স্বপ্নময় ভালোবাসা পর্ব-২৫

0
7372

স্বপ্নময় ভালোবাসা
রোকসানা আক্তার
পর্ব-২৫

মানুষ দুই মুহূর্তে শত চেষ্টা করলেও চোখের পাতা এক করতে পারে না।যখন সে তার সবথেকে কাঙ্খিত কিছু হাতে পেয়ে যায়, আবার যখন সে তার চিরশত্রুর পতন দেখতে পায়।তখন এই দুটো মুহূর্ত তারজন্যে এত বেশিই আনন্দের হয় যা সে নিজের মাঝে ধারণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে!ঠিক আমারও আজ তাই হয়েছে।অনেকটা আনন্দের মতন।যদিও খালামণির বিপদ সংকেতটা আকাশের মুখে শোনা তারপরও মনের কোণে একটা শান্তি শান্তি বোধ হচ্ছে!এটিই দেখার জন্যে যেন এতদিন অপেক্ষা ছিলাম!রাতে এর ঢের খুশির তোড়ে একছিটেও ঘুম হয়নি!পরে শেষরাতে অনেক কষ্টে চোখের পাতা এক করি।ঘুম থেকে জাগতে জাগতে অনেকটা দেরী হয়ে যায়।আর হ্যাঁ আরেকটা কথা আমার প্রেগন্যান্টবস্থা এখন ছ’মাস শেষ হয়ে সাত মাসে পা রেখেছে।তাই অফিস থেকে গত পাঁচদিন আগে টানা ছ’মাসের ছুটি কেঁটেছি।তাছাড়া,ছুটি নিলেও কিছু কিছু আউটপুট কাজ তা এখন অনলাইনেই সেড়ে ফেলবো ভাবছি।

ঘুম থেকে জেগে দেখি আকাশ হাসপাতালে চলে গেছে।ব্রেকফাস্টটা হয়তো নিজ হাতেই করে নিয়েই খেয়ে চলে গেছে!এ কাজটা ও শুধু আজকে নয়,রোজই করে!সেই প্রথম থেকে।যবে থেকে তারসাথে আমার বিয়ে হয়েছে।আমার ঘুমে ডিস্টার্ব ফিল হবে ভেবে ও কোনোদিন আমাকে ঘুম থেকে জাগায় নি।মাঝে মাঝে নিজেই খুব কেঁদে দিই আকাশের এহেন কান্ডে!এমন মানুষ আজও পৃথিবীতে আছে? তা নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করি কিন্তু কোনো উত্তর মেলেনি।

তারপর হাটি হাটি পায়ে বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে আয়নার সামনে দাড়াই।বিম্রতা চোখে নিজের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তারপর অধোমুখে একটা মুঁচকি হাসি দিয়ে ফেলি। কিছু ভালোলাগা,ভালোবাসা, আবেশ মুহূর্তে আমার মন ছুঁয়ে যায়।তারপর পেঁটে আলতো হাত বুলাতে বুলাতে নিজে নিজেকেই বলতে থাকি-এই বেবী,তোমার আব্বুটা একদম পঁচা!খুবই পঁচা!জানো?আমাকে একটুও আদর দেয়না।সারাক্ষণ শুধু তোমার কথাই ভাবে।বাসায় আসলে সর্বপ্রথম পেঁট বরাবর মাথাটা নিয়ে তোমাকেই চুমু এঁটে দেয়।আমাকে একটাও দেয় না!খুব রাগ হয়,খুব!তুমি যখন আসবে তখন তোমার বাবাকে আমার হয়ে আচ্ছামত বকবে।ঠিক আছে?শোন বাবু?তোমার মাম্মাটকে এখন কে যেন ডাকছে।পরে এসে তোমার সাথে কথা বলবো,হ্যাঁ।আমাদের আবার কথা হবে,বায়!

