#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………20
রিমান,,,,,,, আমি একানে বসে তবলা বাঝাবো, আমিও যাচ্ছি। এর একে পুলিশের কাছে দিয়ে দিবো। আর প্রমান করে দিবে যে ও একটা মানসিক রোগী, আর সারা জীবন এমন জায়গায় ওর চিকিৎসা করাবো যে পালানো তো দূরের কথা, দরজা পর্যন্ত যেতে পারবে না।
অয়ন,,,,,,,চল তাহলে।
,,,,,,,,,,,,
চোখ খুলে দেখি অয়ন আমার হাত ধরে বসে আছে। আমার চোখ খুলতে দেখে একটা কিউট হাসি দেয়। আমিও একটা হাসি দিয়। পরে আবার মনে পড়লো সব। মনে পড়তেই উঠে বসি।
অয়ন,,,,,,,,,, আস্তে
মেঘা,,,,,,,,,,,, তুমি ঠিক আছো তো,, কোথায় লেগেছে দেখি।(ব্যস্থ হয়ে, অয়নের গেনজি উপরে করতে করতে)
অয়ন,,,,,,,,, আরে দাঁড়া দাঁড়া,, বেশি কিছুই হয়নি, এই দেখ। (গেনজি উপরে তুলে)
অয়নের ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ করা।
মেঘা,,,,,,,,,, ব্যাথা করছে।
,,,,,,,, না।
মেঘা অয়নের ক্ষত স্থানে আঙুল দিয়ে খুঁচা মারে। আর সাথে সাথে অয়ন চিৎকার করে উঠে।
অয়ন,,,,,,,,,,, আওওওও,,,, পাগল নাকি তুই।
,,,,,,,,,,,,আমি তো চেক করছিলাম ব্যাথা আছে নাকি।
,,,,,,,,,,,, এই ভাবে ব্যাথা দিয়ে।
,,,,,,, তুমি না এখনি বললা ব্যাথা নেয়।
,,,,,,,,,,, দুই ভাই বোন এক,, কিছু ক্ষন আগে তোর ভাই ব্যাথা দিলো। কতো গুলো পাগলের সাথে থাকি আমি।
কিছু ক্ষন আগের ঘটনা,,,,,
রিমান অয়নের ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,,, ব্যাথা করছে।
অয়ন,,,,,,,, না।
,,,,,,,,,,একটু তো করছেই।
,,,,,,,, এই সব ছোট খাটো কাটায় ব্যাথা লাগে না।
,,,,,,,,,, আচ্ছা।
তখন রিমান আঙুল দিয়ে অয়নের ব্যাথায় জোরে খোঁচা দেয়। আর অয়ন চিল্লিয়ে উঠে।
রিমান,,,,,,,, তুই না বললি ব্যাথা করে না, তাহলে চিৎকার করলি কেনো।
অয়ন,,,,,,, তুই ইচ্ছে করে ব্যাথা দিলে লাগবে না।
,,,,,,,,, আমি শুধু টাচ করেছি।
,,,,,,,, এই তোকে দেখায় টাচ কাকে বলে। (রিমানের দিকে এগিয়ে)
,,,,,,,,,, ছিঃ লজ্জা করে না পর পুরুষকে টাচ করতে চাস। আমি কিন্তু ওই রকম ছেলে না।
,,,,,,,,,,,, সর শালা,,, ড্রামা ভাজ।
বর্তমানে,,,,,,,,,,
মেঘা,,,,,,,,,,, সরি সরি (অয়নের বুকে হাত বুলিয়ে)
,,,,,,,,,,,, ইশশশ এমন করিস না, কিছু কিছু হয়। (রোমান্টিক লুক দিয়ে)
,,,,,,,,,, আমারো কিছু হচ্ছে।
,,,,,,,,কি (বড় একটা হাসি দিয়ে)
,,,,,,,,, পেট ব্যাথা করছে, মনে খুধা লাগছে (পেটে ধরে)
,,,,,,,, (মুখে বিরক্তি ভাব নিয়ে) তোর পাশে দেখ খাবার রাখা আছে খেয়ে নে।
,,,,,,,,, অহহ তাই তো খেয়াল করি নি। চলো এক সাথে খায়।
,,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,,, জানেমান সরি একটু লেইট হয়ে গেছি।
রিমান ওয়াশ রুমে যেতে নিয়ে আবার থেমে যায়, কিছু একটার আওয়াজ শুনে।
রিমান,,,,,,,,, এটা কি আমার মনের ভুল।
