#Crush_Villain
#লাবিবা_ওয়াহিদ
|| পর্ব ১৬ ||
আয়াফকে দেখে আমি থ! এই ছেলেটা কি তার সৌন্দর্য দিয়ে খুন করতে নেমেছি নাকি ভাই? আয়াফও আজ সানিয়াকে দেখছে। দুজনের যেনো চোখে চোখে কথা হচ্ছে। জোহানের হাত দিয়ে ঠ্যালা দেয়ায় আমার ধ্যান ভাঙে এবং নিচে জোহানের দিকে তাকাই। জোহান বলে,”আপু এই ভাইয়াটা কে?”
আমি একবার আয়াফের দিকে তাকালাম। তারপর চোখ নামিয়ে বলি,”আজকে ওনার পার্টিতেই আমরা এটেন্ড করেছি।”
– ওওওওহ।
বলেই “ও” এর মতো মুখ করে আয়াফের দিকে তাকিয়ে থাকে। আয়াফ ভ্রু কুচকে জোহানের দিকে তাকিয়ে রয় তারপর হাটু গেড়ে বসে বলে,”তোমার নাম কি?”
– আমি জোহান সারফারাজ আর তুমি?
– আমি আয়াফ জুরাইজ।
– ওওওও আচ্ছা তোমাকে দেখে আমার একটা গান মনে পরলো বলবো?
আয়াফ হেসে বলে,”বলো আমিও শুনি!”
জোহান গলা পরিষ্কার করে বলে,”এহেম এহেম তাহলে শুরু করি আ…..উমমমমম উমমম”
বলেই জোহান হাত পা ছুড়াছুড়ি করছে আমার হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য। আমি চোখ গরম করে বলি,”তোরে তোর হিরো আলমের চাইনিজ ভার্সন গান শুনাইতে আনিনাই। আরেকবার উল্টা পাল্টা গান গাওয়ার কথা যদি উচ্চারণও করিস তাহলে তোরে আমি ভ্যানে করে বাসায় ফেলে আসবো বেদ্দপ পোলা!”
জোহান সাথে সাথে চুপ হয়ে যায়। আয়াফ চোখ বড় বড় করে জোহান আর সানিয়াকে দেখছে। আয়াফ উঠে দাঁড়িয়ে বলে,”তুমি ওর সাথে এমন ব্যবহার কেন করলে? ও তোমার কি হয়?”
আমি অন্যদিকে ফিরে বলি,”আমার ছোট ত্যাড়া ভাই!”
আয়াফ ভ্রু কুচকে আবার জোহানের দিকে তাকায়। জোহান এখন শান্ত বাচ্চাদের মতো চুপটি করে আছে যেনো সে কিছুই জানে না বুঝে না। আয়াফ হেসে আমার হাত থেকে জোহানের হাত নিয়ে জোহানকে নিয়ে যেতে যেতে বলে,”ওকে আমি আমার কাছে রাখলাম তুমি অন্যদিকে যাও।”
জোহান দাঁত কেলিয়ে তাকিয়ে আছে। আমি চোখ গরম করে ইশারায় বললাম যেনো কোনোরকম গরবোর না করে। জোহান সেটা বুঝে চোখ দিয়ে আশ্বাস দেয়। আমি আর পারিনা মা যে কেন এই ঝামেলাটারে আমার ঘাড়ে চাপায় দিসে ধুর।
ভেবেই পাশে রুহিকে কিছু বলতে যাবো কিন্তু একি গায়েব। রুহি আগেই পার্টির ডান্স সাইডে গিয়ে নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে। আমি এবার রোজা আর আলিজার দিকে তাকালাম। রোজা একা নিশি আপুর পাশে বসে গল্প করসে আর ড্রিংক করছে। আলিজাকে দেখলাম না কই গেলো?
★
– আলিজা একটা কথা বলি?
– হ্যাঁ বলো নীল এমন আমতা আমতা করছো কেন?
– একচুয়ালি হয়েছে কি..
– হুম?
– আ… আ…
– আরে কি আ আ করছো যা বলার ডাইরেক্টলি বলো।
– একচুয়ালি আই লাভ ইউ!(চোখ বুজে অন্যদিকে ফিরে)
আলিজা যেনো থম মেরে গেলো। সে যেনো নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না! আলিজা বিস্ময়ের সাথে বলে,”আ… আ… আর ইউ সিরিয়াস নীল?”