রুম থেকে বেরিয়ে আমি অবাক!আমার শাশুড়ী মা,আফিয়া এবং আসাফ মিষ্টি,দই,মাছ,ফ্রুটস নিয়ে হাজির।আমি তড়িৎ হেঁটে যেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরি।বললাম,

“আরেহ মা,আপনারা হঠাৎ!আসার আগে আমাকে একটি বার কল করে বলবেন না?”
“আকাশকে কল করে কালরাত বলেছি সানা।”
” মা আপনি যে আসবেন আকাশ ত এ ব্যাপারে কিছুই বলে নি।”
“আচ্ছা, বলেনি বেশ করেছে।এখনতো আসলাম।”
বলেই হেসে দেন।তারপর আবার বলেন,
“তা শুনো?আমি কিন্তু এসেছি আমার বউমাকে দেখতে।”
“আমি খুব খুশি হয়েছি মা আপনি যে এসছেন।আমি আকাশকে কত্তদিন জিজ্ঞেস করলাম মা কবে আসবে কবে আসবে!সে শুধু আশাই দিয়ে রাখলো আমাকে।”
“আকাশের দোষ নাই।আকাশ আমাকে অনেক বারই বলেছে।কিন্তু শুনলেই ত আফিয়ার পরসু পরিক্ষা শেষ হলো।তারউপর আবার আসাফের দুইমাস পর পরিক্ষা শুরু হবে।মারে সংসারের কত্ত ভেঁজাল একটা সামলালে আরেকটা সামলাতে কষ্ট হয়ে যায়।তাই এবার মোটামুটি সব ভেঁজাল শেষ করে এসেছি।তা যেটা বলতাম..মা এতদিন তোমার সমস্যা হয়নি ত কাজ করতে?”
“নাহ মা,সমস্যা হয়নি।”

“চিন্তাই ছিলাম অনেক।যাক এবার ত আমি আসলাম।আর শুনো পরে সবকথা বলবো।আগে একটু রেস্ট নিই। খুব ক্লান্তি লাগছে।”
“আচ্ছা মা আপনি সোফায় গিয়ে বসুন।আমি সবকিছু ঠিকঠাক করছি।”

বলেই শ্যামা আপাকে ডাক দিয়ে মার আনা জিনিসপত্র গুলো কিচেনে নিয়ে যাই।তারপর রান্নায় হাত লাগাই।আফিয়াও আসে রান্নায় কাজে হ্যাল্প করতে আসে।এটা নিয়ে প্রচন্ড নিষেধ করা সত্ত্বেও মেয়েটা আমাকে ধামাচাপা দিয়ে চুপ করিয়ে রাখে।
“এ সময় বেশি চালাক চালাক হতে যেও না ত!এই সময় তোমার সুস্থ থাকা দরকার!তুমি অসুস্থ হলে বেবী কিছু হবে!আর আমার ভাইপো/ভাইঝির যদি কিছু হয় তাহলে আমি তোমাকে গুম করে দিব,হু!”

কি তেঁজি মেয়ে!পারলাম বা তার সাথে কথা বলে উঠতে।

এভাবে আমাদের হাসি-আনন্দের মুহূর্তগুলো কাঁটতে থাকে।একদিন দুপুরে আকাশ খুব অস্থির মনে বাসা ফিরে।এসেই হাতে থাকা ব্যাগটা টি-টেবিলের উপর রেখে সোফায় ধপ্পাস করে বসে পড়ে।অস্থির অস্থির মনে মাথার চুলগুলোয় হাত বুলিয়ে আমাকে ডাকতে থাকে।আমি তখন রুমে জামাকাপড় গোছাচ্ছিলাম।ওর ডাকার শব্দ শুনে ডাইনিং এ আসি।তখন মা নামাজে ছিল।আফিয়া গোসলে ছিল।আর আসাফ বোধহয় শুয়েছিল!
আমি আকাশের কাছে যেতেই আকায় উঠে দাঁড়ায়।বললো,

“সানা আজ তোমার খালামণি এসেছে।অনেক কথা হলো।উনি সাংসারিক ভোগান্তিতে আছেন।ছেলেকে বিয়ে করিয়ে বউকে নিয়ে সন্তুষ্ট নয়!তোমার সাথে একটু দেখা করবে এবং অনেক নাকি কথা আছে তা তোমাকে বলবে। কিন্তু লজ্জায় আসতে পারছে না!”