রিমান আস্তে আস্তে ফারিয়ার দিকে যায়। গিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে। রিমানের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে৷ কিন্তু এটা যে খুশির পানি। রিমান নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না।
ফারিয়া চোখ মিট মিট করছে, ঠোঁট নাড়িয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছে। রিমানের দিকে তাকিয়ে হালকা হাসি দেয়।
রিমান গিয়ে ফারিয়াকে জরিয়ে ধরে। তারপর ফারিয়াকে ছেড়ে, ওকে পাগলের মতো কিস করতে থাকে, কপালে গালে।
রিমান,,,,,,,, আমি বিশ্বাস করতে করতে পারছি। তুমি ঠিক হয়ে গেছো। আই লাভ ইউ। আই লাভ ইউ সো মাচ। (ফারিয়াকে বুকে লাগিয়ে)
ফারিয়া,,,,,,,, আ আই লাভ ই ইউ টু (অনেক কষ্টে আস্তে বলে)
রিমান,,,,,,,, কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। দাঁড়াও আমি একটা ঔষধ দিচ্ছি তখন আর কথা বলতে সমস্যা হবে না।
রিমান ফারিয়াকে একটা ইনজেকশন পুস করে। ফারিয়া কুমা থেকে ফিরে এসেছে, এই খুশিতে রিমান সব ভুলেই গেছে৷ সে কাওকে বলছে না যে ফারিয়া ঠিক হয়ে গেছে৷ এই কয় দিনে যতো কথা আছে সব রিমান ফারিয়াকে বলছে, আর ফারিয়া ঠোঁটে হাসি নিয়ে রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে।
ফারিয়া,,,,,,,,,,, আমাকে মিস করেছো। (আস্তে)
ফারিয়ার কথা শুনে রিমান তার দিকে তাকিয়ে আছে। রিমানের চোখের পানি এক ফোঁটা গড়িয়ে ফারিয়ার গালে পড়ে৷
রিমান,,,,,,,,,, তুমি আমার কাছে ছিলে তাও প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা মিনিট আমি তোমাকে মিস করেছি। তোমার কথা মিস করেছি, তোমার হাসি মিস করেছি। তোমার দুষ্টমি মিস করেছি।
,,,,,,,,,,, এতো মিস করেছো আমাকে।
,,,,,,,,,, কি করবো একটু বেশিই ভালোবেসে ফেলেছি যে।
,,,,,,,,,,সত্যি।
,,,,,,,,,সত্যি,,, আচ্ছা তোমার কখন জ্ঞান ফিরলো।
,,,,,,,,,,, যখন তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছিলে তখন। কিছু বলতে পারছিলাম না, একটু পর চোখে ঘুম নেমে এসেছিলো। বুঝতে পেরেছিলাম তুমি আমাকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছো। যখন চোখ খুললাম তখন কেও ছিলো না৷ দেখে বুঝা গেছে রাত হয়ে গেছে।
,,,,,,,,,,,, যাক তুমি আমার কাছে ফিরে তো এসেছো।
,,,,,,,,, আমি তো যায়িনি, তোমার মনের কাছেই ছিলাম।
,,,,,,,,,,, আর কোথাও যেতে দিবো না। (জরিয়ে ধরে রেখেছে)
,,,,,,,,,,,,, আমার রুমটা পুরো হসপিটালের রুমের মতো করে ফেলেছো। আই হেট দিস। (মুখটা বেকিয়ে)
,,,,,,,,,, (হালকা হেঁসে) কাল সব সরিয়ে দিবো, তখন তোমার যেমন ইচ্ছে সাজিয়ে নিয়ো।
,,,,,,,,,, রিমান
,,,,,,,,,,হুমম (জরিয়ে ধরে)
,,,,,,,,,,,,, কিছু না।
দুজনের মাঝে আর কোনো কথা নেয়। এই নিরবতার মাঝেও যেনো একটা অশেষ শান্তি আছে। দুজন চোখ বন্ধ করে একজন আরেকজনকে জরিয়ে ধরে রেখেছে। ফারিয়া রিমানের হার্ট বির্ড শুনতে পারছে।
