিকে তাকালে তার চোখ উঠিয়ে নিতাম। আর এই অয়ন তো তোমার পুরো শরীরে ছুঁয়েছে তাহলে ওর আমি কি করবো। (মেঘার শরীরের দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে)

রাফি তার পকেট থেকে একটা ছুরি বের করে। সেটা মেঘার গলায় আলতো করে ধরে।

মেঘা,,,,,,,,,,, ক ক কি ক করছেন

রাফি,,,,,,,,,,, অয়নের একটা চিন্হ দেখেছিলাম এখানে। ভাবছি জায়গাটা কেটে অয়নের ভালোবাসার দাগটা মুছে দিবো কি বলো। (মেঘার গলায় শক্ত করে ধরে) কিন্তু দাগটা এখন আর দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু ওর ভালোবাসার দাগ তো তোমার পুরো শরীরে আছে তাই না।

তাহলে কি করা যায়। পুরো শরীর থেকে মুছতে হলে তো, তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলতে হবে। সত্যি বলতে মন তো আমার এটাই চাইছে। কিন্তু কি করবো ভালোবাসি যে। আর একটু বেশিই ভালোবাসি (ছুরিটা নামিয়ে)

মেঘা ভয়ে শুধু রাফির কান্ড কারখানা দেখছে। মনে মনে শুধু অয়নকে ডাকছে।

মেঘা,,,,,,,,,(আল্লাহ দয়া করে অয়নকে পাঠিয়ে দাও)

রাফি,,,,,,,,, এক কাজ করা যায়,(মেঘার দিকে তাকিয়ে ডেবিল হাসি দিয়ে) আমার স্পর্শে অয়নের স্পর্শ মুছে যাবে। এটা বেস্ট অফসেন কি বলো।

মেঘার দিকে হাত বাড়িয়ে, মেঘা রাফির হাত ছুড়ে দিয়ে দূরে সরে যায়।

মেঘা,,,,,,,,,,, খবরদার আমার গায়ে হাত দিয়েছেন তো। আমার অয়নকে আপনি চিনেন না, তার খারাপ দিক এখনোও দেখেন নি। আপনার থেকে বড় সাইকো সে। আর আমি তার জীবনের সব কিছু। আমার গায়ে হাত দেওয়ার আগে পরিনতিটা ভেবে নিয়েন। অয়নের হাতে একবার পড়লে না, অয়নের আগুনে আপনাকে জ্বালিয়ে দিবে।

রাফি জোরে নিচে ফ্লোরে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। মেঘা ভয়ে পিছিয়ে যায়।

রাফি,,,,,,,,,,,, আমার মাথায় রাগ উঠিও না। আমাকে এমন কিছু করতে বাধ্য করো না যেটা আমি করতে চাই না। আর তোমার অয়ন কতো বড় সাইকো সেটা দেখা যাবে। তোমাকে খোঁজার জন্য তোমার অয়ন আমার কাছেই আসবে। কারন তার ধারনায় নেয় আমি কে। জানপাখি তুমি রেস্ট নাও আমি একটু পর আসছি।

বলে রাফি দরজা লাগিয়ে আবার চলে যায়।

মেঘা,,,,,,,,,,,, অয়ন পিল্জ তাড়াতাড়ি চলে আসো, আমার আর ভালো লাগছে না এখানে। আমার ভিষণ ভয় লাগছে। পিল্জ খুব বেশি দেড়ি হয়ে যাওয়ার আগে চলে আসো।

,,,,,,,,,,,,

অয়ন রিমানের কাছে যায়।

অয়ন,,,,,,,, মেঘাকে রাফি উঠিয়ে নিয়ে গেছে বাসা থেকে।

রিমান,,,,,,,,,,, কিহহহ কিভাবে তুই কোথায় ছিলি।

,,,,,,,,,,, সকালে হঠাৎ করেই খবর আসে কারা অফিসের সামনে এসে জামেলা করছে ভাংচুর করছে। তাই আমি তাড়াতাড়ি উঠে অফিসে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি সব কিছু মিথ্যা। মনে হয় আমাকে বাড়ি থেকে সরিয়ে কোনো ভাবে মেঘাকে অজ্ঞান করে নিয়ে যায়।

