স্বপ্নময় ভালোবাসা পর্ব-২৪

0
7502

স্বপ্নময় ভালোবাসা
রোকসানা আক্তার
পর্ব-২৪

অফিস থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধে হয়ে যায়!অফিসে আজ প্রচুর চাপ ছিল তারসাথে বাসায় ফিরতি যানযটের ঘাপলায় অবস্থা পুরো কাহিল! ক্লান্তি আর অবসাদ মাখা শরীরটা নিয়ে সোফায় পিঠ ঠেকাতেই রুম থেকে আকাশ বেরিয়ে আসে।সে আজস হাসপাতাল থেকে খুব তাড়াতাড়িই ফিরেছে!সেই দুপুর দু’টোর দিকেই তার ডিউটি শেষ হয়।
আকাশ আমার কাছে এসে বসে।কপালে আলতো হাত রেখে নরম গলায় বললো,

“সানা?খুব ক্লান্ত লাগছে?’

আমি অবচেতন চোখ খুলি।তাকিয়ে আকাশ একগ্লাস জোশ হাতে ।বললো,
” এই ঠান্ডা জোশটা খেয়ে নে।ভালো লাগবে।”

আমি আকাশের এ’কথার পিঠে আর কোনো জবাব না করে বাধ্য মেয়ের মতো ওর থেকে জোশের গ্লাসটা হাতে নিই।তারপর তা চপচপ গলায় পুরোটা শেষ করে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ি।এখন শরীরে অনেকটা শান্তি শান্তি লাগছে!খুব হালকা এবং সতেজ অনুভব হচ্ছে ।এই ছেলে আমাকে এত বুঝে কেন,হ্যাঁ?আমার কখন কোন জিনিসটা লাগবে তা যেন এই ছেলের মাথায় আগ থেকেই গাঁথা থাকে!এতটা ভালোবাসে কেন আমাকে?ভাবতে ভাবতে আকাশের বুকে আলতো মাথা রাখি।আকাশ আমার মাথাটা তার দিকে আরো টেনে নিয়ে বললো,

“তোর কষ্ট আমার সহ্য হয় না, সানা।বিশেষ করে যখন অফিস থেকে ফিরিস।।”

আমি আকাশের থেকে মাথা তুলে নিয়ে ওর দিকে ফিরি।বললাম,
“আমাকে নিয়ে চিন্তা করিস না আকাশ।পৃথিবীর সবকিছুতেই কষ্ট থাকে।কষ্ট ছাড়া একটা চুলও নড়ে না।তাই কখনো আশাহত হোস না।আমি ঠিক আছি আকাশ। খুব ঠিক আছি।”
“কখনো তোর ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাইনি।এবং সামনেও যাবো না।তোর যা ভালো লাগে তুই কর।আমি সবসময় তোর পাশে আছি সানা।সবসময়!”

আমি গদগদে খুশি হয়ে আকাশের নাকের সাথে নাকটা ঢলে নিই।
“ওহ সানা,শোন?যেটা বলতাম….।”
“হু,বল?”
“আমার চেম্বারে আজ তোর শাহিদা খালামণি এসেছিল!”

মুহূর্তে আমার ভ্রু যুগল কুঁচকে আসে।বললাম
“কেন এসেছে?”
“তা জানি না!আমার সাথে দেখা হয়নি।তখন আমি ব্রেকে ছিলাম।আমার এসিস্ট্যান্ট আমার ব্রেক থেকে ফিরতে লেট হবে বলেছে আর তখন উনি আমার এসিস্ট্যান্টকে তোর কথা বলে,আর উনার নাম বলে যাতে আমি চিনতে পারি।বুঝলাম তোর খালামণিই হবেন!”
“হঠাৎ কী ভেবে এসেছে!”
“সেটা ত আমিও ভাবতেছি।”
“কোথাও থেকে হয়তো শুনেছেতোর সাথে আমার বিয়ে হয়েছে আর এই তোড়ে আমার কিছু বদনাম করতে তোর কাছে তাই!অনেক চালাক উনি!নাহলে তোর চেম্বারে উনার কী?!আচ্ছা, বাদ দে!যে জন্যেই আসুক এখন আর উনাকে আমার মনে নাই।ভুলে গেছি।ফ্রেশ হতে যাচ্ছি। উঠলাম।”