– ড্যাম…
– কতোটা ভালোবাসো?
নীল আলিজার এমন কথায় চমকে উঠলেও নিজেকে সামলে বলা শুরু করে,”যেদিন তোমায় প্রথম ভার্সিটির গেট দিয়ে ঢুকতে দেখেছিলাম তখনই তোমার সেই মন কাড়া হাসির প্রেমে পরেছি। সেই থেকেই তোমার আশেপাশে থাকতে চেষ্টা করেছি তোমার বন্ধু হয়ে উঠলাম। তুমি আমি দুজন-দুজনার কথা শেয়ার করতাম। সত্যি বলি তখন নিজেকে একজন ভাগ্যবান মনে হতো যে আমারই ভালোবাসার মানুষটা আমারই পাশে আমার সাথেই প্রাণ খুলে কথা বলে। তোমাকে নিয়ে হুট করে ঘুরতে যাওয়া হুট করে দেখা করা যেনো অভ্যাসে পরিণত হয়। জানিনা আমি কিসব বলছি তবে তোমায় দেখলে মনে মাঝে এক সুখ খেলে যায়, তোমায় দেখলে নতুন দিনের আনন্দে ভরা একটা দিন খুঁজে পাই, তোমার মাঝে আছে আমার হাজারো সুখের স্মৃতি। ভালোবাসি আলিজা, বড্ড ভালোবাসি তোমায়। তুমি কি আমার হবে?”
বলতে বলতেই নীল হাঁটু গেড়ে বসলো। এসব শুনে আলিজার অজান্তেই চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পরলো। এটা দুঃখের নয় সুখের জল। নীল নিজের হাত বাড়িয়ে বলে,”উইল ইউ বি মাই….”
আলিজা নীলের হাতে হাত রেখে মাথা নাড়ায়। নীল উঠে দাঁড়িয়ে আলিজাকে জড়িয়ে ধরে। আলিজাও সমান তালে তাল মেলায়।
★
– আচ্ছা জোহান একটা কথা বলো তো!
– হুম ভাইয়া বলো।
– তোমার আপু কেমন মানে ওর কি কোনো ছেলে ফ্রেন্ড অথবা বয়ফ্রেন্ড আছে?
– নাহ। আপু এসব পছন্দই করেনা। আর আলিজা আপুকে ছাড়া আপুর কোনো ফ্রেন্ড আছে বলে মনে হয়না।
– ওহ আচ্ছা। তা চিটাগং কি তোমার আপুর কেউ থাকে?
– আপুর কেউ থাকতে যাবে কেন চট্টগ্রাম তো আমাদের নানুরবাড়ি।
আয়াফ যেনো শকড। তাহলে এতোদিন ভুল ভেবেছিলো কিন্তু ওই ছেলেটা কে ছিলো যদি না সানিয়ার বয়ফ্রেন্ড অথবা ফ্রেন্ড না থাকে? আয়াফ ভ্রু কুচকে বলে,”তুমি শিওর তো তোমার আপুর নেগেটিভ কিছু নেই?”
– আমি ১০৯% শিওর। আমি তো লুকিয়ে লুকিয়ে ওর ফোন অনেক ধরি। যদি সেরকম কিছু হতো তাহলে এই জোহান ডিটেকটিভ কিছু না কিছু ক্লু পেতো।
আয়াফ হাসে। জোহান আবার বলে,”কিন্তু….”
– কিন্তু?(ভ্রু কুচকে)
– আপুর একটা ক্রাশ আছে।
– কে?(ভ্রু কুচকে)
– নামটা মনে নেই তবে হ্যাঁ “A” দিয়ে তার নাম আর চেহারা প্রায় তোমার মতোই!