,,,,,,,,, তোর সিকোরিটি গার্ডরা কোথায় ছিলো।

,,,,,,,,,, ওরা বললো বাসার সামনে কিছু ছেলে মারামারি করছিলো তারা সেটা সামলাতে গেছিলো। পুরো ব্যাপারটা একটা প্ল্যান ছিলো। আমার বাসার সিসি ক্যামেরা ও কাজ করছে না। সেগুলো খুব সাবধানে নষ্ট করা হয়েছে।

রিমান রাগে পায়চারী করছে।

রিমান,,,,,,,,, এখন কি করবো, না জানি আমার বোন কোথায় আছে, কিভাবে আছে। ওকে এখন খুঁজে বের করবো কিভাবে। আমার বোনের কিছু হলে ঐ সাইকোকে আমি ছাড়বো না। (লাথি দিয়ে একটা চেয়ার ফেলে দেয়)

অয়ন,,,,,,,,, হুমম,,,সব কিছুই ঠিক ছিলো। কিন্তু ঐ সাইকো একটা ভুল করে ফেলেছে মেঘাকে আমার বাসা থেকে উঠিয়ে।

রিমান,,,,,,,, মানে।

অয়ন,,,,,,,,, মানে এক ঘন্টার মধ্যে আমি জেনে যাবো মেঘা কোথায় আছে।

,,,,,,,,,,, কিভাবে।

,,,,,,,,,, আমার বাড়ির আশে পাশের রাস্তায় অনেক সিসি ক্যামেরা আছে। আমি যদি ঠিক হয়ে থাকি তাহলে মেঘার কিটনাপ ৯ থেকে ১০ টার মধ্যে হয়েছে। এর মধ্যে কোন কোন গাড়ি গেছে তা চেক করেছি। তার মধ্যে একটা কালো গাড়ি বেশ সন্দেহ জনক লেগেছে। তাই এই গাড়ি কোন কোন রোড ক্রস করেছে সেটা চেক করতে দিয়েছি। সব রাস্তায় তো সিসি ক্যামেরা আছে। সেটা খোঁজতে একটু সময় লাগবে। জানে না এবার কার সাথে ও পাঙ্গা নিয়েছে৷

রিমান,,,,,,,,,,, ওকে পেলে এমন অবস্থা করবো না যে, দ্বিতীয় বার কারো দিকে তাকানোর অবস্থায় থাকবে না। শুন এ বিষয়ে মা বাবাকে কিছু বলা যাবে না। এক কাজ করি রাফিকে বলি, ও কিছু হেল্প করতে পারে।

,,,,,,,,,,দরকার নেয় ওকেই তো আমার অদ্ভুত লাগে। ওর সম্পর্কে খোঁজ লাগিয়েছি। ও একটা মানসিক রোগী, টানা দু বছর এর জন্য চিকিৎসা নিয়েছে।

,,,,,,,,,,, কি বলছিস।

,,,,,,,,হুমম।

,,,,,,,,,,

মেঘা বসে বসে কান্না করছে। মেঘা নিচে বসে দু হাঁটু নিচে মাথা গুঁজে কান্না করছে। তখন রাফি খাবার নিয়ে আসে। রাফির আসার আওয়ার শুনে মেঘা মাথা উঁচু করে তাকায়।

রাফি খাবারটা নিচে রেখে মেঘার সামনে বসে। রাফি মেঘার দু গালে শক্ত করে হাত রেখে বলে,,,,,,

রাফি,,,,,,,,, জান পাখি পিল্জ কান্না করো না। তোমাকে এভাবে কান্না করতে দেখলে আমার ভিষণ কষ্ট লাগে। দেখো তোমার জন্য আমি কতো কি এনেছি, খেয়ে নাও।

মেঘা এক ঝাটকায় রাফির হাত ঝেড়ে ফেলে দেয়। রাফি তার রাগটাকে কন্ট্রোল করে, হালকা হেঁসে বলে।