বলেই রুমে চলে আসি।ফ্রেশট্রেশ হয়ে বাইরে আসতেই দেখি আকাশ সোফায় ল্যাপটপ নিয়ে বসছে।ওকে আর ডিস্টার্ব না করে কিচেনে চলে আসি রাতের খাবার ঠিকঠাক করতে। তারপর এভাবে কিছুক্ষণ সময় কাঁটে।খাবার গুলো গরম গরম হলে শ্যামলী আপাকে ডাকি খাবারগুলো ডাইনিং এ নিয়ে যেতে।শ্যামলী আপা খাবার গুলো ডাইনিং নিয়ে যায়।তারপর কিচেন থেকে বেরিয়ে আকাশের সামনে যেয়ে কোমরে হাত রেখে দাঁড়াই।বললাম,

“খাবার রেডি।উঠ এবার।”
“আর একটু বাকি আছে।ওয়েট।ওয়েট।”
“ডিনারের সময় হলেই একইরকম ক্যাঁচর ক্যাঁচর!আর শুনতে ভাল্লাগে না।উঠ ত এবার!?”বলেই আকাশের হাতে একটা ঝাঁকি দিই।

” আহ্ সানা,এইতো আরেকটু।প্লিজ?গেইমটা শুরু করলাম শেষ করি?”
এবার আমি বিরক্ত মনে অন্য সোফায় বসে যেয়ে বির বির মুখ খুলি,
“এই ফ্রী ফায়ার গেইমটা কোন ব্যাঁটা যে বানাইছে ওই ব্যাঁটারে সামনে পাইলে একটা মুরানি দিতাম!ব্যাঁটা টোঁটকা!সময় ওয়েস্ট করে খালি!সময়, সুযোগ কিছুই বোঝে না!”

কথাগুলো বিরবিরে হলেও দূরত্ব সামান্য থাকায় আকাশ তা শুনতে পায়।আর খিলখিলিয়ে হেসে দেয়।
“ব্যাঁটাকে বকো কেন?আমাকে বকো!দোষ তোমার স্বামীর সে খালি ফ্রী ফায়ার খেলে কেন!?হা হা হা হা হা।”
আমি কথাটাকে পাত্তা না দিয়ে গাল ফুলিয়ে অন্যদিক তাকিয়ে থাকি।তা দেখে আকাশ মিটমিটে হাসতে থাকে।এভাবে কয়েক সেকেন্ড পার হয়।তারপর আলতো হাতে ল্যাপটপটা পাশে রেখে দেয় ধীরস্থির উঠে দাঁড়ায়।আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো,

“উঠো খাবো।”

আমি আকাশের দিকে তাকাই।আকাশ আবারো চোখ দিয়ে ইশারা করে ডাইনিং এ।আর রাগটাকে ধরে রাখতে পারিনি।হেসে উঠি।দুজনের ডিনার শেষ হলে রুমে আসি।আমি আকাশকে বাতি অফ করতে বলে বিছানায় এসে একটা বালিশ টেনে নিয়ে কাঁত হয়ে শুয়ে পড়ি।আকাশ বাতি নিভিয়ে বিছানায় এসে শোয়।
এভাবে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত হয়।আমার চোখে এখনো ঘুম ধরে নি।চোখবুঁজে আছি।আকাশ ঘুমিয়েছে কিনা জানি না।তার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ আকাশ আমার হাতে আলতো ধরে বললো,

“ঘুমিয়ে পড়েছিস”
আমি ঘুমা ঘুমা ভাব করে বললাম,
“হু।”