“তো আমি কি করবো?”
“সানা তোমার খালামণিকে আগে যেমন ফুরফুরে দেখলাম এখন তার একবিন্দুও নাই।মুখটা কেমন শীর্ণ, মুখে হাসি নেই।বলতে গেলে অনেকটা অসহায় অসহায় দেখাচ্ছে!”
“তা তোমার মায়া হলো বুঝি?”
“মায়া নয়।বয়সে বড়। আর কি খারাপ লাগলো একটু ।”
“একটা হিংস্র পশুর জন্যেও মায়া করা যায়।হিংস্র মানুষের জন্যে নয়!মনে রাখবে।
বলেই খানিক থামি।আকাশ চুপ করে থাকে।কিছু বলেনি।তারপর আমি আবার বললাম,
“তা খেতে আসো।ভাত বেড়ে দিচ্ছি।”

“মা খেয়েছে?”
“হুম।সবার খাওয়া শেষ।তুমি বাকি।”
বলেই ডাইনিং এ চলে আসি।আকাশ খেতে আসে।
খাওয়া শেষ করে আকাশ আমার একদম কাছে এসে বাহুতে আলতোভাবে হাত রাখে একটা উষ্ণ নিঃশ্বাস ছাড়ে।তারপর নরম কন্ঠে বললো,

“সানা,আমি জানি তোমার খালামণি খুব অন্যায় করেছে যেটা কখনো ক্ষমার যোগ্য নয়।কিন্তু আমি ভাবছি আমাদের সন্তানের কথা!তুমি এখন খুবই রিস্কি একটা সময় পার করছো।আরো একটা বিপদ সংকেত সামনে আমাদের সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার সময়।এসময়টা উচিত আমাদের অনেক সেম্পেথি থাকা।আমি একেবারে বলছি না তুমি তোমার খালামণিকে ক্ষমা করে দাও।আমি বলছি অন্তত তুমি উনার সাথে একটি বার দেখা করো যেহেতু উনি খুব করে চাইছেন।পরে ক্ষমা করো কি করো না ওটা তোমার সিদ্ধান্ত!অন্তত আমি আমার সন্তানের কথা ভেবে বলেছি!”

“পৃথিবীতে মানুষ যদি সব অপরাধীর অপরাধকে ক্ষমা করে দিত তাহলে অপরাধী আরো অপরাধ করার সুযোগ পেত আর দুর্বল মনের মানুষগুলো আরো বেশি আঘাত পেত!”
“আমিতো বলছি না ক্ষমা করার কথা!”
“ক্ষমা করা আর দেখা করা ওই একই কথা!দেখা করতে যাওয়া মানেই ক্ষমা করা!ওকে?”
“তোমার সাথে পেরে উঠা মুশকিল!”
আমি থ চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি।

পরপর আরো দুইদিন কেঁটে যায়।ছোট্ট খালামণি আবারো নাকি আকাশের চেম্বারে আসে।এসেই আকুতি মিনতি ভরা গলায় আবারো কাঁদেকুটে একাকার!লাভ হয়নি।আকাশ আমার কথায় অটুট ছিল,কাজেই পাত্তা পায়নি!