আয়াফ যেনো থম মেরে গেলো। কি বলছে কি জোহান? রিয়েলি-ই কি সানিয়া তাকে ক্রাশ মনে করে? এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ তার তিনয়ের দিকে চোখ গেলো। তিনয় দূরে কার দিকে যেনো চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে। আয়াফ তিনয়ের দৃষ্টি অনুসরণ করে সেদিকে তাকায় এবং দেখে রুহি। তিনয় বলেছিলো যে রুহি সানিয়ার কাজিন। তাই সেই তাকে পুরো ব্যাপারটা খুলে বলতে পারবে। আয়াফ জোহানকে যাহিরের কাছে বসিয়ে রেখে রুহির কাছে গেলো। রুহি তখন ওয়াইনের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলো সে খাবে নাকি খাবে না। এমন সময়ই পিছে থেকে কেউ বলে উঠে,”হাই!”
রুহি সাথে সাথে পিছে ফিরে তাকায় এবং আয়াফকে দেখে দাঁত কেলিয়ে বলে,”হ্যালো।”
– উমমম… তোমার থেকে কিছু জানতে চাই।
– ইয়াহ আফ কর্স বলুন।
– একচুয়ালি সানিয়ার ক্রাশ কে তা কি তুমি জানো?
রুহি কোনোরকম কিছু না ভেবেই বলে দিলো,”ওর ক্রাশ তো আপনি। আমি আপনার দিকে নজর দিয়েছিলাম বলে আজ আমায় অনেকক্ষণ শাসিয়েছে। বলে আপনি নাকি তার ক্রাশ ভিলেইন। আপনার সাথে নাকি ওর ঝগড়া করতে ভালো লাগে আবার আপনি-ই নাকি ওর সাথে সেধে ঝগড়া করতে আসেন!”
আয়াফ মৃদ্যু হাসে তারপর বলে,”এই ওয়াইন টা খেতে পারো এটা নেশা ধরাবে না!”
বলেই আয়াফ চলে গেলো। রুহি থ মেরে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগে এটা কি হলো যাইহোক যেহেতু বলেছে এটা নেশা ধরাবে না খেয়েই দেখি না কেমন লাগে ইশশশ এতোদিনের ইচ্ছেটা পূরণ হতে চলেছে।
আমি দূর থেকে দেখলাম আয়াফ আর রুহি হেসে হেসে কথা বলছে। এহহ হাসি যেনো উতলায় পরে। রুহির সাথে এতো হেসে হেসে কথা বলার কারণ কি বুঝিনা। কই আমার সাথে তো কোনোদিন হেসে কথা বললো না। আমাকে দেখলেই যেনো তার রাগ আসমানে উঠে যায় হুহ! পার্টিতে যে কেন আসলাম ধুর সবাই তো সবার মতো বিজি।
আয়াফ মুখ টিপে হাসছে এই ভেবে যে সানিয়া তাকে # ক্রাশ ভিলেইন বলেছে। এরপর থেকে নাহয় তার ভিলেনি রূপ দেখাবে তখন ভিলেইন কাকে বলে তা প্রকারভেদ সহ বুঝিয়ে দেবে এখন শুধু জোহানের ক্লোজ হতে হবে। ভেবেই আবার আয়াফ জোহানের কাছেই চলে গেলো। এদিকে তিনয় সাহস করে রুহির সাথে কথা বললো,”হ্যালো মিস!”
রুহি পিছে ফিরে তাকায় কিমতু চিনতে পারেনা। স্বাভাবিক ভাবেই বলে,”ইয়েস?”
– ক্যান আই?(রুহির পাশের সিটে ইশারা করে)
– ই..ইয়াহ শিওর!
রুহির অনুমতি পেতেই তিনয় রুহির পাশে বসে। তিনয় বলে,”আমাকে চিনেছো?”
তিনয়ের মাথা থেকে পা অব্দি দেখে ভাবলো খারাপ না। তারপর মলিন কন্ঠে উত্তর দেয়,”জ্বী না!”
– আমি আয়াফের ফ্রেন্ড। আয়াফকে চিনেছো তো?
– ওওওহ হুম চিনলাম। আসলেই কেমন চেনা চেনা লাগছিলো আপনাকে কিন্তু কোথায় দেখেছি মনে পরছিলো না।(হেসে)
– ওহ যাক ভালো তাহলে।
– তা আমার কাছে কি মনে করে?
তিনয় আমতা আমতা করে বলে,”ইয়ে মানে আসলে আমি পরিচিত হতে আসলাম।”
– ওহ হাই আমি রুহি।
– আমি তিনয়।(বাকা হেসে)
– নামটা সুন্দর।
– তোমার টাও।
রুহি হেসে দেয় সাথে তিনয়ও তাল মেলায়। তিনয় হাসি থামিয়ে রুহির হারের ওয়াইনের গ্লাসটার দিকে তাকিয়ে বলে,”রেগুলার?”