আকাশ এক ঝটাকে ড্রিম লাইট অন করে দেয়।ওর এহেন কান্ডে আমি দু’চোখ খুলে ফেলি।পাশ ফিরে ঘুরে চোখ বড় করে বললাম,
“বাতি অন করছিস যে?”
“কথা আছে তোর সাথে।”
বলেই ঠোঁটে কোণের দুষ্ট হাসির ঝুঁলিয়ে রাখে।আমি বুঝলাম ও এখন আমার থেকে ভালোবাসা চাইছে!কিন্তু এখন ত আমি ঘুমাবো।য়ুহু কিছুতেই ভালোবাসা না।এখন শুধু ঘুম।ভেবেই আবারো ঘুমা চোখে বললাম,

“ঘুম আসছে।ডিস্টার্ব করিস নাতো!যা ঘুমিয়ে পড়!”
বলেই ঘুমের ভাণ করি।ভাবলাম ঝামেলটা এখানেই চুকাবে কিন্তু তা আর হলো না।তার আগেই সে আমার হাত হেঁচকা টান মেরে উঠিয়ে বসায়।

“আজ ত কোনো ঘুম হবে না। ঘুমালে আমি বাবা হবো কবে!”
ইসস!কেমন কথা বললো!ঠোঁটকাটা কোথাকার!লাগাম নাই।একেবারে লজ্জায় আমাকে মিইয়ে দিল!যদি পারতাম এখনই মাটির সাথে মিশে যেতাম!আমার লাজুকতা দেখে আকাশ আরেক কদম উসকে যায়।কাঁধে তার হাতজোড়া জোরে চেপে ধরে আমাকে বিছানায় শোয়াতে শোয়াতে বললো,

“তুমি কি চাও না তুমি মা হবে আর আমি বাবা হবো?আমাদের ফুটফুটে একটা বেবী থাকবে?”

আমি জবাব দিইনি।চোখবুঁজে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা!আকাশ তাতে পাত্তা না দিয়ে শাড়ির আঁচলটা এক ঝটাকে সরিয়ে দিয়ে নাভিতে বড় একটা চুমুক লাগায়!মুহূর্তের জন্যে আমার সারা শিরশির করে উঠে।দু’হাত বিছানার চাঁদরে খামচে নিজেকে আগলো রাখার চেষ্টা করি।তাও আকাশ ছাড়ছে না।একের পর এক চুমুক লাগাতেই থাকে।আমি নিজেকে ছাড়ানোর জন্যে আকাশকে ঘোর মাখা কন্ঠে বলি উঠি,

“প্লিজ, ছাড়!”
আকাশ এ সপাটে তার মুখটা আমার মুখের কাছে এনে বললো,
“শুধু ত বাবা হতে চাই এটুকু আবদারও রাখতে পারবে না?”
এবার আমি লজ্জায় খান খান।এই আকাশটাকে আমার সামনে থেকে যেভাবেই হোক সরাতেই হবে।নাহলে একদম শেষ আমি!এর সামনে কখনোই মুখ দেখাতে পারবো না।ভেবেই সরাতে যাবো ত আর হলো না।তার আগেই গলার ভেতরে মুখটা তার চুবিয়ে দেয়।আমি নিমিষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।আর আমাকে তার দখলে আস্তে আস্তে নিয়ে যেতে থাকে!

দেখতে দেখতে একমাসের উপরে চলে যায়।হঠাৎ আমার মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।সন্দেহের তীরে আকাশ প্রেগনেন্সি কিট নিয়ে এসে পরিক্ষা করে দেখে আমি গর্ভবতী।তার যে সেকী খুশি!খুশিতে গদগদ হয়ে আমাকে এক্কারে কোলে তুলে নিয়ে ছোট্ট বাচ্চাদের মতো ঘুরাতে থাকে।
“হুররে আমি বাবা হতে যাচ্ছি।হুররে!!মিষ্টি নিয়ে আসছি ওয়েট ওয়েট। ”