এভাবে দেখতে দেখতে ন’মাসের দরজায় টোকা পড়ে।এরমাঝে আমার শাশুড়ি কুমিল্লায় যেয়ে আসাফের পরিক্ষাটা দিই য়ে আনে।আর আফিয়া ত আমার সাথেই ছিল।বলতে গেলে লাস্ট মাস গুলোতে আমাকে কেউই এক মুহূর্তের জন্যে একা ছাড়ে নি।ডেলিভারি সময়টা খুবই কাছে।এইতো আর পাঁচদিন ফেরুলে ডেলিভারি টাইম।অথবা তার আগেও হতে পারে।ফিক্সড সময় নেই।কিন্তু আমার মনে কেমন যেন একটা ভয় ভয় কাজ করছে!এ প্রথম মা হতে যাচ্ছি।শুনলাম গর্ভপাতের সময় প্রতিটি মার জীবন খুবই রিস্কিতে থাকে।এমনো হয়েছে অনেকে সন্তান জম্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুও হয়েছে!

ভেবেই ফস করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়ি!!অস্থিরতার নিঃশ্বাস! বিষণ্ণ মনে আতঙ্কতার নিঃশ্বাস!!তারপর বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়ে বেলকনিতে যাই। দুপুরের ঝাঁ ঝাঁ রোদটা মুহূর্তে চোখমুখে টুংটাং করে উঠে।গা জ্বলে যাওয়া অবস্থা। বেশিক্ষণ আর দাড়িয়ে থাকতে পারি নি তাই পেছনে ঘুরে দাঁড়াতেই মুহূর্তের মধ্যে আমার চোখমুখে একটা বিস্ময় রেখা ছুঁয়ে যায়।চরম বিস্ময়!

“সানা রে,সানা…..!”মায়া মাখানো গলা!আকাশ দেয়নি আমার এড্রেস!অবশেষে এই মহিলাই আমার এড্রেসটা টুকে নিয়ে এই বাসায় চলে এলো!শেষ পর্যন্ত প্রতারকের ছায়ার সামনে পড়তেই হলো!

” আমি অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছি!খুব বাঁজে বিহেভ করেছি তোদের সাথে।তোর সংসার ভেঙ্গেছি।বোনকে শেষ করে দিছি!পৃথিবীর সবথেকে জঘন্য কাজগুলো করেছি!!আমি পাপী!অনেক বড় পাপী!আজ দেখ আজ আমার সব শেষ হয়ে গেল!আমার ছেলেটার জীবনটা তছনছ হয়ে গেল!জেলের চারদেয়ালে বসে বসে আমার ছেলেটা খুব কাঁদছে! আমি আর সহ্য করতে পারতেছি না সানা!”

বলেই ভাঙ্গা গলায় উনি জোর আর্তনাদ করে উঠেন
উনার কান্নার আওয়াজ শুনে পাশের থেকে আমার শাশুড়ী, আফিয়া,আসাফ এবং শ্যামা আপা আমার রুমে চলে আসে!আমি চুপ হয়ে আগের মতোই দাঁড়িয়ে আছিথ।একফোঁড়ও কথা বলিনি!