সকালে,,,,,,,,
সবাই ফারিয়াকে দেখতে আসে। সবাই অনেক খুশি। ফারিয়াও এখন অনেকটা সুস্থ।
ফয়সাল শেখ,,,,,,,,,,,,, আমাকে মাফ করে দে মা, তোর সাথে এতো কিছু হয়েছে অথচ আমি কিছুই জানতে পারি নি।
ফারিয়া,,,,,,,,, এতে তোমার কোনো দোষ নেয়। বাবা এখন মাকে মাফ করে দিলে হয় না।।
ফয়সাল শেখ,,,,,,,,,, একদম না, ও সব কিছু শিকার করেছে। ওকে আমি কোনো দিন মাফ করবো না।
ফারিয়া,,,,,,,,, কিন্তু বাবা,,
রিরিমান,,,,,,,, ফারিয়া এটা স্টার জলসা না, খাল কেটে কুমির আনার কোনো দরকার নেয়।
মেঘা,,,,,,,,, এই সব বাদ দাও তো,, তুমি ভালো হয়ে গেছো অনেক ভালো লাগছে। ভাইয়া তো পুরাই দেব দাস হয়ে গেছিলো।
রিমান,,,,,,,,, মাইর খাইস না।
অয়ন,,,,,,,,,খবরদার আমার বউকে মারবি না।
মেঘা,,,,,,,, হুমম (ভাব দেখিয়ে)
রিমান,,,,,,,, ওরে আমার বউ ওলারে,,,, আগে তোরে মারমু তারপর তোর বউকে।
ফারিয়া,,,,,,,,, আরে থামো তোমরা।
তখনি মেঘার ফোনে কল আসে। মেঘা কল ধরে। ফোনের ওপাশে থাকা মানুষের কন্ঠটা শুনে মেঘার বুক কেঁপে উঠে।
,,,,,,,,,,,, জানপাখিইই
,,,,,,,,,,,,, কেকেকে কে
,,,,,,,,,,, এতো তাড়াতাড়ি আমাকে ভুলে গেলে কিভাবে হয়। পাখি রাফি ইজ বেক।
,,,,,,,,,,,,,,,, আপনি ছাড়া পেলেন কিভাবে।
,,,,,,,,,,,,,, আমাকে ধরে রাখা এতো সহজ না। এবার এসেছি কাওকে ছাড়বো না। যেটা আমার হবে না সেটা আমি কারো হতে দেওয়ার জন্য বাঁচিয়ে ও রাখি না। সো জান পাখি সাবধান।
বলে রাফি ফোন রেখে। মেঘা থমকে দাঁড়িয়ে আছে।
অয়ন,,,,,,,,৷ কে ছিলো মেঘা।
মেঘা,,,,,,,,,,, রাফি ছিলো, ও পুলিশ থেকে পালিয়ে গেছে৷
অয়ন,,,,,,,,,কিহহহ।তোকে কি বলেছে।
মেঘা সব বলে,,,
রিমান,,,,,,,,,, কি বেহেইয়া রে বাবা,,এতো মার খাওয়ার পরেও আবার ফিরে আসছে।
অয়ন,,,,,,,,,, এবার কারো ক্ষতি করতে এলে আর বাঁচিয়ে রাখবো না।
রিমান,,,,,,,,,,, কচু করবা,,, রাফির হাত কাটো, পা কাটো, কামের কাম তো কিছুই করলা না, উল্টা তোকে কেটে দিয়ে চলে গেলো। শালা এবার আমার সামনে আসলে সত্যি সত্যি কেটে দিমু।
অয়ন,,,,,,,,,তুই কচু করবি। শালার পায়ে গুলি কেন করলি মাথায় করতে পারলি না।
রিমান,,,,,,,,,, ভালো কথা দুই পায়ে গুলি খেয়ে পালালো কিভাবে।
অয়ন,,,,,,,,, এক মিনিট গুলি তো মারলাম কিন্তু রক্ত বের হতে দেখলাম না। দূররর থানায় ফোন করলেই হয়।
অয়ন পাশে থাকা টেবিল থেকে ফোনটা নিয়ে, থানায় ফোন করে।
,,,,,,,,,, হ্যালো কে।
,,,,,,,,,,, আমি অয়ন বলছি, রাফির কি হলো।
,,,,,,,,,,,ওনি তো পালিয়ে গেছে, থানায় নিয়ে আসার পথে সবাইকে বন্দুক দেখিয়ে পালিয়ে গেছে।
,,,,,,,,পায়ে গুলি লাগা অবস্থায়।
,,,,,,,,,,, ওনি তো পায়ে বুলেট প্রভু প্যান্ট পড়েছিলেন। তাই গুলি লাগেনি। ওনার খোঁজ চলছে।
অয়ন ফোনটা কেটে, জোরে ঢিলা মারে, আর সাথে সাথে রিমান কেচ করে ফেলে।
