Crush Villain Part-29

0
6772

#Crush_Villain
#লাবিবা_ওয়াহিদ
|| পর্ব ২৯ ||

সানিয়ার ঘুম ভাঙ্গে সকাল ১০টায়। নিশি এখনো বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। সানিয়া চোখ কচলাতে কচলাতে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে। ওয়াশরুম থেকে বের হতেই দেখলো আয়াফের মা মুচকি হেসে তোয়াল হাতে দাঁড়িয়ে। সানিয়াকে দেখতেই তোয়াল টা এগিয়ে দিলো। সানিয়া মুচকি হেসে মুখ আর হাত মুছে নিলো।

– ঘুম কেমন হলো?

– জ্বী ভালো!(মৃদ্যু হেসে)

– তা হলে বেশ। আচ্ছা শুনো তোমার এখন শাড়ি পড়া লাগবে না আমি একটা থ্রি-পিস দিলাম সেটা পরে নিচে চলে আসো কেমন? আমি যাই তোমার বরকে ডাকতে। এখনো ছেলের খবর নেই মরার মতো ঘুমোচ্ছে।

কথাগুলো হেসে হেসেই বলে আয়াফের মা। সানিয়া শুনে মুচকি হেসে মাথা নাড়ায়। আয়াফের মা সানিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলো। ওনার মুখে যেনো সারাজীবন-ই একটা ঝুলেই থাকবে। তবে উনি খুব মিশুক এবং ফ্রি মাইন্ডেড যা সানিয়ার অনেক ভালো লাগছে। এসব ভাবতে ভাবতেই চেঞ্জ করে নিলো। সানিয়া নরমাল একটা ফতুয়া আর প্লাজো পরে ছিলো। এই দুটোই নিশির। নিশি-ই ওকে এগুলো দিয়েছে কারণ সানিয়া সেই ভারি লেহেঙ্গা পরে ঘুমাতে পারবে না তাই! সানিয়া চেঞ্জ করার পরপরই নিশির ঘুম ভাঙ্গে। সানিয়াকে গুড মর্নিং জানিয়ে নিজের ব্যাগ থেকে জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুম চলে গেলো। নিশিও সানিয়ার মতো প্লাজো আর ফতুয়া পরে ছিলো। এই অবস্থায় রুমের বাইরে যাওয়াটা বেশ লজ্জাজনক ব্যাপার।

রোজা ঘুমাচ্ছে আর যাহির এক হাতে মাথার ভার দিয়ে অপলকভাবে তাকিয়ে আছে। তাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ২০ দিনের কাছাকাছি। যাহির কখনো ভাবেনি এভাবে রোজাকে নিজের করে পাবে। তবে রোজা ওর সাথে মানিয়ে নেয়ার সময় চেয়েছে। এতে যাহির অমত করেনি কারণ বিয়েটা ওদের হুট করেই হয়েছে মানিয়ে নেয়ার বিষয়টা কারোই নির্ধারক হয়নি। রোজা আর যাহির এক বিছানায় শুলেও তাদের মাঝে আরেকজন মানুষের শোয়ার জায়গা হয়ে যায় এতোটাই দুরত্ব। যাহিরও কখনো রোজার সাথে উঁচু গলায় কথা বলেনি অথবা কোনোকিছু নিয়ে জোর করেনি৷ তবে এই কটাদিনে রোজার আগে উঠে রোজার ঘুমন্ত মুখটা দেখা যেনো তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যাহির যে রোজাকে চোখ দিয়ে গিলে খায় সেটা রোজার ধারণার বাইরে। রোজা নড়াচড়া করতেই যাহির এক মুহূর্ত দেরি না করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। সে ফ্রেশ অনেক আগেই হয়েছিলো।

যাহির নিজের ঘর থেকে বের হতেই আয়াফের মায়ের সামনাসামনি হয়। যাহিরকে দেখে আয়াফের মা হেসে বলে,”ভালো হয়েছে তোর সাথে দেখা হয়ে, তা রোজা কোথায়?”

– ঘুম থেকে উঠেনি এখনো।

– আচ্ছা আমি রোজার কাছে যাচ্ছি তুই বরং আয়াফকে ডেকে তুল।

– ওইটা আমার বা হাতের কাজ! কাজ হয়ে যাবে নো চিন্তা।

আয়াফের মা হেসে চলে যায়। যাহিরও আয়াফের রুমে চলে আসে। রুমে এসে দেখে উবুড় হয়ে মরার মতো ঘুমোচ্ছে আয়াফ। এরে দেখে উপায় নেই যে এই ছেলে কাল বিয়ে করেছে। যাহির আয়াফের কাধে কয়েকটা চাপড় দিয়ে বলে,”কিরে উঠ! আর কতো ঘুমাবি?”

