#শুভ্র_রঙের_প্রেম
পর্বঃ৪০
লেখিকাঃ#রুবাইদা_হৃদি
সারা বাড়ি সাদা ফুলের সমারোহে সাজানো হয়েছে৷ আজ দুটো দিন পালন হবে ৷ এক বাবাইয়ে প্রথম জন্মদিন আর একজনের মৃত্যু বার্ষিকী! আমি জানালার গ্রীল ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলাম ৷ নোনা জল গুলো গাল বেয়ে গড়িয়ে পরছে ৷ এমন টা তো না হলেও পারতো?
–‘ হৃদি সোনা কাঁদছে ৷ ওকে একটু কোলে নে আম্মু! ‘
আব্বু বাবাই কে কোলে করে আমার সামনে নিয়ে আসতেই প্রশান্তির হাওয়া বুকে বয়ে যায় ৷ সাদা আর কালো মিশ্রণের পাঞ্জাবি পরে ছোট ছোট হাঁত-পাঁ নেড়ে কাঁদছে৷ কালো মিচমিচে চোখের মণি গুলো পানিতে ভরে উঠেছে ৷ নাকের একদম নিচে কালো জন্ম দাগ উঁহু তিল বলাই ভালো সেটা জ্বল জ্বল করছে৷ আমি চোখের নীচে থেকে কাজল নিয়ে ওর বা পায়ের নীচে লাগিয়ে দিতেই হেঁসে উঠে৷ মোলায়েম হাতে কোলে তুলে নিতেই আমার গালে স্পর্শ করে স্নেহ! আমার মাহনূর হোসেন স্নেহ৷
–‘ জীবন তো থমকে থাকে না আম্মা! যে আছে তাকে নিয়েই বাঁচতে শিখতে হয়৷ আমি দোয়া করি যে চলে গেছে তার মতোই যেন একজন আসে তোমাদের জীবনে ৷ ‘
আমি ম্লান হাসলাম ৷ আব্বুর বুকে মাথা রাখতেই আব্বুর চোখ ও ভিজে উঠে ৷ ভেজা কন্ঠে বলে উঠলেন,
–‘ সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে আম্মা! তুমি বড্ড নরম মনের ৷ নিজেকে সামলাও৷ সাথে আমার নানুভাইকেও৷ সন্ধ্যা সময় সে এসে তোমাদের কাঁদতে দেখলে আমি কি জবাব দিবো ভেবেছো?’
–‘ আপু! নীচে রাহাত ভাইয়া,নীতি আপু,আরিফ ভাই,জান্নাত আপু এসেছে ৷ ‘
–‘ আম্মা! নীচে যাও৷ ওদের সাথে কথা বলো৷ ভালো লাগবে৷’
–‘ তুমি মেডিসিন নিয়েছো? ‘
–‘ ওই দেখো! একদম ভুলে গেছি৷ তোমরা নীচে যাও আমি মেডিসিন নিয়ে আসছি৷ ‘
আমি সম্মতি দিতেই আব্বু চলে যায় ৷ রাফিন ওর মাথার চুল ঝাকিয়ে স্নেহের সামনে এসে বলল,
–‘ আমার মামা টা ৷ আসো তো আসো মামার কোলে আসো৷’
স্নেহ হাত বাড়িয়ে রাফিনের কোলে না গিয়ে ঝুলে আসা চুল গুলো দুই হাতে টেনে হা করে এগিয়ে যায়৷
রাফিন দুইহাতে শক্ত করে স্নেহ কে কোলে তুলে নিয়ে বলল,
–‘ চুল টেনে উঠায় ফেল মামা ৷ তাও আমি টু শব্দ করবো না ৷ কিন্তু হিসু টিসু করে দিস না মামা আমার৷ এই দিয়ে চারবার হিসু করেছিস আর আমি জামা পাল্টেছি ৷ এইবার মাফ কর৷ প্লীজ! ‘
রাফিন বলতে দেরী স্নেহ উক্ত কাজ করতে দেরি নেই ৷ রাফিনের অসহায় মুখ দেখে হাজার কষ্টের মাঝের মুখ ফুঁড়ে বেরিয়ে এলো মৃদু হাসি ৷ রাফিন স্নেহ কে যত্ন করে আমার কোলে আবার তুলে দিয়ে বলল,
–‘ ডোন্ট মাইন্ড! আমার কোল তোমার হিসুর জন্য অলটাইম বরাদ্দ মামা ৷ আবার যখন হিসু আসবে জোরে ডেকে উঠবে,মামা ৷ তাও মামা ডাক আমার বাপ ৷ ‘
বলেই শার্ট উঁচু করে ধরে ছুট লাগালো চেঞ্জ করতে৷ আমি রাফিনের যাওয়ার পানে তাকিয়ে আবারো দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম ৷ সব কিছু পরিপূর্ণ থাকার কথা ছিলো আজ! তবে কেন সে বঞ্চিত হলো সব কিছু থেকে?