বলেই আমাকে নামিয়ে পাগলটা আর একমুহূর্তের জন্যেও দাঁড়ায় নি।ওমনি চার কেজি মিষ্টি নিয়ে এসে ফ্ল্যাটের সবাইকে মিষ্টি মুখ করায়!!এভাবে আরো তিনমাস পার হয়।আমার মাঝে শারিরীক পরিবর্তন হতে থাকে।
আমি অফিসের ফুল শিফটা এখন হাফ শিফটে করি।আকাশও তাই।প্রয়োজন অতিরিক্ত আর একটা সেকেন্ডও হাসপাতালে ব্যয় করে না।ডিউটি শেষ তার বাসায়ও পদচারণ। এখন আমার এতটাই কেয়ার এবং এলার্ট।মাঝে মাঝে এ নিয়ে নিজেকে খুব গর্বিত বোধ হয়।হৃদয়টা হুমধুম বলে উঠে-আকাশকে জীবনসঙ্গী করে আসলে আমার ভুল হয়নি!!

একদিন রাতে আমি এবং আকাশ ডিনার করতে বসি।আকাশের প্লেটে রোস্ট মাংস,স্যুপ দিয় আমি আমার খাবারে মনোযোগী হই।।খাওয়ার মাঝে রান্না কেমন হয়েছে জানতে আগ্রহী চোখে ওর দিকে তাকাই।দেখি ও খাওয়া এখনো শুরু করেনি।অন্য তাঁকিয়ে কিছু একটা ভাবছে!তার এহেন কান্ডে আমি বরাবর অবাক হই।চোখমুখ কুঁচকে এনে বললাম,

“আকাশ?”

আমার কন্ঠস্বরে ওর টনক নড়ে।আমার দিকে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করে।বললাম,
“কিছু ভাবছিস তুই?”
“নাহ নাহ কিছু না! কী ভাববো আর।”
“তাহলে খাচ্ছিস না যে?”
“এইতো খাচ্ছি।”

বলেই খাবারে হাত লাগায়।তারপরও ওর চোখমুখে কিছু একটা লুকানোর রেশ লাগে আছে।তবে কী লুকাচ্ছে ও আমার থেকে?আর আমার থেকে কিছু একটা লুকিয়ে ওর কী লাভ হবে!!ভাবতে ভাবতে খাবারটা কোনোমতে শেষ করে রুমে চলে আসি।তার কিছুক্ষণ পর আকাশ আসে।
বিছানা থেকে ল্যাপটপটা তুলে নিয়ে সোফার উপর রাখে।তারপর বিছানা ঝেঁড়েটেড়ে বালিশগুলো ঠিক করতে থাকে।আমি ড্রেসিং টেবিল বরাবর দাঁড়িয়ে ওর দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।
শোয়ার জন্যে বিছানা মোটামুটি প্রস্তুত হলে আকাশ বললো,

“বিছানা ঝেড়েছি।ঘুমাতে আস সানা।”

অন্যদিনের মতো আমি আজ আকাশের কথায় সায় দিয়ে ঘুমাতে যাই নি।সং হয়ে আগের স্থানে দাঁড়িয়ে আছি।পুনর্বার আবারো ডাকে।আমি তাতেও জবাব দিই নি।এবার আকাশ ভ্রু কুঁচকে ফেলে।বিছানা থেকে নেমে আমার কাছে আসে।ধীরস্থির গলায় বললো,

“কী হয়েছে সানা তোর?তুই আমার সাথে রাগ?”
এবার আমি আর চুপ থাকতে পারি নি!কথার সবকে জবাব তুলি।বললাম,
“রাগ হওয়ার কারণ তা তো তুই জানিস!তা আবার জিজ্ঞেস করছিস কেন?”
“সত্যি আমি জানি না সানা।প্লিজ বল কেন রাগ করে আছিস?”
বলেই কাঁধে আলতো হাত রাখে।আমি কাঁধ ঝাঁকি দিয়ে ওর হাতদুটো সরিয়ে ফেলি।ওর থেকে দু’কদম এগিয়ে রাগ রাগ গলায় বললাম,

“তুই আর আমার সাথে কথা বলবি না!”
“আজব আমি কি করলাম!কারণ ত বলবি!”
আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকি।তারপর জেদটাকে আর চেপে রাখতে না পেরে বলে উঠলাম,

“আমি নাকি তোর অনেক আপন!আমিই তোর কাছে একমাত্র ব্যক্তি যাকে মনের কথাগুলো অনায়সে বলতে পারিস এবং ভরসা করতে পারিস!তাহলে আজ সেই ভরসা কোথায় গেল?”