আয়াফের কোনো হেলদোল নেই সে আরামেই ঘুমোচ্ছে। যাহির জোরে আরেকটা চাপড় দিয়ে বলে,”আরে ওই শালা উঠ! তোরে উঠানের চাকরীতে বসছি নাকি! উঠ বলছি উঠ!!”

আয়াফ নড়েচড়ে “উমম..হুম” করে আবার ঘুমিয়ে যায়। এবার যাহির বিছানায় উঠে আয়াফের পিঠে দুই পা দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। এতে আয়াফ ব্যথায় চেঁচিয়ে উঠে বসে। আর যাহির! আয়াফের হঠাৎ উঠে যাওয়ার কারণে সে চিৎ হয়ে পাশে পরে গেছে। একটুর জন্য ফ্লোরে পরেনি ভেবে হাফ ছেড়ে বাচে। এদিকে আয়াফের এভাবে ঘুম ভাঙ্গানোর কারণে যাহিরকে আচ্ছাশিড় কিল ঘুষি দিতে লাগে। শেষে যাহির না পেরে পালিয়ে বাচে। আয়াফ কিছুক্ষণ রাগে ফুসে তারপর কি মনে করে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে যায়। নিচে গিয়ে দেখে সানিয়া বসে আছে আর রোজা ওর পাশেই বসতে নিচ্ছিলো তার আগেই আয়াফ ধুম করে সানিয়ার পাশে বসে যায়। আয়াফের কান্ড দেখে সবাই মুখ টিপে হাসছে আর এদিকে সানিয়া লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। রোজার কিছুক্ষণ বোকার মতো চেয়ে যাহিরের পাশে বসতেই বাধ্য হলো।

সক্কাল সক্কাল সবার সামনে এমন লজ্জায় পরতে হবে তাও এই বজ্জাতটার জন্য কখনো ভাবিনি। রাগি চোখে পাশে আয়াফের দিকে তাকালাম। তার কোনোদিকে ধ্যান নেই সে আপাতত খেতে ব্যস্ত। রাক্ষসটার খাওয়া দেখে গা জ্বলে যাচ্ছে। আমি তাকিয়ে থাকায় আয়াফ অন্যদিকে ফিরে আমার দিকে কিছুটা ঝুকে পানির গ্লাস নিতে নিতে আস্তে করে বলে,”এভাবে চোখ দিয়ে গিলে খেলে পেটে অসুখ হবে তাই অন্যদিকে তাকাও!”

আমি রাগে ফুসতে ফুসতে খাওয়ায় মনোযোগ দিলাম আর আয়াফ মুখ টিপে হাসলো। সকাল সকাল নিজের বউকে জ্বালিয়ে অনেক তৃপ্তি পাচ্ছে সে।

খেতে খেতেই হঠাৎ পায়ে কেমন শুড়শুড়ি লাগছে কিন্তু বুঝলাম না কাহীনি। প্রথমে পাত্তা দিলাম না কিন্তু পরে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার গলা দিয়ে যেনো খাবারই নামা অফ হয়ে গেছে। সবাই এটা সেটা নিয়ে কথা বলছে আমি আস্তে করে টেবিলের ক্লোথটা সাবধানে কিছুটা উঠিয়ে দেখি এই বজ্জাতটার পা দিয়ে আমার শুড়শুড়ি দিচ্ছে। মন তো চাচ্ছে শালার পা টারে পাস্তা বানাই। ভেবেই পা সরিয়ে ফেলি৷ আবার সেই একই অবস্থা। একবার রাগি চোখে আয়াফের দিকে তাকাচ্ছি আরেকবার পায়ের দিকে।

আমাকে ছটফট করতে দেখে শাশুড়ী মা বলে,”কি হলো সানিয়া কোনো সমস্যা হচ্ছে?”

আমি নিজের রাগ মনের মধ্যে চেপে হাসার চেষ্টা করে বলি,”না মা এমনিহ!”

– ওহ। আচ্ছা আস্তেধীরে খাও।

আমি এই বজ্জাতটার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে চেয়ারের কাছে পা গুটিয়ে নেই। আয়াফ পা দিয়ে আমার পা খুঁজতে খুঁজতে ভুল করে নীল ভাইয়ের পায়ে দেয় জোরে লাথি! নীলের মুখে খাবার ছিলো লাথিতে বেচারা খাবার গিয়ে ফেললো যাহিরের গায়ে ফ্রুত করে! যাহির “ইয়াক!” বলে উঠে দাঁড়াতেই পেছনে সোফার ধাক্কা খেয়ে তিনয়কে নিয়ে পরে। সবার এমন অবস্থা দেখে নিশি, রোজা, সানিয়া আর আয়াফের মা ফিক করে হেসে দেয়। এদিকে আয়াফ চোখ বড় বকড় করে তাকিয়ে রয়।