“এই সানা?সানারে?জিজ্ঞেস করবি না কেন জেলে গেল আমার ছেলে?”
চুপ থাকি!বললেন,
“কথা বলবি না তাই ত!তুই না বললেও আমি বলবো! তোর সাথে সংসার ভাঙ্গার পর জেনি নামের একটা মেয়েকে আমার ছেলেকে বিয়ে করাই!ছেলে যদিও প্রথম প্রথম এতে আপত্তি করেছিল কিন্তু ডিভোর্স পেপারে তোর সই দেখে ছেলে নিমিষে রাজি হয়ে যায়।আর বিয়ের পর ওই জেনি মেয়েটার আসল রূপ দেখতে পাই। পরে বুঝতে পারলাম ও আসলে আমার ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করে নি।বিয়ে করেছে আমাদের সম্পত্তির লোভে!ছেলে বাসায় ফিরলে ঠোঁটের কোণায় দলিলের কথাই লেগে থাকতো।তুরাবের নামে যা যা ওয়ারিশ আছে সব ওর নামে করে দিত।কিন্তু আমার ছেলে এর প্রতিপক্ষ হয়!প্রতিপক্ষ হওয়ার কারণে শুরু হয় তুরাবের উপর মানসিক টর্চার!কারণে-অকারণে আমার ছেলের দোষ ধরা শুরু করে।আমার দোষ ধরা শুরু করে!ভুল করিনি তারপরও বলে ভুল করেছি।এ নিয়ে আশপাশের মানুষদের জড়ো করে।উনাদের সামনে কাঁদে।মিথ্য বাহানা করে নিজেই ব্লাউজ ছিঁড়ে বলে আমরা ওকে মেরেছি।ওর হাত পুঁড়ে দিয়েছি।ওর কথা সবাই বিশ্বাস করে ফেলে । সবাই আমাদেরই খারাপ ভাবতে শুরু করে!!
এভাবে চলতে চলতে আমার ছেলেটা তিতে হয়ে ওঠে!ধৈর্য্যের সীমা হারিয়ে ফেলে।একদিন সত্যি সত্যিই আমার ছেলে রাগে-ক্ষোভে ওর গাঁয়ে হাত তোলে! সেদিন ওর সে কী চিৎকার!চিৎকার দিতে দিতে আবারো আশপাশের সবাইকে জড়ো করে ফেলে!সবাই বলে আমার ছেলের নামে এবার নারী নির্যাতন কেইস করতে!ও তাই করতে উঠে লেগে যায়!অতঃপর নারী নির্যাতন কেইস করেই ফেলে।আইন তা মঞ্জুর করে।আমার ছেলেকে জেলে নিয়ে যায়।আজ সাতদিন হলো তুরাব জেলে!এখন বুঝলাম আমি নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারলাম!খুব অনুতপ্ত আমি।মারে মা তোর সাথে করা জঘন্য অন্যায়ের শাস্তি পাচ্ছি!মনকে মানাতে পারছি না।কত চেষ্টা করলাম তোর সাথে যোগাযোগ করতে কিন্তু সাহস হয়নি সরাসরি যোগাযোগ করতে!পরে উপায় আর না পেয়ে আকাশের চেম্বারে আসি।
আকাশও আমায় রিক্ত হাতে ফিরিয়ে দেয়।অতঃপর আজ অনেক কষ্টে আকাশের এসিস্ট্যান্ট থেকে তোর এড্রেসটা টুকে নিই। জানলাম আকাশের সাথে তোর বিয়েও হলো।সব লজ্জা,অভিমান বিসর্জন দিয়ে তোর কাছে ছুটে চলে এলাম!করবি ক্ষমা আমাকে?”

এবার আমি মুখ খুলি।খুব অভিমান গলায় বললাম,
“দোষ আপনার একার নয়!যার সাথে বিয়ে হলো ওই মানুষটাকেই চিনতে পারলাম না!”
“তুরাবের একটাই সমস্যা দিনশেষে ও আমার কথাই রাখে।আর আজ ছেলেটার আমার জীবন….!”

আবারো হাউমাউ কেঁদে উঠেন।আমার শাশুড়ী খালামণির কাছে এসে উনার কাঁধে শক্ত করে চেপে ধরেন।স্বান্তনা গলায় বলেন,
“আপা প্লিজ?মন খারাপ করবেন না।এটা হয়তো কপালে ছিল!”
“কপালে নয়!এটা আমার পাপের ফল!সানা আমাকে ক্ষমা করে দে।এই দু’হাত জোড় করে বলছি!”

আমি দু’কদম পিছু হটে দাড়াই।বললাম,
“হাত নামান!ক্ষমা শব্দটা আমার মুখে কখনো উদিত হবে কিনা জানি না।তবে আপনার ছেলেকে জেল থেকে ছাড়ার ব্যবস্থা করবো।কারণ,আমি এতটা অকৃতজ্ঞ নই আপনারা এইভাবে হোক অথবা ওইভাবে হোক একসময় আমাদের সংসারটা চালিয়েছিলেন!”

চলবে…