আকাশ বুঝতে পারলো আসলে তাকে আমি কোন ব্যাপারে বলতে চেয়েছি।সে এবার আর তর্কে গেল না।
চুপচাপ বিছানার দিকে এগিয়ে যেয়ে বসে রইল।চোখমুখে তার খানিকটা দ্বিধা।খানিক্ষন চুপ থাকার পর আমার দিকে তাঁকালো।আমি কৌতূহল চোখে তার দিকে তাঁকিয়ে।!সে এবার চোখের চশমাটা ভালোভাবে এঁটে গলায় একটা খাঁকারি টানলো।বললো,

“ধরো কোনো একজন মানুষ বিপদে আছে।সেই মানুষটা আবার একদিন তোমার সাথে প্রতারণা করেছে!তখন সেই মানুষটির বিপদের কথা শুনলে তোমার মাঝে কেমন অনুভূতি হবে?”

“খুব ভালো অনুভূতি হবে!তখনতো আল্লাহর কাছে আরো চাইবো ওই প্রতারককে আল্লাহ আরো কষ্ট দিক।খুব বেশি কষ্ট!কিন্তু হঠাৎ এরকম প্রসঙ্গ তুলার মানে?”

আকাশ জোরে একটা হাঁক ছাড়ে।আবারো একফোঁড় চুপ থেকে তারপর বললো,
” আজও তোর খালামনি আমার চেম্বারে এসেছে এবং দেখাও করেছে!”

মুহূর্তে আমার ভেতরের চেতনাগুলো দপ করে জ্বলে উঠলো।বললাম,
“কেন এসেছে?কিছু বলেছে?”
“তেমন কিছু বলে নি।তবে যতটা মনে হলো উনি খুব বিপদে আছেন!”
“বিপদ মানে?”
“বিপদ সম্ভবত উনার ছেলে বউকে নিয়েই!”
“তুরাব ভাইয়া বিয়ে করেছেন?”
“মনে হয়!”

বিয়ে হয়েছে আবার বিপদেও পড়েছে!বুঝলাম না এর মানে!আচ্ছা তাহলে বিয়ে ওই জেনি মেয়েটাকে করে নি ত?বললাম,
“আকাশ?তুরাব ভাইয়া কাকে বিয়ে করেছে,এ ব্যাপারে বললেন কিছু?”
“নাহ তেমন কিছু বলে নি!জাস্ট বললো আমি অনেক বিপদে আছি বাবা!ছেলে বউটা আমার…! অনুশোচিত হলাম বাবা!জীবনে কী করলাম!ক্ষমা করবে আমাকে?বলো ক্ষমা করবে?এসব বলেছে।”
“আচ্ছা, কে ক্ষমা করবে?কার কথা বলছে?”
“পরিষ্কার করে আমাকে উনি কিছুই বলেননি।উনার সাথে বেশিক্ষণ আলাপ করার সময় হয়নি।সময় ছিল অল্প!রোগী দেখার ফাঁকে উনার সাথে কথা হলো!পরে বললাম আন্টি ব্রেকের সময় বা ডিউটি শেষ হলে হাসপাতালে আসলে কথা বলা যাবে তখন আমি ফ্রী থাকি।তবে যতটা মনে হচ্ছে ক্ষমার কথাটা সম্ভবত তোমাকেই উদ্দেশ্য করে বলা!”
“আমাকে?”
“আমার মনে হলো!”

চলবে…..