– ওফ আল্লাহ আমার কোমড় ভেঙে গুড়িয়ে গেলো মনে হচ্ছে আর এই শালা চোখে কি কম দেখোস! নিজে পড়লি পর না আমারে নিয়া পরতে বলসিলো কে তোরে উফফ!!(তিনয়)

– আমি কি ইচ্ছা করে পড়লাম নাকি উফফ পায়ের অবস্থা আমার নাজেহাল! এই নীলটাই তো আমার উপরে বমি করলো সব ওই নীলের দোষ!(যাহির)

– আমার কোনো দোষ নাই! খাচ্ছিলাম ওমনি কে জানি পা দিয়ে জোরে লাথি দিসে তো আমি কি করতাম?(নীল)

এই কথা শুনে সানিয়া আরও জোরে জোরে হাসতে লাগে। সবাই অবাক হয়ে সানিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

– কি হলো হাসছিস কেন তুই?(রোজা)

– না কিছু না এমনি।

– আচ্ছা সব বুঝলাম কিন্তু তোরে লাথি দিবে কে? মজা করার আর জায়গা পাস না? আমরা কি এখানে হাডুডু খেলছি যে খাবার টেবিলের নিচে থেকে লাথি দেবে আজব!(যাহির)

– আমি কি জানি বাট আই এম সিরিয়াস!(নীল)

আয়াফ তখন বলে উঠে,”আমি দিয়েছি!”

সবাই অবাক হয়ে তাকায় শুধু সানিয়া বাদে। সানিয়া তো মুখ টিপে হেসেই চলেছে। নীল অসহায় সুরে বলে,”কেন?”

– ইচ্ছা হলো তাই!(খেতে খেতে)

যাহির আর তিনয় কোনোরকমে উঠে দাঁড়ায়। তিনয় চেয়ারে বসলেও যাহির বসলো না। সে নিজের মুখ আর পড়নের শার্ট ধুতে ওয়াশরুম দৌড়ে গেলো। নীল বিড়বিড় করে বলে,”দিনে-দুপুরে ঘাড়ে ভূত চাপলে যা হিয় আর কি!”

– কিছু বললি?(আয়াফ)

– নাহ কিছু বলতে পারি বুঝি?(উইথ তামিমা স্মাইল)

– ওহ খা!

সারাদিন সবাই মিকে এভাবেই মজা করলো। রাতে আরাভ জুরাইজ সবাইকে নিয়ে বড় রেস্টুরেন্টে ডিনার করালো। সাথে মানিশা আর আবরারও ছিলো। এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেলো। সানিয়ার তার মা বাবা এবং জোহানের কথা বড্ড মনে পরছে। সাথে করে যে ফোনটাও আনবে তাও পারেনি। কি করে পারবে তার ফোন তো আগেই নিলুফার কাছে ছিলো। এসবই আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলো সানিয়া।

এখন প্রায় সন্ধ্যা। আয়াফ সানিয়াকে খুঁজতে খুঁজতে ছাদে চলে এলো। ছাদে এসে ঠিকই সানিয়াকে পেলো কিন্তু সানিয়া আগেই মন খারাপ করে বসে আছে। বিষয়টা আয়াফের খারাপ লাগলো। আয়াফ সানিয়ার পাশে গিয়ে বসতেই সানিয়ার ধ্যান ভাঙে এবং সে অবাক হয়ে বলে,”আপনি এখানে?”

– এই প্রশ্ন তো আমার করা উচিত।

সানিয়া কিছু বললো না আকাশের দিকে তাকায়। কিছুক্ষণ নিরবতা বিরাজ করে দুজনের মাঝে। সানিয়া একসময় আয়াফের কাঁধে মাথা রাখে। আয়াফ বলে উঠে,”মন খারাপ?”
সানিয়া মাথা নাড়ায়।

– কেন?

– বাবা মা এবং জোহানকে বড্ড মনে পরছে। তাদের ছাড়া কখনোই একা থাকিনি।

বলতে বলতেই সানিয়ার চোখের কণা বেয়ে জল গড়িয়ে পরলো। আয়াফের কাধে টিশার্টে ভেজা অনুভব হতেই বুঝতে পারলো সানিয়া কাঁদছে। আয়াফ কান্না থামালো না কারণ মাঝে মধ্যে একটু আকটু কাঁদতে হয় এতে করে মনের মাঝে থাকা বোঝাটা হালকা হয়। সানিয়া নিঃশব্দে কিছুক্ষণ কাঁদলো এমন সময়ই মাগরিবের আযান দিলো। সানিয়া চোখ মুছে ওড়নাটা মাথায় জড়িয়ে নেয়। আয়াফ মুদ্ধ হয়ে সানিয়ার কান্ড দেখলো। এখন কেমন যেনো বউ বউ লাগছে! কিন্তু একটা কিছু মিসিং লাগছে আয়াফের কাছে।

মাথায় ঘোমটা দিয়ে আয়াফের দিকে তাকাতেই দেখলাম কেমন ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। আমিও ভ্রু কুচকে প্রশ্ন করলাম,”কি এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?”