,,,,,,, এই নাও খাবার খেয়ে নাও (খাবার গুলো সামনে ধরে)

,,,,,,,, নিয়ে জান এগুলো আমার সামনে থেকে, খাবো না আমি। (ধমক দিয়ে)

রাফি,,,,,,,,,, জান পাখি এমন করে না। নাও আমি খায়িয়ে দিচ্ছি।

রাফি মেঘার মুখের সামনে খাবার ঠেলে ধরে, মেঘা রাগে সব খাবার এক ঝটকায় ফেলে দেয়। এটা দেখে রাফির রাগ উঠে যায়। সে মেঘাকে জোরে থাপ্পড় মারে। আর নিচে থেকে খাবার উঠিয়ে মেঘার মুখে ঠেলতে থাকে। মেঘা মুখ বন্ধ করে রাখে।

রাফি,,,,,,,,, খাবি না মানে, তোকে খেতেই হবে।

মেঘা রাফির হাত ছাড়িয়ে উঠে দাঁড়ায়। আর কান্না করতে থাকে।

মেঘা,,,,,,,,,, কি করছেন পাগল হয়ে গেছেন নাকি।

রাফি,,,,,,,,, সরি সরি, জান পাখি সরি। আসলে আমার মাথা ঠিক ছিলো না। (পাগলের মতো করে)

রাফি রুমাল বের করে মেঘার মুখ মুছতে থাকে। মেঘা ভয়ে রাফির দিকে তাকিয়ে আছে।

রাফি,,,,,,,,,, কেনো আমাকে রাগাও, রাগলে আমার মাথা ঠিক থাকে না। রাগ উঠলে মনে হয় সবাইকে মেরে ফেলি।

মেঘা,,,,,,,,,,,(এই লোকটাকে এখন আমার সত্যি ভয় লাগছে, কেমন পাগলের মতো করছে। মনে হচ্ছে কোনো মানসিক রোগী। অয়ন তাড়াতাড়ি আসো)

রাফি কিছু লোক দিয়ে রুম পরিষ্কার করায়, তারপর রাফি আবার মেঘাকে বন্ধী করে চলে যায়। মেঘা বিছানার এক কোনায় গিয়ে বসে থাকে।

,,,,,,,,,,,,

রিমান,,,,,,,,,, ফারিয়া এখন একটু খাও, আমাকে মেঘাকে আনতে যেতে। আল্লাহ আমার কি পরীক্ষা নিচ্ছে জানি না। আমার জানের দু টুকরাই এখন বিপদে। কিন্তু তুমি চিন্তা করো না, আমি মেঘার কিছু হতে দিবো না, আর তোমারো।

রিমান ফারিয়াকে খায়িয়ে দেয়, ওর গা মুছিয়ে জখম জায়গা ডেসিন করিয়ে ঔষধ লাগিয়ে দেয়।

অয়ন আসে,,,

অয়ন,,,,,,,,, অর্ধেক জায়গার খোজ পাওয়া গেছে। বাকিটা খোজ লাগাতে লাগাতে আমি সেখান পর্যন্ত যাচ্ছি।

,,,,,,চল আমিও যাবো।

,,,,,,,তোর যাওয়ার কোনো দরকার নেয়, সেখানে অনেক বিপদ।

,,,,,,,,,, কি বলিস আমার বোন বিপদে আর আরেক বন্ধু যাবে বিপদের সাথে খেলতে আর আমি বসে থাকবো, প্রশ্ন উঠে না। আজ পর্যন্ত কোনো মারামারি এক জন আরেক জনকে ছাড়া করেছি নাকি। তাছাড়া সাইকোকে ঠিক করতে ডক্টর এর প্রয়োজন। চল দুজনে গিয়ে সাইকোর বারোটা বাজিয়ে আসি।

,,,,,,,,,চল।

রিমান ফারিয়ার কপালে একটা ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে, দুজনে বেরিয়ে পরে।

চলবে,,,,,,,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।