রুহি তিনয়ের দৃষ্টি অনুসরণ করে হাতের দিকে তাকিয়ে বলে,”এই না না এই ফাস্ট টাইম ট্রাই করলাম!”
– ওহ তো ফাস্ট টাইম ট্রাই করে কেমন লাগলো?
– তিতা!(ইয়াক মার্কা ফেস করে)
তিনয় হেসে দেয়। এরপর আরও কিছুক্ষণ দুজন মনখুলে কথা বললো।
★
– যাহির মানিশা কইরে… সেই ভার্সিটিতে দেখেছিলাম এখনো খবর নেই।
– আমিও জানিনা ফোন দিলাম রিসিভ করে বললো আসছে জ্যামে নাকি আটকে আছে।
– ওহ তাই বলে এতো লেট?
আয়াফের কথার মাঝেই মানিশা হাজির হলো সাথে আবরার। যাহির সামনে তাকিয়ে বলে,”ওই দেখ চলে আসছে।”
যাহির আবরারকে খেয়াল করেনি। আয়াফ, যাহির মানিশার সামনে আসতেই আবরারকে পাশে খেয়াল করলো আর আবরারের এই নতুন রূপ দেখে আয়াফ, যাহির দুজনেই শকড! আবরার ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে পকেটে দুই হাত ঢুকিয়ে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে আর শিস বাজাচ্ছে আস্তে ধীরে।
যাহির আয়াফের কানে ফিসফিসিয়ে বলে,”দোস্ত লম্বা ফতুয়াওয়ালা হিরো সাজে ভাবা যায় এগ্লা?”
– কিছুক্ষণের জন্য মুখটা অফ রাখ!
যাহির আর কিছু বললো না। আয়াফ বলে,”মানিশা কোথায় ছিলি তুই আর আবরার এতো কেন করলি?”
– সরি একটু লেট হয়ে গেলো।
– ওকে ওকে দেন… তোরা ওদিকে গিয়ে বস।
আবরার চলে গেলেও মানিশাকে যাহির আটকালো।
– মানিশা! আবরার তোর সাথে তাও এই লুকে হাউ?(অবাক হয়ে)
– পরে খুলে বলবো আগে আবরারের পিছনের রহস্যটা জানতে হবে।
– রহস্য মানে কি?
– তোর এই ছোট মাথায় ঢুকবে না নিজের চরকায় তেল দে।
বলেই যেতে নিলে নিশির সাথে দেখা হয়ে যায়। রোজা যায় সানিয়ার কাছে। সানিয়া তখন মুড অফ করে বসে ছিলো।
– কিরে এখানে একা বসে আছিস কেন?
– তো কি করতাম? তোরা তো সবাই নিজেদের কাজে বিজি তোদের কি আমায় চোখে পরে?
– আরে কিযে বলিস না! আসলে নিশি আপুর সাথে কথা বলার সময় তোর কথা মনেই ছিলো না যাইহোক আলিজা কই?
– আমি কি জানি কোথায় হাওয়া হয়ে গেছে।
তখনই নীলের সাথে আলিজা চলে আসে। হঠাৎ কেউ আয়াফকে উদ্দেশ্য করে বলে,”পার্টিতে আয়াফের গান ছাড়া কিছু না কিছু মিসিং লাগে সো আয়াফ লেট’স স্টার্ট!”
আয়াফ আজ দ্বিমত করলো না কারণ আজ সে ভিষণ খুশি! সে আজ প্রাণখুলে গাইবে। আয়াফ গান গাইবে শুনে আমার মনে ঘন্টা বাজলো! তাড়াতাড়ি আয়াফের প্রায় সামনের একটা সিটে গিয়ে বসলাম। এতোক্ষণে সকলেই চলে এসেছে। আয়াফ গিটারে টোন দিতে দিতে সানিয়ার দিকে তাকায় তারপর একটা টেডি স্মাইল দিয়ে শুরু করে,
“টালমাটাল, মনটা কিছু তোমায় বলতে চায়
বেসামাল, ভাবনাগুলো তোমায় ছুঁতে চায়
টালমাটাল, মনটা কিছু তোমায় বলতে চায়
বেসামাল, ভাবনাগুলো তোমায় ছুঁতে চায়….
আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
না লেখা চিঠিগুলো মন পাহারায়,,,,
আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
আমি শুধু চেয়েছি তোমায়!””
বলেই আয়াফ থামলো। সকলে জোরে চিল্লিয়ে উঠে আর কড়াতালিতে মেতে উঠে। সানিয়াও জোরে জোরে হাততালি দিচ্ছে। আরেকজন বলে উঠে যেনো একটা পার্টি সং গায়। আয়াফও তাই করলো। শুরু করলো,bada
Haan kar dena chhoti moti ghaltion ko maaf
Itna sa bas ehsaan kar de
Kar dena chhoti moti ghaltion ko maaf
Itna sa bas ehsaan kar de
Tu jo hai naraaz meri saansein na chalein
Maan ja tu jeena yeh aasan kar de
Tu khol mere dil ko aur lele talaashi
Koyi bhi milega na tere siwa tere siwa…”
আয়াফ সাথে সাথে থেমে গেলো এবং সকলের উদ্দেশ্যে বললো,”এই গানটাতে আমার সাথে আরেকজনকে গাইতে হবে আর সে হলো সানিয়া ইবনাথ!”
আমি যেনো শকড! আমি কেন গাইতে যাবো প্রশ্ন করলাম! তখন আয়াফ বলে,”কারণ তুমি সেকেন্ড হয়েছো সেই হিসেবে এটা সকলের ট্রিট হিসেবে প্রাপ্য। এম আই রাইট গাইস?(চিল্লিয়ে)”
সকলে “ইয়েস” বলে উঠে। তাই আমার আর কি করার আমি বাধ্য হয়ে রাজি হলাম। আয়াফ টেডি স্মাইল দিয়ে আবার শুরু করে,,
“Teri aankhon mein dikhta jo pyar mujhe
Meri aankhon mein bhi tujhe dikhta hai kyaa(2)”
আয়াফ গিটার বাজাচ্ছে আর আমি চোখ বুজে পরের লাইনগুলো মনে করার চেষ্টা করছি কারণ এই টোন শেষে আমার পালা।
“Bhar ke rakhti hoon jebein
Main main dil ki apni
Bol kitna tu maange udhaaar…
Jo main pyasa ke boondi tu maang to sahi
Bol kitna tu maangega pyaaar…
Baitha hai gussa teri naak pe aise
Thok diya tujhko maine chhod diya jaise
Mar ke bhi chhodun na tu manega kaise”
এবার আয়াফ তাল মিলিয়ে শুরু করে,,,
“Nikaal na zubaan se aise marne ki baat
Pyar aisa karunga
Ke tu degi shabashi
Misaal main dunga
Apne pyar ki badaa…”
এই পুরোটা লাইন আয়াফ গভীর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলেছে আর আমি যেনো বরফ হয়ে গেলাম।
“Teri aankhon mein dikhta jo pyar mujhe
Meri aankhon mein bhi tujhe dikhta hai kyaa..(2)
Ishq ko odh lein sab hadein tod de
Aaj donon mil ke ik naye rishte ko jod dein
Ishq ko odh lein sab hadein tod de
Aaj donon mil ke ik naye rishte ko jod dein”
সানিয়া আনমনে শুরু করে,,
“Tu bole na mujhe kuchh
Aur main sunti rahun
Aise pyar karte karte
Duniya ko chhod doon….”
তারপর দুইজন একসাথে গায়,,,
“Teri aankhon mein dikhta jo pyar mujhe
Meri aankhon mein bhi tujhe dikhta hai kyaaa(2)”
গান শেষ হতেই সবাই কড়াতালি দেয়। কড়তালির আওয়াজে সানিয়া আর আয়াফের ধ্যান ভাঙে।
অবশেষে পার্ট শেষ হতেই সকলে যে যার বাসায় ফিরে এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েও যায়। এতো ক্লান্তির কারণে শুতেই ঘুমিয়ে পরে।
চলবে!!!
(গঠনমূলক মন্তব্যের প্রত্যাশায় রইলাম।)