– তোমাকে পরিপূর্ণ বউ বউ লাগছে না কেন যেন তাই পরিপূর্ণ বউয়ের হিসাব মেলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

আমি ফিক করে হেসে বলি,”তা মিলেছে আপনার হিসাব?”

আয়াফ ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে “না” বোঝায়। হঠাৎ আয়াফের ডান পকেটে হাত যেতেই কিছু একটা মনে পরে গেলো। তারপর জলদি করে পকেট থেকে কি যেনো বের করলো আমি বুঝলাম না। মনে হচ্ছে কোনো বুটের মতো। আয়াফ মুচকি হেসে আমার দিকে একটা জিনিস ধরলো যা দেখে আমি অবাক হয়ে যাই।

– নথ?

– হুম? এটা মা সেদিন দিয়েছিলো। আমি তোমাকে দেবো দেবো করে ভুলেই যেতাম এখন দিলাম নাও পরে নাও তাহলে পারফেক্ট বউ বউ লাগবে!

সানিয়া মুচকি হেসে আয়াফের হাত থেকে নথ টা নিয়ে নাকে পরে নিলো। আয়াফ কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে রয় সানিয়ার দিকে। হঠাৎ সানিয়ার গালে হুট করেই একটা চুমু দিয়ে বসে। সানিয়া গালে হাত দিয়ে বরফের মতো করে তাকিয়ে রয় আয়াফের দিকে। এমন একটা মুহূর্তে কখনো ভাবেনি আয়াফ এমন কিছু করবে। আয়াফ যেনো আবার এগোচ্ছে সানিয়ার দিকে। আজ সানিয়া আয়াফের চোখে অন্যকিছু দেখতে পাচ্ছে যা তাকে শিউরে উঠলো। সে জলদি করে উঠে দাঁড়ায় সাথে আয়াফও দাঁড়ায়। আয়াফ থেকে সরে দূরে দাঁড়িয়ে বলে,”নানানানামাজের সসসময় হয়েছে মসজিদে গিয়ে নামাজ পরে আসুন!”

সানিয়ার এমন কাঁপা কন্ঠ শুনে আয়াফ নিশব্দে হাসলো। সে বুঝতে পেরেছে সানিয়া অনেক অস্বস্তিতে পরেছে তাই তার থেকে পালাতে চাচ্ছে। আবার এটাও ঠিক নামাজের সময় আর এই সন্ধ্যায় ছাদে থাকাও ঠিক হবে না। তাই দুইজন ছাদ থেকে নেমে পরে। সানিয়া নিজের ঘরে চলে গেলো আর আয়াফ ওযু করে মাথায় টুপি দিয়ে মসজিদে চলে গেলো। মসজিদ তাদের বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয়।

মাহিদ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শার্টের বোতাম লাগাচ্ছিলো এমন সময়-ই মুনতাহা দরজা দিয়ে রুমে ঢুকে হাঁলাতে হাঁপাতে চেয়ারে বসে। মাহিদ আড়চোখে মুনতাহার দিকে তাকিয়ে বলে,”কি হলো? হাঁপাচ্ছো কেন?”

– তো কি করবো? তোমার ওই জল্লাদ মা তো আমাকে সহ্য-ই করতে পারেনা। তারে টাইট দিতে দিতেই আমার অবস্থা নাজেহাল। তোমার মা এমন কেন বলোতো?

– মায়ের জেদ বেশি। তাই একটু কষ্ট হচ্ছে তোমার তবে তোমার কিন্তু হেরে গেলে চলবে না।

– আমি হারিনি যাইহোক কোথাও যাচ্ছো?

– হু এইতো আশেপাশেই।

– ঘরে বউ রেখে এতো সহজে বের হতে পারবা না!

মাহিদ হেসে বকে,”এভাবে ঘুরিয়ে না বলে বললেই হলো আমার সাথে ঘুরতে চাও তাহলে তো ঠিকই নিয়ে যাবো নাকি?”

মুনতাহা ভেংচি কেটে চেঞ্জ করে রেডি হয়ে মাহিদের সাথে বেরিয়ে গেলো। বিয়ের পর এই প্রথম দুজনে ঘুরতে বেরিয়েছে আগেও ঘুরেছিলো তবে তখনের থেকে এখনকার ফিলিংস বেশি কারণ তারা বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ।

চলবে!!!

(গঠনমূলক মন্তব্যের প্রত্যাশায় রইলাম)