ভালোবাসি তারে পর্ব-২৬

0
5208

ভালোবাসি তারে

২৬.
মেঘলা, মেঘলা সকাল। তবে কিছুক্ষণ আগেও আকাশের বুক কালো বাদলে ঢাকা থাকলেও, এখন সেটা আস্তে আস্তে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। মেঘের ফাঁকফোঁকর দিয়ে খানিকটা সোনালী কিরণ দেখা যাচ্ছে ইতোমধ্যে। চারপাশটাও কেমন ভেঁজা-ভেঁজা, স্যাঁতসেঁতে! ঝুমের ভালো লাগছে না দিনটা। মেঘের গর্জনে তার আরামের ঘুমটা ভেঙ্গে গিয়েছিল ভোর বেলা। তারউপর নিলয়ের স্কুলে আজ ‘যেমন খুশি তেমন সাজ’ -এর এ্যানুয়েল স্পোর্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই বৃষ্টির দিনেই কি এ এ্যানুয়েল স্পোর্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার দরকার ছিল? বিরক্ত নিয়ে নিশ্বাস ফেলল ঝুম। তার পাশে বসে থাকা নিলয়ের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। কাঠকাঠ গলায় বলল,
— “তুই কি সাজবি নিলয়? বিয়ের বউ সাজিয়ে দিলে কেমন হয় রে?”

নিলয় মুখ কুঁচকালো। কথাটা ঠিক পছন্দ হয় নি তার। মুখ বাঁকিয়ে বলল,
— “আমি বউ সাজবো কেন? আমি তো বর সাজবো। তাও বড় হলে আমার বিয়েতে। বুঝেছো? এখন আমাকে তাড়াতাড়ি সুপারম্যান সাজিয়ে দাও। স্কুলের দেড়ি হচ্ছে!”

ঝুম কিছুক্ষণ ভেবে দেখলো নিলয়কে সুপারম্যান সাজালে ঠিক কেমন লাগে! পরক্ষণেই সুপারম্যানদের জামার উপরে আন্ডারওয়্যার পড়ার কথা মনে পড়তেই ভাবনাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলল। এটা কোনো কস্টিউম হলো? সুপারম্যানের জামা সুপারম্যানকেই মানায়। নিলয় পড়লে সেটা বান্দরের চেয়ে কম লাগবে না। তাছাড়া সুপারম্যানদের ওসব কোথা থেকে পাবে ঝুম? নিলয় আশা ভরা চোখে ঝুমের দিকে তাকিয়ে আছে। সেই আশায় পানি ঢেলে ঝুম রাগী গলায় বলল,
— “নিজের চেহারা দেখেছিস? বান্দর লাগবে দেখতে। তারচেয়ে তোকে কৃষক বানাবো আমি। ফটাফট আব্বার লুঙ্গী আর সাদা গেঞ্জি নিয়ে আয়। আর হ্যাঁ, গামছাও। যা!”

নিলয় মুখ ফুলিয়ে চেয়ে রইল। বোনের রাগী গলা শুনে কিছু বলতে গিয়েও বলল না। চুপচাপ তা-ই করল যা ঝুম বলেছে।

নিলয়কে একদম সম্পূর্ণ রুপে কৃষক বানিয়ে ছেড়েছে ঝুম। নিলয়ের কানের নিচে কালো টিকা দিয়ে গর্বের সঙ্গে বলে উঠে ঝুম,
— “দেখেছিস নিজেকে? বান্দরের থেকে কৃষক বানিয়ে দিয়েছি একদম। কয়দিন পর বিয়ে দেওয়া যাবে। করবি বিয়ে?”

নিলয় কিছু বলল না। মুখ বেলুনের মতো ফুলিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো। ঝুম হেসে দিল। নিলয়কে বসাররুমে রেখে নিজের রুমে চলে এলো রেডি হতে। রুমের এক কোণে রাখা ঝুমের ফোন বাজছিল। ফোনের স্ক্রীনে নিঝুমের নামটা ভেসে উঠতেই ঝুমের চোখ বড় বড় হয়ে গেল। নিঝুমের কাছে তো ঝুমের এ নম্বরটা থাকার কথা না। না কেউ নিঝুমকে এ নম্বরটা দিতে পারবে। কেননা, নম্বরটা দিয়ে ঝুম শুধু নিঝুমকে অচেনা সেজে বিভিন্ন ভাবে জ্বালাতন করত। নিঝুম কি জেনে গেছে সেটা?

সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে কল কেটে গেল। এক,দুই সেকেন্ড পর আবারো ফোন বেজে উঠতেই খানিকটা কেঁপে উঠল ঝুম। বুকে বার কয়েক বার ফুঁ দিয়ে ফোন হাতে নিলো। কাঁপা কাঁপা হাতে কল রিসিভ করে কানের কাছে ধরলো ফোনটা। ওপাশ থেকে নিঝুমের ব্যগ্র কণ্ঠ ভেসে উঠল,
— “মিস রুপা? আপনি কোথায়? আপনার দাদী এইমাত্র আমাদের হাসপাতালে এসেছিলেন। ক্রিটিকাল অবস্থা উনার। শ্বাস কষ্টে কথাও বলতে পারছেন না। তিনি বহুকষ্টে আপনাকে ফোন করতে বললেন। আপনি কি আসছেন হাসপাতালে?”

ঝুম অনুভূতি শূণ্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মস্তিষ্ক এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তার। নিঝুম কি পাগল হয়ে গেছে? এমন আবলতাবল বকছে কেন? ঝুমের দাদী তো সেই কবেই মারা গেছে। আর এই রুপা কে? উফ! ঝুমের মনে পড়ছে না। ঝুম নাকে হাত দিয়ে গলার কণ্ঠ পাল্টালো। কাঁপা গলায় বলল,
— “ক-কে রুপা? আ… আর দাদী নেই আমার। উনি কোত্থেকে আসবেন? ভুল নম্বরে ফোন দিয়েছেন আপনি।”

ওপাশ থেকে নিঝুম ভ্রু কুঁচকালো। তাচ্ছিল্যসুরে বলল,
— “তাই নাকি? তাহলে ওইদিন যে বললেন আপনার দাদী অসুস্থ? তাছাড়া ঝুমময় পিচ্চি, কণ্ঠ পাল্টে তো নিজের নাম রুপাই বলেছিলেন। ইতোমধ্যে ভুলে গেলেন?”

ঝুমের গলা শুকিয়ে গেছে। বার বার ঢোক গিলছে সে। তবুও কাজ হচ্ছে না। ঝুমের এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না সে ধরা পড়ে গেছে। মন শুধু বলছে, সব শেষ! সব শেষ!
ঝুমকে কিছু বলতে না দেখে নিঝুম গম্ভীর কণ্ঠে প্রশ্ন করল,
— “মিথ্যা কেন বলেছিলে ঝুম?”

ব্যাস! নিঝুমের এহেন কণ্ঠ শুনে ঝুমের কান্না পাচ্ছে এবার। নিঝুম কি বেশি রেগে আছে ঝুমের উপর? কণ্ঠ শুনে তো তেমনই মনে হচ্ছে। ঝুম কান্না ভেঁজা গলায় বলল,
— “স-সরি ডাক্তার।”
নিঝুমের শক্ত গলা,
— “সরি বললে কি হবে? তুমি বোকা বানিয়েছো আমায়। অপমান করেছ।”

ঝুম কান্না করে দিল যেন। আবারো বলল সে,
— “তিন সরি ডাক্তার। আর এমন করব না।”
নিঝুম আর হাসি আটকাতে পারলো না। শব্দ করে হেসে উঠল। ঝুম একহাতে চোখের পানি মুছে ভাঙ্গা গলায় বলল,
— “হাসছেন কেন?”
— “এই সামান্য কথায় কেউ কাঁদে ঝুম? নির্ঘাত কেঁদে-কেটে নাক লাল করে ফেলেছো?”

ঝুম আয়নার দিকে তাকালো। হু! নাক লাল, লাল হয়ে গেছে তার। ঝুম ভ্রু কুঁচকে বলল,
— “আপনি জানলেন কিভাবে?”
নিঝুম হাসে। কিছু বলে না। ঝুম আবার বলে,
— “আপনি কি হাসপাতালে?”
— “হ্যাঁ।”

ঝুম কিছু বলবে তার আগেই ভেতর থেকে নিলয় চেঁচিয়ে উঠে,
— “আপা? রেডি হয়েছিস? দেড়ি হচ্ছে তো আমার।”

ঝুম একবার ফোনের দিকে তাকালো। তারপর আবার বসার রুমের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে উঁচু গলায় বলে উঠল,
— “আর একটু৷ অপেক্ষা কর!”
ফোন আবার কানে রেখে ঝুম বলল,
— “ডাক্তার, রাগ করবেন না প্লীজ। আপনার সঙ্গে আমি পড়ে কথা বলি?”
নিঝুম উত্তর দিল না। উল্টো প্রশ্ন করল,
— “তুমি কোথাও যাচ্ছো?”
— “হ্যাঁ। নিলয়ের স্কুলে অনুষ্ঠান আছে আজ। সেখানে যাবো।”
— “ভালো তো।”