_______________________
রজনীগন্ধ্যা,বেলীফুল, আর বিভিন্ন আর্টিফিশিয়াল সাদা ফুল গুলো বাগান জুড়ে সেট করা হচ্ছে ৷ স্নেহের জন্মদিন বলে আব্বু-আম্মু পুরো উৎসব লাগিয়ে দিয়েছে ৷ এনজিওয়ের সকল বাচ্চাদের নতুন পোষাক সাথে ছোট ছোট উপহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সাথে অনেক অসহায় মানুষদের দান করা হচ্ছে ৷ আমি স্নেহকে কোলে করে বাগানের মাঝেই যেতেই রাহাত ছুটে আসে ৷ স্নেহের গাল টেনে দিতেই চোখ-মুখ ফুলিয়ে কান্না আরম্ভ করে দেয় ও ৷ রাহাত ইনোসেন্ট ফেস করতেই ফারিয়া এসে গাল টেনে দেয় জোরে ৷ তারপর রাগী সুরে ধমকে উঠে বলল,
–‘ নিজের গাল টানলে কেমন লাগে সোনা? ফারদার তুমি আবার ওর গাল টানলে বিয়ে ক্যান্সেল ৷ ‘
রাহাত গালে হাত বুলিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
–‘ দোস্ত,আমারে তুই বদদোয়া দিতি সেটা হারে হারে লেগে গেছে ৷ বিয়ে ঠিক হওয়ার আগেই হুমকি দেয় বিয়ে ভাঙার ৷ কি জ্বালা! ইচ্ছা হয় কচু গাছের সাথে ঝুলে পরি ৷ ‘
–‘ ঝুলে পরেন রাহাত ভাই! সাথে ওই আদাকেও টেনে নিয়ে ঝুলবেন ৷ দুনিয়া থেকে দুটো পলিউশন কমবে ৷ ‘
জান্নাত স্নেহের গালে চুমু দিয়ে বলল ৷ এর মাঝেই নীতি তার ভরা পেট নিয়ে আরিফ ভাইয়ার হাত ধরে দাঁড়িয়ে ফোঁড়ন কেটে বলল,
–‘ আদার সাথেই তো আদারাণীর মন আদান-প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে৷ সেই খবর আকাশে-বাতাসে উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে দেখলাম৷ ‘
–‘ আর আদান-প্রদান সেই যে গেছে আর খোজ খবর নেই৷ আই রিয়্যালি মিস আদা ৷ ‘ জান্নাতের কথা শুনে সবাই মুখ টিপে হেসে চলেছে ৷ স্নেহ কি বুঝলো কে জানে সে আমার মুখের হাসি দেখে সদ্য উঠা ছোট ছোট দাঁত বের করে হেসে উঠলো৷ ওর হাসি দেখে সবাই মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে ৷ নীতি সামনে এগিয়ে এসে বলল,
–‘ আই উইশ! আমার একটা প্রিন্সেস হোক আমি এই ছোট প্রিন্সটাকে তার সাথে বিয়ে দিবো ৷ ‘
–‘ এই আপু এই! স্নেহ আমার মেয়ের হবু জামাই ৷ নজর টজর দিবে না একদম৷ ‘
–‘ তোর পঁচা আদাকে সেই ব্যবস্থা করতে বল জানু৷ এখনও অনেক প্রসেস বাকি! ‘
জান্নাত লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো ৷ স্নেহ কে আমার কোল থেকে নিয়ে আমার পেছনে এসে দাঁড়ালো৷ ফিসফিস করে বলল,
–‘ আমি কি লজ্জা পাচ্ছি হৃদিপু? দ্যাটস নট ফেয়ার৷ আমার ক্যারেক্টারের সাথে লজ্জা যায় না তাই না বলো? ‘
আমার বিষন্ন মুখে হাসি ফুঁটিয়ে উঠার অসম্ভব গুণ এই মেয়েটার মধ্যে বিদ্যমান ৷ এক বছর ধরে এই মেয়েটা আমাকে কারণে অকারণে সামলিয়েছে ৷ স্নেহময় হয়ে উঠেছে সকলের কাছে ৷ আমি ওকে একহাতে জড়িয়ে ধরে বললাম,
–‘ লজ্জা পেলে তোকে অতিরিক্ত সুন্দর লাগে জান্নাত৷ আমার দুইমাত্র দেবরের জন্য পার্ফেক্ট প্রেমিকা আবার লজ্জাবতী বউ ৷ ‘