রিমান,,,,,,,,, আস্তে ভাই ফোনটা দামি তার থেকে বড় কথা ফোনটা আমার। ফোনের কিছু হয়ে গেলে আমার কলিজায় লাগতো।।
অয়ন,,,,,,,,,,, রাগ উঠলে কি করবো।
রিমান,,,,,,,,, নিজেরটা ভাঙ্গ, না হলে নিজের বউয়েরটা ভাঙ্গ।
সাথে সাথে মেঘা তার ফোন পিছনে করে ফেলে।
অয়ন,,,,,,,,, নিশ্চয়ই রাফিকে পুলিশ থেকে কেও সাহায্য করেছে।
রিমান,,,,,,,,,, তাই তো মনে হচ্ছে, এক বার বাব কতো বড় ছেছরা, এতো মার খাওয়ার পরেও আবার আসছে মার খেতে।
ফারিয়া,,,,,,,,,, আচ্ছা এর কথা এখন দাও, দেখো না মেঘা ভয় পাচ্ছে। আরে মেঘা এই সব রাফি টাফি কিছু করতে পারবে না চিন্তা করো না।
অয়ন,,,,,,,,তুই আমার বউ হয়ে ভয় পাস। কিছু হতে দিবো না তোর। চল বাসায় যায়।
রিমান,,,,,,,,, আমাদের একা ছেড়ে পিল্জ যা।
অয়ন,,,,,,,,, এখানে কেও থাকতেও চাই না। চল মেঘা। হুহহ
ফারিয়া,,,,,,,, তুমি এমন করলা কেনো।
রিমান,,,,,,,,,,, তো কি করমু কতো দিন পরে সুযোগ পাইছি নিজের বউয়ের সাথে একটু একা কথা বলার। আর কেও বলতেই দিচ্ছে না। (ঠোঁট গুলো বেকিয়ে বলে)
ফারিয়া রিমানের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে, রিমানের দুগালে ধরে ঠোঁটে কিস করে।
ফারিয়া,,,,,,,,,,, তোমাকে এতো কিউট লাগছে যে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না।
রিমান,,,,,,,, তো কে বলেছে কন্ট্রোল করতে।
বলে রিমান ফারিয়াকে ধরে বার বার কিস করতে থাকে।
,,,,,,,,,,,
অয়ন আর মেঘা বাসায় আসে। অয়ন মেঘার মন অন্য দিকে ফিরানোর জন্য আইসক্রিম নিয়ে আসে। মেঘা আর অয়ন আইসক্রিম খেতে খেতে গল্প করছে।
মেঘা মুখ মাখিয়ে ফেলে আইসক্রিম খেয়ে।
অয়ন,,,,,,,,,, বাচ্চাদের মতো কেনো খাচ্ছিস, পুরো মুখ মাখিয়ে ফেলেছে।
মেঘা অয়নের দিকে তাকিয়ে ওর ঠোঁটের আশেপাশে আইসক্রিম লাগিয়ে দিয়ে, হাসছে। অয়ন চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে।
মেঘা অয়নের তাকানো দেখে, নিজের ওড়না দিয়ে আবার মুখ মুছে দিচ্ছে।
মেঘা,,,,,,,,, হি হি হি, ভুল করে হয়ে গেছে, আর হবে না।
মেঘা অয়নের ঠোঁট মুছে দিচ্ছে, অয়ন মেঘাকে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। অয়ন কিস করছে, মেঘার হাত থেকে আইসক্রিমটা পড়ে যায়। সেও চোখ বন্ধ করে ফেলে।
,,,,,,,,,,,
রাফি,,,,,,,,,, অয়ন,রিমান তোদের আমি ছাড়বো না। পাগলামি কাকে বলে সেটা এখন আমি দেখাবো। রিমান রিমনা,, তোর সাথে কোনো শত্রুা ছিলো না, শুধু শুধু পাঙ্গা নিতে গেলি। অয়নের লাইফ লাইন মেঘা, আর রিমানে ফারিয়া। তাদের লাইনটা কেটে দিলে কেমন হয়।
কাওকে ছাড়বো না কাওকে না। দিস সাইকো ইজ বেক। এখন আগের বারের মতো ভুল করবো না। তোদের জীবন হারাম না করে দিলে আমার নামও রাফি দা সাইকো না। যতো গুলো মার আমাকে দিয়েছিস, তার ডাবল করে ফিরত দিবো। just wait and see.
চলবে,,,,,,,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।