কথাটা বলেই কিছুক্ষণ চুপ রইলো নিঝুম। ঝুমও নিশ্চুপ। নিরবতার অবসান ঘটিয়ে নিঝুম বলল,
— “নিলয়ের স্কুল কোনটা?”
ঝুম স্কুকের নাম বলতেই নিঝুম এবার মাত্রারিক্ত শান্ত গলায় বলল,
— “আমার অপেক্ষা করবে ঝুম। আমি আসার চেষ্টা করব।”

কল কেটে দিয়েছে নিঝুম৷ ঝুম তখনো তাকিয়ে আছে ফোনের দিকে। নিঝুম কি সত্যি আসবে? সত্যি? আনন্দে ঝুমের মুখে হাসি ফুটে উঠল।

______________________________

নিলয়কে নিয়ে তার স্কুলে এসেছে আধাঘন্টা হলো। নিলয় আপাতত স্কুলের হল রুমে আছে। ঝুম মাঠের এক কোণে বেঞ্চে বসে। কিংবা অপেক্ষা করছে নিঝুমের। ফোন হাতে নিয়ে বার বার ফোনের দিকে তাকাচ্ছে ঝুম। নিঝুম ফোন দিচ্ছে না কেন? কখন আসবে সে? হতাশা নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল ঝুম।

প্রায় মিনিট দশেক পর নিঝুমের কল এলো। সঙ্গে সঙ্গে ঝুমের মুখেও ফুটে উঠল প্রখর হাসি। ফোন রিসিভ করে ঝুম বলল,
— “এসে পরেছেন ডাক্তার?”
— “হ্যাঁ। গেটের কাছে আছি। আসো!”

শুনে ঝুমের হাসি আরো তীব্র হলো। কল কেটে ফোন ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলো সে। গেটের কাছাকাছি আসতেই দেখতে পেলো নিঝুমকে। গাড়ি আনে নি সে। রিকশায় বসে আছে। ঝুম এগিয়ে গেল নিঝুমের দিকে। ঝুমকে দেখে নিঝুম হাসল খানিকটা। বলল,
— “নিলয়ের প্রোগ্রাম কখন শেষ হবে?”
— “আরো এক-দুই ঘন্টা পর। কেন?”

নিঝুম ঠোঁট কামড়ে কিছু একটা ভাবলো। হঠাৎ-ই বলল,
— “চলো ঘুড়বো।”
ঝুম অবাক হয়ে বলল,
— “জ্বী?”
— “রিকশায় উঠো। ঘুড়বো।”
ঝুম লজ্জায় এদিক-ওদিক তাকাল। পরক্ষণেই বিনা বাক্যে উঠে পড়ল রিকশায়।

রিকশায় সামান্য দূরত্ব রেখে পাশাপাশি বসে আছে ঝুম আর নিঝুম। নিঝুম তার এক হাত ঝুমের পাশ গলিয়ে ধরে রেখেছে রিকশার হুট। নিঝুমের ছোট খাটো যত্নগুলো বেশ ভালো লাগে ঝুমের। বরাবরের মতো মুগ্ধ হয়। এবারো হচ্ছে! লজ্জা সিক্ত গলায় ঝুম বলল,
— “আপনাকে একটা প্রশ্ন করি ডাক্তার?”
— “না।”

নিঝুমের গম্ভীর কণ্ঠ। ঝুম বিস্মিত হলো। বলল,
— “জ্বী?”
নিঝুম হেসে বলল,
— “কিছু না। কি প্রশ্ন করবে করো।”
ঝুম আমতা আমতা করে বলল,
— “আপনি কিভাবে বুঝলেন নম্বরটা আমার ছিল? আমি তো কাউকে দেই নি নম্বরটা। শুধু আপনার সাথেই কথা হয়ে ছিল।”

নিঝুম এবার খানিকটা সিরিয়াস মুডে এলো যেন। গম্ভীর গলায় বলল,
— “তুমি নিজের কণ্ঠ পাল্টালেও তোমাকে চিনবো আমি ঝুম। তাছাড়া আমার সন্দেহ ছিল তোমার উপর। যা আজকে রুপাকে না চেনায় সত্যি হলো।”

ঝুমের ইচ্ছে হলো নিজেকে নিজে কয়েকটা চড় দিতে। চোখ খিঁচে মনে মনে অনেকগুলো গালাগাল করল ঝুম। সে এত বোকা কেন? কিচ্ছু পারে না! পিটপিট করে চোখ মেললো ঝুম। নিঝুম অন্যদিকে তাকিয়ে ছিল। ঝুম অপরাধীর ন্যায় আবার বলল,
— “আমি কি রেগে আছেন ডাক্তার? সরি!”