জান্নাত স্নেহের উপর আলতো করে মুখ ঠেকিয়ে লজ্জায় আবৃত হয়ে উঠলো ৷ এর মাঝেই রাফিন আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে ওদের উদ্দেশ্য করে বলল,
–‘ সবাইকে আম্মু ডাকছে ৷ তোমরা এখন না গেলে আমার চৌদ্দ গোষ্ঠীর মানুষকে ধুয়ে মুছে দিবে৷ ‘
আমি ভ্রু কুঞ্চিত করে বললাম,
–‘ আমার হাত ধরে টানছিস কেন? ‘
–‘ গেলেই বুঝতে পারবে৷ ‘
আমি কিছু বলার আগেই হেটে ড্রয়িংরুমে আসতেই আম্মু আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
–‘ আজও এমন সাজসজ্জা হীন থাকবি হৃদি৷ একজনের জন্য জীবন তো থেমে থাকে না৷ সেটা কেন বুঝতে পারিস না? ‘
আমি টলমলে চোখে তাকিয়ে বললাম,
–‘ আম্মু তার সাথে আমার সম্পর্ক গভীর ছিলো৷ সে আমার আরেকটা অংশ ছিলো৷ কি করে ভুলে থাকি? আজ সে থাকলে তোমাদেরও কি ভালো লাগতো না বলো? ‘
আমার কথা শুনে সবাই চুপসে গেলো ৷ সবাই ভুলতে পারলেও আমি কী করে পারি?
.
.
.
বাতাসে শিউলি ফুলের তীব্র সুবাস ভেসে আসছে ৷ চাঁদের মোলায়েম আলো হাজার কৃত্রিম আলোতে জড়িয়ে পরেছে ৷ সাদা ফুলের বাহার চারদিকে! আলোর প্রতিফলনে চিকমিক করছে সব ৷ স্নেহ গোল গোল চোখ করে সব তাকিয়ে দেখছে ৷ আমি শক্ত করে ধরে রেখেছি ওকে ৷ সাদা রঙের ছোট পাঞ্জাবি পরে রয়েছে আমার বাবাইটা ৷
মিম আপু আরিফ ভাইয়া তাদের মেয়ে শুভ্রা কে নিয়ে আসতেই আমার মুখে এক চিলতে হাসি ফুঁটে উঠলো ৷ কুশল বিনিময় করে মীম আপু স্নেহ কে কোলে নিতেই আমি শুভ্রা কে কোলে তুলে নিই ৷ আরিফ ভাই মাথা চুলকে বোকা হেসে বললেন,
–‘ স্নেহ বড় হওয়ার আগেই সব মেয়ের বাবারা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে৷ আমি কি লাইনের টিকেট পাবো?’
–‘ দূরে থাক হারামি৷ ‘ আদি ভাইয়া গিটার হাতে এসে দাঁড়ালেন আমাদের সামনে ৷ তাকে দেখে সবার চোখেমুখে উচ্ছ্বাস খেলে গেলো৷ আমি উৎসুক চোখে পেছনে তাকিয়ে গভীর দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম ৷ আদি ভাইয়া স্নেহ কে কোলে নিতে গেলেই জান্নাত সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
–‘ পলিউশন ইউ দূরে থাকেন ৷ হাত স্যানিটাইজ করেছেন? ‘
আদি ভাইয়া একনজরে তাকিয়ে আছে জান্নাতের দিকে ৷ জান্নাত কিছুটা লজ্জা পেয়ে মিইয়ে যেতেই সবাই একসাথে হো হো শব্দে সুর তুলে ৷
পরিবেশ স্বচ্ছতা বিরাজমান ৷
আমার মনের কোণে হাজার মেঘের আনাগোনা ৷ তীব্র কষ্ট আর একবুক অভিমানে ভারী হয়ে উঠলো সব ৷
এনজিওয়ের সকল বাচ্চারা এক এক করে এসে ভরে উঠলো সব জায়গা ৷ সবাই তাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠলো ৷ আমি বিরস মুখে স্নেহ কে আদর করে চলেছি ৷ ও আমার শাড়ির এক কোণা ধরে উৎফুল্ল নয়নে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ একটু পর পর কাউকে খুজে চলেছে যা ওর চোখেমুখে স্পষ্ট ৷ হঠাৎ করে কেঁদে উঠতে আমি নীতি আর জান্নাতকে বলে ওকে নিয়ে বাসার দিকে পা বাড়াই ৷ খুদা পেয়েছে আমার বাবাইয়ের৷
.