নিঝুম শান্ত চোখে তাকালো ঝুমের মুখপানে। ঠোঁটে আলতো হাসি ফুটিয়ে বলল,
— “আমি তোমার উপর কেন রাগতে পারি না ঝুম?”

প্রশ্নের উত্তর হিসেবে ঝুমের মুখেও প্রসন্ন হাসি ফুটে উঠে। আকাশের দিকে চোখ মেলে তাকায় সে। কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে পুরোটা আকাশ। বৃষ্টি আসবে হয়তো! এই ভাবনা মাথায় আসা মাত্রই আকাশ থেকে ফোটায় ফোটায় বৃষ্টির পানি পরা শুরু হয়। যা তীব্রভাবে বেড়ে যাচ্ছে। হয়তো একটু পর মুষলধারে বৃষ্টি হবে।

এক-দুই মিনিট পর ঠিকই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। রিকশায় আলাদা পর্দা নেই। বসা যাচ্ছে না। ভিঁজে যাচ্ছে ঝুম আর নিঝুম। ঝুমের বৃষ্টির পানিতে ফোবিয়া আছে। ইতোমধ্যে ঠান্ডায় নাক টানছে সে। নিঝুম সেদিকে একবার তাকিয়ে রিকশা চালককে উদ্দেশ্য করে বলল,
— “মামা? এখানে কি কোনো ছাউনি জাতীয় জায়গা আছে?”

রিকশা চালক বললেন,
— “হয়! জঙ্গলের পত্তম মাতায়(প্রথম মাথায়) আসে একখান সাউনি।”
— “কতদূর ওটা?”
— “ওইতো, সামনত্ব!(সামনে)”
— “আচ্ছা, ওখানে নামিয়ে দিন।”
— “আইচ্ছা।”

ঝুম নিঝুমের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায়। জিজ্ঞেস করে,
— “ওখানে থামাতে বললেন কেন?”
নিঝুম জবাব দেয় না। উল্টো বলে,
— “তোমার কি বৃষ্টির পানিতে ফোবিয়া আছে?”
ঝুম মাথা নাড়ায়। নিঝুম আবার বলে,
— “ছাউনির ওখানে দাঁড়ালে বৃষ্টির পানি শরীরে অত লাগবে না। শীত লাগছে?”
— “উহু!”
— “না লাগলেও ওড়নাটা ভালোভাবে শরীরে জড়িয়ে নাও। পরে ঠান্ডা নাও লাগতে পারে।”

ঝুম চুপচাপ তাই করে যা নিঝুম বলে। রিকশা চালক এবার একটু হেসে বলে উঠে,
— “ভাই আফারে অনেক ভালাবাসেন, না?”
নিঝুম মুচকি হাসে। হালকা আওয়াজে বলে,
— “মনে হয়!”
ঝুম লজ্জায় নিভে যায় যেন। ঠান্ডা এবং অনুভূতির সংমিশ্রণে অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপতে শুরু করে। মনে মনে আওড়ায়, ‘সময়টা যেন থেমে যাক! নিঝুম যেন আজীবন এভাবেই তার পাশে থাকুক!’

রিকশার ভাড়া মিটিয়ে ছাউনির একদম মাঝ বরাবর ঝুমকে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয় নিঝুম। নিঝুমের বিরক্ত লাগছে এখন। মেয়েটা শীতে কাঁপছে অথচ বৃষ্টি থামার নামই নেই। বরং বেড়েই চলছে বর্ষণের বেগ। বাঁকা চোখে ঝুমের দিকে তাকাল নিঝুম। ঝুমকে কাঁপতে দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। পরনের জ্যাকেট ঝুমের গায়ে জড়িয়ে দিলো সে। ঝুম চমকে তাকালো। নিঝুম একটু হাসল মাত্র!
হঠাৎ কিছু লোকদের দেখলো ঝুম। মাথার উপর ছাতা নিয়ে এদিকেই আসছে তারা। ঝুম ভয় পেলো অনেকটা। নিঝুমের হাত ধরে তার পেছনে এসে দাঁড়ালো। ঝুমকে এমন করতে দেখে নিঝুম প্রথমে ভ্রু কুঁঞ্চিত করে। পরক্ষণে ঝুমকে অনুসরণ করে লোকগুলোকে দেখতেই শান্ত হয়ে যায় সে। তবে ভ্রু আরো কুঞ্চিত করে ফেলে। ফিসফিসিয়ে ঝুমকে বলল,
— “ভয় পেয় না ঝুম। আমি আছি।”

________________

চলবে…
ঈশানুর তাসমিয়া মীরা
~বড় করে লিখেছি। গঠনমূলক মন্তব্য চাই😑