বাতাসে ভাসছে সেই পরিচিত সুবাস ৷ থমকে যাওয়া পা গুলো আলতো কেঁপে উঠছে৷ ঝিমিয়ে থাকা পরিবেশ স্নিগ্ধ ময় হয়ে উঠলো ৷ কিছুটা দিনের দূরত্ব আর আমার টুইন্স থেকে প্রিন্সেস কে হারানোর ব্যথা নিগড়ে এলো ভেতর থেকে ৷ আমি স্নেহ কে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতেই সেই পরিচিত কন্ঠ থেকে ডাক এলো,
–‘ সাদা শাড়ি এন্ড মাই বাবাই স্টপ দ্যায়ার৷ ‘
আমি দাঁড়ালাম না৷ কেন দাঁড়াবো? কি জন্য দাঁড়াবো? অভিমানের পাহাড় উঁচু হয়ে আছে ৷ বড্ড অভিমানে সিক্ত আমার মন ৷ আমি আবারো এগিয়ে যেতে আঁচল টেনে ধরলেন ৷ আমি ফুঁপিয়ে উঠলাম৷ স্নেহ পিটপিট চোখে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টে কেঁদে দিলো ৷ উনি সামনে ছুটে এসে কোলে নিতে গেলে আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম ৷ স্নেহ তার বাবাকে দেখে ঠেলছে আমাকে কাছে যাওয়ার জন্য ৷ তার বাবাইকে সে খুব গভীর ভাবে চিনে৷ আমি ঠাই দাঁড়িয়ে রইলাম! উনি স্নেহ কে কোলে উঠিয়ে নিয়ে একগাল হেসে বললেন,
–‘ আমার ইন্টেলিজেন্ট বাবাই ৷ শুধু বাবাইয়ের মাম্মী টাই এখনো বড্ড বোকা আর অভিমানী৷ ‘
–‘ এসেছেন কেন? আমি কি আসতে বলেছি আপনাকে? ‘
–‘ চলে যাই তাহলে? ‘
আমি মুখ উঠিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম ৷ উনি একহাতে টেনে নিয়ে কপালে স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে বললেন,
–‘ আমি আমার কথা রেখেছি তবে আপনি কেন আজও কাঁদছেন? ‘
–‘ আপনার প্রিন্সেস! তারও আজ জন্মদিন ছিলো৷ কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস দেখুন আজ তার মৃত্যু বার্ষিকী! সবেমাত্র দুই ঘন্টা অস্তিত্ব ছিলো তার! তারপর সব শেষ৷ সে হারিয়ে গেছে ৷ আল্লাহ কেন কেড়ে নিলেন আপনার প্রিন্সেস কে? ‘
–‘ তার হায়াত দুইঘন্টা ছিলো ৷ দোয়া করো তার জন্য ৷ সে নেই তো কি হয়েছে আমাদের বাবাই তো আছে ৷ ‘
–‘ আপনি ছিলেন না ৷ এইজন্য অতিরিক্ত কষ্ট হয়েছে৷ প্রত্যেক বার আমার সাথে এমন করেন৷ দূরে সরুন আমার থেকে৷ ‘
আমি বলেই সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম৷ উনি আর স্নেহ আমার পিছু পিছু আসতেই রুমে গিয়ে উনাদের মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিতেই স্নিগ্ধ ইনোসেন্ট সুরে বললেন,
–‘ এই বউ! এই শুভ্র পরী! আমার তুমি ৷ দরজা খুলো ৷ তোমাকে টানা তিনমাস না দেখার তৃষ্ণায় আমার মনে মরুভূমি কঠোরতার সৃষ্টি হয়েছে ৷
বাবাই তুমি কান বন্ধ করো তো৷ ‘ উনি সিরিয়াস কথার মাঝে বলে উঠতেই আমি উচ্চস্বরে হেসে উঠলেও নিজেকে সামলে নিই ৷ উনি দরজায় আবার টোকা দিয়ে বললেন,
–‘ প্লীজ,বউ দরজা খুলো৷ ‘
–‘ আমি তিনমাস অপেক্ষা করেছি আপনি জাস্ট তিন দিন অপেক্ষা করুন মিস্টার.আমার বাবাইয়ের বাবাই! আমার প্রেমেও মরুভূমি সৃষ্টি হউক৷ দুইজন একসাথে না হয় স্নিগ্ধ পরশে ভরে উঠবো৷ কিন্তু তিনদিন পর ৷ আপনি আপনার ছেলেকে নিয়ে থাকুন৷ আ’ম সিঙ্গেল! সো ইঞ্জয় করতে দিন সিঙ্গেল লাইফ…..! ‘
চলবে….